Rixik.com

Rixik.com হালাল রিজিকের সন্ধানে - rixik.com
আপনি এখানে
(1)

10/03/2024

জালাল উদ্দিন রুমির গল্প: তোতা পাখি ও দোকানি
অনেক আগে এক দেশে ছিল এক মুদিদোকানি। তার ছিল সবুজরঙা খুব সুন্দর এক তোতা পাখি। পাখিটি তার দোকানের এক কোণে বসে থাকত।

তোতাপাখিটা চমৎকার গাইতে পারত, কথাও বলত অনর্গল। সেদিক থেকে পাখিটি ছিল দোকানির আদর্শ সঙ্গী। কারণ, তার মিষ্টি গান আর কথা শুনতে সেখানে ভিড় জমাত লোকজন। সেই সঙ্গে প্রহরী হিসেবেও দোকানটি সারা দিন দেখেশুনে রাখত পাখিটি। দোকানে আসা ক্রেতা বা অন্যদের সঙ্গেও আন্তরিক ব্যবহার করত সে। মজার মজার কথা বলে, খেলা দেখিয়ে ক্রেতাদের আনন্দও দিত। পাখিটির কারণেই বিক্রি বেড়ে যেত দোকানের।

একদিন পাখিটিকে দোকানে বসিয়ে দুপুরের খাবার খেতে বাড়ি গেল দোকানি। এমন সময় কোথা থেকে যেন একটা বিড়াল দৌড়ে দোকানের ভেতর হুড়মুড় করে ঢুকে পড়ল। আসলে একটা ইঁদুরকে তাড়াতে তাড়াতে দোকানে এসেছিল বিড়ালটা। আচমকা বিড়ালকে ঢুকে পড়তে দেখে বেশ ভয় পেল তোতাপাখি। সে পড়িমড়ি করে উড়ে নিরাপদ জায়গায় সরে যেতে চাইল। ডানা ঝাপটিয়ে কোনোমতে সরে গিয়ে নিজেকে বাঁচাতে পারল সে। কিন্তু তার পাখার ধাক্কায় তাক থেকে কিছু তেলের শিশি-বোতল নিচে পড়ে ভেঙে চুরমার হয়ে গেল। সেই তেলে ভেসে গেল দোকানের মেঝে।

কিছুক্ষণ পরেই মুদি দোকানে ফিরে এল দোকানি। সেখানে ঢুকেই সবকিছু এলোমেলো দেখতে পেল। মেঝেতে তেল পড়ে পিচ্ছিল হয়ে ছিল। ওদিকে তোতাপাখিটি অপরাধীর ভঙ্গিতে দোকানের এক কোণে বসে থাকতে দেখল সে। মুহূর্তেই রাগে ফেটে পড়ল দোকানি। হাতের কাছে একটা লাঠি পেয়ে তা–ই দিয়ে পাখিটির মাথায় জোরে আঘাত করে বসল সে। বেচারা পাখিটি এতে খুব কষ্ট পেল। কিন্তু মুখে কোনো প্রতিবাদ করতে পারল না সে। কষ্ট সহ্য করতে না পেরে রাগে-দুঃখে সে মাথার সব পালক পায়ের নখ দিয়ে ছিঁড়ে ফেলল।

এই ঘটনার পর কথা বলা ও গান গাওয়া একেবারেই বাদ দিল পাখিটি। অনেক চেষ্টা করেও তাকে কথা বলাতে বা গান গাওয়ানো গেল না। দোকানি ধীরে ধীরে তার ভুল বুঝতে পারল। পাখিটিকে মারা যে খুব অন্যায় হয়েছে, তা হাড়ে হাড়ে টের পেল দোকানি। কারণ সে শুধু আমুদে এক সঙ্গীকেই হারায়নি, সেই সঙ্গে তার ব্যবসাতেও ধস নামতে লাগল।

একদিন দোকানি কাঁদতে কাঁদতে বলতে লাগল, ‘যদি নিজের হাতটা ভেঙে ফেলতে পারতাম! এই হাত দিয়ে আমি কিনা আমরা পাখিটিকে মেরেছি। এমন দানবের মতো আচরণ কীভাবে করতে পারলাম আমি?’

এরপর থেকে ওই দোকানের পাশ দিয়ে কোনো গরিব দরবেশ গেলেই তাকে ভিক্ষা দিতে লাগল দোকানি। তার আশা, ভালো কাজের মাধ্যমে যদি ক্ষমা পাওয়া যায়। তাতে হয়তো তার পাখিটি আবার আগের মতো গান গাইতে আর কথা বলতে শুরু করবে।

টানা তিন দিন, তিন রাত অনুতাপ আর তোতাপাখির নীরবতার শাস্তি ভোগ করল দোকানি। এরপর দোকানির ভাগ্যের চাকা ঘুরতে শুরু করল। এক টাক মাথাওয়ালা দরবেশ সেদিন ওই দোকানের পাশ দিয়ে যাচ্ছিল। দরবেশকে দেখে হঠাৎ তোতাপাখিটি বলে উঠল, ‘তুমিও কি তেলের বোতল ভেঙে ফেলেছিলে নাকি?’

পাখির মুখে এ কথা শুনে দোকানের ক্রেতারা অবাক হয়ে গেল। তারা পাখিটির দিকে তাকিয়ে হাসতে লাগল। কারণ তোতাপাখিটি মনে করেছিল, টাকমাথাওলা দরবেশও বোধ হয় তার মতো শাস্তি ভোগ করছে।

তখন এক ক্রেতা পাখিকে উদ্দেশ করে বলল, ‘শোনো ছোট্ট পাখি, নিজের কাজের সঙ্গে অন্যের কাজ একই রকম মনে কোরো না। একজনের সঙ্গে আরেকজনের তুলনা চলে না। ওপরে ওপরে দেখতে একই মনে হলেও কোনো কিছুই আসলে এক রকম হয় না।’

ভাষান্তর: আবুল বাসার

22/02/2024

গিয়াসুদ্দীন বলবনের ন্যায়পরায়নতা

20/02/2024

গুহাতে আটকে পড়া তিন ব্যক্তির দোয়া-

27/01/2024

অনুপ্রেরণা ও সফলতার গল্প:

“ব্যর্থতা মানেই সব কিছু শেষ হয়ে যাওয়া নয়

সফলতার পথটা একটু দীর্ঘ হওয়া মাত্র…”

22/01/2024

সাপের তওবা, শিক্ষামূলক ইসলামিক ভিডিও --

14/01/2024

ছাত্রের ফেলের খবর দেওয়া শিক্ষকের সাথে ছাত্রের বাবার অসাধারণ - অনুকরণীয় কথোপকথন।

12/01/2024

ইমাম গাজ্জালী (র:) এর একটি শিক্ষামূলক ছোট গল্প!

10/01/2024

বিখ্যাত সম্রাট হারুন-অর-রশিদ এর -ক্ষমাই মহত্ত্বের লক্ষণ।
The famous emperor Harun-or-Rashid's -forgiveness is a sign of greatness.

09/01/2024

অনেক দিন আগে এক স্বার্থপর লোক ছিলো।অন্যের সম্পদে ভাগ বসানোর জন্যে সে সবসময় সুযোগ খুঁজতো। কিন্তু সে তার নিজের সম্পদের এক আনাও কারো সাথে শেয়ার করতে রাজি ছিলো না-তার বন্ধুদের সাথেও না,গরীবদের সাথেও না।

একদিন লোকটি রাস্তায় তার ত্রিশটি স্বর্ণ মুদ্রা হারিয়ে ফেললো।তার এক বন্ধু তার এই স্বর্নমুদ্রা হারানোর কথা শুনলো।সে আবার ছিলো খুব দয়ালু একজন মানুষ।

ঘটনাক্রমে বন্ধুটির মেয়ে রাস্তায় এই ত্রিশটি স্বর্নমদ্রা কুড়িয়ে পেল। সে বাড়িতে ফিরে এই কথা জানালে তার বাবা বলে যে এটা নিশ্চয় তার বন্ধুর হারিয়ে যাওয়া সেই স্বর্নমদ্রা।তাই সে লোকটির কাছে গেল তাকে মুদ্রাগুলো ফিরিয়ে দিতে।

কিন্তু তার স্বার্থপর বন্ধুটি যখন শুনলো যে তার মেয়ে এই মুদ্রা কুড়িয়ে পেয়েছে তখন সে বললো যে ‘আমার মোট চল্লিশটি স্বর্ণ মুদ্রা ছিলো।তোমার মেয়ে নিশ্চয়ই এখান থেকে দশটি মুদ্রা সরিয়েছে।আমাকে তোমার চল্লিশটি মুদ্রাই দিতে হবে।’

একথা শুনে লোকটি রেগে গেল এবং মুদ্রাগুলো সেখানে রেখে চলে গেল।কিন্তু স্বার্থপর বন্ধুটি ছিলো নাছোরবান্দা। সে বিচার নিয়ে আদালতে।

বিচারক তার অভিযোগ মন দিয়ে শুনলো এবং সেই বাবা ও তার মেয়েকে ডেকে পাঠালো।যখন তাদের নিয়ে আসা হলো তখন সে মেয়েটিকে জিজ্ঞেস করলো যে সে কতটি মুদ্রা পেয়েছিলো?মেয়েটি জানালো যে ত্রিশটি স্বর্ণমুদ্রা।বিচারক আবার স্বার্থপর লোকটিকে জিজ্ঞেস করলো সে কতটি মুদ্রা হারিয়েছিল?লোকটি জানালো যে ‘মোট চল্লিশটি স্বণ মুদ্রা’।

বিচারক এবার লোকটিকে জানালো যে মেয়েটি যে মুদ্রা কুড়িয়ে পেয়েছে সেগুলো তার নয় কারন মেয়েটি পেয়েছে ত্রিশটি মুদ্রা কিন্তু সে হারিয়েছে চল্লিশটি মুদ্রা। সে মেয়েটিকে এই মুদ্রাগুলো তার সাথে নিয়ে চলে যেতে বললো এবং জানালো যে যদি কেউ জানায় যে ত্রিশটি মুদ্রা হারিয়েছে তবে তাকে আবার ডেকে পাঠাবে।

বিচারক লোকটিকেও বললো যে কেউ যদি খবর দেয় যে সে চল্লিশটি স্বর্ণমুদ্রা পেয়েছে তবে তাকে ডেকে পাঠানো হবে।তখন সাথে সাথে স্বার্থপর লোকটি স্বীকার করলো যে সে মিথ্যা বলেছিলো এবং আসলে সে ত্রিশটি স্বর্ণমুদ্রাই হারিয়ছে।তাই তাকে সেগুলো ফিরিয়ে দেয়া হোক। কিন্তু বিচারক তার কোনো কথাই শুনলো না।

04/09/2023

Address

Dhaka

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Rixik.com posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Rixik.com:

Videos

Share