Knowledge Entertainment BD

Knowledge Entertainment BD We newcomers on Youtube. Our Channel has premiered on 4/09/2020 recently.Now, we need 1000 subscribe

01/01/2022

.......

    for  ......... ♥
03/10/2021

for ......... ♥

আমাদের সকলেরই এমন বিনয়ী হওয়া উচিত........ https://youtu.be/GqoG4U3EDp4
14/09/2021

আমাদের সকলেরই এমন বিনয়ী হওয়া উচিত........
https://youtu.be/GqoG4U3EDp4

Presenting Bangla Waz "" by Abrarul Haque Asif। Watch Islamic bangla waz mahfil and get any kind of life solution from Islamic waz. Islam is the complete cod...

16/08/2021

♦ পরিমনি বনাম বাংলাদেশ ক্রিকেট (ফানি নিউজ)
♦ Porimoni VS Bangladesh Cricket (Funny News)

#পরিমনি VS

|♦| এ দোয়াটি জিলহজ মাসের ৯ম-১৩ তম দিনের ওয়াজিব দোয়া | |♦|♦| তাই এই ওয়াজিব আমল থেকে যাতে কেউই বাদ না যায় সেজন্য বেশি থ...
19/07/2021

|♦| এ দোয়াটি জিলহজ মাসের ৯ম-১৩ তম দিনের ওয়াজিব দোয়া | |♦
|♦| তাই এই ওয়াজিব আমল থেকে যাতে কেউই বাদ না যায় সেজন্য বেশি থেকে বেশি মানুষের কাছে শেয়ার করে এই আমলটি পৌঁছে দিতে সাহায্য করি।

|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||

| ♦ | This prayer is obligatory prayer on the 9th-13th day of Jilhaj month |
| ♦ | So I help to reach this obligatory period by sharing it with as many people as possible so that no one is left out.

|♦| নিবিড় পল্লী থেকে আসা বনেদী শহরবাসীর জীবনের গল্প। ♦|নিবিড় সেই পল্লী জীবন, যেখানে ছিল না চলাচলের ভাল রাস্তাঘাট, পথে পথ...
25/06/2021

|♦| নিবিড় পল্লী থেকে আসা বনেদী শহরবাসীর জীবনের গল্প। ♦|

নিবিড় সেই পল্লী জীবন, যেখানে ছিল না চলাচলের ভাল রাস্তাঘাট, পথে পথে বাঁশের সাঁকো আর ফেরি নৌকায় পারাপার হয়ে যেত হয়েছে উপজেলা, জেলা শহরে, সেও বহুদূরের পথ। দিনব্যাপী হাঁটা ছাড়া আর কোন বাহন বলতে নৌকাই ছিল যেখানে অবলম্বন, তবে সেটাও বর্ষাকালের জন্য। সে দিনটা ছিল ১৯৭৯ইং সালের ২৮শে আগষ্ট মঙ্গলবার সকাল ৯ টায় ঢাকায় আসার উদ্দেশ্য যাত্রা করেছিলেন আজকের এই শহরবাসী লোকটি। তিনি সেই দিন বাড়ী থেকে আসার সময় স্যান্ডেল হাতে লুঙ্গি পড়ে ক্ষেতের আইল ধরে সুদূর ১৫ কিলোমিটার পথ হেটে জেলা শহর নেত্রকোনায় পৌঁছান। দিন গড়িয়ে রাত হয়ে আসলে মোহনগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা ময়মনসিংহগামী ট্রেনে চড়ে ময়মনসিংহ জংশন স্টেশনে পৌঁছান। তারপর অপেক্ষা বাহাদুরাবাদ ঘাট থেকে ছেড়ে আসা এইটডাউন লোকাল ট্রেনের জন্য। সেই এইটডাউন লোকাল ট্রেন রাত সাড়ে তিনটায় ময়মনসিংহ জংশন স্টেশন থেকে ছেড়ে ঢাকায় কমলাপুর স্টেশনে পৌঁছায় তখন সময় সকাল সাড়ে আটটা। ঘুমকাতুরে ও সারাদিনের ক্লান্তি ও অবসাদে তিনি পৌঁছালেন উত্তর শাহজাহানপুর রেলওয়ে কলোনীর ৬নং বিল্ডিং-এ। রেলওয়ে কলোনীর ৬নং বিল্ডিং-এ তখন সাবলেট হিসেবে তাঁর চাচাতো ভাই সপরিবারে থাকতেন।

১৯৭৮ইং সনের মে মাসের কোন এক তারিখে জীবনে প্রথমবার ঢাকায় এসেছিলেন বেড়াতে, সেই সময়ে ভাবী বলেছিলেন ডিগ্রী পরীক্ষার পর যেন ঢাকায় চলে আসেন। ছেলে-মেয়েদের গাইড করা তথা পড়াশোনায় সাহায্যে করার জন্য বড় ভাবী তাঁকে ঢাকায় আসতে বলেছিলেন। তাই তিনি কথা রাখলেন এবং আসলেনও কিন্তু, সমস্যা হ'লো রাতে শুতে হবে বারান্দায় সে যাই হউক, মশারী নেই, মশার কামড় খেতে হবে, আপত্তি দেয়ায় ভাবী অনেক খোঁজাখুঁজির পর একটা মশারী যোগার করলেন সেটাও ছিল কয়েক জায়গায় ছেঁড়া। তবে ঘুমের ঘোরে মশার কামড় খেয়ে শরীরটা একদম জ্বালাপালা হয়ে গিয়েছিল। সেই ভাই-ভাবীর পরিবারে ৯মাস থাকার পর নিজ চেষ্টায় চলে যান সিদ্ধেশ্বরী মহল্লায়, কিন্তু শাহজাহানপুর মহল্লার মায়া ছাড়তে পারেননি, তাই পুনরায় চলে আসেন শাহজাহানপুরে। আর এই শাহাজাহানপুরের একটি স্মৃতি মনে পড়ে, রাতের খাবারের ব্যবস্থা হয়নি। সময় তখন বারোটা, হোটেলগুলোও বন্ধ করার প্রস্তুতি নিচ্ছে, তাই শহীদবাগ মহল্লায় মেছে থাকা সরকারি জগন্নাথ কলেজের ছাত্রের নিকট দুই টাকা হাওলাত চেয়ে না পেয়ে সেই ছাত্রের রুমমেইটের নিকট থেকে দুই টাকা ও নিজের কাছ থাকা এক টাকা চার আনা, এই মোট তিন টাকা চার আনা দিয়ে শহীদবাগ হোটেল সে রাতের খাবার সম্পন্ন করলেন। তখন টাকা রোজগারের একটাই পথ সে হ'লো বাসায় বাসায় গিয়ে ছাত্র-ছাত্র‍ী প্রাইভেট পড়ানো। আজকের এই বনেদী শহরবাসী লোকটির জন্ম ১৯৫৩ইং সনের মে মাসে, তখন ছিল পবিত্র রমজান মাস ফজরের নামাজের সময়টাই ছিল জন্মক্ষণ। তাঁর মা তাকে শোনাতেন তাঁর জন্ম রমজান মাসে হওয়ায় সারা রমজান মায়ের আর রোজা রাখা হয়নি। মা এখন কবরবাসী মা'র এই কথাটি প্রায়ই মনে পড়ে, তিনি আবেগাপ্লুত হয়ে যান, কারণ ১৯৫৮ইং সনের নভেম্বর মাসে বাবা মারা যাওয়ার পর থেকেই তাঁদের চার ভাইবোনকে নিয়ে সংসারের দায়ভার পড়লো মায়ের কাঁধে৷ যদিও পিতার রেখে যাওয়া চাষের জমি ছিল ১৮বিঘা, কিন্তু বর্গা চাষীদের নিকট থেকে ফসল বুঝে নেয়া, সেও অনেক ঝামেলা পোহাতে হয়েছে৷ তাই মাকে সংসার চালাতে গিয়ে অনেক কষ্ট করতে হয়েছে, এই ভেবে তিনি দীর্ঘশ্বাস ফেলেন৷ লেখাপড়া শুরু হয়েছিল নানা বাড়ীতে বাল্যশিক্ষা দিয়ে, পরবর্তীকালে বড় ভাইয়ের সাথে সুসং দূর্গাপুর এলাকায় সুনাম খ্যাতি সম্পন্ন 'মৌ' মাদ্রাসায়। কিন্তু মাদ্রাসা শিক্ষকের কঠোর শাসনের কারণে সে যাত্রায় মাদ্রাসায় লেখাপড়া পাঠ চুকিয়ে বাড়ী এসে, পাশের গ্রামের প্রাইমারী স্কুলে ১৯৬৪ইং সনে দ্বিতীয় শ্রেণীতে ভর্তি হন। তারপর থেকে আর পিছনে তাকাতে হয়নি, কিন্তু ঐ সময়কার সমাজ সভ্যতায় দাদাজান ছিলেন গদীনিশিন পীর সাহেব এবং বাবা ছিলেন ময়মনসিংহ জজকোর্টের জুরি বোর্ডের মেম্বার এবং নিজ বাড়ীর প্রাঙ্গনে অবস্থিত সাড়ে তিনশত বছরের পুরানো এবং কয়েকটি গ্রামের একমাত্র মসজিদটির ঈমাম। বড় চাচা ছিলেন নেত্রকোনা আঞ্জুমান গভঃ হাই স্কুলের হেড মাওলানা এবং মেঝো চাচা ছিলেন দাদাজানের দেয়া খেলাফত প্র‍াপ্ত গদীনিশিন পীর সাহেব। দাদাজান যদিও বেঁচে নেই তবুও পারিবারিক ঐতিহ্যের কারণে মাদ্রাসা শিক্ষাই ছিল তাঁর প্রাথমিক গুরুত্ব।

১৯৬৭ইং সনে প্র‍াইমারী স্কলারশীপ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করায় মেধাবী হিসেবে জ্ঞাতি পাওয়ায় তাঁকে নিকটবর্তী কোন হাই স্কুলে ভর্তি না করে পাশের উপজেলার খ্যাতি সম্পন্ন সি.কে.পি ইনস্টিটিউশন বারহাট্টায় ভর্তি করা হয়। তাঁকে ৬ষ্ঠ শ্র‍েণীতে ভর্তি কালীন সময়ে অনিবার্য কারণে জন্ম ১৯৫৭ইং সন লিখতে হয়েছে। ১৯৭০ইং সনে ৮ম শ্র‍েণীতেও জুনিয়র স্কলারশিপ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করারও সুযোগ হাত ছাড়া হয়নি। ১৯৭৩ইং সনে এস,এস,সি এবং নেত্রকোনা কলেজ থেকে ১৯৭৫ইং সনে এইচ,এস,সি ও ১৯৭৮ইং সনে স্নাতক পাশের পর ১৯৮১ইং সনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত তৎকালীন সরকারী জগন্নাথ কলেজ থেকে রাষ্ট্র বিজ্ঞানে এম,এস,এস ডিগ্রী অর্জন করেন (তবে সেশন জোটের কারনে ১৯৮৩ ইং সালে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়)। ইত্যবসরে সরকারী চাকুরীর বয়স ২৭ বছর অতিক্রম করায় বিভিন্ন পত্রিকায় চাকুরী করা শুরু করেন। কিন্তু ১৯৮৩ইং সনের ৩০ নভেম্বরে ঢাকায় শাহজাহানপুর নিবাসী জনৈক বাড়ীওয়ালার মেয়ের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। এ বিয়ের ঘটক হিসেবে তখন দায়িত্ব পালন করেন তৎকালীন সময়ে কমলাপুর স্টেশনের সদ্য অবসরপ্রাপ্ত স্টেশন মাস্টার মহোদয়।

তিনি ১৯৮৬ইং সনে ব্র‍্যাক-আরডিপিতে প্রোগ্র‍াম অর্গানাইজার পদে চাকুরীতে যোগদান করেন এবং ১৯৯০ইং সন থেকে ১৯৯৩ইং সনে পর্যন্ত অত্র‍ ব্র‍্যাক-আরডিপির ব্র‍াঞ্চ ম্যানেজার হিসেবে দায়িত্বরত ছিলেন৷ পরবর্তীকালে এনজিও বিষয়ক কনসালটেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে এলএল.বি-তে ভর্তি হয়ে সফলতার সাথে এলএল.বি পাশ করেন। তিনি ৩ (তিন) সন্তানের জনক এক মেয়ে ও দুই ছেলে। মেয়ে ও ছেলেরা লেখাপড়ায় ভাল ফলাফল করেছে এবং মাস্টার্স ডিগ্রী অর্জন করেছে। দীর্ঘদিন তিনি শাহজাহানপুর ও খিলগাঁও মহল্লায় ভাড়া বাড়ীতে বসবাস করেছেন, বর্তমানে পূর্ব নন্দীপাড়ায় নিজস্ব বাড়ীতে বসবাস করছেন। তিনি নিজে এখন আর গ্রামের বাড়ীতে যাওয়ার সময় করতে পারেন না বা সময় হয় না। এদিকে ছেলে-মেয়েও দাদার বাড়ীতে যাওয়ার খুব একটা তাগিদ অনুভব করে না। তাই বলছি যে, এভাবেই দিনে দিনে সৃষ্টি হয়েছে আজকের এ তথা কথিত বনেদী শহরবাসীর সংখ্যা। নিবিড় পল্লী থেকে আসা বিশাল এ জনগোষ্ঠী গড়ে তুলেছে ঘনবসতি এ প্রাণের শহর ঢাকায়। পিতা-মাতার ভিটে-মাটির জন্য তাঁদের আর মন পোড়ায় না, সে সাথে গ্রামীণ জনপদেও কেবলই বিরাজ করছে গভীর শূন্যতা এবং শূন্যতা।

© ♦-খন্দকার হাবিবুর রহমান♦

24/06/2021

♦| জমি নিয়ে মারামারি ।। বগুরার সাম্প্রতিক ভাইরাল ঘটনা ।। The Fight About The Land।। .....................................................................
♦| বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগের বগুড়া জেলায় অবস্থিত সোনাতলা ইউনিয়নে এবছর ২০২১ সালের জুন মাসের ১১ তারিখ শুক্রবার সকাল ১১ টায় জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে গ্রামের দুই পরিবারের মধ্যে এই সংঘর্ষের ঘটনাটি সংঘটিত হয়। ||♦

♦| ভিডিও এবং তথ্য সংগ্রাহকের কৃতিত্বঃ আব রাজ্জাক ফেসবুক একাউন্ট।

♦ তাকে সময় দিচ্ছেন তো???♦ তারা বেশি কিছু চায়না, ৷৷    শুধু একটু সময় দিন |♥|আমার বিয়ের ১৯ দিন আগে আমি প্রথম চাকরি পাই। ...
17/06/2021

♦ তাকে সময় দিচ্ছেন তো???
♦ তারা বেশি কিছু চায়না,
৷৷ শুধু একটু সময় দিন |♥|

আমার বিয়ের ১৯ দিন আগে আমি প্রথম চাকরি পাই। মাত্র ১৯ দিন আগে। প্রেম করেছিলাম আপনাদের ভাবীর সাথে। এক সাথেই পড়াশোনা করতাম। আমার হয়ত বিয়ের জন্য সঠিক সময় হয় নাই কিন্তু আপনাদের ভাবীর তখন বিয়ের জন্য পারফেক্ট সময় ছিলো। তাই চাকরিটা পেয়েই বিয়ের সিদ্ধান্ত নিলাম। আব্বা আম্মাও বেশ সাপোর্ট দিলো। তবে আমার বেতন একটা সংসার টানার জন্য যথেষ্ট ছিলো না। একদমই না। তাই আমি একটু দুশ্চিন্তায় ছিলাম বিয়ের ব্যাপারে ।

যাই হোক নতুন অফিসে কেউ সিগারেট খেতেও আমাকে ডাক দিতো না। নতুন হিসেবে অফিসে আমাকে তেমন কেউ পাত্তাই দিত না। আমিই সেধে সেধে গিয়ে কথা বলতাম।অফিস শেষে মোটামুটি সবাইকে দেখতাম নিচে দাঁড়িয়ে সিগারেট খায়। গল্প করে। কিন্তু একজন সিনিয়ির স্যারকে কখনো দাড়াতে দেখতাম না। অফিস ছুটির পর দেখতাম সে ডানে বামে না দেখে সোজা বাসার দিকে হাঁটা দিতো।
একদিন খেয়াল করলাম আমাদের এক সিনিয়র ভাই তাকে সিগারেট খেতে ডাকছে। ঐ স্যার আসলেন না। একতা ভদ্রতা মূলক হাসি দিয়ে দুঃখিত বলে চলে গেলেন।

উনি চলে যাওয়ার সাথে সাথে বাকিরা বলে উঠলে “ এমন বৌ পাগলা বেডা জীবনেও দেখি নাই” কথাটা আমার কাছে কিছুটা আপত্তিকরই মনে হলো। নতুন তাই শুধু শুনলাম কোনো কথা বললাম না।
তার দুদিন পর অফিসের সবাই শুক্রবারে প্লান করলো ঘুরতে যাবে । স্যারকে আমন্ত্রণ জানানো হলো আর সে সেদিনও বলল

“না রে ভাই সম্ভব না। আপনাদের ভাবীর জন্মদিন গেলো মঙ্গলবার । অফিসের কারনে সেদিন দেরী করে বাসায় ফিরেছি। কাল একটু ঘুরতে যাবো।”
সেদিন আমার কাছে বেশ ইন্টারেস্টিং লাগলো। আমার পাশের টেবিলে বসা লোকটা বলল
- উনারে যে কে ডাকতে যায়। জানে যে উনি যাবে না হুদাই মুখের শব্দ অপচয় করে।

সেদিন একটু সাহস করে কথা বললাম আমি।
- স্যার খুব পরিবারের প্রতি দুর্বল। তাই না?
- আরে ধুর মিয়া কিসের দুর্বল? আমাদের কি বৌ সংসার নাই নাকি? তার মত এমন বৌ পাগল না আমরা।

একটা চা বিড়ি খায় না। কেমন যেনো নিরামিষ টাইপ।
- অনেকেই তো খায় না।
- আরে মিয়া আগে খাইতো। বিয়ার পর থেকে খায় না। আগে আমাদের সাথে এদিক সেদিক ঘুরতেও যাইতো বিয়ের পর থেকে কিছুই করে না। বেটি মাইনসের মতন ঢং করে। গা টা জ্বলে এগুলা দেখলে।

আমি আর কিছু বললাম না। তার কয়দিনপর আমার বিয়ের কার্ড নিয়ে রফিক স্যারের কাছে গেলাম। স্যার খুব অমায়িক মানুষ। আমাকে দেখে এত সিনিয়র মানুষ উঠে হাত মিলিয়ে শুভেচ্ছা জানালেন। আমাকে তার ডেস্কে বসিয়ে বললেন

- নতুন জীবন শুরু করছেন। নিজেও ভালো থাকেন,তাকেও ভালো রাখেন।
- জ্বী স্যার। স্যার আমি আপনাকে পরিবারবর্গ দাওয়াত করেছি। আমি জানি আপনি ম্যাডামকে ছাড়া কোথাও যান না। তাই ...............

- হা হা, (হাসি দিয়ে) না বিষয়টা এমন না। তাকে ছাড়াও চলাফেরা করি কিন্তু সেটা খুব কম। এই অফিসে আমাকে অনেকে বৌ পাগলা বলে। সেটা আমি জানি কিন্তু খারাপ লাগে না। কখনো উত্তরও দেই না।
- জ্বী স্যার।

- শুনো । সবাই যখন প্রতিদিন ১০০ টাকার সিগারেট খায় আমি তখন ঐ ১০০ টাকা দিয়ে প্রতিদিন তোমাদের ম্যাডামের জন্য টুকিটাকি কিছু কিনে বাসায় ফিরি। মেয়ে মানুষ এসব খুব পছন্দ করে। মাঝে মাঝে ১০০ টাকাও খরচ হয় না। ১০ টাকার ফুল নিলেই খুশি। আমি চাইলেই রাত করে বাসায় ফিরতে পারি। সবার সাথে আড্ডা দিতে পারি।

কিন্তু যেদিন থেকে ভাবছি কেউ আমার জন্য সকাল থেকে অপেক্ষায় আছে। শুধু ঘরের কাজ করার জন্য বিয়ে করি নাই। তারও ইচ্ছা করে আমার সাথে সারাদিনের অত শত গল্প করতে। সে শুধু আমার সাথে রাতে ঘুমানোর কোন প্রোডাক্ট না , সেদিন থেকে আমি তাড়াতাড়ি বাসায় ফিরে গিয়েছি। তাকে সময় দিয়েছি। আমি চাইলেই বাইরে একা ঘুরতে যেতে পারি। সে আমাকে মানা করবে না এমনকি আমাকে সে ই মাঝে মাঝে ঘুরতে যেতে বলে তাকে রেখে। আমিই আসি না। আচ্ছা ইফতি বলেন তো তার কি আমার সাথে ঘুরতে ইচ্ছা হতে পারে না? সব শখ কি শুধুই পুরুষ মানুষের?

এই মেয়েগুলারও ইচ্ছা করে ...বুঝছেন? আমাকে বৌ পাগল বললে আমি একদমই রাগ হই না। তাছাড়া যেই মানুষ আমার সাথে মৃত্যুর আগে পর্যন্ত থাকবে তার জন্য পাগল হওয়া আমি যৌক্তিক মনে করি । বন্ধু কলিগ কেউই মরার সময় মুখে পানি দিবে না। যে দিবে সে হলো স্ত্রী। যে আমাকে ভালো রাখার চেষ্টা করবে সে হলো আমার স্ত্রী।

তাই তাকে ভালো রাখাটা আমার কাছে মূখ্যম। আমি তাকে ভালো রাখতে পারি বলে সে সারাদিন আমার ঘরকে ভালো রাখে। আমার বাবা মা কে ভালো রাখেন। পারিবারিক দিক দিয়ে আমি সুখী।

কয়েক মিনিটের জন্য আমি স্তব্ধ হয়ে তাকিয়ে রইলাম। লোকটার দিকে ভালো মত তাকালে বুঝা যায় সে আসলেও ভালো আছেন। আর এই ভাল রাখাটা খুব সহজ প্রক্রিয়া। আমি স্যার কে ধন্যবাদ বলে বের হয়ে আসার সময় স্যার বললেন

- ইফতি আমি আশা করি একদিন আপনার সুখে থাকার গল্পও কেউ গভীর মনোযোগ দিয়ে শুনবে , শিখবে আর সে নিজেও ভালো থাকার চেষ্টা করবে।
আমি সেদিন স্যারের কথা শুনে রুম থেকে বের হয়ে কেঁদে ফেললাম। অনেক শক্তি পেলাম। অল্প বেতন পেয়েও সাংসারিক জীবনে সুখে থাকার উপায় শিখলাম। বিয়ের ভয়টা কেটে গেলো।

আসলেও ভাই সারাদিন অফিস করে যদি স্ত্রীর গোমড়া মুখ দেখেন তাহলে তো ফাস্ট্রেশনে ভুগবেনই। একটা পুরুষ মানুষ কে শারীরিক আর মানসিক ভাবে সুস্থ রাখতে তার স্ত্রী ই যথেষ্ঠ। যে সুস্থ রাখবে তাকে আগে ভালো রাখা উচিৎ ...

আমি নিজেও ৬ বছর ধরে এভাবেই চলে আসছি। ভালো ও আছি। দিনশেষে যখন তনুর মুখের হাসি দেখি এমনেই ক্লান্তি হারিয়ে যায়। আমি ভালো আছি। আমরা ভালো আছি। বেতন অল্প হলেও শান্তির কোন কমতি শুরু থেকেই ছিলো না। এখনো নাই।

ইফতির কথা শেষ হওয়ার পর মিজান সাহেব বললেন “ আমার জন্য দোয়া কইরেন যাতে আমিও কোনদিন এমন করে কাউকে ভালো থাকার গল্পটা বলতে পারি” ...।। মিজান সাহেব ইমোশনাল হয়ে গেলেন।
ইফতি হেসে রফিক স্যারের কথা মনে করলেন।

অনেকদিন হলো স্যারের কোন খোঁজ নেওয়া হয় না। আজই একটা ফোন করবে ইফতি। অফিস ছুটি এখন বাসায় যাওয়ার পালা। বিয়ের পর থেকে সে ও সিগারেটটা ছেড়েই দিলো। সে ও এখন তনুর জন্য ফেরার সময় কিছু না কিছু নিয়ে যায়। আজ সে নিবে “জিলাপী” ...... সেটা দেখে নিশ্চয়ইই তনু দৌড়ে এসে বলবে “ তুমি কেমনে জানো আমার আজকে জিলাপী খেতে ইচ্ছা করছে ?” .
..........................♥|সংগৃহীত|♥........….......…...

♦রিজিক♦♦রিজিকের সর্বনিম্ন স্তর: টাকা, পয়সা, অর্থ,  সম্পদ।সর্বোচ্চ স্তর: শারীরিক ও মানসিক সুস্থতা।সর্বোত্তম স্তর: পুণ্যবা...
08/06/2021

♦রিজিক♦♦

রিজিকের সর্বনিম্ন স্তর: টাকা, পয়সা, অর্থ, সম্পদ।

সর্বোচ্চ স্তর: শারীরিক ও মানসিক সুস্থতা।

সর্বোত্তম স্তর: পুণ্যবান স্ত্রী ও পরিশুদ্ধ নেক সন্তান।

পরিপূর্ণ স্তর: মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি।

রিজিক খুব গভীর একটি বিষয় যদি আমরা বুঝতে পারি।

আমি পুরো জীবনে কত টাকা আয় করবো সেটা লিখিত, কে আমার জীবনসঙ্গী হবে সেটা লিখিত, কবে কোথায় মারা যাবো সেটা লিখিত।

আশ্চর্যের ব্যাপার হচ্ছে, আমি কতগুলো দানা ভাত দুনিয়াতে খেয়ে তারপর মারা যাবো সেটা লিখিত। একটি দানাও কম না, একটিও বেশি না।

ধরেন এটা লিখিত যে আমি সারাজীবনে ১ কোটি টাকা আয় করবো, এই সিদ্ধান্ত আল্লাহ্‌ তায়ালা নিয়েছেন।

আমি হালাল উপায়ে আয় করবো না হারাম উপায়ে আয় করবো সেই সিদ্ধান্ত আমার।

যদি ধৈর্য ধারণ করি, আল্লাহ্‌ তায়ালার কাছে চাই, তাহলে হালাল উপায়েও ঐ ১ কোটি আয় করেই আমি মারা যাবো, হারাম উপায়ে হলেও ঐ ১ কোটিই... নাথিং মোর, নাথিং লেস!

আমি যেই ফলটি আজকে ঢাকা বসে খাচ্ছি, সেটা হয়তো ইতালি কিংবা থাইল্যান্ড থেকে ইমপোর্ট করা। ঐ গাছে যখন মুকুল হয়েছে তখনই এটা নির্ধারিত যে সেটি আমার কাছে পৌঁছাবে। এর মধ্যে কত পাখি ওই ফলের উপর বসেছে, কত মানুষ এই ফলটি পাড়তে গেছে, দোকানে অনেকে এই ফলটি নেড়েচেড়ে রেখে গেছে, পছন্দ হয় নি, কিনে নি।

এই সব ঘটনার কারণ একটাই, ফলটি আমার রিজিকে লিখিত। যতক্ষণ না আমি কিনতে যাচ্ছি, ততক্ষণ সেটা ওখানেই থাকবে।

এর মধ্যে আমি মারা যেতে পারতাম, অন্য কোথাও চলে যেতে পারতাম, কিন্তু না। রিজিকে যেহেতু লিখিত আমি এই ফলটি না খেয়ে মারা যাবো না।

রিজিক জিনিসটা এতোটাই শক্তিশালী!
কিংবা যেই আত্মীয় কিংবা বন্ধু-বান্ধব আমার বাসায় আসছে, সে আসলে আমার খাবার খাচ্ছে না। এটা তারই রিজিক, শুধুমাত্র আল্লাহ্‌ তায়ালা আমার মাধ্যমে তার কাছে পৌঁছে দিচ্ছেন। হতে পারে এর মধ্যে আমাদের জন্য মঙ্গল রয়েছে।

আলহামদুলিল্লাহ্‌...
কেউ কারওটা খাচ্ছে না, যে যার রিজিকের ভাগই খাচ্ছে।

আমরা হালাল না হারাম উপায়ে খাচ্ছি সেটা নির্ভর করছে আমি আল্লাহ্‌ তায়ালার উপর কতটুকু তাওয়াক্কাল আছি, কতটুকু ভরসা করে আছি।

মহান আল্লাহ্‌ তায়ালা আমাদের সঠিক পথ ও রিজিক এর তৌফিক দান করুন।
(আমিন)

-(সংগৃহীত)-
কৃতজ্ঞতা স্বীকার -
® Rima Chaudhury (All Rights Reserve)

Address

Dhaka
1219

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Knowledge Entertainment BD posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Knowledge Entertainment BD:

Videos

Share

Category