Shahabuddin Hridoy

Shahabuddin Hridoy Official page of Shahabuddin Hridoy, an Educational Blogger, Free Thinker and Believer. Shahabuddin Hridoy is an educational blogger. He works for the students.
(1)

He writes educational content on his blog sites and he makes videos on his YouTube channel. Currently He studies BSc (Honours) in Botany at University of Chittagong, Bangladesh. Shahabuddin Hridoy is also a learner. Learning is always interesting for him. He always want to learn new things and improve his personal skills. He personally believes that learning new things don't go in vain.

অতি ক্ষুদ্র পিঁপড়া যে একটা  দেয়ালের ফাটলে বাস করে । যার ব্যাস বড়জোড়  0.৫০ সেন্টিমিটারের বেশি না। মাটিতে পড়ে থাকা এককণা প...
29/12/2024

অতি ক্ষুদ্র পিঁপড়া যে একটা দেয়ালের ফাটলে বাস করে । যার ব্যাস বড়জোড় 0.৫০ সেন্টিমিটারের বেশি না। মাটিতে পড়ে থাকা এককণা পাউরুটি ঘরে নিয়ে আসাই যার সারা জীবনের কাজ। যে কাজটি তার জন্য অদ্বিতীয় এবং কখনো পরিবর্তন হয় না। এই ফাটলটাই হলো তার পৃথিবী। আর তার জীবনের একমাত্র উদ্দেশ্য হলো শুধু এক কণা রুটির টুকরা । তারপর আর কিছুই নেই। এ জন্য তাকে দোষ দেয়াও ঠিক না । কারণ এটাই তার অনুভূতির সর্বোচ্চ সীমা।

কিন্তু মানুষ অনুধাবণ করে পিঁপড়া এই ফাটলটি কেবলমাত্র দেয়ালের একটা চিঁড়। আর দেয়ালটি একটি কক্ষের মাঝে। কক্ষটি একটি অ্যাপার্টমেন্টে। এই অ্যাপার্টমেন্টটির মতো আরো অনেক অ্যাপার্টমেন্ট থাকে একটা ভবনে। যে ভবনটি একটি এলাকায়। এলাকাটি শহরের ছোট একটা এলাকা। শহরটি কোন এক দেশে। দেশটি একটা বড় মহাদেশের ছোট অংশ। এরকম আরো সাতটি মহাদেশ রয়েছে একটা গ্রহে। পৃথিবী নামক এই গ্রহটি সূর্য নামক এক বিশাল নক্ষত্রের চারপাশে ঘুরে। এরকম নক্ষত্র রয়েছে অগণিত। যা হলো একটা গ্যালাক্সি। আর এরকম কমপক্ষে একশো হাজার মিলিয়ন গ্যালাক্সি মহাশূন্যে অপার বিস্ময় নিয়ে ভেসে চলেছে। কত বিপুল বিশাল এই বিশ্ব।

এর সব কিছু মানুষ জানে। তবুও কত মানুষ অতি ক্ষুদ্র পিঁপড়ের মতো নিজেকে একটি ছোট ফাটলে বন্দি করে রাখে । পিঁপড়া যেমন তার অনুভূতির সীমিত ঘরে একা চলাচল করে। মানুষও ঠিক তেমনি তার সংকীর্ণ চিন্তায় বন্দি হয়ে থাকে। আল্লাহ যে জ্ঞান, কল্পনা, উদ্ভাবন, হাতিয়ার, কৌশল এবং বুদ্ধি মানুষকে দিয়েছেন এবং যে রহস্যময় মহাবিশ্বের সন্ধান মানুষ পেয়েছে। তবুও অধিকাংশ মানুষ একটা ধূসর শামুক, কচ্ছপ বা পিঁপড়ার মতো একটা ছোট ফাটলে আবদ্ধ হয়ে থাকে তার ঘৃণা, ক্ষোভ, লোভ এবং আত্মকেন্দ্রিকতার কারণে।

আমরা দেখি কিছু মানুষ প্রতিশোধ আর ঘৃণার অন্ধকার দুনিয়ায় আটকে আছে। তারা প্রতিদিন কেবল প্রতিশোধের ভাবনায় ডুবে থাকে এবং তাদের অস্তিত্ব শুধু শত্রুকে আক্রমণ করার পথ খোঁজে। পিঁপড়ার জীবনে যেমন শুধুই এক কণা রুটি। তাদের জীবনেও তেমনি শুধু ঘৃণা, লোভ আর প্রতিহিংসা।

কিন্তু পৃথিবীতো বিশাল এবং অসীম। রাশি রাশি বৃক্ষে প্রতিদিন কত নতুন পত্রপল্লবে শোভিত হয়, কত ফুল প্রস্ফুটিত হয়, কত পাহাড় বেয়ে স্রোতস্বিনী ঝরণা নামে, কত প্রজাপতি তার সুন্দর ডানায় নিজেকে বিকশিত করে, কত বাতাসে সুরের মূর্ছনা জাগে, কত নবাগত শিশু প্রতিদিন পৃথিবীতে জন্ম নেয়। মানুষের ভালোবাসার বিশ্বতো অবিরাম এবং অবাক করার মতো । তাহলে কেন মানুষ নিজেকে ফাটলগুলির মধ্যে বন্দি করে রাখবে? কেন কেবলমাত্র ক্ষোভ আর লালসায় এমন এক অলৌকিক সুন্দর জীবন ফুরিয়ে যাবে? কেন নিজের সংকীর্ণ চিন্তা থেকে বেরিয়ে বৃহত্তর জাতি, মানবতা বা প্রকৃতি ও সৃষ্টির দিকে সে এগিয়ে যাবে না?

মানুষ কি দেখেনা- পৃথিবীতে মিলিয়ন মিলিয়ন বছর ধরে পিঁপড়া পিঁপড়াই রয়ে গেছে, জিরাফ জিরাফই রয়ে গেছে, বাঘ বাঘই রয়ে গেছে। কিন্তু মানুষ তার বিকাশ ঘটিয়েছে। প্রতিদিন মানুষের বিকাশ ঘটে, ঘটছে , ঘটবে। কিন্তু যারা সভ্যতায় সামনের দিকে এগোয়- মানুষ কি তাদের সহযাত্রী না হয়ে শুধু হিংসা আর ঘৃণায় বন্দি হয়ে পিঁপড়ার মতো ছোট ফাটলেই আটকে থাকবে।

মানুষ কি বুঝতে পারেনা- পৃথিবীর সব ঘৃণা মিলে কোনো ফুলের প্রস্ফুটন বন্ধ করে রাখতে পারেনা। মানুষ বড়জোড় কোনো প্রবাহমান নদীতে বাঁধ দিতে পারে, কিন্তু সে আকাশের মেঘকে আটকাতে পারেনা। সংকীর্ণ পৃথিবী থেকে যদি মানুষ একবার বের হয়ে যেতে পারে সে প্রতিদিন আকাশের মেঘ হতে পারে,ভালোবাসার ফল্গুধারায় স্রোতস্বীনি নদী হতে পারে, কারো ভরসার শ্যামল ছায়া হতে পারে, সে প্রতিদিন ফুল হয়ে ফুটতে পারে।

কিন্তু বড় দূর্ভাগ্য দেশ, ভূখণ্ড স্বাধীন হওয়ার পরও কত মানুষ তার চিন্তাকে পরাধীন করে রাখে। লোভ, ঘৃণা আর হিংসার কারণে কত মানুষ পিঁপড়ার মতো এক সংকীর্ণ ফাটলে তার অপার সম্ভাবনাময় একটা জীবন শেষ করে দেয় 🥲 Collected

আমি মানুষ হিসেবে এতোটাই ফ্লেক্সিবল, যে ধরুন আপনার মনে হলো যে আপনি আমার সাথে একটা দূরত্ব তৈরি করতে চান। তাহলে আপনাকে বেশি...
29/12/2024

আমি মানুষ হিসেবে এতোটাই ফ্লেক্সিবল, যে ধরুন আপনার মনে হলো যে আপনি আমার সাথে একটা দূরত্ব তৈরি করতে চান। তাহলে আপনাকে বেশি কিছু করতে হবে না জাস্ট আচরণের মাধ্যমে একটা ইংগিত দিন। একবার জাস্ট আমার মনে হোক, যে আপনি আমাকে ইগনোর করলেন সম্ভবত।
এরপর দেখবেন আপনি নিজেও লাগাতার চেষ্টা করে আমাকে মনে করাতে পারবে না, যে আমি আপনাকে কখনো চিনতাম। আসলেই আমার আর আপনার নাম পরিচয় চেহারা কিছুই মনে থাকবে না।

এখন বড় হয়ে গেছি; মাথার ভেতর আবর্জনা জমাই না।'

উসমানি খিলাফতকালে প্রত্যেক বাড়ির দরজায় দুটো কড়া থাকতো। একটি ছোটো, একটি বড়ো।কোনো নারী দরজায় কড়া নাড়লে ছোটো কড়াটি নাড়তো। এ...
29/12/2024

উসমানি খিলাফতকালে প্রত্যেক বাড়ির দরজায় দুটো কড়া থাকতো। একটি ছোটো, একটি বড়ো।

কোনো নারী দরজায় কড়া নাড়লে ছোটো কড়াটি নাড়তো। এতে আস্তে শব্দ হতো। ভেতরের লোকজন বুঝতে পারতো একজন নারী এসেছে। পরিবারের পুরুষ সদস্য তখন অন্য রুমে চলে যেতো। একজন নারী গিয়ে দরজা খুলে অন্য নারীকে স্বাগত জানাতো।

কোনো পুরুষ আসলে বড়ো কড়াতে নাড়তো। ভেতরের লোকজন বুঝতো একজন পুরুষ আসছে। বাড়ির নারী সদস্যরা অন্য রুমে চলে যেতো৷ একজন পুরুষ গিয়ে দরজা খুলতো।

চিন্তা করা যায়, সেই যুগে একটা বাড়িতে প্রাইভেসির কথা কীভাবে ভাবা হতো!?

কেন পড়বেন বই?বই পড়ে কী লাভ, বিজ্ঞান কী বলে?বই পড়ে কী লাভ—এ প্রশ্ন করলে যিনি বই পড়তে  অভ্যস্ত নন, তিনিও আপনার দিকে বিস্ম...
29/12/2024

কেন পড়বেন বই?
বই পড়ে কী লাভ, বিজ্ঞান কী বলে?
বই পড়ে কী লাভ—এ প্রশ্ন করলে যিনি বই পড়তে অভ্যস্ত নন, তিনিও আপনার দিকে বিস্মিত দৃষ্টিতে তাকাবেন। আসলে বই পড়ার ইতিবাচক দিক এতটাই প্রতিষ্ঠিত একটা ব্যাপার, এটা নিয়ে দ্বিমত করার মানুষ পাওয়া কঠিন।

বই পড়লে জ্ঞান বাড়ে, মান বাড়ে—এটা সত্যি। কিন্তু বই পড়ার উপকারিতা সম্পর্কে বিজ্ঞান কী বলে? সেটা নিয়ে আমরা কি ভেবেছি?

বই পড়ার সবচেয়ে বড় উপকারিতা হলো নিজের তথ্যভাণ্ডার সম্মৃদ্ধ করা।

স্কুলের পাঠবইগুলো যেমন আমাদের বিজ্ঞান, ইতিহাস বা অঙ্ক শেখায়, ঠিক তেমনি গল্পের বই আমাদের কল্পনাশক্তি বাড়ায়। বিজ্ঞান, সাহিত্য, সমাজবিজ্ঞানসহ বিচিত্র সব বই পড়লে নতুন তথ্য জানার পাশাপাশি আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি আরও বিস্তৃত হয়। কানাডার ইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞানী তাঁর দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞাতার প্রেক্ষীতে বলেন, ‘যারা বেশি বেশি গল্প-উপন্যাস পড়েন, অন্যদের মনস্তাত্ত্বিক অবস্থা বোঝা তাঁদের পক্ষে সহজ। এই ব্যাপারটা আমাদের সামাজিক দক্ষতায় উন্নতি ঘটায়।

বই মস্তিষ্ককে সক্রিয় রাখে। এটাকে মস্তিষ্কের এক ধরনের ব্যায়াম বলা যায়। তাই নিয়মিত বই পড়লে মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বাড়ে, চিন্তা করার ক্ষমতা উন্নত হয় এবং স্মৃতিশক্তি শাণিত হয়ে ওঠে। ফলে অনেক বেশি মনোযোগী ও বিশ্লেষণী দক্ষতা বাড়াতে সাহায্য করে বই।

বই মানসিক চাপ কমাতে বড় ভূমিকা রাখে। মজার গল্প বা রোমাঞ্চকর উপন্যাস পড়ার সময় মানুষ সেই গল্পের মধ্যে ডুবে যায়। এটা বাস্তব জীবনের চাপ থেকে মুক্তি দেয়, মনকে প্রশান্ত করে। সুতরাং মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য বই পড়া খুবই উপকারি একটা অভ্যাস।

কানাডার টরেন্টো বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও মনোবিজ্ঞানী কিথ ওকলে সাহিত্য এবং মনস্তাত্ত্বিক প্রভাব নিয়ে দীর্ঘদিন গবেষণা করেছেন।

তাঁর গবেষণা বলছে, উপন্যাস বা গল্পের বই পড়া মানুষের সহানুভূতিশীলতা এবং সংবেদনশীলতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে এবং বাস্তব জীবনে সম্পর্কগুলোকে আরও সুসংহত করতে সহায়ক হয়।’

বই পড়লে বাড়ে কল্পনাশক্তিও। পাঠক গল্পের চরিত্রগুলোকে কল্পনা করতে শেখে, গল্পের দৃশ্যগুলো মনে মনে তৈরি করে ফেলে। এই কল্পনাশক্তেই পারে সেই পাঠকের ভেতর সৃজনশীলতা গড়ে তুলতে সহায়ক হয়।

বই পড়লে নতুন নতুন শব্দের সাথে পরিচিত হয় পাঠক। এতে ভাষাগত দক্ষতা বাড়ে। বিশেষ করে যখন অন্য ভাষার বই পড় হয়, তখন সেই ভাষার নিয়ম-কানুনও আমাদের জানা সহজ হয়।

যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব সাসেক্সের গবেষক এমিলি শ্যুট দেখিয়েছেন, মাত্র ৬ মিনিট বই পড়লে মানসিক চাপ ৬৮ শতাংশ পর্যন্ত কমানো সম্ভব। তিনি বলেন, ‘বই পড়া শুধু মনের প্রশান্তিই দেয় না, এটি আমাদের শারীরিক চাপও কমিয়ে দেয় এবং মস্তিষ্ককে শিথিল রাখে।’

একটি বই শেষ করতে ধৈর্য ও মনোযোগের প্রয়োজন হয়। বই পড়ার অভ্যাস ধীরে ধীরে মানুষের মনের ওপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলে।

বই পড়া ব্যাপরটা নিজের সঙ্গে নিজের সময় কাটানোর সুযোগ করে দেয়। অনেক সময় মানুষ একা একটুখানি সময় কাটাতে চায়। কিন্তু একাকীত্ব আবার একঘেয়েমি ও মানসিকভাবে হমাশগ্রস্ত করে তুলতে পারে। কিন্তু বই পড়লে তেমনটা হয় না কখনো। তাই একাকী মুহূর্তগুলোতে বই ভালো সঙ্গীর ভূমিকা নেয়।

বই পড়ার অভ্যাস জ্ঞান ও বুদ্ধিকে যেমন শাণিত করতে সাহায্য করে, তেমনি ভালো মানুষ হিসেবে গড়ে ওঠার প্রেরণাও বই থেকে পাওয়া যায়। তাই প্রতিদিন একটু হলেও বই পড়ার চেষ্টা করা উচিত।

সূত্র: সায়েন্টিফিক অ্যামেরিকান মাইন্ড!

ভালো লাগলে অবশ্যই শেয়ার করার অনুরোধ রইলো!
ধন্যবাদ! ❤️

শিক্ষা মূলক পোস্ট,,, একবার এক ইঁদুর লক্ষ্য করল যে বাড়িতে ইঁদুর মারার ফাঁদ পাতা রয়েছে। সে খুবই ভয় পেল। ফাঁদটি অকেজো কর...
29/12/2024

শিক্ষা মূলক পোস্ট,,,

একবার এক ইঁদুর লক্ষ্য করল যে বাড়িতে ইঁদুর মারার ফাঁদ পাতা রয়েছে। সে খুবই ভয় পেল। ফাঁদটি অকেজো করার জন্য সে ওই বাড়িতে থাকা মুরগির সাহায্য চাইল। মুরগি ঘটনা শুনে জবাব দিল-
“ ফাঁদটি আমার কোন ক্ষতি করতে পারবেনা। অতএব আমি এখানে কোন সাহায্য করতে পারবনা”।

মুরগির কাছ থেকে এই উত্তর শুনে ইঁদুর খুব দুঃখিত হল এবং ছাগলের কাছে গিয়ে সাহায্য চাইল। ছাগল ফাঁদের কথা শুনে বলল-
“ওই ফাঁদ বড়দের জন্য নয়। আমি এখানে তোমাকে কোন সাহায্য করতে পারবনা”।
ইঁদুর ছাগলের কাছ থেকে একই উত্তর শুনে দুঃখিত হয়ে গরুর কাছে এলো। সব কথা শুনে গরু বলল-
“ইদুরের ফাঁদ আমার মত বড় প্রাণীর কোন ক্ষতিই করতে পারবেনা। যা আমার কোন ক্ষতি করতে পারবেনা- তাতে আমি সাহায্য করতে পারবনা”।

ইঁদুর শেষ পর্যন্ত নিরাশ হয়ে তার ঘরে ফিরে এলো। রাতের বেলা বাড়ির কর্ত্রী অন্ধকারের ভিতর বুঝতে পারলেন যে ফাঁদে কিছু একটা ধরা পরেছে। অন্ধকারে ফাঁদের কাছে হাত দিতেই উনি হাতে কামড় খেলেন এবং দেখলেন ফাঁদে ইঁদুরের বদলে সাপ ধরা পরেছে।

তার চিৎকারে কর্তার ঘুম ভাঙল। তাড়াতাড়ি ডাক্তার ডাকা হল। চিকিৎসা শুরু হয়ে গেল। কিন্তু অবস্থা মোটেই ভালো না। পথ্য হিসেবে ডাক্তার মুরগির সূপ খাওয়াতে বল্লেন। সুপের জন্য কর্তা মুরগিকে জবাই করে দিলেন। অবস্থা আস্তে আস্তে আরও খারাপ হতে লাগলো। দূরদূরান্ত থেকে আরও অনেকে আত্মীয় স্বজন আসতে লাগলো। বাধ্য হয়ে কর্তা ছাগলকে জবাই করলেন তাদের আপ্যায়ন করার জন্য।

আরও ভালো চিকিৎসার জন্য অনেক টাকার দরকার হতে লাগলো। অবশেষে বাড়ির কর্তা তাদের গরুটিকে কসাইখানায় বিক্রি করে দিল। একসময় বাড়ির কর্ত্রী সুস্থ হয়ে উঠল। আর এই সমস্ত কিছু ইঁদুরটি তার ছোট্ট ঘর থেকে পর্যবেক্ষণ করল।

উপদেশঃ কেউ বিপদে সাহায্য চাইলে তাকে সাহায্য করা উচিৎ, হোক সেই বিপদ আপনাকে স্পর্শ করুক বা না করুক। বিপদগ্রস্থকে সাহায্য করা মানুষের নৈতিক দায়িত্ব।

কখনো হার্ট আর ব্রেনের তীব্র যুদ্ধ টের পেয়েছেন ? হার্ট বলছে মেনে নাও , কিন্তু ব্রেন বলছে আর কত মানবে ? হার্ট বলছে একটু না...
29/12/2024

কখনো হার্ট আর ব্রেনের তীব্র যুদ্ধ টের পেয়েছেন ? হার্ট বলছে মেনে নাও , কিন্তু ব্রেন বলছে আর কত মানবে ? হার্ট বলছে একটু না হয় ছোট হলে কিন্তু ব্রেন বলছে অসম্ভব, আত্মসম্মানে ছাড় দেয়া যাবেই না। হার্ট বলছে , ভুলে যাও, ব্রেন বলছে ভুলে ভুলেই কি জীবন যাবে ? হার্ট সমঝোতা করতে চাইছে কিন্তু ব্রেন লড়ে যাচ্ছে হার্টটার সাথে। খুব অসহায় লেগেছে তখন। হয়েছে এমন ?

আচ্ছা কখনো মনে হয়েছে, ওর কি আছে যা আমার নেই ? ও কিভাবে পারে, কেন আমি পারি না ? কিংবা কেন আমি ওর মত হলাম না ? নিজেকে খুব করে গালিগালাজ করেছেন আর ভেবেছেন,
ঈশ! কেন যে করলাম না। আত্মবিশ্বাস ভেঙেছে, খুব ছোট হয়ে গেছেন নিজের কাছে। হয়েছে এমন ?
মানদণ্ডের মাপ কাঠিতে সস্তা গান শুনেছেন কখনো ? ঐ যে সুখী সুখী রিক্সাওয়ালার মোবাইলে যে সব গান থাকে তেমন, ভোজপুরি সিনেমার ভূরি ওয়ালী নায়িকার ভাইরাল হওয়া কোন চরম সেক্সিস্ট গান, শুনেছেন ? এমন কোন ভিডিও ক্লিক করেছেন যেটা আপনার রুচির সাথে যায় না ? কিংবা একান্ত নিজের ফ্যান্টাসি, যা সভ্য সমাজে ছি ছি বলে অভিহিত হয় , এমন করেছেন কখনো ?

এই সব অনুভূতির কোন ক্লাস নেই। শিক্ষিত- অশিক্ষিত , সামাজিক মানদণ্ডের লোয়ার , মিডেল কিংবা আপার ক্লাস , যাই হোক না কেন, সবার মধ্যেই এই সব অনুভূতি এবং অভিজ্ঞতা কম বেশি আছে। এগুলো হল মানুষের ডার্ক সিক্রেট। যদিও শিক্ষা, সভ্য ও ভদ্রতার ফিল্টারে এসব শুধু ব্যক্তিগত সিক্রেট হয়েই থেকে যায়। এবং সেটাই খুব স্বাভাবিক ।

মানুষের একজন খুব আপন জন লাগে কেন জানেন?
কারণ এই যে অনুভূতিগুলো শেয়ার করার জন্য। আপনার যদি এমন কেউ থাকে যার সাথে আপনার ডার্ক সিক্রেট, ব্যর্থতা, হাহাকার , নিজের অপমানগুলো নির্দ্বিধায় শেয়ার করতে পারেন, তবে আপনি অতি আপন জন পেয়েছেন। আপনাকে অভিনন্দন ।

আনন্দের, সাফল্যের, গর্বের, বিজয়ের, ভদ্র, সভ্য, পদোন্নতির ভাগ নেবার মানুষ যে কেউ হতে পারে কিন্তু ডার্ক সিক্রেট জেনেও যে গ্রহণ করে, পাশে থাকে ভালোবাসে, সে অতি আপন জন। দুর্মূল্যের বাজারে বহু জন মেলে, আপন জনও মিলে যায় কিন্তু অতি আপন জন মেলে না । আছে আপনার অতি কিংবা খুব আপন জন ?

শিক্ষক ক্লাসে ঢুকে একটি ছেলেকে জিজ্ঞেস করলেনঃ  তুই বল আমাদের শরীরে ক'টা কিডনি আছে ? ছেলেটি চটজলদি উত্তর দিলঃ চারটে কিডনি...
29/12/2024

শিক্ষক ক্লাসে ঢুকে একটি ছেলেকে জিজ্ঞেস করলেনঃ
তুই বল আমাদের শরীরে ক'টা কিডনি আছে ? ছেলেটি চটজলদি উত্তর দিলঃ
চারটে কিডনি স্যার।
ছাত্রটির উত্তর শুনে ক্লাসের বাকি ছাত্ররা হো হো করে হেসে উঠলো।
শিক্ষক বললেন তোমরা হাসি থামাও।
তারপর অপর একটি ছাত্রকে বললেনঃ
এবার তুই দাঁড়া।
ছাত্রটি জিজ্ঞেস করলঃ
স্যার কটা কিডনি আছে বলব, নাকি বেত আনবো?
শিক্ষক বললেনঃ
না কটা কিডনি আছে বলতে হবে না, বেতও আনতে হবে না, তুই কিছু ঘাস নিয়ে আয়। একদম তাজা ঘাস।
ছাত্রঃ
ঘাস দিয়ে কি হবে স্যার?
শিক্ষকঃ
ক্লাসে একটা গাধা আছে তাকে খাওয়াবো।
এই কথা শুনে আগের ছাত্রটি বললঃ
যাও ঘাস নিয়ে এসো, সেই সঙ্গে এক কাপ কফি ও আনবে।
শিক্ষক রেগে, কফি আনবে কেন, কফি কে খাবে? ছাত্রটির উত্তরঃ
স্যার! কফি খাবো আমি, আর যে গাধা সে ঘাস খাবে।
শিক্ষকঃ
তাহলে গাধাকে ?
ছাত্রঃ
স্যার আপনি জিজ্ঞেস করেছিলেন আমাদের কটা কিডনি আছে ?
আমার আর আপনার মিলিয়ে তো চারটেই কিডনি আছে। তাহলে আমি নিশ্চয়ই গাধা নই। শিক্ষক রেগেঃ
তুই খুব বেশি বুঝিস, যারা বেশি বোঝে পরীক্ষায় তাদের আমি শূন্য দেই। অতএব তুইও একটা নয় দুটো শূন্য পাবি।
ছাত্রটির উত্তরঃ
পরীক্ষায় আমাকে দুটো শূন্য দিলে আপনারই ক্ষতি হবে স্যার! সবাই বলবে আপনার ছাত্র ডাবল গোল্লা পেয়েছে। এতে আপনারই বদনাম হবে, আপনাকে সবাই চেনে, আমাকে তো কেউ চেনে না।

ক্লাসে একটা হাসির রোল উঠলো। পরীক্ষা শেষে ওই শিক্ষক ছাত্রটির খাতায় একটা নোট লিখেছিলেনঃ
তুই প্রতিদিন ক্লাসে যে বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিস এবং বুদ্ধি দিয়ে সবাইকে হাসাস, তাতে আমার বিশ্বাস একদিন আমাকে হয়তো কেউ চিনবে না। তবে তোকে সারা পৃথিবীর মানুষ অবশ্যই চিনবে। আমি তোর জন্য এই খাতায় আশীর্বাদ রেখে গেলাম।
সেদিনের সেই শিক্ষকের আশীর্বাদ পরবর্তীতে সত্যি হয়েছিল। ওই ছাত্রটি ছিলেন চার্লি চাপলিন। যাকে পৃথিবীর প্রায় সব মানুষই চেনে।
ভালো লাগলে শেয়ার দিবেন।

"এক অশ্বারোহীর গল্প- পড়বেন এবং পড়ে দয়া করে  অন্যের সাথে শেয়ার করবেন"। কারণ- গল্প মানুষের জীবনকে দারুণভাবে প্রভাবিত করে "...
29/12/2024

"এক অশ্বারোহীর গল্প- পড়বেন এবং পড়ে দয়া করে অন্যের সাথে শেয়ার করবেন"। কারণ- গল্প মানুষের জীবনকে দারুণভাবে প্রভাবিত করে "।

আরবের এক খ্যাতনামা অশ্বারোহী একবার শিকার শেষ করে বাড়ি ফিরছেন। চারদিকে নির্জন ধু ধু প্রান্তর। অস্তাচলগামী সূর্য। পশ্চিমাকাশ লাল আভায় ছড়িয়ে আছে।

সামনে আরো বেশ কিছু পথ যেতে হবে। তিনি নিজেও ক্লান্ত , তার ঘোড়াটিও ক্লান্ত।
মনে মনে ভাবলেন- দূর্গম পথের ক্লান্তি, অবসাদ ভুলার জন্য এবার একটু বিশ্রাম নেয়া দরকার।
কয়েকটা মরু বৃক্ষ ছাড়া আশেপাশে আর কোনো জনপদ চোখে পড়ছেনা।
তিনি ঘোড়া থেকে নামলেন। মশক থেকে খুব হিসেব করে পানি পান করলেন। ঘোড়াকেও অল্প পান করালেন।
এখানে একবার পানি ফুরিয়ে গেলে বড়ই বিপদ। আশে পাশে আর কোথাও কোনো জলকূপ নেই।

এমন সময় তিনি শুনেন- গোঙানির শব্দ। শব্দ শুনে তিনি খুব ধীর স্থির ভাবে সেদিকে পা বাড়ান।
দেখেন- একটা লোক শুয়ে আছে।
কাছে যেতেই লোকটা বলে- খুবই তৃষ্নার্ত। দয়া করে এক ফোঁটা পানি পান করাতে পারেন।

অশ্বারোহী তার মশক নিয়ে এসে লোকটাকে পানি পান করান।

এরপর জানতে চান- এই নির্জনে আপনি একা। আপনার গৃহ কোথায়। এখানে এভাবে পড়ে আছেন কেন?
লোকটি বলে- কাফেলার সাথে চলতে গিয়ে- আমি কিভাবে যেন ছিটকে পড়েছি। জানিনা আমার সাথীরা এখন কোথায়।

অশ্বারোহী বলেন- আপনি চিন্তা করবেন না। যেখানেই আপনার ঘর হোক, আমি সেখানেই আপনাকে পৌঁছে দেবো।
আপনি ঘোড়ার উপরে ওঠে পড়ুন।
লোকটি বলে- আমি উটের পিটেই চলাফেরা করি। আমার একটা পা পঙ্গু হওয়ায় কোনোদিন ঘোড়ার পিটে চড়তে পারিনি।
আপনি সাহায্য করলে আমার খুবই উপকার হয়।

অশ্বারোহী লোকটিকে ওঠে দাঁড়াতে সাহায্য করেন। তারপর বলেন- আপনি আগে ঘোড়ার পিঠে ওঠুন।

লোকটি ঘোড়ার পিঠে ওঠেই চোখের পলকে এমন দ্রুতবেগে ঘোড়া ছুটাতে শুরু করে- অশ্বারোহী একেবারেই অবাক হয়ে যান।
তিনি যে জায়গায় দাঁড়িয়ে ছিলেন ঠিক সে জায়গায় স্থির দাঁড়িয়ে থেকে ভাবছেন- এটা কি হলো?
সম্বিৎ ফিরে পেতেই অশ্বারোহী চীৎকার করে ডেকে বলছেন-

ওভাই, একটু দাঁড়ান। আপনি আমার ঘোড়া , আমার শিকার সব নিয়ে যাবেন, যান। কিন্তু যাওয়ার আগে শুধু আমার একটু কথা শুনে যান।
লোকটি ছুটন্ত ঘোড়ার গতি একটু কমায়। তারপর বলে- বলুন। যা বলার তাড়াতাড়ি বলুন।

অশ্বারোহী বলেন- দয়া করে এই ঘটনাটি আপনি কাউকে বলবেন না।

লোকটি বলে- কেন বলবো না। এতো বিখ্যাত একজন অশ্বারোহীর অশ্ব বোকামীর জন্য খোয়া গেছে- এটা জানলে মানুষ আপনাকে নিয়ে হাসাহাসি করবে।আপনার এতোদিনের খ্যাতি নষ্ট হয়ে যাবে। আপনি চান না, আপনার খ্যাতি, বীরত্ব নষ্ট হয়ে যাক তাই না?

অশ্বারোহী বলেন- না সেটা না।

এক মানুষের বিপদে আরেক মানুষ সাহায্য করবে এটাইতো স্বাভাবিক। মানুষ সাবধান হোক এটা ঠিক আছে। কিন্তু চাইনা মানুষের প্রতি মানুষের বিশ্বাসে ফাটল ধরুক।

হিমালয়ের সমস্ত তুষার গলে যাক, সমূদ্র শুকিয়ে যাক, রাতের তারা গুলোও হারিয়ে যাক। কিন্তু শুধু চাইনা যে মানুষকে মহান সৃষ্টিকর্তা এতো সম্মান আর মর্যাদা দিয়েছেন - সেই মানুষের উপর মানুষের বিশ্বাসটুকু নষ্ট হয়ে যাক।

Unknown

হিংসা একটি মানবিক অনুভূতি, যা সাধারণত মানুষ অন্যের সফলতা, ক্ষমতা বা সম্পদ দেখে অনুভব করে। যদি আপনি মনে করেন কেউ আপনাকে ন...
28/12/2024

হিংসা একটি মানবিক অনুভূতি, যা সাধারণত মানুষ অন্যের সফলতা, ক্ষমতা বা সম্পদ দেখে অনুভব করে। যদি আপনি মনে করেন কেউ আপনাকে নিয়ে হিংসে করে, তবে তারা হয়তো আপনার সফলতা, মেধা, অথবা বিশেষ কোনো গুণের প্রতি ঈর্ষা অনুভব করছে। এমন পরিস্থিতিতে, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল নিজেকে শান্ত রাখা এবং বুঝতে চেষ্টা করা যে, তাদের হিংসা আপনার অর্জন বা গুণের ওপর নির্ভর করে, তাদের নিজস্ব সমস্যাগুলোর ফলস্বরূপ।

আপনার চারপাশে যদি এমন মানুষ থাকে যারা আপনার ভালো বা সফলতা দেখে ঈর্ষান্বিত হয়, তাদের থেকে দূরে থাকা বা তাদের আচরণকে উপেক্ষা করা সবচেয়ে ভালো। জীবনে আপনার পথচলা ধরে রাখুন এবং নিজেকে প্রমাণ করুন, কারণ যারা আপনাকে হিংসে করে তারা আপনার জীবনে বাধা নয়, বরং আপনার শক্তি।
-Shahabuddin Hridoy

পৃথিবীর শেষ দিনগুলোর কাব্যিক যাত্রা:৫ থেকে ৭ বিলিয়ন বছর পর:সূর্য তখন ক্লান্ত এক বৃদ্ধ, তার তারুণ্যের তেজ আর নেই। নিজের ...
28/12/2024

পৃথিবীর শেষ দিনগুলোর কাব্যিক যাত্রা:

৫ থেকে ৭ বিলিয়ন বছর পর:
সূর্য তখন ক্লান্ত এক বৃদ্ধ, তার তারুণ্যের তেজ আর নেই। নিজের অন্তরের আগুন নিঃশেষ করতে করতে সে ফুলে ফেঁপে ওঠে, এক বিশাল রেড জায়ান্টে পরিণত হয়। তার দেহের সীমা এখন ২৫৬ গুণ বড়, যেন তার জীবনের শেষ অধ্যায়টি লেখা হচ্ছে মহাজাগতিক ক্যানভাসে।

৫ মিলিয়ন বছর পরে:
রেড জায়ান্টের লাল দীপ্তি ধীরে ধীরে সৌরজগতের অন্তঃস্থল গ্রাস করতে থাকে। বুধ ও শুক্র প্রথমে তার মহাকালের আহ্বানে সাড়া দেয়। যেন এক মহাজাগতিক যজ্ঞে তারা নিজেদের উৎসর্গ করে। পৃথিবী তখনও দাঁড়িয়ে, কিন্তু তার হৃদয়ে এক ভয়ংকর শূন্যতা।

চরম তাপে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের কার্বন পুনরায় পূরণ হতে পারে না। গাছেরা একে একে নিঃশেষ হয়ে যায়, যেন সবুজ কাব্যের পাতা ফুরিয়ে যাচ্ছে। অক্সিজেনের অভাবে স্তন্যপায়ী প্রাণী আর পাখিরা নিঃশ্বাস ফেলার লড়াইয়ে হেরে যায়। কম অক্সিজেনের প্রয়োজনীয় কিছু প্রাণী হয়তো কিছুদিন ধরে বাঁচে, কিন্তু তাদের সময়ও সীমিত।

পৃথিবীর শেষ প্রাণীরা:
তাপ বাড়তে থাকে, কীটপতঙ্গরা একে একে বিলুপ্ত হয়। বেঁচে থাকে শুধু ক্ষুদ্র জীব, মাইক্রোব এবং সাহসী টার্ডিগ্রেড। তারা যেন প্রকৃতির শেষ গান। কিন্তু এমন গান কতক্ষণ শোনা যায়?

তাপ ২,৪০০ কেলভিন ছাড়িয়ে যায়। বাতাস উড়ে যায় মহাশূন্যে। পৃথিবীর পৃষ্ঠ তখন ধাতু আর ধাতব অক্সাইডে মোড়া, যেন এক মৃত সৈনিকের বর্ম।

৭.৬ বিলিয়ন বছর পরে:
পৃথিবী আর চাঁদ রেড জায়ান্টের উষ্ণ আলিঙ্গনে হারিয়ে যায়। কিন্তু মহাবিশ্ব থেমে থাকে না। রেড জায়ান্টের প্রসারণে সৌরজগতের বাইরে নতুন সম্ভাবনার জন্ম হয়। কুইপার বেল্টে বরফ গলে, নেপচুনের চাঁদ ট্রাইটন আর বামন গ্রহ এরিস আমাদের নতুন ঠিকানা হতে পারে। মানুষের কল্পনা তখন মহাকাশে নতুন কাব্যের জন্ম দেবে।

শেষ অধ্যায়:
সূর্য তার শেষ আলো ফেলে প্ল্যানেটারি নেবুলায় রূপ নেয়। নতুন আকাশে রঙিন মেঘের সৌন্দর্য, যেন সৃষ্টির শেষ শিল্পকর্ম। এরপর সূর্য সঙ্কুচিত হয়ে এক শান্ত হোয়াইট ডোয়ার্ফে রূপান্তরিত হয়। একসময় এটি ঠান্ডা, অন্ধকার ব্ল্যাক ডোয়ার্ফে পরিণত হবে।

তখন আর পৃথিবীর স্মৃতিও থাকবে না, থাকবে শুধু মহাবিশ্বের এক লম্বা, নির্জন রাত। কিন্তু মানবতার কাব্যিক চেতনা, যা একসময় পৃথিবীকে বাসযোগ্য করেছিল, হয়তো মহাকাশে কোথাও রয়ে যাবে—নক্ষত্রের ধুলোর ভেতরে, এক নিঃশব্দ সুরের মতো।

জীবনে প্রচুর টাকা উপার্জন করা উচিত। এতটাই উপার্জন করা উচিত যাতে পৃথিবীর যেকোনো জায়গায় যখন ইচ্ছে ভ্রমনে যেতে পারি, যখন ইচ...
28/12/2024

জীবনে প্রচুর টাকা উপার্জন করা উচিত। এতটাই উপার্জন করা উচিত যাতে পৃথিবীর যেকোনো জায়গায় যখন ইচ্ছে ভ্রমনে যেতে পারি, যখন ইচ্ছে যেকোনো হোটেলে থাকতে পারি সেটা যত দামি, যত লাক্সরি হোকনা কেনো। যেকোনো ভালো রেস্টুরেন্ট গিয়ে খেতে পারি।ইচ্ছে হলে পাহাড়ে বাড়ি বানাতে পারি, আরো অনেক অনেক কিছু।
আপনি কি জানেন,বন্ধুবান্ধব আত্মীয়স্বজন এরাও আপনাকে পাত্তা দেবে না পকেটে টাকা না থাকলে। ভালো হাসপাতালেও ভর্তি হতে গেলেও শুধু ইন্সুরেন্স এর ভরসা করলে হবে না, টাকা দরকার। ভালো উপার্জন না থাকলে পৃথিবীর সমস্তকিছু আঙ্গুর ফল টক মনে হবে। যেসব বন্ধুবান্ধব আত্মীয়স্বজন বলবে জীবনে টাকা উপার্জনটাই সব নয়, তারাই দেখবেন সবচেয়ে আগে পালাবে যখন আপনার টাকার দরকার হবে। তাই টাকা উপার্জন করি আমি আর আনন্দও করি কারণ এইটাও জানি যতই উপার্জন করি সেইটা একদিন আমাকে পৃথিবীতে রেখেই যেতে হবে। টাকা উপার্জন করলাম আর জীবনে কঞ্জুষদের মতো বাঁচলাম, অর্থ জমিয়েই গেলাম, ইনভেস্টমেন্ট করেই গেলাম আর একদিন পৃথিবী থেকে সবকিছু রেখে চলেই গেলাম এই ধরণের মানসিকতা আমার নেই। আমি বুঝি প্রচুর অর্থ উপার্জন করবো আর জীবনের কোনো শখ বাকি রাখবোনা। কারণ আমি মনে করি পৃথিবীতে এসেছি কিছুদিনের ভ্রমণে, কোনো কিছুই আমার নয় কিন্তু মুহুর্তগুলো শুধু আমার। মুহূর্তগুলোই উপভোগ করার নাম জীবন।কারণ আমার সখগুলোও দামি আর সেইটা পূরণ করতে গেলে প্রচুর টাকা দরকার। Collected

একটি বড় দালান বাড়ি।বাড়ির আঙিনায় বেশ কিছু গাছ।  অট্টালিকা,র এ শহরে পাখি গুলোর ঠাই যেন ছিলো ওই গাছ গুলোই। সকাল -সন্ধ্যেবাড়...
28/12/2024

একটি বড় দালান বাড়ি।
বাড়ির আঙিনায় বেশ কিছু গাছ। অট্টালিকা,র এ শহরে পাখি গুলোর ঠাই যেন ছিলো ওই গাছ গুলোই। সকাল -সন্ধ্যে
বাড়ির পাশ দিয়ে গেলেই পাখিদের শোর- গোল, কিচির - মিচির মন মুগ্ধ কর সেই দৃশ্য। এ যেন জমিনের বুকে একটুকরো স্বর্গ।
এখন আর গাছ গুলো নেই। নেই সেই মনমুগ্ধ কর সেই পাখিদের গান। নিস্তব্ধ এক নিরবতা আজ সেই পথে।

বলি আমি তো কেবল এক পথিক ছিলাম। কেবল সেই রাস্তায় চলাচল করতাম।

সৃষ্টি অমূল্য দান হলো গাছ। তারা কি জানে না? পৃথিবীতে গাছের অস্তিত্ব আছে বলেই জীবের অস্তিত্ব টিকে...

 #তুর্কীরা তাদের সন্তানদের "সিংহ-বাঘ" এর পরিবর্তে নেকড়ের সাথে তুলনা করে থাকে কারণ,,,,🍇নেকড়েকে আরবিতে "ইবনে আল-বার" বলা...
28/12/2024

#তুর্কীরা তাদের সন্তানদের "সিংহ-বাঘ" এর পরিবর্তে নেকড়ের সাথে তুলনা করে থাকে কারণ,,,,

🍇নেকড়েকে আরবিতে "ইবনে আল-বার" বলা হয় যার অর্থ "ভাল ছেলে" কারণ যখন তার বাবা-মা বৃদ্ধ হয়, তখন তারা তাদের জন্য শিকার করে এবং তাদের যত্ন নেয়।

🍇নেকড়ে" কখন ও তার স্বাধীনতার সাথে আপোষ করে না এবং কারও দাস হয় না, যখন সিংহ সহ প্রতিটি প্রাণীকে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে বশ করা যায়, কিন্তু নেকড়েকে করা যায়না ।

🍇নেকড়ে কখনও মৃত খাবার খায় না।

🍇পুরুষ নেকড়ে মহিলা নেকড়ের দিকে তাকায় না। তারা এত বিশ্বস্ত যে পুরুষ নেকড়ে তার একমাত্র স্ত্রী নেকড়ে ব্যতিত অন্য কারো সাথে সম্পর্ক করেনা এবং স্ত্রী নেকড়েও তার অংশীদার নেকড়ের অনুগত থাকে,,,,।

বিদেশের এক ব্যাংকে লুট করার সময় ডাকাত দলের সর্দার পিস্তল উঁচিয়ে সবার উদ্দেশ্যে বলল, কেউ কোনোরকম নড়াচড়া করবেন না। টাকা গ...
28/12/2024

বিদেশের এক ব্যাংকে লুট করার সময় ডাকাত দলের সর্দার পিস্তল উঁচিয়ে সবার উদ্দেশ্যে বলল, কেউ কোনোরকম নড়াচড়া করবেন না। টাকা গেলে যাবে ব্যাংকের, কিন্তু জীবন গেলে যাবে আপনার। আর তাই ভাবনাচিন্তা করে সিদ্ধান্ত নিন আপনি কি করবেন।

এই কথা শোনার পর সবাই চুপচাপ হাত উঁচু করে সারেন্ডারের ভঙ্গিতে দাঁড়িয়ে রইল। এই ব্যাপারটাকে বলে "Mind Changing Concept" অর্থাৎ মানুষের ব্রেনকে আপনার সুবিধা অনুযায়ী অন্যদিকে ঘুরিয়ে দেওয়া।

ব্যাংকের গ্রাহকদের মধ্যে একজন সুন্দরী মহিলা ছিল। সবাই যখন স্ট্যাচুর মতো দাঁড়িয়ে আছে, তখন এক দুশ্চরিত্র ডাকাত সুন্দরী মহিলাটির দিকে বারবার লোলুপ দৃষ্টিতে তাকাচ্ছিল। এটা দেখে ডাকাত দলের সর্দার চিৎকার করে বলে উঠল, নিজের কাজে মন দাও। আমরা এখানে ব্যাংক ডাকাতি করতে এসেছি, অন্য কিছু না!
এই ব্যাপারটাকে বলে "Being Professional" অর্থাৎ আপনি যেটা করতে এসেছেন, সেটাই করবেন। যতই প্রলোভন থাকুক অন্যদিকে মনোযোগ দেওয়া যাবে না।

যখন ডাকাত দল লুন্ঠন করে তাদের আস্তানায় ফিরে গেল, তখন সর্দারকে (যে ক্লাস ফাইভ পর্যন্ত পড়াশোনা করেছে) এক অল্পবয়স্ক ডাকাত (এমবিএ পাশ করা) বলল, বস, চলেন ডলারগুলো গুনে ফেলি।
সর্দার মুচকি হেসে বলল, তার কোনোই প্রয়োজন নেই, কেননা একটু পরে টিভি ছাড়লে নিউজ চ্যানেলগুলোই বলে দেবে আমরা কত টাকা ডাকাতি করেছি।
এই ব্যাপারটাকে বলে "Experience" বা অভিজ্ঞতা যা গতানুগতিক সার্টিফিকেটের বাইরে গিয়েও কাজ করে।

ডাকাতরা চলে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ব্যাংকের এক কর্মচারী ছুটে এসে ম্যানেজারকে বলল, স্যার, তাড়াতাড়ি চলুন পুলিশকে ফোন করি। ওরা বেশিদূর যেতে পারেনি। এখনই খবর দিলে ধরা পড়ে যাবে।
ব্যাংক ম্যানেজার কর্মচারীকে থামিয়ে দিয়ে বলল, চুপ করে বসে থাকো। আমাদের সুবিধার জন্যই ওই ২০ মিলিয়ন ডলার নিয়ে ডাকত দলকে পালিয়ে যেতে দেওয়া উচিত। তাহলে আমরা যে ৭০ মিলিয়ন ডলার গরমিল করেছি, তা এই ডাকাতির নামে চালিয়ে দেওয়া যাবে।
এই ব্যাপারটাকে বলে "Swim with the tide" অর্থাৎ নিজের বিপদকেও বুদ্ধি দিয়ে নিজের সুবিধা হিসেবে ব্যবহার করা।

কিছু সময় পরেই, টিভিতে রিপোর্ট আসলো, ব্যাংক ডাকাতিতে ১০০ মিলিয়ন ডলার লোপাট। ডাকাতরা সেই রিপোর্ট দেখে বারবার গুনেও ডলার ২০ মিলিয়নেরর বেশি বাড়াতে পারল না। ডাকাত দলের সর্দার রাগে গরগর করতে করতে বলল, আমরা আমাদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে, এত কষ্ট করে মাত্র ২০ মিলিয়ন ডলার পেলাম আর ব্যাংক ম্যানেজার শুধুমাত্র এক কলমের খোঁচাতেই ৮০ মিলিয়ন সরিয়ে ফেলল। চোরডাকাত না হয়ে পড়াশোনা করলেই তো বেশি লাভ হত।
এই ব্যাপারটাকে বলে "Knowledge is worth as much as gold" অর্থাৎ অসির চেয়ে মসি বড়।

ব্যাংক ম্যনেজার মন খুলে হাসছে, কেননা তার লাভ ৮০ মিলিয়ন ডলার। ৭০ মিলিয়ন গরমিল করার পরও সে আরো ১০ মিলিয়ন ডলার এই সুযোগে তার নিজের পকেটে ঢুকিয়ে ফেলেছে। এই ব্যাপারটাকে বলে "Seizing the opportunity daring to take risks" অর্থাৎ সুযোগ থাকলে তাকে কাজে লাগানোই উচিত!

কয়েকদিন পর পত্রিকায় নিউজ হলো, ২০ মিলিয়ন ডলার সহ ডাকাত দল গ্রেপ্তার।
এর কিছুদিন বাদে আবার খবর বেরোল, ব্যাংকের ৮০ মিলিয়ন ডলার আত্মসাতের ঘটনায় জালিয়াত চক্রের মূল হোতা ওই ব্যাংকেরই ম্যানেজার।
সর্বশেষ সংবাদ অনুযায়ী, ডাকাত দল, ব্যাংকের ম্যানেজার এবং জালিয়াত চক্রের অন্যান্য সদস্যরা হাজতবাস করছে। একে বলে "The result of bad deeds is never good" অর্থাৎ খারাপ কাজের ফল কখনো শুভ হয় না।

যখন আমি খু-উ-ব ভালো বই পড়ি আমার মনের মতো তখন আমি এক অজানা ভালো লাগায় ডুবতে থাকি। আমি একনিঃশ্বাসে , একনাগাড়ে পড়ে ফেলতে চা...
28/12/2024

যখন আমি খু-উ-ব ভালো বই পড়ি আমার মনের মতো তখন আমি এক অজানা ভালো লাগায় ডুবতে থাকি। আমি একনিঃশ্বাসে , একনাগাড়ে পড়ে ফেলতে চাইনা। ভাললাগাগুলো খুব তাড়িয়ে তাড়িয়ে উপভোগ করি । পছন্দের জায়গাগুলি বারবার পড়ি। একবার, দুইবার, তিনবার আমার মনটা একটা অজানা ভাললাগায় ভরে যায়। আর সেই মুহূর্তে লেখকের সৃষ্টির কাছে আমি বারবার নতজানু হই। প্রতিটি অক্ষরের ভাললাগাগুলি ছড়িয়ে পড়ে আমার ভিতর।

ভাললাগাগুলি আমাকে একসময় অবশ করে দেয় । আমি শুধু মুগ্ধ হই আর অবিস্মরণীয় অনুভূতিগুলি ধরে রাখি অনেক সময় ধরে। প্রতিটি অক্ষরগুলিকে আমি ছুঁয়ে ছুঁয়ে যাই পরম মমতায়। ভালবেসে শব্দের গভীরে তলিয়ে যাই। হারাতে থাকি বইয়ের পাতায় পাতায়।

এক একটা সময় ছিল একনিঃশ্বাসে সময়ের সাথে বাজি ধরে বই পড়ে রেখে দিতাম। উদ্দেশ্য ছিল কত কম সময়ে পাতার পর পাতা শেষ করা যায়। যাকে বলে গোগ্রাসে গিলা বুঝে না বুঝে । আর এখন সময়ের সাথে সাথে বই পড়ার ধরণটাও আমার কিভাবে যেন পাল্টে গেছে।

সময়ের সাথে সাথে অনেক কিছু পালটে যায়। আমিও হয়তো পাল্টে যাচ্ছি । কিন্তু আমি পাল্টাতে চাই না । আমি পাল্টে গেলে আমি নিজে অনেক কষ্ট পাবো। সব কিছু পাল্টাতে নেই।

যদিও কেউ কেউ সারাক্ষণ ই ইন্ধন দেয় আমাকে পাল্টে যেতে। জীবনের বৈচিত্রতা খুঁজতে। এই না পাল্টানো টাই আমি। যারা প্রতিনিয়ত বদলায় তাদের শিকড় গজায় না।

"এই মানুষটি কোনো ভিক্ষুক বা ভবঘুরে নন"তিনি লিও টলস্টয়—বিশ্বসাহিত্যের এক মহান নাম। রাশিয়ার এই মহান ঔপন্যাসিক এবং দার্শন...
28/12/2024

"এই মানুষটি কোনো ভিক্ষুক বা ভবঘুরে নন"
তিনি লিও টলস্টয়—বিশ্বসাহিত্যের এক মহান নাম। রাশিয়ার এই মহান ঔপন্যাসিক এবং দার্শনিকের লেখা উপন্যাস *"War and Peace"* এবং *"Anna Karenina"* আজও সাহিত্যের শ্রেষ্ঠ কীর্তিগুলোর অন্যতম বলে বিবেচিত। বাস্তববাদী সাহিত্যের একজন অগ্রগণ্য পথিকৃৎ হিসেবে তার অবদান অপরিসীম।

তবে শুধু সাহিত্যিক প্রতিভার জন্যই নয়, টলস্টয় স্মরণীয় তার জীবনের দর্শন এবং মানবতার প্রতি অগাধ ভালোবাসার জন্য। ধনসম্পদ, আরাম-আয়েশের জীবন, সবকিছু তিনি ত্যাগ করেছিলেন। তার বিশ্বাস ছিল, গৃহহীনদের জন্য আশ্রয় এবং ক্ষুধার্তদের জন্য খাবার নিশ্চিত করাই মানবতার প্রকৃত সেবা। তার জীবন ছিল এক জীবন্ত উদাহরণ যে, প্রকৃত সুখ খুঁজে পাওয়া যায় ত্যাগের মধ্য দিয়ে।

লিও টলস্টয় ১৮২৮ সালের ৯ই সেপ্টেম্বর রাশিয়ার এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। কিন্তু বিলাসী জীবন তাকে কখনো টানেনি। বরং জীবনের গভীর অর্থ খুঁজে পাওয়ার তাগিদে তিনি আত্মনিবেদন করেছিলেন সাহিত্য, দর্শন, এবং মানুষের কল্যাণে। ১৯১০ সালের ২০শে নভেম্বর তিনি পরলোকগমন করেন। কিন্তু তার রচনা এবং আদর্শ আজও মানুষের মননে অমর হয়ে আছে।

টলস্টয়ের লেখা শুধু কাহিনি নয়; তার রচনাগুলোতে নৈতিকতা, ন্যায়বোধ, এবং মানবিকতার গভীর প্রশ্ন উঠে এসেছে। মানুষ কিভাবে নিজের জীবনের সীমাবদ্ধতাকে অতিক্রম করে বৃহত্তর কল্যাণে আত্মনিয়োগ করতে পারে, তার প্রতিফলন দেখা যায় তার রচনায়।

তার কিছু বিখ্যাত উক্তি আজও আমাদের প্রেরণা জোগায়:
-“তোমার ধর্ম সম্পর্কে আমাকে কিছু বলার দরকার নেই; তোমার কাজের মধ্যে তা আমি দেখতে চাই।”
- “যদি তুমি নিজের কষ্ট অনুভব করো, তবে তুমি জীবিত। কিন্তু যদি তুমি অন্যের কষ্ট অনুভব করো, তবে তুমি প্রকৃত মানুষ।”

টলস্টয়ের প্রভাব শুধুমাত্র সাহিত্য জগতে সীমাবদ্ধ ছিল না। তিনি ছিলেন একজন সমাজ সংস্কারক এবং দার্শনিক। তার অহিংস প্রতিরোধের দর্শন এবং সরল জীবনের আদর্শ মহাত্মা গান্ধী ও মার্টিন লুথার কিং জুনিয়রের মতো নেতাদের গভীরভাবে প্রভাবিত করেছিল। গান্ধী নিজেই একাধিকবার বলেছেন, টলস্টয়ের আদর্শ তার জীবনে এক বিশেষ ভূমিকা রেখেছে।

টলস্টয়ের জীবন ও কাজ আমাদের শেখায় যে মানবতার জন্য নিজের জীবনকে উৎসর্গ করা কতটা মহৎ। তিনি দেখিয়েছেন, জীবনের প্রকৃত সার্থকতা পাওয়া যায় অন্যের জন্য কিছু করার মাধ্যমে। টলস্টয় শুধু একজন সাহিত্যিক নন তিনি মানবতার একজন পথপ্রদর্শক।

"সংগৃহীত"

মেন্টালি স্ট্রং হতে চাইলে অযাচিত আগ্রহ কমিয়ে দিন।মেপে চলুন। কেউ যদি বলে 'বেশি কথা বলে, তবে তার সাথে কথা বলা কমিয়ে দিন।...
28/12/2024

মেন্টালি স্ট্রং হতে চাইলে অযাচিত আগ্রহ কমিয়ে দিন।মেপে চলুন। কেউ যদি বলে 'বেশি কথা বলে, তবে তার সাথে কথা বলা কমিয়ে দিন। যখন বুঝবেন আপনার সব অভিযোগ আপনার বিপরীতেই যাবে, আপনার কথা অন্যের কাছে কেবলমাত্র শব্দ দূষণ তখন শুধু শুনুন। বলতে চাইবেন না। কথা বলতে চাওয়া , দেখা করতে চাওয়ার যে তেষ্টা, তা একবার পার করে ফেললেই জীবনটা অনেক অন্যরকম হয়ে যায়। ভয়ঙ্কর কথা বলার ইচ্ছেরা গলাকে আঁকড়ে ধরে না।

একসাথে পথ চলার ইচ্ছের দায় যে আপনার একার নয় এটা বুঝে গেলেই ঘ্যানঘেনে ভাবটা চলে যাবে।

"তাকে ভালোবাসি কিন্ত একসাথে যাপন চাই না" কারো প্রতি এইরকমভাবে আগ্রহ চলে যাবার মতো কঠিন আর কিছু নেই। আগ্রহ চলে গেলেই..."হলেই হলো" এমন একটা ভাব নিয়ে দিব্য ঘুরে বেড়ানো যায়। কে কি বলল, কে কি ভাবলো এগুলো নিয়ে বিরাট রকমের মাথাব্যথা আর হয় না। মনে হয়, যে যেটা জানে জানুক, সমস্যা নেই। কেউ আমার লাইফটা লিড করছে না।

অন্যের কাছে গুড ভাইভস্ বজায় রাখার জন্য মানুষ অনেক কিছু হারিয়ে ফেলে। এমনকি গুড ভাইভস্ বজায় রাখতে রাখতে অনেকে মাঝবয়সে এসে জীবন অবধি হারিয়ে ফেলে।
আর যারা জীবন হারায়নি, তারা নিজেকে গুছিয়ে নেবার অদম্য প্রয়াস করতে করতে হাঁপিয়ে গিয়েও হাল ছাড়েনা।
নিজের মধ্যে প্রচন্ড পজিটিভিটি আনতে আনতে একটা সময় টের পাবেন আপনার চারপাশটা নেগেটিভিটিতে ভরে গেছে। পজেটিভ মানুষ যেমন দেখতে সুন্দর তেমনই তার স্ট্রাগেল বেশি।
"অনুভূতি দিয়ে কিছু হয় না। মনের ভাব প্রকাশের জন্য শব্দ প্রয়োজন, বাক্য প্রয়োজন।" ছোটোবেলার পড়া এই সহজ ব্যাকরণ টা এইবারে আয়ত্ব করে নিন। ঝগড়াঝাটির স্কিলটা নিজে থেকেই কমিয়ে দিন। শব্দ-বাক্যের ঘনঘটা কমে আসলে মন খারাপগুলো থিঁতিয়ে যায়।

নিজের কাছে পরাজিত হয়ে আবার উঠে দাঁড়াতে পারলে দেখবেন এই উঠে দাঁড়ানোটা ভয়ঙ্কর শক্ত । এর মধ্যে ছিঁটেফোঁটা বাড়তি ইমোশন থাকবে না।
যেখানে আপনি গুরুত্ব পাচ্ছেন না সেখান থেকে চুপচাপ সরে আসুন। ঈগলের মতো সাহস করে সম্পর্কের সুতো গুলো এক এক করে নিজেই ছিঁড়ে ফেলুন। কোনো মেকি বাঁধন রাখবেন না। যে কাজটা করতে যাচ্ছেন তাতে সবচেয়ে বেশি কষ্ট পাবেন জেনেও করুন একটা সুন্দর ভবিষ্যতের দায়ে। নিজের শান্তি বজায় রাখার জন্য একপ্রকার মরিয়া হয়ে উঠুন।

আপনি জানেন একদিন সব ঠিক হয়ে যাবে তবু আপনার রিক্সায় বসে হঠাৎ চোখে পানি চলে আসবে। আপনি জানেন একদিন সব ঠিক হয়ে যাবে তবুঘুম ...
28/12/2024

আপনি জানেন একদিন সব ঠিক হয়ে যাবে তবু আপনার রিক্সায় বসে হঠাৎ চোখে পানি চলে আসবে।

আপনি জানেন একদিন সব ঠিক হয়ে যাবে তবু
ঘুম ভেঙে আপনার মনে হবে একটা রিভলবার মাথার পাশে থাকলে নিজের মাথায়ই একটা গুলি করা যেত।

আপনি জানেন একদিন সব ঠিক হয়ে যাবে তবু
খুব পছন্দের একটা গান শুনতে শুনতে সবচেয়ে প্রিয় লাইনটায় এসে আপনি গানটা পাল্টে দেবেন।

আপনি জানেন একদিন সব ঠিক হয়ে যাবে তবু
বৃষ্টি পড়লেই আপনার বুকের ভেতরটা অদ্ভুত রকম ফাঁপা হয়ে যাবে।

আপনি জানেন একদিন সব ঠিক হয়ে যাবে তবু
মাঝরাতে হঠাৎ ঘুম ভেঙে দেখবেন বালিশ ভিজে গেছে দুঃস্বপ্ন দেখে ফুঁপিয়ে কাঁদার সময়।

আপনি জানেন একদিন সব ঠিক হয়ে যাবে তবু
আপনি আর কোনোদিন কাউকে ক্ষমা করতে পারবেন না। ভালোবাসতে পারবেন না। কারো নির্ভয় আশ্রয় হতে পারবেন না৷

একদিন আসলেই সব ঠিক হয়ে যাবে।
একদিন আর কান্না পাবে না, অসহায় লাগবে না, হাহাকার জাগবে না৷ সেইদিন হাতে থাকা কাপ কিংবা গ্লাসের কফি কিংবা রেড ওয়াইনে চুমুক দিতে গিয়ে আপনার মনে হবে একদিন সব ঠিক হওয়ার কথাই ছিল, শুধু মাঝখান থেকে অসংখ্য সুখ হারিয়ে গেছে।
এবং আপনি সেদিনও ভীষণ অবাক হবেন এটা ভেবেই যে, যে মানুষগুলো আপনার সাথে চরম অন্যায় করে গেছে দিনের পর দিন তাদের মধ্যে বিন্দুমাত্র অনুশোচনা নেই। তারা ভালো আছে, ভালো ছিল, ভালোই থাকবে। মাঝখান থেকে মানুষের জীবন হারাতে হারাতে আপনি একটা দানব হয়ে গেছেন।

Address

Uttara Division, Bangladesh
Dhaka
1230

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Shahabuddin Hridoy posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Shahabuddin Hridoy:

Videos

Share