Nayeem Uddin

Nayeem Uddin It's Pleasure to Me.

23/11/2024
সামুদ্রিক মাছের সমাহার স্থান: বড়বাজার, কক্সবাজার।
20/11/2024

সামুদ্রিক মাছের সমাহার
স্থান: বড়বাজার, কক্সবাজার।

08/11/2024

ঈমানের উপর অটল থাকার কিছু দোয়াঃ-

১. اهْدِنَا الصِّرَاطَ الْمُسْتَقِيمَ صِرَاطَ الَّذِينَ أَنْعَمْتَ عَلَيْهِمْ غَيْرِ الْمَغْضُوبِ عَلَيْهِمْ وَلَا الضَّالِّينَ

উচ্চারণ : ‘ইহদিনাস সিরাতাল মুসতাকিম। সিরাতাল্লাজিনা আনআমতা আলাইহিম। গাইরিল মাগদুবি আলাইহিম ওয়া লাদ্দাল্লিন।’

অর্থ : ‘আমাদের সহজ সরল পথের হেদায়েত দিন। যে পথে চলা লোকদের ওপর আপনি নেয়ামত দান করেছেন। অভিশপ্ত ও গোমরাহির পথ থেকে বিরত রাখেন।’

২. رَبَّنَا أَفْرِغْ عَلَيْنَا صَبْرًا وَتَوَفَّنَا مُسْلِمِينَ

উচ্চারণ : ‘রাব্বানা আফরিগ আলাইনা সাবরাও ওয়া তাওয়াফ্ফানা মুসলিমিন।’

অর্থ : হে আমাদের প্রতিপালক! আপনি আমাদের ধৈর্যদান করুন এবং মুসলিম হিসেবে মৃত্যু দান করুন।’

৩. رَبَّنَا لَا تُزِغْ قُلُوبَنَا بَعْدَ إِذْ هَدَيْتَنَا وَهَبْ لَنَا مِن لَّدُنكَ رَحْمَةً إِنَّكَ أَنتَ الْوَهَّابُ

উচ্চারণ : ‘রাব্বানা লা তুযিগ কুলুবানা বাদা ইজ হাদাইতানা ওয়া হাবলানা মিল্লাদুনকা রাহমাতান ইন্নাকা আংতাল ওয়াহহাব।’

অর্থ : ‘হে আমাদের প্রভু! সরল পথ প্রদর্শনের পর তুমি আমাদের অন্তরকে সত্য লংঘনে ধাবিত করো না; এবং তোমার কাছ থেকে আমাদেরকে অনুগ্রহ দান কর; নিশ্চয় তুমিই সবকিছুর দাতা।’

৪. اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ أَنْ أُشْرِكَ بِكَ وَأَنَا أَعْلَمُ، وَأَسْتَغْفِرُكَ لِمَا لاَ أَعْلَمُ

উচ্চারণ : ‘আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজু বিকা আন উশরিকা বিকা ওয়া আনা আলামু, ওয়া আসতাগফিরুকা লিমা লা আলামু।’

অর্থ : ‘হে আল্লাহ! আমার জানামতে আপনার প্রতি শিরক হয় এমন ভয়াবহ অপরাধ থেকে বেঁচে থাকার আশ্রয় চাই। আর আমার অজানায় ঘটে যাওয়া শিরক থেকেও ক্ষমা প্রার্থনা করি।

৫. اَللَّهُمَّ مُصَرِّفَ الْقُلُوْبِ صَرِّفْ قُلُوْبَنَا عَلَى طَاعَتِكَ

উচ্চারণ : ‘আল্লাহুম্মা মুছাররিফাল কুলুবি ছাররিফ কুলুবানা আলা ত্বাআতিকা।

অর্থ : হে (মানুষের) অন্তর পরিবর্তনকারী আল্লাহ! আমাদের অন্তরকে আপনার আনুগত্যের দিকে পরিবর্তন করে দিন।’ (মুসলিম, মিশকাত)

৫. يَا مُقَلِّبَ الْقُلُوْبِ ثَبِّت قَلْبِىْ عَلَى دِيْنِكَ

উচ্চারণ : ‘ইয়া মুকাল্লিবাল কুলুবি ছাব্বিত কালবি আলা দিনিকা।’

অর্থ : ‘হে (মানুষের) অন্তর পরিবর্তনকারী! আমার অন্তরকে তোমার দীনের উপর দৃঢ় রাখ। (তিরমিজি, মিশকাত)

৬. اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنَ الْفِتَنِ مَا ظَهَرَ مِنْهَا وَمَا بَطَنَ

উচ্চারণ : ‘আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিনাল ফিতানি মা জাহারা মিনহা ওয়া মা বাত্বান।’

অর্থ : ‘হে আল্লাহ! যে ফেতনাগুলো দেখা যায় আর যেগুলো দেখা যায় না, সব ধরনের ফেতনা থেকে আপনার কাছে আশ্রয় চাই।

~ইশতিয়াক আহমেদ তুষার

 #প্যারেন্টিংটিপস(বাবাদেরজন্য) ’বাবা’ হয়ে যাওয়ার পরও আপনি যদি আপনার সময়ের একটা বড় অংশ বন্ধু-বান্ধবের সাথে আড্ডাবাজিতে ব্...
05/11/2024

#প্যারেন্টিংটিপস(বাবাদেরজন্য)

’বাবা’ হয়ে যাওয়ার পরও আপনি যদি আপনার সময়ের একটা বড় অংশ বন্ধু-বান্ধবের সাথে আড্ডাবাজিতে ব্যয় করেন, সন্তানের প্রতি আর্থিক দায়িত্ব পালন করেই সেটাকে যথেষ্ট মনে করেন আবার বৃদ্ধ বয়সে যখন আড্ডা দিতে যাওয়ার মতো শারীরিক সক্ষমতা থাকবে না, তখন আশা করেন যে সন্তান আপনাকে সময় দিবে, আপনার সাথে গল্প-গুজব করবে—-তবে এই আশা করাটা নিতান্তই বোকামি।

বৃদ্ধ বয়সে সন্তান আপনার সাথে তেমন আচরণই করবে, যেমন আচরণ আপনি তার সাথে আপনার যৌবনে করেছেন।

মনে রাখবেন, পৃথিবীতে যে কোনো ধরনের বন্ডিং তৈরি করতে হলে সময় দিতে হয়, এফোর্ট দিতে হয়।
রক্তের সম্পর্ক বলে একটা টান তো থাকেই, ‍কিন্তু সেই টান/ অনুভূতির প্রকাশটাও বাধাগ্রস্ত হয় যদি
Proper bonding না থাকে।

তাই বাবা’দের প্রতি অনুরোধ, সন্তানের সাথে বন্ডিং তৈরি করুন। তাদেরকে স্কুলে নিয়ে যাওয়া-আসার পথে তাদের সাথে গল্প করুন, তাদের নিয়ে বাজারে যান, ডাইনিং টেবিলে একসাথে খাওয়া-দাওয়া করুন, তাদের অসুস্থতার সময় হাত ধরে বসে থাকুন, ছুটির দিনে তাদের নিয়ে ঘুরতে যান।

তাদের সাথে Good memories তৈরি করুন। এই Good memories গুলোর মূল্য অনেক।

আপনার মৃত্যুর পর এই Good memories গুলোই আপনার সন্তানকে কাঁদাবে, আপনার জন্য মন থেকে দুআ করতে অনুপ্রেরণা দিবে, আপনার সাথে জান্নাতে আবার মিলিত হওয়ার আকুলতা তৈরি করবে।

So, pls invest your time and effort on parenting, it’s not only about money.

Ultimately, As you sow, so you reap.

And it’s true about all kind of relationship.

জীবনের শেষ বেলায় এসে মনে হবে,এক হাত জমির জন্য প্রতিবেশীর সঙ্গে ঝগড়া ছিল ভুল।রাত জেগে মিথ্যা স্বপ্ন বুনে কারো সঙ্গে চ্যাট...
30/10/2024

জীবনের শেষ বেলায় এসে মনে হবে,

এক হাত জমির জন্য প্রতিবেশীর সঙ্গে ঝগড়া ছিল ভুল।
রাত জেগে মিথ্যা স্বপ্ন বুনে কারো সঙ্গে চ্যাট করাটা ভুল ছিল।
কাউকে কষ্ট দিয়ে কঠিন কথা বলাটা ভুল ছিল।
দুর্বল কাউকে ভয় দেখিয়ে নিজের ক্ষমতা দেখানোও ভুল ছিল।

শেষ বেলায় মনে হবে,

ক্লাসের সবচেয়ে মেধাবী ছাত্র না হলেও জীবনে খুব বড় ক্ষতি হয়নি।
অনেক টাকা রোজগার করতে না পারলেও বড় কোনো ক্ষতি হয়নি।
জীবনের শেষ সময়ে এসে, কষ্ট ছাড়া একটু স্বাভাবিক মৃত্যুই হবে শেষ চাওয়া।

শেষ বেলায় মনে হবে,

মানুষের দোয়াটাই ছিল সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ, যেটা আমি অর্জন করতে পারিনি।
মানুষের মনে কষ্ট দেওয়াটাই ছিল সবচেয়ে বড় ভুল।
শ্বাসকষ্টের মাঝে আটকে থাকা নিঃশ্বাসের কষ্টে শুধু মানুষের দোয়াটাই মনে হবে সবচেয়ে মূল্যবান।

অথচ এত কিছু ভেবে ও আমরা যৌবনকালে নিজেদের নিয়ন্ত্রণ করতে পারি না।

(Collected)

ডুয়েল ফ্ল্যাশিং বাটন এখন প্রায় সব বাথরুমে দেখা যায়। এই বাটনগুলি শুধু ফ্ল্যাশ করার জন্যই নয়,বরং পানির ব্যবহার কমানোর ...
30/10/2024

ডুয়েল ফ্ল্যাশিং বাটন এখন প্রায় সব বাথরুমে দেখা যায়। এই বাটনগুলি শুধু ফ্ল্যাশ করার জন্যই নয়,
বরং পানির ব্যবহার কমানোর জন্য তৈরি। এখানে দুটি ফ্ল্যাশ অপশন থাকে।
একটি বড় বাটন যা ৬-৯ লিটার পানি ব্যবহার করে কঠিন বর্জ্য ফ্লাশ করে এবং একটি ছোট বাটন যা ৩-৪.৫ লিটার পানি ব্যবহার করে তরল বর্জ্য ফ্ল্যাশ করে।
সঠিক বাটনটি ব্যবহার করলে একটি পরিবার বছরে প্রায় ২০,০০০ লিটার পানি সাশ্রয় করতে পারে, যা পানির বিল কমাতেও সাহায্য করে।

20/10/2024

আপনি বাসা থেকে বের হয়েছেন। ভিক্ষুক আপনার কাছে হাত বাড়াল কিছু পাওয়ার জন্য। আপনি তাকে এড়িয়ে গেলেন। কিছু দিলেন না। সে নাছোড় হয়ে আপনার পাশে এসে আবার দাঁড়াল, অথবা আপনার কাছ থেকে সরে গেল না। আপনার প্রথমে টাকা দেওয়ার ইচ্ছে ছিল না। তার পিড়াপিড়িতে মন গেল কিংবা মন কিছু দিতে বাধ্য হলো। আপনি না দিয়ে পারলেন না।
আপনি একজন সাধাসিধা মানুষ। তারপরও আপনার মনে এতো মায়া হয় আপনি না দিয়ে পারেন না। সে আপনিই কিনা মহান রবের কাছ থেকে কিছু চেয়ে, না পাওয়ার অভিযোগ করেন।
কী অদ্ভুত! তাই না? একজন ভিখারি আপনার কাছ থেকে টাকা আদায়ের পলিসি জানে, কিন্তু আপনি রব'এর কাছ থেকে কিছু পাওয়ার উপায় বুঝেন না। কিংবা পাওয়ার জন্য উপায় অবলম্বন করেন না, বরং আপনার অভিযোগ—আপনার চাওয়া জিনিসটা আপনার হয় না। আপনিই কেবল চেয়ে কিছু পান না। আপনার সাথে সবসময়ই এমন হয়। আপনারই কেবল মন ভাঙে।
ভিখারিকে কিন্তু আপনি আগ থেকে বলে দেননি আপনি চাইলেই তাকে দেবেন। তারপরও সে আপনার কাছে হাত বাড়ায়। শুধু হাত বাড়িয়ে সে ক্ষান্ত হয় না, আদায় করেই তবে সে আপনার কাছ থেকে বিদায় নেয় কিংবা বিদায় নেওয়ার চেষ্টা করে।
অন্যদিকে মহান মালিক ঘোষণা দিয়েছেন, তাকে ডাকলেই তিনি সাড়া দিবেন।
তিনি বলেন, আমি তো কাছেই আছি, আমাকে ডাকো, আমাকে কেউ ডাকলে আমি তার ডাকে সাড়া দিই। বাকারা-১৮৬
আপনি কিছু চাইলে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়ার পরও আপনি আপনার চাওয়া জিনিসটা পান না। না পেয়ে মন খারাপ করেন। এ মন খারাপ অহেতুক আর উদ্ভট অভিযোগ ছাড়া আর কি হতে পারে?
মনে কী এ কথা কখনও আসে না? আমাকে রব'এর কাছে চাইতে হবে, তবে অনুনয় বিনয় করে। নাছোড়বান্দা হয়ে। হে রব' আপনি না দিলে কে দেবে? আমার যে এটা লাগবেই। এটা ছাড়া যে আমার চলবে না!
ভিখারিকে কিন্তু কেউ বলে দেয়নি আপনার কাছে সে না চাইলে আপনি রাগান্বিত হবেন। তারপরও সে আপনার কাছে ঘ্যানঘ্যান করে। মাঝে মাঝে আপনি ভীষণ বিরক্ত হয়েই তাকে কিছু দিয়ে বিদায় করেন।
আপনি এই সহজ কথাটা বুঝেন, কিন্তু এই কথাই কেবল বুঝেন না, আপনি না চাইলে আল্লাহ তায়ালা রাগান্বিত হন।
রাসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, আল্লাহ তায়ালার কাছে কিছু না চাইলে আল্লাহ তায়ালা ভীষণ রাগান্বিত হন, কেন বান্দা তার কাছে চায় না, চাইল না। তিরমিযি-৩২৯৫
একবার ভাবুন তো! যেখানে ঘোষণা এসেছে আপনি না চাইলে আল্লাহ তায়ালা রাগ করেন, তবে তো চাওয়াটা আপনার জন্য আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে দেওয়া একটা অধিকার ছাড়া আর কী হতে পারে? এটা একা ভীষণ সুযোগ আর আপনার জন্য অদ্ভুত নেয়ামতও বটে।
দুনিয়ায় কোনো মানুষ যদি আপনাকে এমন অধিকার দেয়, তবে আপনি তার কাছ থেকে চাওয়া জিনিসটা না পাওয়া পর্যন্ত তাকে ছাড়বেন? নিশ্চয়ই না।
আল্লাহর কাছে চান। ভীষণভাবে চান। বলুন, হে মালিক! আপনি না দিলে আর কে দেবে আপনি ছাড়া তো আমারা শূন্য। আপনি ছাড়া তো আমাদের কেউ নাই যার কাছে চাইতে পারি। আপনার রাসুল বলেছেন আপনার কাছে না চাইলে আপনি রাগ হন। আপনি আমাদের দিয়ে খুশে না করলে আমরা যে ভীষণ দুঃখী থেকে যাব!
বইঃ কুরআনিক নসিহা

হযরত উমর (রা.) এর কিছু দামি কথা:১) যে খুব বেশি হাসাহাসি করে, তার মর্যাদা কমে যায়।২) যে অধিক ঠাট্টা-মশকরা করে, তার ব্যক্...
16/10/2024

হযরত উমর (রা.) এর কিছু দামি কথা:

১) যে খুব বেশি হাসাহাসি করে, তার মর্যাদা কমে যায়।

২) যে অধিক ঠাট্টা-মশকরা করে, তার ব্যক্তিত্ব ও গাম্ভীর্য লোপ পায়।

৩) যার মধ্যে কোনো একটি বিষয় বেশি দেখা যায়, সেটাকে ঘিরেই সমাজে তার পরিচিতি ছড়ায়।

৪) যে বেশি কথা বলে, সে বেশি ভুল করে।

৫) যে বেশি বেশি ভুল করে, তার লজ্জা কমে যায়।

৬) যার লজ্জা কমে যায়, তার ভেতর আল্লাহর ভয় কমে যায়।

৭) যার আল্লাহভীতি কমে যায়, তার অন্তর মরে যায়।

বিখ্যাত তাবি‘য়ি ও পণ্ডিত ব্যক্তিত্ব আহনাফ ইবনু কায়স (রা.)-কে উপদেশ দিতে গিয়ে উমর ইবনুল খাত্তাব (রা.) এই কথাগুলো বলেছিলেন। '

[ইমাম ইবনুল জাওযি, সিফাতুস সাফওয়াহ: ১/১৪৪৯ ]

  সাউন্ড প্রুফ হাইওয়ে জাপানের অধিকাংশ হাইওয়ে গুলো তৈরি হয় ১৯৫৬ সালে। হাইওয়ে মানে কোন ট্রাফিক সিগন্যাল থাকবে না। সাঁই সাঁ...
11/10/2024

সাউন্ড প্রুফ হাইওয়ে
জাপানের অধিকাংশ হাইওয়ে গুলো তৈরি হয় ১৯৫৬ সালে। হাইওয়ে মানে কোন ট্রাফিক সিগন্যাল থাকবে না। সাঁই সাঁই করে সুপার স্পিডে গাড়ী চলবে।
বিপাকে পড়লেন রাস্তার দুপাশের অধিবাসীরা। সরকারের কাছে নালিশ দিয়ে বসলেন- "আওয়াজের জ্বালায় ঘুমাতে পারিনা। রাস্তা সরান"।
নালিশ দ্যালেই অইবে?
পেরমান করতে অইবে না?
রাস্তা সরানো চাট্টি খানি কথা নয়। সরকার বুদ্ধিজীবীদের ডাকলেন। পরামর্শ চাইলেন। উদ্দেশ্য হলো "কত আওয়াজে কত জ্বালা" তা পরিমাপ করা।
আওয়াজ পরিমাপের পদ্ধতি জানা ছিল। টেলিফোন যিনি আবিষ্কার করেছিলেন, গ্রাহাম বেল সাহেব, উনি আওয়াজ পরিমাপ করার কৌশল ও আবিষ্কার করেছিলেন। আওয়াজ পরিমাপের একক হলো বেল। এক বেল অনেক বড় বলে দশভাগের এক ভাগে নামিয়ে একক তৈরি হলো। ডেসি-বেল [dB]।
বুদ্ধিজীবীরা সরকার কে বুদ্ধি দিলেন। শিশু থেকে বৃদ্ধ বিভিন্ন বয়সের ২০০ জন অধিবাসীদের ওপর সমীক্ষা চালালেন। শব্দহীন রুমের ভেতর দিনে রাতে বিভিন্ন সময়ে ওনাদেরকে "খোকা ঘুমালো, পাড়া জুড়ালো" টাইপের কবিতা শুনিয়ে দিয়ে ঘুম পাড়িয়ে দেয়া হল। তারপর ৩০ থেকে ১০০dB পর্যন্ত আর্টিফিসিয়েল গাড়ীর শব্দ বাজিয়ে দেয়া হল। কার কত dB তে ঘুম ভাঙল তা রেকর্ড করা হলো। সরকার এই ফলাফলের ভিত্তিতে নতুন রাস্তা আওয়াজ আইন জারি করলেন।
কোন বাড়িতে যদি দুপুরে ৭৫ dB আর রাতে ৬৫ dB এর বেশি আওয়াজ পাওয়া যায়, তাহলে তারা ভর্তুকির জন্য আবেদন করতে পারবেন। এর নাম ঘুম ভাঙ্গা ভর্তুকি।
সরকারের নির্দেশে আওয়াজ মাপা শুরু হলো। নাগরিকদেরকেও বলা হল, যদি গাড়ীর শব্দ জনিত কারণে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে তাহলে যেন নিম্নলিখিত নাম্বারে ফোন দেয়।
০১২০-১০৬-৪৯৭
লোকজন ফোন করলেন, ভর্তুকির জন্য প্রস্তুতি নিলেন জাপানের হাইওয়ে অপারেটর NEXCO কোম্পানি। ৮৫০০ কিমি রাস্তার মালিক তারা। ভর্তুকির টাকা গুনতে মাথায় হাত দিলেন।
আইন পরিবর্তন করার জন্য রাস্তার মালিক রাস্তায় নামলেন না। সরকারকে ঘুষ দিতে গেলেন না। আশ্রয় নিলেন প্রযুক্তির। গবেষকদের ডাকলেন। আওয়াজ আর জ্বালা কমানোর জন্য প্রযুক্তিগত বুদ্ধি চাইলেন। দুটো প্রযুক্তি কাজে লাগানো হলো -
(১) ইঞ্জিনের সমস্যা না থাকলে আওয়াজ তৈরি হয় টায়ার আর রাস্তার ঘর্ষণ থেকে। নতুন এলিমেন্ট দিয়ে রাস্তা কারপেটিং করা হলো। গাড়ি কোম্পানি গুলোকে ও ডেকে বসালেন, কম আওয়াজের টায়ার আর গাড়ীর নয়েজ রিডাকশানের জন্য। টয়োটা প্রিউস এর আওয়াজ কত জানেন? মাত্র ১১dB। গাছ থেকে শুকনা পাতা পড়ার আওয়াজ এর সমান।
(২) রাস্তার দুধারে সাউন্ড প্রুফ বেড়া (ফেন্স) বসানো হল। মিউজিক হল গুলোতে দেখবেন একরকম ছিদ্র ওয়ালা দেয়াল থাকে। এগুলো নয়েজ শুষে নেয়। ব্যয় বহুল। কিন্তু ঘুম ভাঙ্গা ভর্তুকির চেয়ে সস্তা।
কিন্তু এতেও সবাই সুখে শান্তিতে বাস করতে পারলেন না।
অন্য কাহিনি শুরু হলো। যারা গাড়ী চালান, এবার নালিশ আসলো তাদের পক্ষ থেকে। জাপানের হাইওয়ে আমেরিকার মত ফ্রি না। একটা প্রাইভেট কারের জন্য প্রতি কিমি ২৫ টাকার মত। তার মানে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম যেতে আপনাকে টোল দিতে হবে ৬২৫০ টাকা।
গাড়ী ওয়ালারা নালিশ করলেন। আমরা এতো টাকা টোল দিয়ে হাইওয়েতে যাবো আর চারদিকের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখবোনা?
মোরা কি টাহা দিয়া জেল খানা দেখতে আইসি?
একেই বলে শাঁখের করাত, উভয় সঙ্কটে পড়া। বেড়া রাখলেও দোষ না রাখলেও দোষ। রাস্তার মালিকরা আবার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর গবেষকদের বুদ্ধি চাইলেন। অনেক সাধনার পর বেরুলো সাউন্ড প্রুফ স্বচ্ছ দেয়াল। কাঁচের মত এক পদার্থ দিয়ে তৈরি। সৌন্দর্যও দেখতে পাবেন, শব্দ দূষণও ঠেকাবে। জাপানে যারা হাইওয়েতে চড়বেন, আবাসিক এরিয়া গুলোর পাশের হাইওয়ে গুলোতে দেখবেন সাদা স্বচ্ছ একধরনের দেয়াল। প্রযুক্তির জয় এখানেই। প্রযুক্তির জন্য পলিসি নয়, পলিসি ঠিক রেখে প্রযুক্তি উদ্ভাবন।
আমি ঢাকায় বিভিন্ন জায়গায় আওয়াজ মাপলাম। রাত এগারোটা। ঢাকায় আমাদের এক পাশের বিল্ডিং এ কারো গায়ে হলুদ অনুষ্ঠান হচ্ছে। ১০০ dB লেভেলে হিন্দি গান বাজছে। আরেক পাশে নতুন ফ্ল্যাট উঠছে। ছাদ ঢালাই এর জন্য মসল্লা তৈরি হচ্ছে গরগরকরকর আওয়াজ হচ্ছে। এটাও ১০০ dB র কম না। ঢাকায় দুটো কর্পোরেট হাসপাতালেও মেপে দেখেছি। L হাসপাতালে দুপুর বেলায় আওয়াজ ৭২ dB, ৭টার দিকে ৭৮ dB। S হাসপাতালে নার্স ষ্টেশনে একজন নার্সদের গলার আওয়াজ ৬৮ dB।
ঢাকা শহরে গড়ে শব্দ দূষণের পরিমাণ ৯০ dB এর কাছাকাছি। এর বেশিটাই আসে গাড়ীর হর্ন থেকে। স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। অকারণে মাথা ধরা, হার্ট এর অসুখের কারণ। আর শব্দদূষণ ১০০dB মানে আপনার শিশুর কানে সমস্যার সৃষ্টি করবে।
দশ বছর আগে ঢাকায় একবার একটা পরীক্ষা করেছিলাম। বিনা হর্ণে কতক্ষণ গাড়ী চালানো যায়। এলিফ্যান্ট রোড থেকে কমলাপুর। কমলাপুর থেকে বড় মগবাজার। নো হর্ণ। ঢাকা শহরে বিনা হর্ণে গাড়ী চালানো সম্ভব। একটু ধৈর্য ধরতে হবে, এই যা।
ঢাকায় একটা "নো হর্ণ" দিবস চালু করা যায় না? এক ঝাঁক তরুণ করুক না গবেষণা। "নো হর্ণ" দিবসে কতটুকু শব্দ-দূষণ কমলো, কতটুকু স্বাস্থ্য রক্ষা হলো হোক না এটার পরিমাপ।
“নো হর্ণ” প্রথম থেকে কঠিন হতে পারে। অপ্রয়োজনীয় হর্ন কমানোটা হলো উদ্দেশ্য। শুরু হতে পারে "পাঁচ হর্ণ" কর্মসুচি। একজন ড্রাইভারের জন্য হর্ণের বাজেট হোক দিনপ্রতি ৫টি, তারপর মাসে ৫টি , তারপর বছরে ৫টি। এভাবে শূন্যের কোঠায় পৌঁছতে কি বেশিদিন লাগবে?
সংস্কার কত ভাবেই তো হতে পারে।

জানার শেষ নাই..বাবলা গাছেদের আমরা শেষ করে দিচ্ছি অনেকটাই, আফ্রিকার দেশ মালি হাজার একর জমিতে নতুন করে এই বাবলা গাছ রোপণ ক...
11/10/2024

জানার শেষ নাই..

বাবলা গাছেদের আমরা শেষ করে দিচ্ছি
অনেকটাই, আফ্রিকার দেশ মালি হাজার
একর জমিতে নতুন করে এই বাবলা গাছ
রোপণ করেছে, বাবলা কষের যে কোটি
টাকার বাণিজ্য হয় আন্তর্জাতিক বাজারে!

হাজার হাজার বছর আগে মিসরীয়রা বাবলা গাছের কষ ব্যবহার করতেন নানা ধরনের খাবার তৈরির উপকরণ হিসেবে। খাবারের স্বাদ বাড়ানোর পাশাপাশি সেই সময় থেকেই রং ও ওষুধ তৈরিতেও ব্যবহার হতো গাম অ্যারাবিক নামে পরিচিত এই কষ। গেল শতকের মাঝামাঝি সময় পর্যন্তও সারাহা মরুভূমি এলাকায় গাম অ্যারাবিকের ছিল রমরমা বাণিজ্য। কিন্তু জলবায়ু, জ্বালানি হিসেবে বাবলা গাছের অতিমাত্রার ব্যবহার ও রাজনৈতিক কারণে ধীরে ধীরে কমতে শুরু করে সহস্রাব্দ-প্রাচীন সেই বাণিজ্যের পসার। মিসর, সুদান, মালি, কেনিয়াসহ অনেক দেশে গুরুত্বপণ্য রপ্তানিযোগ্য পণ্যটির উৎপাদন নেমে আসে মাত্র ৫ থেকে ১০ শতাংশে।

আফ্রিকার দেশ মালিতে ১৯৬০ সালের দিকেও ১০ হাজার টনের বেশি অপরিশোধিত গাম অ্যারাবিক উৎপাদিত হতো। বর্তমান বাজার দরে তার দাম ছিল অন্তত ১০ হাজার কোটি টাকা। কিন্তু জ্বালানি হিসেবে বাবলা গাছের অতিমাত্রার ব্যবহার ও রাজনৈতিক কারণে এই কষের উৎপাদন ধীরে ধীরে কমতে শুরু করে দেশটিতে। ১৯৯২ সালে দেশটি মাত্র ৩২ টন অপরিশোধিত গাম অ্যারাবিক রপ্তানি করে। এরপর থেকে অবস্থা আরও ভয়াবহ হতে শুরু করে সেখানে। ২০০১ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে দেশটিতে বনভূমির পরিমাণ কমে ১০ লাখ একরের বেশি। যার মধ্যে বেশিরভাগই ছিল বাবলা গাছ। ওই সময়টাতে কেনিয়া, সুদানেও কমে এই কষের উৎপাদন।

তবে আশার কথা, চলতি শতকে এসে বিশ্বজুড়ে গাম অ্যারাবিকের চাহিদা শুরু হয়েছে নতুন করে। বিশ্বের নানা অঞ্চলে খাবারের স্বাদ বাড়ানো থেকে শুরু করে রং ও ওষুধ তৈরির কাঁচামাল হিসেবে কদর বাড়ছে মরুভূমির এই উদ্ভিদের কষের। যার কারণে সাহারা অঞ্চলজুড়ে ফের বাড়তে শুরু করেছে বাবলা গাছের সংখ্যা, বাড়ছে এর আঠা বা কষের বাণিজ্যও।

মালিতে সরকারি উদ্যোগে গত দুই বছরে সব মিলিয়ে প্রায় ১০ হাজার একর জমিতে নতুন করে বাবলা গাছ রোপণ করা হয়েছে। ব্যক্তি উদ্যোগেও লাখ লাখ নতুন বাবলা গাছ লাগিয়েছেন দেশটির বিভিন্ন এলাকার উদ্যোক্তারা। কেনিয়ায় কয়েক হাজার মানুষ বাবলা কষ উৎপানে নিজেদের নিয়োজিত করে আয় করছেন লাখ লাখ টাকা। গেল কয়েক বছরে বিশ্বজুড়ে সুদানের গাম অ্যারাবিকের চাহিদায় নতুন মাত্রা পাওয়ায় সেখানেও নতুন করে বাবলা গাছ বাড়ানোর শতাধিক উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

সিসিকো নামে কেনিয়ার এক কষ সংগ্রহকারী বিবিসিকে জানান, জ্বালানি হিসেবে তারা বড় একটি বাবলা গাছ মাত্র ১৫০ টাকায় বিক্রি করেন। অথচ একটি গাছের কষ থেকে প্রতি বছর এর চাইতে ঢের বেশি টাকার কষ সংগ্রহ করা যায়। আর সেটা চলে কয়েক দশক ধরে। তাই তারা এখন বাবলা গাছ কেটে বিক্রি করার চাইতে এর আঠা সংগ্রহের ওপরই গুরুত্ব দিচ্ছেন।

সিসিকো জানান, ২০১৯ সালে তিনি বাবলা কষ সংগ্রহ করে জীবিকা নির্বাহের বাইরেই প্রায় ২ লাখ টাকা জমাতে পেরেছেন। এর আগে কখনো তিনি এত টাকা জমানোর কথা চিন্তা করেননি। বিবিসি জানাচ্ছে, সিসিকোর মতো সাহারা মরু এলাকার হাজার হাজার মানুষের স্বচ্ছলতা আসছে এই বাবলার কষে।

আফ্রিকার আদি নিবাসী এই উদ্ভিদ এখন এশিয়ার বিভিন্ন অঞ্চল, আমেরিকা ও অস্ট্রেলিয়ায়ও পাওয়া যায়। তবে সাহারা অঞ্চলের উদ্ভিদে যে কষ পাওয়া যার তার গুণগত মান পৃথিবীর অন্যান্য অঞ্চলের তুলনায় ঢের এগিয়ে। ফলে তার দামও বেশি। মালি, সুদান বা কেনিয়া থেকে আমদানি করা গাম অ্যারাবিক ভারতেও প্রতি কেজি ১০ হাজার টাকা বেশি দরে বিক্রি হয়।
সূত্র ...বিবিসি

সতর্কতা পোষ্ট পানি কমতেছে বিদুৎ হয়তো চালু করবে দুই একদিনের ভিতরে,সবাই ঘরের মেইন সুইচ বন্ধ রাখুন যেন শর্ট সার্কিট না হয়। ...
30/08/2024

সতর্কতা পোষ্ট

পানি কমতেছে বিদুৎ হয়তো চালু করবে দুই একদিনের ভিতরে,সবাই ঘরের মেইন সুইচ বন্ধ রাখুন যেন শর্ট সার্কিট না হয়। যাদের ফ্রিজ পানিতে ডুবে গেছে আগে ফ্রিজ পানি দিয়ে পরিস্কার করে রোদে শুকান, তার পরে চালু করুন। যাদের মটর পানিতে ডুবে গেছে মটর খুলে মটরের কয়েল খুলে হেলোজেন দিয়ে শুকালে মটর খারাপ হবে না। যদি ঘরের সুইচ বোর্ডে পানি ঢুকে, তবে সুইচ বোর্ড খুলে পানি শুকানো ছাড়া বিদ্যুৎ চালু করবেন না, এতে বিদ্যুৎ আসলে দূর্ঘটনায় মানুষ মারা ও যেতে পারে।
Nayeem Uddin Highlight

নূতন উপদেষ্টাদের দপ্তর বন্টন ও আগের উপদেষ্টাদের দপ্তর পূনঃবন্টন!
16/08/2024

নূতন উপদেষ্টাদের দপ্তর বন্টন ও আগের উপদেষ্টাদের দপ্তর পূনঃবন্টন!

10/08/2024

৫ ক্লাস পাশ গায়িকাকে ম্যাডাম বলতে সমস্যা হয়নি! গ্রাজুয়েট কমপ্লিট করা ছাত্রকে উপদেষ্টা মেনে নিতে যত সমস্যা!

সারা পৃথিবীর ১০৯ টা ইউনিভার্সিটিতে মুহাম্মদ ইউনূস সেন্টার আছে। ইউনিভার্সিটিগুলো নিজেদের উদ্যোগে এটা করেছে। এর প্রধান কার...
09/08/2024

সারা পৃথিবীর ১০৯ টা ইউনিভার্সিটিতে মুহাম্মদ ইউনূস সেন্টার আছে। ইউনিভার্সিটিগুলো নিজেদের উদ্যোগে এটা করেছে। এর প্রধান কারণ হচ্ছে তাঁর মাইক্রো-ফাইনান্স। যেটা তাঁকে এবং তাঁর গ্রামীন ব্যাংকে নোবেল শান্তি পুরষ্কার এনে দিয়েছিল।

ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূসকে বিশ্রীভাবে 'সুদখোর' ঢাকা হয় বারবার। মজার ব্যাপার হচ্ছে- মুহাম্মদ ইউনূসকে যারা পছন্দ করেন তাদের বেশীরভাগও জানেন না, মুহাম্মদ ইউনূসের সুদের ব্যবসা নাই। গ্রামীণ ব্যাংক তার প্রতিষ্ঠিত হলেও গ্রামীন ব্যাংকে তাঁর এক টাকার মালিকানাও নাই, শেয়ারও নাই। কখনোই ছিল না।

জিনিসটা আপনার-আমার কাছে আশ্চর্যজনক মনে হতে পারে। কিন্তু এটাই সত্যি। ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মাইক্রো-ফাইনান্সের ধারণার মূল ভিত্তিই হচ্ছে এটা।
এই ব্যবসার কেউ মালিক হতে পারবে না। সম্পূর্ণ নন-প্রফিট তথা অলাভজনক।
এটাকে বলে সামাজিক ব্যবসা। নির্দিষ্ট কোনো মালিক নাই। জনগণই এর মালিক।
বাইর থেকে অনুদানের টাকা এনে গ্রামীণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করেছিলেন ড মুহাম্মদ ইউনূস। নিজে এটি প্রতিষ্ঠা করলেও প্রতিষ্ঠানে তার এক পয়সার মালিকানাও রাখেননি। বরং এর ২৫% মালিকানা সরকারের, বাকি মালিকানা গরীব মানুষের। নিজের প্রতিষ্ঠিত ব্যাংকে ড মুহাম্মদ ইউনূস মাত্র ৩০০ ডলার বেতনে চাকরী করতেন।
তিনি যে নিজের কোনো শেয়ার রাখেননি তা না, কোম্পানীকে এমনভাবে প্রতিষ্ঠা করেছেন যাতে কেউ এর একক মালিক হতে না পারে। কোম্পানী অধ্যাদেশ ২৮ ধারা অনুযায়ী তিনি এটি রেজিস্ট্রেশন করেন।

শুধু যে গ্রামীন ব্যাংকে তিনি মালিকানা রাখেননি তা কিন্তু না। জর্জ সরোস, টেলিনরদের এনে তিনি গ্রামীন টেলিকম প্রতিষ্ঠা করেন। তাঁর কথায় টেলিনর বাংলাদেশে আসে। তাঁর কথায় তাঁর বিলিয়নিয়ার বন্ধুরা গরীবদের উন্নতির জন্য ফান্ড দেয়। তিনি গ্রামীন টেলিকম প্রতিষ্ঠা করেন। সেটাও অলাভজনক প্রতিষ্ঠান হিসেবেই। অনেকেই জানেন না গ্রামীন টেলিকমকে নন ফর প্রফিট কোম্পানী হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেন ড মুহাম্মদ ইউনূস। সেখানেও তিনি নিজের জন্য ১% মালিকানাও রাখেননি। তিনি চাইলে ইজিলি ১০-১৫ পার্সেন্ট মালিকানা নিজের জন্য রেখে দিতে পারতেন। অথচ লাভের এক টাকাও যাতে নিজের কাছে না আসে, সেটা নিশ্চিত করেন তিনি।

তাঁর প্রতিষ্ঠিত সরকার নিয়ন্ত্রিত গ্রামীণ ব্যাংকে এখনো সুদের হার বাংলাদেশে সর্বনিম্ন। অথচ স্বাভাবিকভাবে আপনার মনে হবে গ্রামীন ব্যাংকের মত সুদ বোধহয় কেউ নেয় না। আর নিশ্চয় এই টাকায় প্রফিট করেন ড ইউনূস!

আসলে আমাদের দেশের মানুষ এসব কল্পনাও করতে পারেন না, একজন মানুষ ব্যবসা করবে অথচ সেখান থেকে নিজে কোনো লাভ করবে না। এমন কথা আমরা ভাবতেই পারিনা। আমরা ভাবতে পারি কেবল টাকা কামানোর কথা।
যেমনভাবে ড মুহাম্মদ ইউনূস বলেন- টাকা কামানোতে আছে সুখশান্তি, অন্যের উপকারে আছে প্রশান্তি। ওনার ভাষায় 'নিজের জন্য টাকা কামানো হয়তো হ্যাপিনেস, অন্যের উপকার হচ্ছে সুপার হ্যাপিনেস।'

মুহাম্মদ ইউনূস মনে করেন, সবাই এককভাবে সম্পত্তির মালিক হতে থাকলে গরীব আরো গরীব হয়ে যাবে, ধনী আরো ধনী হবে। ফলে বিশ্বব্যবস্থা অচল হয়ে পড়বে। এই বিশ্বাস থেকেই ওনি সব ননপ্রফিট বা অলাভজনক প্রতিষ্ঠান তৈরী করে গেছেন, নিজের কোনো মালিকানা রাখেননি।
এরকমটা কি আপনি ভাবতে পারেন? আপনি বাংলাদেশের যেকোনো কোম্পানী দেখেন, তাদের সব নিজেদের মালিকানা।
কোম্পানীর কথা বাদ দেন, এনজিও ব্র‍্যাক দেখেন! মালিকানা ফজলে হাসান আবেদের পরিবারের। বড় বড় পদে পরিবারের সদস্যরা আছে।
কিন্তু মুহাম্মদ ইউনূস সেটা করেননি। তাঁর প্রতিষ্ঠিত কোম্পানীতে নিজের বা পরিবারের কাউকে রাখেননি।

অথচ ড মুহাম্মদ ইউনূস চাইলে এসব ব্যবসায় নিজের মালিকানা রেখে ইজিলি বিলিয়নিয়ার হয়ে যেতে পারতেন। খুব ইজিলি।
তাঁর প্রায় সব বন্ধুবান্ধব বিলিয়নিয়ার, মাল্টি বিলিয়নিয়ার। তিনি সেদিকে যাননি।

অনেকে প্রশ্ন করতে পারেন, তাহলে ড মুহাম্মদ ইউনূসের আয়ের উৎস কী?
আমি নিশ্চিত, এটাও অনেকে জানেন না।
ড মুহাম্মদ ইউনূস হচ্ছেন পৃথিবীর ওয়ান অব দ্যা হায়েস্ট পেইড স্পীকার। স্পীচ দেয়ার জন্য ওনাকে টাকা দিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। ওনার বক্তব্য শোনার জন্য খরচ করতে হয় ৭৫ হাজার থেকে ১ লাখ ডলার মত। কখনো আরো বেশী।
বিশ্বের নামীদামী প্রতিষ্ঠান গুলো ওনাকে নিয়ে যান ওনার বক্তব্য শুনতে।
ওনাকে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের পরিকল্পনার জন্যও ডাকা হয়।
২০২৪ সালের ফ্রান্সে অনুষ্ঠিতব্য প্যারিস অলিম্পিকের আয়োজক কমিটির ৩ জনের একজন হচ্ছে মুহাম্মদ ইউনূস। সেখানে আরেকজন প্রেসিডেন্ট ম্যাঁখ্রো।
২০২৬ ইতালী অলিম্পিকের জন্য ইতালীয়ানরা ওনাকে পাওয়ার জন্য তদবির করছে। যাতে ওনি পরামর্শ দেন।

এদিকে আমরা মনে করি গ্রামীন ব্যাংক আর গ্রামীন টেলিকমের মত ওনার প্রতিষ্ঠিত কোম্পানী থেকে টাকা পান তিনি। যেন গ্রামীন ব্যাংকের সুদগুলো সরকার খায় না, ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূস খায়। এরা কখনো প্রকাশ্যে স্বীকারই করে না যে, এগুলোতে তার ০.০১% শেয়ারও নাই।

ওনি একটা বিশ্ববিদ্যালয় করতে চেয়েছিলেন বাংলাদেশে, কিন্তু অনুমতি পাননি। একটা আন্তর্জাতিক মানের বিশ্ববিদ্যালয় হতো। ওনি বললে পৃথিবীর সেরা সেরা প্রফেসররা সেখানে এসে ক্লাস নিয়ে যেতো। ওনি ডাকলে এমনকি বিল গেটস কিংবা আমেরিকান প্রেসিডেন্টও তাঁর ইউনিভার্সিটিতে স্পীচ দিতে চলে আসতো।
কিন্তু সেটা হতে দেয়া হয়নি। তাঁকে ইউনিভার্সিটি করতে দেয়া হয়নি।

ড মুহাম্মদ ইউনূসকে যত জানবেন, আপনার মনে হবে- দেশ এবং জাতি হিসেবে আমরা ড মুহাম্মদ ইউনূসকে ডিজার্ভই করিনা।

একটা প্রশ্ন করি, আপনি কি জানতেন মুহাম্মদ ইউনূস গ্রামীনব্যাংক কিংবা গ্রামীন টেলিকমের মত ওনার প্রতিষ্ঠিত কোম্পানীতে নিজের জন্য কোনো শেয়ার রাখেননি?
Islam

Address

Shampur
Dhaka
1204

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Nayeem Uddin posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Nayeem Uddin:

Videos

Share