21/07/2023
♦২৫ সালে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের গজবের কারন♦
ইমাম মাহমুদ হাবিবুল্লাহ এবং সাহেবে কিরানের
বিলায়েতের উপর ঈমান আনার প্রকাশ্য দাওয়াত ও তাদের দাওয়াত কে মিথ্যা প্রতিপন্ন করে, তাদের অস্বিকার করা ও তাদের নির্যাতন করা এবং তার শাস্তিঃ
আমরা সবাই জানি ইমাম মাহমুদ হাবিবুল্লাহ এবং সাহেবে কিরান বাংলার "দ্বিতিয় কারবালা" চলা কালিন সময়ে জিহাদের ডাক দিবেন।এবং হিন্দুস্থানের বিরুদ্ধে জিহাদ করে সেই প্রতিশ্রুত "গাজোয়ায়ে হিন্দ" করবেন।
এখন কথা হলো,
তারা কি শুধু মাত্র সেই, কারবালা চলার সময়েই প্রকাশ পাবেন?
তার আগে তাকে চেনা বা জানার কোন উপায় কি আমাদের নেই????
বন্ধুরা, আপনাদের মত আমিও অধির আগ্রহী, সেই মহা যুদ্ধের ২ সেনাপতির কাছে জিহাদের বাই'য়াত গ্রহনের জন্য।
কিন্তু, তাদের কে কি আগে থেকে চিন্তে পারার কোন উপায় নেই???
এই প্রশ্নটির জবাব খুজতে গিয়ে বুঝলামঃ
ইমাম মাহমুদ ও তার বন্ধু সাহেবে কিরান নিজেই নিজেদের পরিচয় প্রকাশ করবেন এবং সঠিক দাওয়াত পৌছানোর চেষ্টা করবেন এবং তাকে তার রাষ্ট্র কর্তৃত কঠিন অত্যাচারের সম্মুখীন হতে হবে।
কেননা, আমরা যদি ইতিহাস দেখি, তাহলে জানবো প্রতিটি নবী-রছুল,অলী-আওলিয়া, সেই সময়ের রাষ্ট্র নেতাদের দ্বাড়া অত্যাচারের শিকার হয়েছে।তাদের উপর অমানবিক যুলুম করেছে। কারাবন্দি করেছে।
তাহলে,নিশ্চই, এই ইমাম মাহমুদ ও তার বন্ধু সাহেবে কিরান বারাহ কেও তাদের রাষ্ট্র কর্তৃক অত্যাচার করা হবে। তাদের দেশেরও অধিকাংশ মানুষ তাদের কে ভন্ড বলবে, মিথ্যাবাদি সাব্যস্ত করবে।
চলুন এখন একটু আগামী কথন থেকে কিছু তথ্য নেইঃ
৩৪. সাত মাস ব্যাপি ধোয়ার আযাবে,
বিশ্ব থাকিবে লিপ্ত।
দুই- তৃতীয়াংশ মানুষ হারাইবে প্রাণ,
রব থাকিবেন ক্ষিপ্ত।
৩৫. ভয়ংকর এই শাস্তির কারণ,
বলে যাই আমি এ ক্ষনে।
নিম্নের কিছু কথা
তোমরা রাখিও স্মরনে।
৩৬. মহা সমরের পূর্বে দেখিবে
প্রকাশ পাইবেন ' মাহমুদ'।
পাশে থাকবেন ' শীন' ও জ্যোতি,
সে প্রকৃতই রবের দূত।
৩৭.হিন্দুস্থান থেকে যদিও একজন,
জানাইবে 'মাহমুদ' - এর দাবি।
খোদা করিবেন সেই ভন্ডকে ধ্বংশ,
সে হইবেনা কামিয়াবি।
৩৮.হাতে লাঠি,পাশে জ্যোতি,
সাথে সহদর 'শীন'।
মাহমুদ এসে এই যমিনে
প্রতিষ্ঠা করবেন দ্বীন।
৩৯.' সত্য' সহ করিবেন আগমন,
তবুও করিবে অস্বিকার।
হক্বের উপর করবে বাতিল,
কঠিন অন্যায় অবিচার।
৪০.অবিশ্বাসী জাতির উপর,
গজব নাজিল হবে তখন।
পশিচ সনের মহা সমরে,
ধোয়ার আযাব আসিবে যখন।
৪৪.সৃষ্টির উপর হাত খেলানোর,
করেছো দূর্শহাসিকতা।
শাস্তি তোমাদের পেতেই হবে
তাই তো এই বিধ্বংস্ততা।
৪৬.আধুনিকতার কারণে মানুষ,
লিপ্ত নগ্নতা-অশ্লিলতায়।
বেপর্দা নারী,মূর্খ আলেম,তাইতো
পচিশে ধ্বংশ হবে সব অন্যায়।
উপরক্ত তথ্য বলছে,
যে এই যে দ্বিতিয় কারবাল থেকে শুরু করে গাজোয়াতুল হিন্দ, তারপর তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের মাধ্যমে গোটা পৃথীবির ৩ ভাগের ২ ভাগ মানুষ মারা যাবে তার কারন হলোঃ
(১) মানুষ আল্লাহ বিমুখী হয়েছে।
( মুসলিমরাই আজ জাহান্নামিদের কাজ কর্ম করে বেরাচ্ছে সেখানে অমুসলিম রা আর কি করবে?)
(২) মানুষ সৃষ্টির উপর হাত খেলিয়েছে।
(যেমনঃ চেহাড়া পরিবর্তন,লিঙ্গ পরিবর্তন,টেষ্টটিউব বেবি,রোবট, ইত্যাদি)
(৩) বেপর্দা নাড়ীর সংখ্যা ক্রমশই বৃদ্ধি হচ্ছে।
(আমরা জানি, একটি জরিপে, কিছু বছর আগে বলা হয়েছিলো, প্রতি ১ জন পুরুষ পিছু ৪ জন নাড়ী বর্তমানে! আর তারা যে ইসলামের নিয়ম নিতি থেকে সম্পুর্ন দুরে সরে আছে,তা তো বলার অপেক্ষাই থাকেনা)
(৪) মূর্খ আলেমের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
(আমি জানি এক শ্রেনির মুসলিম ভাইয়েরা বলেন যে,আলেমরা যতই যাই করুক,তারা তো আলেমই, তাদের কিছু না বলাই ভালো,।
তাদের বলতে চাই, যে রছুল (ছাঃ) বলেছেন, আমি আমার উম্মতের জন্য দাজ্জালের চেয়েও একটি জিনিস অধিক ভয় করি। তা হলো, "বিপথগামী ও পথভ্রষ্ট আলেম সম্প্রদায় "
(মুসনাদে আহমাদঃ২১৬২১-২২,)
এবং আমরা সবাই জানি, জাহান্নামিদের মধ্যে সংখ্যায় বেশি হবে, নারী। তারপরই অধিক সংখ্যায় জাহান্নামে জাবে আলেম গন।
এখন আপনারাই বলুন,তাহলে তারা কি দুনিয়াতে আলেম নামের জালেম ছিলো না?
উল্লেখ্য যে, আবুল আহকাম(জ্ঞানের পিতা) ও একজন আলেম ছিলেন।
কিন্তু দুনিয়াতেই আল্লাহ তাকে, আবু জাহেল(মুর্খর পিতা) হিসেবে জাহির করেছিলেন।
এরকম কত জাহেল বর্তমানে আহকাম সেজে আছে তার কোন হিসাব নেই।
অতএব, দাজ্জালের মত এদেরকেও ফিৎনা মনে করে দুরে থাকতে হবে।
আলেম দিয়ে ইসলাম কে বিচার না করে,ইসলাম দিয়ে আলেম কে বিচার করতে হবে।
আর ২০২৫ সালের এই গজবের এটাও একটা বড় কারন)
(৫) ইতিহাসে ধ্বংশ হওয়া কতিপয় জাতির গুনাহ বর্তমানে চলছে তাই এই গজব আসবে।
(যদি আমরা ছালেহ,হুদ,লুত,ইব্রাহিম,শুয়াইব,মুছা, হারুন (আলাইহিমাসসাল্লাম)- নবীগনের জাতির কাহিনি দেখি তাহলে জানতে পারবো,তাদের জাতি ধ্বংশ হয়েছিলো, জ্বিনা ব্যাবিচার করা, ওজনে কম দেওয়া,সমকামিতায় লিপ্ত থাকা,শিশু হত্যা করা,মুর্তিপুজা করা,আল্লাহ কে অবিশ্বাস করা, সতর্ককারি দের কে না মেনে তাদের অত্যাচার করা সহ ইত্যাদি কাজের জন্য তাদের জাতিগুলো ধ্বংশ হয়েছিলো।
যদি বর্তমান বিশ্বের দিকে তাকাই,তাহলে দেখতে পাবোঃ
বর্তমানে, জ্বিনা করা একটি ফ্যাশান, সমকামিতার জন্য আদালতে আইন পাশ করা হয়েছে বিভিন্ন রাষ্ট্রে, ওজনে তো কম করা হচ্ছে,প্রায়সই, মিথ্যা বলে,নকল মাল বিক্রি হচ্ছে, শিশুদের যে কিভাবে হত্যা করা হচ্ছে তার ব্যাক্ষা দেবার প্রয়োজন নেই, শুধুমাত্র
একটি কাজ হচ্ছেনা
তা হলো, কোনো সতর্ককারি আমাদের প্রকাশ্য দাওয়াত দিচ্ছেনা, বলছেনা যে আমি আল্লাহর পক্ষ থেকে এসেছি এবং তোমরা আমাকে নেতা হিসেবে মেনে নাও
আর আমরা এমন কোন সতর্ককারি কে পেয়ে তাকে অত্যাচার করছি না।
(যদিও সঠিক আলেমগনের অবস্থা আমরা নাজেহাল করছি প্রতি নিয়তই)
এখন একটাই গুনাহ বাকী, তাহলো হযরত নুহ (আঃ) এর জামানার অনুরুপঃ
যে সতর্ককারি বার বার বলবে যে আমি তোমাদের জন্য সতর্ককারি হিসেবে এসেছি আর আমরা তাকে অহংকারের সহিত জবাব দিবো যে, তুমি মিথ্যাবাদি, ভন্ড,। তোমাকে মানবো না। তোমাকে কঠিন সাস্তি দেবো।
আর পরিশেষে মহা গজবে ধ্বংশ হবো।
♦ আমরা সকল গোনাহই পাড় করে ফেলেছি, শুধুমাত্র কোন আল্লাহ পদত্ব ব্যাক্তি কে অ-স্বিকার, অবিশ্বাস, অত্যাচার করার মত পাপ টা করার সুজগ হয়ে ওঠেনি।
তবে আসা করছি, অচিরেই আমরা গোটা মুসলিম উম্মাহ এই মহা পাপ টি সম্পুর্ন করার একটি বড় সুজোগ পাবো।
কেননা, দ্রুতই হাবিবুল্লাহ ও সাহেবে কিরানের প্রকাশ ঘটবে,তারা নবীদের মত করে দাওয়াত দিবে,তাদের কে নেতা হিসেবে গ্রহন করার। আর তারপর মাহদিও।
আমরা সবাই পুর্ব প্রস্তিতি গ্রহন করে রাখি, যেন তারা আসলেই আমরা ইতপুর্বের গজবীদের ন্যায় গজবে লিপ্ত হওয়ায় সুজোগ টি হাতছাড়া না করে ফেলি।
কারন, তাদের কে মেনে নিলে তো হক্ব পথে চলেই গেলাম। তাহলে পাপ টা না করলে কেমন যেনো হয় তাই না???
(আসতাগফিরুল্লাহ!)
সাবধান ঐ মহাপাপ করা থেকে সাবধান হন।
কেননা,এই পাপের পরই গজব আসে। অতএব সবাই সাবধান হন। নতুবা জাহান্নামিদের অন্তর্ভুক্ত হবেন।
(৬) গজবের আরও একটি কারন হলো আধুনিকতাঃ
আমরা যদি আধুনিকতা কে সঠিক পথে ব্যবহার করতাম তাহলে তা অবশ্য আমাদের অনেক উপকারি আবিষ্কারকৃত পদ্ধতি হতো।
কিন্তু হায় আফসোস। আমরা তার সঠিক ব্যবহার না করে,ইমানের ক্ষতিকর দিকটাই গ্রহন করছি ৯৯% মানুষ।এখন ঘড়ে বসে থেকেই সকল পাপ কাজের মদদ পাওয়া যায়,আদুনিকতার সুবাদে।
(৭) ২৫ এর মহা গজবের আরও একটি কারন হলো,
সতর্ককারি হাবিবুল্লাহ ও সাহেবে কিরান কে অস্বিকার করা।
আল্লাহ বলেন,
"নিশ্চই আমি কোন জাতীকেই ধ্বংশ করিনা,যতক্ষন না তাদের মধ্যে সুস্পষ্ট সতর্ককারি পাঠাই, যেনো সে তাদের সতর্ক করে দেয়।"
(আল-কুরআন)
♥তাহলে ২৫ সালের ধ্বংশের আগেই হাবিবুল্লাহ ও সাহেবে কিরান প্রকাশ পাবেন।
★হযরত নূহ (আঃ) কে অবিশ্বাস -অ-স্বিকার -ও অত্যাচার করার কারনে গোটা পৃথীবির মানুষ,
★হযরত ছালেহ (আঃ)- কে অবিশ্বাস -অ-স্বিকার -ও অত্যাচার করার কারনে ছামুদ জাতি,
★হযরত হুদ (আঃ)- কে অবিশ্বাস -অ-স্বিকার -ও অত্যাচার করার কারনে আদ জাতি,
★হযরত মুছা ও হারুন( আঃ) কে অবিশ্বাস -অ-স্বিকার -ও অত্যাচার করার কারনে ফেরাউনের জাতি
★হযরত লুত (আঃ)- কে অবিশ্বাস -অ-স্বিকার -ও অত্যাচার করার কারনে তার জাতি
এছাড়াও আরও অনেক জাতী তাদের উপর প্রেরনন কৃত সতর্ককারী দেরকে অবিশ্বাস -অ-স্বিকার -ও অত্যাচার করার কারনে ধ্বংশ হয়েছে।
★আর এবার ইমাম মাহমুদ হাবিবুল্লাহ ও সাহেবে কিরান" কে অবিশ্বাস -অ-স্বিকার -ও অত্যাচার করার কারনে আমরা গজব ডেকে আনবো। তাদের না মানার জন্য।তাদের সাথে কঠিন অন্যায় অবিচার করার মাধ্যমে।
বিশেষত ভারতীয় উপমহাদেশ বাসি সাবধান হওন। কেননা, এই উপমহাদেশেই হয়তোবা হাবিবুল্লাহ ও সাহেবে কিরান রয়েছেন।
সুতরাং,,,,,,,,,সামনের দিন গুলোতে সতর্কতার সাথে পদক্ষেপ নিতে হবে।
ভুল করার কোনই উপায় বা সুজোগ নেই।