
22/01/2025
ক্লাস থ্রিতে পড়ার সময় আমাদের বন্ধু রাব্বি সবার কানে কানে বলত, "আমাকে দুই টাকা দিলে আমি আমার নুনু দেখাব, প্রমিজ।" ক্লাসের অনেকেই দুই টাকা দিয়ে রাব্বির নুনু দেখেছে। দুষ্ট প্রকৃতির কতিপয় বালক অবশ্য জিনিস দেখার পর পঞ্চাশ পয়সা দিয়ে বলত, এখন আর নাই দোস্ত, পরে দিবনে। আবার অনেকে হয়তো কোন টাকাই দেয়নি। বঞ্চিত রাব্বি একবুক কষ্ট নিয়ে আড়ালে চোখের জল ফেলেছে তখন। গুরুজনরা তো আর সাধে বলে না, "বাকির কাম ফাঁকি।"
এই নুনু দেখানোর ঘটনা বালকদের মুখে মুখে আগুনের মতো ছড়িয়ে গিয়েছিল কয়েক সপ্তাহের মাঝে। এমনকি শেষপর্যন্ত ঘটনা ক্লাসটিচারের কান পর্যন্ত চলে যায়। স্কুলে রাব্বির বাবাকে ডেকে এই ব্যাপারে নালিশ জানিয়েছিলেন আমাদের তৎকালীন হেডমাস্টার। যদ্দূর জানি, রাব্বির বাবা ওকে চামড়ার বেল্ট দিয়ে প্রচণ্ড মেরেছিলেন। উক্ত ঘটনার জের ধরে রাব্বিকে স্কুল পর্যন্ত বদলে ফেলতে হয়।
রাব্বির সাথে ক্লাস ওয়ান, টু - দুইবছর ভালো বন্ধুত্ব ছিল আমার। ক্লাস থ্রিতে বিচ্ছেদের পর পুরোপুরিই ওর কথা ভুলে গিয়েছিলাম। আজকে প্রায় চব্বিশ বছর পর হঠাৎ আরেক বন্ধুর কল্যাণে ওর ফেসবুকে আইডি খুঁজে পাই। রিকোয়েস্ট পাঠানোর দশ মিনিটের মাথায় এক্সেপ্ট করে ফেলে ও। তারপর বেশ খানিকক্ষণ চ্যাট করে কনফার্ম হয়ে যাই আমরা দুজনেই। হাজার হোক, শৈশবের বন্ধুত্বের একটা আলাদা মাহাত্ম্য তো আছেই!
প্রফাইল স্টক করে দেখলাম, আমাদের সেই নুনুপ্রদর্শক রাব্বি বর্তমানে স্কটল্যান্ডে সেটেলড। প্রাসাদতুল্য বাড়িতে অতিমাত্রায় উত্তপ্ত এক স্লোভাকিয়ান রেডহেড আপ্পির সাথে লিভ টুগেদার করে ও।
কিছুক্ষণ আগে ম্যাসেঞ্জারে রাব্বির সাথে ভিডিও কলে গল্প হলো ঘণ্টাখানেক। জানলাম, স্কটল্যান্ডের সেই বিলাসবহুল বাড়িটা ওর গার্লফ্রেন্ডের। কিছুদিন আগে রাব্বির জন্মদিনে মেয়েটা ওকে একটা ল্যাম্বোরগিনি গিফট করেছে।
সব শুনে চোদনা হয়ে গেলাম আমি। এক পর্যায়ে লজ্জার মাথা খেয়ে জিজ্ঞেস করলাম, "বন্ধু, এইরকম স্লোভাকিয়ান চিক্সরে তুই লদকালদকির জন্য ম্যানেজ করলি ক্যাম্নে?
রাব্বি হাসল। তারপর ফিসফিস করে বলল, "তেমন কিছু না। এখানে এসে প্রথম পরিচয়ের পর জাস্ট বলছিলাম, দুই ইউরো দিলে আমার নুনু দেখাব।"
উপদেশ: যদি লক্ষ্য থাকে অটুট, বিশ্বাস হৃদয়ের। হবেই হবে দেখা, দেখা হবে বিজয়ের।