Asian Mail 24 :: এশিয়ান মেইল ২৪

Asian Mail 24 :: এশিয়ান মেইল ২৪ দেশ-বিদেশের সকল খবর, একসাথে, এক জায়গায়? Leading Online Newspaper from Dhaka, Bangladesh.
(5)

22/09/2024

পার্থক্যটা শুধু চিন্তায় -

একটি বড় কোম্পানির অফিসের সামনে এক সিঙ্গারা ওয়ালার দোকার ছিল। একদিন এক ম্যানেজার সেই দোকানে সামুচা খেতে গেল।

২টা সামুচা নিয়ে সামুচাওয়ালাকে প্রশ্ন করলো যে, তুমি খুব সুন্দর করে দোকানটা সাজিয়েছো, সিস্টেমগুলো ভালো, সুন্দর এডমিনিষ্ট্রেশন, তাহলে তোমার এত সুন্দর প্লানিং নিয়ে আমার মত জব করলে ভালো হতো না। এই সামুচা বিক্রি করে তো তুমি সময় নষ্ট করছো?

সামুচাওয়ালা হাসি দিয়ে বলল, "স্যার আমার কাজটা আপনার থেকে অনেক ভাল। আজ থেকে ১০ বছর আগে আমি সামুচা বিক্রি করতাম টুকরীতে। তখন আমার আয় ছিল মাসে ১০০০ টাকা এবং আপনার বেতন ছিল ১০ হাজার। আজ ১০ বছর পর আমার আয় ১ লক্ষ এবং কোন কোন মাসে ১ লক্ষ বেশি আর আপনার এখন বেতন ৪০ হাজার। তাহলে আপনার থেকে আমার কাজটা কি বেশি ভালো না?"

"আমার পরে আমার এই ব্যবসা আমার ছেলে দেখবে। সে সাজানো একটা ব্যবসা পাবে। কিন্তু আপনার ছেলে মেয়ে কি আপনার মত পজিশন পাবে? আমি শূন্য (০) থেকে শুরু করেছি। কিন্তু আমার ছেলে মেয়েরা শূন্য (০) থেকে শুরু করবে না। চাকুরীজীবিদের ছেলে মেয়েদের শূন্য (০) থেকেই শুরু করতে হয়। আপনি চাইলেও আপনার পজিশনে আপনার ছেলে মেয়ে কে বসাতে পারবেন না। আপনি ১০ বছর আগে যে কষ্টটা করেছেন; আপনার ছেলে মেয়েদেরকেও একই কষ্ট করতে হবে। আমার ছেলে মেয়েদের ভবিষ্যত গুছিয়ে দেওয়া আমার দায়িত্ব আর আমি তাই করেছি যা আপনি পারেন নাই।"

লোকটা কথাগুলো শুনে ৫০ টাকা বিল পরিশোধ করে চলে গেল। এন্টারপ্রেইনারের জন্ম হয় কঠোর পরিশ্রমে, যার পিছনে থাকে সূদৃঢ় সিদ্ধান্ত, পরিকল্পনা ও পরিশ্রম।

লন্ডনের ভিক্টোরিয়া ডালহৌসিতে আজও রয়েছে একটা কাঠের খেলনা। খেলনাটির নাম টিপুর বাঘ। ব্রিটিশ এক সৈন্যের কলার টেনে ধরে আছে ...
15/09/2024

লন্ডনের ভিক্টোরিয়া ডালহৌসিতে আজও রয়েছে একটা কাঠের খেলনা। খেলনাটির নাম টিপুর বাঘ। ব্রিটিশ এক সৈন্যের কলার টেনে ধরে আছে একটা ভয়ানক হিংস্র বাঘ। এটা কিন্তু কোন মামুলি খেলনা নয়।

বাঘটার শরীরের ভিতরে রয়েছে একটা পাইপ অর্গান। আর হাতলটা ঘুরালে শোনা যায় বাঘের গর্জন সাথে সৈনিকের আর্তনাদ। আবার সৈনিকের হাতটা উঠানামা করে। ১৮ শতকে এ ছিল একেবারে অত্যাধুনিক পদ্ধতি। এই বাঘ আসলে টিপু সুলতানের প্রতীক। তিনি নিজেইতো ছিলেন মহীশুরের বাঘ। আর তার প্রতীকী বাঘই যেন খতম করে ফেলছে শত্রু ইংরেজদেরকে।

শ্রীরঙ্গপতন যুদ্ধে যখন টিপু সুলতানের মৃত্যু হয় তখন ব্রিটিশরা এই খেলনা উদ্ধার করে নিজেদের দেশে নিয়ে যায়। সঙ্গে করে নিয়ে যায় টিপুর বাঘ, খোদাই করা সোনার সিংহাসন, তলোয়ার আরও কত কি। সোনার সেই সিংহাসনটা টুকরো টুকরো করে ভেঙে এক একটা টুকরো এক একজনের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।

বড় বাঘের মাথাটা উপহার দেওয়া হয় রাজা তৃতীয় জর্জকে। আর সিংহাসনের মাথায় মনিমানিক্য বসানো সেই পাখিটা সেটা দেওয়া হয় কুইন কারলটকে। সব দামি দামি জিনিসপত্র নিমেষের মধ্যে সকলে পকেটে পুড়ে দেওয়ার পর বাকি রয়ে গেল এই খেলনাটা। এটাকে তো ভেঙে চুরে আর কোন দাম পাওয়া যাবে না। তাই এটা জায়গা পেল ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির লিডেন হলের মিউজিয়ামে।

টিপু সুলতান ছিলেন ব্রিটিশদের ত্রাস। সেই টিপুকে নিয়ে অনেক রকমের রং মেশানো হিংস্র বর্বর কাহিনী ব্রিটেনে তখন লোকের মুখে মুখে ছিল। বাচ্চারা দুষ্টামি করলে ব্রিটিশ ম্যামরা তাদের বলতো আর একটু দুষ্টামি করলে কিন্তু টিপ সুলতান চলে আসবে।

তাই টিপুর সেই খেলনা ব্রিটিশরা মিউজিয়ামে রেখে দেশবাসীকে বোঝাবার চেষ্টা করেন দেখো ভাই মহিশুরের সেই টিপু সুলতান কতটা ভয়ংকর ছিল। দেখো আমাদের সৈনিকের মৃত্যু নিয়ে সে খেলনা বানিয়েছে। বহু বছর এক এক মিউজিয়াম ঘুরে সেটা এসে পৌঁছায় ভিক্টোরিয়ার মিউজিয়ামে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় লন্ডনে ক্রমাগত বোমা ফেলছে হিটলারের নাৎসি। এমন সময় চরম বোমায় ধসে পড়ল সেই মিউজিয়ামের ছাদ। আর টিপুর বাঘের উপরই পরল। খেলনার উপরের কাঠের অংশটা ভেঙে চুরমার হয়ে যায়। তাও খুব যত্ন করে ঠিকঠাক করে আবার মিউজিয়ামে ফেরত আনা হয়। আজ সেই মিউজিয়ামের অন্যতম সেই খেলনাটা।

'Tipu's Tiger', 1780s or 1790s, Mysore, India. Museum no 2545 (IS). © Victoria and Albert Museum, London

ক্যান্সার আক্রান্ত বারো বছরের মেয়েটাকে ডাক্তার আদর করে জিজ্ঞেস করলেন, 'বড় হয়ে কি হতে চাও মা?'মেয়েটি বললো, "বড় হওয়া...
10/09/2024

ক্যান্সার আক্রান্ত বারো বছরের মেয়েটাকে ডাক্তার আদর করে জিজ্ঞেস করলেন, 'বড় হয়ে কি হতে চাও মা?'
মেয়েটি বললো, "বড় হওয়া পর্যন্ত বাঁচতে চাই"।

স্বপ্নের কত রঙ! আকাঙ্ক্ষার কত আঙ্গিক! বাঁচার আকুতি কত হৃদয়বিদারকা!

হাত বিহীন মানুষটার স্বপ্নের কেন্দ্রবিন্দু যদি আমার হাতগুলো ঠিক থাকতো!
পা ছাড়া লোকের সাধ তো একটাই- যদি একদিন চলতে পারতাম সবার মতই!
অন্ধের স্বপ্ন যদি একটাবারের জন্য দেখতে পারতাম দুনিয়ার রং!!
আর বোবার সব আকাঙ্ক্ষা যেন একটু কথা বলতে পারলেই পূরন হতো!!

মেধাবীর বাবা মা যখন সন্তান গোল্ডেন না পাওয়ার কারণে বকাঝকা করছে, তখন শত বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী সন্তানকে ঘিরে তাদের বাবা মায়ের স্বপ্ন, ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার নয়, সে শুধুমাত্র স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসুক, আপাতত এটুকুই!

আইসিইউ-র ভেতরের মানুষটা শুধু একটাবার কাঁচের দরজার এপাশে বেরুতে চায়! আপনি যখন লেখাটা পড়ছেন, ঠিক এই মূহুর্তে মৃত্যুশয্যায় হাজারো মুমূর্খের আর একটা মাত্র নিঃশ্বাস নেয়ার হাহাকার! এ হাহাকার দুনিয়ার শত ডিপ্রেশনকে ভুলিয়ে দেয়!
শীতের রাতে ফুটপাত, বাসস্টপ কিংবা রেলস্টেশনে মানুষের রাত্রি যাপন করার দৃশ্য বস্তিবাসীদের কষ্টও ভুলিয়ে দেয়। দিনশেষে তার একটু মাথাগোঁজার ঠাঁইটুকুন রয়েছে, এদের সেটাও নেই।
আপনার গ্রামের সবচেয়ে বড়লোক, শহরের উঁচু দালান দেখে নিজেকে হতভাগ্য ভাবেন!

দুনিয়া ধোঁকার বস্তু, কখনো কাউকে তৃপ্ত করবে না। যেন হাওয়াই মিঠাই! আপনি যত অপূর্ণতায় ভোগেন, ভেবে দেখবেন, আপনার সৃষ্টিকর্তা আপনাকে এমন অনেক কিছু দিয়ে রেখেছেন যা অনেকের কাছে এখনো স্বপ্ন।
যে চোখ দিয়ে পড়ছেন, অনেকের সেই চোখে আলো নেই। তিনবেলা পেটপুরে খেয়ে ভালো জামাকাপড় পরে, স্বাচ্ছন্দ্যে দুনিয়ার জমিনে চলতে পেরে সুস্থ থেকেও যদি আপনি বলেন ডিপ্রেশনে আছেন, বেঁচে থাকতে ভালো লাগছে না বলেন, তাহলে আপনি জেনে বুঝে সৃস্ষ্টিকর্তাকে দোষারোপ করছেন! আত্মহত্যা মহাপাপ মনে হয় এই কারণেই।

কিন্তু সমস্যা একটাই- আমরা শুধু অন্যের সুখটাই দেখি!! আর সেটিই বোধহয় আমাদের আসল অসুখ!!!

সোশ্যাল মিডিয়া থেকে নেওয়াগত ২৮ ফেব্রুয়ারী ঘটনা ডামু্ড্যা মধ্য খেয়াঘাট থেকে আমার নজরে পড়ে ২ জন সহপাঠী একসাথে হেঁটে যাচ্...
16/08/2024

সোশ্যাল মিডিয়া থেকে নেওয়া

গত ২৮ ফেব্রুয়ারী ঘটনা ডামু্ড্যা মধ্য খেয়াঘাট থেকে আমার নজরে পড়ে ২ জন সহপাঠী একসাথে হেঁটে যাচ্ছিলো।
একজন খালি পায়ে আরেকজন জুতা পায়ে দৃশ্যটা আমাকে অনেক ভাবায় পরে ওদের পিছু হাঁটি আমি ওদের আমি প্রাইম ব্যাংকের সামনে গিয়ে থামাতে সক্ষম হই আমি প্রথমে সালাম দিলাম ওরা সংকোচিত সুরেই সালামের প্রতি উত্তর দিলো।
জিজ্ঞেস করলাম, "তোমার কোন স্কুলে পড়ো?"
ওরা সহজ সরল ভাবে উত্তর দিলো ক্লাস ৮ এ পড়ে।
বল্লাম তোমার জুতা কোথায়? মুখটা মলিন করে বল্লো আমার জুতা নেই। পরে জিজ্ঞেস করলাম কি হয়েছে খালি পায়ে কেনো? উত্তরে বল্লো, একজোড়া জুতা ছিলো; আমার আব্বা আমাকে কয়েক বার সেলাই করে দিয়েছে। এখন আর পায়ে দেয়ার উপযোগী না। তাই খালি পায়েই স্কুলে এসেছি পরে আমি।

একটা জুতার দোকানে নিয়ে একজোড়া জুতা কিনে দিসি। যদিও ও নিতে রাজি হয়নি কারণ ও অসচ্ছল কিন্তু ব্যাক্তিহীন না। পরে বল্লাম আমার ছোট বোন ইন্টার ফাস্ট ইয়ারে পরে তুমি ওরও ছোট তার মানে আমার ছোট বোনের মতো। বড় ভাই হিসেবে নেও পরে ও জুতাটা নেয় এবং পায়ে দেয় তখন ওর মুখে দেখেছিলাম। ঈদের চাঁদ উঠার আনন্দে শিশুরা যেমন উচ্ছ্বসিত হয় ঠিক তেমন।

আসলে হয়তো ও অনেকের নজরে পরেছে কেউ দেখে ও ওরে দেখেনি। আসলে যে শিক্ষা মানুষের মানবিকতা কে জাগ্রত করতে পারে না সেই শিক্ষা তো কেবল অর্থহীন।

আজকে আমি এই ঘটনাটি শেয়ার করলাম নিজে বড় হওয়ার জন্য না। কিংবা শো-অফ করার জন্য না। সকলের জন্য... কারণ আমাদের আশে পাশে এমন অনেকেই আছে একটু লক্ষ্য করলেই দেখবেন ওদের মতো জীবন সংগ্রামের যোদ্ধা ওদের পাশে সাধ্য অনুযায়ী থাকুন। ধন্যবাদ।

07/08/2024

"বাক স্বাধীনতা" কি সত্যিই আছে, টেস্ট করার জন্যে
বউয়ের কাছে শ্বশুরবাড়ীর বদনাম ও
মায়ের কাছে নানী বাড়ীর বদনাম করা দেখা যেতে পারে।

20/03/2024

এক দুই তিন, ঢাকায় জমি জিতে নিন

নগদ মানেই বাংলাদেশের মানুষের চাওয়ার প্রতিফলন! নগদ লেনদেনে এবার হয়ে যেতে পারেন জমির মালিক। আরো আছে ১০০% পর্যন্ত ক্যাশব্যক, গাড়িসহ ২০ কোটি টাকার পুরস্কার। ৫০০ টাকা বা তার বেশি পেমেন্ট অথবা ১০০ টাকা বা তার বেশি মোবাইল রিচার্জ কিংবা ১,০০০ টাকা বা তার বেশি অ্যাড মানি করলেই এই সুযোগ।

দল বানাতে ক্লিক করুন লিংকে: nagad.io/jmi

Happy 52nd Victory Day of Bangladesh
15/12/2023

Happy 52nd Victory Day of Bangladesh

Address

15 Malibagh Chowdhurypara (8th Floor), DIT Road
Dhaka
1219

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Asian Mail 24 :: এশিয়ান মেইল ২৪ posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Asian Mail 24 :: এশিয়ান মেইল ২৪:

Videos

Share

Nearby media companies