14/01/2023
পরিবার সবার আগে ❤️
তারপর প্রয়োজন। কিন্তু দুটোই দরকার।
প্রয়োজন একটু কমিয়ে নিলে, পরিবারকে নিয়ে বসবাস করা সম্ভব।
ধরেন, আপনি অনেক দামি খাবার খাবেন একা, ১/২ দিন ভালো লাগলেও, পরে আর লাগবে নাহ, হয়তো কখনোই ভালো লাগবে না৷
অথচ, মাঝারি মানের বা সাধারন খাবার ও আপনি সবার সাথে খেলে তৃপ্তি পাবেন৷
৭৬ ইন্চি টিভি পড়ে থাকবে, চালানোর ইচ্ছে হবে না। গাড়ি থাকবে গ্যারেজে ঘুরতে ইচ্ছা হবে না৷
দামি জামা কাপড় পরবেন কিন্তু,,,নিজেকে সুন্দর দেখাবে এটা-সেটা করলে সেই ইচ্ছা আর হবে নাহ৷ ল্যাক্সারি রুমে ঘুমাবেন, কথা বলার মানুষ খুবই কম।
ধরেন,বছরে ১ কোটি টাকা বেতন থাকতে হবে দুবাই, আর ২৪ লাখ টাকা বেতন থাকতে হবে নিজ দেশে। ঐ ২৪ লাখ ই সঠিক সিদ্ধান্ত। ইকোনমি ইমোশন বোঝে না৷ তেমনি আপনার ১ কোটি ২৪ লাখের মধ্য লাভের ডিফারেন্স বুঝবে না৷ আপনাকে বুঝাবে, কত লস করলেন৷ কিন্তু ১ কোটি কামানো আপনাকে কেউ ই চিনবে না সেখানে, পিপিলিকার মতোই সেখানে থাকবেন আপনি,,নিজের জন্য ছাড়া কেউ উপকারে আসবে নাহ আপনার দ্বারা।
জীবনে উন্নতি করবেন, ভাল জীবন জাপন ও শিক্ষার জন্য সূদূরে যাবেন, অবশ্যই। কিন্তু যদি দ্বায়িত্ব থেকে থাকে আপনার উপর, ততদূরে যান, যতদূর প্রিয়জনদের নেওয়া সম্ভব।
২৫-৪৫ =২০ বিশটা বছর পর রিয়ালাইজ করলে বুঝতে পারবেন, যা মিস করে গেসেন র ফিরে পাবেন নাহ৷ চাইলেও র ফেরানো সম্ভব না,যারা আপনাকে ভালোবেসে বড় করেছেন তাদের জন্য র রিটার্ন দাওয়ার সুযোগ পেলেন না।
নিজের করা সম্পদ নিজে খেতে আর পারবেন নাহ, রেখে যেতে হবে, পরের জেনারেশন এর জন্য,,, তখন থেমে যাবেন?? পারবেন নাহ,, আপনার উচ্চাকান্খা র চেয়ে বড় আপনার ভবিষ্যৎ প্রজন্মের উচ্চাকান্খা।।। আপনি সেখানে সাপ্লায়ার। দাওয়া বন্ধ করলেই আপনি খারাপ হয়ে যাবেন৷ আপনার রেখে যাওয়া সপ্ন ১ নিমিষেই সবাই বিক্রি করে চলে যাবে, তাদের ব্যাক্তিগত জগতে।।
সন্তান কে সুশিক্ষা যেমন দিবেন ------------------তেমনি পাশাপাশি সামাজিক,,পারিবারিক,,মানবিক,,নৌতিক,, আচার ব্যাবহার ও ধর্মীয় শিক্ষা অবশ্যই দিন৷
নাহ হলে শিক্ষিত বানালেও খুব একটা লাভ হবে নাহ।।।
পাশাপাশি নিজের সম্পদ ও ইনকাম নিজে ও আপনার পরিবার নিয়ে উপভোগ করে, সেইফটি রেখে,,সমাজের কাজে ব্যায় করে,,,, তারপর অবশিষ্ট রাখতে পারেন ফিউচার জেনারেশন এর জন্য।
সোসাইল মিডিয়াতে সবাই ভালো ভালো জিনিস দেয়, এটা গুড।।। পজিটিভ ভাইব দেয়।
তবে এর একটি ডার্ক সাইড আছে,,সবার ভালো দেখে নিজের ভেতর অজান্তেই চাহিদা ও আফসোস তৈরি করে ফেলি। নিজের অবস্হান বুঝেই আপনাকে আপনার চাহিদা তৈরি করতে হবে৷ আর এটা হয়,,,জখন হয় আপনি পরিবার থেকে বেশী দূরে থাকেন।
কারন পরিবার একটা ব্যাস্ততম প্রতিষ্ঠান, এখানে ২৪ ঘন্টা এতো হাসি,খুশি, খুনসুটি, সমস্যা লেগে থাকে,, নিজের কাজের পর এর এই সব করতে করতে সময় ই পাওয়া টাফ।
যার দ্বারা ইনফ্লুয়েন্স হচ্ছেন, তার পারিবারিক চাপ নেয় বলেই, সোস্যাল মিডিয়াতে তিনি সময় দেন। শহূরে একা জীবন ভালো লাগে না বলেই এই ডিজিটাল মাধ্যমে বিজি রেখেছেন নিজেদের।
আপনাকে তার মতো হতে হলে, আলাদা ভাবে চিন্তা করতে হবে। একা একা চিন্তা করতে হবে৷
এসবের লাইফ লেইন্থ ৫/৬; বছর,,তারপর?
কিন্তু একা কখোনো সুখ পাবেন না। ভাগ করে করার মতো যে সুখ পাবেন। দাওয়ার মধ্যে যে সুখ পাবেন৷ সবার উপস্থিতি জিনিস টাই হ্যাপিনেছ।
পরিবার ছাড়া --আপনি যেটাই করেন না কেনো!!! লং রানে আপনার ই লস৷
(((এক্সেপশন আলাদা বিষয়)))
চাহিদা ---টা পারিবারিক চাহিদার সামান্য উপরে রাখুন। পরিবারে থেকে বেশী করতে পারলে সেটাও করুন। কারন তারপরই সমাজে কিছু করতে পারবেন।
পরিবার --হলো অস্তিত্ব।।। ও শেষ ঠিকানা। মারা গেলেও অন্য সমাজ,, অন্য পারিবার নেবে না। আপনার প্রিয়জনরা ছাড়া।