Project Queen

Project Queen সালাম,আদাব নমস্কার।
আমি ইসমাম জাহান, সব সময় চেষ্টা করি আমার পড়া বই গুলো নিয়ে আপনাদের সাথে শেয়ার করতে! টুকটাক লিখালিখির সাথেও যুক্ত আছি আপাতত!

“শিশুকে বইমুখী করার সহজ ৫ টিপস!”বইয়ের প্রতি শিশুর আগ্রহ জাগানো সহজ নয়, তবে যদি শুরুতেই সঠিক দিকনির্দেশনা দেওয়া যায়, তাহল...
17/01/2025

“শিশুকে বইমুখী করার সহজ ৫ টিপস!”

বইয়ের প্রতি শিশুর আগ্রহ জাগানো সহজ নয়, তবে যদি শুরুতেই সঠিক দিকনির্দেশনা দেওয়া যায়, তাহলেই সম্ভব! এই পোস্টে থাকছে কিছু কার্যকরী উপায়, যা আপনার শিশুকে বইমুখী করতে সাহায্য করবে।

💡 ১. আনন্দের মাধ্যমে শুরু করুন – বইকে শিশুর কাছে এমনভাবে তুলে ধরুন যেন এটি তাদের জন্য মজা আর কল্পনার জায়গা হয়ে ওঠে। ছবিসহ বইগুলো নির্বাচিত করুন, যা শিশুদের সপ্রতিভ করে তুলবে।

💡 ২. নিয়মিত পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন – শিশুর সঙ্গে প্রতিদিন ১০-১৫ মিনিট একসঙ্গে বই পড়ার সময় রাখুন। নিয়মিত পড়লে সেটা তাদের জন্য রুটিনের অংশ হয়ে উঠবে।

💡 ৩. গল্পে মজা যোগ করুন – বইয়ের চরিত্রগুলোকে জীবনময় করে তুলুন, যেমন হাতের মুঠোয় ধরা মজার গল্পের অঙ্গভঙ্গি বা নানান কায়দা।

💡 ৪. তাদের মতামত জিজ্ঞাসা করুন – বই নিয়ে তাদের ভাবনা বা কোন অংশটি সবচেয়ে ভালো লেগেছে তা জানতে চাওয়ার মাধ্যমে তারা নিজের মত প্রকাশ করতে শেখে।

💡 ৫. নিজে পড়ুন এবং গল্পের পিছু থাকুন – শিশুর সামনে আপনি নিজে বই পড়ার অভ্যাস করুন। আপনার দেখে তারা অনুপ্রাণিত হবে।

আসুন, একসঙ্গে শিশুকে বইমুখী করে তুলি, যেখানে পড়ার প্রতি তাদের ভালো লাগা বাড়বে।

16/01/2025

"তোমার সৃজনশীলতার শিকড় কোথায়? আইডিয়া কি নিজে থেকে আসে, নাকি অন্য কারও অনুপ্রেরণা থেকেই জন্ম নেয়? 🎭
'Steal Like an Artist' বইটি সৃজনশীলতার এক ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে এসেছে, যেখানে শেখানো হয় কীভাবে অনুপ্রেরণা নেওয়া যায় এবং নিজের মতো করে নতুন কিছু তৈরি করা যায়। 🎨📚

এই ভিডিওতে আমি আলোচনা করেছি বইটির মূল ধারণা, লেখকের গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ, এবং কীভাবে এটি তোমার কাজ ও চিন্তাধারাকে প্রভাবিত করতে পারে। যদি তুমি শিল্পী, লেখক, কন্টেন্ট ক্রিয়েটর, বা যে কোনো সৃজনশীল পেশায় থাকো, তবে এই ভিডিওটি তোমার জন্য! ✨

সম্পূর্ণ ভিডিও দেখো এবং জানাও কীভাবে তুমি নিজেকে নতুনভাবে আবিষ্কার করতে পারো!
📌 *পেইজ: প্রজেক্ট কুইন*
"

তোমার সব আইডিয়া কি সত্যিই নিজের? 🤔 | 'Steal Like an Artist'-এর গোপন মন্ত্র জানলে বদলে যাবে দৃষ্টিভঙ্গি! 🎨✨
16/01/2025

তোমার সব আইডিয়া কি সত্যিই নিজের? 🤔 | 'Steal Like an Artist'-এর গোপন মন্ত্র জানলে বদলে যাবে দৃষ্টিভঙ্গি! 🎨✨

"তোমার সৃজনশীলতার শিকড় কোথায়? আইডিয়া কি নিজে থেকে আসে, নাকি অন্য কারও অনুপ্রেরণা থেকেই জন্ম নেয়? 🎭 'Steal Like an Artist' বইটি সৃ.....

কি ভদ্র চেহারা!
16/01/2025

কি ভদ্র চেহারা!

বিকেলটা ছিল ঠিক যেন ছবির মতো। আকাশে মেঘের খেলা, সোনালি রোদ গাছের পাতায় ঝিলমিল করছে। চারপাশে এমন এক শান্তি, যা শুধু গোধূল...
15/01/2025

বিকেলটা ছিল ঠিক যেন ছবির মতো। আকাশে মেঘের খেলা, সোনালি রোদ গাছের পাতায় ঝিলমিল করছে। চারপাশে এমন এক শান্তি, যা শুধু গোধূলির সময়েই অনুভব করা যায়। আমি বারান্দায় বসে একটা মৃদু বাতাসের পরশে চায়ের কাপে চুমুক দিচ্ছিলাম। পাশে রাখা বইটা খুলে রাখতে গিয়ে দেখলাম, পাতাগুলো একটু ভিজে আছে—হয়তো সকালের শিশিরের ফোঁটা এখনো শুকোয়নি।

আমাদের বাড়ির সামনের মাঠটা ছিল সেই মুহূর্তে জীবন্ত। কিছু বাচ্চা ছেলেমেয়ে ক্রিকেট খেলছে। কেউ ব্যাটিং করছে, কেউ বল নিয়ে দৌড়াচ্ছে, আবার কেউ গাছের নিচে দাঁড়িয়ে আড্ডা দিচ্ছে। তাদের হাসি-ঠাট্টায় মাঠটা যেন আরও বেশি প্রাণবন্ত হয়ে উঠেছে।

ঠিক তখন পাশের বাড়ির নতুন মেয়ে রিনি আমার দিকে তাকিয়ে হাসল। আমরা দুজনেই নতুন পড়শি, একে অপরকে এখনো পুরোপুরি চিনিনি। সে এসে বলল, “তোমার হাতে চা এত সুন্দর দেখাচ্ছে যে আমারও ইচ্ছা হচ্ছে এক কাপ চা খেতে।” আমি হেসে বললাম, “তাহলে এসো, একসঙ্গে চা খাই।”

রিনি বারান্দায় এসে বসল। হালকা গোলাপি শাড়ি আর উড়ন্ত চুলে তাকে খুব মিষ্টি লাগছিল। চায়ের কাপে চুমুক দিয়ে সে বলল, “তুমি জানো, এই জায়গাটা আমার কত ভালো লাগে? বিকেলগুলো এখানে একদম আলাদা। গাছের পাতার মর্মরধ্বনি, দৌড়ঝাঁপ করা বাচ্চাদের চিৎকার, আর এই হালকা বাতাস—সব মিলিয়ে একদম মনমুগ্ধকর।”

আমি মাথা নেড়ে বললাম, “ঠিকই বলেছ। এই সময়টা যেন এক অন্যরকম শান্তি দেয়। শহরের ব্যস্ততার মাঝেও এখানে এসে মনটা হালকা হয়ে যায়।”

রিনি একটু চুপ করে রইল। তারপর বলল, “তুমি জানো, আজকের বিকেলটা আমার জন্য একটু বিশেষ। কারণ আজ আমি আমার পুরোনো বন্ধুর সঙ্গে কথা বলব, যাকে আমি অনেক দিন ধরে খুঁজে বেড়াচ্ছি।” আমি অবাক হয়ে জানতে চাইলাম, “তুমি কীভাবে খুঁজলে?” সে মুচকি হেসে বলল, “পুরোনো একটা ডায়েরির মাধ্যমে। আমাদের শেষ কথাগুলো ডায়েরিতে লেখা ছিল, আর সেটা থেকেই নম্বর খুঁজে পেয়েছি।”

তাকে দেখেই বুঝলাম, তার মধ্যে আনন্দের ঢেউ বয়ে যাচ্ছে। আমি বললাম, “তাহলে দেরি করো না, ফোন করো। হয়তো আজকের এই সুন্দর বিকেলটা তোমার জীবনে আরও বিশেষ কিছু হয়ে উঠবে।”

রিনি তার মোবাইলটা বের করল। ফোনটা বাজল কয়েক সেকেন্ড, তারপর ওপাশ থেকে কেউ ফোন ধরল। রিনির মুখে তখন এক আলোর ঝলক। আমি বুঝলাম, তার অনেক দিনের অপেক্ষা আজ শেষ হয়েছে।

ফোন রাখার পর সে আমার দিকে তাকিয়ে বলল, “তুমি জানো, কখনো কখনো জীবনে এমন মুহূর্ত আসে, যখন মনে হয়, সবকিছু ঠিকঠাক হয়ে যাচ্ছে। আজকের বিকেলটা আমার জন্য সেই মুহূর্তের মতো। মনে হচ্ছে, আমি হারানো কিছু ফিরে পেয়েছি।”

আমাদের কথা বলতে বলতে সন্ধ্যা নামল। আকাশটা লালচে থেকে ধীরে ধীরে গাঢ় হয়ে উঠল। বাতাসে একটা হালকা শীতলতার আমেজ। রিনি চলে গেল, কিন্তু আমি বারান্দায় বসে রইলাম। আজকের বিকেলটা শুধু রিনির জন্য নয়, আমার জন্যও বিশেষ হয়ে থাকল।

কারণ, আমি আজ বুঝলাম, জীবনের প্রতিটি বিকেলই একটি গল্প বলে। হয়তো সেটা আমরা প্রতিদিন শুনি না, কিন্তু যখন শুনি, তখন সেটা মনে গভীরভাবে দাগ কাটে।

14/01/2025

আজ ভোরে ঘুম ভাঙতেই জানালার বাইরে চোখ পড়ল। চারদিকে এক মায়াবী আলো। জানালার পাশ দিয়ে মৃদু বাতাস বইছে, তার সঙ্গে পাখিদের কিচিরমিচির। সকালটা যেন নিজের মতো করেই আমাকে বলছে, “আজ একটু ভিন্ন হবে, একটু অন্যরকম।”

আমি বিছানা ছেড়ে উঠলাম। বাইরে তাকিয়ে দেখি সূর্যের আলো সবে গাছের পাতায় এসে পড়েছে। পাতাগুলো যেন সোনার মতো ঝকমক করছে। চারদিকে গাছের সবুজ আর আকাশের নীল একসঙ্গে মিশে এক অনন্য দৃশ্য তৈরি করেছে।

রান্নাঘর থেকে চায়ের সুগন্ধ ভেসে আসছে। মা হয়তো উঠে গেছেন অনেক আগেই। চায়ের কাপ হাতে নিয়ে বারান্দায় এসে বসলাম। সামনের ছোট্ট বাগানটা ঝকঝক করছে। প্রতিটা ফুল যেন তার সমস্ত সৌন্দর্য উজাড় করে দিয়েছে। লাল, হলুদ, সাদা—সব রঙের বাহার। বাগানে বসা একটি ছোট্ট প্রজাপতি ডানা মেলে উড়তে চাইছে। ওকে দেখলে মনে হয়, জীবন এত সুন্দর, এত হালকা!

তবে সকালে সবচেয়ে সুন্দর বিষয়টা হলো পাড়ার লোকজনের কোলাহল। মোড়ের দোকানে চায়ের আড্ডা শুরু হয়েছে। কেউ পত্রিকার পাতা উল্টে রাজনীতির খবর পড়ছে, কেউবা দোকানদারের সঙ্গে তর্ক করছে গতকালের খেলা নিয়ে। পাশের বাড়ির ছেলেটি বাইসাইকেল নিয়ে স্কুলের পথে। তার পায়ের গতি দেখে মনে হয়, তার পুরো পৃথিবী সাইকেলের প্যাডেলের সঙ্গে জুড়ে গেছে।

বাড়ির সামনের রাস্তায় হাঁটতে বেরোলাম। পায়ের নিচে শুকনো পাতা মচমচ শব্দ করে। রাস্তার পাশে বাচ্চারা দৌড়ঝাঁপ করছে। তাদের খিলখিল হাসি শুনে মনে হলো, জীবনের সমস্ত দুঃখ কোথায় হারিয়ে গেছে।

আমার হাঁটতে হাঁটতে মনে হলো, প্রতিদিনের সকালগুলো এত সুন্দর হয়, অথচ আমরা সেটা ঠিকভাবে দেখি না। আমরা জীবনের ছোট্ট ছোট্ট মুহূর্তগুলোকে অবহেলা করি। অথচ সেই মুহূর্তগুলোই তো জীবনের আসল সৌন্দর্য।

আজকের সকাল আমাকে নতুন করে জীবনকে ভালোবাসতে শিখিয়েছে। এক চিলতে রোদ, এক ফোঁটা শিশির, এক টুকরো হাসি—এসব ছোট ছোট জিনিসেই লুকিয়ে থাকে জীবনের আসল রঙ।

সকালের আলো আমার মনকে ভরে দিল। নতুন দিনের নতুন স্বপ্ন নিয়ে ফিরে এলাম ঘরে। জীবন যে কত সুন্দর, সেটা আজ আবার নতুন করে বুঝলাম।

যারা ভুলে যেতে বাধ্য হয়েছেতাদের মাঝেও ভালোবাসা ছিলোতারাও ভালোবাসতোতাদেরকেও কেউ ভালোবাসতো!উৎসর্গ: ভালোবাসার উপবাস কলমে: ...
14/01/2025

যারা ভুলে যেতে বাধ্য হয়েছে
তাদের মাঝেও ভালোবাসা ছিলো
তারাও ভালোবাসতো
তাদেরকেও কেউ ভালোবাসতো!

উৎসর্গ: ভালোবাসার উপবাস
কলমে: জয় বিশ্বাস

জীবনের ইঞ্জিন স্টার্ট দিন: প্রোডাক্টিভ হওয়ার সেরা কৌশলপ্রোডাক্টিভিটি বা কার্যক্ষমতা আমাদের জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে সাফল্...
13/01/2025

জীবনের ইঞ্জিন স্টার্ট দিন: প্রোডাক্টিভ হওয়ার সেরা কৌশল

প্রোডাক্টিভিটি বা কার্যক্ষমতা আমাদের জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে সাফল্যের মূল চাবিকাঠি। কাজকে সঠিক সময়ে এবং সঠিকভাবে সম্পন্ন করার ক্ষমতা কেবল আমাদের কর্মজীবনে নয়, ব্যক্তিগত জীবনেও আনন্দ এবং সফলতা নিয়ে আসে। তবে, প্রোডাক্টিভ হওয়া কোনো জাদুমন্ত্র নয়; এটি ধীরে ধীরে তৈরি হয় সঠিক অভ্যাস এবং মানসিকতার মাধ্যমে।

⚜️সময় ব্যবস্থাপনা শিখুন**
প্রোডাক্টিভ হওয়ার প্রথম ধাপ হলো সময়ের সঠিক ব্যবহার।
- **টুডু লিস্ট তৈরি করুন:** প্রতিদিনের কাজগুলো লিখে রাখুন এবং অগ্রাধিকার দিন।
- **টাইম ব্লকিং মেথড:** দিনের নির্দিষ্ট সময় নির্ধারণ করুন কাজের জন্য।
- **প্রাইম টাইম চিনহিত করুন:** দিন বা রাতের যে সময় আপনি সবচেয়ে এনার্জেটিক থাকেন, সেই সময়টা গুরুত্বপূর্ণ কাজে লাগান।

⚜️ লক্ষ্য স্থির করুন**
স্পষ্ট লক্ষ্য আপনাকে সঠিক পথে চালিত করবে।
- **SMART লক্ষ্য নির্ধারণ করুন:** লক্ষ্য যেন Specific, Measurable, Achievable, Relevant, এবং Time-bound হয়।
- ছোট ছোট কাজ দিয়ে শুরু করুন এবং বড় লক্ষ্য অর্জনের দিকে এগিয়ে যান।

⚜️ প্রাধান্য নির্ধারণ করুন**
প্রত্যেক কাজ সমান গুরুত্বপূর্ণ নয়।
- **Eisenhower Matrix ব্যবহার করুন:** কাজগুলোকে জরুরি এবং অ-জরুরি হিসেবে ভাগ করুন।
- প্রথমে গুরুত্বপূর্ণ এবং জরুরি কাজগুলো শেষ করুন।

⚜️. মনোযোগ ধরে রাখুন**
মনোযোগই প্রোডাক্টিভিটির মূল।
- **ডিজিটাল ডিস্ট্রাকশন কমান:** কাজের সময় মোবাইল এবং সোশ্যাল মিডিয়া এড়িয়ে চলুন।
- **Pomodoro Technique ব্যবহার করুন:** ২৫ মিনিট কাজ করুন এবং ৫ মিনিট বিরতি নিন।
- একসঙ্গে অনেক কাজ করার চেষ্টা করবেন না। মাল্টিটাস্কিং আপনার প্রোডাক্টিভিটি কমিয়ে দেয়।

⚜️৫. ইতিবাচক অভ্যাস তৈরি করুন**
অভ্যাসই আমাদের জীবনকে নিয়ন্ত্রণ করে।
- শরীরচর্চা করুন: প্রতিদিন কিছু সময় ব্যায়াম করুন। এটি শরীর এবং মন দুটোকেই প্রফুল্ল রাখে।
- নিয়মিত ঘুমান:প্রোডাক্টিভিটির জন্য ৭-৮ ঘণ্টার ঘুম অত্যন্ত জরুরি।
- **সুস্থ খাদ্যাভ্যাস গড়ে তুলুন:** পুষ্টিকর খাবার আপনার কর্মশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।

⚜️ শিখতে থাকুন**
নতুন দক্ষতা শেখার মাধ্যমে আপনি নিজেকে আরও উন্নত করতে পারবেন।
- বই পড়ুন, পডকাস্ট শুনুন এবং নতুন বিষয় সম্পর্কে জানুন।
- ভুল থেকে শিক্ষা নিন এবং নতুন ধারণাগুলোর প্রতি খোলা মনের হন।

⚜️নিজেকে পুরস্কৃত করুন**
নিজেকে কাজের জন্য অনুপ্রাণিত রাখুন।
- একটি কাজ সফলভাবে শেষ করার পর নিজেকে ছোট্ট পুরস্কার দিন। এটি হতে পারে প্রিয় খাবার, সিনেমা দেখা বা একটি ছোট্ট ঘোরাঘুরি।

⚜️ নিজেকে বোঝাপড়া করুন**
প্রোডাক্টিভিটি বাড়াতে নিজের সীমাবদ্ধতা এবং শক্তিগুলোকে চিনে নিতে হবে।
- আপনার কর্মক্ষমতার সঠিক সীমা নির্ধারণ করুন।
- অযথা নিজেকে অতিরিক্ত চাপ দেবেন না।

⚜️ নিয়মিত পর্যালোচনা করুন**
সপ্তাহের শেষে নিজের কাজগুলো পর্যালোচনা করুন।
- কী কাজ সফল হয়েছে এবং কী হয়নি, তা বিশ্লেষণ করুন।
- পরবর্তী সপ্তাহে উন্নতির পরিকল্পনা করুন।

⚜️ ধৈর্য ধরে এগিয়ে চলুন**
প্রোডাক্টিভ হওয়া কোনো একদিনের বিষয় নয়। ধৈর্য ধরে সঠিক পথে চলতে হবে। ব্যর্থ হলে হতাশ না হয়ে নতুনভাবে শুরু করুন।

প্রোডাক্টিভ হওয়া মানে শুধু কাজের সংখ্যা বাড়ানো নয়, বরং জীবনের প্রতিটি মুহূর্তকে সার্থকভাবে কাজে লাগানো। সঠিক অভ্যাস এবং মানসিকতার মাধ্যমে আপনি আপনার জীবনে প্রোডাক্টিভিটির ধারা আনতে পারবেন। মনে রাখবেন, প্রতিদিনের ছোট ছোট উন্নতি একসময় বড় সফলতায় রূপান্তরিত হয়। সুতরাং, আজ থেকেই প্রোডাক্টিভ হওয়ার দিকে প্রথম পদক্ষেপটি নিন।

যদি কোনো বইয়ের প্রথম পাতাই আমাদের মুগ্ধ করতে পারে, তবে তা ধরে রাখে পাঠকের হৃদয়। আর ঠিক তেমনই, তরুণ লেখক বা লেখিকাদের বইয়...
13/01/2025

যদি কোনো বইয়ের প্রথম পাতাই আমাদের মুগ্ধ করতে পারে, তবে তা ধরে রাখে পাঠকের হৃদয়। আর ঠিক তেমনই, তরুণ লেখক বা লেখিকাদের বইয়ের মাঝে থাকে এমন এক সতেজতা, যা আমাদের মনকে নতুনভাবে ভাবতে শেখায়। আমি যখনই নতুন কোনো লেখকের বই হাতে তুলে নিই, অনুভব করি যেন এক নতুন জগতে প্রবেশ করছি। তাদের লেখার প্রতিটি বাক্যে লুকিয়ে থাকে এক অনন্য স্বর, যা প্রথাগত ধারা থেকে ভিন্ন।

তরুণ লেখক ও লেখিকাদের বই পড়া আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রথমত, তাঁদের মধ্যে থাকে নতুন ভাবনা ও অনন্য দৃষ্টিভঙ্গি। তাঁরা সেই বিষয়গুলো তুলে ধরেন, যা হয়তো প্রবীণ লেখকদের লেখায় উপেক্ষিত থেকে যায়। বর্তমান প্রজন্মের তরুণ লেখকরা তাদের নিজস্ব অভিজ্ঞতা, সমাজের চলমান পরিবর্তন এবং মানুষের মনের গভীরতা নিয়ে আলোচনা করেন। ফলে, তাঁদের বই পড়লে আমরা সমাজ এবং সময়কে নতুনভাবে বুঝতে পারি।

দ্বিতীয়ত, তরুণ লেখকদের লেখায় থাকে সাহস। তাঁরা অনেক সময় প্রচলিত ধ্যানধারণার বাইরে গিয়ে প্রশ্ন তোলেন এবং এমন বিষয় নিয়ে লেখেন, যা হয়তো আমরা ভাবতেও সাহস পাই না। তাঁরা সাহিত্যের ভোক্তা মাত্র নন, বরং সাহিত্যের স্রষ্টা। তাঁদের লেখনী আমাদের মনের জড়তা ভেঙে দিতে সাহায্য করে।

তৃতীয়ত, একজন তরুণ লেখক বা লেখিকা যখন প্রথম বই প্রকাশ করেন, তাঁরা স্বপ্ন নিয়ে সেই কাজ শুরু করেন। তাঁদের বই পড়া মানে তাঁদের সেই স্বপ্নকে সম্মান জানানো। তরুণ লেখকদের লেখা পড়লে আমরা তাঁদের প্রেরণা দিতে পারি, যা ভবিষ্যতে আরও ভালো সাহিত্য সৃষ্টিতে সাহায্য করে।

সবচেয়ে বড় কথা, নতুন লেখকদের বইয়ের মধ্যে থাকে একধরনের সতেজতা। তাঁরা তাঁদের সৃষ্টিশীলতা এবং ভাষার সৌন্দর্য দিয়ে পাঠকদের মুগ্ধ করতে চান। তাঁদের গল্পে কখনো আমরা নিজেকে খুঁজে পাই, কখনো তাঁদের কল্পনায় ডুবে যাই।

তরুণ লেখক-লেখিকাদের বই কেনা এবং পড়া মানে শুধুমাত্র তাঁদের প্রতি সমর্থন প্রকাশ করা নয়, বরং নতুন ভাবনার সঙ্গে আমাদের মনকে পরিচিত করানো। তাঁদের লেখায় আমরা পাই স্বতন্ত্র এক দৃষ্টিভঙ্গি, যা আমাদের জীবনের নানা দিককে নতুনভাবে উপলব্ধি করতে শেখায়। তাই আমি বলি, নতুন লেখকদের বই পড়া মানে ভবিষ্যতের সাহিত্যের ভিত্তি নির্মাণ করা।

©ইসমাম জাহান

আমাদের সমাজে "পড়ুয়া মেয়েকে বধুয়া করো" এই প্রবাদবাক্যটি শুনলে মনে হয়, এটি একটি সময়োপযোগী এবং যুক্তিসঙ্গত আহ্বান। আমি নিজে...
13/01/2025

আমাদের সমাজে "পড়ুয়া মেয়েকে বধুয়া করো" এই প্রবাদবাক্যটি শুনলে মনে হয়, এটি একটি সময়োপযোগী এবং যুক্তিসঙ্গত আহ্বান। আমি নিজেও একজন শিক্ষার্থী, এবং নিজের অভিজ্ঞতা থেকেই বুঝি যে শিক্ষার আলো নারীর জীবনকে কতটা উজ্জ্বল করে তুলতে পারে। একবিংশ শতাব্দীতে দাঁড়িয়ে, যখন নারীর ক্ষমতায়ন আর শিক্ষার প্রসার নিয়ে আমরা এত আলোচনা করি, তখন এই কথাটির গুরুত্ব আরও বেশি করে অনুভব করি।

একজন পড়ুয়া মেয়ের বিবাহ শুধুমাত্র তার নিজের জীবনের উন্নতির কারণ হয় না, তা আসলে একটি গোটা পরিবারের, এমনকি সমাজের অগ্রগতির সূচনা। কারণ শিক্ষা একজন নারীর মধ্যে শুধু জ্ঞানই বৃদ্ধি করে না, তার চিন্তাভাবনা, বিচারশক্তি, এবং দায়িত্বশীলতা বাড়ায়। শিক্ষিত নারী একজন দক্ষ গৃহিণী, স্নেহশীল মা এবং যোগ্য সঙ্গী হয়ে উঠতে পারেন। তিনি সন্তানদের সঠিক দিকনির্দেশনা দিতে পারেন, যা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

পড়ুয়া মেয়ে মানেই যে শুধু বই পড়ে, তা নয়। সে বিশ্ব সম্পর্কে জানে, নিজের অধিকার সম্পর্কে সচেতন এবং বিভিন্ন পরিস্থিতিতে নিজেকে মানিয়ে নেওয়ার ক্ষমতাও রাখে। তার মধ্যে থাকে একধরনের আত্মবিশ্বাস, যা তাকে সব বাধা অতিক্রম করতে সাহায্য করে। শিক্ষিত নারী শুধু নিজের ঘরকন্নায় নয়, বাহিরের কাজেও স্বচ্ছন্দ এবং সমানভাবে পারদর্শী।

এখন প্রশ্ন আসে, কেন পড়ুয়া মেয়েকে বধুয়া করা উচিত? কারণ, বিয়ে শুধু দুটি মানুষের নয়, দুটি পরিবারের এক হওয়ার মাধ্যম। যখন একজন শিক্ষিত মেয়ে পরিবারের অংশ হন, তখন সেই পরিবারে সংস্কার, মূল্যবোধ এবং উন্নতির স্রোত বইতে থাকে। তিনি পরিবারের আর্থিক, সামাজিক এবং মানসিক স্তরে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে পারেন।
fans
তবে এখানে একটাই কথা বলা জরুরি—মেয়ের পড়াশোনা থেমে যাওয়া যেন না হয়। বিবাহিত জীবনেও তার স্বপ্নগুলো পূরণের সুযোগ দেওয়া উচিত। কারণ, শিক্ষার কোনো শেষ নেই।

"পড়ুয়া মেয়েকে বধুয়া করো"—এই প্রবাদটি শুধু একটি পরামর্শ নয়, এটি একটি দৃষ্টিভঙ্গি, যা সমাজকে আরও সমৃদ্ধ করার পথ দেখায়।

©ইসমাম জাহান

"তোমাকে ছাড়া আমি কীভাবে এই পৃথিবীটায় টিকে থাকতাম মা? তুমি যে শুধু মা নও, তুমি আমার প্রথম বন্ধু, আমার প্রথম শিক্ষক, আর আম...
02/01/2025

"তোমাকে ছাড়া আমি কীভাবে এই পৃথিবীটায় টিকে থাকতাম মা? তুমি যে শুধু মা নও, তুমি আমার প্রথম বন্ধু, আমার প্রথম শিক্ষক, আর আমার জীবনের সবচেয়ে বড় আশীর্বাদ। আজ তোমার জন্মদিন, আর আমি ভাবছি—তোমার মতো সুন্দর একটা মানুষকে এই দিনে কীভাবে স্পেশাল অনুভব করাবো!

মনে আছে, ছোটবেলায় তোমার আঁচলে মুখ লুকিয়ে লুকিয়ে কাঁদতাম, আর তুমি এক হাতেই সব মুছে দিতে? অথচ তুমি কখনো নিজের ক্লান্তি বা দুঃখ দেখাওনি। তুমি আমাকে কড়া শাসন করেছ, আবার রাতে চুপচাপ এসে কপালে চুমু খেয়েছ। মা, তোমার দুষ্টু-মিষ্টি ভালোবাসার গল্পগুলোই আমার জীবনটা এত রঙিন করেছে।

তোমার জন্য তো আমার সবকিছুই কম মনে হয়, তবুও আজ তোমাকে বলছি—তোমার হাসিটাই আমার জীবনের সবচেয়ে দামি জিনিস। আজকের দিনটা শুধু তোমার জন্য! শুভ জন্মদিন মা, আমার জীবনের প্রথম ভালোবাসা। তোমার এই দুষ্টু মেয়েটা তোমাকে সবসময় আগলে রাখবে।"

Before 2024 ends, inbox me anything you always wanted to tell me. It's certainly going to stay between us...🙏❤️
31/12/2024

Before 2024 ends, inbox me anything you always wanted to tell me. It's certainly going to stay between us...
🙏❤️

31/12/2024

বইপ্রেমী সঙ্গী মানে এমন একজন, যিনি ঝগড়া করার সময়ও বলবে, "তোমার কথার প্লট একটু দুর্বল হয়ে গেছে!" কিংবা ডেট প্ল্যানে বলবে, "কফি শপে নয়, লাইব্রেরিতে চল, ওখানে সাইলেন্স মেইনটেন করাই রোমান্স!"

আর সবচেয়ে মজার ব্যাপার? ঝগড়ার শেষে একটা নোট রেখে যাবে, "To Be Continued..."!

"আমাদের মহল্লার অন্ধকার গলিটার ঠিক মাঝখানে একটা জীর্ণ, রঙচটা বাস হঠাৎ একদিন এসে দাঁড়িয়েছিল। বাসটা দেখে মনে হচ্ছিল যেন ভা...
30/12/2024

"আমাদের মহল্লার অন্ধকার গলিটার ঠিক মাঝখানে একটা জীর্ণ, রঙচটা বাস হঠাৎ একদিন এসে দাঁড়িয়েছিল। বাসটা দেখে মনে হচ্ছিল যেন ভাঙা স্বপ্নের কোনো টুকরো—জীবনের সবকিছু ফেলে পালিয়ে আসা এক যান্ত্রিক কঙ্কাল। কিন্তু তখনও জানতাম না, এই বাসটাই একদিন আমার শৈশবকে জাদুকরী করে তুলবে।"

সেদিন সন্ধ্যার সময় হঠাৎই বাসটার দিকে নজর পড়েছিল। মায়ের কাছ থেকে বাজারের ব্যাগ নিয়ে ফিরছিলাম। বাসটার জানালা থেকে এক ধরনের মৃদু আলো ঠিকরে বেরোচ্ছিল। বাসের গায়ে লেখা ছিল 'ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরি'। মহল্লার সবাই জানালায় উঁকি দিয়ে দেখছিল। কিন্তু আশেপাশে কাউকে না দেখে কেউ ভেতরে ঢুকছিল না।

আমার মনের ভেতরে ভয় আর কৌতূহল, দুটোই কাজ করছিল। বড়রা বলছিল, "এসব হলো শহরের নতুন ফন্দি। ভালো কিছু হবে না।" আমার বয়স তখন দশ, আর এইসব রহস্যময় জিনিস আমার কাছে ছিল কোনো রোমাঞ্চকাহিনির মতো।


পরদিন বিকেলে স্কুল শেষে সাহস করে বাসটার কাছে গেলাম। বাসের দরজায় টোকা দিতেই ভেতর থেকে এক বৃদ্ধের গম্ভীর কণ্ঠ ভেসে এলো, "এসো, ভয় পেয়ো না।" আমি ভেতরে পা রাখতেই দেখি, সারি সারি বই সাজানো। এক বৃদ্ধ লোক, বয়স পঞ্চাশের বেশি হবে, চশমার পেছনে চোখদুটো কেমন যেন জ্বলজ্বল করছে।

তিনি মৃদু হেসে বললেন, "তুমি কি বই পড়তে ভালোবাসো?" আমি লজ্জায় মাথা নাড়ালাম। আসলে বই পড়ার সুযোগ কখনো পাইনি। আমাদের বাড়িতে তো গল্পের বই কেনার সামর্থ্য ছিল না। মা সারাদিন সেলাইয়ের কাজ করেন, আর বাবা—তিনি কখনোই এইসব 'অপ্রয়োজনীয়' বিষয়ে গুরুত্ব দেননি।

বৃদ্ধ লোকটি আমাকে একটা বই তুলে দিলেন। বললেন, নাও, এটা পড়ো। নাম ‘ক্ষুদিরামের গল্প’।

সেই রাতে বইটা পড়তে গিয়ে আমি অন্য এক জগতে হারিয়ে গেলাম। ক্ষুদিরামের সাহসিকতা, তার ত্যাগ আমাকে এমনভাবে আন্দোলিত করেছিল যে চোখে জল চলে এসেছিল। আমার মনে হয়েছিল, এই বই শুধু কাগজের পৃষ্ঠায় লেখা নয়, এটা জীবনের একটা অংশ।

এরপর প্রতিদিন স্কুল থেকে ফিরে আমি বাসটার কাছে যেতাম। তিনি আমাকে নানা রকমের বই দিতেন—রবীন্দ্রনাথ, শরৎচন্দ্র, সুকান্ত, বিভূতিভূষণ। আমি যেন ধীরে ধীরে একজন নতুন মানুষ হয়ে উঠছিলাম। বইয়ের পাতায় পাতায় যে জীবন, যে সংগ্রাম আর যে স্বপ্নের গল্প ছিল, তা আমার একঘেয়ে জীবনের রঙ হয়ে উঠল।
একদিন বৃদ্ধ লোকটি আমাকে বললেন, "জানো, এই বাসটা কেন আমি চালাই?" আমি মাথা নাড়ালাম। তিনি বললেন, "আমি একসময় শিক্ষক ছিলাম। বই পড়ানোর নেশা ছিল। কিন্তু জীবনের আঘাতে স্কুলের চাকরি ছেড়ে দিই। তখনই ঠিক করলাম, এই ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরি দিয়ে মানুষকে বইয়ের সঙ্গে পরিচিত করব।"

তার কথাগুলো শুনে আমার চোখ ভিজে গেল। আমি সেই দিনই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম, আমি একদিন অনেক বড় লেখক হব। এমন কিছু লিখব, যা মানুষের জীবনে ছাপ রেখে যাবে।
কিন্তু কয়েক মাস পর একদিন বাসটা উধাও হয়ে গেল। কোনো নোটিশ, কোনো কথা না বলে। মহল্লার মানুষজন বলল, "লোকটা হয়তো অন্য কোথাও চলে গেছে।" কিন্তু আমার মনে হচ্ছিল, আমার জীবনের সবচেয়ে প্রিয় একজন সঙ্গী হারিয়ে গেছে।

তখন থেকেই আমি প্রতিটি বই পড়তে শুরু করলাম। সেই ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরি আমাকে শিখিয়েছিল যে জীবনটা শুধু বেঁচে থাকার নয়, স্বপ্ন দেখারও। আজ, আমি যখন নিজের লেখা প্রথম বইটি হাতে নিই, তখন মনে হয়, সেই বৃদ্ধ মানুষটির হাতের স্পর্শ এখনো আমার সঙ্গেই আছে।

"ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরি শুধু বইয়ের বাস ছিল না। এটা ছিল স্বপ্নের এক চলমান দরজা, যা আমাকে শিখিয়েছিল জীবনের সত্যিকারের মানে।"

©ইসমাম জাহান

আহমদ ছফার মতো ব্যক্তিত্বকে নিয়ে আলোচনা সবসময়ই মুগ্ধতার জন্ম দেয়। তাঁর লেখা যেমন আমাদের মস্তিষ্কে সাড়া জাগায়, তেমনি তাঁর ...
30/12/2024

আহমদ ছফার মতো ব্যক্তিত্বকে নিয়ে আলোচনা সবসময়ই মুগ্ধতার জন্ম দেয়। তাঁর লেখা যেমন আমাদের মস্তিষ্কে সাড়া জাগায়, তেমনি তাঁর জীবনচর্চাও সাহিত্যের সীমানা ছাড়িয়ে সামাজিক, রাজনৈতিক এবং দার্শনিক প্রেক্ষাপটে গভীর প্রভাব ফেলে। **‘অর্ধেক নারী অর্ধেক ঈশ্বরী’** যেন তাঁর সৃজনশীল প্রতিভার এক অপরিমেয় নিদর্শন। এটি শুধু একটি প্রেমের উপন্যাস নয়; বরং প্রেম, কামনা, আধ্যাত্মবাদ এবং সমাজের রীতিনীতির প্রতি এক বিদ্রোহের শিল্পিত উপস্থাপনা।

আপনার দৃষ্টিভঙ্গি অত্যন্ত বাস্তব এবং গভীর। **‘মানুষের কোনো কিছুই একান্ত ব্যক্তিগত নয়’**—এই সারসত্যটি ছফা তাঁর লেখার প্রতিটি স্তরে উপস্থাপন করেছেন। শুধু প্রেম নয়, আমাদের প্রতিটি অনুভূতি, কাজ এবং সম্পর্ক রাষ্ট্র, সমাজ এবং সময়ের দ্বারা প্রভাবিত। প্রেম এখানে একটি মাধ্যম, যার মাধ্যমে ছফা আমাদের গভীরতর সামাজিক কাঠামোর অসঙ্গতিগুলো উন্মোচন করেছেন।

উপন্যাসের চরিত্রগুলোর জটিল সম্পর্কগুলো যেমন সমাজ ও রীতিনীতির বিরুদ্ধে এক আত্মিক যুদ্ধ, তেমনি সেই সময়ে সমাজের ক্ষমতাধর ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ছায়া আমরা সেখানে স্পষ্ট দেখতে পাই। ছফা যেভাবে সত্যকে চিত্রায়িত করেছেন, তা অনেকের কাছে হয়তো অপমানজনক বা কুৎসিত মনে হতে পারে। কিন্তু একজন সৎ লেখক সমাজের আরামদায়ক মিথ্যের বদলে তিক্ত সত্য প্রকাশ করতেই দায়িত্ববান।

**ছফার জীবন থেকে তাঁর সাহিত্যকে আলাদা করে দেখা অসম্ভব।** কারণ তাঁর প্রতিটি লেখা তাঁর জীবনের অভিজ্ঞতা ও সমাজের প্রতি তাঁর দৃষ্টিভঙ্গির ফসল। এই সাহসিকতাই তাঁকে অন্যদের থেকে আলাদা করে। তাঁর সমালোচকের অভাব নেই, কিন্তু তাঁর মতো করে সত্যকে তুলে ধরার সাহস আর ক’জনের আছে?

ছফার সাহিত্যকে ভালোবেসে যদি আমরা তাঁর জীবন থেকে শিক্ষা নেই, তবে তা হবে আমাদের সাহিত্যের সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি।

25/12/2024
19/12/2024

ইন্টারভিউ টি চাইলে দেখতে পারেন! @সেরা ফ্যান

Address

Dhaka

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Project Queen posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Project Queen:

Videos

Share

Category