M tv

M tv socail media

কোনো মানুষকে তুমি আবেগের valobasa দিওনা,❣️❣️ মনের valobasa দিও।❣️❣️ কারন আবেগটা কোনো একদিন বিবেকের কাছে হেরে যাবে আর মনে...
13/03/2023

কোনো মানুষকে তুমি আবেগের valobasa দিওনা,❣️❣️ মনের valobasa দিও।❣️❣️ কারন আবেগটা কোনো একদিন বিবেকের কাছে হেরে যাবে আর মনের valovasa চিরদিন বেচে থাকবে।❣️❣️!!!!

06/03/2023
বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা ঢাকায় আসছে আজক্রীড়া ডেস্কপ্রকাশ: শুক্রবার, ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, ৭:৫২ এএম | অনলাইন সংস্করণ  Count : 23...
24/02/2023

বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা ঢাকায় আসছে আজ
ক্রীড়া ডেস্ক
প্রকাশ: শুক্রবার, ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, ৭:৫২ এএম | অনলাইন সংস্করণ Count : 23
গত বেশ কিছুদিন ধরেই ক্রিকেটে নতুন মাত্রা যোগ করেছে ইংল্যান্ড। আগ্রাসী ক্রিকেট খেলে যাকে সামনে পাচ্ছে গুঁড়িয়ে দিচ্ছে। হোম-অ্যাওয়ে কোনো পার্থক্যই করছে না তারা। ফল হিসেবে সীমিত ওভারের ক্রিকেটে (ওয়ান ডে ও টি-টোয়েন্টি) দুটো ফরম্যাটেই বিশ্বচ্যাম্পিয়নের মুকুট তাদের মাথায়। ২০১৯ সালে ওয়ান ডে বিশ্বকাপ জয়ের পর গত বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শিরোপাও নিজেদের করে নিয়েছে ইংলিশরা। এমনি অবস্থায় এই দুই ফরম্যাটের বিশ্ববিজয়ীরা বাংলাদেশ সফরে আসছে আজ শুক্রবার। দুটো দলে ভাগ হয়ে আজ ঢাকায় পা রাখবে চ্যাম্পিয়নরা। সন্ধ্যা ৭টায় প্রথম দলটির পৌঁছানোর কথা। এর এক ঘণ্টা বাদে পৌঁছাবে দলের বাকিরা।

এবারের বাংলাদেশ সফরে ৩টি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে ইংল্যান্ড। ওয়ানডে সিরিজের পর শুরু হবে টি-টোয়েন্টি সিরিজ। এই সফরে কোনো প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে না বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। অ্যাওয়ে কন্ডিশনে মূল লড়াইয়ে আগে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলে মানিয়ে নেওয়ার বিষয়টিকে গ্রাহ্যের মধ্যে নেয়নি ইংল্যান্ড। আগামী ১ মার্চ মিরপুরে স্বাগতিক বাংলাদেশের সঙ্গে প্রথম ওয়ানডে লড়াইয়ে নামবে সফরকারীরা। একই ভেন্যুতে ৩ মার্চ দুদলের মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে দ্বিতীয় ওয়ানডে। দুদলের মধ্যে তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডে ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে ৬ মার্চ। এই ম্যাচটির ভেন্যু চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়াম। এই মাঠেই ৯ মার্চ অনুষ্ঠিত হবে প্রথম টি-টোয়েন্টি। এই সিরিজের বাকি দুটো ম্যাচ হবে মিরপুরে।

দুই ফরম্যাটেই সফরকারী দলকে নেতৃত্ব দেবেন জশ বাটলার। ইনজুরির কারণে এই সফরে নেই জনি বেয়ারস্টো, লিয়াম লিভিংস্টোনের মতো সীমিত ওভারের স্পেশালিস্টরা। তারপরও যথেষ্ট শক্তিশালী দল নিয়েই বাংলাদেশ সফরে আসছে বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। স্যাম কুরান, ডেভিড মালান, মইন আলি, জোফরা আরচার, ক্রিস ওকস, ক্রিস জর্ডান, আদিল রশিদরা আছেন দুই ফরম্যাটের দলেই। এদের যেকোনো একজনই গড়ে দিতে পারেন ম্যাচের ভাগ্য।

এদিকে খেলার মধ্যেই আছেন বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। বিপিএলের টাটকা স্বাদ নিয়েই নামবে স্বাগতিকরা। বড় পরিবর্তনও এসেছে। দ্বিতীয় দফায় ফিরেছেন খ্যাতনামা কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। বাংলাদেশের প্রথম মেয়াদে বেশ সাফল্য পেয়েছিলেন এই লঙ্কান কোচ। তার তত্ত্বাবধানেই ঘরের মাটিতে ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার মতো ক্রিকেটের প্রতিষ্ঠিত শক্তিকে টেস্টে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। হাথুরুর সময়ে ঘরের মাঠে স্পিনিং ট্র্যাক বানিয়ে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার কৌশল নিয়েছিল বাংলাদেশ।

হাথুরু পরবর্তী সময়ে অবশ্য আপাদমস্তক ঘূর্ণি ট্র্যাকের কৌশল থেকে কিছুটা সরে আসে বাংলাদেশ। বিশেষ করে দক্ষিণ আফ্রিকার কোচ রাসেল ডমিঙ্গো ঘরোয়া ক্রিকেট পেসবান্ধব উইকেট তৈরিতে বিশেষভাবে মনোযোগ দেন। তার ছোঁয়ায় পেস বোলারদের উন্নতিও বেশ লক্ষণীয়। পেস বোলিং কোচ হিসেবে যোগ দেন এক সময়ের দুনিয়া মাতানো ফাস্ট বোলার অ্যালান ডোনাল্ড। পেসারদের গুরুত্ব দেওয়ার সুফলও মেলে। দেশের বাইরেও টাইগার পেসাররা আলো ছড়ান। তবে হাথুরু যে আবার আগের ফর্মুলায় ফেরত যাবেন তার ইঙ্গিতও সুস্পষ্ট। সম্প্রতি বলেছেন, হোম অ্যাডভান্টেজ নেওয়া উচিত। প্রতিটি দেশই এটা করে। আমাদের দেশে আমরা নিজেদের শক্তি অনুযায়ীই খেলব।

বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের বিপক্ষে স্পিনিং ট্র্যাক বানিয়ে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার কৌশল কতটা কার্যকর হবে সে নিয়ে সংশয় থাকছেই। পেস অ্যাটাকের মতো ইংলিশদের স্পিনিং বিভাগও যথেষ্ট শক্তিশালী। মইন আলি, আদিল রশিদের মতো চ্যাম্পিয়ন স্পিনার আছে দলটিতে। বাংলাদেশ সফরে দলের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন টিন এজ সেনসেশন রেহান আহমেদ। পাকিস্তান সফরে নিজের অভিষেক টেস্টেই স্বাগতিক ব্যাটারদের কাঁদিয়ে ছাড়েন এই লেগ স্পিনার।

প্রকাশ: ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ বাগেরহাটের রামপালে বাংলাদেশ ও ভারত যৌথ উদ্যোগে যখন (২০১২) কয়লাবিদ্যুৎকেন্দ্র প্রতিষ্ঠার উদ্যো...
24/02/2023

প্রকাশ: ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

বাগেরহাটের রামপালে বাংলাদেশ ও ভারত যৌথ উদ্যোগে যখন (২০১২) কয়লাবিদ্যুৎকেন্দ্র প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেয়, তখন বলা হয়েছিল ইউনিটপ্রতি খরচ দাঁড়াবে সাড়ে ৭ থেকে ৮ টাকা। কিন্তু রামপাল উৎপাদনে আসার পর এখন দেখা যাচ্ছে, ব্যয় দাঁড়াচ্ছে ১৪ টাকার বেশি।
কয়লাবিদ্যুতের এই দর এখন ফার্নেস তেল থেকে উৎপাদিত বিদ্যুতের দামের কাছাকাছি। বাড়তি ব্যয়ের কারণ দুটি—এক. বিশ্ববাজারে কয়লার দাম ও মার্কিন ডলারের দাম বেড়ে যাওয়া। দুই. বিদ্যুৎকেন্দ্রের চুক্তির সময় কয়লার মূল্য নির্ধারণ প্রক্রিয়া ‘যথাযথ’ না হওয়া।
বিদ্যুতের বাড়তি দাম দিয়ে বিদ্যুৎকেন্দ্রের ত্রুটিপূর্ণ চুক্তির মাশুল জনগণকেই দিতে হয়।
মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, সাবেক বিদ্যুৎ-সচিব
কয়লাবিদ্যুৎ পরিবেশের জন্য সবচেয়ে ক্ষতিকর বলে গণ্য করা হয়। কিন্তু সরকার এই বিদ্যুতের দিকে ঝুঁকেছিল সাশ্রয়ী দামের কথা বলে। এখন দেখা যাচ্ছে, শুধু রামপাল নয়, পটুয়াখালীর পায়রায় বাংলাদেশ ও চীনের যৌথ বিনিয়োগে প্রতিষ্ঠিত পায়রা কয়লাবিদ্যুৎকেন্দ্র এবং ভারতের আদানি শিল্পগোষ্ঠীর কাছ থেকে আমদানি করা বিদ্যুতের ক্ষেত্রেও বাড়তি দাম পড়ছে। বিষয়টি নিয়ে সরকার এখন ‘কিছু একটা’ করার কথা ভাবছে। কয়লার দাম নির্ধারণের কৌশল ঠিক করতে বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব হাবিবুর রহমানের নেতৃত্বে কাজ করছে উচ্চপর্যায়ের একটি কমিটি।
গত ২৩ জানুয়ারি গঠন করা এই কমিটি বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য কয়লা আমদানির চুক্তিতে সংশ্লিষ্ট আমদানিপ্রক্রিয়া ও সরবরাহপদ্ধতি পর্যালোচনা করছে। কয়লা সরবরাহ, ঋণপত্র খোলা ও আমদানির অনুমতি বিষয়ে সুপারিশ করবে তারা। গত সোমবার দ্বিতীয়বারের মতো বৈঠক করেছে এ কমিটি। বৈঠকে অংশ নেওয়া তিনজন কর্মকর্তা প্রথম আলোকে বলেন, বৈঠকে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের কাছে কয়লা কেনার প্রক্রিয়া নিয়ে জানতে চাওয়া হয়েছে। বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তি নিয়েও আলোচনা হয়েছে। অন্যান্য দেশ কীভাবে কয়লা কেনে, সেটিও দেখা হচ্ছে। আরও বৈঠক করা হবে। এরপর কয়লা কেনার প্রক্রিয়া নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো সুপারিশ বা মতামত জানাবে কমিটি।
কমিটি গঠনের কারণ জানতে চাইলে বিদ্যুৎ-সচিব হাবিবুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, কয়লা আমদানি নিয়ে অভিজ্ঞতার ঘাটতি ছিল। বিদ্যুৎ বিভাগ গঠিত কমিটি এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করবে এবং করণীয় বিষয়ে সুপারিশ করবে। এলএনজি আমদানির ক্ষেত্রে যে দাম পড়ে তা ধরলে গ্যাস থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন খরচও বেশি। বরং কয়লা থেকে কম দামে বিদ্যুৎ পাওয়া যাবে। বিশ্ববাজারে কয়লার দাম কমছে। এটি আরও কমবে।
অবশ্য আগে সরকারের বিভিন্ন পর্যায় থেকে বলা হয়েছিল, তেলভিত্তিক বিদ্যুতের বদলে কয়লাভিত্তিক কেন্দ্রগুলো চালু হলে বিদ্যুৎ উৎপাদনের খরচ কমবে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, খরচ তো কমছেই না বরং মানুষের ওপর চাপ বাড়ছে। জানুয়ারি মাসে খুচরায় দুই দফায় ১০ শতাংশ বেড়েছে বিদ্যুতের দাম।
সব মিলিয়ে গত ১৪ বছরে খুচরায় বিদ্যুতের দাম ১২ দফা বেড়েছে। আর পাইকারিতে বেড়েছে ১১ বার।
গ্যাস থেকে কয়লায় জোর
২০০৫ সালে করা বিদ্যুৎ খাতের প্রথম মহাপরিকল্পনা ছিল গ্যাসনির্ভর। এর পর ২০১০ সালের মহাপরিকল্পনায় কয়লার ওপর জোর দেওয়া হয়। ওই মহাপরিকল্পনা ধরে বড় কয়লাবিদ্যুৎকেন্দ্র প্রতিষ্ঠার অনুমোদন দেওয়া হয়। এর মধ্যে ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট ক্ষমতার পায়রা ও রামপাল, ১ হাজার ২০০ মেগাওয়াটের মাতারবাড়ী বিদ্যুৎকেন্দ্র যেমন রয়েছে, তেমনি রয়েছে চট্টগ্রামে এস আলমের ৬৬০ মেগাওয়াট ক্ষমতার কয়লাবিদ্যুৎকেন্দ্র। বরিশালের বরগুনায় ৩০৭ মেগাওয়াট ক্ষমতার একটি কয়লাবিদ্যুৎকেন্দ্র পরীক্ষামূলকভাবে চালু হয়েছে। আরও কয়েকটি প্রতিষ্ঠার পর্যায়ে রয়েছে।
কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রতিষ্ঠা নিয়ে দেশে বিতর্ক ও আন্দোলন হয়েছে। পরিবেশবাদীরা এসব বিদ্যুৎকেন্দ্র পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর বলে দাবি করেছেন। জবাবে সরকারের পক্ষ থেকে বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো অত্যাধুনিক প্রযুক্তির বলে উল্লেখ করে বলা হয়, এগুলো পরিবেশদূষণ কম করবে। যদিও কয়লাবিদ্যুৎ থেকে সরে আসতে অনুমোদন দেওয়ার পরও সরকার ২০২১ সালের জুনে ১০টি বিদ্যুৎকেন্দ্র বাতিল করেছে।
নতুন কয়লাভিত্তিক কেন্দ্রের মধ্যে ২০২০ সালে প্রথম উৎপাদনে আসে পায়রা। গত ডিসেম্বরে উৎপাদনে আসে রামপাল। ভারতের ঝাড়খন্ড রাজ্যের গোড্ডায় বাংলাদেশে রপ্তানির জন্য প্রতিষ্ঠিত আদানির ১ হাজার ৬০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার কয়লাবিদ্যুৎকেন্দ্রে বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু হবে শিগগিরই।
সব মিলিয়ে এখন বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষমতা ২৩ হাজার ৪৮২ মেগাওয়াট। যার মধ্যে কয়লাবিদ্যুৎ ১২ শতাংশ। অবশ্য এ হিসাবে এখনো আদানি, এস আলম ও বরগুনার বিদ্যুৎকেন্দ্র ধরা হয়নি।
ব্যয় কত দাঁড়াচ্ছে
বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) হিসাব বলছে, গত অর্থবছরে (২০২১-২২) কয়লা থেকে বিদ্যুৎ কিনতে (প্রতি ইউনিট) গড়ে পিডিবি খরচ করেছে ১৩ টাকা ৪০ পয়সা। তবে আমদানি করা কয়লা থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনে খরচ হয়েছে ১৪ টাকা ৭৯ পয়সা। আর ফার্নেস তেলভিত্তিক কেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ কিনতে খরচ হয়েছে ১৬ টাকা ৮৬ পয়সা। বেসরকারি খাতের (আইপিপি) ফার্নেস তেলভিত্তিক কেন্দ্রের উৎপাদন ব্যয় আরও কম।
ফলে দেখা যাচ্ছে কয়লা থেকে উৎপাদিত বিদ্যুৎ এখন আর সস্তা নয়। দাম ফার্নেস তেল থেকে উৎপাদিত বিদ্যুতের কাছাকাছি।
কয়লাবিদ্যুৎকেন্দ্র নিয়ে ডিসেম্বরে একটি পর্যালোচনা করে বিদ্যুৎ বিভাগের নীতি গবেষণা প্রতিষ্ঠান পাওয়ার সেল। তাদের হিসাবেও দেখা যায়, চুক্তির সময় যে দামে বিদ্যুৎ কেনার আশা ছিল, তার চেয়ে এখন প্রায় দ্বিগুণ দাম পড়ছে। যেমন পায়রা থেকে কেনা বিদ্যুতের দর পড়ার কথা ছিল ইউনিটপ্রতি সাড়ে ৬ টাকার মতো। এখন কয়লার দর টনপ্রতি ২৪৫ ডলার ধরা হলে বিদ্যুতের দাম ১৮ টাকা পড়তে পারে।
সস্তায় বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য কয়লায় জোর দেওয়ার সুফল সাধারণ মানুষ পায়নি বলে মনে করেন কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি ও বিদ্যুৎ খাত বিশেষজ্ঞ এম শামসুল আলম। তিনি বলেন, ফার্নেস তেলের চেয়ে অর্ধেকের কম হওয়ার কথা কয়লা থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন খরচ। কিন্তু অযৌক্তিকভাবে লুণ্ঠনমূলক ব্যয় ধরে মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে। তাই সস্তার কয়লা বিদ্যুৎ মুনাফা হয়ে বিনিয়োগকারীদের পকেটে চলে যাচ্ছে। এটা রামপাল, পায়রা, আদানি, সব ক্ষেত্রেই।
পিডিবি সূত্রে পাওয়া তথ্য বলছে, পায়রা থেকে গত অর্থবছরে সংস্থাটি বিদ্যুৎ কিনেছে ইউনিটপ্রতি ১৪ টাকা ৭৯ পয়সায়। এর আগে ২০১৯-২০ অর্থবছরে প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ পাওয়া গিয়েছিল ৬ টাকায়। আদানি গ্রুপের গোড্ডা বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে ইউনিটপ্রতি বিদ্যুৎ সাড়ে ৮ থেকে ৯ টাকায় পাওয়ার প্রত্যাশা ছিল। এখন এটি ১৫ টাকা ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কারণ, আদানি কয়লার দাম বেশি চাচ্ছে। এ নিয়ে আপত্তিও জানিয়েছে বাংলাদেশ। বিষয়টি নিয়ে আলোচনা চলছে।
বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের (বিটিটিসি) গত মাসের একটি প্রতিবেদন বলছে, গত জুলাই মাসে দেশে প্রতি টন কয়লা আমদানি হয়েছে গড়ে ২০৬ মার্কিন ডলার দরে। এর পর থেকে তা কমে অক্টোবরে গড়ে ১৩৪ ডলার দাঁড়ায়। নভেম্বরে দাম একটু বেড়েছে, টনপ্রতি দাঁড়িয়েছে ১৫০ ডলারের কিছু বেশি। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ডিসেম্বর কয়লা আমদানির ঋণপত্র খোলা হয়েছে টনপ্রতি ১১৫ ডলার ধরে। জানুয়ারিতে দর পড়েছে ১১৯ ডলার। অবশ্য কয়লার কমতি দামের মধ্যেও বিদ্যুতের দাম বাড়ছে।
অভিযোগ আছে, রামপাল ও বরগুনার বিদ্যুৎকেন্দ্রের কয়লার দাম বেশি ধরা হচ্ছে। এ নিয়ে গত মাসে আপত্তি জানিয়েছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। এতে কয়লা আমদানিতে বিঘ্ন ঘটে। এরপর রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ থাকে এক মাস।
জানতে চাইলে সাবেক বিদ্যুৎ-সচিব মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান প্রথম আলোকে বলেন, সমস্যার মূলে আসলে ২০১০ সালে করা বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইন। এই আইনের আওতায় উন্মুক্ত দরপত্র ছাড়া বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করা হচ্ছে। উন্মুক্ত দরপত্র হলে প্রতিযোগিতা হতো, কেউ বেশি দাম চাইলে অন্যদের প্রস্তাব দেখে তা বোঝা যেত, সে অনুযায়ী দর-কষাকষিও করা যেত। উন্মুক্ত দরপত্র না হওয়ায় সেটা করা যাচ্ছে না। আবার এসব চুক্তির ক্ষেত্রে দুর্নীতির উপাদানও রয়েছে। তিনি বলেন, বিদ্যুতের বাড়তি দাম দিয়ে বিদ্যুৎকেন্দ্রের ত্রুটিপূর্ণ চুক্তির মাশুল জনগণকেই দিতে হয়।

দ্রব্যমূল্য জনগণের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখার নির্দেশনা প্রধানমন্ত্রীরনিজস্ব প্রতিবেদকপ্রকাশ: শুক্রবার, ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২...
24/02/2023

দ্রব্যমূল্য জনগণের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখার নির্দেশনা প্রধানমন্ত্রীর
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: শুক্রবার, ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, ৫:৪০ এএম | অনলাইন সংস্করণ Count : 26
সামনে পবিত্র রমজান মাস। রোজার মাসে যেন নিত্যপণ্যের বাজার স্থিতিশীল থাকে সে বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সবাইকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। একই সঙ্গে নিত্যপণ্যের বাজার যেন জনগণের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে থাকে সে জন্য নিয়মিত বাজার মনিটর করতে বলা হয়েছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য নিয়ে কেউ যেন কৃত্রিম সংকট তৈরি করতে না পারে তা নিবিড়ভাবে মনিটরিং করার কথা বলা হয়েছে। গতকাল জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের সভায় তিনি এসব নির্দেশনা দিয়েছেন বলে নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে।

সভায় গত সভার সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের অগ্রগতি নিয়ে পর্যালোচনা করা হলেও গুরুত্ব পায় বেশ কয়েকটি বিষয়। এর মধ্যে রয়েছে-দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে সতর্ক থাকা, পাঠ্যবই নিয়ে হেফাজত ইসলাম যেন কোনো ধরনের আন্দোলন করতে না পারে সে বিষয়েও পর্যবেক্ষণ চালানো। সাম্প্রতিক সময়ে ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির ইতিহাস ও সামাজিকবিজ্ঞান অনুশীলনী পাঠ ও বিজ্ঞান অনুসন্ধানী পাঠ্যবই নিয়ে বেশ সমালোচনা হয়।

সূত্রে আরও জানা গেছে, সভায় র‌্যাবের কার্যক্রমের প্রশংসা করা হয়েছে। একই সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র র‌্যাবের ওপর যে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে তা শিগগিরই প্রত্যাহার হবে বলে আশা প্রকাশ করা হয়। তবে র‌্যাবের কার্যক্রম আরও গতিশীল করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে, যেন কোনোভাবে ভাবমূর্তি নষ্ট না হয়।

সভায় বাংলাদেশে যেন কোনোভাবে কোনো ধরনের জঙ্গি সংগঠন মাথা চাড়া দিয়ে উঠতে না পারে তা সার্বক্ষণিকভাবে নজরদারিতে রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে তাদের তৎপরতা লক্ষ করা যাচ্ছে। তাদের মূল লক্ষ্য দেশকে অস্থিতিশীল করা। কেউ যেন কোনো ধরনের নাশকতামূলক কার্যকলাপ করতে না পারে সে বিষয়ে সতর্ক থাকার নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সভায় আগামী গ্রীষ্ম মৌসুমে লোডশেডিং নিয়ে আলোচনা হয়েছে। লোডশেডিংয়ে যেন সেচের কোনো ধরনের ক্ষতি না হয় সে বিষয়ে সচেতন থাকতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

সভায় তিন বাহিনীর প্রধান ছাড়াও জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থার প্রধান ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সচিবসহ সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন বলে সূত্রে জানা গেছে।

20/02/2023

রাজবাড়ী সরকারি কলেজ।।

Address

Dhaka

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when M tv posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Videos

Share