30/09/2024
ধৈর্যশীলতা (সবর) ও কৃতজ্ঞতা (শুকর) সম্পর্কে কুরআন ও হাদিসে গভীর শিক্ষা দেওয়া হয়েছে। কুরআন ও হাদিসে উভয়ের গুরুত্ব অত্যন্ত স্পষ্টভাবে বর্ণিত। নিচে কিছু প্রাসঙ্গিক আয়াত ও হাদিস উল্লেখ করা হলো:
ধৈর্যশীলতা (সবর) সম্পর্কিত কুরআনের আয়াত:
1. সুরা আল-বাকারা, আয়াত ১৫৩: "হে মুমিনগণ! তোমরা ধৈর্য এবং নামাযের মাধ্যমে সাহায্য প্রার্থনা কর। নিশ্চয়ই আল্লাহ ধৈর্যশীলদের সাথে আছেন।"
2. সুরা আল-ইমরান, আয়াত ২০০: "হে ঈমানদারগণ! ধৈর্য ধারণ করো, একে অপরকে ধৈর্য ধরতে উৎসাহিত করো, দৃঢ় থাকো এবং আল্লাহকে ভয় করো, যাতে তোমরা সফলকাম হতে পারো।"
3. সুরা আল-আসর, আয়াত ৩: "তবে তারা ব্যতীত, যারা ঈমান এনেছে, সৎকর্ম করেছে, একে অপরকে সত্যের উপদেশ দিয়েছে এবং ধৈর্যের উপদেশ দিয়েছে।"
কৃতজ্ঞতা (শুকর) সম্পর্কিত কুরআনের আয়াত:
1. সুরা ইবরাহিম, আয়াত ৭: "এবং তোমাদের পালনকর্তা ঘোষণা করেছেন: যদি তোমরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করো, তবে আমি তোমাদের আরও বেশি দিবো। আর যদি অকৃতজ্ঞ হও, তবে অবশ্যই আমার শাস্তি হবে কঠিন।"
2. সুরা লোকমান, আয়াত ১২: "আর আমি লোকমানকে প্রজ্ঞা দান করেছি, এই মর্মে যে, আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞ হও। যে ব্যক্তি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে, সে কেবল নিজের মঙ্গলের জন্যই তা করে। আর যে অকৃতজ্ঞ হয়, আল্লাহ সমৃদ্ধ, প্রশংসিত।"
ধৈর্যশীলতা ও কৃতজ্ঞতার উপর হাদিস:
1. সাহিহ মুসলিম থেকে এক বিখ্যাত হাদিসে বলা হয়েছে: "একজন মুমিনের ব্যাপারটি আশ্চর্যজনক। তার সকল কাজই তার জন্য কল্যাণকর। আর মুমিন ছাড়া অন্য কারো জন্য এটি প্রযোজ্য নয়। যখন সে সুখী হয়, তখন সে আল্লাহর কৃতজ্ঞতা আদায় করে এবং তা তার জন্য কল্যাণকর হয়। আর যখন সে দুঃখ পায়, তখন সে ধৈর্য ধারণ করে এবং তাও তার জন্য কল্যাণকর হয়।" (মুসলিম ২৯৯৯)
2. তিরমিজি শরীফ: "যে ব্যক্তি মানুষের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে না, সে আল্লাহর প্রতিও কৃতজ্ঞ হতে পারে না।" (তিরমিজি ১৯৫৪)
সারসংক্ষেপ:
কুরআন ও হাদিসে ধৈর্যশীলতা ও কৃতজ্ঞতাকে ঈমানের গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে। যে ব্যক্তি ধৈর্য ধারণ করে এবং আল্লাহর দেওয়া নিয়ামতের জন্য কৃতজ্ঞ থাকে, আল্লাহ তাকে দুনিয়া ও আখিরাতে সফলতা দান করেন।
゚ Bangladesh Islamic Online womens Madrasah-BIOWM