রাধা গোবিন্দ কৃপা লাভ

রাধা গোবিন্দ কৃপা লাভ ধর্মীয় কথা ধর্মীয় অনুষ্ঠান এবং ধর্মীয় ভিডিও ধর্মীয় ভাগবত আলোচনা কথা গীতা আলোচনা।

02/02/2025

#অল্প সময় ভক্ত সঙ্গ করলে কি দুর্গতিপ্রাপ্ত হয়।
ভাগবত তত্ত্ব কথা শ্রবণ করুন জীবনকে ধন্য করুন। শ্রীমতি ধামেশ্বরী লক্ষ্মীপ্রিয়া দেবী দাসী মাতাজি।
শ্রীমান ঋষিকেশ গৌরাঙ্গ দাস প্রভু

10/01/2025


ঢাকার সাভারে দৃষ্টিনন্দন ইসকন মন্দির

31/03/2024
11/02/2024

#দিনো_কৃষ্ণ_ঠাকুর

11/02/2024

হরে কৃষ্ণ
গুরু মহারাজের শারীরিক সুস্থতা কামানোর জন্য কীর্তন মেলা শ্রীশ্রী গৌড় নিতাই ভক্তিবৃক্ষ মন্দির ভাটারা ঢাকা।

09/02/2024

#চতুর্থ_অধ্যায়_জ্ঞানযো #গীতা
#শ্লোক২০

ত্যত্ত্বা কর্মফলাসঙ্গং নিত্যতৃপ্তো নিরাশ্রয়ঃ। কর্মণ্যভিপ্রবৃত্তোহপি নৈব কিঞ্চিৎ করোতি সঃ ।। ২০ ৷৷

ত্যক্বা-ত্যাগ করে; কর্মফলাসঙ্গম্-কর্মফলের আসক্তি; নিত্য- সর্বদা; তৃপ্তঃ- পরিতৃপ্ত; নিরাশ্রয়ঃ- আশ্রয়শূন্য; কর্মণি - কর্মে; অভিপ্রবৃত্তঃ - পূর্ণরূপে প্রবৃত্ত; অপি-সত্ত্বেও; ন-না; এব- অবশ্যই; কিঞ্চিৎ - কিছুই; করোতি-করেন; সঃ- তিনি।

অনুবাদঃ কর্মফলের আসক্তি সম্পূর্ণরূপে ত্যাগ করে সর্বদা তৃপ্ত থেকে এবং আশ্রয়ের অপেক্ষারহিত হয়ে তিনি সব রকম কর্মে যুক্ত হওয়া সত্ত্বেও কর্মফলের আশায় কোন কিছুই করেন না।

তাৎপর্যঃ কৃষ্ণভাবনায় ভাবিত হয়ে শ্রীকৃষ্ণের সন্তোষবিধানের জন্য সব রকম কর্ম করার মাধ্যমেই কেবল কর্মবন্ধন থেকে মুক্তিলাভ করা যায়। কৃষ্ণভাবনার অমৃত লাভ করেছেন যে ভক্ত, তিনি বিশুদ্ধ ভগবৎ-প্রেমের দ্বারা উদ্বুদ্ধ হয়ে কর্ম করেন, তাই তাঁর কোন রকম কর্মফলের প্রতি আগ্রহ থাকে না। তিনি এমনকি তাঁর ব্যক্তিগত জীবনধারণের ব্যাপারেও নিস্পৃহ থাকেন, কেননা তিনি সর্বতোভাবে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের উপর নির্ভরশীল। তিনি কিছুই সংগ্রহ বা সঞ্চয় করতে চান না, কিংবা যা কিছু তিনি লাভ করেছেন, সে সবও সুরক্ষিত করতে চান না। তাঁর সাধ্য অনুসারে সর্বতোভাবে তিনি তাঁর কর্তব্য পালন করেন এবং সব কিছুর জন্য কৃষ্ণের উপর নির্ভর করেন। এই ধরনের নিরাসক্ত কৃষ্ণভক্ত ভাল ও মন্দ সব রকম কর্মফল থেকে মুক্ত, যেন তিনি কোন কিছুই করছেন না। এটিই অকর্ম, অর্থাৎ ফলহীন কর্মের লক্ষণ। তাই কৃষ্ণভাবনারহিত যে সমস্ত কর্ম, সে সবই জীবকে কর্মফলের বন্ধনে আবদ্ধ করে রাখে; আর সেটিই প্রকৃত বিকর্ম, যে সম্বন্ধে পূর্বেই বলা হয়েছে।

09/02/2024

#চতুর্থ_অধ্যায়_জ্ঞানযোগ #গীতা

#শ্লোক_১৯
যস্য সর্বে সমারম্ভাঃ কামসঙ্কল্পবর্জিতাঃ।
জ্ঞানাগ্নিদগ্ধকর্মাণং তমাহুঃ পণ্ডিতং বুধাঃ ।। ১৯ ।।

যস্য-যাঁর; সর্বে—সব রকম; সমারম্ভাঃ- কর্মপ্রচেষ্টা; কাম-ইন্দ্রিয়সুস্থ- ভোগের বাসনা; সঙ্কল্প- সঙ্কল্প; বর্জিতাঃ-রহিত; জ্ঞান-জ্ঞানের; অগ্নি-অগ্নি দ্বারা; দগ্ধ - দগ্ধ; কর্মাণম্ - কর্মসমূহ; তম্-তাঁকে; আহুঃ-বলেন; পণ্ডিতম্-পণ্ডিত; বুধাঃ- জ্ঞানীগণ।

অনুবাদঃ যাঁর সমস্ত কর্মপ্রচেষ্টা কাম ও সঙ্কল্পরহিত, তিনি পূর্ণজ্ঞানে অধিষ্ঠিত। পণ্ডিত জ্ঞানীগণ বলেন যে, তাঁর সমস্ত কর্মের প্রতিক্রিয়া পরিশুদ্ধ জ্ঞানাগ্নি দ্বারা দগ্ধ হয়েছে।

তাৎপর্য: যে মানুষ প্রকৃতই জ্ঞানবান, তিনিই কেবল কৃষ্ণভাবনায় ভাবিত ভক্তের কার্যকলাপ বুঝতে পারেন। যেহেতু কৃষ্ণভাবনাময় বৈষ্ণব সব রকম ইন্দ্রিয়তৃপ্তি বিষয়ক বাসনা থেকে মুক্ত, তাই বুঝতে হবে পরমেশ্বর ভগবানের নিত্যদাসরূপে তাঁর স্বরূপের যথার্থ জ্ঞানের দ্বারা তাঁর সমস্ত কর্মের প্রতিক্রিয়া দগ্ধ হয়েছে। প্রকৃত জ্ঞানী তিনিই, যিনি এই পরম তত্ত্বজ্ঞান লাভ করতে পেরেছেন। ভগবানের নিত্য দাসত্বের এই পরম তত্ত্বজ্ঞানকে আগুনের সঙ্গে তুলনা করা হয়। এই আগুন একবার প্রজ্বলিত হলে তা সব রকম কর্মফলকে দগ্ধ করে দিতে পারে।

09/02/2024

#জ্ঞানযোগ #গীতা
#শ্লোক_১৮
কর্মণ্যকর্ম যঃ পশ্যেদকর্মণি চ কর্ম যঃ।
স বুদ্ধিমান্মনুষ্যেযু স যুক্তঃ কৃৎস্নকর্মকৃৎ ।। ১৮ ।।

কর্মণি-কর্মে; অকর্ম - অকর্ম; যঃ- যিনি; পশ্যেৎ- দর্শন করেন; অকর্মণি - অকর্মে; চ-ও; কর্ম-সকর্ম বা ফলভিত্তিক কর্ম; যঃ- যিনি; সঃ- তিনি; বুদ্ধিমান-বুদ্ধিমান; মনুষ্যেয়ু- মানবসমাজে; সঃ- তিনি; যুক্তঃ - চিন্ময় স্তরে অধিষ্ঠিত; কৃৎস্নকর্মকৃৎ- সব রকম কর্মে লিপ্ত হওয়া সত্ত্বেও।

অনুবাদঃ যিনি কর্মে অকর্ম দর্শন করেন এবং অকর্মে কর্ম দর্শন করেন, তিনিই সমস্ত মানুষের মধ্যে বুদ্ধিমান। সব রকম কর্মে লিপ্ত থাকা সত্ত্বেও তিনি চিন্ময় স্তরে অধিষ্ঠিত।

তাৎপর্যঃ কৃষ্ণভাবনায় অধিষ্ঠিত হয়ে যে মানুষ ভগবানের সেবায় ব্রতী হয়েছেন, তিনি স্বাভাবিকভাবেই সব রকমের কর্মবন্ধন থেকে মুক্ত। তাঁর সমস্ত কর্মই ভগবান শ্রীকৃষ্ণের সেবার জন্য সম্পাদিত হয়ে থাকে। তাই তাঁর কৃতকর্মের ফলস্বরূপ তাঁকে আর সুখ অথবা দুঃখ ভোগ করতে হয় না। এভাবে তিনি সমগ্র মানবসমাজের মধ্যে বুদ্ধিমান, যদিও তিনি শ্রীকৃষ্ণের জন্য সব রকম কর্মেই লিপ্ত হন। অকর্ম কথাটির অর্থ হচ্ছে কর্মফলরহিত কর্ম। নির্বিশেষবাদীরা কর্মফলের ভয়ে ভীত হয়ে সব রকম কর্ম পরিত্যাগ করে। তারা মনে করে, কর্ম করলেই তার ফল ভোগ করতে হবে এবং এই সমস্ত কর্মফল তাদের মুক্তির পথে প্রতিবন্ধক হয়ে দাঁড়াবে। কিন্তু সবিশেষবাদী ভগবদ্ভক্ত খুব ভালভাবেই জানেন যে, তিনি হচ্ছেন ভগবানের নিত্যদাস। তাই তিনি সর্বতোভাবে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের সেবায় নিয়োজিত থাকেন। যেহেতু ভগবানের সেবা করার জন্য তিনি সমস্ত কাজকর্ম করেন, তাই তিনি কেবল চিন্ময় আনন্দ উপভোগ করেন। তাই বলা হয়, 'কৃষ্ণভক্ত নিষ্কাম', কারণ তাঁর ব্যক্তিগত কোন কামনা নেই। তিনি তাঁর নিজের ইন্দ্রিয়তৃপ্তি সাধন করবার জন্য কোন কিছুই আশা করেন না। ভগবান শ্রীকৃষ্ণের নিত্য দাসত্ব করার পরম আনন্দ- লাভের ফলে তিনি জড় ইন্দ্রিয়সুখভোগের সমস্ত বাসনার নিরর্থকতা উপলব্ধি করে সম্পূর্ণভাবে কর্মফলের বন্ধন থেকে মুক্ত হন।

 #চতুর্থ_অধ্যায়  #জ্ঞানযোগ  #গীতা  #শ্লোক_১৭কর্মণো হ্যপি বোদ্ধব্যং বোদ্ধব্যং চ বিকর্মণঃ।  অকর্মণশ্চ বোদ্ধব্যং গহনা কর্মণ...
05/02/2024

#চতুর্থ_অধ্যায় #জ্ঞানযোগ #গীতা
#শ্লোক_১৭
কর্মণো হ্যপি বোদ্ধব্যং বোদ্ধব্যং চ বিকর্মণঃ। অকর্মণশ্চ বোদ্ধব্যং গহনা কর্মণো গতিঃ ।। ১৭ ৷৷

কর্মণঃ- কর্মের; হি- অবশ্যই; অপি-ও; বোদ্ধব্যম্ -জানা উচিত; বোদ্ধব্যম্ -জানা উচিত; চ-ও; বিকর্মণঃ শাস্ত্রনিষিদ্ধ কর্ম; অকর্মণঃ - অকর্ম; চ-ও; বোদ্ধব্যম্ -জানা উচিত; গহনা- অত্যন্ত কঠিন; কর্মণঃ-কর্মের; গতিঃ- গতি।

অনুবাদঃ কর্মের নিগূঢ় তত্ত্ব হৃদয়ঙ্গম করা অত্যন্ত কঠিন। তাই কর্ম, বিকর্ম ও অকর্ম সম্বন্ধে যথাযথভাবে জানা উচিত।

তাৎপর্যঃ কেউ যদি সত্যিই জড় জগতের বন্ধন থেকে মুক্ত হতে চায়, তবে তাকে কর্ম, অকর্ম ও বিকর্মের পার্থক্য জানতে হবে। তাকে কর্ম, কর্মের প্রতিক্রিয়া এবং বিরুদ্ধ কর্মের পুঙ্খানুপুঙ্খ বিশ্লেষণ করে দেখতে হবে, কারণ এটি একটি অত্যন্ত কঠিন বিষয়বস্তু। কৃষ্ণভাবনা এবং তার পরিপ্রেক্ষিতে সম্পাদিত কর্ম সম্বন্ধে বুঝতে হলে প্রথমেই ভগবানের সঙ্গে নিত্য সম্পর্কের বিষয়ে জানতে হবে; আর সেটি হলো, জীবের 'স্বরূপ' হয়- 'কৃষ্ণের নিত্যদাস।' তাই কৃষ্ণভাবনায় ভাবিত হয়ে ভগবানের সেবা করাই প্রতিটি জীবের পরম কর্তব্য। সমগ্র ভগবদগীতায় ভগবান আমাদের এই সিদ্ধান্ত অনুসারেই শিক্ষাদান করেছেন। এছাড়া অন্য যে কোন চিন্তাধারা এবং কর্ম এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে, তাকে বলা হয় বিকর্ম, অর্থাৎ নিষিদ্ধ কর্ম। এই সমস্ত তত্ত্বজ্ঞান সম্পূর্ণভাবে উপলব্ধি করতে হলে তত্ত্বজ্ঞ কৃষ্ণভাবনাময় ভক্তের সঙ্গ করতে হবে সাধুসঙ্গ করতে হবে এবং তাঁদের কাছ থেকে গূঢ় রহস্য বা এই জ্ঞানের যথার্থ মর্ম সম্বন্ধে শিক্ষাগ্রহণ করতে হবে। এভাবে জ্ঞান আহরণ সরাসরি ভগবানের কাছ থেকে জ্ঞান আহরণ করার মতোই। তা না করলে এমনকি বড় বড় বুদ্ধিমান মানুষেরাও পর্যন্ত বিভ্রান্ত হয়ে পড়ে।

 #চতুর্থ_অধ্যায়  #জ্ঞানযোগ  #গীতা  #শ্লোক_১৬কিং কর্ম কিমকর্মেতি কবয়োহপ্যত্র মোহিতাঃ। ততে কর্ম প্রবক্ষ্যামি যজ্ঞাত্বা মোক...
05/02/2024

#চতুর্থ_অধ্যায় #জ্ঞানযোগ #গীতা
#শ্লোক_১৬
কিং কর্ম কিমকর্মেতি কবয়োহপ্যত্র মোহিতাঃ।
ততে কর্ম প্রবক্ষ্যামি যজ্ঞাত্বা মোক্ষ্যসেহশুভাৎ ।। ১৬৷৷

কিম্-কি; কর্ম-কর্ম; কিম্-কি; অকর্ম-অকর্ম; ইতি-এভাবে; কবয়ঃ-বুদ্ধিমান ব্যক্তিগণ; অপি-ও; অত্র- এই বিষয়ে; মোহিতাঃ- মোহিত হন; তৎ-সেই; তে-তোমাকে; কর্ম-কর্ম; প্রবক্ষ্যামি - আমি বিশ্লেষণ করব; যৎ-যা; জ্ঞাত্বা- জেনে; মোক্ষ্যসে-তুমি মুক্ত হবে; অশুভাং-অশুভ অবস্থা থেকে।

অনুবাদঃ কাকে কর্ম ও কাকে অকর্ম বলে, তা স্থির করতে বিবেকী ব্যক্তিরাও বিমোহিত হন। এখন আমি সেই কর্ম সম্বন্ধে তোমাকে উপদেশ করব, যে বিষয়ে অবগত হয়ে তুমি সমস্ত অশুভ অবস্থা থেকে মুক্ত হবে।

তাৎপর্যঃ কৃষ্ণভক্ত মহাজনদের দৃষ্টান্ত অনুসরণ করে কৃষ্ণভাবনাময় কর্ম সম্পাদন করতে হয়। পঞ্চদশ শ্লোকে ভগবান সেই উপদেশ দিয়েছেন। পরবর্তী শ্লোকে তিনি তার ব্যাখ্যা করে বলেছেন, কেন স্বতন্ত্রভাবে ভগবানের সেবা করা উচিত নয়।

এই অধ্যায়ের প্রথমেই বর্ণনা করা হয়েছে যে, পরম্পরার ধারায় ভগবত্তত্ব- জ্ঞানসম্পন্ন মহাজনদের অধীনে কৃষ্ণভাবনাময় কর্ম সম্পাদন করতে হয়। ভগবান কৃষ্ণভাবনামৃতের পন্থারূপ ভগবত্তত্ত্বজ্ঞান সর্বপ্রথমে সূর্যদেব বিবস্বানকে দান করেন। সেই তত্ত্বজ্ঞান বিবস্বান তাঁর পুত্র মনুকে দান করেন, মনু তা তাঁর পুত্র ইক্ষাকুকে দান করেন এবং এভাবেই সৃষ্টির আদি থেকে এই তত্ত্বজ্ঞান এই পৃথিবীতে প্রবাহিত হয়ে আসছে। তাই গুরু-শিষ্য-পরম্পরায় পূর্বতন আচার্যদের পদাঙ্ক অনুসরণ করতে হয়। তা না করলে এমনকি অত্যন্ত বুদ্ধিমান মানুষও কৃষ্ণভাবনাময় কর্মের যথার্থতা সম্বন্ধে বিভ্রান্ত হতে পারে। সেই জন্যই ভগবান নিজে অর্জুনকে এই তত্ত্বজ্ঞান সরাসরি দান করতে মনস্থ করলেন। অর্জুনের পদাঙ্ক অনুসরণ করে যদি কেউ সরাসরি ভগবানের দেওয়া এই তত্ত্বজ্ঞান আহরণ করেন, তা হলে তিনি আর বিভ্রান্ত হবেন না।

কেবলমাত্র ত্রুটিপূর্ণ পরীক্ষানিরীক্ষার মাধ্যমে অভিজ্ঞতালব্ধ জ্ঞানের সাহায্যে ধর্মীয় পন্থাগুলি কখনই নিরূপণ করা যায় না। প্রকৃতপক্ষে, একমাত্র ভগবানই পরম তত্ত্ব সম্বলিত ধর্মনীতি প্রণয়ন করতে পারেন। ধর্মং তু সাক্ষাদ্ভগবৎপ্রণীতম্। (ভাঃ ৬/৩/১৯) ত্রুটিপূর্ণ জল্পনাকল্পনার মাধ্যমে ধর্মীয় রীতিনীতির উদ্ভাবন করা যায় না; ব্রহ্মা, শিব, নারদ, মনু, কুমার, কপিল, প্রহ্লাদ, ভীষ্ম, শুকদেব গোস্বামী, যমরাজ, জনক এবং বলি মহারাজ আদি মহাজনদের পদাঙ্ক অনুসরণ করতে হয়। মনোধর্মপ্রসূত কল্পনার ভিত্তিতে আমরা ধর্ম বা আত্মোপলব্ধির পন্থা প্রতিপন্ন করতে পারি না। তাই ভগবান তাঁর ভক্তদের প্রতি অহৈতুকী কৃপার বশবর্তী হয়ে সরাসরি অর্জুনকে কর্ম এবং অকর্ম কি, সে বিষয়ে বুঝিয়ে দিয়েছেন। কেবলমাত্র কৃষ্ণভাবনাময় কর্ম সম্পাদন করার মাধ্যমেই জড় জগতের বন্ধন থেকে মুক্তিলাভ করা যায়।

04/02/2024

আগামী মঙ্গলবার ষতিলা একাদশী

-মাঘ মাসের কৃষ্ণপক্ষের 'ষট্ তিলা' একাদশীর মাহাত্ম্য ভবিষ্যোত্তরপুরাণে বর্ণিত আছে।

যুধিষ্ঠির মহারাজ বললেন—হে জগন্নাথ! মাঘ মাসের কৃষ্ণপক্ষের একাদশী তিথির নাম কি, বিধিই বা কি এবং তার কি ফল, সবিস্তারে বর্ণনা করুন।

তদুত্তরে ভগবান বললেন-হে রাজন! এই একাদশী 'যতিলা' নামে জগতে বিদিত।

একসময় দাভ্য ঋষি মুনিশ্রেষ্ঠ পুলস্তকে জিজ্ঞাসা করেন- মর্ত্যলোকে মানুষের। ব্রহ্মহত্যা, গোহত্যা, অন্যের সম্পদ হরণ আদি পাপকর্ম দ্বারা নরকে গমন করে। যাতে তারা নরক গতি থেকে রক্ষা পায়, তা যথাযথভাবে আমাকে উপদেশ করুন। অনায়াসে সাধন করা যায় এমন কোন কাজের মাধ্যমে যদি তাদের এই পাপ থেকে উদ্ধারের কোন উপায় থাকে, তবে তা বলুন।

ঋষি পুলস্ত্য বললেন, হে মহাভাগ! তুমি একটি গোপনীয় উত্তম বিষয়ের প্রশ্ন করেছ। মাঘ মাসে শুচি, জিতেন্দ্রিয়, কাম, ক্রোধ আদি শূন্য হয়ে স্নানের পর সর্বদেবেশ্বর শ্রীকৃষ্ণের পূজা করবে। পূজাতে কোন বিঘ্ন ঘটলে কৃষ্ণনাম স্মরণ করবে। রাত্রিতে অর্চনান্তে হোম করবে। তারপর চন্দন, অগুরু, কপূর ও শর্করা প্রভৃতি দ্বারা নৈবেদ্য প্রস্তুত করে ভগবানকে নিবেদন করবে। কুষ্মাণ্ড, নারকেল অথবা একশত গুবাক দিয়ে অর্ঘ্য প্রদান করবে 'কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃপালুমগতীনাং গতির্ভব' ইত্যাদি মন্ত্রে শ্রীকৃষ্ণের পূজা করতে হয়। 'কৃষ্ণ আমার প্রতি প্রীত হোন' বলে যথাশক্তি ব্রাহ্মণকে জলপূর্ণ কলস, ছত্র, বস্ত্র, পাদুকা, গাভী ও তিলপাত্র দান করবে। স্নান, দানাদি কার্যে কালো তিল অত্যন্ত শুভ।

হে দ্বিজত্তম! ঐ প্রদত্ত তিল থেকে পুনরায় যে তিল উৎপন্ন হয়, ততো বছর ধরে দানকারী স্বর্গলোকে বাস করে। তিলদ্বারা স্নান
শরীরে ধারণ, তিল জলে মিশিয়ে তা দিয়ে তর্পণ, তিল ভোজন এবং তিল দান-এই ছয় প্রকার বিধানে সর্বপাপ বিনষ্ট হয়ে থাকে। এই জন্য এই একাদশীর নাম ষটতিলা।

হে যুধিষ্ঠির! একসময় নারদও এই ষটতিলা একাদশীর ফল ও ইতিহাস সম্পর্কে জানতে চাইলে যে কাহিনী আমি বলেছিলাম তা এখন তোমার কাছে বর্ণনা করছি।

পুরাকালে মর্ত্যলোকে এক ব্রাহ্মণী বাস করত। সে প্রত্যহ ব্রত আচরণ ও দেবপূজাপরায়ণা ছিল। উপবাস ক্রমে তার শরীর অত্যন্ত ক্ষীণ হয়ে গিয়েছিল। সেই মহাসতী ব্রাহ্মণী অন্যের কাছ থেকে দ্রব্যাদি গ্রহণ করে দেবতা, ব্রাহ্মণ, কুমারীদের ভক্তিভরে দান করত। কিন্তু কখনও ভিক্ষুককে ভিক্ষাদান ও ব্রাহ্মণকে অন্নদান করেনি। এইভাবে বহু বছর অতিক্রান্ত হল। আমি চিন্তা করলাম, কষ্টসাধ্য বিভিন্ন ব্রত করার ফলে এই ব্রাহ্মণীর শরীরটি শুকিয়ে যাচ্ছে। সে যথাযথভাবে বৈষ্ণবদের অর্চনও করেছে, কিন্তু তাদের পরিতৃপ্তির জন্য কখনও অন্ন দান করেনি। তাই আমি একদিন কাপালিক রূপ ধারণ করে তামার পাত্র হাতে নিয়ে তার কাছে গিয়ে ভিক্ষা প্রার্থনা করলাম।

ব্রাহ্মণী বলল,হে ব্রাহ্মণ। তুমি কোথা থেকে এসেছ, কোথায় যাবে, তা আমাকে বলো।

আমি বললাম-হে সুন্দরী! আমাকে ভিক্ষা দাও। তখন সে ক্রুদ্ধ হয়ে আমার পাত্রে একটি মাটির ঢেলা নিক্ষেপ করল। তারপর আমি সেখান থেকে চলে গেলাম।

বহুকাল পরে সেই ব্রাহ্মণী ব্রতপ্রভাবে স্বশরীরে স্বর্গে গমন করল। মাটির ঢেলা দানের ফলে একটি মনোরম গৃহ সে প্রাপ্ত হল। কিন্তু হে নারদ! সেখানে কোন ধান ও চাল কিছুই ছিল না। গৃহশূন্য দেখে মহাক্রোধে সে আমার কাছে এসে বলল-আমি ব্রত, কৃষ্ণসাধন ও উপবাসের মাধ্যমে নারায়ণের আরাধনা করেছি। এখন হে জনার্দন! আমার গৃহে কিছুই দেখছি না কেন?

হে নারদ! তখন আমি তাকে বললাম-তুমি নিজ গৃহে দরজা বন্ধ করে বসে থাকো। মর্ত্যলোকের মানবী স্বশরীরে স্বর্গে এসেছে শুনে দেবতাদের পত্নীরা তোমাকে দেখতে আসবে। কিন্তু তুমি দরজা খুলবে না। তুমি তাদের কাছে ষটতিলা ব্রতের পুণ্যফল প্রার্থনা করবে। যদি তারা সেই ফল প্রদানে রাজি হয়, তবেই দরজা খুলবে।

এরপর দেবপত্নীরা সেখানে এসে তার দর্শন প্রার্থনা করল। ষটতিলা ব্রতের ফল পেলেই কেবল সেই মানবী দর্শন দেবেন জেনে তাদের মধ্যে এক দেবপত্নী তাঁর ষটতিলা ব্রতজনিত পুণ্যফল তাকে প্রদান করল। তখন সেই ব্রাহ্মণী দিব্যকান্তি বিশিষ্টা হল এবং তার গৃহ ধনধান্যে ভরে গেল। দ্বার উদঘাটন করলে দেবপত্নীরা তাকে দর্শন করে বিস্মিত হলেন।

হে নারদ! অতিরিক্ত বিষয়বাসনা করা উচিত নয়। বিত্ত শাঠ্যও অকর্তব্য। নিজ সাধ্যমতো তিল, বস্ত্র ও অন্ন দান করবে। ষতিলা ব্রতের প্রভাবে দারিদ্রতা, শারীরিক কষ্ট, দুর্ভাগ্য প্রভৃতি বিনষ্ট হয়। এই বিধি অনুসারে তিলদান করলে মানুষ অনায়াসে সমস্ত পাপ থেকে মুক্ত হয়।

04/02/2024

সাপ্তাহিক কীর্তন মেলা শ্রী গৌড় নিতাই ভক্তি বৃক্ষ ইসকন মন্দির ভাটার কীর্ত্তনে আনন্দ উপভোগ করুন।

03/02/2024

ধামেশ্বরী দেবী দাসী মাতাজির শ্রী মুখ থেকে চৈতন্যচরিত মৃত ক্লাস শ্রবণ করুন বৈষ্ণবদের কতটুকু বিনয়ী হওয়া দরকার আমাদের কি চাওয়া দরকার ভগবানের কাছ থেকে শ্রীশ্রী গৌড় নিতাই ভক্তি বৃক্ষ মন্দির ভাটারা ঢাকা #গীতা
#গীতা #ভাগবত #চৈতন

03/02/2024

আগামী মঙ্গলবার -০৬-০২-২০২৪
ফেব্রুয়ারি ষষ্ঠ তিলা একাদশী পারন-০৬-৩৬-১০-২০ বাংলাদেশ।

আগামী ০৬- ফেব্রুয়ারী ২০২৪ ইংরেজি মঙ্গলবার ষটতিলা একাদশী পারনের সময় পরদিন - ০৬-৩৬ - ১০ - ২০
02/02/2024

আগামী ০৬- ফেব্রুয়ারী ২০২৪ ইংরেজি
মঙ্গলবার ষটতিলা একাদশী
পারনের সময় পরদিন - ০৬-৩৬ - ১০ - ২০

31/01/2024

সাপ্তাহিক কীর্তন মেলা ইসকন গৌড় নিতাই মন্দির ভাটারা।

26/01/2024

দ্রৌপদীর ঘুমন্ত শিশুদেরকে হত্যা করার বিষয় নিয়ে আলোচনা শ্রীমৎ ভাগবত থেকে।

Address

Banani
Banani Model Town

Telephone

+8801767589380

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when রাধা গোবিন্দ কৃপা লাভ posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to রাধা গোবিন্দ কৃপা লাভ:

Videos

Share