CHOTO BHAI

CHOTO BHAI Historical sights of Bangladesh will be showcased, important news will be presented, and personal experiences will be highlighted. Keep an eye on the page.

দেশের বিভিন্ন জায়গায় হেযবুত তওহীদের নারী সদস্যদের ওপর উগ্রবাদী, জঙ্গিবাদী, ধর্মান্ধ ধর্মব্যবসায়ী গোষ্ঠীর হামলার প্রতিবাদ...
24/01/2023

দেশের বিভিন্ন জায়গায় হেযবুত তওহীদের নারী সদস্যদের ওপর উগ্রবাদী, জঙ্গিবাদী, ধর্মান্ধ ধর্মব্যবসায়ী গোষ্ঠীর হামলার প্রতিবাদে ঢাকা জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিস্তারিত প্রথম কমেন্ট:

#হিযবুততওহীদ

24/01/2023

হেযবুত তওহীদের নারী সদস্যদের ওপর হামলার প্রতিবাদে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন।

#হিযবুততওহীদ

23/01/2023

এ জাতির ইমান নেই।

22/01/2023

মক্কা থেকে মদীনায় হেজরাত।

22/01/2023

৭ বছর পর পিবিআই উদঘাটন করল মেয়ের খুনী বাবা
২০১৫ সালে নিজ হাতে মেয়েকে খুন করে তার স্বামীর বিরুদ্ধে অপহরণের মামলা করে বার বার নারাজী এবং পরে যৌতুকের জন্য নির্যাতন করে হত্যার অভিযোগে মামলা করে পিবিআই ঢাকা জেলার জালে ধরা পড়লো বাবা আব্দুল কুদ্দুছ খাঁ (৫৮)। তার বাড়ি টাঙ্গাইলে, খুন করেছে জয়পুরহাটে এবং ধরা পড়েছে ঢাকা জেলা পিবিআই এর তদন্তাধীন মামলায়। গত ২০/০১/২০২৩ তারিখে বিজ্ঞ আদালতে ১৬৪ ধারার জবানবন্দীতে লোমহর্ষক, বর্বরোচিত হত্যাকান্ডের বিবরণ তুলে ধরে আব্দুল কুদ্দুছ খাঁ।

17/01/2023

সুদ সম্পর্কে যা বললেন হেযবুত তওহীদের এমাম।

16/01/2023

ঢাকার রাস্তায়🥰🥰🥰

15/01/2023

চেইন অব কমান্ড।

09/01/2023

আকিদা অর্থ সম্যক ধারণা

05/01/2023

মদীনায় হেজরত!

01/01/2023

ইসলাম আগমনের উদ্দেশ।

31/12/2022

ইসলামিক সমাজের একটি বৈশিষ্ট্য সাম্য!

সাইয়্যিদ কুতুবকে জেলখানার মাঝে ফাঁসির কাষ্ঠে ঝুলিয়ে হত্যা করা হয়। এমনকি এখনো কেউ বলতে পারবে না, তাঁর কবর কোথায় অবস্থিত!...
29/12/2022

সাইয়্যিদ কুতুবকে জেলখানার মাঝে ফাঁসির কাষ্ঠে ঝুলিয়ে হত্যা করা হয়। এমনকি এখনো কেউ বলতে পারবে না, তাঁর কবর কোথায় অবস্থিত!! যেদিন সাইয়্যেদ কুতুবকে হত্যা করা হলো, সেদিন মিশরের পথে পথে তাঁর রচিত তাফসীর 'ফি যিলালিল কুরআন' এর সাত অথবা আট হাজার সেট অর্থাৎ চৌষট্টি হাজার পুস্তক পুড়িয়ে ফেলা হয়েছিলো। রাষ্ট্রীয়ভাবে ঘোষণা করা হয়েছিল, যার কাছে সাইয়্যেদ কুতুবের গ্রন্থ পাওয়া যাবে, তাকে দশ বছর জেলে রাখা হবে। সাইয়্যেদ কুতুবের গ্রন্থগুলো জাদুর মতো। যে পাঠ করে, সেই তাঁর অনুসারী হয়ে যায়। তার শাহাদাতের ঘটনা পত্র-পত্রিকা ও বিভিন্ন দেশের বেতারের সম্প্রচারিত হলে সবার মনে একটি প্রশ্ন উঁকি দিলো, এই ব্যক্তি কে? কেন তাকে ফাঁসি দেওয়া হলো? সেই তাফসীর গ্রন্থটি কেমন যার কারণে তাকে ফাঁসি দেয়া হলো? তখন বৈরুতের প্রকাশকেরা প্রকাশনা জগতে কোন খ্রিস্টান লোকসান খেলে তাকে বলতো আর তুমি যদি বাঁচতে চাও তাহলে সাইয়্যেদ কুতুবের 'ফি যিলালিল কুরআন' ছাপ। হ্যাঁ, যে বছর সাইয়েদ কুতুবকে ফাঁসি দেওয়া হলো সে বছরই তার তাফসীর গ্রন্থটির সাত সংস্করণ ছাপা হলো। অথচ তাঁর জীবদ্দশায় মাত্র একবার ছাপানো হয়েছিল। আর এখন তো অবস্থা এমন যে, পৃথিবীর এমন কোন প্রান্ত পাওয়া যাবেনা যেখানে সাইয়্যেদকুতুবের এই তাফসীরগ্রন্থ গিয়েপৌঁছে নি। এমন কোন ভাষাও পাওয়াযাবে না যে ভাষায় তা অনূদিত হয়নি। [তাফসীরে সূরা তাওবা, শহীদ আব্দুল্লাহ আযযাম (রাহিমাহুল্লাহ), পৃষ্ঠা ২৮৪] ফাঁসির আগের রাতে সায়্যিদ কুতুব (রাহিমাহুল্লাহ) কে কালিমা পড়ানোর জন্য জেলের ইমামকে পাঠানো হলো। জেলের ইমাম এসে সায়্যিদ কুতুবকে কালিমা পড়ানোর চেষ্টা করতে লাগলেন। তাকে দেখে সায়্যিদ কুতুব জিজ্ঞেস করলেন, আপনি কী জন্য এখানে এসেছেন? ইমাম বললেন, আমি আপনাকে কালিমা পড়াতে এসেছি। মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার আগে আসামীকে কালিমা পড়ানো আমার দায়িত্ব। সায়্যিদ কুতুব বললেন, এই দায়িত্ব আপনাকে কে দিয়েছে? ইমাম বললেন, সরকার দিয়েছে। সায়্যিদ কুতুব বললেন, এর বিনিময়ে কি আপনি বেতন পান? ইমাম বললেন, হ্যাঁ আমি সরকার থেকে বেতন-ভাতা পাই। তখন সায়্যিদ কুতুব রহ.বললেন, কী আশ্চর্য! যেই কালিমা পড়ানোরকারণে আপনি বেতন-ভাতা পান, সেই কালিমার ব্যখ্যা মুসলিম উম্মাহকে জানানোর অপরাধেই আমাকে ফাঁসি দেয়া হচ্ছে!"তোমার কালেমা তোমার রুটি যোগায়, আর আমার কালেমা আমাকে ফাঁসিতে ঝুলায়!"

মেট্রোরেল সম্পর্কে কিছু দুঃসংবাদ 😂😁------------------------------------------------------------সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী ২৯...
28/12/2022

মেট্রোরেল সম্পর্কে কিছু দুঃসংবাদ 😂😁
------------------------------------------------------------

সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী ২৯ তারিখে ঢাকায় মেট্রোরেল চালু হইয়া যাইবো ইনশাআল্লাহ। তাই নির্ঝঞ্জাট ট্রেন যাত্রার জন্য কিছু তথ্য জানা জরুরী। তেমনই কিছু তথ্য ফ্রীতে জাইনা লন সবাইঃ

১। এই ট্রেনের টিকেট পাতলা কাগজের হইবোনা, প্লাস্টিক কার্ড। একবার কিন্না খালি টাকা রিচার্জ করবেন, ব্যাস আর টিকেট কাটার ঝামেলা নাই। যাগো এই সিস্টেম পছন্দ না, তারা প্রতিবার স্টেশনে ঢুকার সময় মেশিন/কাউন্টার থিকা টিকেট কাইটা ট্রেনে উঠতারবো।

২। টিকেট ছাড়া ট্রেনে উঠার চিন্তা ভুলেও কইরেন না। ট্রেনে উঠনের বহুত আগে ইস্টিশনে ঢুকার মুখেই কার্ড চার্জ কইরা ভিত্রে ঢুকতে হইবো। কার্ড ছাড়া দরজা খুলবো না। তাই বিনা টিকেটে ঘুরার চিন্তা বাদ দেন। অল্প দূরের টিকেট কাইটা বেশি দূরে যাইয়াও শান্তি নাই, অতিরিক্ত ভাড়া পরিশোধ না করলে বাইর হওনের গেইট খুলবোনা। ব্যারাছ্যারা অবস্থা!!!

৩। ট্রেনের সীটগুলা শক্ত প্লাস্টিকের তৈরি, ফোম-রেক্সিনের তৈরি না। তাই ব্লেড দিয়া কাটা যাইবোনা। কাটাকুটির অভ্যাস যাগো আছে তারা আপাতত হতাশ হইবো। আর যারা কাটা রেক্সিনের ফাক দিয়া টাইনা টাইনা ফোম ছিড়তো, তারা অগত্যা মাথার কেশ ছিড়তারেন। এই খায়েশও পুরণ না কইরাই ইহকাল ত্যাগ করতে হইবো!

৪। কিছু আদম সন্তান আছে ট্রেন দেখলেই যাগো ঢিল মারনের লাইগা হাত নিশপিশ করে, তাগো লাইগা বিরাট দুঃসংবাদ। এত উপ্রে ঢিল মারা যাইবো? আর ট্রেনটা চলবো শহরের মধ্যে দিয়া। ঢিল মারার সময় পাবলিকের হাতে ধরা খাইলে কিন্তু মাইর একটাও মাটিত পরবো না।

৫। এই ট্রেনে টাট্টিঘর নাই। তাই বড় কাম কইরা পানি ব্যাবহার না কইরা ট্রেন নোংরা করনের খায়েশও অনেকের পূরণ হইবো না। আফসোস! ট্রেনে উঠনের আগেই বড়/ছোট সব কাম সাইরা উঠলে আর সমইস্যা হইবোনা।

৬। জার্নি বাই ট্রেন করনের সময় বাদাম খাইয়া খোসা ফালাইয়া ট্রেন নোংরা করা অনেকের হবি। এইখানেও হতাশার খবর। ট্রেনে বাদাম ওয়ালাই নাই, বাদাম খাইবেন কইত্তে? টিকেট কাইট্টা ট্রেনে উইঠা বাদাম বেইচা পোষান যাইবো?
৭| যাগোর হিজরা দেখলে কোমরে দুলনি মারে তারা রীতিমতো হতাশ হবেন! করণ চামেলী, কামেলী,মৌসুমীরা এই ট্রেনের ভিত্তর তুড়ি মেরে ১০ ট্যাহা নিতে পারবো না।

৮। অনেক বান্দা আছেন যারা ট্রেনের ছাদে না উঠলে ভ্রমনের মজা পান না, তাগো লাইগাও দুঃসংবাদ। এই ট্রেন বিদ্যুতে চলে, তাই ছাদের উপ্রে বিদ্যুতের তার থাকবো। ছাদে উঠলে হাই ভোল্টেজ তারের লগে লাইগা আলুপোড়া হইয়া যাইবেন।

অতএব, সাধু সাবধান!!!
collected

তা কি কি শিখলেন 🙄🙄
27/12/2022

তা কি কি শিখলেন 🙄🙄

25/12/2022

কাফেরের সমাজ!

25/12/2022

চাষিরহাট উন্নয়ন প্রকল্প প্রদর্শনী মেলা!

কিলিয়ান এমবাপের সাথে তার পিতা মিঃ উইলফ্রায়ড এমবাপের একটা ভাইরাল ছবিতে তিনি  বলছেন:-আমি ছেলেকে ক্যামেরুন নিয়ে গিয়েছিলাম। ...
25/12/2022

কিলিয়ান এমবাপের সাথে তার পিতা মিঃ উইলফ্রায়ড এমবাপের একটা ভাইরাল ছবিতে তিনি বলছেন:-
আমি ছেলেকে ক্যামেরুন নিয়ে গিয়েছিলাম। চেয়েছিলাম আমার ছেলে ক্যামেরুনের হয়ে জাতীয় দলে খেলুক। কিন্তু ক্যামেরুন ফুটবল ফেডারেশন এজন্য আমার কাছে বিপুল অর্থ চায়। ফলে, আমার ছেলের আর ক্যামেরুনের হয়ে খেলা হলোনা। ফিরে গেলাম ফ্রান্স। কোনো অর্থ প্রদাণ ছাড়াই আমার ছেলে শুধু ফ্রান্সের জাতীয় দলে খেলায় সুযোগ পেয়েছে তাই না, আজ সে একজন বড় তারকা খেলোয়াড় হয়েছে।
দূর্নীতি একটা দেশের কত বড় ক্ষতি করতে পারে এর চেয়ে বড় উদাহরণ আর নেই। একবার উপলব্ধি করুন, যদি প্রতিটি রন্ধ্রে রন্ধ্রে ঘুষ না থাকতো , খেলোয়াড় সিলেকশানে দূর্নীতি না হতো, তবে আফ্রিকার দেশগুলোতেও আজ বিশ্ববিখ্যাত তারকা খেলোয়াড়দের জায়গা হতো।
আমি বুকে হাত দিয়ে বলতে পারি যে মেসি, রোনাল্ডোর যদি আজ আফ্রিকায় জন্ম হতো তবে আফ্রিকায় জাতীয় দলে সুযোগ পাওয়ার জন্য হৃদয় বিদীর্ণ হতো। কিন্তু ঘুষ ছাড়া দলে জায়গা পেতোনা।
এই ঘুষ, দূর্নীতির জন্য আমরা অনেক কিছুই হারিয়েছি। আফ্রিকা যতদিন পর্যন্ত দূর্নীতি মুক্ত হবেনা, ততদিন পর্যন্ত আমরা শুধু খেলেই যাবো। কিন্তু বিশ্বকাপ কখনো জিততে পারবোনা।
চল্লিশ লক্ষ মানুষের দেশ ক্রোয়েশিয়া মাত্র ১৯৯১ সালে স্বাধীন হয়ে লকা, মুদ্রিজের মতো খেলোয়াড়ের জন্ম দিয়ে তিনবার বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে আর একবার বিশ্বকাপের ফাইনালে খেলেছে। আর আঠারো কোটি মানুষের দেশ ১৯৭১ সালে স্বাধীন হয়ে আঠারো জন খেলোয়াড় তৈরি করতে ব্যর্থ হয়েছে।
বিশ্বকাপে জাপানীজদের গ্যালারি পরিচ্ছন্নতার ছবি আমরা দেখেছি, শেয়ার করেছি। কিন্তু নিজের দেশটাকে নোংরা করে রেখেছি। ঢাকা হয়েছে পৃথিবীর অন্যতম দূষিত শহর।
স্বল্প আয়ের এক চা বিক্রেতা মহিলাকে দেখলাম উনার প্রিয়দল আর্জেন্টিনার খুশিতে উনি কাস্টমারদের এক দিনের জন্য মুফত চা দিচ্ছেন। উনার সামর্থ্যের ভিতর যা পেরেছেন তাই করেছেন। কিন্তু প্রিয় দলের বিজয়ে কয়জন কোটিপতি একটা শিশুর জীবন পরিবর্তনের দায়িত্ব নিয়েছেন?
বিশ্বকাপ থেকে বাদ পড়ার সাথে সাথেই নিজের ব্যর্থতা মেনে নিয়ে চারটি দেশের চারজন কোচ নিজ থেকেই দায়িত্ব ছেড়ে দিয়েছেন। ব্যর্থতা মেনে নিয়ে দায়িত্ব থেকে সরে যাওয়ার এই উপলব্ধি আমাদের কবে হবে?
না হবেনা। আমরা শুধু দেখেই যাবো। আনন্দের পূর্ণতার জন্য নিজের পছন্দের দলের বিজয়ে অন্যের হাত দড়ি দিয়ে বেঁধে বালু চাপা দিয়ে ট্রল করবো । অন্যকে প্রিয় করতে গিয়ে নিজের প্রিয়জনদের সাথে সুসম্পর্ক নষ্ট করবো। যে আমাকে চিনেনা, জানেনা তার জন্য নিজের জীবন বিসর্জন দিবো। সবই করবো, কিন্তু বড় দুঃখ এবং লজ্জা-বিশ্বকাপের মাঠ পর্যন্ত আমরা পৌঁছাতে পারবো না।
লেখাটি সংগৃহীত তবে খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

দোকানদারের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত!🙂🙂
24/12/2022

দোকানদারের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত!🙂🙂

24/12/2022

বাল্যবিবাহ রুখে দিন।

24/12/2022

আসুন ঘরে বসে আঙুল চুষি।

20/12/2022

বিয়ের রাতে যদি দেখো নিজের স্বামী বি/ড়ি টা/ন/তে/ছে.! 😒

তখন তুমি কি করবা?" 😑🤭

আর্জেন্টিনা কী পারবে বিশ্বকাপ জয় করতে?আর্জেন্টিনা সাড়ে আট বছর পর বিশ্বকাপ ফাইনালে জায়গা নিশ্চিত করলো। আর্জেন্টিনা সাড়ে আ...
15/12/2022

আর্জেন্টিনা কী পারবে বিশ্বকাপ জয় করতে?
আর্জেন্টিনা সাড়ে আট বছর পর বিশ্বকাপ ফাইনালে জায়গা নিশ্চিত করলো। আর্জেন্টিনা সাড়ে আট বছর পর বিশ্বকাপ ফাইনালে জায়গা নিশ্চিত করলো। আবারও লিওনেল মেসি বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলবেন, ৩৬ বছর পর আর্জেন্টিনাকে বিশ্বকাপ জেতানোর চেষ্টা থাকবে। ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে প্রথম সেমিফাইনালে লুজাইল আইকনিক স্টেডিয়ামে ৩-০ গোলের জয় পেল আর্জেন্টিনা।

এই ম্যাচ প্রমাণ করলো লিওনেল মেসি তো আছেনই আর্জেন্টিনার ম্যাচ জেতানোর মতো একজন হুলিয়ান আলভারেজও আছেন। শুরুর বিশ মিনিট মেসি ছিলেন নিষ্প্রভ। মনে হচ্ছিল তিনি ম্যাচের গতিবিধি অনুসরণ করছেন, পর্যবেক্ষণ করছেন কোথায় কী হচ্ছে। এই সময়ে ক্রোয়েশিয়া গোলের সুযোগ তৈরি করতে না পারলেও দারুণ সব পাস আর বলের দখল নিয়ে খেলছিল। কিন্তু আর্জেন্টিনার এনজো ফার্নান্দেজের রক্ষণভেদী পাস হুলিয়ান আলভারেজ পাওয়ার পর তাকে থামাতে সরাসরি শারীরিক সংঘর্ষ হয় ক্রোয়েশিয়ার গোলকিপার লিকাকোভিচের সাথে।

রেফারি পেনাল্টি দিতে দেরি করেননি। এই পেনাল্টি নিয়ে মতবিরোধ থাকলেও বিবিসি রেডিও ফাইভ লাইভে বেশিরভাগ বিশ্লেষক পেনাল্টির পক্ষে মত দিয়েছেন। আলভারেজ ছিলেন একা সেখানে বল ছাড়াই তার সাথে গোলকিপারের শারীরিক সংঘর্ষের কারণে লিকাকোভিচ হলুদ কার্ডও দেখেছেন। লিওনেল মেসি পেনাল্টি নিয়ে কোনো ভুল করেননি।

যে মেসির আগের চার বিশ্বকাপের নক আউট পর্বে কোনও গোল ছিল না, তিনি এবার দ্বিতীয় রাউন্ডে, কোয়ার্টার ফাইনালে এবং সেমিফাইনালে গোল করলেন। ঠিক পাঁচ মিনিট পর আবারও হুলিয়ান আলভারেজ প্রায় মাঝমাঠ থেকে বল নিয়ে যান ক্রোয়েশিয়ার ডি বক্সে, আবারও গোল করলেন তিনি। পাঁচ মিনিটের মধ্যে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ আর্জেন্টিনার পক্ষে নিয়ে আসেন আলভারেজ। এরপর এখান থেকে ক্রোয়েশিয়ার ঘুরে দাঁড়ানো প্রায় অসম্ভব হয়ে যায়।

বিবিসি স্পোর্টের শ্যামুন হাফেজ ছিলেন লুজাইল স্টেডিয়ামে, তিনি লিখেছেন এই সময় ক্রোয়েশিয়ার কোচ জ্লাটকো ডালিচ ফুটবলারদের মাথা ঠাণ্ডা রাখার পরামর্শ দিচ্ছিলেন। বারবার টাচলাইনে আসছিলেন তিনি। বিবিসি রেডিও ফাইভ লাইভে ছিলেন ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের সর্বোচ্চ গোলদাতা অ্যালান শিয়েরার, তিনি বলেন, "ক্রোয়েশিয়া প্রথমার্ধে অনেক বল পেয়েও এমন কোনও সুযোগ তৈরি করতে পারেনি। আর্জেন্টিনার জন্য কোনও হুমকিই ছিল না"।

এই সময় ক্রোয়েশিয়ার সব পাস যাচ্ছিলো পেছন দিকে, আর্জেন্টিনার ফুটবলাররা চাপ সৃষ্টি করছিলেন দ্রুতগতিতে। আলভারেজ মেসির কাজ অনেকটা সহজ করে দিচ্ছিলেন আলভারেজ মেসির কাজ অনেকটা সহজ করে দিচ্ছিলেন। মেসি যখন হাঁটাহাঁটি করছেন আলভারেজ তার হয়ে ক্রোয়েশিয়ার রক্ষণভাগের খেলোয়াড়দের পিছু নিচ্ছেন, বলের পেছন দৌড়াচ্ছেন। মেসিকে নির্ভার লাগছিল তখন।

ক্রোয়েশিয়ার অধিনায়ক লুকা মদ্রিচ নিজের সর্বোচ্চ দিয়ে চেষ্টা করছিলেন কোনও ফাঁক গলে বিশেষ কোনো পাসে সুযোগ তৈরি করার। কিন্তু লুজাইলের রাত ছিল লিওনেল মেসির। মেসি আবারও এমন এক অ্যাসিস্ট করলেন বল পায়ে পেয়ে, আলভারেজ কেবল পা ছোঁয়ালেন আরও একটি গোল যোগ করলেন নিজের নামের পাশে। লিওনেল মেসি তার শ্রেষ্ঠত্বের প্রমাণ দিলেন আরও একবার। চলতি বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনা ১২টি গোল করেছে, যার মধ্যে মেসি নিজে করেছেন পাঁচটি, করিয়েছেন চারটি।

ততক্ষণে লুজাইল স্টেডিয়ামে শুরু হয়ে গেছে আর্জেন্টিনার উৎসব, ৩-০ গোলের জয় নিশ্চিত হওয়া সময়ের ব্যাপার মাত্র। বলা যায় এবারের বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনা নিজেদের সেরা পারফরম্যান্স দিল সেমিফাইনালেই। সৌদি আরবের বিপক্ষে হার দিয়ে শুরু করা লিওনেল মেসির দল যেন প্রতি ম্যাচেই জেগে উঠেছে নতুন করে। এবার আর এক ম্যাচের অপেক্ষা। ডিয়েগো ম্যারাডোনার জুতায় পা গলাতে এবং ফুটবল ইতিহাসে সর্বকালের সেরার খাতায় নিজের নাম পাকা করতে লিওনেল মেসি আরও একবার সুযোগ পেলেন।

তথ্যসূত্র: বিবিসি

আর্জেন্টিনার সাথে বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনে ফুটবলের ভূমিকা! বিস্তারিত লিংকে: https://www.bbc.com/bengali/artic...
15/12/2022

আর্জেন্টিনার সাথে বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনে ফুটবলের ভূমিকা! বিস্তারিত লিংকে: https://www.bbc.com/bengali/articles/cyxj4wpk9xko

অধিকৃত পশ্চিম তীরে গত সপ্তাহে ইসরায়েলি সেনাদের গুলিতে নিহত এক ফিলিস্তিনি তরুণের স্বজনরা বিবিসিকে জানিয়েছেন, তাকে হত্যার ...
15/12/2022

অধিকৃত পশ্চিম তীরে গত সপ্তাহে ইসরায়েলি সেনাদের গুলিতে নিহত এক ফিলিস্তিনি তরুণের স্বজনরা বিবিসিকে জানিয়েছেন, তাকে হত্যার কোন যুক্তি ছিল না।

পশ্চিম তীরে সেদিন একই ধরণের পরিস্থিতিতে যে চারজন নিহত হয়, ২১ বছর বয়সী রায়েদ আল-নাসান তাদের একজন। ইউরোপীয় ইউনিয়নের কূটনীতিকরা অধিকৃত পশ্চিম তীরে যেভাবে মৃত্যুর ঘটনা বাড়ছে তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

জাতিসংঘ হুঁশিয়ারি দিয়েছে যে পরিস্থিতির এখন চরম উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। বিবিসির টম বেইটম্যানের এই রিপোর্টে বিচলিত হওয়ার মতো অনেক দৃশ্য আছে।

বিস্তারিত: https://www.bbc.com/bengali/articles/cnkq1nvezz3o

সৃষ্টিশীল মানুষের দৃষ্টান্ত।
29/11/2022

সৃষ্টিশীল মানুষের দৃষ্টান্ত।

ওয়াজ মাহফিল নিয়ে যেসব নির্দেশনা পেলো প্রশাসন আর যা বলছেন ইসলামি বক্তারাবাংলাদেশের জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় মাঠ পর্যায়ে প্রশা...
27/11/2022

ওয়াজ মাহফিল নিয়ে যেসব নির্দেশনা পেলো প্রশাসন আর যা বলছেন ইসলামি বক্তারা
বাংলাদেশের জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় মাঠ পর্যায়ে প্রশাসনের কর্মকর্তাদের কাছে পাঠানো নির্দেশনায় ওয়াজ মাহফিলে রাজনৈতিক ও ব্যক্তির বিরুদ্ধে বিদ্বেষমূলক বক্তব্য বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার পরামর্শ দিয়েছে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির এক বৈঠকে এ তথ্য দেয়া হয়েছে মন্ত্রণালয় থেকেই।
তবে ইসলামি বক্তারা বলছেন, রাজনৈতিক নেতাদেরও ওয়াজের মঞ্চে এসে রাজনৈতিক বক্তব্য দেয়া উচিত নয় এবং ওয়াজের বিষয়ে বাধা নিষেধ আরোপ না করে আলেমদের সহায়তা নিয়ে বিষয়টি নিয়ন্ত্রণের উদ্যোগ নেয়া উচিত বলে মনে করেন তিনি।
বুধবার সংসদীয় কমিটির ওই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় এবং তাতে মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে যে, “আসন্ন শীত মৌসুমে ধর্মীয় ওয়াজ মাহফিলে রাজনৈতিক কিংবা ব্যক্তি বিদ্বেষমূলক বক্তব্য দেওয়া থেকে বিরত রাখার বিষয়ে পুলিশ অধিদপ্তরের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট সব ইউনিটকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে"।
এর আগে, এই কমিটির বৈঠক থেকেই এ ধরনের নির্দেশনা দেয়ার জন্য মন্ত্রণালয়কে পরামর্শ দেয়া হয়েছিলো। সে পরামর্শ অনুযায়ী ব্যবস্থা নিয়ে সেটি সংসদীয় কমিটির সর্বশেষ বৈঠকে জানানো হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানিয়েছেন। সংসদীয় কমিটির সদস্য মোকাব্বির খান বলছেন, অনেক সময় ছোটো একটি কথা কিংবা কোনো কথা গুজব আকারে ছড়িয়ে পড়ার কারণে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট হয় এবং সে কারণে শুরুতেই আইন প্রয়োগকারী সংস্থার ব্যবস্থা নেয়া উচিত বলে মনে করেন।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে গত কয়েক বছর ধরে কিছু ইসলামী বক্তার বিরুদ্ধে রাজনৈতিক বক্তব্য দেয়ার অভিযোগ উঠছে। ওয়াজ মাহফিলের মঞ্চ থেকেই হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হক ঢাকায় শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য বিরোধী বক্তব্য দিয়েছিলেন। দু'হাজার একুশ সালের এপ্রিলে বিভিন্ন অভিযোগে তাকে আটক করা হয়েছিলো এবং তিনি এখনো জেলেই আছেন।
আবার কিছু বক্তার বক্তব্য সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়েছে যেখানে তারা নারীদের নিয়ে অশালীন বক্তব্য দিয়েছেন এমন অভিযোগ উঠেছে। এর আগে গত বছর জানুয়ারিতেও ওয়াজ মাহফিলের অনুমতি দেয়ার ক্ষেত্রে কিছুটা কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছিলো। সাধারণ ওয়াজ মাহফিলের জন্য স্থানীয় প্রশাসনের কাছ থেকে আয়োজকদের অনুমতি নিতে হয়।
‘আলেমদের হাতেই এগুলো ছেড়ে দেয়া উচিত’
ঢাকাসহ সারাদেশে ওয়াজ করেন ইসলামি বক্তা হাবিবুর রহমান মিসবাহ। বিবিসি বাংলাকে তিনি বলছেন, ওয়াজ মাহফিলের বক্তৃতায় কোনো বিধি নিষেধ আরোপ না করে কর্তৃপক্ষের উচিত আলেমদের সাথে আলোচনা করে এটি আলেমদের ওপরই ছেড়ে দেয়া।
“সরকার যদি মনে করি কেউ অসংলগ্ন কিছু বলছে সেক্ষেত্রে আলেমদের মাধ্যমেই ব্যবস্থা নেয়া যায়। তাদের তত্ত্বাবধানে বিষয়গুলো নিয়ন্ত্রণ করা হলে কোনো সমস্যা হবে না,” বলছিলেন তিনি। তার মতে ইসলামি বক্তারা ইসলামের বিরুদ্ধে কোনো আক্রমণ এলে বা ইসলাম অবমাননা হলে তার প্রতিবাদ করবেন এটাই স্বাভাবিক এবং সেটি রাজনৈতিক কিংবা অরাজনৈতিক বিষয় নয়।
হাবিবুর রহমান মিসবাহ বলছেন, দেশের বিভিন্ন জায়গায় এখন রাজনৈতিক নেতারা এসে ওয়াজের মঞ্চে রাজনৈতিক বক্তব্য দিচ্ছেন। “ওয়াজের মঞ্চে কারও কোনো অসংলগ্ন বক্তব্য দেয়া যেমন অনুচিত তেমনি কোনো রাজনৈতিক নেতারও এ ধরণের মঞ্চে এসে বক্তব্য দেয়া উচিত না। উভয়পক্ষ সংযত হলেই পরিবেশ সুন্দর হবে ও কোনো প্রশ্ন উঠবে না,” বলছিলেন তিনি।
আরেকজন ইসলামি বক্তা আজিজুল হক মাদানি বিবিসি বাংলাকে বলছেন এসব বিষয়ে সরকারকে বলতে হবে কেন যেখানে ওয়াজের কাজ হলো ইসলামের দাওয়াত দেয়া। “এখানে তো উগ্র বা বিদ্বেষমূলক কথাবার্তার কোনো সুযোগই নেই। সেটা সবাইকে বুঝতে হবে। আবার ধর্মের কথা কীভাবে বলা হবে সেটা সরকারেরও বলে দেয়ার কিছু নেই,” বলছিলেন তিনি।
'রাজনৈতিক, বিতর্কিত এবং উস্কানিমূলক' বক্তাদের ওপর 'নজরদারি' দু'হাজার একুশ সালের জানুয়ারিতে কয়েকজন ইসলামি বক্তা অভিযোগ করেছিলেন যে ওয়াজ মাহফিল করার সময় তাদের গোয়েন্দা সংস্থার কড়া নজরদারিতে রাখা হয়। এর প্রেক্ষাপটে তখন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছিলেন যে, ওয়াজ করার সময় কিছু বক্তা রাজনৈতিক, বিতর্কিত এবং উস্কানিমূলক বক্তব্য দিয়ে থাকেন। এমন বক্তাদেরই শুধু নজরদারির আওতায় আনা হচ্ছে।
এমন ১৫জন বক্তাকে তখন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় চিহ্নিত করেছিলো বলে জানানো হয়েছিলো। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে পেশ করা একটি গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্টেও এ ধরনের অভিযোগ তখন এসেছিলো। ২০১৯ সালে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ ব্যাপারে একটি প্রতিবেদন তৈরি করেছিল।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছিলো যে ওয়াজ মাহফিলে কিছু বক্তা নারী অধিকারসহ বিভিন্ন বিষয়ে বিদ্বেষ ও হিংসা ছাড়াচ্ছেন। অনেকে সাম্প্রদায়িকতা ও জঙ্গিবাদে উৎসাহ দিচ্ছেন। এর আগে ২০১৬ সালে তিনজন ইসলামি বক্তাকে ওয়াজ মাহফিলে অংশ নেয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিলো কুমিল্লা জেলা প্রশাসন। তাদের বিরুদ্ধে বিভ্রান্তিকর ও উস্কানিমূলক এবং উগ্রবাদকে উৎসাহ দেয় এমন বক্তব্য দেয়ার অভিযোগ ছিলো।

মেসি।
27/11/2022

মেসি।

নেইমার-দানিলোর শূন্যতা ভাবাচ্ছে ব্রাজিলকেরদ্রিগো লাসমার- ভদ্রলোকের খুব ব্যস্ত সময় কাটছে দোহাতে। ঘণ্টায় ঘণ্টায় বুলেটিনের ...
27/11/2022

নেইমার-দানিলোর শূন্যতা ভাবাচ্ছে ব্রাজিলকে
রদ্রিগো লাসমার- ভদ্রলোকের খুব ব্যস্ত সময় কাটছে দোহাতে। ঘণ্টায় ঘণ্টায় বুলেটিনের মতো রিপোর্ট পাঠাতে হচ্ছে রিও ডি জেনেরিওর ব্রাজিল ফুটবল সংস্থার প্রধান দপ্তরে। নেইমারদের দলের সঙ্গে থাকা এই চিকিৎসককে কাতারে আসা স্বদেশি সাংবাদিকদের ফোনও ধরতে হচ্ছে মাঝেমধ্যে। প্রত্যেককেই একই উত্তর- 'সব ঠিক আছে, সুস্থ হয়ে যাবেন নেইমার।' গোড়ালির লিগামেন্টে চোট পাওয়া নেইমার ঠিক কবে নাগাদ ফিট হয়ে মাঠে নামতে পারবেন- তার উত্তর দেননি কিংবা দিতে চাননি লাসমার। শুধু বলেছেন, সোমবার সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে হয়তো নেইমার খেলতে পারবেন না। নেইমার ছাড়াও সেদিন রাইটব্যাক দানিলোরও বাঁ পায়ের গোড়ালিতে চোট লেগেছে। তাহলে ২ ডিসেম্বর পর্যন্ত গ্রুপ পর্বের বাকি দুটি ম্যাচ সুইজারল্যান্ড আর ক্যামেরুনের বিপক্ষে নেইমার আর দানিলোর শূন্যস্থানে কোন দুটি নাম বসাবেন কোচ তিতে? হাতে থাকা ভিনিসিয়ুস জুনিয়রই হতে পারেন তিতের সেরা অপশন।

রিয়াল মাদ্রিদের এই উইঙ্গার ড্রিবলিং আর বল কেরিয়ারে নেইমারের কাছাকাছি। তবে তিনি ক্লাব ফুটবলে লেফট উইংয়েই বেশি খেলে থাকেন। দ্বিতীয় অপশন অবশ্যই রদ্রিগো। রিয়াল মাদ্রিদের এই ফরোয়ার্ড যে কোনো পজিশন থেকে খুব সহজেই অ্যাটাকে যেতে পারেন। তৃতীয় অপশন গ্যাব্রিয়েল মার্তিনেল। আর্সেনালের এই ফরোয়ার্ডের মধ্যে নেইমারের অনেক ছাপ রয়েছে। এ ছাড়া রাফিনহা, অ্যান্থনি, জেসুস, ফ্রেড রয়েছেন তিতের হাতে।

আসলে বিশ্বকাপ যে নেইমারের জন্য কাঁটা ঝোপ, সেটি তো তাঁর ভাগ্যলিপিতেই লেখা। প্রতিপক্ষের ডিফেন্ডাররা তাঁকে ঘিরে ধরবেন, তিনি বল মাথার ওপর দিয়ে ট্রিক করে নিতে চাইবেন এবং তারপর বিশ্রী ট্যাকলে পড়ে গিয়ে যা তা অবস্থা! গেল দুই বিশ্বকাপ থেকেই তো একই চিত্রনাট্য, তাই এবার এসব ভেবেই স্কোয়াড তৈরি করে নিয়ে এসেছেন তিতে। তার পরও সেলেকাওদের মধ্যে নেইমার হলেন অক্সিজেনের মতো। ড্রেসিংরুমে তাঁর হাসিঠাট্টা, অনুশীলনে তাঁর খুনসুটি, মাঠে গোল করার পর তাঁর ড্যান্স- এসবই প্রেরণা দেয় গোটা দলকে। সেই হাসিমুখটাই যখন হাসপাতালের রুমে, তখন কাল বিকেলে অনুশীলন পর্বই বাদ দিয়েছে ব্রাজিল। ফিফার সূচিতে বিকেল ৫টায় আল অ্যারাবিয়া স্টেডিয়ামে সেলেকাওদের অনুশীলন পর্ব থাকলেও সেটি বাদ দেওয়া হয়েছে। মিডিয়াকেও ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে গেট থেকে, প্রত্যাখ্যাত ব্রাজিলিয়ান সাংবাদিকরা অনেকটা মুখ গোমরা করে মিডিয়া সেন্টারে ফিরে আলোচনায় ২০১৪ আর ২০১৮। সবার ভয়, নেইমারকে দিয়ে দলের মধ্যে এই অতি আবেগ আবার যেন দলকে না ভোগায়। সেবার নিজেদের দেশে কোয়ার্টার ফাইনালে কলম্বিয়া ম্যাচে পিঠে চোট পেয়ে ছিটকে যান নেইমার। সেমিতে তাঁর ১০ নম্বর জার্সি নিয়ে থিয়াগো সিলভাদের কান্না। পরে জার্মানির সঙ্গে ম্যাচের ফল তো সবারই জানা- ৭-১। ২০১৮ রাশিয়া বিশ্বকাপেও নেইমারের পড়ে যাওয়ার ছবিটিই সবার সামনে ভেসে আসে আগে। ডান পায়ের গোড়ালির চোট পরের বছর কোপা থেকেও নেইমারকে দূরে রেখেছে। ব্রাজিলিয়ান সাংবাদিকরাই বলাবলি করছিলেন, গত বছর বাঁ পায়ের গোড়ালির চোট সারতে নেইমারের সময় লেগেছিল ১০ সপ্তাহ। পিএসজির হয়ে খেলতে পারেননি তিনি তিন মাস। তাহলে এবারও কি তেমনই চোটে পড়েছেন নেইমার? তাহলে তো গ্রুপ পর্বই শুধু নয়, বিশ্বকাপের বাকিটাও আর খেলা হবে না তাঁর।

নেইমারের ছিটকে যাওয়ার খবর মানেই প্রতিপক্ষকে মানসিকভাবে এগিয়ে রাখা এবং ব্রাজিল দলেরও মানসিকভাবে ভেঙে পড়া। হয়তো সেই কৌশলগত কারণেই নেইমারের চোটের আসল অবস্থা লুকিয়ে রাখতে চাইছেন তিতে। গোড়ালির ছোটখাটো চোট থাকলে ১০ দিনের মধ্যে ফিট হয়ে মাঠে নামা যায়, এর বেশি হলে অন্তত তিন মাস। আগের দিন নেইমার তাঁর ইনস্টাগ্রামে যে আবেগঘন বার্তা লিখেছেন, সেখানেও কিন্তু মানসিকভাবে প্রচণ্ড ভেঙে পড়ার সুর। 'কখনও কারও খারাপ চাইনি, প্রয়োজনে কাউকে সাহায্য করেছি। কিন্তু আজ আমার এই অবস্থা। আমি চোটে পড়েছি, ভীষণ কষ্ট পাচ্ছি। তবে আমার বিশ্বাস রয়েছে যে আবার আমি মাঠে ফিরব। এই জার্সিটা আমার গর্ব, আমি ভালোবাসি এই জার্সি পরতে। ঈশ্বর যদি আমাকে কখনও বলে আমি কোথায় জন্মগ্রহণ করতে চাই, আমি বলব অবশ্যই ব্রাজিল।' নেইমারের এই পোস্ট নিয়ে নাকি ব্রাজিলের ফেসবুক দেয়ালে কেউ কেউ ট্রল করছে। সেখানকার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নেইমার এখন বাংলাদেশ ক্রিকেটের বিশ্বকাপ খেলা 'নাজমুল হোসেন শান্ত'! কাতারে আসা সাও পাওলোর এক টেলিভিশন সাংবাদিক তাঁর ফেসবুক থেকে নেইমারকে নিয়ে কিছু মিম এবং তাঁর সঙ্গে ব্যাঙ্গাত্মক কিছু পোস্ট দেখাচ্ছিলেন, যা চোখ এড়ায়নি ব্রাজিলের ড্রেসিংরুমেরও। নিজ দেশের সমর্থকদের উদ্দেশেই তাই পাল্টা একটি পোস্ট দিয়েছেন রাফিনহা। তিনি লিখেছেন, 'আর্জেন্টিনার সমর্থকরা মেসিকে ঈশ্বরের মতো মনে করে। পর্তুগালের ভক্তরা ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোকে রাজা মনে করে। আর ব্রাজিলের সমর্থকরা প্রত্যাশা করে যেন নেইমারের পা ভেঙে যায়। নেইমারের ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বড় ভুল, সে ব্রাজিলে জন্মেছে। এই দেশ তাঁর প্রতিভার মূল্য দিতে পারেনি।'

রাফিনহার এই পোস্ট নিয়ে সাও পাওলো থেকে রিও ডি জেনেরিও- সবখানেই নাকি চাপা আগুন ছড়াচ্ছে ফুটবল সমর্থকদের মধ্যে। দোহা থেকেও যার আঁচ পাচ্ছেন বিশ্বকাপ কাভার করতে আসা ব্রাজিলিয়ান সাংবাদিকরা। যদিও তাঁদের প্রত্যেকেরই বিশ্বাস, এবার অন্তত নেইমারের চোট গোটা দলকে আঘাত করবে না। তাঁর শূন্যস্থান পূরণ করার মতো তরুণরা এসে গেছে দলে।

(তথ্যসূত্র: সমকাল)

বাউল সম্প্রদায়ের সুরক্ষা রাষ্ট্রের দায়িত্বদেশের বাউল সম্প্রদায় বিপদাপন্ন। অনেক দিন ধরেই বাউল সম্প্রদায়ের ওপর হামলা চলছে ...
27/11/2022

বাউল সম্প্রদায়ের সুরক্ষা রাষ্ট্রের দায়িত্ব
দেশের বাউল সম্প্রদায় বিপদাপন্ন। অনেক দিন ধরেই বাউল সম্প্রদায়ের ওপর হামলা চলছে দেশের বিভিন্ন এলাকায়। কোথাও তাদের মঞ্চ ভেঙে দেওয়া হচ্ছে; কোথাওবা কেটে দেওয়া হচ্ছে বাউল গুরুর চুল। কোথাও পুড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে বাউলের বাসস্থান ও বাদ্যযন্ত্র। শুধু গানের মধ্য দিয়ে সৃষ্টিকর্তা ও জগৎ সম্পর্কে প্রশ্ন এবং তার যৌক্তিক ব্যাখ্যা তুলে ধরার অপরাধে তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা ও গ্রেপ্তারের নজিরও এ দেশে তৈরি হয়েছে। কেন? বাউলের অপরাধ কী? বাউল পন্থা গ্রহণ করতে কারও ওপর কি বল প্রয়োগের উদাহরণ আছে? বাউল কি কারও কিছু কেড়ে খায়? না, কিছুই করে না। সব ধর্মের ঊর্ধ্বে মানুষের বড়ত্ব ঘোষণা করে বাউল। সেই বড়ত্বে কোনো অহংকার নেই। নিরহংকার না হয়ে বাউল পথে নামা সম্ভব নয়। নিজের অবনমিত অবস্থান প্রকাশ ও প্রচার করতে বাউলকে ভিক্ষায় নামতে হয়। বাউল নিঃস্ব, নির্লিপ্ত জীবনের সাধনা করে।

ধর্মাধর্মের বিভেদের বাইরে আত্ম-অনুসন্ধানে মগ্ন বাউল কারও ক্ষতির কারণ কখনও হয়েছে বলে জানা যায়নি। বাউল জীবন মানে হিংসা-বিদ্বেষ-কাম-কামনার ঊর্ধ্বে 'জ্যান্ত মরা' মানুষের স্থিরতা অর্জনের অধ্যবসায়। মরদেহ যেমন পার্থিব মোহমুক্ত, তেমনি মরদেহের আধ্যাত্মিকতা বাউল জীবনের লক্ষ্য। প্রকৃত বাউল মহাপ্রকৃতির অংশ। গান তাঁর জীবনযাপন করার উপায়। বাউল গানের কারণে বাংলাদেশের মর্যাদাপূর্ণ পরিচয় আছে বিশ্ব পরিসরে। বাউল গানকে জাতিসংঘ বিশ্ব ঐতিহ্যের মর্যাদা প্রদান করেছে। সারা দুনিয়ার হাজারো পরিবর্তনশীল সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের (ইনট্যানজিবল কালচারাল হেরিটেজ) বৈচিত্র্যময় ধরন থেকে মাত্র ৪৩টি ঐতিহ্য চিহ্নিত করতে গিয়ে জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সাংস্কৃতিক সংস্থা (ইউনেস্কো) বাউল গানকে অসাধারণ সৃষ্টি বলে আখ্যা দিয়েছে।

এই অসাধারণত্ব বংশপরম্পরায় তৈরি হয় না; গুরু-পরম্পরায় তৈরি হয়। মুসলমানের সন্তান মুসলমান হয়, হিন্দুর সন্তান হিন্দু। কিন্তু জন্মসূত্রে বাউল হওয়ার উপায় নেই। বাউল হয়ে উঠতে গুরুর পথ অনুসরণের কঠোর সাধনা করতে হয়। আত্মশুদ্ধির পথে ধ্যানস্থ হতে হয়। গুরুর দীক্ষা মেনে মৃত মানুষের মতো স্রষ্টার দরবারে লীন হওয়ার সাধ্য থাকলে তবেই বাউল হওয়া যায়। হাজার বছর ধরে এই ঐতিহ্য প্রতিষ্ঠা পেয়েছে এবং তা চলমান। প্রাচীনতম সাহিত্য নিদর্শন চর্যাপদেও বাউলের উল্লেখ আছে 'বাজিল' বা 'বাজুল' নামে। বাস্তবিক কারণেই বাউল গান বিশ্বসমাজে বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য; বিশ্বের অমূল্য সম্পদ; বাংলাদেশের পরিচয়-গৌরব। বাউলের ওপর হামলা তাই বিশ্ব ঐতিহ্যের ওপর হামলা। বাংলাদেশের জাতীয় সংস্কৃতির ওপর হামলা।

সংবিধানের ২৩ অনুচ্ছেদে বলা হচ্ছে, 'রাষ্ট্র জনগণের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও উত্তরাধিকার রক্ষণের জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করিবেন এবং জাতীয় ভাষা, সাহিত্য ও শিল্পকলাসমূহের এমন পরিপোষণ ও উন্নয়নের ব্যবস্থা গ্রহণ করিবেন যাহাতে সর্বস্তরের জনগণ জাতীয় সংস্কৃতির সমৃদ্ধিতে অবদান রাখিবার ও অংশগ্রহণ করিবার সুযোগ লাভ করিতে পারেন।' দুর্ভাগ্যজনকভাবে এ দেশের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য অরক্ষিত। বাউলরা ভীত-সন্ত্রস্ত। ২০১১ সালে রাজবাড়ীর পাংশায় সাধুসঙ্গে হামলা হয়েছিল। ষাটোর্ধ্ব ২৮ জন বাউলকে প্রহার করা হয়েছিল সেবার। তাঁদের চুল-দাড়ি কেটে দিয়ে বলপূর্বক তওবা করানো হয়েছিল। গুজব ছড়ানো হয়েছিল- তাঁরা ইসলামবিরোধী চর্চা করে! ধর্মীয় স্বাধীনতার বাংলাদেশে অমুসলমানের অধিকার আছে নিজের পথ ও বিশ্বাস লালনপালন করার। বাউলদেরও অধিকার আছে যাঁর যাঁর ঘরানার নীতিনিয়ম পালন করার। সাধুসঙ্গ বাউলদের সবচেয়ে পবিত্র সম্মিলন। গান ও জ্ঞান আলোচনার উৎসব। অপরের পবিত্রতার ওপর হামলা করা কোনো ধর্মের নীতি নয়। রাজবাড়ীর ঘটনার বিচার হয়নি। রাজনৈতিক হস্তক্ষেপে আপস-মীমাংসা হয়েছিল! বাউলরা কারও ওপর ক্ষোভ পোষণ করেন না। তবুও নির্বিরোধ বাউলদের ওপর প্রতিরোধহীন, প্রতিকারহীন সহিংস হামলার ক্রমিক উদাহরণের তালিকা দীর্ঘ হচ্ছে। সর্বক্ষেত্রেই অজুহাত এই- তাঁদের আচার-আনুষ্ঠানিকতা ইসলামসম্মত নয়! এই সহিংস আধিপত্যবাদী ভ্রান্ত দৃষ্টিভঙ্গির হাত থেকে বিশ্ব ঐতিহ্য বাউল গানকে রক্ষা করার কোনো কার্যকর কর্মসূচি না থাকায় বাউল সম্প্রদায় আজ বিপদাপন্ন।

কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার লাউবাড়িয়া গ্রামে বাউলদের সাধুসঙ্গে হামলা মোটেই বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। ধারাবাহিক বাউল নিধনযজ্ঞের চরম পর্যায় এটি। সেখানে ৯০ বছর বয়স্ক সাধু থেকে শুরু করে লাঞ্ছিত করা হয়েছে সাধিকাদেরও। অনুনয়-বিনয় করেও রক্ষা পাননি সাধুসঙ্গে অংশগ্রহণকারীরা। অথচ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের প্রত্যেক নাগরিক ও সম্প্রদায়ের আইনি অধিকার আছে সমবেত হওয়া, নিজ নিজ মতাদর্শিক আনুষ্ঠানিকতা পালন ও প্রচার করার। ভিন্নপথ, ভিন্নমত যতক্ষণ না রাষ্ট্র ও সমাজের কল্যাণের বদলে ক্ষতি করে, ততক্ষণ তার বিরুদ্ধাচরণ এবং তার ওপর সহিংস হামলা গণতান্ত্রিক সংস্কৃতির জন্য ভয়াবহ হুমকি। এমনকি বৈশ্বিক মহামারি কভিড-১৯ বাউল গানের ততটা ক্ষতি করতে পারেনি, যতটা করার চেষ্টা করছে আধিপত্যবাদী মৌলবাদী শক্তি। এ পরিস্থিতি একদিকে যেমন সামাজিক অসহিষুষ্ণতার বহিঃপ্রকাশ, আরেক দিকে বৈচিত্র্যময় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সুরক্ষায় প্রাতিষ্ঠানিক অবহেলারও প্রমাণ।

পরিবর্তনশীল সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সুরক্ষাবিষয়ক ইউনেস্কো সনদ ২০০৩ অনুসারে প্রতিটি রাষ্ট্র 'নিজস্ব ভৌগোলিক সীমানার পরিবর্তনশীল সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে;' (১১-ক)। বাংলাদেশ এই সনদের শুধু স্বাক্ষরকারীই নয়; ২০২২ সাল থেকে ২০২৬ মেয়াদের জন্য এই সনদ বাস্তবায়ন কমিটির সদস্যও। এ দেশে বাউল সম্প্রদায়সহ যে কোনো ধর্মীয় কিংবা সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য চর্চাকারী নাগরিকের সুরক্ষা প্রদানে রাষ্ট্র প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা আশা করি, বাউল সম্প্রদায়ের ওপর সহিংস হামলার প্রতিকার বিধান করতে এবং বৈচিত্র্যময় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের প্রতি সম্মানবোধসম্পন্ন সমাজ গড়ে তুলতে সরকার দৃষ্টান্তমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। আমরা বিশ্বাস করি, সহিষুষ্ণ সমাজ প্রতিষ্ঠায় বাউল সম্প্রদায়ের অস্তিত্বগত গুরুত্ব সবাই উপলব্ধি করবে। শিকড়হীন উদ্ভিদের পক্ষে যেমন বাঁচা অসম্ভব; ঐতিহ্য-বিচ্ছিন্ন জাতিরও তেমনি ধ্বংস অনিবার্য। বাংলাদেশের উদার ধারার পরিচয়-চিহ্ন মুছে ফেলার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত সংস্কৃতির ঘাতকদের থামাতে হবে।

নূরুননবী শান্ত: গল্পকার, অনুবাদক

25/11/2022

ভুয়া পুলিশ চেনার উপায়!

25/11/2022

মরিচ, টমেটো, লাউ গাছ যা পারেন লাগান; প্রধানমন্ত্রী

রাশিয়া সন্ত্রাসবাদের পৃষ্ঠপোষক: ইইউজ্বালানি অবকাঠামো, হাসপাতাল, স্কুল ও আশ্রয়কেন্দ্রের মতো বেসামরিক নিশানায় রাশিয়ার হামল...
25/11/2022

রাশিয়া সন্ত্রাসবাদের পৃষ্ঠপোষক: ইইউ
জ্বালানি অবকাঠামো, হাসপাতাল, স্কুল ও আশ্রয়কেন্দ্রের মতো বেসামরিক নিশানায় রাশিয়ার হামলা আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করেছে বলে দাবি জানিয়েছে ইউরোপীয় পার্লামেন্ট। আর এ কারণেই রাশিয়াকে সন্ত্রাসবাদের পৃষ্ঠপোষক একটি রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষণা করেছে ইউরোপীয় পার্লামেন্ট। এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত চারটি দেশের পার্লামেন্ট রাশিয়াকে সন্ত্রাসবাদের পৃষ্ঠপোষক রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষণা করেছে। এগুলো হলো- লিথুয়ানিয়া, লাটভিয়া, এস্তোনিয়া ও পোল্যান্ড। রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, এই প্রস্তাব মূলত প্রতীকী। এই প্রস্তাব বাস্তবায়নের মতো আইনি কাঠামো নেই ইউরোপীয় ইউনিয়নের। একই সময়ে ইউক্রেনে আক্রমণের কারণে রাশিয়ার ওপর নজিরবিহীন নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে ব্লকটি।

বুধবার প্রস্তাবটির পক্ষে ভোট দিয়েছেন ইউরোপীয় আইনপ্রণেতারা। এই প্রস্তাবে রাশিয়াকে সন্ত্রাসবাদের পৃষ্ঠপোষক একটি রাষ্ট্র হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। এদিকে যুক্তরাষ্ট্র চারটি দেশকে সন্ত্রাসবাদের পৃষ্ঠপোষক হিসেবে ঘোষণা করেছে। এগুলো হলো- কিউবা, উত্তর কোরিয়া ও সিরিয়া। এই তালিকায় থাকার অর্থ হলো, এসব দেশে প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা এবং আর্থিক বিধিনিষেধ থাকবে।

মার্কিন কংগ্রেসের উভয়কক্ষে এমন প্রস্তাব ও অনুরোধের পরও দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন এখন পর্যন্ত রাশিয়াকে সন্ত্রাসবাদের পৃষ্ঠপোষক রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষণা করতে অস্বীকৃতি জানিয়ে আসছেন। আবার ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি যুক্তরাষ্ট্রসহ অপর দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন রাশিয়াকে সন্ত্রাসবাদের পৃষ্ঠপোষক রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষণার জন্য। তিনি অভিযোগ করেছেন, রুশ সেনারা বেসামরিকদের নিশানা করে হামলা চালাচ্ছে। এমন অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে মস্কো।

(তথ্যসূত্র: দৈনিক ইত্তেফাক)

খাবার নেই, শিশুদের ওষুধ খাইয়ে পাড়ানো হচ্ছে ঘুম গত বছরের আগস্টে আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখলে নেয় তালেবান। তালেবানের ক্ষমতা ন...
25/11/2022

খাবার নেই, শিশুদের ওষুধ খাইয়ে পাড়ানো হচ্ছে ঘুম
গত বছরের আগস্টে আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখলে নেয় তালেবান। তালেবানের ক্ষমতা নেওয়ার পর দেশটি থেকে আন্তর্জাতিক ত্রাণসংস্থাগুলো মুখ ফিরিয়ে নেয়। এতে লাখ লাখ পরিবার দারিদ্র্যের মুখে পরে। চাকরি হারায় হাজার হাজার জন। অর্থনীতিতে ধুঁকতে থাকা দেশটিতে নেমে আসে আরও দুর্দশা।

এরই মধ্যে দেশটির বিভিন্ন ভয়াবহ চিত্র বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমের খবরে উঠে এসেছে। আজ বৃহস্পতিবার বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আফগানরা তাদের ক্ষুধার্ত শিশুদের ওষুধ খাইয়ে ঘুম পাড়াচ্ছেন। এছাড়া অনেকেই বেঁচে থাকার জন্য বিভিন্ন অঙ্গ, এমনকি তাদের কন্যাদেরকেও বিক্রি করছেন।

আব্দুল ওয়াহাব বলেন, ক্ষুধার জ্বালায় আমাদের শিশুরা কান্না করেই যাচ্ছে এবং তারা ঘুমাচ্ছে না। আমাদের কোনো খাবার নেই। তাই আমরা বাধ্য হয়ে ফার্মেসিতে যাচ্ছি, ট্যাবলেট নিচ্ছি এবং শিশুদের খাওয়াচ্ছি। যেন তারা ঘুমিয়ে পড়ে।

আব্দুল ওয়াহাব দেশটির তৃতীয় বৃহত্তম শহর হেরাতে যেখানে হাজার হাজার মাটির ঘরের বসতি সেখানেই বাস করেন। প্রাকৃতিক দুর্যোগ, যুদ্ধে ঘরছাড়া লোকদেরই এখানে বসবাস।

বিবিসির সংবাদতারা সেখানে গেলে আব্দুলরা তাদের ঘিরে ধরেন। তাদের প্রশ্ন করা হয়, কতজন তাদের শিশুদের ওষুধ দিয়ে ঘুম পাড়াচ্ছেন। ভিড়ের মধ্যে লোকেরা বলেছেন, অনেকই, আমাদের সবাই।

ভিড়ের মধ্যে থাকা গুলাম হযরত নামে এক ব্যক্তি তার পকেট থেকে এক পাতা ওষুধ বের করে। সেইসবের মধ্যে ছিল অ্যালপ্রাজোলাম, ট্রানকুইলাইজার- যা উদ্বেগজনিত রোগের চিকিতসার কাজে ব্যবহৃত হয়।

গুলাম জানান, তার ছয় সন্তান, এর মধ্যে সবচেয়ে ছোটজনের বয়স এক বছর। তিনি বলেন, তাকেও আমি এই ওষুধ খাওয়াই। এছাড়া অন্যরাও তাদের কাছে থাকা ওষুধ বের করে দেখান। যা তারা তাদের শিশুদের খাওয়ান। এসব ওষুধ বিষাদ ও উদ্বেগের জন্য ব্যবহার করা হয়।

বিবিসির সংবাদদাতারা বলছেন, তারা যাদের সঙ্গে দেখা করেছেন তাদের বেশিরভাগই প্রতিদিন শুধু খাবারের জন্য কয়েক টুকরো রুটি ভাগাভাগি করেন। এক নারী বলেন, সকালে তারা শুধু শুকনো রুটি খেয়েছে রাতে তারা পানিতে ভিজিয়ে তা খাবে।

(তথ্যসূত্র: দৈনিক ইত্তেফাক)

পবিত্র গ্রন্থ আল কোরআন। সমগ্র মানবজাতির শান্তির পথ এই কিতাব। মানবসৃষ্ট সকল ব্যবস্থা যেখানে ব্যর্থতা স্বীকার করবে বাধ্য, ...
22/11/2022

পবিত্র গ্রন্থ আল কোরআন। সমগ্র মানবজাতির শান্তির পথ এই কিতাব। মানবসৃষ্ট সকল ব্যবস্থা যেখানে ব্যর্থতা স্বীকার করবে বাধ্য, সেখানে আল্লাহর প্রেরণ করা এই কিতাব সকল সমস্যার সমাধান দিতে সক্ষম।

আর্জেন্টিনাকে হারিয়ে সৌদির ইতিহাসএক বুক আশা নিয়ে কাতার বিশ্বকাপে পা রেখেছিল আর্জেন্টিনা। নিজেদের প্রথম ম্যাচে শুরুটাও দা...
22/11/2022

আর্জেন্টিনাকে হারিয়ে সৌদির ইতিহাস
এক বুক আশা নিয়ে কাতার বিশ্বকাপে পা রেখেছিল আর্জেন্টিনা। নিজেদের প্রথম ম্যাচে শুরুটাও দারুণ করেছিল দুইবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। প্রথমার্ধের শুরুতেই লিওনেল মেসির গোলে এগিয়ে যায় লাতিন আমেরিকার দেশটি। তবে দ্বিতীয়ার্ধেই যেন নাটকীয়ভাবে ৫ মিনিটের ব্যবধানে জোড়া গোল করে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে যায় সৌদি আরব। শেষ পর্যন্ত দুই দলের কেউই আর গোল করতে না পারলে ইতিহাসের পাতায় চলে যায় ফিফা র‍্যাঙ্কিংয়ের ৫১ নম্বর দলটি।

22/11/2022

ফেসবুক গ্রুপ দিয়ে ইনকাম!

22/11/2022

কাতার বিশ্বকাপে খরচ ২২০ বিলিয়ন ডলার!

আয়াতকে খুঁজে পেতে পরিবারের আকুতিচট্টগ্রামে ৫ বছরের মেয়ে আলিনা ইসলাম আয়াতকে খুঁজে পেতে আকুতি জানিয়েছে তার পরিবার। চার দিন...
21/11/2022

আয়াতকে খুঁজে পেতে পরিবারের আকুতি
চট্টগ্রামে ৫ বছরের মেয়ে আলিনা ইসলাম আয়াতকে খুঁজে পেতে আকুতি জানিয়েছে তার পরিবার। চার দিন পার হলেও তার কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি বলে জানান পরিবার। গত মঙ্গলবার বাসার সামনে থেকে আয়াত হারিয়ে যায়। এসময় সে মসজিদের মক্তবে পড়তে যাচ্ছিল।

আয়াতের বাবা সোহেল রানা জানান, তাদের বাসা চট্টগ্রামের ইপিজেড থানার বন্দরটিলা এলাকার নয়ারহাট বিদ্যুৎ অফিসের পাশে। সেদিন আয়াত আরবি পড়তে বিকাল তিনটায় বাসা থেকে বের হয়। একঘণ্টা পর মসজিদে গিয়ে তাকে পাওয়া যায় না। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সে পড়তে যায়নি। এসময় আশপাশে খবর নিতে গেলে তার হাতে থাকা কায়দা পাশের বিল্ডিং এর সিঁড়িতে পাওয়া যায়।

আয়াত পরিবারের একমাত্র সন্তান। সে বাসার পাশের এক মাদরাসার নার্সারির শিক্ষার্থী। তার বাবা স্থানীয় পানের দোকানদার। আয়াতের হারিয়ে যাওয়ার বিষয়ে তার বাবা সোহেল রানা চট্টগ্রামের ইপিজেড থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন। এদিকে, স্থানীয় বাসিন্দাসহ অনেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আয়াতের সন্ধান চেয়ে পোস্ট করেছেন। বৃহস্পতিবার এমন একটি পোস্ট করেছেন বুশরা নামের এক নারী।

বুশরা লিখেন, ‘৫০ ঘণ্টা পার হয়ে গেল আয়াতকে খুঁজে পাচ্ছি না। কারও বিরুদ্ধে আমাদের কোনো অভিযোগ নাই, আমরা শুধু আয়াতকে ফিরে পেতে চাই। কোথায় পেয়েছে, কিভাবে পেয়েছে কোনো প্রশ্ন ছাড়াই উপযুক্ত পুরস্কার দেবো, শুধু আয়াতকে ফিরে চাই আমরা। ইয়া আল্লাহ, আয়াতকে আমাদের মাঝে ফিরিয়ে দিন। এতগুলা মানুষের চোখের পানির বিনিময়ে আমাদের মাঝে ফিরিয়ে দিন মা’বুদ।

Address

Dhaka
1230

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when CHOTO BHAI posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to CHOTO BHAI:

Videos

Share

Nearby media companies


Other News & Media Websites in Dhaka

Show All

You may also like