Neempata'

Neempata' কিছু মানুষের
চোখে আমরা কখনো ভালো হতে পারি না'
কারণ আসলে তাঁরা আমাদের মন থেকেই
দেখতে পারে না

29/12/2024

চেহারার উজ্জ্বলতা বাড়ায় টাকা
লোশন, ক্রিম এগুলা সব স্ক্যাম লাগে।

ভালোবাসার বিচ্ছেদ হয় না, বিচ্ছেদ হয় না মনের, বিচ্ছেদ হয় শরীরের, বিচ্ছেদ হয় সম্পর্কের, বিচ্ছেদ হয় মানুষের, মানুষ ভালোবে...
29/12/2024

ভালোবাসার বিচ্ছেদ হয় না, বিচ্ছেদ হয় না মনের, বিচ্ছেদ হয় শরীরের, বিচ্ছেদ হয় সম্পর্কের, বিচ্ছেদ হয় মানুষের, মানুষ ভালোবেসে যা পায় তার থেকে বেশি হারায়, অযত্নে, অনাদরে, অবহেলায়, গুরুত্বহীনতায় ।

কারণ, মানুষ ভালোবাসা পাওয়ার জন্য যে সময় ব্যয় করে, তার অর্ধেক সময়ও কখনো সম্পর্ক টেকানোর জন্য ব্যয় করে না, যদি করতো তবে বর্তমানে সম্পর্ক ভাঙ্গার প্রতিযোগিতা চলতো না, আজকাল সম্পর্ক গড়া যতটা সহজ হয়ে গেছে, ভাঙ্গাটাও ততটাই সহজ হয়ে গেছে, মানুষ এখন পোশাকের মতো সম্পর্ক বদলায়, প্রিয়জন বদলায়, তাই সম্পর্কের দাম এখন শূন্যের কোঠায় বললেই চলে ।

বর্তমান প্রজন্ম সম্পর্কের শুরুতে কোনোরকম ভাবে টুকটাক adjustment করলেও, কেউই খুব একটা sacrifice করতে চায় না, কেউই কাউকে এক চুল ছাড় দিতেও রাজি না, সবাই অনেক বেশি আত্মকেন্দ্রিক, নিজের ভালো মন্দটুকু ছাড়া কেউ কিছু বোঝেও না আর বুঝতে চায়ও না ।

সবাই নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত ভীষণ, নিজের ভালো থাকাটাই বর্তমান প্রজন্মের first priority, তাই আবেগের থেকে বিবেক একটু বেশিই কাজ করে আমাদের, আসলে আমরা ভুলে যাই জীবনে বেঁচে থাকতে গেলে বিবেক যতটা গুরুত্বপূর্ণ আবেগও ঠিক ততটাই গুরুত্বপূর্ণ, একজনের প্রতি অন্যজনের মায়া-মমতা কম থাকায়, সম্পর্ক টেকানোর প্রতিও আমাদের মমত্ব বোধ খুবই দুর্বল, তাই তো পান থেকে চুন খসলেই আমরা বিচ্ছেদ চাই, পঁচিশ কিংবা পয়ত্রিশ বছরের দাম্পত্য জীবনের ইতি টানতেও আমাদের বাঁধে না, এক সাথে থাকা আর সম্ভব নয়,কিংবা বন্ধুত্বটুকু আর নেই, কিংবা মনের মিল আর হচ্ছে না বলে আমরা হরহামেশাই বিচ্ছেদ টানি সম্পর্কে ।

বিচ্ছেদ তো হয় ঠিকই, তবে সব বিচ্ছেদের পিছনেই কিন্তু দুজনের সদিচ্ছা কিংবা দুজনের সম্মতি থাকে না, বেশিরভাগ বিচ্ছেদ হয় একজনের, অন্য খাচায় পোষ মানায় আর অন্যজনের আপোষে, কেউ চাপিয়ে দিয়ে, কেউ বাধ্য হয়ে মেনে নিয়ে সম্পর্কে বিচ্ছেদ টানে, মানুষটি আপোষ করে কিন্তু, ভালোবাসা তো আর আপোষ করে না, ভালোবাসা ঠিকই মনে রয়ে যায়, কারণ, ভালোবাসার যে কখনো বিচ্ছেদ হয় না ।
Collected

চলে আসেন আমাদের ফরিদপুরে🥰খাইতে দিয়ে খেজুর রসবসতে দিমু পিড়িতে।
28/12/2024

চলে আসেন আমাদের ফরিদপুরে🥰
খাইতে দিয়ে খেজুর রস
বসতে দিমু পিড়িতে।

মাগুরা শ্রীপুরের চর-চৌগাছি(ঘসিয়াল) গ্রামে বিরল এক শিশুর জন্ম.৫নং দারিয়াপুর ইউনিয়ন,শ্রীপুর,মাগুরা.
28/12/2024

মাগুরা শ্রীপুরের চর-চৌগাছি(ঘসিয়াল) গ্রামে বিরল এক শিশুর জন্ম.
৫নং দারিয়াপুর ইউনিয়ন,শ্রীপুর,মাগুরা.

27/12/2024
আমার তো বুকে থাকার লোভ!একদম বুক ঘেষে, বুকের আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে থাকার লোভ। অভিমানে আমার ভীষণ প্রেম পায়, ঠিক বুকে তুমুল ঝড়ে...
27/12/2024

আমার তো বুকে থাকার লোভ!
একদম বুক ঘেষে, বুকের আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে থাকার লোভ।
অভিমানে আমার ভীষণ প্রেম পায়, ঠিক বুকে তুমুল ঝড়ে লণ্ডভণ্ড সব! বুকের সাথে বুক, ঠোঁটের সাথে ঠোঁট মিলেমিশে একাকার হওয়ার বায়না। তবে আমি নই, তুমি। আমি চাই, তুমিই আগে আসো।
এসে খুব শক্ত করে জড়িয়ে ধরে চুমু খাও, বুকের সাথে বুক-মাথা মিশিয়ে ধরো। তারপর তো আমি সাড়া দিবো।

অভিমানে আমি চাই আদর।
নরম আদর, শীতের কোলাজ সুখে মন আর শরীর নিস্তেজ হয় যেমন, ঠিক তেমন।
আমি চাই, অবুঝ শিশুর মতো বুকের আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে থাকতে।
ঘুম না আসা রাতে, তোমার কাজল চোখে তাকিয়ে নির্ঘুম কাটিয়ে দিতে চাই।

আমার যে বুকে থাকার লোভ!
অভিমানে, হতাশায় বুকের সাথে বুক, বুকের উপর মাথা রাখার লোভ। আমি যে আদর চাই, যে রাতে ভীষণ কান্না পায়, নিজেকে খুব একা লাগে, সেই রাতেই আমার ভীষণ আদর চাই।
আদর পেলেই আমার আর কোনো যন্ত্রণা হয় না, কষ্ট লাগে না।

সংগৃহীত

26/12/2024

আবেগটাকে বিবেকে পরিনত করাই শ্রেয়।।

26/12/2024

আসসালামু আলাইকুম।
কেমন আছেন প্রত্যেকে?

26/12/2024

সু-মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে আমাদেরকে দেওয়া সবচেয়ে বড় নেয়ামত হচ্ছে সুস্থতা।

আপনাদের সকলের দোয়ায় আলহামদুলিল্লাহ এখন সুস্থ হওয়ার পথে🥰

23/12/2024

কেউ চলে গেলে তাকে ফেরানোর দায়িত্ব আপনার-ই সে কথা কখন-ই আমি বিশ্বাস করি না।
যে মানুষটা আপনার জীবনে হুট করে আসবে সে মানুষটার একদিন হুট করেই যে আপনার জীবন থেকে প্রস্থান হবে সে কথা আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি।
যে মানুষের রুচিবোধ যতদিন আপনার উপর থাকবে সে মানুষটা আপনাকে ঠিক ততদিন-ই সহ্য করবে।
মানুষ তার রুচির উপর নির্ভরশীল, এক কথায় আমি বিশ্বাস করি এক্ষেত্রে মানুষ তার রুচির দাস।
সো যে যাওয়ার সে চলে যাবেই, তাকে তোড়জোড় করে ফেরাতে গিয়ে ব্যর্থ হলে সে ব্যর্থতা একান্ত আপনার-ই।

আপনি কোনো পুরুষকে বদলাতে পারবেন না। কারণ তারা জেদী, একরোখা এবং নিজের বিশ্বাসে অটল।কিন্তু আপনি তাকে ভালোবাসলে, সে নিজ থেক...
23/12/2024

আপনি কোনো পুরুষকে বদলাতে পারবেন না। কারণ তারা জেদী, একরোখা এবং নিজের বিশ্বাসে অটল।

কিন্তু আপনি তাকে ভালোবাসলে, সে নিজ থেকেই বদলে যাবে। তার আচরণ, কথার টোন অটোম্যাটিক পরিবর্তন হবে।

নারী শক্তিশালী কেউ না, সে শক্ত হতে গেলে ভেঙে যাবে। প্যাচাতে গেলে কেটে যাবে। সে মূলত কোমল, পানির মতো তরল। এতটাই কোমল যে, তার পরশে পৃথিবীর সবচে শক্ত পুরুষও গলে যেতে বাধ্য।

কখনো সংসারে অমিল দেখা দিলে একবার নিজেকে যাচাই করুন। দেখুন, আপনার আচরণ নারীসুলভ আছে কি না। আপনি কারো শখের নারী হওয়ার আগে ভাবুন, কারো শখের হওয়ার মতো করে তাকে ভালোবাসতে পারছেন কি না। তালাক হয়ে যাবে; সবাই উপস্থিত, সালিশ চলছে। তখনও কোনো স্ত্রী ‘নারী’ হয়ে উঠলে, কোমল স্বরে একবার পুরুষকে চাইলে, স্বামীর পাহাড়সম রাগ নিমিষেই বরফশীতল পানি হয়ে যায়। এটাই দাম্পত্যের রসায়ন। স্বামী-স্ত্রী ছাড়া পৃথিবীর কেউ এর মূল কারণ বোঝে না।

সেজন্য বলি, সমস্যা হলেই মায়ের কাছে ফোন নয়। আপনার পুরুষকে বুঝুন। সে বাহিরে থাকে, টাকা ইনকাম করে। বহুরকম লোকজনের সাথে তার উঠাবসা, লেনদেন। কোনো কারণে তার মেজাজ বিক্ষিপ্ত হতে পারে। নারীর কাজ যত কঠিনই হোক, সে সমাজ ফেস করে না। ফলে নিজেকে সংযত ও নিয়ন্ত্রিত রাখা তার পক্ষে সম্ভব। তাই, আপনার পুরুষ বাইরে থেকে এলে তার যত্ন নিন। চেহারা ফ্যাকাশে দেখলে তখনই কী হয়েছে জিজ্ঞেস না করে তাকে পানি দিন। বলুন একটু গোসল করে আসেন খাবার দিই। পরে ঠান্ডা মাথায় জিজ্ঞেস করুন কী হলো।

পুরুষ কখনো জেতে কখনো ঠকে। তার জেতাটা যেমন ইনজয় করেন, ঠকাটাও মেনে নিন। সে কোথাও লস করেছে মানেই তাকে বকাঝকা করবেন, এমন নয়। হেরে যাওয়ার অনুভব তারও আছে। বরং সাপোর্ট দিন। সহজ করুন। সময় বুঝে পরামর্শ দিন। এই যে ম্যানেজ করার ব্যাপার, এটা নারীদের আছে। আম্মাজান খাদিজার কথা ভাবুন। কীভাবে নবুওয়াতের প্রথম আগমন তিনি সামাল দিয়েছেন। নবিজির কথাটা মনে করুন, খাদিজা! আমি বোধহয় মারা যাব, কে আমাকে বিশ্বাস করবে? খাদিজা শান্ত গলায় নবিজির বুকের বোঝা নামিয়ে দিলেন। তাঁর প্রশংসা করলেন। ব্যক্তিগত আমল উল্লেখ করলেন। কেন খাদিজা সর্বশ্রেষ্ঠ, এই এক ঘটনা তার উপযুক্ত প্রমাণ।

ঠিক এজন্যই নারী সুকুন, নারী শান্তি, নারী পুরুষের মোহ। যে নারীর কণ্ঠ পুরুষের চেয়ে উঁচু, চলাফেরা অতি-আধুনিক, পুরুষোচিত, সে নারী ময়ূর থেকে কাক হতে চায়। নিজের মোহনীয় সৌন্দর্য ছেড়ে বিদঘুটে হতে চায়। এমন নারী যত সুন্দরীই হোক, তার সংসার হয় না। হলেও মরচে ধরে যায়। বাচ্চাকাচ্চা বা সামাজিকতার জন্য কোনরকম টিকে থাকে। একে জীবন বলে না, বলে ঘানি টেনে যাওয়া। সুতরাং নারী, আপনি বরং নারীই হোন। কোমল হোন, শান্ত হোন। নরম হোন, সুকুন হোন। দেখবেন পাথরের মতো পুরুষও, আপনার ফোঁটা ফোঁটা ভালোবাসার সামনে নিজেকে বিলিয়ে দিতে বাধ্য হবে।

✍️সাদিক ফারহান

“বুঝিয়ে বলা কঠিন, তাই চুপ থাকি”।জীবনে এমন অনেক সময় আসে, যখন মনের কথা প্রকাশ করা কঠিন হয়ে পড়ে। হয়তো কিছু অনুভূতি এতটাই গভ...
22/12/2024

“বুঝিয়ে বলা কঠিন, তাই চুপ থাকি”।

জীবনে এমন অনেক সময় আসে, যখন মনের কথা প্রকাশ করা কঠিন হয়ে পড়ে। হয়তো কিছু অনুভূতি এতটাই গভীর যে সেগুলো শব্দে প্রকাশ করা যায় না। কিংবা কিছু অভিজ্ঞতা এতটাই জটিল যে বোঝানোর জন্য যতই চেষ্টা করা হোক, শুনতে পাওয়া মানুষটি হয়তো বুঝবে না। তখন আমরা চুপ করে থাকি।

“চুপ থাকা” কোনো দুর্বলতা নয়, বরং এটি আত্মনিয়ন্ত্রণের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক। কখনো কখনো চুপ থাকার মধ্যে লুকিয়ে থাকে অগণিত শব্দ, মনের গভীর বেদনা কিংবা অজস্র অপ্রকাশিত গল্প। আমরা হয়তো জানি, কেউ যদি আমাদের কথা বুঝতে না পারে, তবে সেসব বলারও কোনো মানে নেই। বরং চুপ থাকা আমাদের মানসিক শান্তি বজায় রাখে।

তবে চুপ থাকার মানে এই নয় যে, আমরা দুর্বল বা আত্মবিশ্বাসহীন। বরং এটি আমাদের অভিজ্ঞতা ও প্রজ্ঞার প্রতিফলন। কিছু অনুভূতি শুধুই অনুভবের জন্য, বোঝানোর জন্য নয়। কিছু কথা প্রকাশ না করলেই তা আরও বেশি অর্থবহ হয়ে থাকে।

তবুও, চুপ থাকা সবসময় সঠিক সমাধান নয়। যদি কোনো সম্পর্ক কিংবা পরিস্থিতিতে ভুল বোঝাবুঝি বাড়তে থাকে, তাহলে সেটা স্পষ্টভাবে ব্যাখ্যা করা জরুরি। কারণ, অনেক সময় চুপ থাকাও ভুল বোঝার জন্ম দেয়।

তাই, কখন কথা বলতে হবে আর কখন চুপ থাকতে হবে, সেটি বুঝতে শিখুন। কারণ, শব্দের মতোই নীরবতাও একধরনের ভাষা—যা কেবল বোঝার ক্ষমতা থাকা মানুষের জন্য।

Collected

মানুষ‌কে অপমান না ক‌রেও সং‌শোধন করার অসাধারণ শিক্ষা। হঠাৎ এক‌দিন রাস্তায় এক বৃ‌দ্ধের সা‌থে এক যুব‌কের দেখা। যুবক একটু আ...
22/12/2024

মানুষ‌কে অপমান না ক‌রেও সং‌শোধন করার অসাধারণ শিক্ষা।

হঠাৎ এক‌দিন রাস্তায় এক বৃ‌দ্ধের সা‌থে এক যুব‌কের দেখা। যুবক একটু আগ বা‌ড়ি‌য়ে গি‌য়ে স‌ম্বোধন ক‌রে বৃদ্ধ‌কে জিজ্ঞাসা কর‌লেন, টিচার আমাকে চিন‌তে পে‌রে‌ছেন ? উত্ত‌রে বৃদ্ধ লোক‌ বল‌লেন না ! আমি তোমা‌কে চিন‌তে পা‌রি‌নি। অতপর বৃদ্ধ লোক জান‌তে চাই‌লেন তুমি কে?

তারপর যুবক‌ বল‌লো যে আমি একসময় আপনার ছাত্র ছিলাম। ও আচ্ছা! ব‌লে সেই বৃদ্ধ লোক‌ যুব‌কের কা‌ছে কুশলা‌দি জানার পর জিজ্ঞাসা কর‌লেন এখন তু‌মি কি কর‌ছো? যুবক‌ অত‌্যন্ত বিন‌য়ের সা‌থে উত্ত‌রে বল‌লো আমি একজন শিক্ষক। বর্তমা‌নে শিক্ষকতা কর‌ছি।

সা‌বেক ছা‌ত্রের মুখ থে‌কে এই কথা শু‌নে বৃদ্ধ শিক্ষ‌ক অত‌্যন্ত খু‌শি হ‌য়ে বললেন "আহ, কতই না ভালো, আমার মতো হ‌য়ে‌ছো তাহ‌লে?"

হ্যাঁ ঠিক! আসলে আমি আপনার মত একজন শিক্ষক হতে পে‌রে‌ছি ব‌লে নি‌জে‌কে ধন‌্য ম‌নে কর‌ছি। তখন সেই যুবক এর পিছ‌নের কারণ বর্ণনা কর‌তে গি‌য়ে বল‌লো আপনি আমাকে আপনার মতো হতে অনুপ্রাণিত হ‌তে উদ্ধুদ্ধ করেছেন।

বৃদ্ধ শিক্ষক কিছুটা কৌতূহল দৃ‌ষ্টি নি‌য়ে যুবকের কা‌ছে শিক্ষক হবার পিছ‌নের কারণ জান‌তে জান‌তে চাই‌লে, সেই যুবক‌ তার শিক্ষক হ‌য়ে উঠার গল্প বল‌তে গি‌য়ে
বৃদ্ধ শিক্ষক‌কে ষ্মরণ ক‌রে দি‌লো স্কু‌লে ঘ‌টে যাওয়া সেই ঘটনা। সে দি‌নের ঘটনা বর্ণনা কর‌তে গি‌য়ে যুবক‌ তখন বৃদ্ধ শিক্ষ‌ককে উ‌দ্দেশ‌্য ক‌রে বল‌লো; ম‌নে আছে টিচার,

একদিন আমার এক সহপা‌ঠি বন্ধু ‌যে আপনারও ছাত্র ছিল, সে একটি নতুন ঘড়ি নি‌য়ে ক্লা‌সে এসেছিল। তার ঘা‌ড়ি‌টি এতটাই সুন্দর ছিল যে আমি লোভ সামলা‌তে পা‌রি‌নি। সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম ঘ‌ড়ি‌টি আমার চাই। অতপর আমি তার প‌কেট থে‌কে ঘ‌ড়িট‌ি চুরি করি।

কিছুক্ষণ পর আমার সেই বন্ধু তার ঘড়ির অনুপস্থিতি লক্ষ্য করে এবং অবিলম্বে আমাদের টিচার অর্থাৎ আপনার কাছে অভিযোগ করে। তার এই অ‌ভি‌যোগ শু‌নে আপনি ক্লাসের উদ্দেশ্যে বলে‌ছি‌লেন, ‘আজ ক্লাস চলাকালীন সম‌য়ে এই ছাত্রের ঘড়িটি চুরি হয়েছে। যে চুরি করেছো, দয়া করে ঘা‌ড়ি‌টি ফিরিয়ে দাও।

হ‌্যাঁ আপনার বার্তা শু‌নেও আমি ঘা‌ড়ি‌টি ফেরত দেইনি কারণ এ‌টি আমার কা‌ছে খুব লে‌াভনীয় ছিল। তারপর দরজা বন্ধ করে আপনি সবাইকে বেঞ্চ ছে‌ড়ে উঠে দাঁড়ি‌য়ে ক্লাসরু‌মের ফ্লো‌রের ম‌ধ্যে একটি গোলাকার বৃত্ত তৈরি করতে বললেন। এবং সবাই‌কে চোখ বন্ধ কর‌তে নি‌র্দেশ দি‌লেন। এরপর ঘড়ি না পাওয়া পর্যন্ত আপনি এক এক করে আমাদের সবার পকেট খুঁজ‌তে লাগ‌লেন।

আমরা সবাই আপনার নির্দেশ মতো দাঁ‌ড়ি‌য়ে রইলাম।
আপনি এক এক ক‌রে পকেট চেক ক‌রে একটা সময় আপনি যখন আমার পকেটে হাত দি‌য়ে ঘ‌ড়ি‌টি খুঁ‌জে পে‌লেন তখন ভ‌য়ে আমার সমস্ত শরীর কাঁপ‌তে ছিল। কিন্তুু সেই মুহূ‌র্তে ঘা‌ড়ি‌টি আমার প‌কে‌টে পাবার পরও আপনি কিছু ব‌লেন‌নি এবং শেষ ছাত্র পর্যন্ত সবার প‌কেট চেক কর‌ছি‌লেন। সব‌শে‌ষে আপ‌নি সবাই‌কে বললেন ঘ‌ড়ি পাওয়া গে‌ছে। এবার তোমরা সবাই চোখ খুল‌তে পা‌রো। ঘ‌ড়ি‌টি পাবার পর আমার সেই বন্ধু‌টি আপনার কা‌ছে জান‌তে চে‌য়ে‌ছিল ঘ‌ড়ি‌টি কার প‌কে‌টে পাওয়া গি‌য়ে‌ছিল? ‌কিন্তুু আপনি তা‌কে ব‌লে‌ছি‌লেন, ঘ‌ড়ি‌টি কার প‌কে‌টে পাওয়া গে‌ছে সে‌টি গুরুত্বপূর্ণ নয়। তোমার ঘ‌ড়ি পাওয়া গে‌ছে সে‌টি গুরুত্বপূর্ণ।

সেই দি‌নের ঘটনা নি‌য়ে পরবর্তী‌তে আপনি আমার সা‌থে কো‌নো কথা ব‌লেন‌নি। এমন‌কি সে কাজের জন‌্য আপনি আমাকে তিরস্কারও করেননি। নৈতিক শিক্ষা দেওয়ার জন্য আপ‌নি আমাকে স্কু‌লের কো‌নো কামরায় নিয়ে যাননি। সেই ঘটনা ছিল আমার জীবনের সবচেয়ে লজ্জাজনক দিন। অথচ আপ‌নি অত‌্যন্ত বু‌দ্ধিমত্তার সা‌থে, কৌশল অবলম্বন ক‌রে চু‌রি হওয়া ঘ‌ড়ি‌টি উদ্ধার কর‌লেন এবং আমার মর্যাদা চিরতরে রক্ষা করলেন।

সে ঘটনার পর আমি অ‌নেক‌দিন অনু‌শোচনায় ভোগে‌ছি। ক্লা‌সে ঘ‌টে যাওয়া ঘটনার রেশ সে দিন চ‌লে গে‌লেও এর প্রভাব র‌য়ে যায় আমার ম‌নের ম‌ধ্যে। বি‌বে‌কের যু‌দ্ধে বার বার দং‌শিত হ‌য়ে‌ছি। তারপর আমি সিদ্ধান্ত নিলাম এই সব অ‌নৈ‌তিক কাজ আর কখ‌নো করব না। একজন ভা‌লো মানুষ হ‌বে‌া। একজন শিক্ষক হ‌বো। স‌ত্যিকার অ‌র্থে মানুষ গড়ার কা‌রিগর হ‌বো। আপনার কাছ থে‌কে সে দিন আমি স্পষ্টভাবে বার্তা পেয়েছিলাম প্রকৃতপ‌ক্ষে কি ধর‌ণের একজন শিক্ষা‌বি‌দ হওয়া উ‌চিত। অপমান ছাড়াও মানু‌ষকে সং‌শোধন করা যায় সে‌টি আপনার কাছ থে‌কে শি‌খে‌ছি। আপনার উদারতা এবং মহানুভবতা আজ আমা‌কে শিক্ষ‌কের মর্যাদায় আসীন ক‌রে‌ছে।

সা‌বেক ছা‌ত্রের কথাগু‌লো শু‌নে বৃদ্ধ শিক্ষক বল‌লেন হ‌্যাঁ সেই ঘটনা আমার ম‌নে আছে। চু‌রি হওয়া ঘ‌ড়ি আমি সবার পকেটে খুঁজেছিলাম। কিন্তুু আমি তোমাকে মনে রাখিনি, কারণ সে সময় আমার চোখও বন্ধ ছিল।
Collected

22/12/2024

ধুরো জীবনের গোষ্ঠি কিলাই।

বউ নাই
টাকা নাই
বড় বিল্ডিং নাই

আমার বিয়ে তোমার সাথে হবেনা, অন্য কারো সাথে হবে যাকে চিনিনা জানিনা। আমার অনিচ্ছা থাকা সত্ত্বেও সে আমাকে ছোঁবে আমি চাইলেও ...
21/12/2024

আমার বিয়ে তোমার সাথে হবেনা, অন্য কারো সাথে হবে যাকে চিনিনা জানিনা। আমার অনিচ্ছা থাকা সত্ত্বেও সে আমাকে ছোঁবে আমি চাইলেও কিছু করতে পারবনা ঐ শক্তি আমার থাকবেনা।

আমার অনেক ঘৃণা লাগবে কারন আমাকে যে অন্য কারো ছোঁয়ার কথা ছিল যখন তাকিয়ে দেখবো এটা সে না অন্য কেউ।আমি কান্না করবো তখন সে ভাববে আমি সুখের কান্না করছি। কিন্তু সে বুঝবেনা এভাবে প্রতিদিন একেকটা রাত হবে আমার কাছে ধর্ষণের রাত।

কিন্তু তখন আমার যে কিছুই করার নেই। আমি যে একটা কাগজে সাক্ষর করে নিজের জীবন অন্যের হাতে তুলে দিয়েছি। প্রতিদিন তার পরিবারের মন জোগাড় করে চলতে হবে। কিন্তু আমি তো তোমার ফ্যামেলি নিয়ে স্বপ্ন দেখেছিলাম। তাদের মন জয়ের স্বপ্ন দেখেছিলাম অথচ দেখো কিছুই হলোনা।

একসময় আমি এসবে অভ্যস্ত হয়ে যাবো। তারপর হঠাৎ একদিন জানবো আমি মা হবো। এটা তো নারীর জীবনের সবচাইতে সুখের দিন, কিন্তু আসলেই কি আমি ঐদিন সুখি হবো.....?

না হবোনা। চিৎকার করে কাঁদতে ইচ্ছা হবে কারণ বাচ্চাটা আমার ভালোবাসার চিহ্ন না। তাও ওকে দুনিয়ায় আনতে হবে কারন ওর তো আর কোনো দোষ নেই। ও ভুমিষ্ট হওয়ার পর ওর মুখের দিকে তাকিয়ে সব মেনে নিতে হবে। একসময় ওকে বড়ো করা, স্কুলে নিয়ে যাওয়া, ওকে মানুষের মত মানুষ বানাতে গিয়ে কখন যে ৫০ পেরিয়ে চুল পাকতে শুরু হয়ে যাবে বুঝতেই পারবোনা।

এর মাঝখানে তোমাকে অনেক মনে পড়বে লুকিয়ে লুকিয়ে কাঁদবো, তারপর দীর্ঘশাস ফেলে আবার ব্যস্ত হয়ে যাবো। এভাবেই সময় কেটে যাবে। তারপর হয়তো কোনো এক রাতে ঘুমের মধ্যেই চলে যাবো পরকালে। হয়তো তুমি সেদিন জানবেনা। হয়তো আমার কথা মনে করে তুমিও কোনো বর্ষামূখর দিনে চোখ ভিজাবে । না হয় ভিজাবেনা।

কিন্তু আমার মনের সেই কষ্টগুলো অব্যক্তই থেকে যাবে,তবুও তুমি ভালো থেকো....

কিছু মেয়ের শেষ চিঠি হয়তো এমনি হবে।

21/12/2024

কিছু কিছু সম্পর্ক নুনের মতো।
তরকারিতে নুন ঠিকঠাক থাকলে আমরা ওতো গুরুত্ব দিই না। খাই, উঠে যাই। কিন্তু নুন কম হলেই, "এই একটা তরকারি! নুনটা কম।"
তেমনই আমাদের জীবনে বাবা-মা লবণ হীন তরকারির মতো। যখন পাশে থাকে, মালুম হয়না। কিন্তু না থাকলে বাড়িতে থাকতেও ভালো লাগেনা।

আমরা কম-বেশি সকলেই বাবা-মা কে টেকেন ফর গ্র্যান্টেড নিয়ে নিই। এটা বিশেষ করে হয় ক্লাস টুয়েলভ -র পরে। তখন সদ্য কলেজ জীবন, কত বন্ধু-বান্ধব, নতুন পরিবেশ। বাঁধা গরু ছাড়া পায়। এতদিন বাবা-মায়ের কড়া শাসনের মধ্যে ছিলাম বলেই যে ভালো একটা কলেজ বা ভালো একটা বিষয় পেলাম সেটা মাথায় আসে না।

যথারীতি বাড়িতে মিথ্যে বলে কলেজ, টিউশন ফাঁকি দিয়ে সিনেমা দেখা, ঘুরতে যাওয়া এসব কমন ব্যাপার হয়ে যায়। এক্সট্রা ক্লাস, গ্রূপ স্টাডির নাম করে আড্ডা মারতে যাওয়া আকছার চলতেই থাকে। মা ফোন করলে কখন ফিরবি জানতে চাইলে, মেজাজ দিয়ে বলে উঠি, "কেনো ফোন করে ডিস্টার্ব করছো, বললাম তো স্যার আজ এক্সটা পড়াবেন, ফিরতে দেরি হবে।"
রাতে ফিরে এসে কি দেখতাম? আমার জন্য মা তখনও খায়নি। বাবা ঘুমোতে যায় নি। এটাকেও আমরা স্বাভাবিক ধরে নিতাম। ভাবতাম এটাই তো ওদের কর্তব্য। তাই করছে। আজ অনেকটা বড় হয়ে বুঝতে পারি তাদের ত্যাগের মাহাত্ম্য।

এরপর আসে চাকরি জীবন। সকালে বাবা বাজার করে আনে, মা রান্না করে দেয়, খেয়ে-দেয়ে বেরিয়ে পড়ি। ফিরে এসে আবার টিফিন সেরে পাড়ার মোড়ে আড্ডা মারতে বেরিয়ে পড়ি। বা মোবাইলে ঢুকে যাই, স্ক্রল করে ফেসবুক/ ইনস্টাগ্রামের বন্ধুদের স্টোরি দেখি অথচ বাবা-মায়ের সারাদিনের স্টোরি শুনতে চাই না। রাতে আবার খেয়ে-দেয়ে শুয়ে পড়ি।

অথচ একবারও ভেবে দেখা হয় না, এই কাজগুলো যদি নিজেকেই করতে হতো কতটা পরিশ্রম, সময় লাগতো।
যারা বাইরে থাকে মেসে বা হস্টেলে তারা জানে বাবা-মায়ের থেকে দূরে থাকার মর্ম। আর আমরা যারা বাড়িতে থাকি তারা সহজে পেয়ে যাই বলে তাদের গুরুত্ব মূল্যায়ন করা হয় না।

তাদের ও কত কথা বলার থাকে। কাজের চাপে দু'দণ্ড বাবা-মায়ের পাশে বসে তাদের কথা শোনার মতো সময় কোথায়? নিজেদের জীবন, মোবাইল ফোনে নিজেদেরকে সীমাবদ্ধ করে ফেলেছি আমরা। সত্যিই কি সময় থাকে না? নাকি আমরা নিজেদের অজান্তেই তাদেরকে দূরে সরিয়ে দিই? আর ওনারা! বাবা অফিস থেকে ফিরে, মা সব কাজের ফাঁকে ফাঁকে আমাদের লক্ষ্য রাখতো। আমাদেরকে সময় দিতো।

কোনো সমস্যায় পড়লে আমরা বন্ধুদের কাছে সাহায্য চাই। দুটো বকুনি খাওয়া থেকে বাঁচতে আমরা তাদের সাহায্য নিই না, যারা আমাদের থেকে অনেক বেশি অভিজ্ঞ, যারা জীবনকে বেশিদিন দেখেছে। আর যারা আমাদের সমস্যার বেস্ট সলিউশন দিতে পারে।

বাবা-মা আমাদের জীবনে অনেক অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এই দু'জনের উপর চোখ বন্ধ করে ভরসা করা যায়। যত সমস্যাই আসুক না এরা কখনই ছেড়ে যাবেনা, সারাজীবন বটগাছের মতো আশ্রয় দিয়ে যাবে। সময় থাকতে এদের একটু গুরুত্ব দিই - যাতে বাবা মায়ের অবর্তমানে আমাদের কোনো আফসোস না থাকে। ভালো তো বাসি এদের কে, কিন্তু বলা হয়ে ওঠে না। তবুও মা কে বলা গেলেও, বাবা কে বলা হয় না। না বলতে পারি, অন্তত কাজে ফুটিয়ে তোলা যাক। ❤️❤️

Address

Gopalgonj
Dhaka
8133

Telephone

+8801568259608

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Neempata' posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Neempata':

Videos

Share