Shebok news

Shebok news সত্য উন্মোচনে অদম্য, উদ্ঘাটনে দুঃসাহসী।
কর্তবে দৃঢ় নিষ্ঠ,কর্মে উদ্যমী ও পারদর্শী।
প্রচারে নির্ভয়...

৬৪ জন উদ্যোক্তা চাই যাদের নিজে কিছু করার ইচ্ছা আছে"চাকরি করব না, চাকরি দিব"এই শ্লোগানে যারা বিশ্বাসী64 টি জেলা থেকে 64 ট...
20/03/2023

৬৪ জন উদ্যোক্তা চাই
যাদের নিজে কিছু করার ইচ্ছা আছে

"চাকরি করব না, চাকরি দিব"এই শ্লোগানে যারা বিশ্বাসী

64 টি জেলা থেকে 64 টি জন নিব
আপনাকে ভালো ইনকাম করানো দ্বায়িত্ব আমাদের (শুধুমাত্র পরিশ্রমী ও স্বল্প বিনিয়োগ ও যারা সময় বিনিয়োগ করতে পারবেন তাহারাই ইনবক্সে মেসেজ করবেন)

17/03/2023
একটা বাজপাখি সাউথ-আফ্রিকা থেকে ফিনল্যান্ডে উড়ে যাওয়ার সময় তার শরীরে কিছু ইকুইপমেন্ট বসানো হয়, আর এই ছবিতে দেখা যাচ্ছে স্...
16/03/2023

একটা বাজপাখি সাউথ-আফ্রিকা থেকে ফিনল্যান্ডে উড়ে যাওয়ার সময় তার শরীরে কিছু ইকুইপমেন্ট বসানো হয়, আর এই ছবিতে দেখা যাচ্ছে স্যাটেলাইট থেকে তার যাত্রাপথ।

পাখিটি ৪২ দিনে এই ১০,০০০কিলোমিটার পথ উড়ে পারি দিয়েছে, গড়ে প্রতিদিন ২৩০ কিমি উড়েছে প্রায় সমান্তরালভাবে।

স্যাটেলাইটে তার রুটে ভালোভাবে লক্ষ্য করলে দেখা যাবে, বড় জলাশয় বা সমুদ্র সামনে আসলে সে সেখান থেকে পথ পরিবর্তন করেছে যেন বিশ্রাম নিতে চাইলে স্থলভুমি পায়।

আবার, মিশর-সুদানের মরুভূমিকেও পাশ কাটিয়ে গিয়েছে যেন তৃষ্ণা পেলে পানির অভাবে না পরতে হয়।

কঠিন কঠিন এসব ম্যাপিং, রাউটিং, আল্টিটিঊড নলেজ সায়েন্টিস্টরা যুগের পর যুগ ধরে যেখানে ডেভেলপ করে, পাইলটদের এসব শিখতে যেখানে বছরের পর বছর লেগে যায়,
এই ছোট্ট পাখিকে তাহলে কে শেখালো এতকিছু?

আরও মজার কথা হল, হাই আল্টিটিঊডে উড়ার সময় এদের ১% এনার্জিও খরচ হয়না, শুধু ভেসে ভেসে, অনেক সময় ঘুমিয়ে ঘুমিয়েও এরা শত শত মাইল পাড়ি দিতে পারে। এই নিখুঁত টেকনোলজি কিভাবেই বা এদের শরীরে এলো?
সুবহানাল্লাহ, মহান রবের কুদরত অপরিসীম।

তথ্য ইন্ডিয়া টাইমস।

15/03/2023

সবচাইতে বড় ব্যাক্তিত্ব হচ্ছে নিজের দোষ খুজে তা স্বীকার করতে পারার সৎসাহস থাকা, নির্বুদ্ধিতা হলো নিজ বুদ্ধি সময় ব্যয় করে অন্যের দোষ খোঁজা বা চর্চা করা।

মসজিদুল হারামে ইমাম হিসেবে ৪০ বছর পূর্ণ করলেন শেখ আব্দুর রহমান আস সুদাইস। ১৯৮৪ সালে এই দিনে মাত্র ২২ বছর বয়সে তিনি মসজি...
14/03/2023

মসজিদুল হারামে ইমাম হিসেবে ৪০ বছর পূর্ণ করলেন শেখ আব্দুর রহমান আস সুদাইস। ১৯৮৪ সালে এই দিনে মাত্র ২২ বছর বয়সে তিনি মসজিদুল হারামের ইমাম হিসেবে নিয়োগ প্রাপ্ত হয়েছিলেন।

আলহামদুলিল্লাহ বাংলার তিন উজ্জ্বল নক্ষত্র এখন দাওয়াতে দ্বীনের কাজে তুরস্কে অবস্থান করছে শাইখ প্রফেসর ড.গিয়াস উদ্দিন তালু...
13/03/2023

আলহামদুলিল্লাহ
বাংলার তিন উজ্জ্বল নক্ষত্র এখন দাওয়াতে দ্বীনের কাজে তুরস্কে অবস্থান করছে

শাইখ প্রফেসর ড.গিয়াস উদ্দিন তালুকদার
আরবী বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়

আল্লামা মুফতি ওবায়দুল্লাহর হামজা,হাফিজাহুল্লাহ
পরিচালক : আল - জামিয়া আল ইসলামিয়া, পটিয়া, চট্টগ্রাম।

শাইখ আহমদুল্লাহ, হাফিজাহুল্লাহ
চেয়ারম্যান, আস্ সুন্নাহ ফাউন্ডেশন
..........সকলের সফর আল্লাহ তায়ালা কবুল করুক...........

হে আমার জাতি ! তোমরা আল্লাহর ইবাদত কর, তিনি ছাড়া অন্য কোন ইলাহ নেই। তিনি তোমাদের কে মাটি থেকে সৃষ্টি করেছেন এবং এতেই তোম...
12/03/2023

হে আমার জাতি ! তোমরা আল্লাহর ইবাদত কর, তিনি ছাড়া অন্য কোন ইলাহ নেই। তিনি তোমাদের কে মাটি থেকে সৃষ্টি করেছেন এবং এতেই তোমাদেরকে আবাদ করেছেন।

সূতরাং তাঁর কাছেই তোমরা ক্ষমা প্রার্থনা কর ও তাঁরই প্রতি মনোনিবেশ কর। নিশ্চয় আমার রব নিকটেই আছেন ; তিনি দোয়া কবুল করে থাকেন।
সূরা হূদ- ১১ > ৬১

৬৪ জেলা থেকে প্রতিনিধি নিয়ে নতুন সংবাদ মাধ্যম "SHEBOK NEWS"চালু করতে আগ্রহীগন যোগাযোগ করুন। সবাই মিলে মালিকানাsheboknews...
10/03/2023

৬৪ জেলা থেকে প্রতিনিধি নিয়ে নতুন সংবাদ মাধ্যম
"SHEBOK NEWS"
চালু করতে আগ্রহীগন যোগাযোগ করুন।
সবাই মিলে মালিকানা
[email protected]

10/03/2023

৬৪ জেলা থেকে প্রতিনিধি নিয়ে নতুন সংবাদ মাধ্যম
"SHEBOK NEWS"
চালু করতে আগ্রহীগন যোগাযোগ করুন।
সবাই মিলে মালিকানা

30/12/2022
30/12/2022

ফুরফুরা দরবার ৬১ তম বাৎসরিক মাহফিল ২০২২

28/12/2022

শেখ হাসিনার দুরদর্শিতার ফল আজকের মেট্রোরেল আজ ২৮ ডিসেম্বর ২০২২, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার উদ্ব.....

গুড়ি গুড়ি বৃষ্টিতে বাড়ছে শীতের প্রকোপ
27/12/2022

গুড়ি গুড়ি বৃষ্টিতে বাড়ছে শীতের প্রকোপ

SHEBOK NEWS-সেবক নিউজ আবহাওয়াশীতের সকালে হঠাৎ বৃষ্টিনিজস্ব প্রতিবেদকপ্রকাশিত: ১০:০৩, ২৭ ডিসেম্বর ২০২২শীতের সকালে হঠাৎ .....

25/12/2022

শিশির ভেজা শুভ সকাল

বিষয়ঃ মুক্তিযুদ্ধের পাতা হতেসুত্রঃ সোহেল তাজের অনলাইন ডায়রি২২ ডিসেম্বর ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীনতা অর...
25/12/2022

বিষয়ঃ মুক্তিযুদ্ধের পাতা হতে

সুত্রঃ সোহেল তাজের অনলাইন ডায়রি

২২ ডিসেম্বর ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীনতা অর্জনে নেতৃত্বদানকারী বাংলাদেশের প্রথম সরকার এই স্বাধীন বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তন করেন- এই দিন উপলক্ষে আমার বড় বোন শারমিন আহমদের এর একটি লেখা……

বিজয়ী সরকারের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন

শারমিন আহমদ

১৯৭১ সালের ২২ ডিসেম্বর। ৫১ বছর আগের এই সোনালী দিনটিতে স্বাধীনতা যুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী ও বিজয়ী গণপ্রজাতন্ত্রী প্রথম বাংলাদেশ সরকারের মন্ত্রীসভার সদস্যরা স্বদেশে প্রত্যাবর্তন করেন। তাঁদেরকে বিদায় জানাতে কলকাতার দমদম বিমান বন্দরে এসেছিলেন ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর ( বিএসএফ) মহা পরিচালক কে এফ রুস্তামজী এবং বিএস এফের পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ডের ইনস্পেক্টর জেনারেল গোলোক মজুমদার। রুস্তামজী প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদকে বলেন, “আমরা আশা করব ভারত-বাংলাদেশের মৈত্রীর বন্ধন চিরকাল অটুট থাকবে।“ প্রধানমন্ত্রী তৎক্ষণাৎ উত্তর দিলেন, “ হ্যাঁ, তা হবে সমানে সমানে। স্বাধীন বাংলাদেশের উপর যদি চাপ সৃষ্টি না করা হয়, বাংলাদেশের কাজকর্মে যদি কোন প্রভাব বিস্তার না করা হয় তাহলে স্বাধীন বাংলাদেশ ও স্বাধীন ভারতের মৈত্রী চিরকাল অক্ষুণ্ণ থাকবে।“ গোলোক মজুমদার এ প্রসঙ্গে বলেন ,” যে রুস্তামজীর চেষ্টায় বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে ভারতের অগ্রনী ভূমিকা গ্রহন এবং যার সঙ্গে তাঁর এত মধুর সম্পর্ক, স্বদেশের স্বার্থে তাঁকেও স্পষ্ট ভাষায় ভবিষ্যৎ কর্মপন্থা সম্পর্কে দৃঢ় মনোভাব জানাতে তাজউদ্দীন সাহেব বিন্দুমাত্র দ্বিধা করলেন না। “

হ্যাঁ, ব্যাক্তি, পরিবার, দল-উপদলের সংকীর্ণ স্বার্থরক্ষার উরধে উঠে স্বদেশের স্বার্থ ও কল্যানে এমন তেজস্বী মনোভাব , চারিত্রিক দৃঢ়তা, দূরদর্শিতা ও ত্যাগী নেতৃত্বর কারনেই মাত্র নয়মাসে বাংলাদেশের বিজয় অর্জন সম্ভবপর হয়েছিল। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানেরও পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্তি লাভ ও স্বাধীন বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তন সম্ভবপর হয় এই আন্তরিক নেতৃত্বর কারনেই।

অথচ কি অদ্ভুত কারনে আজ পর্যন্ত জাতীয়ভাবে এবং রাষ্ট্রীয় উদ্যগে প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ ও তাঁর নেতৃত্বাধীন প্রথম বাংলাদেশ সরকার, যা “মুজিব নগর” ( বাংলাদেশের প্রথম রাজধানীর মুজিবনগর নামকরন টি করেছিলেন তাজউদ্দীন আহমদ) সরকার নামেই বহুল পরিচিত, তার গঠন, কার্যাবলী, বক্তব্য, গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা, সিদ্ধান্ত, এবং ভয়ংকর সব প্রতিকূলতাকে অতিক্রম করে প্রিয় মাতৃভূমিকে বিজয়ের দ্বারে পৌঁছে দেবার গৌরবদীপ্ত ইতিহাসকে সংরক্ষিত করা হয়নি। যতটুকু তথ্য পাওয়া যায় তা ছড়িয়ে ছিটিয়ে, দায়সারা ও খণ্ডিত ভাবে এবং যতোটা সম্ভব এই মুজিব নগর সরকারের অবদান ও কৃতিত্বকে আড়াল করে। বলা বাহুল্য যে সামরিক, বেসামরিক, কৃষক, মজুর, ছাত্র ও জনতা কে নিয়ে আপামর গনমানুষের মুক্তিযুদ্ধ এবং জাতির ক্রান্তিলগ্নে নেতৃত্বদানকারী প্রথম বাংলাদেশ সরকারের অভ্যুদয় নিবিড় ভাবে জড়িত। এই দুইকে খণ্ডন করে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস উপস্থাপন করা সম্ভবপর নয়। ঠিক যেমন সম্ভবপর নয় ইতিহাসের ধারাবাহিতাকে বিপন্ন করে সত্যকে তুলে ধরা।

বঙ্গবন্ধু, লাখো কোটি মানুষকে উজ্জীবিত করেছিলেন স্বাধীনতা অর্জনে । আর তাঁর অবর্তমানে তাজউদ্দীন আহমদ একটি স্বাধীন সরকার প্রতিষ্ঠা করে স্বাধীনতা যুদ্ধের সফল নেতৃত্ব দেন। যুদ্ধে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে শরীক হওয়া অগুনিত সাধারন মানুষের আত্বত্যাগের অমর কাহিনীতে ভরপুর ইতিহাসের এই শ্রেষ্ঠ পর্বটি ধারাবাহিক ভাবে উঠে আসেনি । ১৯৭১ এর মুক্তিযুদ্ধর নয়মাসকে গুটিকতক শব্দজালে আবদ্ধ করে তারপর এক লাফে ১৯৭২ এ পদার্পণের কারনে ইতিহাসে যে ফাঁক সৃষ্টি হয়েছে তাতে ঢুকে পড়েছে জঞ্জাল; খল নায়কেরা জায়গা করে নিচ্ছে ইতিহাসের শূন্যস্থান গুলিতে। ওদিকে ইতিহাসের বাতিঘর সম মানুষদের স্থান হচ্ছে ফুটনোটে । এর ফলে তরুন সমাজ বিভ্রান্ত হচ্ছে; জাতি বঞ্চিত হচ্ছে তার দেশের সবচাইতে গৌরবময় অধ্যায় মুক্তিযুদ্ধর পর্বটি সম্পর্কে জানা থেকে।

পৃথিবীতে এমন ঘটনা নজীর বিহীন যে বিজয়ের ৫১ বছর পরেও জনগণ জানেনা তার জন্মর ও তার দেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের গৌরবউজ্জ্বল ইতিহাসকে। এর লজ্জাজনক দৃষ্টান্ত হোল যে বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অফ ল অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেআরস ( বিলিয়া) পরিচালিত সাম্প্রতিক গবেষণা ভিত্তিক সমীক্ষায় বিভিন্ন স্কুলের চার শতাধিক শিক্ষার্থীদের একজনও মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কিত কোন প্রশ্নের সঠিক উত্তর দিতে পারেনি! কিন্তু দোষতো তাদের নয়। দোষ আমাদের দেশের ভঙ্গুর শিক্ষা ব্যবস্থার এবং যারা এমন আঁধার পরিবেশের জন্ম দিয়েছে, তাদের।

এখন দৃষ্টিপাত করা যাক বিজয়ী প্রথম সরকারের মূল অবদান ও বৈশিষ্ট্যর দিকে, যা জানলে জাতি উপকৃত হবে এবং খুঁজে পাবে ভবিষ্যতে পথ চলার দিকদর্শন প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে।



১। ১০ এপ্রিল, ১৯৭১, স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রের মাধ্যমে ইতিহাসের মোড় পরিবর্তনকারী একটি আইনানুগ সরকার এবং সার্বভৌম রাষ্ট্রর প্রতিষ্ঠা। এর ফলে আগ্রাসী গনহত্যাকারী পাকিস্থান সরকারের বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধকে বিচ্ছিন্নতাবাদী সন্ত্রাসী অপতৎ্পরতা এই আখ্যার বিরুদ্ধে বিশাল প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হয়; আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে বিশ্বের বিভিন্ন রাষ্ট্রের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের মাধ্যমে বাংলাদেশের পক্ষে সমর্থন আদায়ের পথ উন্মুক্ত হয়।



২। স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রের সংজ্ঞাকে সুস্পষ্ট ভাবে এবং প্রজ্ঞা ও দূরদর্শিতার সাথে তুলে ধরা।

এ প্রসঙ্গে তাজউদ্দীন আহমদের ১০ এপ্রিলের বেতার ভাষণটি উল্লেখযোগ্য। তিনি বলেছিলেন, “ বিদেশী বন্ধু রাষ্ট্র সমূহের কাছে যে অস্ত্র সাহায্য আমরা চাইছি, তা আমরা চাইছি একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে,-একটি স্বাধীন দেশের মানুষ আর একটি স্বাধীন মানুষের কাছে……এই সাহায্য আমরা চাই শর্তহীনভাবে এবং আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রতি তাদের শুভেচ্ছা ও সহানুভূতির প্রতীক হিসেবে,-হানাদারদের রুখে দাড়াবার এবং আত্মরক্ষার অধিকার হিসেবে---স্বাধীনতার জন্যে আমরা যে মুল্য দিয়েছি তা কোন বিদেশী রাস্ট্রের উপ-রাস্ট্র হবার জন্যে নয়। “



৩। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে বাংলাদেশ পলিসি সেল গঠন এবং তার মাধ্যমে সোভিয়েত ইউনিয়নের কাছে বাংলাদেশের পক্ষে যুক্তিমালা দক্ষতার সাথে তুলে ধরা। এই সরকারের নেতৃত্বর প্রাজ্ঞতা ভারত এবং বিশ্বশক্তি সোভিয়েত ইউনিয়নের আস্থা ও শ্রদ্ধা অর্জন করে। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ যা ছিল ভারত-সোভিয়েত মৈত্রী চুক্তির একটি বড় কারন তা অপর বিশ্বশক্তি যুক্তরাষ্ট্রর নিক্সন-কিসিঞ্জার প্রসাশনের পাকিস্তানের গনহত্যায় সহায়তার পথকে দুর্বল করে দেয় এবং সার্বভৌম রাস্ট্র হিসেবে বাংলাদেশ কে ভারতের স্বীকৃতি প্রদানের পথকে প্রসারিত করে।



৪। মওলানা ভাসানীকে সভাপতি করে জাতীয় উপদেষ্টা কমিটি গঠন। আওয়ামীলীগের নির্বাচিত নেতৃত্ব দিয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ পরিচালিত হলেও, দল-মতের উরধে স্বাধীনতা কামী ভিন্ন দল সমূহকে নিয়ে জাতীয় উপদেষ্টা কমিটি গঠন এই সরকারের সাফল্যকে বেগবান করে।



৫। স্বাধীনতাযুদ্ধের ঐক্য বিনষ্টকারী তৎপরতা ও ষড়যন্ত্রকে নস্যাৎ। পররাষ্ট্রমন্ত্রী খন্দকার মোশতাকের পাকিস্তান ও সিআইয়ের পক্ষ হয়ে পাকিস্তানের সঙ্গে কনফেডারেশন গঠনের ষড়যন্ত্র এবং যুবদলের একাংশের সরকার ও সরকার পরিচালিত মুক্তিবাহিনীর বিরুদ্ধে হিংসাত্মক অপকান্ডকে প্রতিহত করে এই সরকার। খন্দকার মোশতাকের জাতিসংঘে যোগ দান করে পাকিস্তানের পক্ষে কনফেডারেশনের প্রস্তাব দেওয়ার পরিকল্পনা ভেস্তে যায়। পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পদটিও তাঁকে ছাড়তে হয়।



৬। বাংলাদেশের ইতিহাসের বলা চলে সবচাইতে মর্যাদাশীল চুক্তির প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন। বিজয়ের আগেই প্রণীত এই চুক্তিগুলি থেকে বোঝা যায় যে বাংলাদেশের স্বার্থ রক্ষার প্রশ্নে কতখানি নিবেদিত ছিল এই সরকার।

স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্র বাংলাদেশের পক্ষে ভারতের স্বীকৃতি অর্জন এবং স্বীকৃতি প্রদানের পরেই মুক্তিবাহিনীর সঙ্গে ভারতীয় মিত্র বাহিনী বাংলাদেশে যৌথ কমান্ডে প্রবেশ করবে, যেদিন বাংলাদেশ সরকার ভারতীয় সেনাবাহিনীকে প্রত্যাহার করতে বলবে, সেদিন তারা সৈন্য উঠিয়ে নেবে – এই যুগান্তকারী শর্তগুলোকে সংযুক্ত করা । এ প্রসঙ্গে ইন্দিরা গান্ধীর পররাষ্ট্র সচিব জে এন দীক্ষিত যিনি বাংলাদেশ- ভারতের ঐ আলোচনায় উপস্থিত ছিলেন, উল্লেখ করেছিলেন যে “ বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও মর্যাদার ব্যাপারে তারা [প্রথম বাংলাদেশ সরকার] ছিলেন খুবই সজাগ। প্রাথমিক আলোচনায় আমাদের সেনা সদস্যরা একক ([ভারতীয়] নেতৃত্বর অধীনে থাকতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তাজউদ্দীন আহমদ বললেন, ‘ না, সেনা অভিযান হবে যৌথ কমান্ডে’।“

৭. আন্তর্জাতিক চাপ অব্যাহত রেখে জাতির জনকের নিঃশর্ত মুক্তি নিশ্চিত করে তাঁকে মুক্ত স্বদেশে ফিরিয়ে আনা।





একটি স্বাধীন, জনগনের প্রতিনিধিত্বকারী, দক্ষ ও রাষ্ট্রচিন্তা সম্পন্ন সফল সরকারের উজ্জ্বল উদাহরন হোল বাংলাদেশের প্রথম সরকার। তার কীর্তি ও অবদানকে গৌণ করে ভবিষ্যতের সঠিক পথের ঠিকানা কি খুঁজে পাওয়া যাবে?

তথ্য সুত্র



মুলধারা ৭১। মঈদুল হাসান। দ্যা ইউনিভার্সিটি পাবলিশার্স লিমিটেড

উপধারা ৭১। মঈদুল হাসান। প্রথমা প্রকাশন

সহস্তে লিখিত আই জি গোলক মজুমদারের নিবন্ধ। প্রকাশিত মুক্তির কান্ডারী তাজউদ্দীন কন্যার অভিবাদন। শারমিন আহমদ। ঐতিহ্য।

গোলক মজুমদারের সাক্ষাৎকারঃ তাজউদ্দীন আহমদ আলোকের অনন্তধারা। সম্পাদনা সিমিন হোসেন রিমি। প্রতিভাস।

ইতিহাসের সত্য সন্ধানেঃ বিশিষ্টজনদের মুখোমুখি। মতিউর রহমান। প্রথমা প্রকাশন

Shebok news- published

SHEBOK NEWSসত্য ও মানবতার কন্ঠ
24/12/2022

SHEBOK NEWS
সত্য ও মানবতার কন্ঠ

মন দিয়ে দেখুন, মন ভালো হয়ে যাবে।
24/12/2022

মন দিয়ে দেখুন, মন ভালো হয়ে যাবে।

24/12/2022
জামাতের দেশ ব্যাপী বিশাল শোডাউন কি? ইতিবাচক না নেতিবাচক পরিস্থিতির পূর্বাভাস দিচ্ছে? জল্পনা কল্পনা সর্বমহলে। সেবক নিউজ -...
24/12/2022

জামাতের দেশ ব্যাপী বিশাল শোডাউন কি?
ইতিবাচক না নেতিবাচক পরিস্থিতির পূর্বাভাস দিচ্ছে?
জল্পনা কল্পনা সর্বমহলে। সেবক নিউজ - নিউজ ডেস্ক

গণমিছিলের নামে দেশজুড়ে জামায়াতের শোডাউন রাজনীতি নিজস্ব প্রতিনিধি প্রকাশিত: ২৪ ডিসেম্বর ২০২২ ফন্ট সাইজ -ডি+ চট.....

প্রকৃতির অপরুপ সৌন্দর্য
24/12/2022

প্রকৃতির অপরুপ সৌন্দর্য

Visit the post for more.

২২ তম কাউন্সিল কাউন্সিলে, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ।সভানেত্রী শেখ হাসিনা ও সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরেই ভরসা।কাউন্সিলরদের আশ...
24/12/2022

২২ তম কাউন্সিল কাউন্সিলে,
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ।
সভানেত্রী শেখ হাসিনা ও
সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরেই ভরসা।
কাউন্সিলরদের আশা প্রত্যাশার ফলাফল।

শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদেরেই ভরসা কাউন্সিলরদের বেগম মতিয়া চৌধুরী এমপিশেখ ফজলুল করিম সেলিম এমপিকাজী জাফর উল্লাহ.....

sheboknews.wordpress.com
24/12/2022

sheboknews.wordpress.com

৫৫০০ পদে বাংলাদেশ পুলিশ (কনস্টেবল) এর নতুন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ও জেলাভিত্তিক শূন্য পদের তালিকা প্রকাশ। বাংলাদেশপুলি....

24/12/2022

২২ তম কাউন্সিল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ

24/12/2022

কে হচ্ছেন সভাপতি? কে হচ্ছেন সাধারণ সম্পাদক? এই জল্পনা কল্পনা এখন সাধারণ মানুষের মধ্যে, কদিন যাবত চায়ের কাপের ঝড়তোল...

বাংলাদেশ আমার প্রিয় মাতৃভূমি, বাংলাদেশ আমার প্রিয় জন্মভূমি।
23/12/2022

বাংলাদেশ আমার প্রিয় মাতৃভূমি, বাংলাদেশ আমার প্রিয় জন্মভূমি।

লিখেছেনঃ আবু ওমর বাংলাদেশ একটি আবেগ,ভালোবাসা, ত্যাগের নাম। ৩০ লক্ষ শহীদের রক্তে রঞ্জিত এই ভুমি, লাখো মা-বোনের সম্ভ...

সেই আদি আমল থেকে কচ্ছপ আর খরগোশের গল্প আমরা সবাই জানি। কিন্তু মজার বিষয় হল আমরা ১ম অধ্যায়টাই বেশি শুনেছি। কিন্তু এই গল...
26/11/2022

সেই আদি আমল থেকে কচ্ছপ আর খরগোশের গল্প আমরা সবাই জানি। কিন্তু মজার বিষয় হল আমরা ১ম অধ্যায়টাই বেশি শুনেছি। কিন্তু এই গল্পের আরো ৩ টি অধ্যায় আছে। যা হয়তো আমরা কেউ শুনেছি, কেউ শুনিনি।

১ম অধ্যায়ঃ এই অধ্যায়ে খরগোশ ঘুমিয়ে যায়, আর কচ্ছপ জিতে যায়। প্রথমবার হেরে যাওয়ার পর খরগোশ বিশ্লেষণ করে দেখল তার পরাজয়ের মূল কারণ 'অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস।' তার মানে অতি আত্মবিশ্বাস যে কারো জন্যই ক্ষতিকর। আর কচ্ছপ বুঝল, লেগে থাকলে সাফল্য আসবেই!

২য় অধ্যায়ঃ হেরে যাওয়ার পর এবার খরগোশ আবারো কচ্ছপকে দৌড় প্রতিযোগিতায় চ্যালেঞ্জ করল আর কচ্ছপও রাজী হল। এবার খরগোশ না ঘুমিয়ে দৌড় শেষ করল এবং জয়ী হল। খরগোশ বুঝল, মন দিয়ে নিজের সামর্থের পুরোটা দিয়ে কাজ করলে দ্রুত সফল হওয়া যায়। আর কচ্ছপ বুঝল, ধীর স্থিরভাবে চলা ভালো, তবে কাজে উপযুক্ত গতি না থাকলে প্রতিযোগীতামূলক পরিবেশে জয়ী হওয়া অসম্ভব!

৩য় অধ্যায়ঃ কচ্ছপ এবার খরগোশকে আরেকবার দৌড় প্রতিযোগিতার আমন্ত্রন জানালো। খরগোশও নির্দ্বিধায় রাজী হয়ে গেল। তখন কচ্ছপ বলল, "একই রাস্তায় আমরা ২ বার দৌড়েছি, এবার অন্য রাস্তায় হোক।" খরগোশও রাজী। অতএব নতুন রাস্তায় দৌড় প্রতিযোগিতা শুরু হল। যথারীতি খরগোশ জোরে দৌড় শুরু করে দিল। কচ্ছপও তার পিছন পিছন আসতে শুরু করল। কচ্ছপ যখন খরগোশ এর কাছে পৌঁছাল, দেখল খরগোশ দাঁড়িয়ে আছে, কিন্তু দৌড়ের শেষ সীমানায় যেতে পারেনি। কারন দৌড়ের শেষ সীমানার আগে একটি খাল আছে। কচ্ছপ খরগোশ এর দিকে একবার তাকালো, তারপর তার সামনে দিয়ে পানিতে নেমে খাল পার হয়ে দৌড়ের শেষ সীমানায় পৌছে প্রতিযোগিতা জিতে গেল। খরগোশ বুঝল, শুধু নিজের শক্তির উপর নির্ভর করলেই হবে না, পরিস্থিতি আর বাস্তবতা অনুধাবন করাও ভীষণ প্রয়োজনীয়! আর কচ্ছপ বুঝল, প্রথমে প্রতিযোগীর দূর্বলতা খুজে বের করতে হবে, তারপর সেই অনুযায়ী পরিকল্পনা করতে হবে।

গল্প কিন্তু এখানেই শেষ নয়

চতুর্থ অধ্যায়ঃ এবার খরগোশ কচ্ছপকে আরেকটি দৌড় প্রতিযোগিতার জন্য আহবান জানালো এই একই রাস্তায়। কচ্ছপ ও রাজী। কিন্তু এবার তারা ঠিক করল, প্রতিযোগী হিসেবে নয়, বরং এবারের দৌড়টা তারা দৌড়াবে সহযোগী হিসেবে!
শুরু হল প্রতিযোগিতা। খরগোশ কচ্ছপকে পিঠে তুলে দৌড়ে খালের সামনে গিয়ে থামলো। এবার কচ্ছপ খরগোশ এর পিঠ থেকে নেমে খরগোশকে নিজের পিঠে নিয়ে খাল পার হল। তারপর আবার কচ্ছপ খরগোশ এর পিঠে উঠে বাকী দৌড় শেষ করল আর এবার তার দু'জনই একসাথে জয়ী হল।

আমরা শিখলাম, ব্যক্তিগত দক্ষতা থাকা খুবই ভালো। কিন্তু দলবদ্ধ হয়ে একে অপরের দক্ষতাকে কাজে লাগাতে পারলেই আসে সত্যিকারের সাফল্য যেখানে সবাই বিজয়ীর হাসি হাসতে পারে।

Collected

Address

Dhaka
1216

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Shebok news posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Shebok news:

Share


Other Media/News Companies in Dhaka

Show All