Himel Tv

Himel Tv This is the Himel Tv official page

২০০৭ সালের ১১ই জানুয়ারি: পর্দার আড়ালে কী ঘটেছিল?২০০৭ সালের ১১ই জানুয়ারি সারাদিনই ছিল নানা জল্পনা-কল্পনা।তৎকালীন সেনাপ...
22/09/2024

২০০৭ সালের ১১ই জানুয়ারি: পর্দার আড়ালে কী ঘটেছিল?

২০০৭ সালের ১১ই জানুয়ারি সারাদিনই ছিল নানা জল্পনা-কল্পনা।

তৎকালীন সেনাপ্রধান জেনারেল মঈন ইউ আহমেদ এবং নবম পদাতিক ডিভিশনের জিওসি জেনারেল মাসুদ উদ্দিন চৌধুরীসহ একদল সেনা কর্মকর্তা দুপুরের দিকে বঙ্গভবনে গিয়েছিলেন।

সে সময়ের ঘটনা প্রবাহ নিয়ে জেনারেল মঈন ইউ আহমেদ একটি বই লিখেছেন।

'শান্তির স্বপ্নে: সময়ের স্মৃতিচারণ' নামে সে বইতে বর্ণনা করেছেন তৎকালীন রাষ্ট্রপতি ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান ইয়াজউদ্দিন আহমেদের সাথে বৈঠকে কিভাবে জরুরী অবস্থা জারীর বিষয়টি উঠে এসেছিল।

সে বইতে মঈন ইউ আহমেদ বর্ণনা করেন, " আমি প্রেসিডেন্টকে দেশের সর্বশেষ পরিস্থিতি, নির্বাচন, বিরোধী রাজনৈতিক দলের আল্টিমেটাম এবং বিদেশী রাষ্ট্র সমূহের অবস্থান, বিশেষ করে নির্বাচনের ব্যাপারে জাতিসংঘের দৃঢ় অবস্থানের কথা জানালাম। জাতিসংঘ মিশন থেকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে প্রত্যাহার করা হলে যে বিপর্যয় ঘটতে পারে তা সবিস্তারে বর্ণনা করলাম। নৌ ও বিমান বাহিনীর প্রধান নিজ নিজ অবস্থান থেকে প্রেসিডেন্টকে পরিস্থিতির গুরুত্ব বোঝাতে সচেষ্ট হলো।"

সে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল বারী।

২০০৭ সালের ২২শে জানুয়ারি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে দেশে যে ধরনের সহিংস পরিস্থিতির তৈরি হতে পারে সে বিষয়টি গোয়েন্দা দৃষ্টিকোণ থেকে রাষ্ট্রপতি ইয়াজউদ্দিন আহমেদকে বুঝিয়েছেন।

সার্বিক বিবেচনায় সামরিক কর্মকর্তারা জরুরী অবস্থান জারীর পক্ষে যুক্তি তুলে ধরলেন।

দেশে জরুরী অবস্থা জারী করা হতে পারে - এমন ধারণা পেলেও বিষয়টি নিয়ে ১১ই জানুয়ারি সারাদিনই নিশ্চিত হতে পারছিল না আওয়ামীলীগ ও বিএনপি'র নেতারা।

সেদিন দুপুরে প্রভাবশালী কয়েকটি দেশের রাষ্ট্রদূতদের সাথে বৈঠক হয়েছিল আওয়ামীলীগ নেতাদের।

সে বৈঠকটি হয়েছিল ঢাকাস্থ কানাডীয় হাই কমিশনারের বাসায়।

সেখানে ইউরোপের বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতদের পাশাপাশি আমেরিকার রাষ্ট্রদূত এবং ভারতের হাই কমিশনার উপস্থিত ছিলেন।

সে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামীলীগের সিনিয়র নেতা শেখ ফজলুল করিম সেলিম।

সে বৈঠকের বর্ণনা দিতে গিয়ে মি: সেলিম বিবিসি বাংলাকে বলছিলেন, " বিভিন্ন কথার এক পর্যায়ে তারা বললো এভাবে হলে তো দেশ চলতে পারে না। এভাবে হলে তো বিশৃঙ্খলা-অরাজকতা বাড়বে। আপনার দুই দল যদি সমঝোতায় না আসেন তাহলে অন্যরকম ঘটনা ঘটতে পারে। ওনাদের কথায় মনে হলো কী যেন একটা হচ্ছে। কারণ ওনারা পজিটিভ কিছু বললেন না।"

একদিকে রাস্তায় আওয়ামীলীগের আন্দোলন এবং অন্যদিকে বঙ্গভবনে সেনা কর্মকর্তাদের তৎপরতা চলছে।

একই সাথে সক্রিয় হয়ে উঠেছিলেন ঢাকাস্থ বিদেশী কূটনীতিকরা।

পর্দার অন্তরালে কী ঘটতে যাচ্ছে, সে বিষয়ে অনেকটা অন্ধকারে ছিল সদ্য ক্ষমতা থেকে বিদায় নেয়া দল বিএনপি। দলটি তখন ২২শে জানুয়ারির নির্বাচনী প্রচারণায় ব্যস্ত।

বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া ১০ই জানুয়ারি গভীর রাত পর্যন্ত কুমিল্লায় নির্বাচনী প্রচারণায় ব্যস্ত ছিলেন।

তখন খালেদা জিয়ার সাথে ছিলেন বিএনপির সিনিয়র নেতা খন্দকার মোশারফ হোসেন।

মি: হোসেন বলছিলেন, "কুমিল্লার পদুয়ার বাজারে রাত নয় থেকে ১১টা পর্যন্ত জনসভা করেছেন। আমরা রাত একটার সময় ঢাকায় ফিরে আসি। ১১ তারিখ বিকেলের দিকে জানতে পারলাম যে সেনাবাহিনী থেকে প্রেসিডেন্ট ভবনে গিয়েছেন এবং সেখানে কিছু একটা হচ্ছে। জাতিসংঘের কিছু একটা চিঠি নিয়ে সেনাপ্রধান এবং নবম পদাতিক ডিভিশনের জিওসি বঙ্গভবনে গিয়ে প্রেসিডেন্টকে দিয়ে জরুরী আইন ঘোষণা করাচ্ছেন।"

সাধারণ নির্বাচন পরিচালনার জন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান কে হবেন সেটি নিয়ে দুই প্রধান রাজনৈতিক দলের মধ্যে তীব্র বিরোধের কারণে সহিংস পরিবেশ ছিল অনেকটা সময় ধরে।

বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোট সরকারের মেয়াদ শেষ হবার অনেক আগে থেকেই সে সময় আওয়ামীলীগের নেতৃত্বাধীন বিরোধী জোট রাস্তায় আন্দোলন করছিল।

একপর্যায়ে রাষ্ট্রপতি ইয়াজউদ্দিন আহমেদ নিজেই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন।

জেনারেল মইন ইউ আহমেদ তার লেখা বইতে জরুরী অবস্থা জারীর পেছনে রাজনৈতিক পরিস্থিতির পাশাপাশি আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপটও তুলে ধরেছেন।

সে বইতে মি: আহমেদের বর্ণনা ছিল এ রকম, " একসময় ক্ষমতাধর কয়েকটি দেশের প্রতিনিধি আমার সাথে দেখা করে জানাল, সব দলের অংশগ্রহণ ব্যতিরেকে নির্বাচনে সেনাবাহিনী সহায়তা করলে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশন থেকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে প্রত্যাহারের জন্য তারা জাতিসংঘকে অনুরোধ করবে। প্রচ্ছন্ন এ হুমকির পরিণতি অনুধাবন করতে আমার অসুবিধা হলো না। জাতিসংঘের কর্মকাণ্ডের নিয়ন্ত্রক এসব দেশের অনুরোধ ও মতামত যে জাতিসংঘ অগ্রাহ্য করতে পারবে না তা বলাই বাহুল্য। আমি এর পরিণাম চিন্তা করে শিউরে উঠলাম। তারপরেও আমার একমাত্র চিন্তা ছিল কিভাবে সেনাবাহিনীকে রাষ্ট্র যন্ত্রের কর্মকাণ্ড থেকে দূরে রাখা যায়।"

সে সময় ইয়াজউদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বাধীন সরকারের অন্যতম উপদেষ্টা ছিলেন ড: সোয়েব আহমেদ।

২রা জানুয়ারির নির্বাচনে যখন সব দলের অংশগ্রহণে নির্বাচন অনিশ্চিত হয়ে পড়ে তখন 'ভিন্ন কিছু' আঁচ করছিলেন মি: আহমেদ।

সেদিন সব উপদেষ্টাদের বঙ্গভবনে যাবার জন্য অনুরোধ পাঠিয়েছিলেন রাষ্ট্রপতি ইয়াজউদ্দিন আহমেদ।

ড: সোয়েব আহমেদ বঙ্গভবনে গিয়ে জানতে পারেন যে তিন বাহিনীর প্রধান রাস্ট্রপতির সাথে বৈঠক করছেন।

তখন উপদেষ্টা পরিষদের সবাই জানতে পারলেন যে রাষ্ট্রপতি জরুরী অবস্থা ঘোষণা করবেন। কিন্তু বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে তখনো তাদের জানানো হয়নি।

মি: আহমেদ বলেন, "এক পর্যায়ে রাষ্ট্রপতি আমাদের সাথে চা চক্রে মিলিত হলেন। সেখানে তিনি জানালেন যে পরিস্থিতির জটিলতার কারণেই তত্বাবধায়ক সরকার ভেঙ্গে দিতে হচ্ছে। আমরা সবাই রেজিগনেশন দিয়ে চলে গিয়েছি।"

সে রাতেই শুরু হয়েছিল আরেকটি সরকার গঠনের প্রক্রিয়া।

প্রথমে নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক ইউনুসকে সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রস্তাব দেয়া হলে তিনি তাতে রাজী হননি।

তখন ড: ফখরুদ্দিন আহমদ প্রস্তাব পেয়ে এগিয়ে আসেন।

সেনাপ্রধান জেনারেল মঈন ইউ আহমেদসহ বেশ কয়েকজন সেনা কর্মকর্তা সে প্রক্রিয়া চালিয়েছিলেন।

ড: ফখরুদ্দিন আহমদের নেতৃত্বাধীন সে সরকারে অন্যতম উপদেষ্টা হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন।

নতুন তত্বাবধায়ক সরকারে যোগ দেয়া প্রসঙ্গে মি: হোসেন বিবিসি বাংলাকে বলছিলেন, " আমার কাছে লোক পাঠানো হয়েছিল এবং বলা হয়েছিল যে আপনি আসেন। বলা হয়েছিল যে এটা কেউ জানবে না। সে হিসেবে আমি প্রাইম মিনিস্টারের অফিসের ওখানে আসলাম। সেখানে দেখলাম সামরিক বাহিনীর বড় বড় কর্মকর্তারা। ১৫-২০জনের মতো উপস্থিত ছিলেন।"

মি: হোসেন ধারণা করেছিলেন যে হয়তো সামরিক শাসন জারী হতে যাচ্ছে।

তখন জেনারেল মইন ইউ আহমেদ সবার সামনে দেশের পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করলেন এবং মি: হোসেনকে নতুন একটি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের যোগ দেবার জন্য অনুরোধ করলেন।

কিন্তু ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন বললেন, সরাসরি সরকারে যোগ না দিয়ে তিনি নতুন সরকারের পেছনে থেকে সহায়তা করবেন।

যুক্তি হিসেবে মি: হোসেন সরকার পরিচালনায় তার অনভিজ্ঞতার বিষয়টি তুলে ধরেন।

তখন সেনাবাহিনীর কর্মকর্তারা বিষয়টি ভেবে দেখার জন্য মি: হোসেনকে ৪৮ ঘণ্টা সময় দিয়েছিলেন।

" আমাকে ৪৮ ঘণ্টা পরে ফোন করা হলো। এর মধ্যে আমি জানলাম যে ফখরুদ্দিন সাহেবকে প্রধান উপদেষ্টা করা হবে। তখন আমি ভাবলাম যে ফখরুদ্দিন সাহেব যদি থাকে তাহলে ঠিক আছে। যাওয়া যেতে পারে। আমি ফখরুদ্দিন সাহেবের সাথে কথাও বললাম। উনি বললেন যে তুমি যদি আসো তো ভালোই হবে। এভাবেই আমি রাজী হয়েছি," বলছিলেন মইনুল হোসেন।

ড: ফখরুদ্দিন আহমেদের শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামীলীগ নেত্রী শেখ হাসিনা এবং এইচএম এরশাদসহ মহাজোটের নেতারা।

সে সরকার আওয়ামীলীগের আন্দোলনের ফসল বলে উল্লেখ করেছিলেন শেখ হাসিনা।

কিন্তু সে সরকার এক পর্যায়ে বিএনপির পাশাপাশি শেখ হাসিনাসহ আওয়ামীলীগের অনেক নেতাকে গ্রেফতার করেছিল।

আওয়ামীলীগ নেতা শেখ ফজলুল করিম সেলিম বলেন, শুরুতে ভালো কথা বলা হলেও পরে সে সরকারের উদ্দেশ্য পাল্টে গিয়েছিল।

এক পর্যায়ে শেখ হাসিনা এবং খালেদা জিয়াকে রাজনীতি থেকে বাদ দেবার জন্য তখনকার সরকার নানা পদক্ষেপ নিয়েছিল বলে অভিযোগ উঠে।

রাজনীতিবিদদের পাশাপাশি শীর্ষস্থানীয় অনেক ব্যবসায়ীকেও আটক করা হয়েছিল। সংবাদমাধ্যমের উপর ছিল কড়া নজরদারী।

একটি সাধারণ নির্বাচনের বিষয়ে সেনা সমর্থিত সরকারের উপর চাপও বাড়ছিল।

অবশেষে ২০০৮ সালের ২৯শে ডিসেম্বর সকল দলের অংশগ্রহণে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।

যার মাধ্যমে দুই বছর পর দেশে ফিরে আসে গণতান্ত্রিক পরিবেশ।

05/08/2024

নরসিংদী জেলা আওয়ামীলীগ কার্যালয়ে ভাঙ্গচুর ও অগ্নিসংযোগ করে বিক্ষুব্ধ জনতা।

এবার কোয়ার্টার ফাইনালেও ৭ এর চক্করে ব্রাজিল! ব্রাজিলের পিছু ছাড়ছেনা ভয়ঙ্কর সেভেন...
05/07/2024

এবার কোয়ার্টার ফাইনালেও ৭ এর চক্করে ব্রাজিল! ব্রাজিলের পিছু ছাড়ছেনা ভয়ঙ্কর সেভেন...

29/05/2024

গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী বৈশাখী মেলা।

12/05/2024

গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের লিফটে আটকা পড়ে মমতাজ বেগম (৫৩) নামে এক রোগীর মর্মান্তিক মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে অবহিত মহাপরিচালক বরাবর পাঠানো এক চিঠি পাঠিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এতে দাবি করা হয়েছে, মৃত মমতাজ বেগম লিফট-এ ৪৫ মিনিট আটকে ছিলেন না, ১০ থেকে ১৫ মিনিট আটকে ছিলেন। লিফটটি আগে থেকে ত্রুটিপূর্ণ ছিল না। রোগী ও স্বজনদের ধাক্কাধাক্কিতে সেটিতে ত্রুটি দেখা দেয়।রোববার (১২ মে) হাসপাতালের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) ডা. মো. জাহাঙ্গীর আলম ও গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আব্দুল হালিমের পাঠানো চিঠিতে এমন ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রোববার রওশন এলিভেটর্সের মোভি ব্র্যান্ডের একটি লিফট আনুমানিক বেলা ১১টা ১৫ মিনিটে ৯ম ও ১০ তলার মাঝামাঝি জায়গায় রোগী ও তার কয়েকজন স্বজনসহ হঠাৎ আটকে যায়। প্রাথমিকভাবে লিফটটি বিদ্যুৎ বিভ্রাটের জন্য আটকে যায়। তবে, সেখানে আটকে পড়া রোগীর লোকজন লিফট-এর দরজা ধাক্কাধাক্কি করায় ‘ডোর সেফটি’ কাজ করেনি। সাধারণত লিফটটির স্বয়ংক্রিয় রেসকিউ ডিভাইস (এআরডি) কাজ করার জন্য এক মিনিট সময়ের প্রয়োজন হয়। কিন্তু অতিরিক্ত ধাক্কাধাক্কির কারণে লিফটটি সেই সময়ে আর কাজ করেনি। এরপর লিফট অপারেটর মেশিন রুমে হাত দিয়ে ম্যানুয়ালি লিফটটি একটি ফ্লোরে আনার আগে রোগীসহ লোকজন দরজা খুলে বের হয়ে আসেন। এর মধ্যেই ১০-১৫ মিনিট সময় অতিবাহিত হয়।

এতে আরও বলা হয়, যে নারীর মৃত্যু হয়েছে, তিনি হার্টের রোগী ছিলেন। তাৎক্ষণিকভাবে তাকে জরুরি বিভাগে নিয়ে যাওয়া হয় এবং কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তবে, পত্রিকাসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রচারিত হচ্ছে ‘রোগীটি ৪৫ মিনিট লিফটে আটকে ছিলেন’, এ তথ্যটি সঠিক নয়।
শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল জানায়, লিফটটি নিয়মিত সার্ভিস ও মেইনটেনেন্স করা হয় এবং বর্তমানে লিফটটি চালু আছে। আটকে পড়া রোগীসহ অন্য লোকজন দরজা ধাক্কাধাক্কি করায় লিফটটির সমস্যা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। ঘটনাটির সঠিক কারণ অনুসন্ধানে ইতোমধ্যে পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, রোববার (১২ মে) মমতাজ বেগমকে বুকে ব্যথা অবস্থায় শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনা হয়। পরে মেডিসিন বিভাগ থেকে ৪ তলায় নেওয়ার জন্য ৩ নম্বর লিফটে তোলা হয়। এ সময় লিফটে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেয়। এতে দীর্ঘ সময় লিফট আটকে থাকেন। পরে লিফটম্যান ও ফায়ার সার্ভিসের লোক এসে উদ্ধার করেন। লিফটে আটকা সবাই সুস্থ ছিলেন, কিন্তু মমতাজ বেগম মারা যান। তিনি গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার রাণীগঞ্জ ইউনিয়নের বাড়িগাঁও গ্রামের শারফুদ্দিনের স্ত্রী।

অভিনন্দন কাপাসিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিপুল ভোটে নির্বাচিত মৃতুঞ্জয়ী জননেতা আলহাজ্ব এ্যডভোকেট আমানত হোসেন খান ভাই ও হ...
09/05/2024

অভিনন্দন
কাপাসিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিপুল ভোটে নির্বাচিত
মৃতুঞ্জয়ী জননেতা আলহাজ্ব এ্যডভোকেট আমানত হোসেন খান ভাই ও হাফিজুল হক চৌধুরী আইয়ুব
ভাইকে।দুইজনই বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক,আমার অত্যন্ত প্রিয় মানুষ।যাঁরা অক্লান্ত পরিশ্রম করে বিজয় নিশ্চিত করেছেন সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। সাবাইকে নিয়ে একটা সুন্দর কাপাসিয়া গড়ে উঠবে এ প্রত্যাশা রইলো।জয় বাংলা,জয় বঙ্গবন্ধু।

05/04/2024

কাপাসিয়া উপজেলার সিংহশ্রী ইউনিয়নের শাহনাজ আক্তার শিমু হত্যার রহস্য উদঘাটন।

সূত্রঃ-কাপসিয়া থানার মামলা নং-০৪, তারিখ-০২/০৪/২০২৪ খ্রিঃ ধারা-৩০২/৩৪ পেনাল কোড।

ভাই কর্তৃক বোনকে হত্যার মূল রহস্য উদ্ঘাটন

ঘটনার সংক্ষিপ্ত বিবরণ ঃ
বাদী মোঃ সিরাজ উদ্দিন বেপারী (৭৩) কাপাসিয়া থানায় হাজির হয়ে অভিযোগ দায়ের করেন যে, তার মেয়ে শাহনাজ বেগম শিমু (৩৯)কে বিগত ১৬ বৎসর পূর্বে মোঃ মোশারফ হোসেন (৪৫)এর সাথে ইসলামী শরীয়ত মোতাবেক বিবাহ দেন। বাদীর মেয়ের জামাতা দক্ষিণ কোরিয়াতে বসবাস করে। ভিকটিম শাহনাজ বেগম শিমু তার স্বামীর বাড়ীতে ১তলা বিল্ডিংয়ের উত্তর পশ্চিম শয়ন কক্ষে একাই ঘুমাত। রান্না ঘরের সাথে বিল্ডিয়ের দরজা সংযুক্ত আছে। প্রতিবেশী তাইজ উদ্দিন (৫০) মাঝে মধ্যে বাদীর মেয়ের বাজার করে দিত। ইং ০২/০৪/২০২৪খ্রিঃ তারিখ সকাল অনুমান ০৮.৩০ ঘটিকার সময় উক্ত তাইজ উদ্দিন বাদীর মেয়ের গেইটের সামনে গিয়ে ডাকাডাকি করে কোন সাড়া শব্দ না পেয়ে বাড়ীর উত্তর পাশের জানালা দিয়ে দেখতে পায় যে, বাদীর মেয়ের হাত,পা বাধাঁ অবস্থায় খাটের উপর পড়ে আছে। তখন তাইজ উদ্দিন বাদীর মেয়ের জ্যাঁ শাহনাজ পারভীনকে ডাক দিলে তারা দুইজনে বাড়ীর দক্ষিণ পাশে^র খোলা দরজা দিয়ে ঘরের ভিতরে প্রবেশ করে বাদীর মেয়ের হাত, পা, রশি ও ওড়না এবং গামছা দিয়ে বাধা অবস্থায় খাটের উপর মৃত দেহ পড়ে থাকতে দেখে বাদী ও তার স্ত্রীকে জানায়। সংবাদ পেয়ে থানা হতে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে বাদীর মেয়ের সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুত করে মৃত দেহ ময়না তদন্ত করার জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে। অজ্ঞাতনামা দুস্কৃতিকারী বা দুস্কৃতিকারীরা গত ০১/০৪/২০২৪ খ্রিঃ তারিখ রাত অনুমান ২১.০০ ঘটিকা হতে ০২/০৪/২০২৪খ্রিঃ তারিখ সকাল অনুমান ০৮.৩০ ঘটিকার মধ্যে যে কোন সময় বাদীর মেয়ের বসত ঘরের রান্না ঘরের চালের টিন খুলে ভিতরে প্রবেশ করে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে পরস্পর যোগ সাজসে হাত,পা, মুখ রশি ও গামছা দিয়ে বেধেঁ শাস রোধ করে হত্যা করে।

গ্রেফতারকৃত আসামীদের বর্ণনাঃ কাপাসিয়া থানা পুলিশ কর্তৃক তদন্তকালীন সময় থানা পলিশের পাশাপাশি পিবিআই গাজীপুর মামলাটির রহস্য উদ্ঘাটনে ছায়া তদন্তে নামে। পিবিআই গাজীপুর জেলা পুলিশ সুপার জনাব মোহাম্মদ মাকছুদের রহমান. বিপিএম মহোদয়ের প্রত্যক্ষ তত্বাবধানে ও নির্দেশনায় গোয়েন্দা তথ্য ও আধুনিক তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার করে হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত মূল আসামী ১। মোঃ কামরুজ্জামান রুবেলকে পিবিআই গাজীপুর এর পুলিশ সদস্যরা জিএমপি গাছা থানা এলাকা হইতে গত ০৪/০৪/০২০২৪ খ্রিঃ বিকাল ১৫.২০ ঘটিকার সময় গ্রেফতার করে। আসামী রুবেল মিয়ার স্বীকারোক্তি মতে সহযোগী অপর আসামী ২। মোঃ মিনাল ওরফে মিষ্টার (২১), পিতা- আস্কর আলী,মাতা- মিনা বেগম, সাং- মামদা বাড়ী,থানা- শ্রীবরদী, জেলা- শেরপুর, বর্তমানে- উত্তরা হেলাল মার্কেট কামালের বাড়ীর ভাড়াটে, থানা- উত্তরা, ঢাকাকে উত্তরা পশ্চিম থানা এলাকা হইতে গ্রেফতার করে । মামলাটি পিবিআই এর সিডিউলভুক্ত হওয়ায় পিবিআই গাজীপুর জেলা মামলাটি অধিগ্রহন করেন।

আসামীদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়ঃ
আসামী মোঃ কামরুজ্জামান রুবেল (৩৬) পিতা- মোঃ সিরাজ উদ্দিন বেপারী, মাতা- মৃত কোহিনুর বেগম, সাং- কুলগঙ্গা, থানা- কাপাসিয়া, জেলা- গাজীপুর একটি আবাসিক হোটেলে চাকুরী করত। ঘটনার পাঁচ মাস পূর্বে আসামী রুবেল হোটেলের চাকুরী ছেড়ে দেওয়ার কারনে সে অর্থনৈতিক সংকটে পরে। আসামী মোঃ কামরুজ্জামান রুবেল বিভিন্ন লোকজনের কাছ থেকে অনেক টাকা ঋন করে। আসামী রুবেল ঋনের টাকা কোন ভাবেই পরিশোধ করতে না পারায় তার বোন শাহনাজ আক্তার সিমুর বাসা হতে স্বর্ণালংকার ও টাকা পয়সা চুরি করার চিন্তা করে। ঘটনার দুই দিন আগে আসামী রুবেল তার পূর্বে আসামী মোঃ মিনাল ওরফে মিষ্টারের সাথে যোগাযোগ করে তার বোনের বাসায় চুরির পরিকল্পনা করে। ঘটনার দিন বিকাল বেলা মোঃ মিনাল ওরফে মিষ্টার জয়দেবপুর রেলস্টেশনে আসলে আসামী রুবেল ও মোঃ মিনাল ওরফে মিষ্টার একটি ব্যাগের মধ্যে একটি সুইজ গিয়ার চাকু, প্লাস, গামছা, কেচি নিয়ে ট্রেনে করে শ্রীপুর যায়। তারা শ্রীপুর বাস ষ্ট্যান্ড হতে অটোরিক্সা ভাড়া করে বরমী পুরাতন বাসষ্ট্যান্ডে গিয়ে চা সিগারেট খায়। কিছুক্ষণ পরে তারা সেখান থেকে অটোরিক্সা যোগে রাত অনুমান ০৮.০০ ঘটিকার সময় সিংহশ্রী ব্রীজে পৌঁছায়। সিংহশ্রী ব্রীজ হতে তারা পায়ে হেটে আসামী রুবেল এর বোন ভিকটিম শাহনাজ আক্তার সিমুর বাড়ীর সামনে গেন্ডারী ক্ষেতে লুকিয়ে থাকে। রাত অনুমান ১২.০০ ঘটিকার পর আসামীরা ভিকটিম শাহানাজ আক্তার সিমুর পাশের বাড়ীর সীমানা প্রাচীরের উপর দিয়ে বাসার ছাদে উঠে পিছনের রান্না ঘরের সিমেন্টের টিন খুলে রান্না ঘরে প্রবেশ করার চেষ্টা করে এবং রান্না ঘর হতে দরজা খুলে বাহিরে এসে বাড়ীর পেছনের খোলা জানালায় বাঁশের লাঠি দিয়ে ভিতরের সিটকারী খুলে ঘরের ভিতরে প্রবেশ করে। শিমুল আসামীদের সারা শব্দ পেয়ে চিৎকার শুরু করলে প্রথমে আসামী মিষ্টার সুইচ গিয়ার দেখিয়ে ভয় দেখায় বলে আমরা তোমার কোন ক্ষতি করবা চিৎকার বন্ধ কর। এর পরও শিমুল চিৎকার বন্ধ না করলে গামছা দিয়ে মিশুলের মুখ চেপে ধরে। আসামী রুবেল ও মিষ্টার এক সাথে ঘরের ভিতরে ভিকটিমের রুমে যায়। ভিকটিম শাহানাজ আক্তার সিমু আসামীদের দেখে চিৎকার দিলে আসামী মিষ্টার গামছা দিয়ে ভিকটিমের মুখ চেপে ধরে। আসামী রুবেল ভিকটিম শাহানাজ আক্তার সিমুর হাত দড়ি দিয়ে বেঁধে ফেলে। হাত বাধার সময় ভিকটিম শাহানাজ আক্তার সিমুর নখের আচড় লেগে আসামী রুবেল এর বাম ও ডান হাতে জখম হয়। ভিকটিম শাহানাজ আক্তার সিমু যাতে আসামী রুবেলকে চিনতে না পারে সেজন্য ভিকটিম শাহানাজ আক্তার সিমুর চোখ ও মুখ গামছা দিয়ে বেঁধে ফেলে। আসামী রুবেল ভিকটিম শাহানাজ আক্তার সিমুর আলমারি খোলার জন্য চাবি খুঁজতে থাকে। আসামী মিষ্টারের সাথে ভিকটিম শাহানাজ আক্তার সিমুর ধস্তাধস্তি শুরু করলে আসামী মিষ্টার ভিকটিম শাহানাজ আক্তার সিমুর মুখে আঘাত করে এবং ভিকটিম শাহানাজ আক্তার সিমুর বুকের উপর বসে গলায় চেপে ধরে। আসামী রুবেল টেবিলের ড্রয়ার থেকে চাবি নিয়ে আলমারি খুলে একটি স্বর্ণের চেইন, কানের দুল, কানের ফুল ও নগদ ৩,০০০/-টাকা এবং ভিকটিম শাহানাজ আক্তার সিমুর ব্যবহৃত মোবাইল সেট নিয়ে নেয়। আসামী রুবেল ও মিষ্টার ভিকটিম শাহানাজ আক্তার সিমুর হাত ও পা পেছন দিয়ে বেধে বাড়ীর পকেট গেইট দিয়ে বের হয়ে চলে যায়। পরের দিন সকালে আসামী রুবেল সুইজ গিয়ার চাকু, প্লাস, মোবাইল সেট ভেঙ্গে ঝাজর ব্রীজের নীচে খালের পানিতে ফেলে দেয় এবং লুন্ঠিত স্বর্ন ১,৫০,০০০/-টাকা বিক্রি করে। পিবিআই গাজীপুর জেলা পুলিশ আসামী রুবেলকে গ্রেফতার করে তার হেফাজত হতে লুণ্ঠিত স্বর্ণ বিক্রির নগদ ৫৭,০০০/-টাকা উদ্ধার করে এবং তার স্বীকারোক্তি মতে হত্যা কান্ডে ব্যবহৃত একটি প্লাস, সুইজ গিয়ার চাকু ও চোরাইকৃত মোবাইল সেটের খন্ডিত অংশ জাজর কবরস্থান ব্রীজের নীচে খাল হতে উদ্ধারসহ তার সহযোগী আসামী মিষ্টারকে উত্তরা পশ্চিম থানা এলাকা হতে গ্রেফতার করে। স্বর্ন বিক্রির অবশিষ্ট টাকা ও স্বর্ন উদ্ধারের অভিযান অব্যাহত আছে। অদ্য ০৫/০৪/২০২৪ খ্রিঃ তারিখে আসামীদ্বয় স্বেচ্ছায় বিজ্ঞ আদালতে ফৌঃ কাঃ ১৬৪ ধারা মোতাবেক জবানবন্দি প্রদান করেছেন।

 তদন্তকারী কর্মকর্তা ঃ উপ-পুলিশ পরিদর্শক (নিঃ) মোঃ সালেহ ইমরান. বিপিএম, পিবিআই গাজীপুর জেলা, মোবাইল নং-০১৭১৩২৬২৬২৮

 তদন্ত তদারকি কর্মকর্তা ও পিবিআই গাজীপুর ইউনিট ইনচার্জ, পুলিশ সুপার, জনাব মোহাম্মদ মাকছুদের রহমান. বিপিএম।-অবশেষে খুনী গ্রেফতার..। ধন্যবাদ প্রশাসন কে।

সূত্রঃ-কাপসিয়া থানার মামলা নং-০৪, তারিখ-০২/০৪/২০২৪ খ্রিঃ ধারা-৩০২/৩৪ পেনাল কোড।

ভাই কর্তৃক বোনকে হত্যার মূল রহস্য উদ্ঘাটন

ঘটনার সংক্ষিপ্ত বিবরণ ঃ
বাদী মোঃ সিরাজ উদ্দিন বেপারী (৭৩) কাপাসিয়া থানায় হাজির হয়ে অভিযোগ দায়ের করেন যে, তার মেয়ে শাহনাজ বেগম শিমু (৩৯)কে বিগত ১৬ বৎসর পূর্বে মোঃ মোশারফ হোসেন (৪৫)এর সাথে ইসলামী শরীয়ত মোতাবেক বিবাহ দেন। বাদীর মেয়ের জামাতা দক্ষিণ কোরিয়াতে বসবাস করে। ভিকটিম শাহনাজ বেগম শিমু তার স্বামীর বাড়ীতে ১তলা বিল্ডিংয়ের উত্তর পশ্চিম শয়ন কক্ষে একাই ঘুমাত। রান্না ঘরের সাথে বিল্ডিয়ের দরজা সংযুক্ত আছে। প্রতিবেশী তাইজ উদ্দিন (৫০) মাঝে মধ্যে বাদীর মেয়ের বাজার করে দিত। ইং ০২/০৪/২০২৪খ্রিঃ তারিখ সকাল অনুমান ০৮.৩০ ঘটিকার সময় উক্ত তাইজ উদ্দিন বাদীর মেয়ের গেইটের সামনে গিয়ে ডাকাডাকি করে কোন সাড়া শব্দ না পেয়ে বাড়ীর উত্তর পাশের জানালা দিয়ে দেখতে পায় যে, বাদীর মেয়ের হাত,পা বাধাঁ অবস্থায় খাটের উপর পড়ে আছে। তখন তাইজ উদ্দিন বাদীর মেয়ের জ্যাঁ শাহনাজ পারভীনকে ডাক দিলে তারা দুইজনে বাড়ীর দক্ষিণ পাশে^র খোলা দরজা দিয়ে ঘরের ভিতরে প্রবেশ করে বাদীর মেয়ের হাত, পা, রশি ও ওড়না এবং গামছা দিয়ে বাধা অবস্থায় খাটের উপর মৃত দেহ পড়ে থাকতে দেখে বাদী ও তার স্ত্রীকে জানায়। সংবাদ পেয়ে থানা হতে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে বাদীর মেয়ের সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুত করে মৃত দেহ ময়না তদন্ত করার জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে। অজ্ঞাতনামা দুস্কৃতিকারী বা দুস্কৃতিকারীরা গত ০১/০৪/২০২৪ খ্রিঃ তারিখ রাত অনুমান ২১.০০ ঘটিকা হতে ০২/০৪/২০২৪খ্রিঃ তারিখ সকাল অনুমান ০৮.৩০ ঘটিকার মধ্যে যে কোন সময় বাদীর মেয়ের বসত ঘরের রান্না ঘরের চালের টিন খুলে ভিতরে প্রবেশ করে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে পরস্পর যোগ সাজসে হাত,পা, মুখ রশি ও গামছা দিয়ে বেধেঁ শাস রোধ করে হত্যা করে।

গ্রেফতারকৃত আসামীদের বর্ণনাঃ কাপাসিয়া থানা পুলিশ কর্তৃক তদন্তকালীন সময় থানা পলিশের পাশাপাশি পিবিআই গাজীপুর মামলাটির রহস্য উদ্ঘাটনে ছায়া তদন্তে নামে। পিবিআই গাজীপুর জেলা পুলিশ সুপার জনাব মোহাম্মদ মাকছুদের রহমান. বিপিএম মহোদয়ের প্রত্যক্ষ তত্বাবধানে ও নির্দেশনায় গোয়েন্দা তথ্য ও আধুনিক তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার করে হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত মূল আসামী ১। মোঃ কামরুজ্জামান রুবেলকে পিবিআই গাজীপুর এর পুলিশ সদস্যরা জিএমপি গাছা থানা এলাকা হইতে গত ০৪/০৪/০২০২৪ খ্রিঃ বিকাল ১৫.২০ ঘটিকার সময় গ্রেফতার করে। আসামী রুবেল মিয়ার স্বীকারোক্তি মতে সহযোগী অপর আসামী ২। মোঃ মিনাল ওরফে মিষ্টার (২১), পিতা- আস্কর আলী,মাতা- মিনা বেগম, সাং- মামদা বাড়ী,থানা- শ্রীবরদী, জেলা- শেরপুর, বর্তমানে- উত্তরা হেলাল মার্কেট কামালের বাড়ীর ভাড়াটে, থানা- উত্তরা, ঢাকাকে উত্তরা পশ্চিম থানা এলাকা হইতে গ্রেফতার করে । মামলাটি পিবিআই এর সিডিউলভুক্ত হওয়ায় পিবিআই গাজীপুর জেলা মামলাটি অধিগ্রহন করেন।

আসামীদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়ঃ
আসামী মোঃ কামরুজ্জামান রুবেল (৩৬) পিতা- মোঃ সিরাজ উদ্দিন বেপারী, মাতা- মৃত কোহিনুর বেগম, সাং- কুলগঙ্গা, থানা- কাপাসিয়া, জেলা- গাজীপুর একটি আবাসিক হোটেলে চাকুরী করত। ঘটনার পাঁচ মাস পূর্বে আসামী রুবেল হোটেলের চাকুরী ছেড়ে দেওয়ার কারনে সে অর্থনৈতিক সংকটে পরে। আসামী মোঃ কামরুজ্জামান রুবেল বিভিন্ন লোকজনের কাছ থেকে অনেক টাকা ঋন করে। আসামী রুবেল ঋনের টাকা কোন ভাবেই পরিশোধ করতে না পারায় তার বোন শাহনাজ আক্তার সিমুর বাসা হতে স্বর্ণালংকার ও টাকা পয়সা চুরি করার চিন্তা করে। ঘটনার দুই দিন আগে আসামী রুবেল তার পূর্বে আসামী মোঃ মিনাল ওরফে মিষ্টারের সাথে যোগাযোগ করে তার বোনের বাসায় চুরির পরিকল্পনা করে। ঘটনার দিন বিকাল বেলা মোঃ মিনাল ওরফে মিষ্টার জয়দেবপুর রেলস্টেশনে আসলে আসামী রুবেল ও মোঃ মিনাল ওরফে মিষ্টার একটি ব্যাগের মধ্যে একটি সুইজ গিয়ার চাকু, প্লাস, গামছা, কেচি নিয়ে ট্রেনে করে শ্রীপুর যায়। তারা শ্রীপুর বাস ষ্ট্যান্ড হতে অটোরিক্সা ভাড়া করে বরমী পুরাতন বাসষ্ট্যান্ডে গিয়ে চা সিগারেট খায়। কিছুক্ষণ পরে তারা সেখান থেকে অটোরিক্সা যোগে রাত অনুমান ০৮.০০ ঘটিকার সময় সিংহশ্রী ব্রীজে পৌঁছায়। সিংহশ্রী ব্রীজ হতে তারা পায়ে হেটে আসামী রুবেল এর বোন ভিকটিম শাহনাজ আক্তার সিমুর বাড়ীর সামনে গেন্ডারী ক্ষেতে লুকিয়ে থাকে। রাত অনুমান ১২.০০ ঘটিকার পর আসামীরা ভিকটিম শাহানাজ আক্তার সিমুর পাশের বাড়ীর সীমানা প্রাচীরের উপর দিয়ে বাসার ছাদে উঠে পিছনের রান্না ঘরের সিমেন্টের টিন খুলে রান্না ঘরে প্রবেশ করার চেষ্টা করে এবং রান্না ঘর হতে দরজা খুলে বাহিরে এসে বাড়ীর পেছনের খোলা জানালায় বাঁশের লাঠি দিয়ে ভিতরের সিটকারী খুলে ঘরের ভিতরে প্রবেশ করে। শিমুল আসামীদের সারা শব্দ পেয়ে চিৎকার শুরু করলে প্রথমে আসামী মিষ্টার সুইচ গিয়ার দেখিয়ে ভয় দেখায় বলে আমরা তোমার কোন ক্ষতি করবা চিৎকার বন্ধ কর। এর পরও শিমুল চিৎকার বন্ধ না করলে গামছা দিয়ে মিশুলের মুখ চেপে ধরে। আসামী রুবেল ও মিষ্টার এক সাথে ঘরের ভিতরে ভিকটিমের রুমে যায়। ভিকটিম শাহানাজ আক্তার সিমু আসামীদের দেখে চিৎকার দিলে আসামী মিষ্টার গামছা দিয়ে ভিকটিমের মুখ চেপে ধরে। আসামী রুবেল ভিকটিম শাহানাজ আক্তার সিমুর হাত দড়ি দিয়ে বেঁধে ফেলে। হাত বাধার সময় ভিকটিম শাহানাজ আক্তার সিমুর নখের আচড় লেগে আসামী রুবেল এর বাম ও ডান হাতে জখম হয়। ভিকটিম শাহানাজ আক্তার সিমু যাতে আসামী রুবেলকে চিনতে না পারে সেজন্য ভিকটিম শাহানাজ আক্তার সিমুর চোখ ও মুখ গামছা দিয়ে বেঁধে ফেলে। আসামী রুবেল ভিকটিম শাহানাজ আক্তার সিমুর আলমারি খোলার জন্য চাবি খুঁজতে থাকে। আসামী মিষ্টারের সাথে ভিকটিম শাহানাজ আক্তার সিমুর ধস্তাধস্তি শুরু করলে আসামী মিষ্টার ভিকটিম শাহানাজ আক্তার সিমুর মুখে আঘাত করে এবং ভিকটিম শাহানাজ আক্তার সিমুর বুকের উপর বসে গলায় চেপে ধরে। আসামী রুবেল টেবিলের ড্রয়ার থেকে চাবি নিয়ে আলমারি খুলে একটি স্বর্ণের চেইন, কানের দুল, কানের ফুল ও নগদ ৩,০০০/-টাকা এবং ভিকটিম শাহানাজ আক্তার সিমুর ব্যবহৃত মোবাইল সেট নিয়ে নেয়। আসামী রুবেল ও মিষ্টার ভিকটিম শাহানাজ আক্তার সিমুর হাত ও পা পেছন দিয়ে বেধে বাড়ীর পকেট গেইট দিয়ে বের হয়ে চলে যায়। পরের দিন সকালে আসামী রুবেল সুইজ গিয়ার চাকু, প্লাস, মোবাইল সেট ভেঙ্গে ঝাজর ব্রীজের নীচে খালের পানিতে ফেলে দেয় এবং লুন্ঠিত স্বর্ন ১,৫০,০০০/-টাকা বিক্রি করে। পিবিআই গাজীপুর জেলা পুলিশ আসামী রুবেলকে গ্রেফতার করে তার হেফাজত হতে লুণ্ঠিত স্বর্ণ বিক্রির নগদ ৫৭,০০০/-টাকা উদ্ধার করে এবং তার স্বীকারোক্তি মতে হত্যা কান্ডে ব্যবহৃত একটি প্লাস, সুইজ গিয়ার চাকু ও চোরাইকৃত মোবাইল সেটের খন্ডিত অংশ জাজর কবরস্থান ব্রীজের নীচে খাল হতে উদ্ধারসহ তার সহযোগী আসামী মিষ্টারকে উত্তরা পশ্চিম থানা এলাকা হতে গ্রেফতার করে। স্বর্ন বিক্রির অবশিষ্ট টাকা ও স্বর্ন উদ্ধারের অভিযান অব্যাহত আছে। অদ্য ০৫/০৪/২০২৪ খ্রিঃ তারিখে আসামীদ্বয় স্বেচ্ছায় বিজ্ঞ আদালতে ফৌঃ কাঃ ১৬৪ ধারা মোতাবেক জবানবন্দি প্রদান করেছেন।

 তদন্তকারী কর্মকর্তা ঃ উপ-পুলিশ পরিদর্শক (নিঃ) মোঃ সালেহ ইমরান. বিপিএম, পিবিআই গাজীপুর জেলা, মোবাইল নং-০১৭১৩২৬২৬২৮

 তদন্ত তদারকি কর্মকর্তা ও পিবিআই গাজীপুর ইউনিট ইনচার্জ, পুলিশ সুপার, জনাব মোহাম্মদ মাকছুদের রহমান. বিপিএম।

দেড় মিনিটে কাপাসিয়ার ২৩১ গ্রামের নাম বলতে পারেন তিনিগাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার সর্ব পশ্চিমের গ্রাম বাঘিয়ার বাসিন্দা আক্ত...
07/03/2024

দেড় মিনিটে কাপাসিয়ার ২৩১ গ্রামের নাম বলতে পারেন তিনি

গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার সর্ব পশ্চিমের গ্রাম বাঘিয়ার বাসিন্দা আক্তার জামান। তিনি ‘আক্তার মাস্টার’ নামে পরিচিত। পাশের ভুলেশ্বর গ্রামের হাফিজ উদ্দিন উচ্চবিদ্যালয়ে শিক্ষকতা শেষে গত বছর অবসরে গেছেন তিনি। দেড় মিনিটে নিজের উপজেলার ২৩১টি গ্রামের নাম মুখস্থ বলতে পারেন তিনি। এ কারণে উপজেলাজুড়ে পরিচিতি তাঁর।
আক্তার জামান ৩০ সেকেন্ডে ৬৪ জেলার নাম বলতে পারেন। দেড় মিনিটে বলতে পারেন কাপাসিয়ার ২৩১টি গ্রামের নাম। এ ছাড়া তাঁর মুখস্থ আছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ভাষণ ও পল্লিকবি জসীমউদ্দীনের ১১৮ লাইনের ‘কবর’ কবিতা।
আক্তার জামান বলেন, শিক্ষকতায় সময় দেওয়ার পাশাপাশি ঘুরে বেড়ানোর শখ ছিল তাঁর। ছুটির দিনে নিজের বাইসাইকেলে করে নিজের উপজেলার গ্রাম ঘুরে দেখতেন। একসময় মনে হলো, গ্রামের নামগুলো মুখস্থ করলে ভালো হবে। প্রথমে খাতায় সব গ্রামের নাম লিখে মুখস্থ করার চেষ্টা করেন। কিন্তু সেগুলো তিনি মুখস্থ রাখতে পারছিলেন না। এরপর ভিন্ন কৌশল অবলম্বন করেন। ১ নম্বর ইউনিয়ন থেকে নতুন করে বাইসাইকেল নিয়ে ঘুরতে শুরু করলেন। একের পর এক গ্রাম ঘুরে ঘুরে গ্রামের দৃশ্যগুলো মনে গেঁথে নিতে থাকেন। এ যাত্রায় তিনি সফল হন। এভাবে উপজেলার ১১টি ইউনিয়নের সব গ্রাম ঘুরে নাম বলার চর্চা করতে থাকেন। বর্তমানে নির্ভুলভাবে নিজের উপজেলার নামগুলো বলতে পারেন তিনি।আক্তার জামান বলেন, ‘গ্রামের নামগুলো বলার সময় আমার চোখের সামনে প্রত্যেকটি এলাকার বিশেষ কিছু দৃশ্য ভেসে ওঠে। মানুষগুলো দেখি। সেখানকার বড় বড় গাছপালা, দিঘি, মাঠ চোখে ভাসে। ভালো লাগে যখন কেউ আমার এই দক্ষতা দেখে আশ্চর্য হয়। এই বয়সে এসে আমি মুখস্থ রাখতে পেরেছি ভেবে নিজের কাছেই ভালো লাগে। আমার কাছে গ্রামের নাম শুনে ভিডিও করে নিয়ে যান অনেকে। মানুষের আগ্রহ দেখে উৎসাহ পাই।’এই শিক্ষকের প্রাক্তন ছাত্র নজরুল ইসলাম বলেন, ‘ক্লাসে স্যার আমাদের বই না দেখেই পড়াতেন। মুখস্থ রাখার অসাধারণ দক্ষতা স্যারের মধ্যে সব সময় দেখেছি। খুব নিভৃতচারী মানুষ তিনি। নিজের চেষ্টায় অসাধারণ সব দক্ষতা অর্জন করে নতুন প্রজন্মের কাছে উদাহরণ সৃষ্টি করেছেন তিনি।’
কাপাসিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আমানত হোসেন খান বলেন, ‘বিশেষ দক্ষতা দেখিয়ে পুরো উপজেলায় পরিচিতি পেয়েছেন আক্তার জামান। আমরা তাঁকে নিয়ে গর্ব করি। কোনো বিশেষ দিবসে তাঁকে সম্মাননা দেওয়ার পরিকল্পনা আছে। এতে তিনি উৎসাহিত হবেন। পাশাপাশি নতুন প্রজন্ম তাঁর সম্পর্কে আরও বেশি জানবে, কৌতুহলী হবে।’

এমন কি কোথাও রাস্তা আছে যেই রাস্তায় বাস চলাচল নিষিদ্ধ.....?গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার সাফাশ্রী বাজারের মোড়ে দিনের বেল...
24/02/2024

এমন কি কোথাও রাস্তা আছে যেই রাস্তায় বাস চলাচল নিষিদ্ধ.....?

গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার সাফাশ্রী বাজারের মোড়ে দিনের বেলায় বাঁশ দিয়ে রাস্তায় ব্যারিকেড দিয়ে রেখেছে।

যাতে করে বাস যেতে না পাড়ে।যদি এই রাস্তায় বাস চলাচল নিষেধ থাকে তাহলে আগে থেকেই সাইনবোর্ড লাগানো উচিত ছিল।যাতে করে এই রাস্তা এড়িয়ে চলে। প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষন করছি।

সূত্র:রানা খাঁন

২০২৪ সালের রমজানের ইফতার ও সাহরির সময় সূচি।
14/02/2024

২০২৪ সালের রমজানের ইফতার ও সাহরির সময় সূচি।

12/02/2024

গ্যাসের চুলায় নান রুটি তৈরির সহজ রেসিপি।Easy Butter soft Non Ruti recipe l

ইতিহাসের পাতায় গল্প আছে, রানি ভবানী বানিয়া রাজাদের শেষ বংশধর ছিলেন। তাঁর দরদরিয়া দুর্গ ছিল গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার...
27/12/2023

ইতিহাসের পাতায় গল্প আছে, রানি ভবানী বানিয়া রাজাদের শেষ বংশধর ছিলেন। তাঁর দরদরিয়া দুর্গ ছিল গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার রায়েদ ইউনিয়নের দরদরিয়া গ্রামে, বানার নদের পারে। দুই দশক আগেও সেখানে দুর্গের ধ্বংসাবশেষ ভালোভাবে দৃশ্যমান ছিল। ক্রমান্বয়ে দৃশ্যমান ধ্বংসাবশেষ সব বিলীন হয়ে যায়।
দরদরিয়া দুর্গের ইতিহাসের গল্পগুলো মানুষের মুখে মুখে। তবে সেই ইতিহাসের অস্তিত্ব ছুঁয়ে দেখতে এবার সেখানে শুরু হয়েছে বড় পরিসরে প্রত্নতাত্ত্বিক খননকাজ। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক সুফি মোস্তাফিজুর রহমান খননকাজ শুরু করেছেন। তাঁর সঙ্গে কাজ করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচ শিক্ষার্থী। সামনে আরও অনেকেই এই কাজে যুক্ত হবেন। নিজস্ব অর্থায়নে এই খননকাজ শুরু করেছেন সুফি মোস্তাফিজুর রহমান।

আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে খননকাজ দেখতে যান স্থানীয় সংসদ সদস্য সিমিন হোসেন (রিমি)। তিনি খননকাজের খবরে ভিড় জমানো স্থানীয় বাসিন্দাদের খননকাজের গুরুত্ব, প্রয়োজনীয়তা ও সম্ভাবনার বিষয়ে বলেন।
গত ২৪ এপ্রিল ‘দরদরিয়া দুর্গে দৃশ্যমান কোনো কিছু আর নেই’ শিরোনামে একটি সচিত্র সংবাদ ছাপা হয়। তখন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এই প্রত্নতাত্ত্বিক স্থানে খননকাজের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা আছে বললেও তার উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। সংবাদ প্রকাশের আট মাসের মাথায় অধ্যাপক সুফি মোস্তাফিজুর রহমান এ কাজের উদ্যোগ নেন।
সকালে খননের স্থানে গিয়ে দেখা যায়, নিভৃত পল্লির নির্জন একটি এলাকায় উৎসুক মানুষের ভিড়। নির্দিষ্ট একটি স্থানকে চিহ্নিত করে দড়ি দিয়ে বেষ্টনী দেওয়া হয়েছে। বেষ্টনীর আওতায় থাকা চিহ্নিত স্থানে সতর্কতার সঙ্গে খননকাজ করছেন কয়েকজন কর্মী। পাশেই সদ্য কেটে নেওয়া ধানখেতে অস্থায়ী তাঁবু স্থাপন করা হয়েছে।
দরদরিয়া গ্রামের স্থানীয় বাসিন্দা মো. আবুল কাশেম বলেন, ‘বাপ–দাদার কাছ থেকে আমরা এই এলাকার ইতিহাসের রানি ভবানীর দুর্গের গল্প শুনেছি। নতুন করে এই উদ্যোগে হয়তো আরও নতুন অনেক তথ্য জানতে পারব।’
অধ্যাপক সুফি মোস্তাফিজুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি আপাতত নিজ অর্থায়নে খননকাজ শুরু করেছি। ছয় মাস আগে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ে অর্থায়নের জন্য আবেদন করেছি। এখনো সাড়া পাইনি। হয়তো তারা অর্থায়ন করবে। কারণ, এ ধরনের খননকাজ নিজস্ব অর্থায়নে করা খুবই কঠিন।’

21/10/2023

ফিলিস্তিনি এক বড় ভাই তার ছোট ভাইকে কালিমা পড়ানোর মাধ্যমে বিদায় জানাচ্ছেন।

মাত্র ৮০ লক্ষ ইহুদির কাছে হেরে যাচ্ছে ২০০ কোটি মুসলমান। আজকের আধুনিক তথ্য প্রযুক্তির যুগে এত কিছু দেখার পরেও কিভাবে আমরা বসে আছি?
রাব্বী কারীম আমাদের শক্তি সমর্থ্য দক্ষতা বাড়িয়ে দাও। #ফিলিস্তিনি নিরীহ #মুসলমানদেরকে তুমি ইসরাইলি আগ্রাসন থেকে মুক্তি দাও।

08/10/2023

বাঘের বাজার, শ্যামলী বাংলার সাথে বাইক এক্সিডেন্ট

গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলায় বাসের সঙ্গে মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে এক শিক্ষক নিহত হয়েছেন। আজ বুধবার সকাল সাড়ে ৯টার দিক...
04/10/2023

গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলায় বাসের সঙ্গে মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে এক শিক্ষক নিহত হয়েছেন। আজ বুধবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার ঢাকা-কিশোরগঞ্জ সড়কের জলপাইতলা এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যক্তির নাম নুরুল আমীন (৩২)। তিনি কাপাসিয়ার টোকনগর গ্রামের বাসিন্দা। পার্শ্ববর্তী নরসিংদী জেলার মনোহরদী উপজেলার কোঁচেরচর দাখিল মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক ছিলেন তিনি। নুরুল আমীন দুই ছেলেসন্তানের জনক।
নিহত নুরুল আমীনের শ্যালক মো. আসাদুল্লাহ মাসুম ও স্থানীয় লোকজন জানান, আজ সকালে তিনি মাদ্রাসায় যাওয়ার জন্য মোটরসাইকেলে করে বাড়ি থেকে বের হন। জলপাইতলা এলাকায় পৌঁছার পর ঢাকাগামী জলসিঁড়ি এক্সপ্রেসের একটি বাসের সঙ্গে তাঁর মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে নুরুল আমীন গুরুতর আহত হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। এ সময় তাঁর প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়। স্থানীয় লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে কাপাসিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।কাপাসিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক লায়লা আখতার বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় আহত নুরুল আমীনকে হাসপাতালে মৃত অবস্থায় আনা হয়েছে।কাপাসিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মিঠুন বৈদ্য বলেন, স্থানীয় লোকজন বাসটি আটক করেছে। তবে চালক পালিয়ে গেছেন। এই ঘটনায় পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

গাজীপুর প্রতিনিধি: গাজীপুরের ভাওয়াল বদরে আলম সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী ফেরদৌসের পায়ের রগ কেটে দেয়া মামলার প্রধান আসামি ভা...
18/09/2023

গাজীপুর প্রতিনিধি: গাজীপুরের ভাওয়াল বদরে আলম সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী ফেরদৌসের পায়ের রগ কেটে দেয়া মামলার প্রধান আসামি ভাওয়াল কলেজ ছাত্রলীগের নেতা রবিন সরদারকে (২৯) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ১৩ সেপ্টেম্বর বুধবার সকালে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) এবং গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ (জিএমপি) তাকে গ্রেফতার করে।

গ্রেফতার রবিন শরীয়তপুরের গোসাইরহাট উপজেলার মোল্লাকান্দি গ্রামের আমিন সরদারের ছেলে। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ২৭টি মামলা রয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জিয়াউল হক।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ৩ সেপ্টেম্বর বাসন থানাধীন আউটপাড়া লিংকন কলেজের সামনে থেকে ভাওয়াল বদরে আলম কলেজের শিক্ষার্থী ফেরদৌসকে অপহরণ করেন রবিন সরদার ও তার কয়েকজন সহযোগী। অপহরণের পর গোপন স্থানে নিয়ে ফেরদৌসকে মারধরের পাশাপাশি পায়ের রগ কেটে দেয় অভিযুক্তরা। এসময় ভুক্তভোগীর মায়ের নম্বরে ফোন করেও মুক্তিপণও দাবি করা হয়। মুক্তিপণ নেয়ার পর ফেরদৌসকে শিববাড়ি মোড়ের হলিল্যাব হাসপাতালের সামনে ফেলে রেখে যায় আসামিরা। পরে পুলিশ ও পরিবার ফেরদৌসকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন।
এ ঘটনায় ফেরদৌসের মা নাজমা বেগম বাদী হয়ে ২৭ জনের নাম উল্লেখ করে গত ৪ সেপ্টেম্বর গাজীপুর মেট্রোপলিটন বাসন থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

18/08/2023

১৮,০৮,২০২৩ ইং সকাল ১১ টায় গাইবান্ধা তালুকজামিরা বাজারে জনসম্মুখে প্রকাশ্য জাহাঙ্গীর নামে এক লোককে কুপিয়ে হত্যা করে এবং নিহতের ভাইদের কুপিয়ে মারাত্মক জখম ও আহত করে।

Address

Dhaka
247451

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Himel Tv posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Himel Tv:

Videos

Share