Knightrider Gaming

Knightrider Gaming Mobile Bangladesh Video creator

20/09/2023

চোখ ব'ন্ধ করে তুমি যাকে বিশ্বাস করবে,
একদিন সেই মানুষটাই তোমাকে বুঝিয়ে দেবে
যে তুমি সত্যিই অ'ন্ধ ছিলে।

লেখা : সংগৃহীত

🤣
04/07/2023

🤣

28/06/2023

EID MUBARAK

তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া প্রযোজক বরকতউল্লাহকে ফোন করে অনুরোধ করলেন - হুমায়ূন আহমেদকে বলুন, নাটকের শেষে বাকেরকে ...
11/06/2023

তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া প্রযোজক বরকতউল্লাহকে ফোন করে অনুরোধ করলেন - হুমায়ূন আহমেদকে বলুন, নাটকের শেষে বাকেরকে বাঁচিয়ে রাখা যায় কিনা..বরকতউল্লাহ ফোন দিলেন হুমায়ুন আহমেদকে। হুমায়ূন আহমেদ রাজি হলেন না। তিনি স্বাধীনচেতা লেখক। তিনি স্ক্রিপ্টে যা ভেবে রেখেছেন সেটাই করবেন। জনগণের আন্দোলন কিংবা প্রধানমন্ত্রীর অনুরোধকে গ্রাহ্য করার লোক তিনি না। আজ, এই ২০২৩ সালে দাড়িয়ে কল্পনা করুন বাংলাদেশের সিনেমাতেও কি বাকের ভাইকে টেক্কা দেওয়ার মতো কোন শক্তিশালী চরিত্র তৈরী হয়েছে? আমার অন্তত জানা নেই।নাটকের শেষদিকে যখন মিথ্যে মামলায় বাকের ভাইয়ের ফাঁসি হবার একটা সম্ভাবনা দেখা দিলো, তখনই সবচেয়ে অভূতপূর্ব ঘটনা টা ঘটলো। প্রিয় চরিত্রের ফাঁ*সি হয়ে যাবে এটা মেনে নিতে না পেরে রাস্তায় নেমে এলো সাধারণ মানুষ। হুমায়ুন আহমেদের বাড়িতে পাঠানো হলো উড়ো চিঠি, প্রেসক্লাবের সামনে হলো মানববন্ধন। ঢাকার বাইরেও মিছিল বের হলো, স্লোগান উঠলো - 'বাকের ভাইয়ের ফাঁ*সি কেনো, কুত্তাওয়ালী জবাব চাই', 'বাকের ভাইয়ের কিছু হলে, জ্বলবে আগুন ঘরে ঘরে..' ২১ সেপ্টেম্বরে সারা বাংলাদেশ কেঁদেছিলো। শোক মিছিল বের হলো সারা বাংলাদেশে। বাকের ভাইয়ের সবচেয়ে কাছের বন্ধু বদির বাড়িতে হামলা করলো সাধারণ জনতা। বদি কে বাড়ি থেকে সরিয়ে অন্যত্র রাখা হলো। নাটকের শেষ দৃশ্যের শ্যুটিংও লুকিয়ে করা হয়েছিলো। একটা নাটক কতটা জনপ্রিয় হলে সাধারণ মানুষ এমনটা করতে পারে। আর এই নাটকে বাকের ভাইয়ের সবচেয়ে পছন্দের বিখ্যাত সেই গান - "হাওয়া মে উড়তা যায়ে, মোরা লাল দুপাট্টা মাল মাল, কাজ মোরা লাল দুপাট্টা মাল মাল কাহো জি হো জি"

– কোথাও কেউ নেই (হুমায়ুন আহমেদ)।

লেখকঃ- Md Abdullah
কপি




‼️ONLY 30 SLOTA LEFT‼️            ‼️ONLY 30 SLOTA LEFT‼️[   JOLPORI BATTLE LEAGUE   ]■┃ PRESENTED BY: JP ESPORTS ■┃ MANA...
02/06/2023

‼️ONLY 30 SLOTA LEFT‼️

‼️ONLY 30 SLOTA LEFT‼️

[ JOLPORI BATTLE LEAGUE ]

■┃ PRESENTED BY: JP ESPORTS
■┃ MANAGED BY : PHANTOM FORCE
■┃ SPONSORED BY : JOLPORI GAMING

[REGISTRATION STARTS]
{ 2 JUNE 2023 }

08:00 PM🇧🇩 07:45 PM 🇳🇵
━━━━━━━━━━━
⌬┃REGISTRATION : FREE
⌬┃ TOTAL SLOT : 60 ONLY
⌬┃ MODE : SQUAD/TPP
⌬┃ PLATFORM : ONLY MOBILE

FOR MORE INFORMATION JOIN OUR SERVER

■┃**DISCORD LINK** :
https://discord.gg/5yf6JRQHpy

‌[] | BANNER LINK: https://cdn.discordapp.com/attachments/1077821323969036340/1112388616795209818/Jolpori_x_Phantom_Force_Banner.jpg

Jolpori Gaming VS JP Fighter
01/06/2023

Jolpori Gaming VS JP Fighter

01/06/2023

Jolpori Gaming VS JP Fighter

Buri bedi jokhon un happy🤣 tokhon soytane lare 🤣 Buri bedir chulkay troll howar jonne
24/05/2023

Buri bedi jokhon un happy🤣 tokhon soytane lare 🤣 Buri bedir chulkay troll howar jonne

19/05/2023

Jolpori Gaming







Jolpori Gaming
18/05/2023

Jolpori Gaming






😁Jolpori GamingJolpori Gaming Family
07/05/2023

😁

Jolpori Gaming
Jolpori Gaming Family



Jolpori Gaming and JP Esports
03/05/2023

Jolpori Gaming and JP Esports




তাকাব্বালাল্লাহু মিন্না ওয়া মিনকুম
21/04/2023

তাকাব্বালাল্লাহু মিন্না ওয়া মিনকুম

03/04/2023

একটি মধ্যবিত্ত পরিবারের মিনিমাম মাসিক খরচের তালিকা...
১। চাউল ১ বস্তা = ৩,০০০/-
২। তৈল ৩ লিটার = ৬০০/-
৩। বাসা ভাড়া = ৪,০০০/-
৪। সবজি = ২,০০০/-
৫। মাছ = ১,৫০০/-
৬। গ্যাস সিলিন্ডার = ১,৮০০/-
৭। শ্যাম্পু,সাবান৷ = ৫০০/-
৮। মুদি বাজার = ২,০০০/-
৮। বিদ্যুৎ বিল = ৭০০/-
৯।মোবাইল খরচ। = ৫০০/-
১০!বাবা মায়ের হাতে নিম্নে৫০০০
-------------------------------------------------
সর্বমোট = ২১৬০০/-

সাথে বাচ্চাদের পড়াশুনা, চিকিৎসা খরচ, যাতায়াত, পিতা মাতার জন্য নির্দিষ্ট একটা খরচ সহ আরও অন্যান্য খরচ।

কিন্তু,
যাদের বেতন ১০,০০০
যাদের বেতন ১৫,০০০
যাদের বেতন ২০,০০০

কি করবে তারা ???

হাত খরচ, যাতায়াত খরচ বাদ দিলাম।।

🥹নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের
দাম কমান🥹

©️collected

02/02/2023

Jolpori Elite League S1 (PP 5K)
Jolpori Gaming

——————————————————————————————————————————        "𝐉𝐎𝐋𝐏𝐎𝐑𝐈 𝐄𝐋𝐈𝐓𝐄 𝐋𝐄𝐀𝐆𝐔𝐄"       |  𝙿𝚁𝙸𝚉𝙴𝙿𝙾𝙻𝙻 𝙾𝙵 𝟓𝟎𝟎𝟎 𝐁𝐃𝐓 |———————————————...
20/01/2023

—————————————————————
—————————————————————
"𝐉𝐎𝐋𝐏𝐎𝐑𝐈 𝐄𝐋𝐈𝐓𝐄 𝐋𝐄𝐀𝐆𝐔𝐄"
| 𝙿𝚁𝙸𝚉𝙴𝙿𝙾𝙻𝙻 𝙾𝙵 𝟓𝟎𝟎𝟎 𝐁𝐃𝐓 |
—————————————————————
—————————————————————

▼ 𝑃𝑅𝐸𝑆𝐸𝑁𝑇𝐸𝐷 𝐵𝑌: JP ESPORTS

▼𝑆𝑃𝑂𝑁𝑆𝑂𝑅𝐸𝐷 𝐵𝑌: JOLPORI GAMING

▼𝑀𝐴𝑁𝐴𝐺𝐸𝑀𝐸𝑁𝑇 𝐵𝑌: POWER BLOOD E-SPORTS

▼𝐺𝐹𝑋 𝐵𝑌: DREAMY GFX

—————————————————————

━━━━━━━━━━━━━━━━━━━━━━━━━━━━━

```
⌬ REGISTRATION DATE : 28 JANUARY 2023
⌬ REGISTRATION TIME : 8:00 PM SHARP
━━━━━━━━━━━━━━━━━━━━━━━
__TOURNAMENT DETAILS:__
━━━━━━━━━━━━━━━━━━━━━━━

```
◉ TOTAL SLOT : 180 ONLY ( NO INVITED)
◉ NO ACHIEVEMENT NEED
◉ ENTRY : FREE
◉ PLATFORM : MOBILE ONLY```
━━━━━━━━━━━━━━━━━━━━━━━━━━━
FOR MORE INFO JOIN OUR DISCORD SERVER.
━━━━━━━━━━━━━━━━━━━━━━━━━━━

𒆕|__DISCORD LINK :
https://discord.gg/CdYJkDDqfr

```═══════════ ✿◕◕✿ ══════════        𝐋𝐎𝐕𝐄 𝐈𝐒 𝐎𝐍 𝐅𝐈𝐑𝐄           𝙲𝙷𝙰𝙿𝚃𝙴𝚁 𝟶𝟷═══════════ ✿◕◕✿ ══════════`````` 𝑃𝑅𝐸𝑆𝐸𝑁𝑇𝐸𝐷 𝐵𝑌...
19/01/2023

```
═══════════ ✿◕◕✿ ══════════
𝐋𝐎𝐕𝐄 𝐈𝐒 𝐎𝐍 𝐅𝐈𝐑𝐄
𝙲𝙷𝙰𝙿𝚃𝙴𝚁 𝟶𝟷

═══════════ ✿◕◕✿ ══════════
```
```
𝑃𝑅𝐸𝑆𝐸𝑁𝑇𝐸𝐷 𝐵𝑌 : FIRE STROM ESPORTS

𝑀𝐴𝑁𝐴𝐺𝐸𝑀𝐸𝑁𝑇 𝐵𝑌: FIRE STORM ESPORTS

𝑆𝑃𝑂𝑁𝑆𝑂𝑅 𝐵𝑌 : FARABE & AMS SIR

𝐺𝑅𝐴𝑃𝐻𝐼𝐶𝑆 𝑃𝐴𝑅𝑇𝑁𝐸𝑅 : 1Grafixx
```
```
𝐃𝐔𝐎 | 𝐓𝐏𝐏 | 𝐀𝐒𝐈𝐀
𝐏𝐑𝐈𝐙𝐄𝐏𝐎𝐎𝐋 : 10000 BDT.
𝐄𝐍𝐓𝐑𝐘 𝐅𝐄𝐄 : FREE
𝐒𝐋𝐎𝐓𝐒 : 80 ( LIMITED )
𝐑𝐄𝐆 𝐎𝐏𝐄𝐍 : 20 JANUARY 09:00PM
```
•---------------–---------------------------•

𝙱𝙰𝙽𝙽𝙴𝚁 𝙻𝙸𝙽𝙺: https://media.discordapp.net/attachments/1040923497846804530/1062620703158960178/love_is_on_fire_1.1_promo_banner.jpg

𝚂𝙴𝚁𝚅𝙴𝚁 𝙻𝙸𝙽𝙺: https://discord.gg/KS2yXeBtut

08/01/2023

Manush na paila kutta palleo valo hoito ☺️ ontoto amar kamor khaite hoitona ☺️

POWER BLOOD E-Sports ```═════════ ✿◕ ✳ ◕✿ ═════════       𝐏𝐎𝐖𝐄𝐑 𝐁𝐋𝐎𝐎𝐃        𝐆𝐈𝐑𝐋𝐒 𝐒𝐂𝐑𝐈𝐌𝐒      𝐒𝐄𝐀𝐒𝐎𝐍-1 𝐖𝐄𝐄𝐊-1═════════ ...
07/01/2023

POWER BLOOD E-Sports
```
═════════ ✿◕ ✳ ◕✿ ═════════
𝐏𝐎𝐖𝐄𝐑 𝐁𝐋𝐎𝐎𝐃
𝐆𝐈𝐑𝐋𝐒 𝐒𝐂𝐑𝐈𝐌𝐒
𝐒𝐄𝐀𝐒𝐎𝐍-1 𝐖𝐄𝐄𝐊-1

═════════ ✿◕ ✳ ◕✿ ═════════
```
```
〢PRESENTED BY : POWER BLOOD E-SPORTS
〢MANAGED BY : PB MANAGEMENT
```

〢TOURNAMENT DETAILS 〢

```
"✦ REGISTRATION DATE : 12 JANUARY
✦ REGISTRATION TIME : 9:00 pm 🇧🇩
✦ TOTAL SLOT : 20 SLOT
✦ SERVER : ASIA" ```

✓〢BANNER LINK - https://cdn.discordapp.com/attachments/1050468824140492890/1059492023498977350/fefug.jpg

✓〢SERVER : https://discord.gg/3f8Apv4B3Z

31/12/2022

Happy New Year 2023 🎈🎈🎈

Legend no more PELE  Born: October 23, 1940 Tres Coracoes, Brazil.Died December 29, 2022, São Paolo, Brazil.
29/12/2022

Legend no more
PELE Born: October 23, 1940 Tres Coracoes, Brazil.
Died December 29, 2022, São Paolo, Brazil.

ℂ𝕠𝕟𝕘𝕣𝕒𝕥𝕦𝕝𝕒𝕥𝕚𝕠𝕟 ❤️🇦🇷World Cup Champion Argentinaℂ𝕠𝕟𝕘𝕣𝕒𝕥𝕦𝕝𝕒𝕥𝕚𝕠𝕟 Leo Messi ❤️
18/12/2022

ℂ𝕠𝕟𝕘𝕣𝕒𝕥𝕦𝕝𝕒𝕥𝕚𝕠𝕟 ❤️🇦🇷
World Cup Champion Argentina
ℂ𝕠𝕟𝕘𝕣𝕒𝕥𝕦𝕝𝕒𝕥𝕚𝕠𝕟 Leo Messi ❤️

16/12/2022






সবাইকে মহান বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা 💐 #বাংলাদেশ #মুক্তিযুদ্ধ  #১৬ডিসেম্বর
15/12/2022

সবাইকে মহান বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা 💐

#বাংলাদেশ
#মুক্তিযুদ্ধ
#১৬ডিসেম্বর

We will miss you Legend  Luka Modrić
14/12/2022

We will miss you Legend Luka Modrić

Argentina 3 - 0 Croatia
13/12/2022

Argentina 3 - 0 Croatia

We will mis you Boss 🥹 Cristiano Ronaldo ❤️
10/12/2022

We will mis you Boss 🥹 Cristiano Ronaldo ❤️

Winner Winner Chicken Dinner 🇦🇷✌️ Penalties Argentina 4 - 3 Netherland
09/12/2022

Winner Winner Chicken Dinner 🇦🇷✌️
Penalties Argentina 4 - 3 Netherland

03/12/2022
29/11/2022

Shobai join koiren ❤️ Bckup Plz

মেক্সিকোকে ২-০ গোলে 🇦🇷❤️
26/11/2022

মেক্সিকোকে ২-০ গোলে 🇦🇷❤️

06/11/2022

সকল HSC পরীক্ষার্থীদের জন্য দোয়া রইলো ❤️

05/11/2022

☺️
"সব প্রতিশ্রুতি পূর্ণ হয়না কিছু কিছু প্রতিশ্রুতি হেরে যায় ভুল মানুষকে বিশ্বাস করে"
টাকার কাছে যেমন সবকিছু হার মানে ঠিক তেমনি মন থেকে বিশ্বাস করলেও অর্থ ও স্বার্থের প্রয়োজন ফুরালে মানুষ ঠকায়।
দিনশেষে এটাই সত্য,"মানুষ ততক্ষণ আপনার আপন,যতটুকু আপনি তার প্রয়োজনে ব্যবহার হতে পারবেন"

Congratulations 💐 A1 Esports
22/10/2022

Congratulations 💐 A1 Esports

11/10/2022

Dhiray dhiray feelta k hotta kora hocce

10/10/2022

Ager moto feel ta dhiray dhiray kome jacce

আমি চাই না তুমি ফিরে আসো।ফিরে আসলেই সব আগের মত হয়ে যায় না।তুমি ফিরে আসলেও তোমার-আমার মনের দূরত্বটা আর ঘুচবে না। আড্ডাটাও...
02/10/2022

আমি চাই না তুমি ফিরে আসো।
ফিরে আসলেই সব আগের মত হয়ে যায় না।

তুমি ফিরে আসলেও তোমার-আমার মনের দূরত্বটা আর ঘুচবে না। আড্ডাটাও ঠিক আগের মতো জমবে না। চেনা ইনবক্সে সেই অচেনার মত ফরমালিটিস দেখাতে হবে!

তুমি ফিরে আসলেও তোমার-আমার বিশ্বাসটা ঠিক ফিরে আসবে না। নির্ঘুম রাত গুলো ফিরে আসবে না, ফেলে আসা একাকিত্বের সময় গুলোও ফিরে আসবে না। ভালোবাসার চেষ্টা করলেও মনের কোথাও খানিকটা ঘাটতি থেকেই যাবে।

তোমার আঘাত করা কথা গুলো তুমি ফেরত নিতে পারবে না। 'ভালোবাসি না' বলে যে ক্ষত তৈরি করেছো কোটি বার 'ভালোবাসি' বলেও বোধয় ক্ষতটা শুকাতে পারবে না। আর মিছিমিছি কেন অভিনয় করবে বলো?

তার চেয়ে বরং তুমি নিজের মত থাকো!
আমি চাই না তুমি ফিরে আসো। কারণ,
তোমাকে প্রত্যাখ্যান করার সাধ্য আমার নেই!

পেজঃ নুজুম বিনতে তালুকদার
ছবিঃ তাহসান-মিথিলা-সৃজিত

01/10/2022

আমরা মানুষরা কি একা থাকতে পারি?

উত্তর আসবে- পারি না। কারণ, স্বয়ং সৃষ্টিকর্তা আমাদেরকে পৃথিবীতে একা রাখেননি। পৃথিবীর প্রথম মানবের জন্য তিনি সঙ্গী সৃষ্টি করে পাঠিয়েছেন একাকীত্ব বা নিঃসঙ্গতা ঘোচানোর জন্য। শুধু মানুষ নয়; সৃষ্টি জগতের কোনো সৃষ্টিই একা নয়।

আমরা মানুষেরা একা থাকতে চাই না। খুব কম মানুষই চায় একাকী থেকে জীবন কাটাতে। কেউ পরিস্থিতির কারণে বাধ্য হয়ে একা থাকে, কেউ কেউ আবার স্বেচ্ছায়। যারা একাকী জীবন বা একাকীত্বকে উপভোগ করতে চায় বা পারে বা কিভাবে করতে হয় জানে তারাই একাকী পাড়ি দেয় জীবন নামক অজানা ও রহস্যময় সমুদ্র।

একাকীত্ব কখন আসে? আমরা সাধারণত বুঝতে পারি না। যখন বুঝি তখন অনেকটা দেরি হয়ে যায়। জীবনে কখনও কখনও এমন সময় আসে যখন না চাইলেও একা থাকতে হয়। হয়ত সারা জীবনের জন্য নয় তবুও যতটুকু সময়ই একা থাকতে হয়, হয়ত মাস বা বছর বা দীর্ঘসময় ধরে। আবার কখনও কখনও আজীবনই একাকী।

একা থাকাকে যখন আমরা নেতিবাচকভাবে গ্রহণ করি তখনই একাকীত্ব বোধ আসে। এই বোধ তখন আমাদেরকে ভেতর থেকে ভেঙ্গেচুরে দেয়। কুড়ে কুড়ে খায়। এর যন্ত্রণা কতটা ভয়ংকর সেটা ভুক্তভোগী ছাড়া আর কেউ সুন্দরভাবে বর্ণনা দিতে পারবে না।

মানসিকভাবে কেউ যখন কোনো একজনকে যার সাথে তার সামাজিক সম্পর্ক বা বন্ধন আছে, যাকে সে আশা করছে, যোগাযোগ করতে চাচ্ছে ও মিশতে চাচ্ছে কিন্তু তার চাওয়ার গভীরতা অনুযায়ী সে তাকে পাচ্ছে না, তখন তার মনে যে কষ্টকর অনুভূতি হচ্ছে সেটিই একাকীত্ব।

আমাদের জীবনে চলার পথে আমরা নানা সমস্যার সম্মুখীন হই। সমস্যার সমাধান যখন করতে পারি না, তখন নিজেকে একা মনে হয়, তুচ্ছ মনে হয় নিজের কাছে নিজেকে। বাঁচার আগ্রহ হারিয়ে ফেলে।

আর এভাবেই জমতে জমতে গড়ে ওঠে মনের মধ্যে একাকীত্বের পাহাড়। একাকীত্ব যখন গ্রাস করে তখন আমাদের কর্মক্ষমতা কমে যায়। মনোযোগ কমে যায়। কোনো কাজ সুন্দর করে করা হয় না। আত্মবিশ্বাস কমতে কমতে আমাদের জীবনের আনন্দগুলোও ধীরে ধীরে হারিয়ে যেতে থাকে। এরপর একসময় এটি মানসিক সমস্যায় পরিণত হয়। ধীরে ধীরে সমস্যাটি অনেক বড় রূপ ধারণ করে। এটি তখনই আশংকার বিষয় হয়ে দাঁড়ায়।

তাই আমাদের মনে রাখতে হবে- একাকীত্বকে আমরা যত প্রশ্রয় দেবো, এটি তত বেশি গ্রাস করতে থাকবে আমাদেরকে অর্থাৎ ভুক্তভোগীকে। একাকীত্ব জীবনকে ঝামেলা না ভেবে মানসিকভাবে শক্তিশালী হওয়া এবং এটিকে উপভোগ করা প্রয়োজন অনেক বেশি। আমরা কখনই বুঝে উঠতে পারি না, একা থাকার মুহূর্তগুলোতে আমরা কী করবো বা কী করবো না।

কেউই বলতে পারবে না যে, তার কখনও একা লাগেনি। কোনো না কোনো সময় একা লাগেই মানুষের। যাদেরকে আমরা জনপ্রিয় বলে মনে করি, তারাও এর অন্তর্ভুক্ত। কারণ একজন ব্যক্তির অনেকজন বন্ধুবান্ধব থাকা মানেই সে একাকী বোধ করে না, এমন নয় ব্যাপারটি। তাদের সাথে তার ঘনিষ্ঠতা না থাকলে সে একা বোধ করতে পারে এবং অনেকজন লোক থাকা সত্ত্বেও প্রকৃত বন্ধু না থাকায় সে একাকী বোধ করতে পারে।

মজার ব্যাপার হচ্ছে, যখন আমি বা আপনি একা থাকি তখন নিজেকে নতুন করে জানতে পারা যায়। একা থাকলে নিজের প্রতি খেয়াল রাখার সময় বেশি পাওয়া যায়। তখন আমাদের নিজেদের কাজ নিজেকেই করতে হয় বিধায় আমরা আত্মনির্ভরশীল হয়ে উঠতে পারি। জগতে সম্পর্ক ভাঙ্গার কষ্ট সবচেয়ে বেশি যন্ত্রণাদায়ক। যখন একটা ভালোবাসার সম্পর্ক ভাঙ্গে তখন সেটা আমাদের মানসিক শক্তি এবং শান্তি দুটোই নষ্ট করে দেয়।

একা থাকার ক্ষেত্রে নিজের জন্য সময় পাওয়ার ব্যাপারটা খুব কাজে দেয়। নিজের জন্য নিজের কিছু একা সময় পাওয়া যায়। নিজের অতীতের কষ্ট, অতীতের ভুলগুলো নিয়ে নিজের সাথে নিজে বোঝাপড়া করা ও নিজেকে শুধরাতে পারা যায়। প্রথমে কিছুটা কষ্ট হলেও পরে একসময় একাকীত্ব ও নির্জনতার সাথে যুদ্ধ করে করে শিখে ফেলি কিভাবে নিজের সাথে নিজে চমৎকার সময় কাটানো যায়।

সবচেয়ে সুন্দর দিকটি হচ্ছে, পরবর্তী সম্পর্কে জড়ানোর ক্ষেত্রে আর ভুল হয় না। আমরা একদমই ভুলে যাই যেটি, একা থাকা মানেই কিন্তু জীবন প্রেমবিহীন নয়। সেই সময়টা জীবনকে সমৃদ্ধ করতে ভালভাবে ভালো কাজে লাগানো যায়। একাকীত্বের সবচেয়ে ভালো দিক হচ্ছে, এটি আমাদের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করে না, কখনই না।

যদি দেখা যায় কেউ কারো সাথে ব্যস্ততার অজুহাতে অবহেলা করছে, বিশ্বাসের সাথে প্রতারণা করছে কিংবা ভালোবাসার ছলনা করছে সেক্ষেত্রে তাকে এড়িয়ে চলতে পারাটাই উত্তম। কারণ তার মিথ্যে ভালোবাসা সুন্দর জীবনটা আস্তে আস্তে শেষ করে দিতে পারে। তার চেয়ে একা থাকা অনেক ভালো। তবে এক্ষেত্রে প্রয়োজন ব্যক্তির শক্তিশালী ও দৃঢ় মনোবল। তবে অনেকেরই এই রকম মনোবল থাকে না বিধায় একাকীত্ব তাকে শেষ করতে থাকে ধীরে ধীরে।

আমরা আমাদের একাকীত্ব দূর করতে পারি যদি স্বদিচ্ছা থাকে এবং নিজের জীবনটাকে খানিকটা হলেও ভালোবেসে থাকি। যখন আমরা ভালোকাজে নিজেদেরকে ব্যস্ত রাখতে সক্ষম হবো, একাকীত্ব বোধ তখন আমাদের মনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারবে না। এজন্য আমরা নিজের কিছু কিছু শখ পূরণ করার চেষ্টা করতে পারি। প্রকৃতির সাথে সময় কাটাতে পারি বাগান করার মাধ্যমে।

এছাড়া সেলাই করতে পারি, ঘর গোছাতে পারি, ছবি আঁকার চেষ্টা করতে পারি, মিউজিক শুনতে পারি ইত্যাদি আরও অনেক কাজ। নিজের শরীরের যত্ন নিতে পারি। ব্যায়াম হিসেবে হাঁটতে পারি। হাঁটতে হাঁটতে অনেক সৃষ্টিশীল ভাবনা আসে মাথায়। চাইলে লিখতে শুরু করা যায়। ভাবুন আর লিখুন। কাগজ কলম তো হাতের কাছেই! নিজের অর্জিত অভিজ্ঞতা থেকে ছোট গল্প বা বড় গল্প লেখা যায়, আর্টিকেল লেখা যায়, কিছু সুন্দর মুহূর্ত নিজের সঙ্গেই কাটানো যায় এভাবেই।

একঘেয়েমি কাটানোর জন্য আমরা ভ্রমণ করতে পারি নতুন নতুন জায়গায়। ভ্রমণ করার ফলে আমাদের মানসিক প্রশান্তি মেলে এবং আমাদের জ্ঞানের ভাণ্ডার প্রশস্ত হয়। নিজেকে চেনা যায়। এ জন্যই হয়ত ডাক্তার রোগীকে ঘুরে আসতে বলে। ভ্রমণ তাই একাকীত্ব দূর করার উপায়গুলোর মধ্যে অনেক গুরুত্বপূর্ণ মনে হয় আমার কাছে এবং আমার নিজের পছন্দের শীর্ষে।

আরেকটি ব্যাপার যেটা সবাই ধরতে পারে না, সেটি হচ্ছে- আমাদের চেয়ে বয়সে বড় এমন ব্যক্তিদের সঙ্গে বন্ধুত্ব করা। আমার চেয়ে বয়সে অনেক বড় যারা তাদের বিচারবুদ্ধি অনেক পরিপক্ব আর তারা হলেন নির্ভরযোগ্য। নতুন মানুষের সাথে মিশে বন্ধুত্ব তৈরি করতে পারলে একা বোধ হয় না। আসলে একাকীত্বকে দুঃখ হিসেবে না দেখে বরং এটাকে উপলব্ধি করা উচিত। একা থাকা মানেই একাকিনী নয়।

একা থাকলে ক্ষমা করতে পারার মতো মহৎ গুনটি চলে আসে। যখন একাকী নিজের ভুল-ত্রুটি নিয়ে ভাবা হয়, দেখা যায় তখন অন্যের জন্য আমাদের মনে একটা সফট কর্নার তৈরি হয়। ক্ষমা করে দিতে পারি আমরা তখন। আমাদের কষ্টগুলো সহজ হয়ে যায় তখন। একা থাকার সবচেয়ে বড় অর্জন এটিই মনে করি আমি।

এর সাথে সাথে আর একটা বড় ব্যাপার হয় যে, আমরা সৃষ্টিকর্তাকে ফিল করতে পারি খানিকটা হলেও নিজেদের শুদ্ধ চিন্তা-ভাবনার মাধ্যমে। নিজেদেরকে মেলে ধরতে পারি সৃষ্টিকর্তার কাছে। একটা ঐশ্বরিক সম্পর্ক তৈরি হয়। ফলে আমরা যে বিশেষ জ্ঞানটি অর্জন করতে পারি তা হচ্ছে, আমরা সৃষ্টিকর্তাকে চিনতে পারি। পুরোপুরি হয়ত নয়; হোক সামান্য তবুও তা একজন মানুষের জন্য বিশাল যা একাকীত্বই দিতে পারে। আর সৃষ্টিকর্তাকে অনুভব করতে পারা যায় বলেই অন্তরে মানুষের জন্য ক্ষমা অটোমেটিক চলে আসে।

একাকী হয়ে যাবার ভালো দিকের আরও একটি ভালো দিক- আমরা প্রকৃত বন্ধু চিনে নিতে পারি। একা হয়ে গেলে আমরা যেটা করি- নিজেকে একদম আলাদা করে ফেলি। কোনো সমস্যা হলে আমরা নিজেকে টেনে তুলতে একা একা অনবরত চেষ্টা করে যাই যা একদমই ভুল। এটি না করে সমস্যা কেন সৃষ্টি হয়েছে তা বের করার চেষ্টা করা আর সমাধানের জন্য সাহায্য চাওয়া। এই অন্যের কাছ থেকে পাওয়া সহযোগিতায় নিজেদেরকে আর একা মনে হয় না।

আমাদের আশেপাশে আমাদেরকে পছন্দ করে এমন মানুষ আছে। অন্যের কাছ থেকে পাওয়া সহযোগিতা আমাদের আত্মবিশ্বাস বাড়াতে সুন্দর কাজ করে। আর একাকীত্বের এই দুঃসময়ে যে ব্যক্তি বা বন্ধুটি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেবে, বুঝতে হবে সেই প্রকৃত বন্ধু। যখন কেউ পাশে থাকে না, তখন কে আমাদের বন্ধু বা শত্রু তা চিনে নিতে ভুল করা উচিত নয় একদমই।

একাকীত্ব বোধ করার খারাপ দিকও আছে যা জানা আমাদের জরুরি। একাকীত্বের প্রথম সমস্যা হচ্ছে, শারীরিক ক্ষতি। গবেষণায় দেখা গেছে, দিনে ১৫টি সিগারেট খেলে যে ক্ষতি হয় শরীরের, একাকীত্ব ঠিক ততটাই ক্ষতি করে। দীর্ঘদিন ধরে এই একাকীত্বে ভুগতে থাকলে সেটা মস্তিষ্কের জন্য ক্ষতিকারক।

এরপর যেটা হয়, আমাদের কায়িক পরিশ্রম বেড়ে যায়। সব কাজ নিজেকেই করতে হয়। রান্না করা, বাজার করা, কাপর কাচা থেকে শুরু করে থালা বাসন ধোয়া, নিজের রুম সবকিছু নিজেকেই পরিষ্কার করা ইত্যাদি আরও অনেক কাজ একাই করতে হয়। এরমধ্যে ভালো দিকটি আমি আগেই বলেছি। শারীরিক খাটুনি বেশি হয় এই যা।

বাংলায় একটা কথা আছে, "চিন্তার চেয়ে চিতার আগুন ভালো"। আমরা যখন একা হয়ে যাই, সাধারণত তখন আমাদের মনে নানা রকম নেতিবাচক চিন্তা এসে ভিড় করে। আর এই নেতিবাচক চিন্তা যেমনি মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর, তেমনি শরীরের জন্যও। অনবরত নেতিবাচক চিন্তা করার ফলে শরীরে নানা অসুখ বাসা বাঁধে। তাই ইতিবাচক চিন্তা করা প্রয়োজন সব সময়।

আমরা যে ভুলটা করি একা হয়ে গেলে সেটি হচ্ছে নিজেকে ভুল সম্পর্কে জড়িয়ে ফেলি। একাকীত্ব আমাদেরকে ভুল পথে নিয়ে যায় অনেক সময়ই। একাকীত্ব কাটিয়ে ওঠার কোনো উপায় খুঁজে না পেয়ে আমরা হয়তো বাছবিচারহীনভাবে যে কারো সঙ্গে বন্ধুত্ব গড়ে তুলি। যে কারো সঙ্গে বন্ধুত্ব করার জন্য মরিয়া হয়ে উঠি। হয়তো অনেকেই এইরকম মনে করি যে, কোনো ভালো বন্ধু না থাকার চেয়ে যে কোনো বন্ধু থাকা ভালো। আর এটাই বিপদ ডেকে আনতে পারে জীবনে।

আর যেটা করি, আমরা ডিভাইস আসক্ত হয়ে পড়ি। আমাদের মনে রাখা দরকার যে, ইলেকট্রনিক গ্যাজেট সবসময় একাকীত্ব দূর করতে পারে না। একা থাকলে আর যেটি হয়, আমরা কথা বলা কমিয়ে দেই মানে কথা বলার সুযোগ থাকে না, ফলে আমরা কিছুটা দূরে ছিটকে পড়ি। আমরা নীরব প্রকৃতির মানুষ হয়ে যাই।

যতদিন এই পৃথিবী থাকবে, সৃষ্টিসমূহ থাকবে, মনুষ্য সমাজ থাকবে, ততদিনই এই একাকীত্ব বোধও থাকবে। মানুষ একা বাস করতে পারে না বলেই সমাজের সৃষ্টি। ক্ষুধা লাগলে খাবার খাই, তৃষ্ণা পেলে পানি পান করি তেমনি একাকীত্ব বোধ হলেও তা মেটানোর প্রতি মনোযোগী হওয়া বিশেষ প্রয়োজন। একা না হলে নিজেকে আবিষ্কার করা যায় না, এটি জীবনের উন্নতির জন্যও অন্তরায় নয়, বরং সহায়ক। তবে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে, যেদিন একা থাকার মুহূর্তগুলোকে ভালোবাসতে পারা যাবে, সেদিন আর একাকীত্ব আমাদেরকে স্পর্শ করতে পারবে না।

From Jugantor

01/10/2022

জীবনযাত্রার নানান ঘটনার চাপে সবাই কমবেশি অকৃতজ্ঞ হয়ে ওঠে।

গত এক সপ্তাহের ঘটনাগুলো যদি মনে করেন, তবে কমপক্ষে একটা এমন ঘটনা পাবেন যেখানে একজন মানুষ আপনাকে সাহায্য করেছে কিন্তু বদলে তাকে তার প্রাপ্য সম্মান বা ধন্যবাদটুকু দেওয়ার সুযোগ হয়নি।

কিছু ক্ষেত্রে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে না পারলেই যে আপনি অকৃতজ্ঞ হিসেবে গন্য হবেন তা কিন্তু নয়। তবে কিছু মানুষ আছেন যারা সর্বক্ষেত্রেই অকৃতজ্ঞ।

এই মানুষগুলো মনে করে নেন অন্যদের সাহায্য পাওয়াটা তার অধিকার এবং সেজন্য ওই ব্যক্তিকে ধন্যবাদ দেওয়ার কোনো প্রশ্নই আসে না। আবার ব্যক্তিগত সমস্যার কারণেও একজন মানুষ সাময়িকভাবে অকৃতজ্ঞ হয়ে উঠতে পারে।

এই দুধরনের মানুষের মধ্যে তফাৎ খুঁজে পাওয়াটা মুশকিল।

মানসিক স্বাস্থ্য-বিষয়ক একটি ওয়েবসাইটের প্রতিবেদন অবলম্বনে জানান হল অকৃতজ্ঞ মানুষ চেনার সম্ভাব্য কিছু উপায়।

সন্তুষ্টি নেই: অকৃতজ্ঞ মানুষগুলোর জীবন যতই ভালো যাক না কেনো তারা কখনই খুশি হতে পারেনা। জীবনে যতই প্রাপ্তি আসুক না কেনো তাদের চাহিদার কোনো সীমা থাকে না। তারা সবসময়ই কোনো না কোনো কিছুর অর্জনের চেষ্টায় মত্ত। জীবনে সফল হওয়া অদম্য চেষ্টা থাকা সাধারণত ভালো দিক। তবে আপনার যা আছে সেটুকুর মূল্যায়ন না করা, সেগুলোর জন্য কৃতজ্ঞ না হওয়া কখনই ভালো দিক নয়।

হিংসাপরায়ন: এই মানুষগুলো অন্যের প্রাপ্তিগুলো যখন দেখে, তখন তা নিজের জন্য আশা করা শুরু করে। তবে সেটা অনুপ্রেরণার দৃষ্টিতে নয়। তারা নিজের জীবনকে সবসময় অন্যের সঙ্গে তুলনা করে। ‘অন্যের কি আছে যা আমার নেই’ এই হিংসায় তারা নিমজ্জিত থাকে, তবে ‘আমার যা কিছু অন্যের নেই’ সেদিকে কৃতজ্ঞা নেই।

খিটখিটে মেজাজ: অকৃতজ্ঞ মানুষগুলো খুব সহজেই রেগে যায়। অনেকদিন আগের ঘটা কোনো ঘটনা নিয়ে তারা ক্ষোভ পুষে রাখে। আবার এই মুহূর্তে কিছু একটা ঘটছে যা তার অপছন্দ সেটাও তার মেজাজ বিগড়ে দিতে পারে।

নেতিবাচক প্রত্যাশা: অকৃতজ্ঞ মানুষগুলোর বেশিরভাগই অতীতে বড় কোনো মানসিক কষ্টের শিকার হয়েছেন বা এখনও হয়ে যাচ্ছেন। এই অতীত অভিজ্ঞতার কারণে তারা ইতিবাচক কোনো কিছু আশা করার সাহস হারায়। তাদের ধারণা তার সঙ্গে ভালো কিছু হওয়া কখনই সম্ভব নয়।

তাদের চাওয়ার শেষ নেই: বেশিরভাগ মানুষই অন্যের কাছে কোনো কিছু চাইতে কুন্ঠাবোধ করে। তবে অকৃতজ্ঞ মানুষগুলোর এই সমস্যা নেই। তারা খুব সহজেই অন্যের কাছে কিছু চাইতে পারে। আর তাদের চাওয়ার কোনো শেষ নেই। সবসময়ই তাদের কিছু না কিছু প্রয়োজন। তাদের ধারণা আপনার সহযোগিতা তাদের পাওনা, তাই এর জন্য আপনাকে ধন্যবাদ দেওয়ার প্রয়োজন নেই। তারা হয়ত আপনার জন্য একবার ভালো কিছু করেছিল, এখন আপনার কাছ থেকে ১০টি উপকার সে নেবে।

আর আপনি যদি কোনো কারণে তাদের উপকার বা সাহায্য করতে না পারেন, তবে তা সে যেমন ভুলবে না, তেমনি আপনাকেও ভুলে যেতে দেবেনা।

অন্যদের ব্যাপারে তারা চিন্তিত নয়: অকৃতজ্ঞতা থেকেই তৈরি হয় স্বার্থপরতা। অন্যরা তাদের জন্য এটা ওটা করবে এটাই তাদের কাছে স্বাভাবিক ঘটনা হওয়ায় সেই উপকারগুলো করতে অন্যের কতটুকু ত্যাগ স্বীকার করতে হচ্ছে সেদিকে তাদের নজর থাকে না। কারণ সেটা তাদের মাথা ব্যথার কারণ হতে পারে না কখনই।

নিজের প্রয়োজন ছাড়া অন্যের জন্য সময় নেই: এই মানুষগুলো তখনই কারও সঙ্গে যোগাযোগ করে যখন ওই ব্যক্তির কাছ থেকে তার কিছু একটা দরকার। শুধুই গল্প করার জন্য, একসঙ্গে সময় কাটানোর জন্য তারা কারও সঙ্গে দেখা করে না। এমনকি মেসেজ দিয়ে খোঁজ নেওয়ারও তারা প্রয়োজন মনে করে না। তাদের ধারণা আপনাকে সবসময়ই তারা পাশে পাবে।

সবসময় তারাই ভুক্তভোগী: তারা ভুক্তভোগী হওয়ার অভিনয় করে। চিন্তাধারায় অকৃতজ্ঞ মানুষগুলো নিজেদের সবসময়ই ভুক্তভোগী মনে করে। তারাই পৃথিবীতে সবচাইতে কষ্টে আছে। আপনি যদি কোনো কিছু নিয়ে অভিযোগ করেন, তারা অনেকগুলো এমন উদাহরণ তুলে ধরবে যেখানে তাদের পরিস্থিতি আরও খারাপ ছিল। আর আপনি যদি সেসময় তাদের সহানুভূতি কিংবা সমাধানের পথ দেখান সেটাও তারা আমলে নেবে না।

যেভাবে অকৃতজ্ঞ মানুষদের সামলাবেন

অকৃতজ্ঞ মানুষ যে কারও জীবনে নেতিবাচক প্রভাব রাখে। অকৃতজ্ঞতা কখনই নেতিবাচক নয়। আপনি যদি বেশিরভাগ সময় এরকম মানুষের সঙ্গে সময় কাটান তবে জীবন হয়ে উঠতে পারে অতিষ্ট।

তাই তাদের সামাল দেওয়ার কয়েকটি পন্থা এখানে দেওয়া হল।

নিজের অনুভূতি প্রকাশ: হয়ত এটা অত সহজ হবে না তবে বন্ধু বা পরিবারের কেউ যদি অকৃতজ্ঞ আচরণ করে তবে অবশ্যই মুখোমুখি বসে নিজের অনুভূতিটা প্রকাশ করতে হবে। বলতে হবে তার কারণে আপনি কতটা খারাপ বোধ করছেন।
তবে সমস্যা হচ্ছে অকৃতজ্ঞ মানুষ এসব কথা শুনেও কিছু উপলবদ্ধি করবে না।

কিন্তু ওই মানুষটাকে ‘কেয়ার’ করলে সেটা আলাদা বিষয়। এক্ষেত্রে সময়ের অপেক্ষায় থাকা ভালো। বোঝার চেষ্টা করা উচিত হবে কোনো বিশেষ কারণে সে এরকম আচরণ করছে কিনা।

সময় ও সুযোগ বসে তার সঙ্গে কথা বলুন, সৎ ভাবে। সুন্দর ধীর স্থির ভাবে বুঝিয়ে বলুন আপনার কেমন লাগছে তার সেসব আচরণে। অভিযোগ বা দোষ দিয়ে এক্ষেত্রে লাভ হবে না। আপনার কাজের মূল্য দিক, সে যেন আপনাকে কিনে নিয়ে আসছে- এরকম মনে না করে।

ক্ষমা চাওয়ার সুযোগ দিন। তবে মনে মনে তৈরি থাকুন সেটা হয়ত তারা নাও করতে পারে।

তাদের দৃষ্টিতে দেখা: এই পরিস্থিতিতে নিজে বোঝার চেষ্টা করুন যে, আপনার কোনো ব্যবহারের কারণে সে এরকম অকৃতজ্ঞ মনোভাব দেখাচ্ছে কিনা।

যতই মনে করুন আপনি কিছু করেননি, তারপরও ঠাণ্ডা মাথায় তাদের দৃষ্টিভঙ্গী পর্যালোচনা করুন। বন্ধু বা পরিবারের কেউ অকৃতজ্ঞ আচরণের কোনো বিশেষ কারণ আছে কিনা সেটা বোঝার চেষ্টা করুন।

এমনও হতে পারে এই ব্যবহার সাময়িক। সে হয়ত কোনো কঠিন সময় পার করছে, আর সেটা সামলানোর চেষ্টা করছে। আর এই সময় হয়ত সে আপনাকে পাশে চাইছে কোনো কিছু না করার বিনিময়ে।

তাই বোঝার চেষ্টা করতে হবে, তারা কি এরকমই নাকি বিষয়টা সাময়িক।
সীমারেখা তৈরি করুন: যে অকৃতজ্ঞ আচরণ করছে তাকে যদি পছন্দ করেন বা ‘কেয়ার’ করেন তবে নিজের ও তার মধ্যে একটা সীমারেখা তৈরি করুন কী রকম ব্যবহার তার সঙ্গে করবেন।

তার জন্য কী করবেন আর কী করবেন না।

যখনই সীমারেখাটা টানতে পারবেন, সেটাতেই শক্তভাবে আটকে থাকুন। এটা হয়ত বেশ কঠিন হবে, আর তারা হয়ত সেই সীমারেখা ভাঙতেও চেষ্টা করবে। তবে তাদের কাছে আপনার ব্যাপারটা পরিষ্কার না হওয়া পর্যন্ত এই সীমারেখাটা আপনাকে ধরে রাখতেই হবে।

এক কদম পেছনে যান: যদি আপনার জীবনের কেউ সবসময় অকৃতজ্ঞ আচরণ করেই যায়, আর উপরের পদক্ষেপগুলো নেওয়ার পরও কোনো সমাধান না আসে তবে আপনাকে ওই মানুষের সঙ্গে সম্পর্কের পুর্নমূল্যায়ন করতে হবে।

এমন হতে পারে, আপনি তার সঙ্গে আর একক সময় কাটাবেন না বলে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। কিংবা সেটা হতে পারে তার সঙ্গে আর সম্পর্ক রাখবে না।

তার জীবনে আপনি বা আপনার জীবনে সে কতটা ভূমিকা রাখবে সেটা আপনাকেই ঠিক করতে হবে। অকৃতজ্ঞ মানুষকে সামাল দেওয়া সহজ বিষয় নয়। তবে তাদের আচরণ যদি আপনার জীবনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে সেক্ষেত্রে তাদের এড়িয়ে চলাই হবে আপনার জন্য মঙ্গল।

নিজের প্রতি সৎ থাকুন, অন্যদের সঙ্গেও সদাচরণ করুন। দেখবেন জীবন অনেক সুন্দর হচ্ছে।

from Bdnws24

Address

Mirpur/10
Dhaka
1216

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Knightrider Gaming posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Videos

Share