রাধা গোবিন্দ কৃপা লাভ

রাধা গোবিন্দ কৃপা লাভ ডিজিটাল ক্রিটর ভিডিও

31/03/2024
প্রতিতো পাবন গুরু মহারাজ জয় গুরু মহারাজ কি জয়
14/10/2023

প্রতিতো পাবন গুরু মহারাজ
জয় গুরু মহারাজ কি জয়

প্রশ্নঃ- ব্রহ্মা আমাদের সৃষ্টি করেছেন, কিন্তু তার উপাসনা না করে আমরা শ্রীকৃষ্ণের ভজনা করি কেন?উত্তরঃ- আমাদের দৈহিক সমস্ত...
08/10/2023

প্রশ্নঃ- ব্রহ্মা আমাদের সৃষ্টি করেছেন, কিন্তু তার উপাসনা না করে আমরা শ্রীকৃষ্ণের ভজনা করি কেন?

উত্তরঃ- আমাদের দৈহিক সমস্ত উপাদান এবং জীবনী শক্তি শ্রীকৃষ্ণ থেকে এসেছে। ব্রহ্মাকে কেবল মাত্র দৈহিক গঠন বা আকৃতি দান করেছেন মাত্র। পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণের নির্দেশে ভগবানের প্রথম সৃষ্ট জীব ব্রহ্মা ভগবানের দেওয়া উপাদানগুলি নিয়ে নানাবিধ জীব প্রজাতি সৃষ্টি করেছেন।

#শ্রীব্রহ্মা শ্রীকৃষ্ণের স্তব করে গীত করেনে—

ব্রম্মা য এষ জগদগুবিধানকর্তা গোবিন্দমাদিপুরুষং তমহং ভজামি।।

“আমি ব্রহ্মা যার শক্তি পেয়ে এই ব্রহ্মান্ডের সৃষ্টি কর্তা হয়েছি, সেই আদি পুুরুষ গোবিন্দ শ্রীকৃষ্ণকে আমি ভজনা করি। (শ্রীব্রহ্মা সংহিতা ৫/৪৯)

#শ্রীমদ্ভাগবতে শ্রীব্রহ্মার উক্তি থেকে সুন্দর শিক্ষা
পাওয়া যায়- “হে শ্রীকৃষ্ণ, যত দিন পর্যন্ত আপনার প্রতি জগতের মানুষ অনুরাগী না হয় , ততদিন পর্যন্ত তারা জড়জাগতিক মোহের বন্ধনে আবদ্ধ হয়েই থাকবে।” (ভাঃ১০/১৪/৩৬)

শ্রীব্রহ্মা তার দিব্য ভাবনা থেকে সঞ্জাত পুত্র শ্রীনারদকে নির্দেশ দিচ্ছেন—

সংসারেহস্মিন মহাঘোরে জন্মমৃত্যু সমাকুলে।
পূজনং বাসুদেবস্য তারকং বাদিভিঃ স্থিতম।।

“জন্ম - মৃত্যু এবং বিভিন্ন রকমের উদ্বেগ উৎকন্ঠা
সমন্বিত ভয়ঙ্কর অন্ধকারাচ্ছন্ন বিপদ সঙ্কুল জড় সংসার থেকে মুক্ত হতে হলে একমাত্র উপায় হচ্ছে পরমেশ্বর শ্রীকৃষ্ণের প্রেমময়ী সেবায় যুক্ত থাকা।
এ সত্য সর্বতত্ত্ববিদ স্বীকৃত।” (স্কন্দ পুরাণ)

অতএব স্বয়ং ব্রহ্মার নির্দেশ অনুসারে এই মানব-জাতির একমাত্র পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণের আরাধনা করতে হবে।

হরে কৃষ্ণ

🙏🙏🙏🙏হরে কৃষ্ণ🙏🙏🙏🙏☘️☘️☘️ ইন্দ্রিরা একাদশী ☘️☘️☘️    মঙ্গলবার  ১০-১০-২০২৩ ইংবাংলাদেশ পারনের সময় -০৫-৪৭ ৯-৪২ পরের দিন
08/10/2023

🙏🙏🙏🙏হরে কৃষ্ণ🙏🙏🙏🙏
☘️☘️☘️ ইন্দ্রিরা একাদশী ☘️☘️☘️
মঙ্গলবার ১০-১০-২০২৩ ইং
বাংলাদেশ পারনের সময় -০৫-৪৭ ৯-৪২ পরের দিন

শ্যামসুন্দর
29/09/2023

শ্যামসুন্দর

 #একাদশী  #বার্তা বিঃ দ্রঃ- কৃপা পূর্বক একাদশীর তারিখের বিষয়ে আপনার বাড়ির পাশের ইস্কন মন্দিরের সঙ্গে যোগাযোগ করে নিবেন...
24/09/2023

#একাদশী #বার্তা

বিঃ দ্রঃ- কৃপা পূর্বক একাদশীর তারিখের বিষয়ে আপনার বাড়ির পাশের ইস্কন মন্দিরের সঙ্গে যোগাযোগ করে নিবেন।

আগামী ২৬শে সেপ্টেম্বর ২০২৩ইং, মঙ্গলবার, পার্শ্ব একাদশী।

পারন (পরের দিন) ২৭শে সেপ্টেম্বর ২০২৩ ইং, বুধবার:

সকাল ০৫:৫৫ থেকে ০৯:৪৫ এর মধ্যে বাংলাদেশ সময়।

সকাল ০৫:২৮ থেকে ০৯:২৯ এর মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের সময়।

➡️উপরোক্ত সময়ের মধ্যে পঞ্চ রবিশস্য ভগবানকে নিবেদন করে প্রসাদ গ্রহণ করে পারন করা একান্ত কর্তব্য। তা না হলে একাদশীর পূর্ণফল প্রাপ্ত হবেন না। আর অবশ্যই একাদশীর আগের দিন ও পরের দিন নিরামিষ প্রসাদ গ্রহণ করতে হবে।

➡️আসুন এবার সকল ভক্তবৃন্দরা মিলে জেনে নেই। আমরা কেন একাদশী করব এবং বিভিন্ন পুরানে একাদশী মহাব্রত সম্পর্কে কি বলা হয়েছে?
#বিভিন্নপুরাণ থেকে:
১. সকল পুরাণে মুনিদের এই নিশ্চিত মত যে, একাদশীতে উপবাস করলে সকল পাপ হইতে মুক্ত হবে এতে কোন সন্দেহ নেই।
(ব্রহ্মবৈবর্ত্তপুরাণ)
২. শ্রী যমরাজ ব্রাহ্মন কে বলেছেন, হে ব্রাহ্মণ! যাদের পুত্র ও পৌত্র একাদশী ব্রত করে আমি শাসন কর্তা যম হয়েও বিশেষরূপে তাদের নিকট ভীত হই। যারা একাদশী ব্রত পরায়ন সেই মহাত্মারা বল পূর্বক স্বীয় শত পুরুষ উদ্ধার করেন।
(পদ্মপুরাণ)
৩. একাদশীতে যে উপবাস, ইহাই সার, ইহাই তত্ত, ইহাই সত্য, ইহাই ব্রত, ইহাই সম্যক প্রায়শ্চিত্ত স্বরূপ। (ব্রহ্মবৈবর্ত্ত পুরাণ)
৪. যে মানুষ একাদশীর দিন শস্যদানা গ্রহণ করে সে তার পিতা, মাতা, ভাই এবং গুরু হত্যাকারী এবং সে যদি বৈকুন্ঠ লোকে উন্নীত হয় তবুও তার অধঃপতন হয়।
৫. একাদশীর দিন বিষ্ণুর জন্য সবকিছু রন্ধন করা হয় এমনকি অন্ন এবং ডাল ও কিন্তু শাস্ত্রের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যে, বৈষ্ণবদের বিষ্ণুর প্রসাদ গ্রহণ করা উচিৎ নয়। সেই প্রসাদ পরের দিন গ্রহণ করার জন্য রেখে দেওয়া যেতে পারে। একাদশীর দিন কোন রকম শস্যদানা এমনকি অন্ন তা যদি বিষ্ণুর প্রসাদও হয় তবুও তা গ্রহণ করতে কঠোর ভাবে নিষেধ করা হয়েছে।
৬. বিধবা না হলে শাস্ত্র অনুসারে একাদশী ব্রত পালন করার প্রথা শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু প্রবর্তন করে ছিলেন। (শ্রীচৈতন্য চরিতামৃত আদিলীলা (১৫/৮-১০)
৭. অনেকের ধারনা পুরী ধামে শ্রীজগন্নাথ দেবের প্রসাদ ভক্ষন দোষাবহ নহে। এই ধারনার বশবর্তী হইয়া পুরীতে অনেকেই নিঃসঙ্কোচে অন্ন গ্রহণ করেন, ইহা সম্পূর্ণ শাস্ত্র বিরুদ্ধ বিচার।
৮. বিধাবা নারী এবং মতিগণ (তেজস্বী) যদি একাদশী ব্রত না করে তাহলে প্রণয় কাল পর্যন্ত তাদের অন্ধকারময় নরকে পঁচে মরতে হয়। (শারদীয় পুরাণ)
৯. হে রাজন! যতদিন আয়ু থাকবে ততদিন একাদশী উপবাস থাকবে। (অগ্নিপুরাণ)
১০. বিধবা রমণী একাদশীতে আহার করলে, তার সর্বপ্রকার সুকৃতি নষ্ট হয় এবং দিনদিন তার ভ্রণহত্যা পাপের অপরাধ হয়। (কাত্যায়ন সংহিতা)
১১. যিনি একাদশী ব্রত পরিত্যাগ করে অন্য ব্রতের উপাসনা করেন, তার হাতের মহা মূল্যবান রত্ন পরিত্যাগ করে লোহা যাচনা করা হয়। (তত্ত্বসাগর)
১২. দেবাদিদেব শিব দূর্গা দেবী কে বলেছেন হে মহাদেবী যারা হরি বাসরে (একাদশীতে) ভোজন করে যমদূত গণ যমালয়ে নিয়ে তাদের অগ্নিবর্ন তীক্ষ লৌহাস্ত্র তাদের মুখে নিক্ষেপ করে।
(স্কন্দপুরাণ)
১৩.যে মানুষ একাদশীর দিন শস্যদানা গ্রহণ করে
সে তার পিতা, মাতা, ভাই এবং গুরু হত্যাকারী এবং সে যদি বৈকুন্ঠলোকেও উন্নীত হয় তবুও তার অধঃপতন হয়।
___স্কন্দপুরাণ
তাহলে কেন আমরা জেনে শুনে পাপ কর্ম করব?
তাই আসুন আমাদের মধ্যে যেসকল ভক্তবৃন্দরা একাদশী মহাব্রত পালন না করে যে পাপ করছেন। তারা সহ সকল ভক্তবৃন্দরাই একসাথে একাদশী মহাব্রত পালন করি এবং আমাদের এই দুর্লভ মানব জীবনকে স্বার্থক করি।
একাদশীর আবির্ভাব:
*******************
পদ্মপুরাণে একাদশী প্রসঙ্গে বলা হয়েছে। একসময় জৈমিনি ঋষি তাঁর গুরুদেব মহর্ষি ব্যাসদেবকে জিজ্ঞাসা করলেন, হে গুরুদেব! একাদশী কি? একাদশীতে কেন উপবাস করতে হয়? একাদশী ব্রত করলে কি লাভ? একাদশী ব্রত না করলে কি ক্ষতি? এ সব বিষয়ে আপনি দয়া করে বলুন।

মহর্ষি ব্যাসদেব তখন বলতে লাগলেন-সৃষ্টির প্রারম্ভে পরমেশ্বর ভগবান এই জড় সংসারে স্থাবর জঙ্গম সৃষ্টি করলেন। মর্ত্যলোকবাসী মানুষদের শাসনের জন্য একটি পাপপুরুষ নির্মাণ করলেন। সেই পাপপুরুষের অঙ্গগুলি বিভিন্ন পাপ দিয়েই নির্মিত হল। পাপপুরুষের মাথাটি ব্রহ্মহত্যা পাপ দিয়ে, চক্ষুদুটি মদ্যপান, মুখ স্বর্ণ অপহরণ, দুই কর্ণ-গুরুপত্নী গমন, দুই নাসিকা-স্ত্রীহত্যা, দুই বাহু-গোহত্যা পাপ, গ্রীবা-ধন অপহরণ, গলদেশ-ভ্রুণহত্যা, বক্ষ-পরস্ত্রী-গমন, উদর-আত্মীয়স্বজন বধ, নাভি-শরণাগত বধ, কোমর-আত্মশ্লাঘা, দুই উরু-গুরুনিন্দা, শিশ্ন-কন্যা বিক্রি, মলদ্বার-গুপ্তকথা প্রকাশ পাপ, দুই পা-পিতৃহত্যা, শরীরের রোম-সমস্ত উপপাতক।

এভাবে বিভিন্ন সমস্ত পাপ দ্বারা ভয়ঙ্কর পাপপুরুষ নির্মিত হল। পাপপুরুষের ভয়ঙ্কর রূপ দর্শন করে ভগবান শ্রীবিষ্ণু মর্ত্যের মানব জাতির দুঃখমোচন করবার কথা চিন্তা করতে লাগলেন। একদিন গরুড়ের পিঠে চড়ে ভগবান চললেন যমরাজের মন্দিরে। ভগবানকে যমরাজ উপযুক্ত স্বর্ণ সিংহাসনে বসিয়ে পাদ্য অর্ঘ্য দিয়ে যথাবিধি তাঁর পূজা করলেন। যমরাজের সঙ্গে কথোপকথনকালে ভগবান শুনতে পেলেন দক্ষিণ দিক থেকে অসংখ্য জিবের আর্তক্রন্দন ধ্বনি। প্রশ্ন করলেন-এ আর্তক্রন্দন কেন?

যমরাজ বললেন, হে প্রভু, মর্ত্যের পাপী মানুষেরা নিজ কর্মদোষে নরকযাতনা ভোগ করছে। সেই যাতনার আর্ত চীৎকার শোনা যাচ্ছে। যন্ত্রণাকাতর পাপাচারী জীবদের দর্শন করে করুণাময় ভগবান চিন্তা করলেন-আমিই সমস্ত প্রজা সৃষ্টি করেছি, আমার সামনেই ওরা কর্মদোষে দুষ্ট হয়ে নরক যাতনা ভোগ করছে, এখন আমিই এদের সদগতির ব্যবস্থা করব। ভগবান শ্রীহরি সেই পাপাচারীদের সামনে একাদশী তিথি রূপে এক দেবীমুর্তিতে প্রকাশিত হলেন। সেই পাপীদেরকে একাদশী ব্রত আচরণ করালেন। একাদশী ব্রতের ফলে তারা সর্বপাপ মুক্ত হয়ে তৎক্ষণাৎ বৈকুন্ঠ ধামে গমন করল।

শ্রীব্যাসদেব বললেন, হে জৈমিনি! শ্রীহরির প্রকাশ এই একাদশী সমস্ত সুকর্মের মধ্যে শ্রেষ্ট এবং সমস্ত ব্রতের মধ্যে উত্তম ব্রত। কিছুদিন পরে ভগবানের সৃষ্ট পাপপুরুষ এসে শ্রীহরির কাছে করজোড়ে কাতর প্রার্থনা জানাতে লাগল-হে ভগবান! আমি আপনার প্রজা! আমাকে যারা আশ্রয় করে থাকে, তাদের কর্ম অনুযায়ী তাদের দুঃখ দান করাই আমার কাজ ছিল। কিন্তু সম্প্রতি একাদশীর প্রভাবে আমি কিছুই করতে পারছি না, বরং ক্ষয়প্রাপ্ত হচ্ছি। কেননা একাদশী ব্রতের ফলে প্রায় সব পাপাচারীরা বৈকুন্ঠের বাসিন্দা হয়ে যাচ্ছে।

হে ভগবান, এখন আমার কি হবে? আমি কাকে আশ্রয় করে থাকব? সবাই যদি বৈকুন্ঠে চলে যায়, তবে এই মর্ত্য জগতের কি হবে? আপনি বা কার সঙ্গে এই মর্ত্যে ক্রীড়া করবেন? পাপপুরুষ প্রার্থনা করতে লাগল- হে ভগবান, যদি আপনার এই সৃষ্ট বিশ্বে ক্রীড়া করবার ইচ্ছা থাকে তবে, আমার দুঃখ দুর করুন। একাদশী তিথির ভয় থেকে আমাকে রক্ষা করুন। হে কৈটভনাশন, আমি একমাত্র একাদশীর ভয়ে ভীত হয়ে পলায়ন করছি। মানুষ, পশুপাখী, কীট-পতঙ্গ, জল-স্থল, বন-প্রান্তর, পর্বত-সমুদ্র, বৃক্ষ, নদী, স্বর্গ-মর্ত্য-পাতাল সর্বত্রই আশ্রয় নেওয়ার চেষ্টা করেছি, কিন্তু একাদশীর প্রভাবে কোথাও নির্ভয় স্থান পাচ্ছি না দেখে আজ আপনার শরণাপন্ন হয়েছি।

হে ভগবান, এখন দেখছি, আপনার সৃষ্ট অনন্ত কোটি ব্রহ্মান্ডের মধ্যে একাদশীই প্রাধান্য লাভ করেছে, সেইজন্য আমি কোথাও আশ্রয় পেতে পারছি না। আপনি কৃপা করে আমাকে একটি নির্ভয় স্থান প্রদান করুন। পাপপুরুষের প্রার্থনা শুনে ভগবান শ্রীহরি বলতে লাগলেন- হে পাপপুরুষ! তুমি দুঃখ করো না। যখন একাদশী তিথি এই ত্রিভুবনকে পবিত্র করতে আবির্ভুত হবে, তখন তুমি অন্ন ও রবিশস্য মধ্যে আশ্রয় গ্রহণ করবে। তা হলে আমার মূর্তি একাদশী তোমাকে বধ করতে পারবে না।

একাদশী ব্রত সর্বোত্তম কেন?
""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""
(১). শাস্ত্রে যে চৌষট্টি প্রকার ব্রতের কথা বলা আছে তার মধ্যে একাদশী ব্রত সর্বোত্তম। শ্রবন, স্মরণ, কীর্তন ইত্যাদি নবধা ভক্তির পরই একাদশীর অবস্থান।।

(২). শ্রী চৈতন্য মহাপ্রভু তাঁর লীলা বিলাসের প্রথম থেকেই একাদশী ব্রত পালনের উপর জোর দিয়েছিলেন।।

(৩). মোট ছাব্বিশটি একাদশী আছে। প্রতি মাসে দুটি একাদশী হলে বছরে চব্বিশটি। কিন্তু যে বছর পুরুষোত্তম, অধিমাস বা মলো মাস, সেই মাসে পদ্মিনী ও পরমা নামে আরও দুটি একাদশীর আবির্ভাব হয়।।

(৪). আট বছর থেকে আশি বছর বয়সের যে কেউই এই একাদশী পালন করতে পারে।।

(৫). জন্ম মৃত্যুর অশৌচে কখনোই এই
একাদশী পরিত্যাগ করতে নেই।

(৬). শুধু এই একাদশী পালন করেও মানুষ শনির প্রকোপ থেকে রক্ষা পেতে পারে।।

(৭). একাদশীর ব্রত পালনে যে ফল লাভ হয় অস্বমেধ, রাজশূয় ও বাজপেয় যজ্ঞের দ্বারাও সেই ফল লাভ হয় না।

(৮). ভুলক্রমে একাদশী ভঙ্গ হয়ে গেলে ক্ষমা ভিক্ষা করে তা চালিয়ে যাওয়া উচিৎ।

(৯). একাদশীর দিনগুলো হলো চরিত্র সংশোধনের দিন। পরনিন্দা, পরশ্রীকাতরতা, মিথ্যাচার, ক্রোধ, দুশ্চিন্তা এবং সকল প্রকার কলহ বিবাদ কঠোর ভাবে নিষিদ্ধ।।

(১০). এইদিন ভোরে ঘুম থেকে উঠে স্নান সেরে মঙ্গল আরতি করতে হয়। মা এবং বোনেরা এই সময় রজচক্রের মধ্যে থাকলেও একাদশী পালন করতে পারবেন।।

(১১). একাদশীর দিন ক্ষৌরকর্মাদি নিষিদ্ধ।।

(১২). অহংকার বশত একাদশী ব্রত ভঙ্গ করলে তাকে নরক যন্ত্রনা ভোগ করতে হয়।

(১৩). শ্রীল প্রভুপাদ ভক্তদের একাদশীর দিন নূন্যতম পঁচিশ মালা জপ করতে বলেছেন।।

(১৪). অনাহারে থেকে হরিনাম করে, হরিকথা বলে ও রাত্রি জাগরণ করে মালা জপ করতে হয়।।

(১৫). একাদশীতে শ্রাদ্ধ আসলে তা এইদিন না করে দ্বাদশীতে শ্রাদ্ধ করা উচিৎ।।

(১৬). এই উপাচার শুধু বৈষ্ণবের জন্য নয়, সনাতন ধর্মাবলম্বী সকলেরই এই ব্রত পালন করা অবশ্য কর্তব্য।

(১৭). পরিশেষে, বলব, একাদশীর উপবাস মানে কি। লুনার সাইকেলের এগারতম দিনে হয় এই উপবাস। উপ মানে হলো নিকটে আর বাস মানে হলো অবস্থান করা। অর্থাৎ, শুক্ল ও কৃষ্ণ পক্ষের এগারতম দিনে পরমেশ্বর ভগবানের সাথে অবস্থান।। সুতরাং, এই দিন শুধু না খেয়ে থাকলেই হবে না, ভগবানের নাম জপ করতে হবে ও সকল পাপাচার থেকে নিজেকে মুক্ত রাখতে হবে।

হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে।
হরে রাম হরে রাম রাম রাম হরে হরে।।

#একাদশী কী?
***********
শ্রবণ, কীর্তন, স্মরণ আদি নবধা ভক্তির পরই দশম ভক্ত্যাঙ্গরূপে একাদশীর স্থান। এই তিথিকে হরিবাসর বলা হয়। তাই ভক্তি লাভেচ্ছু সকলেই একাদশী ব্রত পালনের পরম উপযোগীতার কথা বিভিন্ন পুরাণে বর্ণিত হয়েছে। একাদশী তিথি সকলের অভীষ্ট প্রদানকারী। এই ব্রত পালনে সমস্ত প্রকার পাপ বিনষ্ট, সর্বসৌভাগ্য ও শ্রীকৃষ্ণের প্রীতি বিধান হয়। নারী-পুরুষ নির্বিশেষে আট থেকে আশি বছর বয়স পর্যন্ত যেকোন ব্যক্তিরই ভক্তিসহকারে পবিত্র একাদশী ব্রত পালন করা কর্তব্য।

সঙ্কটজনক অবস্থা বা জন্মমৃত্যুর অশৌচে কখনও একাদশী পরিত্যাগ করতে নেই। একাদশীতে শ্রাদ্ধ উপস্থিত হলে সেইদিন না করে দ্বাদশীতে শ্রাদ্ধ করা উচিত। শুধু বৈষ্ণবেরাই নয়, শিবের উপাসক, সূর্য-চন্দ্র-ইন্দ্রাদি যেকোন দেবোপাসক, সকলেরই কর্তব্য একাদশী ব্রত পালন করা। দুর্লভ মানবজীবন লাভ করেও এই ব্রত অনুষ্ঠান না করলে বহু দুঃখে-কষ্টে চুরাশি লক্ষ যোনি ভ্রমণ করতে হয়।

অহংকারবশত একাদশী ব্রত ত্যাগ করলে যমযন্ত্রণা ভোগ করতে হয়। যে ব্যাক্তি এই ব্রতকে তুচ্ছ জ্ঞান করে, জীবিত হয়েও সে মৃতের সমান। কেউ যদি বলে “একাদশী পালনের দরকারটা কি?” সে নিশ্চয় কুন্তিপাক নরকের যাত্রী। যারা একাদশী পালনে নিষেধাজ্ঞা জারি করে শনির কোপে তারা বিনষ্ট হয়। একাদশীকে উপেক্ষা করে তীর্থ স্থান আদি অন্য ব্রত পালনকারীর অবস্থা গাছের গোড়া কেটে পাতায় জল দানের মতোই।

একাদশী বাদ দিয়ে যারা দেহধর্মে অধিক আগ্রহ দেখায়, ধর্মের নামে পাপরাশিতে তাদের উদর পূর্ণ হয়। কলহ-বিবাদের কারণেও একাদশী দিনে উপবাস করলে অজ্ঞাত সুকৃতি সঞ্চিত হয়। পুণ্যপ্রদায়িনী সর্বশ্রেষ্ঠ এই ব্রত শ্রীহরির অতি প্রিয়। একাদশী ব্রত পালনে যে ফল লাভ হয়, অশ্বমেধ, রাজসূয় ও বাজপেয় যজ্ঞদ্বারাও তা হয় না। দেবরাজ ইন্দ্রও যথাবিধি একাদশী পালনকারীকে সম্মান করেন। একাদশী ব্রতে ভাগবত শ্রবণে পৃথিবী দানের ফল লাভ হয়। অনাহার থেকে হরিনাম, হরিকথা, রাত্রিজাগরণে একাদশী পালন করা কর্তব্য।

কেউ যদি একাদশী ব্রতে শুধু উপবাস করে তাতে বহু ফল পাওয়া যায়। শুদ্ধ ভক্তেরা এই দিনে একাদশ ইন্দ্রিয়কে শ্রীকৃষ্ণে সমর্পণ করেন। একাদশীতে শস্যমধ্যে সমস্ত পাপ অবস্থান করে। তাই চাল, ডাল, আটা, ময়দা, সুজি, সরিষা আদি জাতীয় খাদ্যদ্রব্য একাদশী দিনে বর্জন করা উচিত। নির্জলা উপবাসে অসমর্থ ব্যক্তি জল, দুধ, ফল-মূল, এমনকি আলু, পেপে, কলা, ঘিয়ে বা বাদাম তেল অথবা সূর্যমুখী তেলে রান্না অনুকল্প প্রসাদ রূপে গ্রহণ করতে পারেন। রবিশস্য (ধান, গম, ভুট্রা, ডাল ও সরিষা) ও সোয়াবিন তেল অবশ্যই বর্জনীয়। দশমী বিদ্ধা একাদশীর দিন বাদ দিয়ে দ্বাদশী বিদ্ধা একাদশী ব্রত পালন করতে হয়।

একাদশীতে সূর্যোদয়ের পূর্বে বা সুর্যোদয়কালে (১ঘন্টা ৩৬ মিনিটের মধ্যে) যদি দশমী স্পর্শ হয়, তাকে দশমী বিদ্ধা বলে জেনে পরদিন একাদশীব্রত পালন করতে হয়। মহাদ্বাদশীর আগমন হলে একাদশীর উপবাস ব্রতটি মহাদ্বাদশীতেই করতে হয়। একাদশী ব্রত করে পরের দিন উপযুক্ত সময়ে শস্যজাতীয় প্রসাদ গ্রহণ করে পারণ করতে হয়। শাস্ত্রবিধি না মেনে নিজের মনগড়া একাদশী ব্রত করলে কোন ফল লাভ হয় না। দৈববশত যদি কখনও একাদশী ভঙ্গ হয়ে যায়, তবে ক্ষমা ভিক্ষা করে পুনরায় ব্রত পালন করতে হয়।

একাদশী পালনের নিয়মাবলী
**************************
ভোরে শয্যা ত্যাগ করে শুচিশুদ্ধ হয়ে শ্রীহরির মঙ্গল আরতিতে অংশগ্রহণ করতে হয়। শ্রীহরির পাদপদ্মে প্রার্থনা করতে হয়, “হে শ্রীকৃষ্ণ, আজ যেন এই মঙ্গলময়ী পবিত্র একাদশী সুন্দরভাবে পালন করতে পারি, আপনি আমাকে কৃপা করুন।” একাদশীতে গায়ে তেল মাখা, সাবান মাখা, পরনিন্দা-পরচর্চা, মিথ্যাভাষণ, ক্রোধ, দিবানিদ্রা, সাংসারিক আলাপাদি বর্জনীয়। এই দিন গঙ্গা আদি তীর্থে স্নান করতে হয়। মন্দির মার্জন, শ্রীহরির পূজার্চনা, স্তবস্তুতি, গীতা-ভাগবত পাঠ আলোচনায় বেশি করে সময় অতিবাহিত করতে হয়।

এই তিথিতে গোবিন্দের লীলা স্মরণ এবং তাঁর দিব্য নাম শ্রবণ করাই হচ্ছে সর্বোত্তম। শ্রীল প্রভুপাদ ভক্তদের একাদশীতে পঁশিচ মালা বা যথেষ্ট সময় পেলে আরো বেশি জপ করার নির্দেশ দিয়েছেন। একাদশীর দিন ক্ষৌরকর্মাদি নিষিদ্ধ। একাদশী ব্রত পালনে ধর্ম অর্থ, কাম, মোক্ষ আদি বহু অনিত্য ফলের উল্লেখ শাস্ত্রে থাকলেও শ্রীহরিভক্তি বা কৃষ্ণপ্রেম লাভই এই ব্রত পালনের মুখ্য উদ্দেশ্য। ভক্তগণ শ্রীহরির সন্তোষ বিধানের জন্যই এই ব্রত পালন করেন। পদ্মপুরাণ, ব্রহ্মবৈবর্তপুরাণ, বরাহপুরাণ, স্কন্দপুরাণ ও বৈষ্ণবস্মৃতিরাজ, শ্রীহরিভক্তিবিলাস আদি গ্রন্থে এ সকল কথা বর্ণিত আছে।

বছরে ছাব্বিশটি একাদশী আসে। সাধারণত বার মাসে চব্বিশটি একাদশী। এইগুলি হচ্ছে-

১. উৎপন্না একাদশী - ২. মোক্ষদা একাদশী
৩. সফলা একাদশী , - ৪. পুত্রদা একাদশী
৫. ষটতিলা একাদশী - ৬. জয় একাদশী
৭. বিজয়া একাদশী - ৮. আমলকী একাদশী
৯. পাপমোচনী একাদশী - ১০. কামদা একাদশী
১১. বরুথিনী একাদশী - ১২. মোহিনী একাদশী
১৩. অপরা একাদশী - ১৪. নির্জলা একাদশী
১৫. যোগিনী একাদশী - ১৬. শয়ন একাদশী
১৭. কামিকা একাদশী - ১৮. পবিত্রা একাদশী
১৯. অন্নদা একাদশী - ২০. পরিবর্তিনী বা পার্শ্ব একাদশী
২১. ইন্দিরা একাদশী - ২২. পাশাঙ্কুশা একাদশী
২৩. রমা একাদশী - ২৪. উত্থান একাদশী

কিন্তু যে বৎসর পুরুষোত্তমাস, অধিমাস বা মলমাস থাকে, সেই বৎসর পদ্মিনী ও পরমা নামে আরও দুটি একাদশীর আবির্ভাব হয়। যারা যথাবিধি একাদশী উপবাসে অসমর্থ অথবা ব্রতদিনে সাধুসঙ্গে হরিকথা শ্রবণে অসমর্থ, তারা এই একাদশী মাহাত্ম্য পাঠ বা শ্রবণ করলে অসীম সৌভাগ্যের অধিকারী হবেন।

#একাদশী ব্রত মাহাত্ম্য
*******************
ভদ্রশীলের কাহিনীঃ পুরাকালে গালব নামে এক মহান মুনি নর্মদা নদীর তীরে বাস করতেন। তাঁর ভদ্রশীল নামে এক বিষ্ণুভক্ত পুত্র ছিল। সে ছোটবেলা থেকে বিষ্ণুমূর্তি বানিয়ে পূজা করত। বালক হয়েও লোককে বিষ্ণুপূজার উপদেশ ও একাদশী পালন করতে নির্দেশ দিত, নিজেও পালন করত। পিতা একদিন জিজ্ঞাসা করেন। আচ্ছা ভদ্রশীল! তুমি অতি ভাগ্যবান। তুমি বলো তো, রোজ শ্রীহরির পূজা করা, একাদশ তিথি পালন করা- এরূপ ভক্তি কিভাবে তোমার উদয় হল?”

উত্তরে ভদ্রশীল বলতে লাগল- বাবা! আমি পূর্বজন্মের কথা ভুলিনি। আগের জন্মে যমপুরীতে গিয়েছিলাম। সেখানে যমরাজ আমাকে এ বিষয়ে উপদেশ করেছিলেন। পিতা অত্যন্ত বিস্মিত হয়ে বললেন- ভদ্রশীল, তুমি পূর্বে কে ছিলে? যমরাজ তোমাকে কি বলেছিল, সব কিছুই আমাকে বলো। ভদ্রশীল বলল- বাবা! আমি পূর্বে চন্দ্রবংশের একা রাজা ছিলাম। তখন আমার নাম ছিল ধর্মকীর্তি।

#ভগবান দত্তাত্রেয় আমার গুরু ছিলেন। নয় হাজার বছর আমি পৃথিবী শাসন করেছিলাম। বহু ধর্ম-কর্ম করেছিলাম। পরে যখন আমার অনেক ধনসম্পদ হল তখন আমি পাগলের মতো অধর্ম করতে লাগলাম। কতগুলি পাষন্ড ব্যক্তির সঙ্গে আলাপ করতাম। আর কেবল কথা আলাপের ফলেই আমার বহু দিনের অর্জিত পুণ্য নষ্ট হয়ে গেল। আমিও পাষন্ডী হলে গেলাম। সব প্রজারাও অধর্ম করতে লাগল। প্রজাদের প্রত্যেকের অধর্মের ছয় ভাগের এক ভাগ রাজাকেই গ্রহণ করতে হয়। তারপর একদিন আমি সৈন্যদের সঙ্গে বনে মৃগয়া করতে গেলাম।

বহু পশু বধ করলাম। তারপর আমি ক্ষুধা তৃষ্ণায় কাতর ও ক্লান্ত হয়ে রেবা নদীর তীরে গেলাম। প্রখর রোদে তপ্ত হয়ে নদীতে স্নান করলাম। কিন্তু তারপর আমার কোন সেনাকে দেখতে না পেয়ে চিন্তিত ও অতিশয় ক্ষুধার্ত হলাম। অন্ধকার হয়ে এল। আমি পথ ঠিক করতে পারলাম না। তারপর এক জায়গায় গিয়ে কয়েকজন তীর্থবাসীকে দেখলাম। জানলাম তারা একাদশী ব্রত করেছে। তারা সারাদিন কিছু খায়নি, জলপান পর্যন্তও করেনি। আমি তাদের সঙ্গে পড়ে রাত্রি জাগরণ করলাম। কিন্তু ক্লান্তি ক্ষুধা পিপাসায় কাতর হয়ে রাত্রি জাগরণের পর আমার মৃত্যু হল।

তখন দেখলাম বড় বড় দাঁত বিশিষ্ট দুজন ভয়ংকর যমদুত এসে আমাকে দড়ি দিয়ে বাঁধল। আর ক্লেশময় পথ দিয়ে আমাকে টেনে নিয়ে চলল। তারপর যমপুরীতে পৌছালাম। যমরাজও দেখতে তখন ভয়ংকর। যমরাজ চিত্রগুপ্তকে ডেকে আমাকে দেখিয়ে বললেন-পন্ডিত! এই ব্যক্তির যেরূপ শিক্ষাবিধান তুমি তা বলো। চিত্রগুপ্ত কিছুক্ষণ বিচার করে ধর্মরাজ যমকে বললেন-হে ধর্মপাল! এই ব্যক্তি পাপকর্মেই রত ছিল সত্য, কিন্তু তবুও একাদশীর উপবাসের জন্য সমস্ত পাপ থেকে মুক্ত হয়েছে।

#তীর্থবাস ও রাত্রি-জাগরণও করেছে। তাই ওর সব পাপ নষ্ট হয়েছে। চিত্রগুপ্ত এই কথা বললে যমরাজ খুব চমকে উঠলেন, তিনি ভয়ে কাঁপতে কাঁপতে ভুমিতে দন্ডবৎ প্রণাম জানিয়ে আমাকে পূজা করতে লাগলেন। তারপর তাঁর দূতদের আহ্বান করে বলতে লাগলেন- হে দূতগণ! তোমরা ভাল করে আমার কথা শোনো। তোমাদের মঙ্গলজনক কথা আমি বলছি। যে সব মানুষ মর্ধরত, তোমরা তাদেরকে এখানে আনবে না। যাঁরা শ্রীহরির ভক্ত, পবিত্র, একাদশীব্রত পরায়ণ, জিতেন্দ্রিয় এবং যাঁদের মুখে সর্বদা ‘হে নারায়ণ, হে গোবিন্দ, হে কৃষ্ণ, হে হরি, উচ্চারিত হয়, যাঁরা সকল লোকের হিতকারী ও শান্তিপ্রিয়, তাদেরকে তোমরা দূর থেকেই পরিত্যাগ করবে।

কারণ, সেই সব ব্যক্তিকে আমার শিক্ষা দেবার অধিকার নেই। যাঁরা সর্বদা হরিনামে আসক্ত, সর্বদা হরিকথা শ্রবণে আগ্রহী, যাঁরা পাষন্ডগণের সঙ্গ করে না, ভক্তদের শ্রদ্ধা করে, সাধুসেবা অতিথিসেবা পরায়ণ, তাঁদেরকে পরিত্যাগ করবে।

হে দূতগণ! তোমরা শুধু তাদেরকেই আমার কাছে ধরে আনবে যারা উগ্রস্বভাব, ভক্তদের অনিষ্ট করে, লোকদের সঙ্গে কলহ বাধায়, একাদশী ব্রত পালনে একান্ত পরাঙ্মুখ, পরনিন্দুক, ব্রাহ্মণের ধনে লোভ, পরতন্ত্র, হরিভক্তি বিমূখ, যারা ভগবদ্ বিগ্রহ দেখে শ্রদ্ধাবত হয় না, মন্দির দর্শনে যাদের আগ্রহ নেই, অন্যের অপবাদ করে বেড়ায়, তাদের সবাইকে বেঁধে এখানে নিয়ে আসবে।’

যমরাজের মুখে এসব কথা শুনে আমি পাপকর্মের জন্য অত্যন্ত অনুশোচনা করতে থাকি। তারপর আমি সূর্যের মতো উজ্জ্বল দেহ লাভ করলাম। একটি দিব্য বিমানে চড়িয়ে আমাকে যমরাজ দিব্যলোকে পাঠিয়ে দিলেন। কোটি কল্প সেখানে অবস্থান করার পর এই পৃথিবীতে এসে সদাচারী মহান ব্রাহ্মণকুলে জন্মগ্রহণ করেছি। আমার জাতিস্মরতা হেতু এসব ঘটনা আমার হৃদয়ে জাগ্রত আছে।

আমি পূর্বে একাদশী ব্রত মাহাত্ম্য জানতাম না। অনিচ্ছাকৃতভাবে যখন একাদশী পালনে এত ফল লাভ করেছি। তাহলে ভক্তি সহকারে একাদশী ব্রত উপবাস করলে কি প্রকার ফল লাভ হয় তা জানি না। তাই বৈকুন্ঠধামে ফিরে যাওয়ার ইচ্ছায় আমি পবিত্র একাদশীব্রত ও প্রতিদিন বিষ্ণুপূজা করব এবং অন্যদেরও এসব পালন করতে উৎসাহী করব। পুত্রের কথা শুনে গালব মুনি অতি সন্তুষ্ট হয়ে ভাবলেন, আমার বংশে এই পরম বিষ্ণুভক্তের জন্ম হয়েছে, তাই আমার জন্ম সফল, আমার বংশও পবিত্র হল।

"জয় শ্রীকৃষ্ণ চৈতন্য প্রভু নিত্যানন্দ
শ্রী অদ্বৈত গদাধর শ্রীবাসাদি গৌর ভক্তবৃন্দ।"

"হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে
হরে রাম হরে রাম রাম রাম হরে হরে।"

🌻🌿 #পার্শ্ব_একাদশী_ব্রত_মাহাত্ম্য_কথা🌻
ব্রহ্মবৈবর্ত পুরাণে ভাদ্রমাসের শুক্লপক্ষের পার্শ্ব একাদশী মাহাত্ম্য সম্পর্কে যুধিষ্ঠির শ্রীকৃষ্ণকে জিজ্ঞাসা করলেন, ভাদ্র মাসের শুক্লপক্ষের একাদশীর নাম কী এবং এই ব্রত পালনেই কি পুণ্য লাভ হয়? উত্তরে-ভগবান শ্রীকৃষ্ণ বললেন, হে ধর্মরাজ মহাপুণ্যপ্রদা, সমস্ত পাপহারিনী এবং মুক্তিদায়িনী এই একাদশী বাজপেয় যজ্ঞ থেকেও বেশি ফল দান করে। যে ব্যক্তি এই তিথিতে ভক্তি সহকারে ভগবান শ্রীবামন দেবের পূজা করেন তিনি ত্রিলোক পূজিত হন।

পদ্মফুলে পদ্মলোচন শ্রীবিষ্ণুর অর্চনকারী বিষ্ণুলোক প্রাপ্ত হন। শায়িত ভগবান এই তিথিতে পার্শ্ব পরিবর্তন করেন। তাই এর নাম পার্শ্ব একাদশী বা পরিবর্তিনী একাদশী। যুধিষ্ঠির মহারাজ বললেন, হে জনার্দন আপনার এসকল কথা শুনেও আমার সন্দেহ পূর্ণরূপে দূর হয়নি। হে দেব আপনি কিভাবে শয়ন করেন, কীভাবেই বা পার্শ্ব পরিবর্তন করেন, আর চার্তুমাস্য ব্রত পালনকারীর কি কর্তব্য এবং আপনার শয়নকালে লোকের কি করণীয়? এসব বিষয়ে বিস্তারিতভাবে আমাকে বলুন। আর কেনই বা দৈত্যরাজ বলিকে বেঁধে রাখা হয়েছিল, তা বর্ণনা করে আমার সকল সন্দেহ দূর করুন।

#শ্রীকৃষ্ণ বললেন, হে রাজন দৈত্যকুলে আবির্ভূত প্রহ্লাদ মহারাজের পৌত্র “বলি” আমার অতি প্রিয় ভক্ত ছিল। সে আমার সন্তুষ্টি বিধানের জন্য গো-ব্রাহ্মণ পূজা ও যজ্ঞাদি ব্রত সম্পাদন করত। কিন্তু ইন্দ্রের প্রতি বিদ্বেষবশত সকল দেবলোক সে জয় করে নেয়। তখন দেবতাগণসহ ইন্দ্র আমার শরণপন্ন হয়েছিল। তাদের প্রার্থনায় আমি ব্রাহ্মণবালক বেশে বামনরূপে বলি মাহারাজের যজ্ঞস্থলে উপস্থিত হলাম। তার কাছে আমি ত্রিপাদ ভূমিমাত্র প্রার্থনা করেছিলাম। সেই তুচ্ছ থেকে আরও শ্রেষ্ঠ কিছু সে আমাকে দিতে চাইলেও আমি কেবল ত্রিপাদ ভূমি গ্রহণেই স্থির থাকলাম।

দৈত্যগুরু শুত্রুাচার্য আমাকে ভগবানরূপে জানতে পেরে বলি মহারাজকে ঐ দান দিতে নিষেধ করল। কিন্তু সত্যাশ্রয়ী বলি গুরুর নির্দেশ অমান্য করে আমাকে দান দিতে সংকল্প করল। তখন আমি এক পদে নীচের সপ্তলোক, আরেক পদে উপরের সপ্তভুবন অধিকার করে নিলাম। পুনরায় তৃতীয় পদের স্থান চাইলে সে তার মাথা পেতে দিল। আমি তার মস্তকে তৃতীয় পদ স্থাপন করলাম। তার আচরণে সন্তুষ্ট হয়ে আমি সর্বদা তার কাছে বাস করার প্রতিশ্রুতি দিলাম।

ভাদ্র শুক্লপক্ষীয়া একাদশীতে ভগবান শ্রীবামন দেবের এক মূর্তি বলি মহারাজের আশ্রমে স্থাপিত হয়। দ্বিতীয় মূর্তি ক্ষীর সাগরে অনন্তদেবের কোলে শয়ন একাদশী থেকে উত্থান একাদশী পর্যন্ত চারমাস শয়ন অবস্থায় থাকেন।'' এই চারমাস যে ব্যক্তি নিদিষ্ট নিয়ম, ব্রত বা জপ তপ ব্যতীত দিনযাপন করে, সেই মহামুর্খ জীবিত থাকলেও তাকে মৃত বলে জানতে হবে।''

শ্রাবণ মাসে শাক, ভাদ্র মাসে দই, আশ্বিনে দুধ, কার্তিক মাসে মাসকালাই বর্জন করে এই চারমাস শ্রীকৃষ্ণের আরাধনা করতে হয়। প্রতিটি একদশী ব্রত যথাযথ পালন করতে হয়। শায়িত ভগবান পার্শ্ব পরিবর্তন করেন বলে এই একাদশী মহাপুণ্য ও সকল অভীষ্ট প্রদাতা। এই একাদশী ব্রত পালনে এক সহস্র অশ্বমেধ যজ্ঞের ফল পাওয়া যায়।

একাদশী ব্রত পালনের প্রকৃত উদ্দেশ্য কেবল উপবাস করা নয়, নিরন্তর শ্রীভগবানের স্মরণ, মনন ও শ্রবন কীর্ত্তনের মাধ্যমে একাদশীর দিন অতিবাহিত করতে হয়। শ্রীল প্রভুপাদ ভক্তদের এই দিন পঁচিশ মালা বা যতেষ্ট সময় পেলে আরও বেশী জপকরার নির্দেশ দিয়েছেন। একাদশী পালনের সময় পরনিন্দা, পরিচর্চা, মিথ্যা ভাষন, ক্রোধ, দুরাচারী, স্ত্রী সহবাস সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ।

হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে।
হরে রাম হরে রাম রাম রাম হরে হরে।
------------------------------------------------------------------------------
🌿🍏"শুদ্ধ ভাবে একাদশী🍏🌿
🌿🍏পালনের নিয়মাবলী"🍏🌿
➿➿➿➿➿➿➿➿➿
⚜️সঠিক ও শুদ্ধ ভাবে একাদশী পালনের নিয়ম আছে। একাদশীতে কি কি খাবারে নিষেধাজ্ঞা আছে। একাদশী পারনের নিয়ম কি, একাদশী ব্রতের মাহাত্ব্য কি, কোন কোন নিয়ম পালন করতেই হবে, সেই নিয়ম কি কি, এবং একাদশী না থাকলে কি করতে হবে। তাহলে জেনে নেই সেই সব নিয়ম, নিষেধ গুলি কি কি।
💞১ সমর্থ পক্ষে দশমীতে একাহার, একাদশীতে নিরাহার, ও দ্বাদশীতে একাহার করবে।
💞২ তা হতে অসমর্থ পক্ষে শুধু মাত্র একাদশীতে অনাহার করতে হয়।
💞৩ যদি উহাতেও অসমর্থ হয়, একাদশীতে পঞ্চ রবিশস্য বর্জন করবে। ফল মুলাদি অনুকল্প গ্রহণের বিধান রয়েছে।
🍃🌹🍃সমর্থ পক্ষে রাত্রি জাগরণের বিধি আছে। মহান গোস্বামীগন ও আচার্যবৃন্দের অনুমোদিত তালিকা বা পঞ্জিকায় যে সমস্ত একাদশী নির্জলা ব্রত পালনের জল ব্যতীত, পালনের নির্দেশ প্রদান করেছেন , সেগুলি সেই মতে করলে সর্বোত্তম হয়। নিরন্তর কৃষ্ণ ভজনায় থেকে নিরাহার থাকতে।
🍇🥭একান্ত অপারগ হলে নির্জলা সহ অন্যান্য একাদশীতে কিছু সবজি, ফলমূল গ্রহণ করতে পারবে। যেমন, গোল আলু, মিষ্টি আলু, চালকুমড়ো, পেঁপে, টমেটো, ফুলকপি ইত্যাদি সবজি, ঘি অথবা বাদাম তেলে রান্না করে ভগবানকে উৎসর্গ করে, আহার করতে পারেন। কাঁচা হলুদ অথবা ঘরে বানানো গুরা হলুদ, মরিচ, লবন ব্যবহার্য।
🫐🍉আবার অন্যান্য আহার্য যেমন, দুধ, কলা, আপেল, আঙুর, আনারস, আঁখ, আমড়াশস্য তরমুজ, বেল, নারিকেল, মিষ্টি , আলু, বাদাম, লেবুর শরবত। ইত্যাদি ফলমূল খাওয়া যায়।
🍒🍍একাদশীতে পাঁচ প্রকার রবিশস্য গ্রহণ করতে নিষেধ করা হয়েছেঃ
🍒🥥১ ধান জাতীয় সকল প্রকার খাদ্য যেমন, চাল, মুড়ি, চিড়া, সুজি, পায়েস, খিচুড়ি ,চালের পিঠা, খৈ, ইত্যাদি।
🍒🥥২ গম জাতীয় সকল প্রকার খাদ্য যেমন, আটা, ময়দা, সুজি, বেকারির বিস্কুট, বা সকল প্রকার বিস্কুট, বেকারির রুটি, হরলিক্স জাতীয় ইত্যাদি।
🍒🥥৩ যব বা ভূট্টা জাতীয় সকল প্রকার খাদ্য যেমন, ছাতু, খই, রুটি ইত্যাদি।
🍒🥥৪ ডাল জাতীয় সকল প্রকার খাদ্য যেমন, মুগ, মসুরী, মাসকলাই, খেসারী, ছোলা, অড়হর, ফেনল, মটরশুঁটি, বরবটি, সিম ইত্যাদি।
🍒🥥৫ সরিষার তেল, সয়াবিন তেল, তিল তেল, ইত্যাদি।
🍓🍏🍎উপরোক্ত পঞ্চ রবি শস্য যে কোনো একটি একাদশীতে গ্রহণ করলে ব্রত নষ্ট হয়। উল্লেখ্য যারা সাত্বিক আহারী নন, এবং চা, বিড়ি, সিগারেট, পান, কফি, নেশা গ্রহণ করেন একাদশী ব্রত পালনের সময়কাল পর্যন্ত এই সব গ্রহণ না করাটাই ভালো।
💢একাদশী ব্রত মাহাত্ব্য💢
°°°°°°°′°°°°°°°°°°°°°°°°°°°
🍋🍊🍎একাদশী করলে যে কেবল মাত্র নিজের জীবন এর সদগতি হয় তা নয়, একাদশী ব্যক্তির প্রয়াত পিতা মাতা নিজ কর্ম দোষে নরকবাসী হন, তবে সেই পুত্রই পিতা মাতাকে নরকের থেকে উদ্ধার করতে পারবে।
🍌🍋🍎একাদশীতে অন্ন ভোজন করলে যেমন নরকবাসী হবে, তেমনই অন্যকে অন্নভোজন করালেও নরকবাসী হবে। কাজেই একাদশী ব্রত পালন করা আমাদের সকলের কর্তব্য।
💢একাদশী পারন💢
°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°
🍇🍏একাদশী তিথির পরদিন উপবাস ব্রত ভাঙার পর, নিয়ম একাদশী পারনের অর্থাৎ, উপবাসের পরদিন সকালে যে নির্দিষ্ট সময় দেওয়া থাকে, সেই সময়ের মধ্যে পঞ্চ রবিশস্য ভগবানকে নিবেদন করে প্রসাদ গ্রহণ করে পারণ করা একান্ত ভাবে দরকার। নতুবা একাদশীর কোনো ফল লাভ হবে না।
🍑🥭🍌একাদশী ব্রত পালনের একমাত্র প্রকৃত উদ্দেশ্যে কেবল উপবাস করা নয়। নিরন্তর ভগবান এর নাম স্মরণ, মনন, ও শ্রবন কীর্তনের মাধ্যমে একাদশীর দিন অতিবাহিত করতে হয়। এই দিন যতোটুকু সম্ভব উচিত একাদশী পালনে পরনিন্দা, পরচর্চা, মিথ্য ভাষণ, ক্রোধ, দুরাচারী, স্ত্রী সহবাস, সম্পুর্ন রূপে নিষিদ্ধ। নিন্মক্ত বিষয় গুলোর প্রতি দৃষ্টি বাঞ্ছনীয়।
🫐🍏🍎একাদশী ব্রতের আগের দিন রাত ১২ টার আগেই অন্ন ভোজন সম্পন্ন করে নিলে সর্বোত্তম। ঘুমাতে যাওয়ার আগে দাত ব্রাশ করে দাত ও মুখে লেগে থাকা অন্ন পরিস্কার করে নেওয়া সকালে উঠে শুধু মুখ কুলি ও স্নান করতে হয়। একাদশীর সময় সবজি কাটার থেকে সতর্ক থাকতে হবে। যেনো কোথাও কেটে না যায়।
🍉🍇🍊একাদশীতে রক্ত ক্ষরণ বর্জনীয়। দাত ব্রাশ করার সময় কালেও রক্ত ক্ষরণ হয়ে থাকে। তাই আগের দিনই দাত ব্রাশ করা সর্বোত্তম।
🍈🍉🍋 একাদশীতে চলমান একাদশীর মাহাত্ম্য ভগবদ্ভক্তের শ্রীমুখ হতে শ্রবণ অথবা সম্ভব না হলে নিজেই ভক্তি সহকারে পাঠ করতে হয়।
🍍🥥🍉যারা একাদশীতে একাদশীর রান্না করেন তাদের পাঁচ ফোড়ন ব্যবহার থেকে সতর্ক থাকা উচিত। কারন পাঁচ ফোঁড়নে সরিষার তেল, তিল থাকতে পারে, যা বর্জনীয়।
🍎🍐🍊একাদশীতে শরীরে প্রসাধনীর ব্যবহার নিষিদ্ধ। তৈল, সুগন্ধী সাবান, শ্যাম্পু, ইত্যাদি বর্জনীয়। সকল প্রকার ক্ষৌরকর্ম শেভ, চুল, নখ ইত্যাদি কাটা নিষিদ্ধ।
🫐🍈🍎একাদশী না থাকলে কি করবো তাও জেনে নেই। একাদশী না থাকা কালীন আমরা যে খাবার গ্রহণ করবো, অর্থাৎ খাদ্য শস্য গ্রহণ করবো, তা আমরা খাবো না, তা খাবার নয় পাপ ভক্ষণ করবো। কারন মাত্র ১টি খাদ্য শস্যের মধ্যে চার ধরনের পাপ থাকে। পাপ গুলো কি কি দেখি।
🏵️১। মাতৃ হত্যার পাপ।
🏵️২। পিতৃ হত্যার পাপ।
🏵️৩। ব্রহ্ম হত্যার পাপ।
🏵️৪। গুরু হত্যার পাপ।
🍇🍉🍊আমরা মাত্র একটি দানা নয় প্রতি গ্রাসে হাজার হাজার দানা ভক্ষণ করবো। ভেবে দেখতে হবে, যে পাপ কাজ আমি করি নি সেই পাপ কাজের ভাগীদার আমাকে হতে হবে।
🍍🍏🍉যদি আমরা একাদশীর সময় খাদ্যশস্য গ্রহণ করি। আর ঠিক তেমনই নিজে খেলে যে পাপ হবে অন্যকে খাওয়ালেও সেই একই পাপ তাই একজন সনাতনী হিসাবে আমাদের একাদশী থাকা উচিত না অনুচিত, তাই আমরা নিজেরাই বিচার করে দেখতে পারি।

একাদশী সংকল্প মন্ত্রঃ ---
"একাদশ্যাং নিরাহারঃ স্হিত্বা অহম্ অপরেহহনি।
ভোক্ষ্যামি পুন্ডরীকাক্ষ স্মরনং মে ভবাচ্যুত।।

অনুবাদ: হে পুন্ডরীকাক্ষ হে অচ্যূত আমি একাদশীর দিন উপবাস পূর্বক এই ব্রত পালন করার জন্য আপনার স্মরণ গ্রহণ করছি।

একাদশীর পারণ মন্ত্রঃ ---

”অজ্ঞান তিমিরান্ধস্য ব্রতেনানেন কেশব।
প্রসীদ সুমুখ নাথ জ্ঞানদৃষ্টিপ্রদো ভব॥” (বৃ: না: পু: ২১/২০)

অনুবাদ: হে কেশব! আমি অজ্ঞানরূপ অন্ধকারে নিমজ্জিত হইয়াছি, হে নাথ! এই ব্রত দ্বারা আমার প্রতি প্রসন্ন হইয়া আমাকে জ্ঞানরূপ চক্ষু প্রদান করুন।

"জয় শ্রীশ্রী একাদশীর জয়"
🌿"হরে কৃষ্ণ"🌿
পোস্টটি ভাল লাগে অবশ্যই স-কলকে শেয়ার করবেন।
প্রনিপাত

সদা সর্বদা শ্রী শ্রী রাধা ও কৃষ্ণের পাদপদ্মের কথা স্মরণ করুন, তাহলে শ্রীকৃষ্ণের দ্বারা আপনার জন্য বরাদ্দকৃত কার্য সম্পাদন করতে কোনও অসুবিধা অনুভব করতে হবে না।

জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে শ্রীকৃষ্ণের কৃপার প্রতি অগাধ বিশ্বাস ও ভরসা রাখতে হবে।
শ্রীকৃষ্ণের পবিত্র নামটিতে অসাধারণ আধ্যাত্মিক শক

☘️☘️☘️☘️☘️জয় রাঁধে জয় রাঁধে ☘️☘️☘️☘️☘️
23/09/2023

☘️☘️☘️☘️☘️জয় রাঁধে জয় রাঁধে ☘️☘️☘️☘️☘️

শ্ৰী শ্ৰী রাধিকাষ্টকম্শ্লোক ০৬নিত্য-নব্য-রূপ-কেলি-কৃষ্ণভাব-সম্পদা কৃষ্ণ-রাগবন্ধ-গোপ-যৌবতেষু কম্পদা । কৃষ্ণরূপ-বেশ-কেলি-ল...
21/09/2023

শ্ৰী শ্ৰী রাধিকাষ্টকম্

শ্লোক ০৬

নিত্য-নব্য-রূপ-কেলি-কৃষ্ণভাব-সম্পদা কৃষ্ণ-রাগবন্ধ-গোপ-যৌবতেষু কম্পদা । কৃষ্ণরূপ-বেশ-কেলি-লগ্ন-সৎসমাধিকা মহ্যমাত্ম-পাদপদ্ম-দাস্যদাস্তু রাধিকা || ৬ ||

অনুবাদ

যিনি নিত্য-নতুন রূপ, কেলি ও শ্রীকৃষ্ণের প্রতি নিজ ভাব রূপ (অথবা নিজের প্রতি কৃষ্ণের ভাব রূপ) সম্পতি দ্বারা কৃষ্ণের প্রতি অনুরক্তা গোপ-যুবতীগণের মধ্যে স্বপক্ষীয়গণের হর্ষজনিত ও বিপক্ষীয়গণের কাতরতা জন্য কম্প উৎপাদন করেন এবং যাঁর চিত্ত কৃষ্ণের রূপ, বেশ ও কেলিতে একাগ্রভাবে সমাহিত, সেই শ্রীরাধিকা আমাকে তাঁর পাদপদ্মের দাস্য দান করুন।

আন্তরিকতা এবং গুরুত্বের সাথে আধার অষ্টমী পালন করুন।  #হরেকৃষ্ণ আপনারা যদি কেউ রাধাঅষ্টমী উপলক্ষে প্রণামী দিতে চান অবশ্যই...
21/09/2023

আন্তরিকতা এবং গুরুত্বের সাথে
আধার অষ্টমী পালন করুন।
#হরেকৃষ্ণ
আপনারা যদি কেউ রাধাঅষ্টমী উপলক্ষে প্রণামী দিতে চান অবশ্যই কমেন্টে জানাবেন।

শ্ৰী শ্ৰী রাধিকাষ্টকম্শ্লোক ০৫রাসলাস্য-গীত নৰ্ম-সৎকলালিপণ্ডিতা প্রেমরম্য-রূপবেশ সদগুণালি মণ্ডিতা । বিশ্বনব্য-গোপযোযিদালি...
21/09/2023

শ্ৰী শ্ৰী রাধিকাষ্টকম্

শ্লোক ০৫

রাসলাস্য-গীত নৰ্ম-সৎকলালিপণ্ডিতা
প্রেমরম্য-রূপবেশ সদগুণালি মণ্ডিতা । বিশ্বনব্য-গোপযোযিদালিতোপি যাধিকা
মহ্যমাত্ম-পাদপদ্ম দাস্যদাস্তু রাধিকা || ৫ ||

অনুবাদ

যিনি রাসে নৃত্য, গীত ও ক্রীড়াদি সদ্বিদ্যাসমূহে পারদর্শিনী, যিনি রমণীয় রূপ, বেশ এবং সদ্ গুণশ্রেণী দ্বারা শোভিতা এবং যিনি সর্বনবীন গোপরমণীগণের মধ্যে শ্রেষ্ঠা, সেই শ্রীরাধিকা আমাকে তাঁর শ্রীপাদপদ্মের দাস্য দান করুন।

 #রাধা অষ্টমীর ইতিহাস        #পদ্মপুরানে রাধাষ্টমীর পৌরাণিক কাহিনী অনুসারে জানা যায় যে, বহু বহু কাল আগে সূর্যদেব পৃথিবী...
20/09/2023

#রাধা অষ্টমীর ইতিহাস

#পদ্মপুরানে রাধাষ্টমীর পৌরাণিক কাহিনী অনুসারে জানা যায় যে, বহু বহু কাল আগে সূর্যদেব পৃথিবী ভ্রমণ করতে এসে পৃথিবীর রূপ, সৌন্দর্য এবং অনাবিল আনন্দ দেখে আকৃষ্ট হয়ে পড়েন এবং মন্দার পর্বতের গুহায় গভীর তপস্যায় মগ্ন হন। এইভাবে অনেকদিন চলে যায়, সূর্যের অনুপস্থিতিতে পৃথিবী অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে পড়ে। পৃথিবীবাসী হয়ে ওঠে অতিষ্ঠ।
সূর্যের আলো ছাড়া পৃথিবী কোনো ভাবেই বাঁচতে পারে না। তখন বাধ্য হয়ে ভীত – সন্ত্রস্ত স্বর্গের দেবতারা শ্রী হরির শরণাপন্ন হন সাহায্যের জন্য। শ্রী হরি অর্থাৎ শ্রীবিষ্ণু তাদের সকলকে আশা দিয়ে ফিরে যেতে বলেন। তারপর মন্দার পর্বতের গুহায় তপস্যারত সূর্যের সামনে গিয়ে তিনি উপস্থিত হন।
সূর্যদেব খুবই আনন্দিত হয়ে বলেন যে, শ্রী হরির দর্শন পেয়ে তার এতদিনের তপস্যা সার্থক হয়েছে। সূর্যদেবের সাধনায় তুষ্ট হয়ে শ্রী হরি তাকে বর দিতে চাইলে সূর্যদেব বলেন যে, আমাকে এমন একটি গুণবতী কন্যার বর প্রদান করুন, যার কাছে আপনি চিরকাল বশীভূত থাকবেন।
শ্রী হরি সূর্যদেবকে সেই বর প্রদান করেছিলেন এবং বলেছিলেন পৃথিবীর ভার কমানোর জন্য আমি বৃন্দাবনের নন্দালয়ে কৃষ্ণ রূপে জন্মগ্রহণ করব। তুমি সেখানে বৃষ ভানু রাজা হয়ে জন্মাবে। আর তোমার কন্যা রুপে জন্মগ্রহণ করবে রাধা।

এই ত্রিলোকে আমি একমাত্র শ্রীরাধিকারই বশীভূত থাকবো। রাধা এবং কৃষ্ণের মধ্যে কোন প্রভেদ থাকবে না। সকলকে আকর্ষণ করার ক্ষমতা আমার আছে, কিন্তু এই জগত সংসারে একমাত্র রাধিকাই আমাকে আকর্ষণ করতে পারবে। সেইমতো প্রতিশ্রুতি অনুসারে মর্ত্যের নন্দালয়ে জন্মগ্রহণ করেন কৃষ্ণ। সূর্যদেব বৈশ্য কুলে জন্মগ্রহণ করেন বৃষভানু রাজা হয়ে।

তারপর সময় মতো ভাদ্র মাসের শুক্ল পক্ষে অষ্টমী তিথিতে পৃথিবীর বুক পবিত্র করে রাধা রাণী আবির্ভাব গ্রহণ করেন। শ্রীরাধার এই আবির্ভাব তিথিকেই রাধা অষ্টমী বলা হয়। যেটা তার জন্মদিন হিসেবেও পালন করা হয়ে থাকে।

একদিন রাজা বৃষ ভানু নদীতে স্নান করতে গিয়েছিলেন। কিন্তু স্নানের জন্য জলে নামতেই আশ্চর্য হয়ে গেলেন যে, শত সহস্র সূর্যের আলোকের মতো জ্যোতির্ময় একটি স্বর্ণপদ্ম ঠিক যেন যমুনা নদীর মাঝখানে ফুটে আছে। এরপর রাজা বৃষভানু লক্ষ্য করলেন যে সেই স্বর্ণপদ্মের মধ্যে একটি শিশু কন্যাও রয়েছে।

তিনি অবাক হয়ে গেলেন, ঠিক তখনই ভগবান ব্রহ্মা এসে রাজাকে জানালেন যে, রাজা বৃষভানু ও তার পত্নী কীর্তিদা পূর্ব জন্মের ভগবান শ্রীকৃষ্ণের পত্নীকে কন্যা রূপে লাভ করার জন্য কঠোর তপস্যা করেছিলেন। তাই সেই ফলস্বরূপ এই জন্মে রাজা স্বয়ং ভগবান শ্রীকৃষ্ণের পত্নীকে কন্যা রূপে পেয়েছেন।
এরপর রাজা শিশু কন্যাকে নিয়ে এসে তার স্ত্রী কীর্তিদার হাতে তুলে দেন এবং রাজার অন্দরমহল সহ সমস্ত রাজ্যে আনন্দের উৎসব লেগে গেল। রাজা উৎসবের আয়োজন করলেন সমগ্র বৃন্দাবন খুশিতে ভরে উঠল । সেই উৎসবে নন্দ মহারাজও শিশু কৃষ্ণকে নিয়ে সপরিবারে এসেছিলেন রাধা অষ্টমীর উৎসবে।

ওই অনুষ্ঠানের শিশু কৃষ্ণ যখন হামাগুড়ি দিয়ে শিশু রাধারানীর কাছে গিয়েছিলেন সেই মুহূর্তে রাধারানীর চোখ খুলে প্রথম দেখলেন ভগবান শ্রীকৃষ্ণকে। তার এই আবির্ভাবের দিনটি রাধাষ্টমী দিবস হিসেবে পালন করা হয়।

#রাধাষ্টমীর বিশেষ মাহাত্ম্য

১. কেউ যদি রাধাষ্টমী ব্রত পালন করে তাহলে কোটি ব্রহ্মহত্যার পাপ বিনষ্ট হয়ে যায় ।
২. রাধাষ্টমী ব্রত একবার পালন করলে সহস্র একাদশী পালনের একশ গুণ ফল লাভ হয় ।
৩. পর্বত সমান স্বর্ণ দান করলে যে ফল লাভ হয় তার একশ গুণ ফল লাভ হয় একবার রাধাষ্টমী ব্রত পালনে ।
৪. একবার রাধাষ্টমী ব্রত পালনে সহস্র কন্যাদানের ফল লাভ হয় ।
৫. একবার রাধাষ্টমী ব্রত পালনে গঙ্গা আদী সর্ব তীর্থের ফল লাভ হয় ।
৬. যদি কোনো পাপি ব্যক্তি অশ্রদ্ধায় বা অবহেলায়ও রাধাষ্টমী ব্রত পালন করে তাহলে তার কোটি কূলসহ বিষ্ণুলোকে নিত্যকাল বিরাজ করবে ।
৭. একবার রাধাষ্টমী ব্রত পালন করলে গোহত্যা, ব্রহ্মহত্যাসহ সর্বপাপ বিনষ্ট হয় ।
৮. যদি কোনো মূঢ় ব্যক্তি জেনে বা না জেনে রাধাষ্টমী ব্রত পালন করে না তাহলে শতকোটি কল্পেও সে নরক যন্ত্রণা থেকে নিষ্কৃতি পাবে না ।
৯. যে নারী রাধাষ্টমী ব্রত পালন করে না সে কোটি কল্পে নরক বাস করে থাকে এবং কোনোভাবে পৃথিবীতে জন্ম নিলেও তাকে বিধবা হতে হয় ।
১০. যদি কেউ রাধাষ্টমী ব্রত মাহাত্ম্য শ্রবন করতে পারে তাহলে সে নিত্যকাল বৈকুণ্ঠলোকে বাস করার সৌভাগ্য অর্জন করতে পারবে ।

পুরাকালে সত্যযুগে লীলাবতী নামে এক পতিতা বাস করতেন । একদিন সকালে নগর ভ্রমনকালে এক সুসজ্জিত মন্দিরে রাধাঠাকুরানীর পূজা উদযাপন দেখতে পেয়ে ব্রতীদের কাছে ঐ পতিতা ছুটে গেলেন । গিয়ে তাদেরকে জিজ্ঞাসা করলেন, "হে পূণ্যাত্মা সকল তোমরা এত সাত সকালে অতি যত্ন সহকারে কোন ব্রত উদযাপন করছ" ? তদত্তুরে রাধাব্রতীগণ বলতে লাগলেন যেহেতু ভাদ্র মাসের সীতাষ্টমীতে শ্রীমতি রাধিকা আবির্ভুত হয়েছিলেন, আমরা সেই রাধাষ্টমী ব্রত পালন করছি ।

এই অষ্টমীব্রত গোঘাত জনিত পাপ, ব্রহ্মহত্যা জনিত অথবা স্ত্রী হত্যা জনিত পাপ সহ সকল পাপই নাশ করতে সক্ষম । তাদের কাছ থেকে রাধাষ্টমীর মহিমা শ্রবণ করে সেই পতিতাও স্বেচ্ছায় ব্রত পালনে সংকল্প বদ্ধ হলেন এবং ভক্তগণের সহিত যথাযথভাবে ব্রত পালন করলেন । পরদিন সর্পদংশনে সেই পতিতার মৃত্যু হল । যমদূতেরা ক্রুদ্ধচিত্তে তাকে বন্ধন করে সাথে নিয়ে যমালয়ের দিকে যাত্রা শুরু করলেন ।
পথিমধ্যে শঙ্খ, চক্র, গদ, পদ্মধারী ভগবান বিষ্ণুর দূতগণ উপস্হিত হয়ে লীলাবতীর সকল বন্ধন ছেদন করে দিলেন এবং তাকে সঙ্গে করে রাজহংসযুক্ত দিব্য বিমানে বৈকুণ্ঠলোকে গমন করলেন । এই ভাবে অধঃপতিত বেশ্যাও কেবল মাত্র রাধাষ্টমী পালন করার ফলে সকল পাপ থেকে মুক্ত হয়ে সরাসরি বৈকুণ্ঠ ধামে গমন করলেন । যে এ রাধাষ্টমী ব্রত পালন করেন না শতকোটি কল্পেও তার নরক হতে নিষ্কৃতি নেই । তারা চিরতরে নরকে পতিত হবেন । পরবর্তীতে জন্ম হলেও বিধবা হয় ।
ইসকন ভাটারা কাঁচা বাজার গৌড় নিতাই মন্দির সবাইকে আসার অনুরোধ রইল, হরে কৃষ্ণ

Address

Banani
Banani Model Town

Telephone

+8801767589380

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when রাধা গোবিন্দ কৃপা লাভ posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to রাধা গোবিন্দ কৃপা লাভ:

Share

Nearby media companies


Other Digital creator in Banani Model Town

Show All

You may also like