Bangladesh News Syndicate

Bangladesh News Syndicate প্রথম শ্রেনীর নিরপেক্ষ জাতীয় বার্তা সংস্থা
বাংলাদেশ নিউজ সিন্ডিকেট
Gov. Reg: C-97173

প্রথম শ্রেনীর নিরপেক্ষ জাতীয় বার্তা সংস্থা
বাংলাদেশ নিউজ সিন্ডিকেট (বিএনএস)
Gov.

17/05/2024
সমাজসেবায় আত্মনিয়োগ করে সাধারণ মানুষের ভালোবাসায় সিক্ত হয়ে উঠেছেন লায়ন মো. সাইদুল ইসলাম ।নিউজ ডেস্কঃসমাজসেবায় আত্মনিয়োগ ...
22/03/2024

সমাজসেবায় আত্মনিয়োগ করে সাধারণ মানুষের ভালোবাসায় সিক্ত হয়ে উঠেছেন লায়ন মো. সাইদুল ইসলাম ।

নিউজ ডেস্কঃ
সমাজসেবায় আত্মনিয়োগ করে সাধারণ মানুষের ভালোবাসায় সিক্ত হয়ে উঠেছেন লায়ন মো. সাইদুল ইসলাম । একজন সমাজ সেবক হিসেবে এলাকায় লায়ন মো. সাইদুল ইসলাম বিশেষ পরিচিতি লাভ করছেন। তিনি তার এলাকায় একজন সৎ, ন্যায়, নীতিবান, উদার সমাজ সংস্কারক হিসেবে সর্বোপরিচিত। এলাকার সর্বত্রই এখন আলোচনা এই তরুন সমাজসেবককে নিয়ে।
বরিশাল জেলা বাকেরগঞ্জ উপজেলার ১৪নং নিয়ামতি ইউনিয়ন ৭নং ওয়ার্ড খাস মহেশপুর (ডহর কোলা) গ্রাম হাওলাদার বাড়ীর কৃতি সন্তান মৃতঃ মো. আশরাফ আলী হাওলাদারের সুযোগ্য পুত্র লায়ন মো. সাইদুল ইসলাম। তিনি গ্রামের মক্তব তথা পাঠশালায়শিক্ষা জীবনে হাতেখড়ি তারই ধারাবাহিকতায় স্কুল, জীবন শেষে এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অফ বাংলাদেশ থেকে এম.এস.এস ডিগ্রী লাভ করেন । এরপর ব্যবসার সাথে জড়িয়ে পড়েন ।
লায়ন মো. সাইদুল ইসলাম শুধু একজন সমাজ সেবক নয়, একজন সফল ব্যবসায়ী বটে। রাজধানীর ঢাকায় অবস্থিত "আশরাফ গ্রুপ" কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক তিনি। নিজের প্রচেষ্টায় তিল তিল করে গড়ে তোলা আশরাফ গ্রুপ কোম্পানিটি আজ সাফল্যের দারপ্রান্তে নিতে সক্ষম হয়েছেন। তার উল্লেখযোগ্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নাম (ক) আলফা কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, (খ) রেডিয়্যান্ট কেমটেক কোম্পানী লিমিটেড, (গ) ডিভাইন গ্লোবাল বিজনেস লিমিটেড, (ঘ) আশরাফ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড । ব্যবসা পরিচালনার পাশাপাশি সমাজসেবামূলক কাজে নিয়োজিত হন লায়ন মো. সাইদুল ইসলাম , তার পিতা পেশায় একজন ডাক্তার ছিলেন তিনি সাধারণ গরিব অসহায় মানুষের জনপ্রিয় একজন ব্যক্তি। বাবার সেবামূলক কাজে অনুপ্রাণিত হয়ে লায়ন মো. সাইদুল ইসলাম বাবার নামে একটি অরাজনৈতিক অলাভজনক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন প্রতিষ্ঠিত করেছেন যা ‘আশরাফ ফাউন্ডেশন’ নামে পরিচিত এ ফাউন্ডেশন এর মাধ্যমেই পরিচালনা করছেন প্রিয় কর্মকাণ্ড গরিব দুস্থ ও অসহায় মানুষের সেবা।এছাড়াও তিনি আজীবন সদস্যঃ নিয়ামতি আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয় , সভাপতিঃ ডহরকোলা কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ , প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যানঃ আশরাফ ফাউন্ডেশন , ডি.এম মেম্বারঃ উত্তরা মডেল ক্লাব লিমিটেড , জি.বি মেম্বারঃ এফ. বি. সি. সি. আই, পার্মানেন্ট মেম্বারঃ উত্তরা ক্লাব লিমিটেড, উত্তরা লিবার্টি ক্লাব লিমিটেড, বাংলাদেশ কেমিক্যাল মার্চেন্টস এসোসিয়েশন ও লায়ন্স ক্লাব ইন্টারন্যাশনাল হয়ে এর মাধ্যমে বিভিন্ন সমাজসেবামূলক কাজ করে আসছে ।
এই তরুন সমাজ সেবক ছেলেবেলা থেকেই ছিল পরোপকারী। প্রতীবেশীর দূক্ষ-দূর্দশা দেখে তার মন কেঁদে উঠতো। তিনি সবসময় ভাবতেন প্রতিবেশী অসহায় মানুষদের নিয়ে। নিজের খাবার একজন ক্ষুধার্ত মানুষের হাতে তুলে দিয়ে তিনি তৃপ্তি পেতেন। লায়ন মো. সাইদুল ইসলাম লেখা পড়া শেষ করে ব্যবসায় জড়িয়ে পড়ার পর তিনি সংকল্প করেন। সাধারণ মানুষের সেবা করার। তাই ব্যবসায়ের লাভের টাকার একাংশ রাখেন সাধারণ মানুষের সেবায় বিলিয়ে দেবার জন্য।
তরুন এই সমাজ সেবক নিজ এলাকার মানুষের যেকোন সমস্যা সামনে পরলে তা তিনি তার সামর্থ্য অনুযায়ী শতভাগ সমাধানের চেষ্টা করেন। এছাও তিনি এলাকার স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসা সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অস্বচ্ছল শিক্ষার্থীদের মাঝে পাঠ্যবই কিনে দেওয়া, লেখা পড়া করার খরচ দেয়া সহ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড পরিচালনা করে আসছেন তিনি।
লায়ন মো. সাইদুল ইসলাম অত্যন্ত বিনয়ী সমাজ সেবক ও মানবিক মানুষ, তার বাবার নামে একটি অরাজনৈতিক অলাভজনক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন প্রতিষ্ঠিত করেছেন যা ‘আশরাফ ফাউন্ডেশন’ নামে পরিচিত এর প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক তিনি। এছাড়াও তিনি বিভিন্ন সামাজিক ও মানব কল্যাণের এক জন অন্যতম সংগঠক ও মানবিক নেতা।সুশীল সমাজ, তরুন-নবীন, যুব-প্রবীণ সমাজে রয়েছে তার যথেষ্ঠ সুনাম।
এ ব্যাপারে এই তরুন সমাজ সেবক লায়ন মো. সাইদুল ইসলামের সাথে কথা হলে তিনি বলেন- মানুষ আল্লাহর সৃষ্টির সের জীব। আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সঃ) আমরা তাকে মানি অথচ তার পথকে অনুসরণ করিনা। আমাদের নবীও আটার বস্তা কাধে নিয়ে মানুষের দুয়ারে দুয়ারে খাদ্য বিলিয়ে বেড়াতেন। আমি তার অনুসারী হয়ে কেন মানুষের সেবায় এগিয়ে আসবোনা। মহান আল্লাহ আজ যেটা আমাকে দিচ্ছেন তাহা আমার একার নয়। আমার প্রতিবেশী ও এলাকার মানুষও তার দাবীদার। আমি আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে যে টাকা লাভ হয় তার একাংশ টাকা গরীব-দুঃখী এবং অসহায় মানুষের সেবায় ও এলাকার উন্নয়নে ব্যয় করে আসছি, সকলে আমার জন্য দোয়া করবেন এই মানব কল্যাণের সেবামূলক কাজ যেন সবসময় করতে পারি । আমার দ্বারা যদি অন্যের কোন উপকার হয় বা আমি সাধারণ মানুষের জন্য কিছু করতে পারি তাহাই হবে আমার পরোপারের পাওয়া।

জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা’র সভা ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত
21/03/2024

জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা’র সভা ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত

জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা’র সভা ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত

মুহম্মদ আলতাফ হোসেন অবহেলিত সাংবাদিক সমাজের পরিচয় পতাকা ।
18/03/2024

মুহম্মদ আলতাফ হোসেন অবহেলিত সাংবাদিক সমাজের পরিচয় পতাকা ।

মুহম্মদ আলতাফ হোসেন অবহেলিত সাংবাদিক সমাজের পরিচয় পতাকা ।

খিলগাঁও ঐতিহ্যবাহী পিঠা ঘরএখানে নানা ধরনের মজাদার পিঠা পাওয়া যায়। সকলে চলে আসুন জাতীয় পিঠা উৎসব অনুষ্ঠানে, শিল্পকলা একাড...
06/02/2024

খিলগাঁও ঐতিহ্যবাহী পিঠা ঘর
এখানে নানা ধরনের মজাদার পিঠা পাওয়া যায়।
সকলে চলে আসুন জাতীয় পিঠা উৎসব অনুষ্ঠানে, শিল্পকলা একাডেমিতে।
স্টল নং ০২

জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা (জেএসএস) এর ৪৩ তম প্রতিষ্ঠা দিবস উদযাপন কমিটির জরুরী সভা অনুষ্ঠিত। নিউজ ডেক্সঃজাতীয় সাংবাদিক সংস্থ...
13/01/2024

জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা (জেএসএস) এর ৪৩ তম প্রতিষ্ঠা দিবস উদযাপন কমিটির জরুরী সভা অনুষ্ঠিত।

নিউজ ডেক্সঃ
জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা (জেএসএস) এর ৪৩ তম প্রতিষ্ঠা দিবস উদযাপন কমিটির জরুরী সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। (১৩ জানুয়ারী,২০২৪) রোজ শনিবার সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাব চত্ত্বরে উক্ত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন সংস্থা'র কেন্দ্রীয় সিনিয়র সহ-সভাপতি ও ৪৩ তম প্রতিষ্ঠা দিবস উদযাপন কমিটির আহবায়ক মোঃ আবুল বাসার মজুমদার, যুগ্ম আহবায়ক লায়ন সিকদার মোহাম্মদ আরিফুল আলম (টিটো), সদস্য সচিব মোঃ আনিসুর রহমান প্রধান, সদস্য মোঃ ওয়াহিদুজ্জামান ওয়াহিদ, মোঃ মুছা খান রানা, মোঃ রাব্বী মোল্লা, আঃ সবুর ও মোঃ রাকিব ভূইয়া সহ আরও অনেকে।
এসময় প্রতিষ্ঠা দিবস উদযাপন প্রস্তুতির বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়।

শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন 🌹❤️🌹জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের দপ্তর সচিব নির্বাচিত হলেন মোঃ রাব্বী মোল্লা । দ...
29/11/2023

শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন 🌹❤️🌹
জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের দপ্তর সচিব নির্বাচিত হলেন মোঃ রাব্বী মোল্লা ।
দপ্তর সচিব হিসেবে মোঃ রাব্বী মোল্লাকে নির্বাচিত করায় বাকেরগঞ্জ উপজেলা জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার পক্ষ থেকে, সংস্থার কেন্দ্রীয় সভাপতি বিশিষ্ট-প্রবীণ সাংবাদিক মুহম্মদ আলতাফ হোসেন ও মহাসচিব মুহাম্মদ কামরুল ইসলাম স্যারকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।

জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা ঢাকা জেলা কমিটি অনুমোদন: সভাপতি মহসিন সাধারণ সম্পাদক মুস্তাফিজুর। নিউজ ডেস্কঃ৩০ অক্টোবর,২০২৩ইং রোজ...
30/10/2023

জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা ঢাকা জেলা কমিটি অনুমোদন: সভাপতি মহসিন সাধারণ সম্পাদক মুস্তাফিজুর।
নিউজ ডেস্কঃ
৩০ অক্টোবর,২০২৩ইং রোজ সোমবার সন্ধায় জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা ও কেন্দ্রীয় সভাপতি বিশিষ্ট-প্রবীণ সাংবাদিক মুহম্মদ আলতাফ হোসেন স্বাক্ষরিত পত্রে মোঃ মহসিন উদ্দিন কে সভাপতি ও মোঃ মুস্তাফিজুর রহমান কে সাধারণ সম্পাদক করে ঢাকা জেলা কমিটি অনুমোদন করা হয়।
উক্ত কমিটি অনুমোদনে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি মোঃ আবুল বাসার মজুমদার, মহাসচিব মুহাম্মদ কামরুল ইসলাম, যুগ্ম-মহাসচিব মোঃ কাজী মাহমুদুল হাসান, সহ-দপ্তর সচিব মোঃ রাব্বি মোল্লা, তথ্য ও প্রযুক্তি সচিব মোঃ আবেদ আলী।
নব-নির্বাচিত ঢাকা জেলা কমিটি নিম্নরুপঃ
সভাপতি -মোঃ মহসিন উদ্দিন
সহ-সভাপতি- মোঃ ফিরোজ আলম ও মোঃ মাহমুদ মোস্তফা।
সাধারন সম্পাদক - মোঃ মুস্তাফিজুর রহমান
যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক- মোঃ বাপ্পি আহমেদ শ্রাবন
সাংগঠনিক সম্পাদক - মোঃ মিলন শেখ
দপ্তর সম্পাদক-মোঃ রাসেল মিয়া
অর্থ সম্পাদক - মোঃ আল-আমিন
প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক -মোঃ সিহাব উদ্দিন রাজ
আইন ও মানবাধিকার সম্পাদক- মোঃ আব্দুল্লাহ নকিব
যুব ও ক্রিড়া সম্পাদক - মোঃ নুরনবী শরিফ অর্নব
মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা- মিসেস কুমকুম
তথ্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক - মোঃ রাসেল
স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক - মোঃ কামাল মোস্তফা।

সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে-লায়ন মোঃ গনি মিয়া বাবুল।মোঃ রাব্বী মোল্লাঃজাতীয় সাংবাদিক সংস্থা কেন্দ্রীয় প্রধান ...
29/10/2023

সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে-লায়ন মোঃ গনি মিয়া বাবুল।

মোঃ রাব্বী মোল্লাঃ
জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা কেন্দ্রীয় প্রধান উপদেষ্টা ও বঙ্গবন্ধু গবেষণা পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি লায়ন মোঃ গনি মিয়া বাবুল বলেছেন, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় সংবাদপত্রের স্বাধীনতা ও সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। দেশের উন্নয়ন অগ্রগতিতে গণমাধ্যমের ভূমিকা অগ্রগণ্য। গণমাধ্যম ও সাংবাদিকগণ গণতন্ত্র জনগণের অতন্ত্র প্রহরী। শক্তিশালী গণতন্ত্রের জন্য স্বাধীন সংবাদমাধ্যম ও সাংবাদিকদের নিরাপত্তা অপরিহার্য।
২৮ অক্টোবর পেশাগত দায়িত্বপালনকালে পুলিশ ও সাংবাদিকদের ওপর বিএনপি-জামাতের হামলার প্রতিবাদে জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা ঢাকা মহানগর দক্ষিণ কমিটির উদ্যোগে ২৯ অক্টোবর বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত সমাবেশ ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, ২৮ অক্টোবর শান্তিপূর্ণ সমাবেশের কথা বলে বিএনপি-জামাত বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা, হাসপাতালে অগ্নিসংযোগ, পিটিয়ে পুলিশ হত্যা, গাড়ীতে অগ্নিসংযোগ, দায়িত্বরত সাংবাদিকদের ওপর হামলা-নির্যাতনসহ জঘন্য, অমানবিক ও বর্বরোচিত নারকীয় তান্ডব চালিয়েছে। তিনি দোষীদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানান। নিহতদের আত্মার মাগফেরাত ও আহত এবং ক্ষতিগ্রস্তদের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে তিনি ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তার জন্যে সরকার ও বিত্তবানদের প্রতি আহ্বান জানান। পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় সাংবাদিকদের অনুকূল পরিবেশ ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্যে তিনি সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানান।
জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা ঢাকা মহানগর দক্ষিণ কমিটির সভাপতি শাহ আলম স্বপন এর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আহমেদ আলী এর সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি মোঃ আবুল বাশার মজুমদার, সাংগঠনিক সম্পাদক আনিসুর রহমান প্রধান ও ওয়াহিদুজ্জামান অহিদ, ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহফুজ খান, ঢাকা মহানগর সাংগঠনিক সম্পাদক ইসমাইল হোসেন এলিন, সদস্য মোঃ মুন্না, মোঃ মোমিন মিয়া, তুবা সমাজকল্যাণ সোসাইটির সাবেক মহাসচিব দ্বীন ইসলাম সুমন প্রমুখ।

জননেত্রী শেখ হাসিনা ও সুখী—সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ লায়ন মোঃ গনি মিয়া বাবুলবিএনএসঃজাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমা...
27/09/2023

জননেত্রী শেখ হাসিনা ও সুখী—সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ লায়ন মোঃ গনি মিয়া বাবুল

বিএনএসঃ
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর নেতৃত্বে মহান মুক্তিযুদ্ধের ৯ মাসের সশস্ত্র সংগ্রামের মাধ্যমে ১৯৭১ সালে ১৬ ডিসেম্বর প্রতিষ্ঠিত হয় স্বাধীন—সার্বভৌম বাংলাদেশ। যা বাঙালি জাতির সর্বশ্রেষ্ঠ ও মহত্তম অর্জন। জননেত্রী শেখ হাসিনার লক্ষ্য অনুযায়ী ২০২১ সালের ১৬ মার্চ বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হয়েছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা তথা উন্নত ও সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করতে অবিরাম কাজ করছেন প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা।
বঙ্গবন্ধুর আজন্ম লালিত স্বপ্ন ছিলো একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম দেশ। সে দেশই হলো এই বাংলাদেশ। আর এই দেশের স্থপতিকে হত্যা করা হলো ১৫ আগস্ট’ ৭৫—এ। স্বাধীনতা বিরোধীচক্র বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে হত্যা করতে চেয়েছিলো। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ মৃত্যুঞ্জয়ী। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ হচ্ছে— ভাষা আমাদের বাংলা, জাতিতে আমরা বাঙালি, ধর্মে আমরা নিরপেক্ষ। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাঙালি জাতির সবচেয়ে বড় সম্পদ। নতুন প্রজন্মকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উজ্জীবিত করে গড়ে তুলতে হবে। বঙ্গবন্ধুর আজন্ম লালিত স্বপ্ন ছিল—এ দেশের কৃষক, শ্রমিক, কামার, কুমার, জেলে, তাঁতী তথা শ্রমজীবী মেহনতি মানুষের উন্নতি। তাদের ভাত, কাপড়, বাসস্থান, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, চিকিৎসা ও কর্মসংস্থানের গ্যারান্টিসহ বেঁচে থাকার মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করা। শান্তি, স্বস্তি, শৃঙ্খলা ও জান—মালের নিরাপত্তার ব্যবস্থা তথা আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করা। সকল নাগরিকের জন্যে সামাজিক ও অর্থনৈতিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। বাঙালির নিজস্ব ভাষা ও সংস্কৃতির আলোকে বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠা করা। বঙ্গবন্ধুর উপরি ওই আদর্শ—লক্ষ্যকে সামনে রেখে ১৯৭১ সালে বাঙালি জাতি বঙ্গবন্ধুর ডাকেই ঝাঁপিয়ে পড়েছিল মহান মুক্তিযুদ্ধে। মহান মুক্তিযুদ্ধ বাঙালি জাতির সর্বশ্রেষ্ঠ অধ্যায়। বাঙালি জাতির হাজার বছরের ইতিহাসে নিঃসন্দেহে সবচেয়ে মহত্তম ও গৌরবময় ঘটনা আমাদের মুক্তিযুদ্ধ। কিন্তু পরিতাপের বিষয় ১৯৭৫ পরবর্তী সময়ে দীর্ঘদিন বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ছিলো ভূলণ্ঠিত। বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠ কন্যা শেখ হাসিনা ও কনিষ্ঠ কন্যা শেখ রেহানা ১৯৭৫ সালে পশ্চিম জার্মানিতে অবস্থান করায় বেঁচে যান। পরবর্তীকালে তারা রাজনৈতিক আশ্রয়ে ৬ বছর ভারতে অবস্থান করেন।
১৯৮১ সালে শেখ হাসিনার অনুপস্থিতিতে তাঁকে সর্বসম্মতিক্রমে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত করা হয়। ছয় বছরের নির্বাসিত জীবন শেষ করে অবশেষে তিনি ১৯৮১ সালের ১৭ মে দেশে ফিরে আসেন।
১৯৮১ সালে দেশে ফিরে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের সংগ্রামে লিপ্ত হওয়ার পরপরই তিনি শাসকগোষ্ঠির রোষানলে পড়েন। তাঁকে বারবার কারান্তরীণ করা হয়। তাঁকে হত্যার জন্য কমপক্ষে ১৯ বার সশস্ত্র হামলা করা হয়।
১৯৮৩ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি সামরিক সরকার তাঁকে আটক করে ১৫ দিন অন্তরীণ রাখে। ১৯৮৪ সালের ফেব্রুয়ারি এবং নভেম্বর মাসে তাঁকে দু’বার গৃহবন্দী করা হয়। ১৯৮৫ সালের ২রা মার্চ তাঁকে আটক করে প্রায় ৩ মাস গৃহবন্দী করে রাখা হয়। ১৯৮৬ সালের ১৫ অক্টোবর থেকে তিনি ১৫ দিন গৃহবন্দী ছিলেন। ১৯৮৭ সালে ১১ নভেম্বর তাঁকে গ্রেফতার করে এক মাস অন্তরীণ রাখা হয়। ১৯৮৯ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি শেখ হাসিনা গ্রেফতার হয়ে গৃহবন্দী হন। ১৯৯০ সালে ২৭ নভেম্বর শেখ হাসিনাকে বঙ্গবন্ধু ভবনে অন্তরীণ করা হয়।
শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশে উল্লেখযোগ্য হামলাগুলোর মধ্যে রয়েছে ১৯৮৭ সালের ১০ নভেম্বর সচিবালয় ঘেরাও কর্মসূচি পালনকালে তাঁকে লক্ষ্য করে পুলিশের গুলিবর্ষণ। এতে যুবলীগ নেতা নূর হোসেন, বাবুল ও ফাত্তাহ নিহত হন। জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে তাঁকেসহ তাঁর গাড়ি ক্রেন দিয়ে তুলে নেওয়ার চেষ্টা করা হয়। ১৯৮৮ সালের ২৪ জানুয়ারি চট্টগ্রাম কোর্ট বিল্ডিংয়ের সামনে শেখ হাসিনাকে লক্ষ্য করে এরশাদ সরকারের পুলিশ বাহিনী লাঠিচার্জ ও গুলিবর্ষণ করে। এ ঘটনায় শেখ হাসিনা অক্ষত থাকলেও ৩০ জন আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী শহীদ হন। লালদীঘি ময়দানে ভাষণদানকালে তাঁকে লক্ষ্য করে ২বার গুলি বর্ষণ করা হয়। জনসভা শেষে ফেরার পথে আবারও তাঁর গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি বর্ষণ করা হয়।
১৯৯১ সালে বিএনপি সরকার গঠনের পর শেখ হাসিনাকে হত্যার জন্য বারবার হামলা করা হয়। ১৯৯১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর জাতীয় সংসদের উপ—নির্বাচন চলাকালে তাঁকে লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করা হয়। ১৯৯৪ সালে ঈশ্বরদী রেল স্টেশনে তাঁর কামরা লক্ষ্য করে অবিরাম গুলিবর্ষণ করা হয়। ২০০০ সালে কোটালীপাড়ায় হেলিপ্যাডে এবং শেখ হাসিনার জনসভাস্থলে ৭৬ কেজি ও ৮৪ কেজি ওজনের দু’টি বোমা পুতে রাখা হয়। শেখ হাসিনা পৌঁছার পূর্বেই বোমাগুলো সনাক্ত হওয়ায় তিনি প্রাণে বেঁচে যান। বিএনপি সরকারের সময় সবচেয়ে প্রাণঘাতী হামলা হয় ২০০৪ সালের ২১শে আগস্ট। ঐদিন বঙ্গবন্ধু এভিনিউ এক জনসভায় বক্তব্য শেষ করার পরপরই তাঁকে লক্ষ্য করে এক ডজনেরও বেশি আর্জেস গ্রেনেড ছোঁড়া হয়। লোমহর্ষক সেই হামলায় শেখ হাসিনা প্রাণে রক্ষা পেলেও আইভি রহমানসহ তাঁর দলের ২৪ নেতাকর্মী নিহত হন এবং ৫ শত এর বেশি মানুষ আহত হন। শেখ হাসিনা নিজেও কানে আঘাত পান।
২০০৭ সালের ১৬ জুলাই সামরিক বাহিনী সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার তাঁকে গ্রেফতার করে সংসদ ভবন চত্বরে সাবজেলে পাঠায়। প্রায় ১ বছর পর ২০০৮ সালের ১১ জুন তিনি মুক্তিলাভ করেন।
শত বাধা—বিপত্তি এবং হত্যার হুমকিসহ নানা প্রতিকূলতা উপেক্ষা করে শেখ হাসিনা ভাত—ভোট এবং সাধারণ মানুষের মৌলিক অধিকার আদায়ের জন্য অবিচল থেকে সংগ্রাম চালিয়ে গেছেন। তাঁর নেতৃত্বে বাংলাদেশের জনগণ অর্জন করেছে গণতন্ত্র ও বাক—স্বাধীনতা। বাংলাদেশ পেয়েছে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা। শেখ হাসিনার অপরিসীম আত্মত্যাগের ফলেই বাংলাদেশ আজ বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে সক্ষম হয়েছে।
১৯৯৬—২০০১ মেয়াদে শেখ হাসিনা সরকারের উল্লেখযোগ্য সাফল্যগুলো ছিল: ভারতের সাথে ৩০ বছর মেয়াদী গঙ্গা নদীর পানি চুক্তি, পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি, যমুনা নদীর উপর বঙ্গবন্ধু সেতু নির্মাণ এবং খাদ্য উৎপাদনে স্বয়ং—সম্পূর্ণতা অর্জন। এছাড়া, তিনি কৃষকদের জন্য বিভিন্ন কল্যাণমূলক কর্মসূচি এবং ভূমিহীন, দুস্থ মানুষের জন্য সামাজিক নিরাপত্তামূলক কর্মসূচি চালু করেন। এগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল: দুস্থ মহিলা ও বিধবা ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা, মুক্তিযোদ্ধা ভাতা, বয়স্ক ভাতা, বয়স্কদের জন্য শান্তি নিবাস, আশ্রয়হীনদের জন্য আশ্রয়ণ প্রকল্প এবং একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্প।
২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারিতে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ও ২০১৮ সালে ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিপুল ভোটে নির্বাচিত হয়ে একাধারে প্রায় ১৫ বছর যাবত শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ দেশ পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছে।
জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকারের উল্লেখযোগ্য অর্জন গুলির মধ্যে রয়েছে, বিদ্যুতের উৎপাদন ক্ষমতা ২৪০০০ মেগাওয়াটে উন্নীতকরণ, ৮.২০ শতাংশের বেশি প্রবৃদ্ধি অর্জন, ৮ কোটি মানুষকে নিম্ন মধ্যবিত্ত থেকে মধ্যবিত্তে উন্নীতকরণ, ভারত ও মায়ানমারের সঙ্গে সামুদ্রিক জলসীমা বিরোধের নিষ্পত্তি, ভারতের সাথে স্থলসীমা (ছিটমহল) সমস্যা সমাধান, প্রতিটি ইউনিয়নে ডিজিটাল সেন্টার স্থাপন, মাধ্যমিক পর্যায় পর্যন্ত সকল শিক্ষার্থীর মধ্যে বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ, কৃষকদের জন্য কৃষিকার্ড এবং ১০ টাকায় ব্যাংক হিসাব খোলা, বিনা জামানতে বর্গাচাষীদের ঋণ প্রদান, চিকিৎসাসেবার জন্য সারাদেশে প্রায় ১৮ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক এবং ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্র স্থাপন, দারিদে্র্যর হার ৩৮.৪ থেকে ২১.৩ শতাংশে হ্রাস, পদ্মা সেতু নির্মাণ, মেট্রোরেল নির্মাণ, পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন, কর্ণফুলির টার্নেল, ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, নতুন নতুন ওড়ালসেতু নির্মাণ, প্রায় সকল মহাসড়কগুলো চার লেনে উন্নীতকরণ, রেলপথে ব্যাপক উন্নয়ন, আকাশে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট—১ এর সফল উৎক্ষেপন, যুদ্ধাপরাধের বিচার, বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের বিচার, পিলখানা হত্যাকান্ডের বিচার, জঙ্গী দমন ইত্যাদি।
উল্লেখ্য যে গত ১৫ বছরে পর্যায়ক্রমে সরকার এক একটি সমস্যার সমাধান করেই চলেছে। ২০০৯ সালে শুরুতেই সরকারকে বিপদে ফেলানোর জন্যে পিলখানা হত্যাকান্ড ঘটানো হয়। সরকারের বয়স যখন মাত্র দুই মাস তখনই ঘটলো পিলখানার বিডিআর হত্যাকান্ড। জননেত্রী শেখ হাসিনার দক্ষতা, প্রজ্ঞা, দূরদর্শিতা গতিশীল নেতৃত্বে প্রতিটি সংকটে সরকার উপযুক্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে ও যথাযথভাবে সমস্যার সমাধান করেছে। সম্প্রতি জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে সন্ত্রাস ও দূর্নীতিবিরোধী অভিযান চলছে। এই অভিযানেও সরকার সফল হবে বলে আমরা মনে করি। দেশের মানুষের মানবিক মর্যাদা, সমঅধিকার ও ন্যায্যতা নিশ্চিত করতে দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসন ও সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে হবে। জননেত্রী শেখ হাসিনা দুর্নীতিমুক্ত নিরাপদ বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করতে সাহসী উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এই উদ্যোগকে শতভাগ সফল করতে সকলের ঐক্যবদ্ধ সহযোগিতা প্রয়োজন। জননেত্রী শেখ হাসিনা ইতোমধ্যে বিশ্ব নেত্রী হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন। তাকে মাদার অব হিউমিনিটি বা মানবতার মা হিসেবে উপাধি প্রদান করা হয়েছে।
শান্তি, মানবতা ও উন্নয়নে অসামান্য অবদান রাখায় তিনি ইতোমধ্যে ৪০টি আন্তর্জাতিক মর্যাদা সম্পন্ন পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা তথা উন্নত ও সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ এবং আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে জননেত্রী শেখ হাসিনা দিনরাত নিরলসভাবে কাজ করছেন।
সম্প্রতি চলমান মাদক, জুয়া, সন্ত্রাস ও দুর্নীতি বিরোধী অভিযান তারই অংশ বিশেষ।
২০২০ সালের শুরুতেই বিশ্বব্যাপী করোনা মহামারী চলছে, বাংলাদেশে ওই বছরের ৮ মার্চ প্রথম করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হওয়ার সাথে সাথেই জননেত্রী শেখ হাসিনার বিচক্ষণতা ও দক্ষ নেতৃত্বের ফলে দ্রুত প্রতিরোধ ও জনসচেতনতামূলক নানা কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। ফলে বিশ্বে যেখানে করোনা ভাইরাসে অর্থনৈতিক বিপর্যয়সহ মানুষের চিকিৎসা, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, কর্মসংস্থান প্রবৃদ্ধি ক্ষেত্রে নাজুক অবস্থা ও জনদুর্ভোগ চরমে। সেখানে জননেত্রী শেখ হাসিনার দক্ষ নেতৃত্বের কারণে বাংলাদেশের অর্থনীতি ব্যবস্থা সচল ছিলো এবং ব্যাংকের রিজার্ভ বেড়েছে। করোনা ভাইরাস নিয়ন্ত্রণে রাখতে সরকার সক্ষম হয়েছে। যা জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে প্রশংসিত হয়েছে। বিশ্বে অল্প কয়েকটি দেশ করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে ভ্যাকসিন দেওয়া চালু করতে সক্ষম হয়েছে। অনেক উন্নত দেশ এখনও তাদের জনগণকে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে ভ্যাকসিন সরবরাহ করতে যেখানে সফল হয়নি, কিন্তু বাংলাদেশ সরকার জনগণকে করোনা প্রতিরোধে কোভিড—১৯ ভ্যাকসিন দিতে সফল হয়েছে। ইতোমধ্যে বাংলাদেশ স্বল্পন্নোত দেশ থেকে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হয়েছে। জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অল্প দিনের মধ্যেই বাংলাদেশ উন্নত দেশে পরিণত হবে বলে আমরা আশা করি। ঐতিহাসিক ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণ জাতিসংঘের দাপ্তরিক সকল ভাষায় অনুবাদ হয়ে প্রকাশিত ও প্রচারিত হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের ১৭ মার্চ জাতিসংঘের ইউনেস্কো বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণকে আন্তর্জাতিক প্রামান্য দলিল হিসেবে স্বীকৃত দিয়েছে। যা বিশ্বের সকল নিপীড়িত, নির্যাতিত, নিষ্পেষিত মুক্তিকামী মানুষের মুক্তির সনদ হিসেবে কাজ করছে। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা তথা উন্নত আধুনিক সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করতে জননেত্রী শেখ হাসিনা দক্ষতা ও প্রশংসার সাথে দিনরাত কাজ করে আসছেন। আমরা যার যার অবস্থান থেকে স্বীয় সামর্থ অনুযায়ী জননেত্রী শেখ হাসিনার এ সকল ভাল কাজে আন্তরিকভাবে সহযোগিতা করবো। পাশাপাশি আমরা হৃদয়ে—অন্তরে বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার আদর্শকে ধারণ করবো। বঙ্গবন্ধু স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণের লক্ষে বর্তমান সরকার ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি উন্নত রাষ্ট্রে প্রতিষ্ঠিত করতে সফলতার দিকে দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। দেশের এই উন্নয়ন—অগ্রগতি অব্যাহত রাখতে প্রত্যেক নাগরিককে সততা, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার সাথে স্বীয় দায়িত্ব পালন করতে হবে। জঙ্গীবাদ ও সন্ত্রাস দমনে সরকার যথেষ্ট সফল, তবে গাফটি মেরে বসে থাকা জঙ্গি ও সন্ত্রাসীরা যেন আবার মাথা চাড়া দিয়ে উঠতে না পারে সেই দিকে সকলকে সচেষ্ট থাকতে হবে। সেই সাথে ব্যাংকিং খাতসহ সকল ক্ষেত্রে দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসন সুনিশ্চিত করতে হবে। দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় এবং সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ গড়ে তুলতে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় সকলকে সততা ও দেশপ্রেমের সাথে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। প্রত্যেক মানুষের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধের লক্ষ্যসমূহ জাগ্রত করতে হবে। উন্নয়নের অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রায় এখন বাংলাদেশ। ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন এবং ২০৪১ সালে মধ্যে বাংলাদেশ পৌঁছে যাবে উন্নত দেশের তালিকায়। এই বছরের ডিসেম্বরে অথবা ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। দেশের সংবিধান অনুযায়ী সুষ্ঠ, অবাধ, নিরপেক্ষ, অংশগ্রহণমূলক ও জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক মহলের কাছে গ্রহণযোগ্য একটি নির্বাচন করার জন্যে বর্তমান সরকার কাজ করছে। বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনও সুষ্ঠ, অবাধ, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন করতে অঙ্গীকারাবদ্ধ। কিন্তু সুষ্ঠ নির্বাচনের তথাকথিত দাবিতে মার্কিন ভিসানীতির ভয় দেখানোসহ দেশবিরোধী নানা ষড়যন্ত্র চলছে। বাংলাদেশের সদ্যবিদায়ী প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বলেছেন, “যারা ভিসা নীতির ভয় দেখাচ্ছে তারাই আমাদের স্বাধীনতার বিরোধীতা করেছিল।” দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র—চক্রান্তের বিরুদ্ধে সকলকে সজাগ থাকতে হবে এবং সম্মিলিতভাবে কাজ করে যেতে হবে। দেশবিরোধী অশুভ শক্তিকে মোকাবেলা করে জননেত্রী শেখ হাসিনা তাঁর দক্ষ ও গতিশীল নেতৃত্বের মাধ্যমে দেশের উন্নয়ন অগ্রগতিকে অব্যাহত রেখেছেন। এই উন্নয়ন—অগ্রগতি অব্যাহত রাখতে আসন্ন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে জননেত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর মনোনীতদেরকে ভোট প্রদান করে নির্বাচিত করতে হবে। জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা তথা সুখী—সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ নিশ্চয়ই প্রতিষ্ঠিত হবে জাতি তা প্রত্যাশা করে। বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠ কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা ১৯৪৭ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর গোপালগঞ্জের মধুমতি বিধৌত টুঙ্গিপাড়ায় জন্ম গ্রহণ করেন। ২০২৩ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার তাঁর ৭৭তম জন্মদিন। তাঁর জন্মদিনে বঙ্গবন্ধু গবেষণা পরিষদের পক্ষ থেকে তাঁকে জানাই আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা। জননেত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিনে আমাদের অঙ্গীকার হোক, আমরা হৃদয়ে—অন্তরে বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার আদর্শকে ধারণ করবো। আমরা সততা, স্বচ্ছতা ও দেশপ্রেমের সাথে স্বীয় দায়িত্ব পালন করবো।

জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা'র কেন্দ্রীয় সভাপতি সাংবাদিক নেতা মুহম্মদ আলতাফ হোসেনের ৭৭ তম জন্ম দিবস ।বিএনএসঃ  ২৭শে সেপ্টেম্বর ...
26/09/2023

জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা'র কেন্দ্রীয় সভাপতি সাংবাদিক নেতা মুহম্মদ আলতাফ হোসেনের ৭৭ তম জন্ম দিবস ।

বিএনএসঃ
২৭শে সেপ্টেম্বর জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা ও কেন্দ্রীয় সভাপতি বিশিষ্ট-প্রবীণ সাংবাদিক আলতাফ হোসেনের ৭৭ তম জন্ম দিবস।
দেশের সাংবাদিকতা জগতে মুহম্মদ আলতাফ হোসেন একটি পরিচিত নাম। তিনি ১৯৭০ সালে সাংবাদিকতাকে পেশা হিসেবে গ্রহণ করে বিগত ৫৪ বছরে দৈনিক আজাদ, দৈনিক গণকণ্ঠ, দৈনিক জনতা, দৈনিক সমাজ, দৈনিক ইনকিলাব সহ বিভিন্ন পত্রিকায় বিভিন্ন সময়ে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন। ১৯৭০ সাল থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত তিনি বাংলাদেশ বেতারের বাংলা সংবাদ বিভাগে কাজ করেন। তাছাড়া বেতারে বিভিন্ন কথিকা ও সংবাদ পর্যালোচনা লিখেছেন দীর্ঘদিন। তিনি অবিভক্ত ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন ও বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের নির্বাহী সদস্য ছিলেন। তিনি নজরুল একাডেমীসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের সাথে সম্পৃক্ত রয়েছেন। তার উদ্যোগেই ১৯৮২ সালের ১২ই ফেব্রুয়ারি দেশের সর্বস্তরের সাংবাদিকদের একক সংগঠন জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা প্রতিষ্ঠা লাভ করে। বিভিন্ন সংবাদপত্র ও ম্যাগাজিনে তার বহু প্রবন্ধ, গল্প, কবিতা ও নিবন্ধন প্রকাশিত হয়েছে। তিনি দেশের অন্যতম আন্তর্জাতিক বিশ্লেষক হিসেবে পরিচিত। ১৯৭৩ সাল থেকে তিনি আন্তর্জাতিক বিষয়ে নিয়মিত পর্যালোচনামূলক লেখা লিখে আসছেন।
বিশিষ্ট সমাজসেবী মরহুম আবদুল কাদের ও মা আম্বিয়া খাতুনের জ্যেষ্ঠপুত্র মুহম্মদ আলতাফ হোসেনের জন্ম ১৩৫৪ সালের ১১ই আশ্বিন অর্থাৎ ১৯৪৭ সালের ২৭শে সেপ্টেম্বর বরিশাল জেলা বাকেরগঞ্জ উপজেলার আওতাধীন ১৪নং নিয়ামতি ইউনিয়ন ৪নং ওয়ার্ডের ঢালমারা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। বরিশালের প্রত্যন্ত গ্রামে জন্ম হলেও বাবার কর্মস্থল ঢাকায় বসবাস শুরু করেন শিশুকালেই। সেই সূত্রে কমলাপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়, কায়েদে আজম কলেজ (বর্তমান শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ) ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে তার শিক্ষা জীবন অতিবাহিত হয়।
মুহম্মদ আলতাফ হোসেন ১৯৭০ সালে সাংবাদিকতা পেশায় যোগদান করেন। সেই বছর তিনি সদ্য প্রকাশিত দৈনিক সংগ্রামে যোগ দেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালে তিনি দৈনিক গণকণ্ঠে যোগদান করেন। ১৯৮৬ সালে দৈনিক ইনকিলাব প্রকাশিত হলে তিনি সহকারী বার্তা সম্পাদক পদে যোগ দেন। বিশিষ্ট বেতার ব্যক্তিত্ব মুহম্মদ আলতাফ হোসেন ১৯৭০ সালের ১৬ই অক্টোবর তৎকালীন রেডিও পাকিস্তান ঢাকা কেন্দ্রে যোগ দেন। তিনি ঢাকা বেতারে সব ধরণের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন। বিভিন্ন কথিকা ও সংবাদ পর্যালোচনা লিখে তিনি সুনাম অর্জন করেন। ঢাকা বেতারের বার্তা বিভাগেও তিনি দীর্ঘদিন কাজ করেন। তিনি জাতীয় ভিত্তিক বার্তা প্রতিষ্ঠান এফএনএস (ফেয়ার নিউজ সার্ভিস) এর প্রধান সম্পাদক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তার সম্পাদনায় বিগত ৪২ বছর ধরে প্রকাশিত হচ্ছে একটি সম্পূর্ণ জাতীয় সংবাদপত্র সমতল।
মুহম্মদ আলতাফ হোসেন ছাত্র জীবন থেকেই বিভিন্ন সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। কবি জসীম উদ্দীনের সাহিত্য সাধনা সংঘ, অধ্যাপক মহিউদ্দিন আহমদের পূর্ণিমা বাসর, মোহাম্মদ নাসির উদ্দীনের সাওগাত সাহিত্য পরিষদ তার অন্যতম। মুহম্মদ আলতাফ হোসেন আলাপন সাহিত্য গোষ্ঠীর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, বাংলাদেশ যুব আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা মহাসচিব, জাতীয় কৃষ্টি পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এবং বাংলা সাহিত্য পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তিনি বাংলাদেশ লেখক সমিতির অন্যতম উপদেষ্টা। তার সম্পাদনায় ‘আলাপন’ নামের সাহিত্য সাময়িকী দীর্ঘদিন প্রকাশিত হয়। দেশের বহু বিশিষ্ট সাংবাদিক ও সাহিতিকের সংস্পর্শে তিনি এসেছেন। তাদের মধ্যে প্রিন্সিপাল ইব্রাহিম খাঁ, ডঃ কাজী দীন মুহম্মদ, কবি তালিম হোসেন, মোহাম্মদ মোদাব্বের, কবি জসিম উদ্দীন, আকবর হোসেন, মুজিবুর রহমান খাঁ, আখতার-উল আলম, ডঃ আশরাফ সিদ্দিকী, অধ্যাপক মহিউদ্দিন আহমদ, এ.কে.এম মহিউদ্দিন, অধ্যাপক আবদুল গফুর অন্যতম।
মুহম্মদ আলতাফ হোসেনের ছাত্র জীবন থেকেই লেখালেখির অভ্যাস। তার প্রবন্ধ, কবিতা ও গল্প বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। বিশ্ব পরিস্থিতি সম্পর্কে এক সময় তিনি আজাদ, পূর্বদেশ, বাংলার বাণী, দৈনিক জনপদ ও ঢাকা ডাইজেস্ট পত্রিকায় নিয়মিত লিখতেন।
বাংলাদেশের সাংবাদিকতা জড়তে মুহম্মদ আলতাফ হোসেন একটি পরিচিতি নাম। তিনি ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের একজন সংগ্রামী সদস্য ছিলেন। তিনি ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে)’র নির্বাহী পরিষদের সদস্য ছিলেন। ১৯৮০ সালে চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের প্রতিনিধি সম্মেলনে তিনি নির্বাহী সদস্য নির্বাচিত হন। কিন্তু দেশের গ্রামীণ সাংবাদিকদের প্রতি রাজধানীতে কর্মরত সাংবাদিকদের অবহেলার প্রতিবাদে তিনি ১৯৮২ সালে জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা গঠন করেন।
১৯৮২ সালের ১২ই ফেব্রুয়ারি প্রতিষ্ঠিত জাতীয় সাংবাদিক সংস্থাকে তিনি নেপথ্যে থেকে গড়ে তোলেন। কারণ তিনি তখন বিএফইউজে ও ডিইউজে’র সক্রিয় সদস্য। ১৯৮৫ সালে তিনি সংস্থার মহাসচিবের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। পরে ১৯৮৯ সালে সভাপতি নির্বাচিত হন। তার বলিষ্ঠ ও গতিশীল নেতৃত্বে দেশের সকল জেলা ও অধিকাংশ উপজেলা/থানায় জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা পরিচিত লাভ করেছে। টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া পর্যন্ত সর্বস্তরের সাংবাদিকদের একক সংগঠন হিসেবে জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা (জেএসএস) বিকাশ লাভ করেছে। আর মুহম্মদ আলতাফ হোসেন দেশের নবীন ও অবহেলিত গ্রামীণ সাংবাদিক সমাজের পরিচয় পতাকা হিসেবে স্বীকৃত হয়েছেন। বাংলাদেশের সাংবাদিকতার বিকাশ ও উন্নয়নে তিনি বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখছেন। বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউট থেকে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত মুহম্মদ আলতাফ হোসেন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের আয়োজিত সাংবাদিক প্রশিক্ষণ কর্মশিবিরে প্রশিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। মুহম্মদ আলতাফ হোসেন কলেজ অব জার্নালিজম-এর প্রতিষ্ঠাতা প্রিন্সিপাল ছিলেন। বেসরকারি উদ্যোগে সাংবাদিকতা প্রশিক্ষণের লক্ষ্যে এই কলেজ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন সাংবাদিক সৈয়দ তাজ-উস-শফী। কিন্তু প্রায় ৫ বছর নানা কারণে ২০০১ সালের পর কলেজটি আর চালানো যায়নি। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ মিডিয়া ইনস্টিটিউটের পরিচালনা পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
দেশের সাংবাদিক সমাজ বিশেষ করে গ্রামীণ সাংবাদিক সমাজের কল্যাণে মুহম্মদ আলতাফ হোসেন আজীবন নিবেদিক প্রাণ। দেশের সংবাদপত্র জগতকে একটি শিল্প হিসেবে গড়ে তোলা এবং সংবাদপত্র ও সাংবাদিকতার স্বাধীনতা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে মুহম্মদ আলতাফ হোসেনের প্রয়াস নিরন্তর। দেশের সংবাদপত্র শিল্পকে একটি সুষ্ঠু ভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠিত করা এবং সর্বস্তরের সাংবাদিক সমাজের আর্থিক নিরাপত্তা ও সামাজিক মর্যাদা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে তিনি প্রণয়ন করেছেন ২১ দফা কর্মসূচি। এই সকল কর্মসূচি বাস্তবায়িত হলে দেশের গ্রামীণ ও শহরে সব ধরনের সাংবাদিকদের রুটি রুজি ও সামাজিক মর্যাদা নিশ্চিত হবে। তার নেতৃত্বে জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা এই ২১ (একুশ) দফা বাস্তবায়নে সারাদেশে কাজ করে যাচ্ছে।
মুহম্মদ আলতাফ হোসেন ও স্ত্রী আছিয়া হোসেন অত্যন্ত সফল দম্পতি। তাদের দুইটি পুত্র সন্ত্বান।জ্যেষ্ঠ পুত্র ডাঃ মুহম্মদ মুনীর হোসেন ইউএনএফপিএ’র বাংলাদেশের কাট্রি প্রোগ্রাম অফিসার , কনিষ্ঠ পুত্র মুহম্মদ মনজুর হোসেন সিটি ব্যাংকের অফিসার। দুই পুত্র, পুত্রবধুদ্বয় এবং উভয় পক্ষে তিন নাতী-নাতনীসহ এই সাংবাদিক নেতা দুনিয়াতেই জান্নাতী সুখে বসবাস করছেন। তিনি যেন পরকালেও জান্নাত লাভে ধন্য হন সেই দোয়া তার কাম্য সর্ব মহলের কাছে।

সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী স্মৃতি সম্মাননা পদকে ভূষিত হলেন জেএসএস এর প্রধান উপদেষ্টা লায়ন গনি মিয়া বাবুল।নিউজ ডেস্কঃজাতীয় সাংবা...
18/09/2023

সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী স্মৃতি সম্মাননা পদকে ভূষিত হলেন জেএসএস এর প্রধান উপদেষ্টা লায়ন গনি মিয়া বাবুল।

নিউজ ডেস্কঃ
জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা (জেএসএস) এর প্রধান উপদেষ্টা ও বঙ্গবন্ধু গবেষণা পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি লায়ন মোঃ গনি মিয়া বাবুল সফল সংগঠক হিসেবে মানবকল্যাণে বিশেষ অবদান রাখায় ‘সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী স্মৃতি সম্মাননা পদক ২০২৩’ এ ভূষিত হয়েছেন। বঙ্গবন্ধু একাডেমীর উদ্যোগে ১৮ সেপ্টেম্বর সোমবার বিকেলে ঢাকার কাকরাইলস্থ ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলির সাবেক সদস্য ও সাবেক সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী এবং গুণীজন সম্মাননা পদক প্রদান উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের অন্যতম উপদেষ্টা জননেতা মোজাফ্ফর হোসেন পল্টু তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে এই সম্মাননা পদক প্রদান করেন। অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা কামাল চৌধুরী।
সংগঠনের সভাপতি শেখ ইকবাল খোকনের সভাপতিত্বে ও মহাসচিব হুমায়ুন কবির মিজির সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার ব্যক্তিবর্গ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য, লায়ন মোঃ গনি মিয়া বাবুল দীর্ঘদিন যাবত বিভিন্ন সংগঠনের গুরুত্বপূর্ণ পদে প্রশংসার সাথে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। বর্তমানে তিনি বঙ্গবন্ধু গবেষণা পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি এবং সাংবাদিকদের বৃহত্তর সংগঠন জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা (জেএসএস) এট প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দক্ষতা ও প্রশংসার সাথে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি ২০০৮ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত কবিসংসদ বাংলাদেশের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। এসময় বেশ কয়েকটি জতীয় কবি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এসকল কবি সম্মেলনে দেশবরেণ্য কবি-সাহিত্যিকগণ অংশগ্রহণ করেন। বাংলাদেশের গণমাধ্যমে একটি পরিচিত নাম লায়ন গনি মিয়া বাবুল। তিনি গাজীপুর থেকে প্রকাশিত দৈনিক গণমুখ (তৎকালীন সাপ্তাহিক) পত্রিকায় ১৯৮৭ সালে সাংবাদিকতা শুরু করেন। পরবর্তীতে দেশের বহুপ্রচারিত দৈনিক খবর পত্রিকায় তিনি ১৯৮৮ সাল থেকে ১৯৯৫ সাল পর্যন্ত প্রশংসার সাথে স্বীয় দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করেন। তিনি দৈনিক প্রভাত, দৈনিক প্রাইম, দৈনিক মুক্তসংবাদ, দৈনিক জনসংবাদ, বার্তা সংস্থা ফেয়ার নিউজ সার্ভিস-এফএনএস প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে সাংবাদিক হিসেবে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করছেন। বর্তমানে তিনি দেশের জনপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল নিরাপদ নিউজ ডটকম এ যুগ্ম সম্পাদক এবং বাংলাদেশ সংবাদের সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়া তিনি দৈনিক ভোরের সময়ের উপদেষ্টা ও সাপ্তাহিক ঝুমুর পত্রিকার প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালন করছেন। দেশের জনপ্রিয় জাতীয় সংগঠন নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) এর গাজীপুর জেলা শাখার সভাপতি হিসেবে তিনি ১৯৯৮ সাল থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি নিসচা’র কেন্দ্রীয় যুগ্ম-মহাসচিব হিসেবে ২০১০ সাল থেকে স্বীয় দায়িত্ব প্রশংসা ও দক্ষতার সাথে পালন করে আসছেন। সড়ক দুর্ঘটনারোধে ও এই বিষয়ে গণসচেতনতা তৈরীতে তিনি বিশেষ অবদান রাখছেন।
তিনি বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের মাধ্যমে ও ব্যক্তিগতভাবে আর্তমানবতার সেবায় নিয়োজিত রয়েছেন। ইতিমধ্যে তিনি মানবসেবায় বিশেষ অবদান রাখায় আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ‘মেলভিন জোন ফেলো-এমজেএফ’ উপাধিসহ শতাধিক জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন। তিনি প্রায় ৩২ বছর যাবত সর্বস্তরে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নে কাজ করে আসছেন। তিনি বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধকে নিয়ে গবেষণা করছেন এবং তার গবেষণালব্ধ প্রবন্ধ, নিবন্ধ ও কলাম বিভিন্ন জাতীয় ও আঞ্চলিক গণমাধ্যমে প্রকাশ ও প্রচার হয়ে আসছে। তার এসকল লেখা ইতোমধ্যে যথেষ্ট পাঠকপ্রিয়তা অর্জন করেছে। তার নিজ জন্মস্থান গাজীপুর জেলার শ্রীপুরে স্কুল, মসজিদ, মাদ্রাসা, শিশু ও গণশিক্ষা কেন্দ্র, পাঠাগার প্রভৃতি জনহিতকর প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠায় মূখ্য ভূমিকা পালন করে আসছেন। তিনি বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনের গুরুত্বপূর্ণ পদে স্বীয় দায়িত্ব প্রশংসা ও দক্ষতার সাথে পালন করে আসছেন। বিভিন্ন জাতীয় ও আঞ্চলিক সংবাদপত্রে প্রবন্ধ, কবিতা ও ছড়া লেখে তিনি ইতোমধ্যে যথেষ্ট পরিচিতি লাভ করেছেন। তিনি উক্ত সম্মাননা পদকে ভূষিত হওয়ায় বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন ও বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ তাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।

Address

41/1, Purana Paltan (3rd Floor)
Dhaka
1000

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Bangladesh News Syndicate posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Bangladesh News Syndicate:

Videos

Share


Other Media/News Companies in Dhaka

Show All