MD Fazla Alahi

MD Fazla Alahi লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)

26/01/2025
পুরুষ হওয়া অত সোজা নয়, একটু বড় হওয়ার পর হঠাৎ করেই বুঝে যায় খুব তাড়াতাড়ি বড় হতে হবে, পুরো সংসারের দায়িত্ব নিতে হ...
22/01/2025

পুরুষ হওয়া অত সোজা নয়, একটু বড় হওয়ার পর হঠাৎ করেই বুঝে যায় খুব তাড়াতাড়ি বড় হতে হবে, পুরো সংসারের দায়িত্ব নিতে হবে ।

ঘর বানানোর জন্য পুরুষকে ঘর ছেড়ে বাইরে যেতে হয় বছরের পর বছর, মৃত্যুর আগে অব্দি হয়তো কখনো পাকাপাকিভাবে বাড়ি ফেরা হয় না ।

নির্বাক সৈনিকের মত লড়ে যায় বহুরূপীর মতো বিভিন্ন রূপে কখনো দাদা, কখনো ভাই, কখনো বা স্বামী , কখনো বাবা ।

পুরুষকে কখনো কাঁদতে দেখবেন না, কারণ সে জানে কাঁদলে সান্ত্বনা দেওয়ার মতো কাউকে পাশে পাওয়া যায় না । বিভিন্ন কারণে যদি স্ত্রীর সাথে ঝগড়াও হয়ে যায় সে সে হয়তো চুপ করে থাকে বা এক বেলা না খেয়ে থাকে তবু তার কোন বাপের বাড়ি হয় না যেখানে গিয়ে সে তার অভিমানটা প্রকাশ করতে পারবে ।

যতই শিক্ষার ডিগ্রী থাকুক পুরুষের সম্মানটা তার উপার্জন এবং মূলধনের উপরে নির্ভর করে ।

পুরুষরা সমাজ, পরিবার ও সম্পর্কের ভিত গড়ে তোলে, অথচ তাদের আবেগ, সংগ্রাম ও স্বাস্থ্যের কথা অনেক সময় উপেক্ষা করা হয়।তাদের ত্যাগ, দায়িত্ব ও ভালোবাসাকে সম্মান জানাই।

আপনারা আমাদের জীবনে আলো হয়ে থাকুন। নিজের যত্ন নিন, আপনার অনুভূতিগুলোকে সম্মান দিন।

20/01/2025

নিতান্তই মধ্যবিত্ত আমি 😭🤲

এই যে আমার মুখ,চেহারা,চলনে বলনে কাজে ব্যবহারে, কোথাও একটা অহংকার ভাব নিয়ে চলি অকারণে, সেটাই অকপট বলে দেয় অতি সাধারণ আমি, নিতান্তই মধ্যবিত্ত।

শুনেছি মধ্যবিত্তের নাকি আত্মমর্যাদা বোধ তীক্ষ্ণ ছুরির মতো ধারালো, নিজেকে কাটে আবার অন্যকেও আহত করে বিনা প্রয়োজনে।

মধ্যবিত্ত বলে সেই শিশু বেলায় শিখেছি,কারো বাড়িতে গিয়ে সামনে দেয়া খাবার অতি পছন্দ হলেও, না খাওয়ার ভান করে লক্ষি ছেলে হয়ে বসে থাকতে হবে, অথবা প্রবল অপমানে বিদ্রোহ না করে শান্ত হয়ে বসে থাকত হবে,খুব ভালো হয় কিছু না বলেই নীরবে মাথা নীচু করে পালিয়ে চলে আসা।

মধ্যবিত্ত বলে কৈশোরে শিখেছি, বড়ো হতে গেলে ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার স্বপ্ন দেখতে হবে, ক্লাসে ফাষ্টবয় হয়ে স্বপ্নের দিকে অন্ধের মতো ছুটতে হবে, অধরা সোনার হরিণটাকে হাতের মুঠোয় নিয়ে আসতে হবে,নতুবা তুমি চাষা থেকে যাবে।

মধ্যবিত্ত বলে ষোল বছর বয়সে শিখেছি, সততা সাফল্যের চাবিকাঠি, পরিশ্রম সৌভাগ্যের প্রসূতি, সৎ চরিত্র হলো সাপের ফনার উপর মহা মূল্যবান মুক্তোর মতো, অথবা বিজয় রথে বসে লংকা জয়ের সংকল্প করা, যেখানে বীরের বেশে তীর-ধনুক তাক করে লক্ষ্য ভেদ করার অব্যার্থ মত্র জানতে হবে।

মধ্যবিত্ত বলে জীবনের হিসাব নিকাশের সরল অংক টা শিখেছি আঠারো বছর বয়সে। সরল অংকটা করার ক্ষেত্রে সূত্র টা মোটেই সহজ সরল ছিলো না,বরং জটিল কিছু ধাপের মধ্যে দিয়ে যেতে হতো আমাকে,এভাবেই তো জটিল জীবনে প্রবেশের হাতেখড়ি নিয়েছি আমি।

মধ্যবিত্ত বলে যৌবনে জেনেছি, সুন্দরী মেয়ে টাকে অতো বেশি ভালোবেসো না, সুন্দরী মেয়ে টা জানে তার জন্য অপেক্ষা করে আছে বিসিএস কোন ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ, ইঞ্জিনিয়ার, ডাক্তার অথবা টাকা ওয়ালা বিদেশ ফেরত বিয়ের পাত্র।তাই ভালো না বেসে নিজেকে যোগ্য করে গড়ে তোলো, যাতে সুন্দরী মেয়েটা লজ্জা লাজুক হয়ে হলুদ গাঁদা ফুলের মালাটা তোমার গলায় সমর্পণ করে সারাজীবনের জন্য ঝুলে পড়তে পারে।

এই যে আমি মধ্যবিত্তে জন্ম নিয়ে বোকার মতো মধ্যবিত্ত জীবন বেছে নিলাম স্বেচ্ছায়, সেটা তো মধ্যবিত্তের শিকল শৃঙ্খলা ভাঙার সাহস ছিলো না বলে।

আমি জানি মধ্যবিত্তের নীল বেদনা নিয়েই আমার আত্মার প্রস্থান হবে অন্য পৃথিবীতে, হয়তো পুলসেরাতের অপেক্ষায়।

18/01/2025

আসসালামু আলাইকুম।
দয়া করে ভেবে দেখুন, মৃত্যুর সাথে সাথেই আমাদের নাম হয়ে যাবে "লাশ"।
মানুষ বলবে....
"লাশের স্ট্রেচার রেডি করো!"
"লাশের পা টা একটু সোজা করেন।"
"লাশকে একটু ঠান্ডা যায়গায় রাখলে ভালো হয়।"
মরদেহ কবরে নামানোর সময় কেউ আপনার নাম ধরে ডাকবেনা। ডাকবেনা ম্যাডাম বা স্যার বলে। ভাইয়া/আপু ডাকাটিও হারিয়ে যাবে। সবার কাছে শুধুই 'লাশ' নামক পরিচিতিটাই থাকবে আপনার।
ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে অনেকে সাদা কাপড় উল্টিয়ে আপনার চেহারাটিও দেখতে চাইবে না। যদিওরা জীবিত অবস্থায় আপনার সৌন্দর্য ছিল অতুলনীয়। অনেকে আবার আপনার শরীর স্পর্শ করতে ঘৃণা করবে, গোসল করাতে চাইবে না! অনেকে আপনাকে দেখার ফলে ঘরে ফিরে গোসল করবে! সেই পুরাতন কুসংস্কার - লাশ দেখলে গোসল করতে হয়!
আসলে কতই না কষ্টের হবে সেই সময়টা, যখন আপনার আপনজনই আপনাকে নিজ ঘর থেকে বের করে দিবে। বাড়ির পাশে, অন্ধকার, নোংড়া এবং অপ্রীতিকর একটি যায়গার দিকে নিয়ে যাবে। যেই জায়গার পাশ দিয়ে হয়তো আপনি হাজারো বার বন্ধুদের নিয়ে হাসতে হাসতে পার হয়েছিলেন। হয়তো কারো জানাজা পড়েছেন কিংবা কাউ কে দাফন করেছেন... কতই না অসহায় অবস্থা!
আমরা সেই দিন দেখবো, শুনবো, বুঝবো; কিন্তু মরেন ভাব প্রকাশ করতে পারবো না। আমাদের আর্তনাদ কেউ শুনবে না।
ইমাম গাজ্জালি (রাহিমাহুল্লাহ) এর কাছে একবার জনৈক ব্যক্তি এসে স্বপ্নের ব্যাখ্যা জানতে চেয়েছিলেন। স্বপ্নটি ছিল এমন...
"আমি দেখতে পেলাম জঙ্গলে আমাকে একটি বাঘ তাড়া করছে। দৌড়তে দৌড়তে সামনে একটি বড় কুয়া দেখলাম। দিশেহারা হয়ে কুয়াতে ঝাপ দিয়ে পড়তেই ঝুলন্ত এক রশি ধরে ফেললাম। নিচে ঘুটঘুটে অন্ধকারে একটি গোখরা সাপের চোখ জ্বলজ্বল করছিলো। আর উপরে বাঘটা আমার অপেক্ষায় আছে, যে কখন উঠবো আর কখন সে ঝাপিয়ে পড়বে। হঠাৎ লক্ষ্য করলাম একটি সাদা এবং আরেকটি কালো ইঁদুর রশির আগায় বসে আছে। তারা অনবরত রশিটি কাটছে। ডানদিকে ফিরে দেখতে পেলাম একটি মৌচাক। মধুর সুঘ্রাণে লোভ সামলাতে না পেরে মৌচাকে আঙুল দিলাম। তারপর সামান্য একটু মধু মুখে দিলাম। মধুর স্বাদে কিছুক্ষণের জন্য যেন আমি অন্য এক ভূবনে চলে গেলাম। বাঘ, সাপ, রশি, ইঁদুর সব ভুলে গিয়েছিলাম।"
ইমাম গাজ্জালি (রাহিমাহুল্লাহ) এর ব্যাখ্যায় বললেন...
"বাঘটি হল মৃত্যু, যা তোমাকে সর্বদা তাড়া করে যাচ্ছে। কুয়াটি তোমার কবর। ভেতরে সাপটি কবরের আজাব। রশিটি তোমার জীবনের হায়াত। সাদা ইঁদুর দ্বারা সকাল এবং কালো ইঁদুর দ্বারা রাত বুঝানো হয়েছে যা প্রতিনিয়ত তোমার জীবনের হায়াত ধ্বংস করে ফেলছে। এবং মৌচাকের একফোটা মধু হচ্ছে দুনিয়া; যার স্বাদে সবাই সাময়িক সময়ের জন্য মৃত্যু, জীবনপথ, কবর, পরকাল সব ভুলে যায়।
আমরা যদি আজ মৃত্যু কে এভাবে চিন্তা করতাম, তাহলে হয়তো সচেতনতা এত বেশি হ্রাস পেত না এবং পৃথিবীর জন্য এত বেশি স্নেহ জন্মাতো না।যাই কিছু বলি আমরা মৃত্যুরপরে কবরে একাই থাকতে হবে। ওই জায়গাটায় আর কেহ থাকবেনা। আমরা অনেক সময় বলি তোমার জন্য আমার জীবন যাবে, তুমি ছাড়া আমার জীবন চলবে না
এগুলো আমার কাছে মনে হয় সম্পূর্ণ মিথ্যা,
মিথ্যা কথা। এই পৃথিবীর সমস্ত কিছুর আমার জীবনের ভালো-মন্দ আমার এই জবাব দিতে হবে, সেই কবর যেখানেই হোক। কবরের সাথে কেউ আপন কেউ আর সাথে যায় না। তাই দুনিয়ার লোভ আমি যাতে অন্তত কমাইতে পারি, তার জন্য আমি সকলের নিকট দোয়া চাই। আল্লাহ রাব্বুল আলামীন আমাদেরকে সবকিছু বুঝার তৌফিক দান করুক। আমিন।

Muslims diary

15/01/2025

১। তোমরা সত্যকে মিথ্যার সাথে মিশিয়ে দিও না। [সূরা বাকারা ২:৪২]
📗২। সৎকার্য নিজে সম্পাদন করার পর অন্যদের করতে বলো। [সূরা বাকারা ২:৪৪]
📗৩। পৃথিবীতে বিবাদ-বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করো না। [সূরা বাকারা ২:৬০]
📗৪। কারো মসজিদ যাওয়ার পথে বাধা সৃষ্টি করো না। [সূরা বাকারা ২:১১৪]
📗৫। কারো অন্ধানুসরণ করো না। [সূরা বাকারা ২:১৭০]
📗৬। প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করো না। [সূরা বাকারা ২:১৭৭]
📗৭। ঘুসে লিপ্ত হয়ো না। [সূরা বাকারা ২:১৮৮]
📗৮। যারা তোমাদের সঙ্গে লড়াই করবে, শুধু তাদের সঙ্গে তোমরা লড়াই করো। [সূরা বাকারা ২:১৯০]
📗৯। লড়াইয়ের বিধি মেনে চলো। [সূরা বাকারা ২:১৯১]
📗১০। অনাথদের রক্ষণাবেক্ষণ করো। [সূরা বাকারা ২:২২০]
📗১১। রজঃস্রাব কালে যৌনসঙ্গম করো না। [সূরা বাকারা ২:২২২]
📗১২। শিশুকে পূর্ণ দুই বছর দুগ্ধপান করাও। [সূরা বাকারা ২:২৩৩]
📗১৩। সৎগুণ দেখে শাসক নির্বাচন করো। [সূরা বাকারা ২:২৪৭]
📗১৪। দ্বিনের ব্যাপারে কোনো জবরদস্তি নেই। [সূরা বাকারা ২:২৫৬]
📗১৫। প্রতিদান কামনা করে দাতব্য বিনষ্ট করো না। [সূরা বাকারা ২:২৬৪]
📗১৬। প্রয়োজনে তাদের সহযোগিতা করো। [সূরা বাকারা ২:২৭৩]
📗১৭। সুদ ভক্ষণ করো না। [সূরা বাকারা ২:২৭৫]
📗১৮। যদি ঋণীঅভাবগ্রস্তহয়তবে তাকে সচ্ছলতা আসা পর্যন্ত সময় দাও। [সূরা বাকারা ২:২৮০]
📗১৯। ঋণের বিষয় লিখে রাখো। [সূরা বাকারা ২:২৮২]
📗২০। আমানত রক্ষা করো। [সূরা বাকারা ২:২৮৩]
📗২১। গোপন তত্ত্ব অনুসন্ধান করো না এবং পরনিন্দা করো না। [সূরা বাকারা ২:২৮৩]
📗২২। সমস্ত নবির প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করো। [সূরা বাকারা ২:২৮৫]
📗২৩। সাধ্যের বাইরে কারো উপর বোঝা চাপিয়ে দিও না। [সূরা বাকারা ২:২৮৬]
📗২৪। তোমরা পরস্পর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ো না। [সূরা আল-ইমরান ৩:১০৩]
📗২৫। ক্রোধ সংবরণ করো। [সূরা আল-ইমরান ৩:১৩৪]
📗২৬। রূঢ় ভাষা ব্যবহার করো না। [সূরা আল-ইমরান ৩:১৫৯]
📗২৭। এই বিশ্বের বিস্ময় ও সৃষ্টি নিয়ে গভীর চিন্তাভাবনা করো। [সূরা আল-ইমরান ৩:১৯১]
📗২৮। পুরুষ ও নারী উভয়ই তাদের কৃতকর্মের সমান প্রতিদান পাবে। [সূরা আল-ইমরান ৩:১৯৫]
📗২৯। মৃতের সম্পদ তার পরিবারের সদস্যসের মাঝে বন্টন করতে হবে। [সূরা নিসা ৪:৭]
📗৩০। উত্তরাধিকারের অধিকার নারীদেরও আছে। [সূরা নিসা ৪:৭]
📗৩১। অনাথদের সম্পদ আত্মসাৎ করো না। [সূরা নিসা ৪১০]
📗৩২। যাদের সাথে রক্তের সম্পর্ক তাদের বিবাহ করো না। [সূরা নিসা ৪:২৩]
📗৩৩। অন্যায়ভাবে কারো সম্পদ ভক্ষণ করো না। [সূরা নিসা ৪:২৯]
📗৩৪। পরিবারের উপর কর্তৃত্ব চালাবে পুরুষ। [সূরা নিসা ৪:৩৪]
📗৩৫। অন্যদের জন্য সদাচারী হও। [সূরা নিসা ৪:৩৬]
📗৩৬। কার্পণ্য করো না। [সূরা নিসা ৪:৩৭]
📗৩৭। বিদ্বেষী হয়ো না। [সূরা নিসা ৪:৫৪]
📗৩৮। মানুষের সাথে ন্যায়বিচার করো। [সূরা নিসা ৪:৫৮]
📗৩৯। একে অপরকে হত্যা করো না। [সূরা নিসা ৪:৯২]
📗৪০। বিশ্বাসঘাতকদের পক্ষ নিয়ে বিতর্ক করো না। [সূরা নিসা ৪:১০৫]
📗৪১। ন্যায়ের উপর প্রতিষ্ঠিত থেকো। [সূরা নিসা ৪:১৩৫]
📗৪২। সৎকার্যে পরস্পরকে সহযোগিতা করো। [সূরা মায়িদা ৫:২]
📗৪৩। সীমালঙ্ঘনের ব্যাপারে একে অন্যের সহায়তা করো না। [সূরা মায়িদা ৫:২]
📗৪৪। মৃত পশু, রক্ত ও শূয়োরের মাংসা নিষিদ্ধ। [সূরা মায়িদা ৫:৩]
📗৪৫। সৎপরায়ণ হও। [সূরা মায়িদা ৫:৮]
📗৪৬। অপরাধীকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাও। [সূরা মায়িদা ৫:৩৮]
📗৪৭। পাপ ও অবৈধ জিনিসের বিরুদ্ধে শ্রম ব্যয় করো। [সূরা মায়িদা ৫:৬৩]
📗৪৮। মাদক দ্রব্য ও আলকোহল বর্জন করো। [সূরা মায়িদা ৫:৯০]
📗৪৯। জুয়া খেলো না। [সূরা মায়িদা ৫:৯০]
📗৫০। ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের উপাস্যদের গালমন্দ করো না। [সূরা মায়িদা ৫:১০৮]
📗৫১। আধিক্য সত্যের মানদণ্ড নয়। [সূরা আন’আম ৬:১১৬]
📗৫২। মানুষকে প্রতারণা দেওয়ার জন্য ওজনে কম দিও না। [সূরা আন’আম ৬:১৫২]
📗৫৩। অহংকার করো না। [সূরা আ’রাফ ৭:১৩]
📗৫৪। পানাহার করো, কিন্তু অপচয় করো না। [সূরা আ’রাফ ৭:৩১]
📗৫৫। সালাতে উত্তম পোশাক পরিধান করো। [সূরা আ’রাফ ৭:৩১]
📗৫৬। অন্যদের ত্রুটিবিচ্যুতি ক্ষমা করো। [সূরা আ’রাফ ৭:১৯৯]
📗৫৭। যুদ্ধে পশ্চাদ্‌মুখী হয়ো না। [সূরা আনফাল ৮:১৫]
📗৫৮। যারা নিরাপত্তা কামনা করছে তাদের সহযোগিতা করো ও নিরাপত্তা দাও। [সূরা তওবা ৯:৬]
📗৫৯। পবিত্র থেকো। [সূরা তওবা ৯:১০৮]
📗৬০। আল্লাহ্‌ তাআলার অনুগ্রহ হতে নিরাশ হয়ো না। [সূরা ইউসুফ ১২:৮৭]
📗৬১। যারা অজ্ঞতাবশত ভুলত্রুটি করে আল্লাহ্‌ তাআলা তাদেরকে ক্ষমা করবেন। [সূরা নাহ্‌ল ১৬:১১৯]
📗৬২। প্রজ্ঞা ও উত্তম নির্দেশনা দ্বারা আল্লাহ্‌ তাআলার প্রতি আহ্বাব করা উচিত। [সূরা নাহ্‌ল ১৬:১১৯]
📗৬৩। কেউ কারো পাপের বোঝা বহন করবে না। [সূরা ইসরা ১৭:১৫]
📗৬৪। পিতামাতার সাথে সদ্ব্যবহার করো। [সূরা ইসরা ১৭:২৩]
📗৬৫। পিতামাতাকে অশ্রদ্ধা করে কোনো কথা বলো না। [সূরা ইসরা ১৭:২৩]
📗৬৬। অর্থ অপচয় করো না। [সূরা ইসরা ১৭:২৯]
📗৬৭। দারিদ্রের আশঙ্কায় সন্তানসন্ততিকে হত্যা করো না। [সূরা ইসরা ১৭:৩১]
📗৬৮। অবৈধ যৌনাচারে লিপ্ত হয়ো না। [সূরা ইসরা ১৭:৩২]
📗৬৯। যে বিষয়ে জ্ঞান নেই তার অনুবর্তী হয়ো না। [সূরা ইসরা ১৭:৩৬]
📗৭০। শান্তভাবে কথা বলো। [সূরা ত্বা-হা ২০:৪৪]
📗৭১। অনর্থ জিনিস থেকে দূরে থেকো। [সূরা মু’মিনুন ২৩:৩]
📗৭২। অনুমতি ছাড়া কারো গৃহে প্রবেশ করো না। [সূরা নূর ২৪:২৭]
📗৭৩। যারা শুধু আল্লাহ্‌ তাআলার প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করেন তিনি তাদেরকে নিরাপত্তা দেন। [সূরা নূর ২৪:৫৫]
📗৭৪। বিনা অনুমতিতে পিতামাতার ব্যক্তিগত ঘরে প্রবেশ করো না। [সূরা নূর ২৪:৫৮]
📗৭৫। বিনয় সহকারে ভূপৃষ্ঠে বিচরণ করো। [সূরা ফুরকান ২৫:৬৩]
📗৭৬। এই পৃথিবীতে তুমি তোমার অংশকে উপেক্ষা করো না। [সূরা কাসাস ২৮:৭৭]
📗৭৭। আল্লাহ্‌র সাথে অন্য কোনো বাতিল উপাস্যকে ডেকো না। [সূরা কাসাস ২৮:৮৮]
📗৭৮। সমকামিতায় লিপ্ত হয়ো না। [সূরা আন্‌কাবুত ২৯:২৯]
📗৭৯। সৎকার্যের আদেশ করো এবং অসৎকার্য হতে নিষেধ করো। [সূরা লোকমান ৩১:১৭]
📗৮০। দম্ভভরে ভুপৃষ্ঠে বিচরণ করো না। [সূরা লোকমান ৩১:১৮]
📗৮১। কণ্ঠস্বর অবনমিত রেখো। [সূরা লোকমান ৩১:১৯]
📘 মহান রব আমাদের উপরে বর্ণিত সকল বিষয় সম্পর্কে সচেতন করুন
এবং কুরআন ও সহীহ হাদীসের আলোকে আমল করার তৌফিক দান করুন আমীন

07/01/2025

‎حديث أَبِي هُرَيْرَةَ رضي الله عنه، قَالَ: قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: يَقُولُ اللهُ تَعَالَى: أَنَا عِنْدَ ظَنِّ عَبْدِي بِي وَأَنَا مَعَهُ إِذَا ذَكَرَنِي فَإِنْ ذَكَرَنِي فِي نَفْسِهِ، ذَكَرْتُهُ فِي نَفْسِي وَإِنْ ذَكَرَنِي فِي ملإٍ، ذَكَرْتُهُ فِي مَلإٍ خَيْرٍ مِنْهُمْ وَإِنْ تَقَرَّبَ إِلَيَّ بِشِبْرٍ، تَقَرَّبْتُ إِلَيْهِ ذِرَاعًا وَإِنْ تَقَرَّبَ إِلَيَّ ذِرَاعًا، تَقَرَّبْتُ إِلَيْهِ بَاعًا وَإِنْ أَتَانِي يَمْشِي، أَتَيْتُهُ هَرْوَلَةً

আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আল্লাহ্ তা‘আলা ঘোষণা করেন, আমি সেরূপই, যেরূপ বান্দা আমার প্রতি ধারণা রাখে। আমি তার সঙ্গে থাকি যখন সে আমাকে স্মরণ করে। যদি সে মনে মনে আমাকে স্মরণ করে; আমিও তাকে নিজে স্মরণ করি। আর যদি সে লোক-সমাবেশে আমাকে স্মরণ করে, তবে আমিও তাদের চেয়ে উত্তম সমাবেশে তাকে স্মরণ করি। যদি সে আমার দিকে এক বিঘত অগ্রসর হয়, তবে আমি তার দিকে এক হাত অগ্রসর হই, যদি সে আমার দিকে এক বাহু অগ্রসর হয়; আমি তার দিকে দু’ বাহু অগ্রসর হই। আর সে যদি আমার দিকে হেঁটে অগ্রসর হয়, আমি তার দিকে দৌড়ে অগ্রসর হই। (বুখারী পর্ব ৯৭ অধ্যায় ১৫ হাদীস নং ৭৪০৫; মুসলিম ৪৮ অধ্যায় ১, হাঃ ১৬৭৫)

আল লু'লু ওয়াল মারজান, হাদিস নং ১৭৪৬
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস
সোর্স: আল হাদিস অ্যাপ, irdfoundation․com

12/12/2024

নবীজির বিদায় হজ্জের ভাষন। নবীজি উনার ভাষনে বলে গিয়েছিলেন যাতে প্রত্যেকে এই মহান ভাষনটি সবার কাছে পৌছে দেয়। তাই আপনারাও প্লিজ শেয়ার করুন।

নিঃশ্চই পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ ভাষন >>

বিদায় হজের ভাষন, সম্পুর্ন বাংলায়। যত পড়ি তত পড়তে ইচ্ছা করে। হে আল্লাহ আমাদের কে ইসলাম বুঝে মুসলমান হওয়ার তৌফিক দিন! আমিন

শুক্রবার ৯ জিলহজ্ব ১০ হিজরি সনে হজ্জের সময় আরাফা ময়দানে দুপুরের পর হযরত মুহাম্মদ (স) লক্ষাধিক সাহাবীর সমাবেশে এ ঐতিহাসিক ভাষন দেন হামদ ও সানার পর তিনি বলেন:-

• হে মানুষ!
তোমরা আমার কথা শোনো.এর পর এই স্থানে তোমাদের সাথে আর একত্রিত হতে পারবো কিনা জানিনা!

••হে মানুষ
আল্লাহ বলেন.হে মানবজাতি তোমাদেরকে আমি এক পুরুষ ও এক নারী থেকে সৃষ্টি করেছি,এবং তোমাদেরকে সমাজ ও গোত্রে ভাগ করে দিয়েছি. যেন তোমরা পরস্পরের পরিচয় জানতে পার,অতএব শুনে রাখো মানুষে মানুষে কোন ভেদাভেদ নেই ।আরবের ওপর কোনো অনারবের_অনারবের উপর কোনো আরবের শ্রেষ্ঠত্ব নেই । তেমনি সাদার উপর কালোর বা কালোর উপর সাদার কোনো শ্রেষ্ঠত্ব নেই । তোমাদের মধ্যে সেই ব্যক্তিই আল্লাহর কাছে সবচেয়ে বেশী সম্মান ও মর্যাদার অধিকারী,যে আল্লাহকে ভালবাসে।

•••হে মানুষ !
শুনে রাখো অন্ধকার যুগের সকল বিষয় ও প্রথা আজ থেকে বিলুপ্ত হলো.জাহিলি যুগের রক্তের দাবিও রহিত করা হলো।

••••হে মানুষ !
শুনে রাখো,অপরাধের দায়িত্ব কেবল অপরাধীর ওপরই বর্তায় । পিতা তার পুত্রের জন্যে আর পুত্র তার পিতার অপরাধের জন্য দায়ী নয়।

•••••হে মানুষ!
তোমাদের রক্ত তোমাদের সম্মান,তোমাদের সম্পদ পরস্পরের জন্য চিরস্থায়ী ভাবে হারাম অর্থাৎ পবিত্র ও নিরাপদ করা হলো যেমন আজকের এই মাস এই শহর সকলের জন্য পবিত্র ও নিরাপদ।

••••••হে মানুষ!
তোমরা ঈর্ষা ও হিংসা-বিদ্বেষ থেকে দুরে থাকবে ঈর্ষা ও হিংসা মানুষের সকল সৎগুনকে ধ্বংস করে।

•••••••হে মানুষ!
নারীদের সম্পর্কে আমি তোমাদের সতর্ক করে দিচ্ছি,তাদের সাথে নিষ্ঠুর আচরণ করোনা, তাদের উপর যেমন তোমাদের অধিকার রয়েছে তেমনি তোমাদের উপর তাদেরও অধিকার রয়েছে সুতরাং তাদের কল্যাণের দিকে সবসময় খেয়াল রেখো।

••••••••হে মানুষ!
অধীনস্থদের সম্পর্কে সতর্ক হও.তোমরা নিজেরা যা খাবে তাদেরও তা খাওয়াবে.নিজেরা যা পরবে তাদেরও তা পরাবে,শ্রমিকের শরীরের ঘাম শুকানোর আগেই তার মজুরি পরিশোধ করবে ।

•••••••••হে মানুষ!
বিশ্বাসী সেই ব্যক্তি যার হাত ও মুখ থেকে অন্যের সম্মান,ধন ও প্রাণ নিরাপদ, সে নিজের জন্য যা পছন্দ করে অন্যের জন্যেও তাই পছন্দ করে ।

••••••••••হে মানুষ!
বিশ্বাসীরা পরস্পরের ভাই,সাবধান ! তোমরা একজন আরেকজনকে হত্যা করার মতো কুফরি কাজে লিপ্ত হয়ো না।

•••••••••••হে মানুষ!
শুনে রাখো আজ হতে বংশগত শ্রেষ্ঠত্ব বা কৌলিনপ্রথা বিলুপ্ত করা হলো কুলীন বা শ্রেষ্ঠ সেই যে বিশ্বাসী ও মানুষের উপকার করে।

••••••••••••হে মানুষ!
ঋণ অবশ্যই ফেরত দিতে হবে.বিশ্বস্ততার সাথে প্রত্যেকের আমানত রক্ষা করতে হবে,কারো সম্পত্তি সে যদি স্বেচ্ছায় না দেয়,তবে তা অপর কারো জন্য হালাল নয় । তোমরা কেউ দুর্বলের উপর অবিচার করো না।

•••••••••••••হে মানুষ!
জ্ঞানীর কলমের কালি শহীদের রক্তের চেয়েও মূল্যবান.জ্ঞান অর্জন প্রত্যেক নর-নারীর জন্য ফরয-কারন জ্ঞান মানুষকে সঠিক পথ দেখায় । জ্ঞান অর্জনের জন্য প্রয়োজনে তোমরা চীনে যাও।

••••••••••••••হে মানুষ!
তোমরা তোমাদের প্রভুর ইবাদত করবে,নামায কায়েম করবে.যাকাত আদায় করবে,রোজা রাখবে হজ্ব করবে আর সংঘবদ্ধ ভাবে নেতাকে অনুসরণ করবে তাহলে তোমরা জান্নাতে দাখিল হতে পারবে।

•••••••••••••••হে মানুষ!
শুনে রাখো একজন কুশ্রী-কদাকার ব্যক্তিও যদি তোমাদের নেতা মনোনীত হয়.যতদিন পর্যন্ত সে আল্লাহর কিতাব অনুসারে তোমাদের পরিচালিত করবে,ততদিন পর্যন্ত তার আনুগত্য করা তোমাদের অবশ্য কর্তব্য।

••••••••••••••••হে মানুষ !
শুনে রাখো আমার পর আর কোনো নবী নেই । হে মানুষ আমি তোমাদের কাছে দুটি আলোকবর্তিকা রেখে যাচ্ছি.যতদিন তোমরা এ দুটো অনুসরণ করবে ততদিন তোমরা সত্য পথে থাকবে এর একটি হলো-আল্লাহর কিতাব.দ্বিতীয়টি হলো-আমার জীবন-দৃষ্টান্ত।

•••••••••••••••••হে মানুষ!
তোমরা কখনোই ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি করো না- কারন অতীতে বহু জাতি ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ির কারনে ধ্বংস হয়ে গেছে।

••••••••••••••••••হে মানুষ!
প্রত্যেককেই শেষ বিচারের দিনে সকল কাজের হিসেব দিতে হবে । অতএব, সাবধান হও।

•••••••••••••••••••হে মানুষ!
তোমরা যারা এখানে হাজির আছো,আমার এই বাণীকে সবার কাছে পৌঁছে দিও

{এরপর তিনি জনতার উদ্দেশ্যে জিজ্ঞেস করলেন,হে মানুষ আমি কি তোমাদের কাছে আল্লাহর বাণী পৌঁছে দিয়েছি,সকলে সমস্বরে জবাব দিলো : হ্যাঁ এরপর নবীজী (স:) বললেন হে আল্লাহ তুমি সাক্ষী থাকো! আমি আমার সকল দায়িত্ব পালন করেছি }

আমিন...

‎কল্যাণকর কাজ ও আচরণ।আবূ যার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃরাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, ✅ তোমার হাস্যোজ্জ্বল মুখ নিয়ে তোমার ভাইয়ের সামন...
19/11/2024

‎কল্যাণকর কাজ ও আচরণ।

আবূ যার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন,
✅ তোমার হাস্যোজ্জ্বল মুখ নিয়ে তোমার ভাইয়ের সামনে উপস্থিত হওয়া তোমার জন্য সাদকাস্বরূপ।
✅ তোমার সৎকাজের আদেশ এবং তোমার অসৎকাজ হতে বিরত থাকার নির্দেশ তোমার জন্য সাদকাস্বরূপ।
✅ পথহারা লোককে পথের সন্ধান দেয়া তোমার জন্য সাদকাস্বরূপ, স্বল্প দৃষ্টি সম্পন্ন লোককে সঠিক দৃষ্টি দেয়া তোমার জন্য সাদকাস্বরূপ।
✅ পথ হতে পাথর, কাঁটা ও হাড় সরানো তোমার জন্য সাদকাস্বরূপ।
✅ তোমার বালতি দিয়ে পানি তুলে তোমার ভাইয়ের বালতিতে ঢেলে দেয়া তোমার জন্য সাদকাস্বরূপ।

সহীহ, সহীহাহ (৫৭২)।

জামে' আত-তিরমিজি, হাদিস নং ১৯৫৬

কবরের আজাব বিশন ভয়ংকর। মাওলানা আনিসুর রহমান আশরাফীর ওয়াজ।
05/10/2024

কবরের আজাব বিশন ভয়ংকর। মাওলানা আনিসুর রহমান আশরাফীর ওয়াজ।

Address

Dhaka

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when MD Fazla Alahi posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Videos

Share