online Qoran Islamic

online Qoran Islamic অনলাইন কোরআন শিক্ষা ও ইসলামিক শিক্ষা সামাজিক খবর পার্সোনাল ব্লক

30/09/2024

সাবধান হন

30/09/2024

আপনি কি জানেন?
হাদিসে মিথ্যা বলা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ, এমনকি কাউকে হাসানোর উদ্দেশ্যে হলেও। হাদিসে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন:

"ধ্বংস তাদের জন্য, যারা মানুষকে হাসানোর উদ্দেশ্যে মিথ্যা বলে। ধ্বংস তাদের জন্য, ধ্বংস তাদের জন্য।"
(সুনান আত-তিরমিজি: ২৩১৫)

এই হাদিসে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে যে, কাউকে হাসানোর জন্য বা মজা করার উদ্দেশ্যে মিথ্যা বলাও গুনাহ হিসেবে গণ্য হয়। ইসলামে সততা ও সত্যবাদিতা খুবই গুরুত্বপূর্ন।

30/09/2024

ইসলামে দাওয়াত প্রচার করা সদকায়ে জারিয়া বা চিরস্থায়ী সদকার অংশ হিসেবে গণ্য হতে পারে, যদি সেই দাওয়াতের মাধ্যমে মানুষ সঠিক পথে আসে এবং সেই জ্ঞান থেকে উপকৃত হয়। যখন কেউ ইসলামের শিক্ষা বা ভালো কাজের প্রতি আহ্বান জানায়, এবং সেই শিক্ষা বা আহ্বানের কারণে অন্যরা উপকৃত হয়, তখন দাওয়াতদাতার জন্য মৃত্যুর পরেও সওয়াব চলতে থাকে।

হাদিসের আলোকে:

রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন:

1. “যে ব্যক্তি কোনো ভালো কাজের দাওয়াত দেয়, তাকে সেই কাজের সওয়াব দেওয়া হবে, এবং যারা সেই দাওয়াত অনুযায়ী কাজ করবে, তাদের সওয়াবের সমপরিমাণও তাকে দেওয়া হবে, কিন্তু তাদের সওয়াবের কোনো ঘাটতি হবে না।”
(সহিহ মুসলিম, হাদিস: ২৬৭৪)

2. “যে ব্যক্তি হেদায়েতের পথে আহ্বান জানাবে, সে তার জন্য পুরস্কৃত হবে এবং যারা তার আহ্বানে সাড়া দিয়ে হেদায়েতের পথে চলবে, তাদের সওয়াবের সমান সওয়াবও তাকে দেওয়া হবে।”
(তিরমিজি: ২৬৭৫)

কেন দাওয়াত সদকায়ে জারিয়া?

দাওয়াতের মাধ্যমে যদি কেউ ইসলামের শিক্ষা, নৈতিকতা, ভালো কাজের দাওয়াত পায় এবং সেই অনুযায়ী তার জীবনে পরিবর্তন আসে, তবে সেই ভালো কাজের সওয়াব দাওয়াতদাতার জন্য মৃত্যুর পরেও অব্যাহত থাকবে। উদাহরণস্বরূপ:

যদি আপনি কাউকে ইসলামের শিক্ষার প্রতি আহ্বান জানান এবং সেই ব্যক্তি পরবর্তীতে সে শিক্ষা প্রচার করে, তাহলে সেই ধারাবাহিক সওয়াব আপনার জন্য সদকায়ে জারিয়া হিসেবে থাকবে।

30/09/2024

🕌 শুক্রবারের তালিম:
বিষয়: পিতা-মাতার সাথে উত্তম আচরণ

প্রিয় মুসলিম বোনেরা,
আগামী শুক্রবার আমাদের ফেসবুক পেজের পক্ষ থেকে বিশেষ তালিম অনুষ্ঠিত হবে। তালিমের বিষয়বস্তু হবে "পিতা-মাতার সাথে উত্তম আচরণ"। ইসলামে পিতা-মাতার প্রতি সন্তানের কর্তব্যের গুরুত্ব অপরিসীম। আসুন, সবাই এই তালিমে অংশগ্রহণ করে পিতা-মাতার সাথে উত্তম আচরণ সম্পর্কে আরও জানার সুযোগ গ্রহণ করি।

📅 তারিখ: আগামী শুক্রবার
⏰ সময়: ( ৮:৩০ pm)
📍 মাধ্যম : (হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ)

আল্লাহ আমাদের সবাইকে পিতা-মাতার খেদমত করার তৌফিক দান করুন। আমীন।
゚ Bangladesh Islamic Online womens Madrasah-BIOWM

30/09/2024

🎉📚 তৃতীয় কোর্স "এসো আরবি শিখি" শুরু হচ্ছে ইনশা আল্লাহ! 📚🎉

বাংলাদেশ ইসলামিক অনলাইন ওমেন্স মাদ্রাসার পক্ষ থেকে জানানো যাচ্ছে যে, আমাদের অত্যন্ত জনপ্রিয় কোর্স "এসো আরবি শিখি" এর তৃতীয় সেশন শুরু হতে যাচ্ছে!

📅 তারিখ: আগামীকাল
⏰ সময়: বিকাল ৪টা
🏫 মাদ্রাসা: বাংলাদেশ ইসলামিক অনলাইন ওমেন্স মাদ্রাসা

🌟 কোর্সের বৈশিষ্ট্যসমূহ:

আরবি ভাষার বেসিক থেকে উচ্চতর জ্ঞান।

লাইভ ক্লাসের মাধ্যমে শেখার সুযোগ।

ইসলামিক স্কলারদের দিকনির্দেশনা।

গৃহিণী ও কর্মজীবী নারীদের জন্য উপযোগী।]

➡️ আমাদের সাথে যোগ দিন, আপনার ইসলামিক জ্ঞান বৃদ্ধি করুন।

---: #এসো_আরবি_শিখি #বাংলাদেশইসলামিকওমেন্সমাদ্রাসা #আরবিশিক্ষা #অনলাইনকোর্স #ইসলামিকশিক্ষা #মহিলাদের_জন্য

30/09/2024

আল্লাহর প্রিয় বান্দা হতে হলে কিছু গুরুত্বপূর্ণ গুণাবলি এবং কাজ পালন করতে হয়। এগুলো হলো:

1. আল্লাহর প্রতি ইমান ও তাকওয়া: আল্লাহর উপর পূর্ণ বিশ্বাস রাখা এবং সব কাজে আল্লাহকে ভয় করা। তাকওয়া মানে হলো আল্লাহর নির্দেশ মেনে চলা এবং তাঁর নিষেধ থেকে বেঁচে থাকা।

2. নিয়মিত ইবাদত করা: সালাত (নামাজ) নিয়মিত পড়া, রোজা রাখা, যাকাত প্রদান এবং হজ পালন করা। এই ইবাদতগুলো আল্লাহর প্রতি আনুগত্যের প্রকাশ।

3. আখলাক বা চরিত্র উন্নত করা: ভালো ব্যবহার, নম্রতা, বিনয়ী আচরণ এবং অন্যের প্রতি সদাচরণ প্রদর্শন করা। রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, "তোমাদের মধ্যে সে-ই উত্তম, যার আখলাক বা চরিত্র উত্তম।"

4. ধৈর্যশীলতা ও কৃতজ্ঞতা: জীবনের যেকোনো কঠিন মুহূর্তে ধৈর্য ধারণ করা এবং আল্লাহর দেওয়া নিয়ামতের জন্য কৃতজ্ঞ থাকা।

5. কোরআন ও হাদিসের অনুসরণ: কোরআনের শিক্ষা এবং রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর হাদিস মেনে চলা। রাসূলুল্লাহ (সা.) এর জীবনী ও তাঁর শিক্ষা অনুসরণ করাই আল্লাহর প্রিয় বান্দা হওয়ার অন্যতম উপায়।

6. সততা ও ন্যায়পরায়ণতা: জীবনের সবক্ষেত্রে সত্যবাদিতা বজায় রাখা এবং ন্যায়বিচার করা।

7. তওবা করা: যেকোনো পাপ বা ভুল করলে দ্রুত আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করা এবং ভবিষ্যতে সেই পাপ থেকে বিরত থাকার প্রতিশ্রুতি দেওয়া।

এই গুণাবলিগুলো আয়ত্তে এনে নিয়মিত চর্চা করলে, ইনশাআল্লাহ, আল্লাহর প্রিয় বান্দা হওয়া সম্ভব।
゚ Bangladesh Islamic Online womens Madrasah-BIOWM

30/09/2024

ইসলামিক জ্ঞান আহরণ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং তা কোরআন ও হাদিসে স্পষ্টভাবে বর্ণিত হয়েছে। এখানে কোরআন ও হাদিসের কয়েকটি আয়াত ও বাণী তুলে ধরা হলো, যা ইসলামী জ্ঞান অর্জনের ফজিলত ও গুরুত্বকে তুলে ধরে:

কোরআনের আয়াত:

1. "বলুন, যারা জানে আর যারা জানে না তারা কি সমান?"
– (সুরা যুমার, ৩৯:৯)

এই আয়াতে আল্লাহ তায়ালা স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছেন যে, জ্ঞানীদের মর্যাদা অজ্ঞদের চেয়ে অনেক বেশি।

2. "আল্লাহ মুমিনদের মধ্যে যারা জ্ঞানপ্রাপ্ত তাদের মর্যাদা কয়েক ধাপ উন্নত করবেন।"
– (সুরা মুজাদালা, ৫৮:১১)

এখানে আল্লাহ বলেছেন, যারা জ্ঞান অর্জন করে তাদের বিশেষ মর্যাদা প্রদান করা হবে।

হাদিসের বাণী:

1. "যে ব্যক্তি জ্ঞানার্জনের জন্য কোনো পথ অনুসরণ করে, আল্লাহ তার জন্য জান্নাতের পথ সহজ করে দেন।"
– (সহীহ মুসলিম)

2. "জ্ঞানার্জন করা প্রত্যেক মুসলিম নর-নারীর উপর ফরজ।"
– (ইবন মাজাহ)

এই হাদিস থেকে বোঝা যায় যে, ইসলামী জ্ঞান অর্জন করা শুধু ফজিলতপূর্ণ নয়, বরং এটি প্রত্যেক মুসলিমের উপর আবশ্যকীয় বা ফরজ করা হয়েছে।

3. "আল্লাহ যার কল্যাণ চান, তাকে দ্বীনের গভীর জ্ঞান দান করেন।"
– (সহীহ বুখারী, সহীহ মুসলিম)

এই হাদিসে আল্লাহর পক্ষ থেকে একটি বড় পুরস্কার হিসেবে জ্ঞান লাভের বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে।

সারমর্ম:

ইসলামী জ্ঞান আহরণ করা কেবল ব্যক্তিগত উন্নতি নয়, বরং সামগ্রিক উম্মাহর জন্য গুরুত্বপূর্ণ। কোরআন ও হাদিসে এ বিষয়ে ব্যাপকভাবে গুরুত্বারোপ করা হয়েছে, এবং জ্ঞানীরা আল্লাহর কাছে বিশেষ মর্যাদা লাভ করেন।
゚ #অনলাইনকোর্স #বাংলাদেশইসলামিকওমেন্সমাদ্রাসা #ইসলামিকশিক্ষা #আরবিশিক্ষা #এসো_আরবি_শিখি Bangladesh Islamic Online womens Madrasah-BIOWM

30/09/2024

ধৈর্যশীলতা (সবর) ও কৃতজ্ঞতা (শুকর) সম্পর্কে কুরআন ও হাদিসে গভীর শিক্ষা দেওয়া হয়েছে। কুরআন ও হাদিসে উভয়ের গুরুত্ব অত্যন্ত স্পষ্টভাবে বর্ণিত। নিচে কিছু প্রাসঙ্গিক আয়াত ও হাদিস উল্লেখ করা হলো:

ধৈর্যশীলতা (সবর) সম্পর্কিত কুরআনের আয়াত:

1. সুরা আল-বাকারা, আয়াত ১৫৩: "হে মুমিনগণ! তোমরা ধৈর্য এবং নামাযের মাধ্যমে সাহায্য প্রার্থনা কর। নিশ্চয়ই আল্লাহ ধৈর্যশীলদের সাথে আছেন।"

2. সুরা আল-ইমরান, আয়াত ২০০: "হে ঈমানদারগণ! ধৈর্য ধারণ করো, একে অপরকে ধৈর্য ধরতে উৎসাহিত করো, দৃঢ় থাকো এবং আল্লাহকে ভয় করো, যাতে তোমরা সফলকাম হতে পারো।"

3. সুরা আল-আসর, আয়াত ৩: "তবে তারা ব্যতীত, যারা ঈমান এনেছে, সৎকর্ম করেছে, একে অপরকে সত্যের উপদেশ দিয়েছে এবং ধৈর্যের উপদেশ দিয়েছে।"

কৃতজ্ঞতা (শুকর) সম্পর্কিত কুরআনের আয়াত:

1. সুরা ইবরাহিম, আয়াত ৭: "এবং তোমাদের পালনকর্তা ঘোষণা করেছেন: যদি তোমরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করো, তবে আমি তোমাদের আরও বেশি দিবো। আর যদি অকৃতজ্ঞ হও, তবে অবশ্যই আমার শাস্তি হবে কঠিন।"

2. সুরা লোকমান, আয়াত ১২: "আর আমি লোকমানকে প্রজ্ঞা দান করেছি, এই মর্মে যে, আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞ হও। যে ব্যক্তি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে, সে কেবল নিজের মঙ্গলের জন্যই তা করে। আর যে অকৃতজ্ঞ হয়, আল্লাহ সমৃদ্ধ, প্রশংসিত।"

ধৈর্যশীলতা ও কৃতজ্ঞতার উপর হাদিস:

1. সাহিহ মুসলিম থেকে এক বিখ্যাত হাদিসে বলা হয়েছে: "একজন মুমিনের ব্যাপারটি আশ্চর্যজনক। তার সকল কাজই তার জন্য কল্যাণকর। আর মুমিন ছাড়া অন্য কারো জন্য এটি প্রযোজ্য নয়। যখন সে সুখী হয়, তখন সে আল্লাহর কৃতজ্ঞতা আদায় করে এবং তা তার জন্য কল্যাণকর হয়। আর যখন সে দুঃখ পায়, তখন সে ধৈর্য ধারণ করে এবং তাও তার জন্য কল্যাণকর হয়।" (মুসলিম ২৯৯৯)

2. তিরমিজি শরীফ: "যে ব্যক্তি মানুষের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে না, সে আল্লাহর প্রতিও কৃতজ্ঞ হতে পারে না।" (তিরমিজি ১৯৫৪)

সারসংক্ষেপ:

কুরআন ও হাদিসে ধৈর্যশীলতা ও কৃতজ্ঞতাকে ঈমানের গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে। যে ব্যক্তি ধৈর্য ধারণ করে এবং আল্লাহর দেওয়া নিয়ামতের জন্য কৃতজ্ঞ থাকে, আল্লাহ তাকে দুনিয়া ও আখিরাতে সফলতা দান করেন।
゚ Bangladesh Islamic Online womens Madrasah-BIOWM

30/09/2024

আল্লাহকে খুশি করার জন্য কোরআন মাজিদে বিভিন্ন জায়গায় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, যার মধ্যে প্রধানত তাকওয়া (আল্লাহর প্রতি ভয় ও শ্রদ্ধা) এবং নেক আমল করার নির্দেশ রয়েছে। কিছু গুরুত্বপূর্ণ আয়াত নিম্নে উল্লেখ করা হলো:

১. তাকওয়া (আল্লাহর ভয় রাখা) ও আনুগত্যের আদেশ:

সুরা আল ইমরান (৩:১০২): "হে ঈমানদারগণ! তোমরা আল্লাহকে ভয় কর যেমনভাবে তাঁকে ভয় করার অধিকার আছে এবং অবশ্যই মুসলমান না হয়ে তোমরা মৃত্যুবরণ করো না।"

২. আল্লাহর পথে দান করার নির্দেশ:

সুরা আল বাকারা (২:২৬১): "যারা নিজেদের ধন-সম্পদ আল্লাহর পথে ব্যয় করে, তাদের দৃষ্টান্ত একটি বীজের মতো, যা থেকে সাতটি শীষ বের হয় এবং প্রত্যেক শীষে একশটি বীজ থাকে। আল্লাহ যাকে ইচ্ছা, তাকে আরো বেশি দান করেন। আল্লাহ প্রশস্ত এবং সর্বজ্ঞ।"

৩. আল্লাহর প্রতি আনুগত্য ও ভালো কাজ করা:

সুরা আন-নাহল (১৬:৯۷): "যে ব্যক্তি নেক আমল করবে, পুরুষ হোক বা নারী, এবং সে ঈমানদার হবে, তাকে আমরা নিশ্চয়ই সুন্দর জীবন প্রদান করবো এবং তাদেরকে তাদের উত্তম কাজের প্রতিদান দেবো।"

এই আয়াতগুলো আল্লাহকে খুশি করার জন্য মূলনীতি হিসেবে কাজ করে। আল্লাহর প্রতি আনুগত্য, তাকওয়া এবং আল্লাহর পথে দান ইত্যাদি আল্লাহকে সন্তুষ্ট করার উপায়।
゚ Bangladesh Islamic Online womens Madrasah-BIOWM

30/09/2024

"আলহামদুলিল্লাহ, আজকে ২ ক্লাস শেষ হলো!"

"আলহামদুলিল্লাহ, এসো আরবি শিখি আজকে ২ ক্লাস হলো। আমাদের সাথে থাকুন, নিয়মিত ক্লাসের জন্য। নতুন ভাষা শেখার এই যাত্রায় আমাদের সাথে যুক্ত হতে পারেন যে কেউ।
゚ #বাংলাদেশইসলামিকওমেন্সমাদ্রাসা #ইসলামিকশিক্ষা #আরবিশিক্ষা #অনলাইনকোর্স Bangladesh Islamic Online womens Madrasah-BIOWM

30/09/2024

তওবা হলো ইসলামে পাপ থেকে ফিরে এসে আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করা। কোরআন ও হাদিসে তওবার গুরুত্ব অত্যন্ত স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে এবং তওবা করার কিছু নিয়ম ও প্রয়োজনীয়তাও বলা হয়েছে। নিচে কোরআন ও হাদিস থেকে তওবা সম্পর্কিত কিছু নির্দেশনা দেওয়া হলো:

কোরআন থেকে তওবার বিষয়ে নির্দেশনা:

1. আল-বাকারা ২:২২২

"নিশ্চয়ই আল্লাহ তওবাকারীদের ভালোবাসেন এবং যারা পবিত্র থাকে তাদেরও ভালোবাসেন।"

এই আয়াতে আল্লাহ তা'আলা তওবাকারী ব্যক্তিদেরকে ভালোবাসেন বলে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করেছেন। এটি ইঙ্গিত দেয় যে তওবা করা আল্লাহর কাছে প্রিয় একটি কাজ।

2. আল-ইমরান ৩:১৩৫

"এবং যারা অশ্লীল কোনো কাজ করলে বা নিজেদের উপর যুলুম করলে আল্লাহকে স্মরণ করে এবং নিজেদের পাপের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করে। আল্লাহ ছাড়া আর কে পাপ ক্ষমা করতে পারে?"

এই আয়াতে, তওবা করার মাধ্যমে পাপ ক্ষমা করা হয় বলে উল্লেখ করা হয়েছে এবং পাপের পরে আল্লাহর কাছে ফিরে আসার প্রয়োজনীয়তা বর্ণনা করা হয়েছে।

3. আয-জুমার ৩৯:৫৩

"বল, ‘হে আমার বান্দারা, যারা নিজেদের ওপর যুলুম করেছো, তোমরা আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয়ো না। নিশ্চয়ই আল্লাহ সকল পাপ ক্ষমা করেন। তিনি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।"

এই আয়াতে আল্লাহ পাপের জন্য ক্ষমা প্রার্থনার মাধ্যমে তওবা করতে উৎসাহিত করেছেন এবং বলেছেন যে আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হওয়া উচিত নয়।

হাদিস থেকে তওবার নির্দেশনা:

1. সাহিহ আল-বুখারি ৬৩০৯

নবী মুহাম্মদ (সা.) বলেছেন, "তোমরা যদি পাপ না করতে, তবে আল্লাহ একটি নতুন জাতি সৃষ্টি করতেন যারা পাপ করত এবং আল্লাহর কাছে তওবা করত এবং আল্লাহ তাদের ক্ষমা করতেন।"

এই হাদিস থেকে বোঝা যায় যে পাপ করা মানুষের স্বভাবজাত, তবে পাপের পরে আল্লাহর কাছে তওবা করা উচিত।

2. তিরমিজি ২৪৯৯

নবী (সা.) বলেছেন, "যে ব্যক্তি তওবা করে, সে যেন সেই ব্যক্তির মতো যে কোনো পাপ করেনি।"

এখানে তওবার গুরুত্ব বোঝানো হয়েছে যে, সঠিকভাবে তওবা করলে আল্লাহ সেই ব্যক্তির পাপগুলো ক্ষমা করে দেন।

তওবার শর্তাবলি:

1. আল-ইখলাস (নির্ভরতা): খাঁটি মন দিয়ে তওবা করতে হবে এবং আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে তওবা করা জরুরি।

2. পাপ ছেড়ে দেওয়া: যেই পাপে লিপ্ত ছিল, তা সঙ্গে সঙ্গে পরিত্যাগ করতে হবে।

3. ক্ষমা প্রার্থনা করা: আল্লাহর কাছে আন্তরিকভাবে ক্ষমা চাইতে হবে।

4. ভবিষ্যতে পাপে ফিরে না আসার সংকল্প: তওবা করার পর পাপ থেকে দূরে থাকার দৃঢ় সংকল্প থাকতে হবে।

5. ক্ষতিপূরণ করা (যদি প্রযোজ্য হয়): যদি কারো অধিকার ক্ষুণ্ণ হয়, তাহলে তা ফিরিয়ে দিতে হবে বা সমাধান করতে হবে।

তওবার দোয়া:

"আস্তাগফিরুল্লাহা রাব্বি মিন কুল্লি ধাম্বিন ওয়া আতুবু ইলাইহি" (অর্থ: আমি আল্লাহর কাছে সমস্ত পাপের জন্য ক্ষমা চাই এবং তাঁর কাছে ফিরে আসছি)।

এই দোয়া তওবার একটি দৃষ্টান্ত, যেটি তওবার সময় পড়া যেতে পারে।
゚ #বাংলাদেশইসলামিকওমেন্সমাদ্রাসা #আরবিশিক্ষা #ইসলামিকশিক্ষা #অনলাইনকোর্স Bangladesh Islamic Online womens Madrasah-BIOWM

30/09/2024

কোরআনে কারিম মানবজাতির জন্য একটি পূর্ণাঙ্গ সংবিধান। প্রত্যেক নবী ও রাসুলকে আল্লাহতায়ালা মানবজাতির হেদায়েতের জন্য কিতাব দান করেছেন। এরই ধারাবাহিকতায় সর্বশেষ নবী ও রাসুল হজরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে দান করা হয় কোরআন মাজিদ। সৃষ্টিকূলের ওপর যেমন স্রষ্টার সম্মান ও মর্যাদা অপরিসীম, তেমনি সব বাণীর ওপর পবিত্র কোরআনের মর্যাদা ও শ্রেষ্ঠত্ব অতুলনীয়।
゚ #অনলাইনকোর্স Bangladesh Islamic Online womens Madrasah-BIOWM

30/09/2024

সূরা আন-নাসর কুরআনের ১১০তম সূরা, যা মদিনায় অবতীর্ণ হয়েছে। এতে মোট ৩টি আয়াত রয়েছে এবং এটি ইসলামের বিজয় ও আল্লাহর সাহায্যের প্রতিশ্রুতি নির্দেশ করে।

প্রথম আয়াত:

اِذَا جَاءَ نَصْرُ اللَّهِ وَالْفَتْحُ

বাংলা অনুবাদ: "যখন আল্লাহর সাহায্য এবং বিজয় আসবে।"

তাফসীর (ব্যাখ্যা):

এই আয়াতটি রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর জীবনের শেষ সময়ের দিকে অবতীর্ণ হয়, যখন ইসলামের বিস্তৃতি ও প্রতিষ্ঠা তার পরিপূর্ণতা লাভ করছিল। বিশেষ করে, এটি মক্কা বিজয়ের ইঙ্গিত বহন করে, যা ছিল ইসলামের অন্যতম প্রধান ঘটনা। আল্লাহর সাহায্য এবং তার প্রতিশ্রুত বিজয় আসন্ন বলে এই আয়াতে ঘোষিত হয়েছে।

এখানে "নাসর" বলতে আল্লাহর বিশেষ সহায়তাকে বোঝানো হয়েছে, যা মুসলমানদের শক্তি ও স্থিতিশীলতা দান করবে। "ফাতহ" বা বিজয় বলতে মক্কা বিজয়ের কথা নির্দেশ করা হয়েছে, যা ইসলামের শত্রুদের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত সফলতা এনে দেয়।

এই আয়াতটি রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর নবুওয়তের মিশনের সমাপ্তি এবং ইসলামের প্রতিষ্ঠার প্রতীক হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ। আল্লাহ তাআলা রাসূল (সা.)-কে জানান যে, তিনি তার মিশন সফলভাবে সমাপ্ত করতে যাচ্ছেন এবং শীঘ্রই আল্লাহর সাহায্যে বিজয় আসবে, যার ফলে মানুষ দলবদ্ধভাবে ইসলামের দিকে ধাবিত হবে।

শিক্ষণীয় বিষয়:

এই আয়াতটি আল্লাহর প্রতিশ্রুত সাহায্য ও বিজয়ের গুরুত্ব তুলে ধরে।

এটি ইসলামের শেষ বিজয় এবং মানুষের ব্যাপকভাবে ইসলামে প্রবেশের বার্তা বহন করে।

আল্লাহর উপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস রাখার প্রয়োজনীয়তা।

সমসাময়িক প্রেক্ষাপট: এই আয়াত আমাদেরকে আল্লাহর সাহায্য ও সহায়তার উপর নির্ভরশীল হওয়ার নির্দেশনা দেয়, এবং যেকোনো পরিস্থিতিতে ধৈর্য ও বিশ্বাস রাখতে উদ্বুদ্ধ করে।
゚ Bangladesh Islamic Online womens Madrasah-BIOWM

30/09/2024

"বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম" এর গুরুত্ব ও ফজিলত ইসলাম ধর্মে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি আল্লাহর নামের মাধ্যমে শুরু করার একটি দোয়া এবং কুরআনের প্রতিটি সুরার শুরুতে (সূরা তাওবা ব্যতীত) ব্যবহৃত হয়। এর মাধ্যমে আমরা আল্লাহর দয়া, করুণা ও ক্ষমার প্রতি ভরসা করি।

গুরুত্ব:

1. সকল কাজের শুরুতে: যে কোনো ভালো কাজ শুরু করার আগে "বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম" বলা সুন্নত। এটি আল্লাহর নামের মাধ্যমে কাজ শুরু করার নির্দেশ দেয়, যা কাজের বরকত ও সফলতা নিয়ে আসে।

2. আল্লাহর স্মরণ: এটি আল্লাহকে স্মরণ করার একটি অন্যতম উপায়। "বিসমিল্লাহ" শব্দের মাধ্যমে আমরা আল্লাহর কাছে সাহায্য চাই, যাতে কাজ সঠিকভাবে সম্পন্ন হয়।

3. কুরআনের অংশ: এটি কুরআনের প্রথম আয়াত (সূরা ফাতিহা) এবং প্রতিটি সুরার শুরুতে ব্যবহৃত হয়, যা তার গুরুত্বপূর্ণ অবস্থান নির্দেশ করে।

ফজিলত:

1. আল্লাহর রক্ষা: কোনো কাজ করার আগে "বিসমিল্লাহ" বললে আল্লাহর দয়া ও করুণার ছায়া পাওয়া যায় এবং শয়তানের ক্ষতি থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।

2. বরকত বৃদ্ধি: যে কোনো কাজের শুরুতে "বিসমিল্লাহ" বললে সেই কাজের মধ্যে বরকত আসে এবং কাজটি সহজ ও সফল হয়।

3. গুনাহ থেকে মুক্তি: যে ব্যক্তি আল্লাহর নাম স্মরণ করে এবং কাজ শুরু করে, আল্লাহ তার গুনাহ মাফ করে দেন এবং তাকে সঠিক পথে পরিচালিত করেন।

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম বলা মানে আল্লাহর সাহায্য ও দয়া চাওয়া, যা আমাদের দৈনন্দিন জীবনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
゚ Bangladesh Islamic Online womens Madrasah-BIOWM

30/09/2024

---
আসসালামু আলাইকুম সম্মানিত ভাই ও বোনেরা,

আমাদের কনটেন্ট প্রতিযোগিতায় আপনার সক্রিয় অংশগ্রহণ এবং মূল্যবান অবদানের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ! আমরা আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি যে প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের তালিকা প্রস্তুত হয়েছে। আলহামদুলিল্লাহ, এই প্রতিযোগিতার মাধ্যমে আমরা তিনজন বিজয়ীকে পেয়েছি।

ইনশা আল্লাহ, আগামী ১ তারিখে বিজয়ীদের হাদিয়া কুরিয়ার সার্ভিসে পাঠিয়ে দেওয়া হবে।

আমরা আপনাদের সবার উত্সাহ অনুপ্রাণিত হয়েছি এবং ভবিষ্যতে আরও চমৎকার কনটেন্টের জন্য আগ্রহী। দোয়া ও শুভকামনায় আমাদের সাথে থাকবেন।

শুভেচ্ছান্তে,
[ Bangladesh Islamic Online womens Madrasah-BIOWM]

Address

Gulshan 2
Dhaka
1212

Telephone

+8801642020284

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when online Qoran Islamic posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to online Qoran Islamic:

Share