Tarikat Media

Tarikat Media নবী-রাসুল ও অলী-আউলিয়াদের জীবনী শুনতে ফলো দিয়ে আমাদের সাথে থাকুন।
ধন্যবাদ সবাইকে।
(1)

আজকে মোদের খুশীর দিন দয়াল মায়ের শুভ জন্মদিন আজ ৮ই মে ২৫ শে বৈশাখ আমাদের মহান মোর্শেদ মোহাম্মদী ইসলামের পুনর্জীবনদানকারী ...
08/05/2024

আজকে মোদের খুশীর দিন
দয়াল মায়ের শুভ জন্মদিন

আজ ৮ই মে ২৫ শে বৈশাখ
আমাদের মহান মোর্শেদ মোহাম্মদী ইসলামের পুনর্জীবনদানকারী সুফী সম্রাট হযরত শাহ্ দেওয়ানবাগী (রহ.) এর সহধর্মিণী কুতুবুল আকতাব দুররে মাখনুন, খাতুনে জান্নাত সুফী সম্রাজ্ঞী হযরত সৈয়দা হামিদা বেগম (রহ.) এর শুভ জন্মদিন উপলক্ষে
সবাইকে জানাই ঈদ মোবারক।❤️🥀🌺🥀🥀💞💞🌻🌻

02/05/2024

হযরত মুসা (আ.) এর আমলে দীর্ঘদিন যাবত বৃষ্টি বন্ধ ছিলো। তাঁর উম্মতরা তাঁর কাছে এসে বললো "হে নবী, আল্লাহর কাছে বৃষ্টির জন্য দোয়া করেন, এই বৃষ্টিহীন গরম আর সহ্য হয় না"।

হযরত মুসা (আ.) সবাইকে নিয়ে বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়ে দোয়া করতে শুরু করলেন।

দোয়া করার সাথে সাথে রোদের তীব্রতা আরো বেড়ে গেলো।

হযরত মুসা (আ.) অবাক হলেন। তিনি জিজ্ঞাসা করলেন-

আল্লাহ, বৃষ্টির জন্য দোয়া করলাম, তুমি রোদের তেজ বাড়াইয়া দিলা।

আল্লাহর পক্ষ থেকে জবাব আসলো-

- এই জমায়েতে এমন এক ব্যক্তি আছে, যে চল্লিশ বছর যাবত আমার নাফরমানী, আমার বিরোধীতা করছে, একটি দিনের জন্যও আমার বাধ্য হয়নি। তাঁর কারনেই বৃষ্টি আসা বন্ধ আছে।

হযরত মুসা (আ.) জমায়েতের দিকে তাকিয়ে, সেই অচেনা, অজানা লোকটিকে বের হয়ে যেতে বললেন।

সেই লোকটি ভাবলো, এখন যদি বের হয়ে যাই, তবে সবার সামনে পাপী হিসেবে লজ্জা পাবো। আর যদি থাকি, তবে বৃষ্টি আসা বন্ধ থাকবে।

নিজের ইজ্জত বাঁচানোর স্বার্থে সে আল্লাহর কাছে দোয়া করলো "আল্লাহ, চল্লিশ বছর আমার পাপ গোপন রেখেছেন, আজকে সবার সামনে বেইজ্জতি করবেন না। ক্ষমা চাচ্ছি"।

একদিকে দোয়া শেষ হলো, অন্যদিকে আকাশ ভেঙ্গে বৃষ্টি শুরু হলো।

হযরত মুসা (আ.) আবারো অবাক হয়ে জিজ্জাসা করলেন-
আল্লাহ, কেউ তো জমায়েত থেকে বের হলো না, তবে বৃষ্টি দিয়ে দিলা যে?

আল্লাহ জবাব দিলেন-
- যার কারণে বৃষ্টি আসা বন্ধ ছিলো, তাঁর কারনেই বৃষ্টি শুরু হলো। আমি তাঁকে ক্ষমা করে দিয়েছি।

চল্লিশ বছরের পাপ, দশ সেকেন্ডে ক্ষমা...

হযরত মুসা (আ.) জিজ্জাসা করলেন-
- লোকটির নাম পরিচয় তো কিছুই জানালেন না।

আল্লাহ বললেন-
- যখন পাপে ডুবে ছিলো, তখনই জানাই নাই, এখন তওবা করেছে, এখন জানাবো? পাপীদের পাপ আমি যথাসম্ভব গোপন রাখি, এটা আমার সাথে আমার বান্দার নিজস্ব ব্যাপার।

অথচ আমরা নিজেরা পাপী হয়েও প্রতিদিন, প্রতিমুহূর্তে কারো না কারো নামে বদনাম / গীবত করতেই থাকি।

আল্লাহ আমাদের সকলের ছোট-বড় সকল পাপ মাফ করে দিন!
আমিন।

(Copy posy )

02/04/2024

এবছর রোজায় অন্যান্য বছরের তুলনায় অনেক বেশি শান্তিময় আলহামদুলিল্লাহ ❤️

ফিতরা কিঃ ফিতরাকে হাদীসের ভাষায় সাদকাতুল ফিতরা বলে। এটি আদায়ের মাধ্যমে রোজা পালনের দূষত্রুটি দূর হয়ে রোজা পবিত্র হয় এবং ...
26/03/2024

ফিতরা কিঃ ফিতরাকে হাদীসের ভাষায় সাদকাতুল ফিতরা বলে। এটি আদায়ের মাধ্যমে রোজা পালনের দূষত্রুটি দূর হয়ে রোজা পবিত্র হয় এবং গরিব, মিসকিনদের খাদ্যের ব্যবস্থা হয়। ঈদুল ফিতরের নামাজের উদ্দেশ্য বের হওয়ার পূর্বেই ফিতরা আদায় করা উত্তম।

মোহাম্মদী ইসলামের বিধান অনুযায়ী জনপ্রতি ফিতরার পরিমাণ হলো নূন্যতম অর্ধ সা' বা পৌনে দুই সের গম কিংবা আটা বা এর সমপরিমাণ মূল্যের অর্থ।

এ প্রসঙ্গে আল্লাহর রাসূল স. এরশাদ করেন- ছোট কিংবা বড়, স্বাধীন কিংবা দাস-দাসী, পুরুষ কিংবা নারী, তোমাদের প্রতি দুই জনের পক্ষ থেকে এক সা' গম নির্ধারন করা হলো (একজন হলে অর্ধ সা')। তোমাদের মধ্যে যারা ধনী, ফিতরা আদায় করার ফলে তাদের আল্লাহ পবিত্র করেন। আর যারা গরিব তাদেরকে আল্লাহ তাদের দানের তুলনায় আরও অধিক দান করেন।

(আবু দাউদ শরীফ ১ম খন্ড, পৃষ্ঠা ২২৮

#ইসলামিক #ফিতরা #হাদীস

ইফতার এর বিবরণঃইফতার শব্দের আভিধানিক অর্থ রোকজা ভঙ্গ করা। শরীয়তের পরিভাষায় রোজাদার ব্যক্তি সূর্যাস্তের পর যা কিছু খেয়ে অ...
22/03/2024

ইফতার এর বিবরণঃ

ইফতার শব্দের আভিধানিক অর্থ রোকজা ভঙ্গ করা। শরীয়তের পরিভাষায় রোজাদার ব্যক্তি সূর্যাস্তের পর যা কিছু খেয়ে অথবা পান করে রোজা ভঙ্গ করে, তাকে ইফতার বলে। সূর্যাস্তের পর বিলম্ব না করে সাথে সাথে ইফতার করা উত্তম। সূর্যাস্তের সাথে সাথে ইফতার করার ফজিলত প্রসঙ্গে আল্লাহর রাসূল (স.) এরশাদ করেনঃ মানুষ কল্যানের সাথে থাকবে ততকাল, যতকাল তারা শীঘ্র শীঘ্র ইফতার করবে।

(বোখারী শরীফ ১ম খন্ড, পৃষ্ঠা ২৬৩)

অন্য হাদীসে হযরত রাসূল (স.) এরশাদ করেনঃ দ্বিন জয়ী থাকবে ততদিন, যতদিন লোকেরা শীঘ্র শীঘ্র ইফতার করবে। কেননা ইহুদি-খ্রিস্টানরা ইফতার করে দেরিতে।

(আবু দাউদ শরীফ ১ম খন্ড, পৃষ্ঠা ৩২১)

আল্লাহর রাসূল (স.) আরও এরশাদ করেন, হাদীসে কুদসিতে মহান আল্লাহ বলেনঃ আমার বান্দারের মধ্যে আমার নিকট অধিকতর প্রিয় সেই ব্যক্তি, যে ব্যক্তি শীঘ্র শীঘ্র ইফতার করে।

(তিরমিজি শরীফ ১ম খন্ড, পৃষ্ঠা ১৫০)

ইফতারের দোয়াঃ আল্লাহুম্মা লাকা সুমতু ওয়া আলা রিঝক্বিকা আফত্বারতু।
অর্থাৎঃ হে আল্লাহ! আমি আপনার জন্যই রোজা রেখেছি এবং আপনার রিজিক দিয়েই ইফতার করছি।

(আবু দাউদ শরীফ ১ম খন্ড, পৃষ্ঠা ৩২২)

ইফতারের পূর্ব মুহুর্ত আল্লাহর দরবারে বান্দার প্রার্থনা কবুলের উত্তম সময়। রোজাদার ব্যক্তি যদি ইফতারের পূর্ব মুহুর্তে হযরত মোহাম্মদ (স.) এর প্রতি মিলাদ শরীফ তথা দরুদ ও সালাম পেশ করে এবং আল্লাহর নিকট মুনাজাত করে, তবে মহান আল্লাহ দয়া রোজাদার ব্যক্তির রোজা কবুল করে প্রার্থনা মঞ্জুর করেন। তাই ইফতারের পূর্বে মিলাদ শরীফ পাঠ করে মুনাজাত করা উত্তম।

#ইসলামিক #ইফতার

আজ ১০ রমজান ! হযরত রাসুল (সা.)-এর প্রাণপ্রিয় সহধর্মিণী হযরত মা খাদিজা (রা.)-এর ওফাত দিবস। তাঁর কদম মোবারকে জানাই লাখো স...
21/03/2024

আজ ১০ রমজান !
হযরত রাসুল (সা.)-এর প্রাণপ্রিয় সহধর্মিণী হযরত মা খাদিজা (রা.)-এর ওফাত দিবস। তাঁর কদম মোবারকে জানাই লাখো সালাম ও কদমবুচি ।

মহান রাব্বুল ইজ্জত যাঁকে সালাম দিয়েছেন;
প্রথম দ্বীন কবুলকারী;
খাতুনে জান্নাত মা ফাতিমার গর্ভধারিণী;
দয়াল নবীজীর প্রথম সঙ্গিনী, যাঁর নসল থেকেই আলে রাসূল জারি আছে, উম্মুল মু'মিনীন হযরত খাদিজাতুল কোবরা ওয়া ত্বহিরা (রা.)'র এঁর ওফাত দিবস।

প্রিয় নবীজি (ﷺ)-এঁর পেছনে প্রথম যে দুইজন জামাআতে নামাজ আদায় করেছেন তার মধ্যে উম্মুল মু'মিনীন হযরত খাদিজা (রা.) একজন। যিনি ছিলেন প্রিয় নবীজি(ﷺ)-র দূর্দিনের সাথী। অপরজন হযরত আলী রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহু।

আরশ ছে জিস পে তাসলীম নাযীল হুয়ী;
উস সারায়ে সালামত পে লাখো সালাম..

উম্মুল মুমেনীন খাদিজা বিনতে খুওয়াইলিদ সালামুল্লাহ আলাইহা।

উপাধি:
কুবরা- মহীয়সী
ত্বহিরা- পূতঃপবিত্রা।

তিনি কিয়ামত পর্যন্ত সমস্ত সাইয়্যেদগণের মাতা। রাসূল ﷺ এঁর সাথে সংসার জীবন কাটিয়েছেন ২৫ বছর। রাসূল ﷺ আম্মাজান খাদিজাকে কখনোই ভুলতে পারেননি। ঘরে ভালো খাবারের আয়োজন হলে তিনি সে খাবার খাদিজা রাদিয়াল্লাহু তাআলা আনহার বান্ধবীদের মাঝে বিতরণ করতেন। খাদিজা নেই, কিন্তু তাঁর বান্ধবীদের খোঁজ খবর নিয়ে রাসূল ﷺ প্রিয়তমা খাদিজাকে স্মরণ করতেন।

আম্মাজান আয়েশা ( রাদি:) কে একবার হুজুর বলেন, "আয়েশা, মানুষ যখন আমাকে মিথ্যা বলে উড়িয়ে দিতে চেয়েছিল, তখন খাদিজা আমাকে সত্য বলে মেনে নিয়েছিলেন। সবাই যখন কাফির (অবিশ্বাসী) ছিলো, তখন তিনি ছিলেন মুসলিম। কেউ যখন আমার সাহায্যে এগিয়ে আসেনি, তখন তিনি আমাকে সাহায্য করেছিলেন সমস্ত কিছু দিয়ে।" একথাগুলো বলতে গিয়ে রাসূলে আরাবী ﷺ এঁর নূরানি চক্ষু মুবারক ভিজে এসেছিল।

কুরাইশ প্রিন্সেস বলেই সবাই তাঁকে জানতেন। রূপে-গুণে- আদর্শে, সততায়, নিষ্ঠায় তিনি ছিলেন শ্রেষ্ঠা। যে যুগে নারী মানেই লজ্জা, সে যুগেই তিনি মহীয়সী। কন্যা সন্তানের ফুটফুটে মিষ্টি মুখ দেখেও যে যুগে কন্যা সন্তানকে জীবন্ত মাটিতে পুতে ফেলা হতো, সে যুগেও তিনি সবার কাছে শ্রদ্ধার এবং প্রিয় ছিলেন।
ধন্যাঢ্য মা খাদিজা তাঁর সমস্ত সম্পদ দান করে দিলেন নবীজি ﷺ এঁর পদতলে। নবীজী সে সম্পদ ইসলামের জন্য ব্যয় করলেন। ৩০ বছর বয়স থেকেই নবীজি হেরা গুহায় গিয়ে ধ্যানে মগ্ন হতেন। কণ্টকময় পাহাড় বেয়ে বেয়ে খাবার নিয়ে যেতেন আম্মাজান খাদিজা, সাথে যেতেন শিশু আলী ইবনে আবি ত্বালিব কাররামুল্লাহু ওয়াজহাহু।

আম্মাজান খাদিজাকে একবার জিব্রাইল আলাইহিস সালাম আল্লাহ্ পাকের পক্ষ থেকে সালাম পৌঁছে দিয়েছিলেন। তাঁর প্রিয়তম কন্যা সাইয়্যেদা ফাতিমা সালামুল্লাহু আলাইহার মাধ্যমে তিনি হলেন সমস্ত সাইয়্যেদগণের মাতা।

রমজানের ১০ম দিনে তিনি মক্কায় ইন্তেকাল করেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। মক্কার বিখ্যাত কবরস্থান জান্নাতুল মুয়াল্লায় এই মহীয়সী নারীকে দাফন করা হয়। রাসূল ﷺ নিজের চাদর মুবারক খাদিজা রাদিয়াল্লাহু তাআলা আনহার কবরে বিছিয়ে দিয়ে আল্লাহর কাছে তাঁর মাগফেরাত চেয়ে কান্নাকাটি করছিলেন। এমন সময় জিব্রাইল আলাইহিস সালাম খবর নিয়ে এলেন, আল্লাহ্ পাক নিজে খাদিজার দায়িত্ব নিয়েছেন, কাজেই হে রাসূল ﷺ আপনি উদ্বিগ্ন হবেন না। বুখারী ও মুসলিম শরীফের হাদীসে বলা হয়েছে, "পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ মহিলা হলেন মরিয়ম বিনতে ইমরান ও খাদিজা বিনতে খুওয়াইলিদ।" একই সাথে খাদিজা রাদিয়াল্লাহু তাআলা আনহাকে জান্নাতে মণি-মুক্তার তৈরী একটি প্রাসাদের সুসংবাদ দেয়া হয়েছে।

নিচের ছবিটি মক্কার 'জান্নাতুল মাওয়া' কবরস্থানে অবস্থিত উম্মুল মুমিনিন হযরত খাদিজা (রা.)-এর রওজা শরিফের। ছবিটি ১৯২৫ খ্রিস্টাব্দের, ২১ এপ্রিল, বুধবার সৌদি সরকার কর্তৃক রওজা শরিফের অবকাঠামো ভাঙ্গার পূর্বের অবস্থার।

মহান আল্লাহ্ দয়া করে মুমিনগণের মা হযরত খাদিজাতুল কুবরা (রা:) -এর ওফাত দিবসের উসিলায় আমাদেরকে কবুল করুক । 🤲আমিন 🤲

#ইসলামিক

রোজার নিয়তঃনাওয়াইতু আন আসূমা গাদাম মিন শাহরি রামাদ্বানাল মুবারাকি ফারদ্বাল লাকা ইয়া আল্লাহু ফতাক্বাব্বাল মিন্নী ইন্নাকাআ...
21/03/2024

রোজার নিয়তঃ

নাওয়াইতু আন আসূমা গাদাম মিন শাহরি রামাদ্বানাল মুবারাকি ফারদ্বাল লাকা ইয়া আল্লাহু ফতাক্বাব্বাল মিন্নী ইন্নাকাআনতাস সামী'উল আলীম।

অর্থাৎঃ হে আল্লাহ! আমি আগামী দিন মাহে রমজানের রোজা রাখার নিয়ত করছি। যা আপনার পক্ষ থেকে ফরজ করা হয়েছে। আমার পক্ষ থেকে তা কবুল করুন। নিশ্চয়ই আপনি সবকিছু শুনেন ও সবকিছু জানেন।

সাহরীর বিবরণঃ আভিধানে সাহরীর সংজ্ঞায় বলা হয়েছে- রমজান মাসে উপবাসব্রত পালনের উদ্দেশ্য সূর্যোদয়ের পূর্বে গৃহীত আহার্য। ইলামি পরিভাষায় সাহরি বলতে রোজা রাখার নিয়তে রমজান মাসে ভোর রাতের খবারক সাহরী বলা হয়।

সাহরি খাওয়ার প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ এরশাদ করেনঃ তোমরা পানাহার করো যতক্ষন না রাতের কালো রেখা থেকে ভোরের সাদা রেখা পরিষ্কার দেখা যায়।

(সূরা আল বাকারাহ ০২ আয়াত ১৮৭)

সাহরি বিলম্ব করা মুস্তাহাব।

হযরত হুযায়ফা (রা.) হতে বর্নিত হয়েছে তিনি বলেনঃ আমরা আল্লাহর রাসূল (স.)-এর সাথে এমন সময় সাহরি খেয়েছি যে, তখন দিন হয়ে গিয়েছিল, তবে সূর্য উদিত হওয়া বাকী ছিল।

(তাফসীরে ইবনে কাছির ১ম খন্ড, পৃষ্ঠা ৩২০)

অন্য হাদীসে হযরত সামুরা ইবনে জুনদুব (রা.)
হতে বর্নিত হয়েছে। তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল (স.) এরশাদ করেনঃ বিলালের আজান এবং পূর্ব আকাশের এরূপ শুভ্র আলো যতক্ষন না তা পূর্ব দিগন্তে প্রসারিত না হয়, যেনো তোমাদেরকে সাহরি খাওয়া থেকে বিরত না রাখে।

(আবু দাউদ শরীফ, ১ম খন্ড ৩২০)

#ইসলামিক

16/03/2024
সাহরী কি? সাহরী আরবী শব্দ। এর বাংলা অর্থ প্রভাত, প্রত্যুষ, উষা, ভোর ইত্যাদি। মূলত দিবস শুরু হওয়ার পূর্ব মুহূর্ত। ইসলামী ...
15/03/2024

সাহরী কি?

সাহরী আরবী শব্দ।
এর বাংলা অর্থ প্রভাত, প্রত্যুষ, উষা, ভোর ইত্যাদি।

মূলত দিবস শুরু হওয়ার পূর্ব মুহূর্ত।

ইসলামী পরিভাষায় সাহরী বলতে রোজা রাখার নিয়তে সুবহে সাদিকের পূর্বে খাবার খাওয়ার সময়কে বুঝানো হয়।
সাহরী খাওয়ার সময় সম্পর্কে মহান আল্লাহ পবিত্র কুরআনে বলেন,

"আর তোমরা পানাহার করো যতক্ষণ না রাতের কালো রেখা থেকে ভোরের সাদা রেখা পরিষ্কার দেখা যায়।
তারপর রোজা পূর্ণ করো রাত পর্যন্ত।

সূরা আল বাকারা- ২: আয়াত ১৮৭।

হযরত আমর ইবনুল আস (রা.) হতে বর্ণিত, আল্লাহর রাসূল (সা.) বলেন-

"আমাদের রোজা এবং ইহুদি ও খ্রিষ্টানদের রোজার মধ্যে পার্থক্য হলো সাহরী খাওয়া।"

মুসলিম শরীফ।

সাহরীর শেষ সময় সূর্য উদয়ের পূর্ব পর্যন্ত সাহরী খাওয়া যায়।

এ প্রসঙ্গে হাদীস শরীফে বর্ণিত হয়েছে,
হযরত হুযায়ফা (রা.) বলেন,
"আমরা আল্লাহর রাসূল (সা.)-এর সাথে এমন সময় সাহরী খেয়েছি যে, তখন দিন হয়ে গিয়েছিল, তবে সূর্য উদিত হওয়ার বাকী ছিল।"

তাফসীরে ইবনে কাছীর, ১ম খণ্ড, পৃষ্ঠা-৩২০।

ফজরের আযানের সাথে সাহরীর সম্পর্ক,

আযান হচ্ছে নামাজের আহবান, সাহরীর সাথে আযানের কোনো সম্পর্ক নেই।
এ প্রসঙ্গে হযরত সামুরা ইবনে জুনদুব (রা.) হতে বর্ণিত, আল্লাহর রাসূল (সা.) বলেন,

"বিল্লালের আযান যেন তোমাদেরকে সাহরী হতে বিরত না রাখে এবং পূর্ব আকাশের সাদা আলো যতক্ষণ পূর্ব দিগন্তে প্রসারিত না হয়।"

আবু দাউদ শরীফ, হাদীস নং- ২৩৩৮।

হযরত আবু হুরায়রাহ (রা.) বলেন, হযরত রাসুল (সা.) ফরমান-

"তোমাদের কেউ যখন ফজরের আযান শ্রবণ করে, আর এ সময় তার হাতে খাদ্যের পাত্র থাকে, সে যেন আযানের কারণে খাদ্য গ্রহণ বন্ধ না করে, যতক্ষণ না সে তা দিয়ে স্বীয় প্রয়োজন পূর্ণ করে।"

আবু দাউদ শরীফ, হাদীস নং- ২৩৪২।

সাহরী খাওয়ার ফজিলত সাহরী খাওয়ার মাঝে ফজিলত রয়েছে।
এ প্রসঙ্গে হযরত আনাস (রা.) হতে বর্ণিত হয়েছে, আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেন-

"তোমরা শেষ রাতের খাদ্য (সাহরী) গ্রহণ করো। কেননা শেষ রাতের খাদ্যে বরকত রয়েছে।"

তাফসীরে ইবনে কাছীর, ১ম খণ্ড, পৃষ্ঠা-৩১৯।

যদি ঘুম থেকে উঠতে দেরি হয়ে যায়, হাতে সময় না থাকে এবং সূর্য্য উঠার ও বাকি আছে অন্ততঃ সে যেন এক গ্লাস পানি হলেও পান করে নেয়, কারন এর মাঝে ( সাহরির) অত্যাধিক বরকত রয়েছে।

#ইসলামিক

বাংলাদেশ সহ ও অন্যান্য দেশের পক্ষ থেকে ফিলিস্তিনের মানুষের জন্য রমজানের উপহার। আলহামদুলিল্লাহ! 💝
14/03/2024

বাংলাদেশ সহ ও অন্যান্য দেশের পক্ষ থেকে ফিলিস্তিনের মানুষের জন্য রমজানের উপহার। আলহামদুলিল্লাহ! 💝

আজ ৩ রমজান! নবী নন্দীনী, খাতুনে জান্নাত, সাইয়্যিদাতুন নিছা, হযরত ফাতেমা রাদিয়াল্লাহু আনহা'র ওফাত দিবস! মা ফাতেমা (রা)'র ...
14/03/2024

আজ ৩ রমজান! নবী নন্দীনী, খাতুনে জান্নাত, সাইয়্যিদাতুন নিছা, হযরত ফাতেমা রাদিয়াল্লাহু আনহা'র ওফাত দিবস!
মা ফাতেমা (রা)'র ১৪৩৪ তম ওফাত দিবসের উসিলায় আল্লাহ পাক আমাদের সবাইকে মাফ করুন ।

#ইসলামিক

চরিত্র মানুষের মূল্যবান সম্পদ। চরিত্র ছাড়া মানুষের গর্ব করার মত আর কিছু নাই। পৃথিবীতে মানুষ কেবল চরিত্রবানদেরকেই শ্রদ্ধা...
13/03/2024

চরিত্র মানুষের মূল্যবান সম্পদ। চরিত্র ছাড়া মানুষের গর্ব করার মত আর কিছু নাই। পৃথিবীতে মানুষ কেবল চরিত্রবানদেরকেই শ্রদ্ধা ভক্তি করে। চরিত্রবানরা সত্যবাদী, বিনয়ী, জ্ঞানের প্রতি শ্রদ্ধাশীল, পরদুঃখকাতর, ন্যায়বান, এবং স্বাধীনতা প্রিয় হয়।

পবিত্র মাহে রমজান, আত্মশুদ্ধির মাস আত্মত্যাগের মাস।
11/03/2024

পবিত্র মাহে রমজান,
আত্মশুদ্ধির মাস
আত্মত্যাগের মাস।

যিনি নিজের জানাজা নিজেই পড়েছেন,বিখ্যাত অলী হযরত বাকি বিল্লাহ (রহঃ) এর  ঘটনা।যিনি বিখ্যাত অলী মুজাদ্দেদ আল ফেসানির পীর।বা...
10/03/2024

যিনি নিজের জানাজা নিজেই পড়েছেন,

বিখ্যাত অলী হযরত বাকি বিল্লাহ (রহঃ) এর ঘটনা।
যিনি বিখ্যাত অলী মুজাদ্দেদ আল ফেসানির পীর।

বাকি বিল্লাহ (রহঃ) কোমরে অনেকদিন ধরে বাতের ব্যাথা।
প্রধান খাদেম তেল গরম করে কোমরে মালিশ করে দেন প্রায়ই।

বাকি বিল্লাহ (রহঃ) প্রতি বৃহস্হতিবার একটি নির্দিষ্ট সময়ে আম জনতার সঙ্গে দেখা দিতেন,,
এবং সুখ দুঃখের কথা শুনতেন।

একদিন এক লোক এসে বাকি বিল্লাহ (রহঃ) এর কাছে অভিযোগ করলেন যে,,
তার কোমরে পুরাতন বাতের বেদনা,,
অনেক রকম চিকিৎসা, ঝাঁড় ফুঁক করেও কিছুতেই কিছু হলোনা তাই এসেছেন।

বাকি বিল্লাহ (রহঃ) শুনে বললেন যে, এটা তো কোন রোগই না।

তুমি এক পাত্র পানি নিয়ে আস,,
আমি ফুঁক দিয়ে দেই।
পানি আনা হলো এবং ফুঁক দেবার পর বাকি বিল্লাহ (রহঃ) লোকটিকে পরের বৃহস্হতিবার এসে জানাতে বলেন।

লোকটি সেই কথা মোতাবেক এসে হুজুর কে সম্পূর্ণ রোগমুক্তির কথাটি জানালেন।

লোকটি যখন রোগমুক্তির কথাটি জানাচ্ছেন তখনও প্রধান খাদেম হুজুরের কোমরে গরম তেল মেখে মালিশ করছেন।

খাদেম এহেন কথা শুনে মনের অজান্তে বলে ফেললেন, বুঝলামনা ফকিরি কি,,
বাকি বিল্লাহ (রহঃ) খাদেমর মুখে এ রকম কথা শুনে বললেন, তুই ফকিরি দেখতে চাস না শিখতে চাস?

খাদেম বললো, বাবা আমি ফকিরি দেখতে চাই। বাকি বিল্লাহ (রহঃ) বললেন যে, আমার পর্দা নেবার পর একজন মাওলানা ঘোড়ায় চড়ে, মুখে নেকাপ মুখোশ লাগিয়ে জানাজা পড়তে আসবেন।

জানাজা শেষে সেই মাওলানাকে অনুসরন করবি এবং নির্জন স্থানে আসলেই মাওলানাকে ফকিরি দেখাবার কথাটি বলবি।

বাবা বাকি বিল্লাহ (রহঃ) পর্দা নেবার পর সেই কথা মতো সব কিছুই গটলো এবং নির্জন স্থানে এসে ফকিরি দেখাবার কথাটি বললে,,
মাওলানা মুখের নেকাব উঠাতেই খাদেম বললেন, বাবা আপনি, তা হলে ওটা কে?
ওটা বাকি বিল্লাহর লাশ মোবারক।

একি বিস্ময়কর দৃশ্য দেখছি, খাদেমের কথা শুনে বাবা বাকি বিল্লাহ (রহঃ) বললেন, তুই ফকিরি হাসেল করতে চাস নি, বরং দেখতে চেয়েছিলি।

ইতিহাস নয় সুফিবাদের রহস্য!
থেকে তুলে ধরলাম......

বূক্ষ তোমার নাম কি ফলেই পরিচয়
(ভাই পড়লে মনযোগ দিয়ে পুরটাই পড়বেন)

যে বড় যাত্রী ১২বৎসর আগে নদীত ডুবে মারা গেল,,
বড়পীর আব্দুল কাদের জীলানী(রহঃ),,
অবার পুনরায় জীবিত করলেন!!!

একি......১২বৎসর আগে আল্লাহতালা যাদের মৃত্যু দিলেন,,
১২বৎসর পর বড় পীর (রহ),
তাদের জীবিত করলেন।!!!
বড় পীরের এতো ক্ষমতা?????
আমাদের অলি আল্লাহ্ বিরোধী বড় বড় হুজুরদের মাথাই এসব আসে না

খাজা ময়নুদ্দীন চিশতি(রহঃ),,
উনার আদেশে আনা সাগরের সমস্ত পানি,,
এক ঘটির মধ্যে ঢুকিয়ে পড়ল।

এমন কি মায়ের স্তনের দুধ,গাভির ওলানের দুধ শূন্য হয়ে পড়ল।
আবার খাজাবাবা যখন আদেশ দিলেন তখন যে যার জায়গায় ফিরে গেল!!!

একি........খাজা সাহেব(রহঃ) এতো ক্ষমতা!
যে দুধ,পানি আল্লাহ্তালা রিজিক হিসাবে পাঠিয়েছেন,,,
খাজাবাবা তা কেড়ে নিলেন?

অলি আল্লাহ বিরোধী বড় বড় হুজুরদের মাথায় এসব ঢোকেনা

রাজা যাদুকর কালাপাহাড় থেকে নিরাশ হয়ে যাদুকর জয়পালকে ডাকলেন।
যাদুকর খাজাবাবাকে ভীত ও মনোবল দূর্বল করার জন্য যাদু বিদ্যার দ্বারা শূন্যের উপরে উঠলেন।

খাজাবাবা তাকে উপর হতে নিচে নামিয়ে আনার জন্য তিনার জুতামোবারকে নির্দেশ দিলেন,,
উভয় জুতামোবারক পাখির ন্যায় উড়ে গিয়ে,,
জয়পালের উভই গালে জুতা মারতে মারতে খাজাবাবার নিকট হাজির করলো।

একি........খাজাবাবার জুতাও দেখি আকাশে ওড়ে, আবার মারার জন্য গালটায় বেছে নিল!!!!!!! জুতার এতো ক্ষমতা???????

এতে জয়পাল মুসলমান হলো কিন্তু অলি আল্লাহ্ বিরোধী বড় বড় হুজুরা জুতার কথা ভুলেই গেল

পৃথ্বিরাজের কন্যা বান্ধবিদের নিয়ে,,
আওলিয়াগনের দরবারে গিয়ে দেখলেন,,
খাজাবাবা কুরআন তেলাওয়াত করছেন,,,
খাজাবাবা একটু বুজতে পারলেন মনেহয় কেউ আসছেন,,

তাই সামান্য একটু দৃষ্টিপাত করলেন,,
এসামান্য দৃষ্টি মেয়েটির উপর পড়ার সঙ্গে সঙ্গে মেয়েটি ৩০ পারা কুরআনের হাফেজ হয়ে গেল।

একি.......খাজাবাবার একটু সামান্য দৃষ্টিতে হিন্দু মেয়ে কুরআনের হাফেজ হয়ে গেল।
খাজাবাবার সামান্য দৃষ্টির এতো ক্ষমতা!!!!!!!!!!

আমাদের অলি আল্লাহ্ বিরোধী বড় বড় হুজুরদের মাথাই এসব ঢোকেনা

হযরত শাহ্জালাল(রহঃ),,
৩৬০ জন সঙ্গি নিয়ে জায়নামাজ বিছিয়ে,,
সুরমা নদী পার হয়ে
বিনা যুদ্ধে সিলেট জয় করেছিলেন।

একি......জায়নামাজও দেখি পানির উপরে ভাসে,,
আবার মানুষও পাড় করে!!!!!!

ইমাম সৈয়দ আবুল ফজল সুলতান আহমদ চন্দ্র পুরী(রহঃ),,
অন্ধের চক্ষু ভালো করে দিয়েছিলেন!!

সুফি সম্রাট হুজুর কেবলাজান,,
সড়ক দূ্র্ঘটনায় মুরীদ সন্তানকে দূর্ঘটনা কবলিত গাড়ির ভিতর থেকে জীবিত বের করে এনেছিলেন (কোনটা রেখে কোনটা বলি)

আলি আল্লাহ বিরোধী বড় বড় হুজুরদের কাছে এসব অজস্র ঘটনা কিছুই না,,

এর থেকেও তিনারা অনেক বেশী পাড়েন......ফতুয়া মারতে (আঙ্গুর ফল টক এই জাতীয় আর কি)

আসলে এ পৃথিবীর কোন মানুষের পক্ষে এ রকম অলৌকিক ঘটনা ঘটানো সম্ভব নয়।

যদি না মহান আল্লাহ্তালার খাস রহমত থাকে।
আল্লাহ এবং আল্লাহর অলি বন্ধু এতটাই নিকটে থাকেন যে,,
তিনার বন্ধু কোন কিছু চাওয়া মাত্র তা সংঙ্গে সংঙ্গে কবুল করে নেন।

যদি আল্লাহ্তালা তিনাদের উপর অসন্তুষ্ট থাকতেন তবে কি এ সব অলৌকিক ঘটনা ঘটানো সম্ভব হতো??????? কখনই না।

অলি আল্লাহ বিরোধী বড় বড় হুজুরা একটা অলৌকিক ঘটনা ঘটিয়ে দেখান না, কেমন পাড়েন????এ বিদ্যা কি আপনাদের কাছে আছে?????

এ বিদ্যা আপনাদের কাছে নাই বলেইত অলী-আল্লাহর উপরে আপনাদের এতো চুলকানি, এলার্জি।

তবে শোনেন এ বিদ্যা অর্জন করেই আমার দয়াল দরদী নবীজী ,,
শাহাদাৎ আঙ্গুলী মোবারকের ইশারায় চাঁদকে
দ্বিখন্ডিত করেছিলেন।

★হযরত মুসা(আঃ)আল্লাহর সাথে কথা বলেছিলেন
★হযরত ঈব্রাহীম(আঃ) আগুনে নিক্ষিপ্ত হরে বেচে ছিলেন

★হযরত সোলাইমান(আঃ)আকাশ পথে উড়ে বেরাইতেন
★হযরত ঈসা(আঃ)মৃত্যুকে জীবিত করেছিলেন। বহুত...

আমাদের উপমহাদেশেত কোন নবীরাসুল আসেন নাই,,
বড় বড় হুজুরদের কাছে জানতে চাই, আপনাদের পূর্ব পুরুষগন কার কাছে মুসলমান হয়েছিলেন?

যার সূত্র ধরে আজ আপনারা নিজেকে মুসলমান দাবি করেন (মজার ব্যাপার)

আপনাদের মত হুজুরা এ পৃথিবী থেকে চলে গেছেন আজ তাদের নাম নিশানাও নেই,,
কিন্তু মহান রাব্বুল আলামিন তিনার বন্ধুদের মর্যাদা এ পৃথিবীতে উজ্জল নক্ষত্রের ন্যায় জ্বালিয়ে রেখেছেন, এবং রাখবেন।

ভালো লাগলে লাইক, কমেন্ট, ও বেশি বেশি শেয়ার করুন।

06/03/2024

শানে মুর্শেদঃ পারের কান্ডারী বাবা দেওয়ানবাগী
শিল্পীঃ_ আবুল কালাম আজাদ।
#ইসলামিক #গজল

04/03/2024

উম্মতের কান্ডারী বিনে কেউ আপন নয়
কি বললেন হাসান আল আজহারি?

01/03/2024

আকীকাহ্ করাঃ-
সন্তান জন্মের পর সপ্তম দিবসে কিংবা পরবর্তীতে সামর্থ অনুযায়ী আকীকাহ্ করা সুন্নাত। এতে বালা-মুসিবত দূর হয় এবং আপদ-বিপদ থেকে সন্তান রক্ষা পায়। আমাদের প্রিয় নবী (সঃ) এ প্রসঙ্গে বলেন, প্রত্যেকটি সদ্যজাত সন্তান তার আকীকার নিকট বন্দী। তার জন্মের পর সপ্তম তার নাম রাখতে হবে এবং তার মাথার চুল কামিয়ে ফেলতে হবে।
(বুখারী ও তিরমিজি শরীফ)

এর ব্যাখ্যায় ইমাম আহমদ (রহঃ) বলেছেন, শিশু অবস্থায় কোন সন্তান যদি মারা যায় এবং তার জন্য আকীকাহ্ করা না হয়, তবে সে তার পিতা-মাতার জন্য আল্লাহর কাছে শাফায়াত করবে না। আকীকাহ্ করা একান্তই অপরিহার্য। তা না করে কোন উপায় নেই। বস্তুতঃ আকীকাহ্ করার মধ্যে নিহিত রয়েছে সামাজিক, নাগরিক ও মনস্তাত্ত্বিক সর্বপ্রকার কল্যানবোধ। এ কারনেই নবী কারীম (সঃ) আল্লাহর অনুমতিক্রমে এ প্রথা চালু করেছেন। তিনি নিজে আকীকাহ্ দিয়েছেন এবং উম্মতকেও উৎসাহিত করেছেন। পুরুষ সন্তানের জন্য দু,টি ছাগল এবং মেয়ে সন্তানের জন্য একটি ছাগল জবাই করাই যথেষ্ট।

#ইসলামিক #আকিকাহ

29/02/2024

কোরআনে যেসব নারীদের নাম উল্লেখ আছে।

১/ হযরত আয়েশা সিদ্দিকা (রাঃ)
২/ উম্মে মুসা ( ইউখাবিজ)
৩/ ইখতে মুসা ( মরইয়াম)
৪/ ইমরাতে ফিরাউন (আছিয়া)
৫/ ইমরাতে ইমরান (হান্না)
৬/ ইমরাতে ইব্রাহিম (সারা)
৭/ আবু লাহাবের স্ত্রী ( উম্মে জামিল)
৮/ ইমরাতাইনে হযরত শুয়াইব (আঃ) এর দুই কন্না ছাগীরা ও সফুরা
৯/ ইমরাত (রানী বিলকিস)
১০/ আজিজে মিশরের স্ত্রী ( জুলাইখা)

 #সারাবিশ্বে_একই_দিনে_ঈদ_সহ_ধর্মীয়_ #অনুষ্ঠানাদি_পালন_করার_প্রয়োজনীয়তা_ও_এই_বিষয়ে_১৫টি_যৌক্তিক_কারণ: #সূফী_সম্রাট_হযরত_দ...
27/02/2024

#সারাবিশ্বে_একই_দিনে_ঈদ_সহ_ধর্মীয়_
#অনুষ্ঠানাদি_পালন_করার_প্রয়োজনীয়তা_ও_এই_বিষয়ে_১৫টি_যৌক্তিক_কারণ:
#সূফী_সম্রাট_হযরত_দেওয়ানবাগী_রহঃ
#ধর্মীয়_সংস্কার__

★১. মুসলিম জাতি একটি ঐক্যবদ্ধ জাতি। পবিত্র কোরআনে এ প্রসঙ্গে বলা হয়েছে: "তোমরা আল্লাহর রজ্জুকে শক্ত করে ধরো ও পরস্পর বিচ্ছিন্ন হয়ো না।" যদি আমরা দুই দিনে ঈদ উৎসব পালন করি তবে কোরআনের এই আয়াতটি অবমাননা করা হবে।

★২. হযরত রাসূল (স:) এর জীবদ্দশায় একই দিনে সব অঞ্চলে ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালন করা হতো। কোন অঞ্চলে একদিনে আগে আবার কোন অঞ্চলে এক দিন পরে অনুষ্ঠান করা হতো না। সেই মাফিক আমাদেরকে একই দিনে ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালন করতে হবে।

★৩. আমরা ফজর, জোহর, আসর, মাগরিব এশা ও জুমার নামাজ সৌদির আরবের সময়ের চেয়ে ৩ ঘন্টার ব্যবধানে পড়ি। অথচ শুধুমাত্র ঈদের নামাজ ২৭ ঘন্টার পর আদায় করার কোনো যৌক্তিকতাই নেই। যদি অন্যান্য নামাজ ৩ ঘন্টার ব্যবধানে আদায় করি তবে ঈদের নামাজও ৩ ঘন্টার ব্যবধানে পড়াই উত্তম হবে।

★৪. হযরত ওমর (আ:) এর শাসনামলে মুসলিম রাজ্যের অায়তন বৃদ্ধি পেলে তিনি ধর্মীয় অনুষ্ঠান সঠিকভাবে করার জন্য তার উপদেষ্টা কমিটির সদস্যদের নিয়ে একটি বিজ্ঞান ভিত্তিক ক্যালেন্ডার তৈরি করেন। যে ক্যালেন্ডার টি মুসলিম সমাজ থেকে প্রায় বিলুপ্ত হয়ে গেছে। বিলুপ্ত প্রায় ঐ ক্যালন্ডারটি পুনরায় অনুসরণ করলে সারাবিশ্বে একই দিনে ঈদ করা হবে।

★৫. হাদীস শরীফে বলা হয়েছে: বিশ্বাসযোগ্য বিষয়ে সন্দেহ পোষণ করা যেমন অশুদ্ধ, তেমনি সন্দেহ জনক বিষয়ে বিশ্বাস করাও অশুদ্ধ। আমরা যদি সারাবিশ্বে সাথে তাল মিলিয়ে ঈদ না করে, যদি একদিন পর ঈদ করেই শুদ্ধ মনে করি তবে হাদীস অনুসারেও ভুল হবে। এজন্য একই সাথে ঈদ করতে হবে।

★৬. আমরা এক নবীর উম্মত অথচ ঈদ করি দুই দিনে। যাহা অন্য ধর্মালম্বীদের কাছে হেয়, হাস্যকর ও লজ্জাজনক হচ্ছে। এর কারণে তাদের কাছে আমাদের নবীর মানও ক্ষুন্ন হচ্ছে। তার সম্মানের খাতিরেও একই দিনে ঈদ করা প্রয়োজন।

★৭. পবিত্র কোরআনে বর্ণিত হয়েছে: তিনি (আল্লাহ) সূর্যকে তেজস্কর করেছেন, চন্দ্রকে করেছেন জ্যোতির্ময় ও তার তিথিসমূহ নির্দিষ্ট করেছেন। যাতে তোমরা বৎসর গণনা ও সময় নির্ণয়ের জ্ঞান লাভ করতে পারো, আল্লাহ এসব নিরর্থক সৃষ্টি করেননি, জ্ঞানী সম্প্রদায়ের জন্যে তিনি সমস্ত নিদর্শন বিশদভাবে বণর্না করেন। (সূরা ইউনূস আয়াত ৫)। আমাদের দেশের বর্তমান প্রচলিত ক্যালেন্ডারটি গণনা ভিত্তিক নয় বা সম্পূর্ণ বিজ্ঞান ভিত্তিক নয়। এটা দেখা ভিত্তিক। তাই এটা দ্রুত সংস্কার করে গণনা ভিত্তিক করলেই, সারা বিশ্বে একই দিনে ঈদ সম্ভব।

★৮. হানাফী মাজহাবের ইমাম হযরত আবু হানিফা (রহ:) সারা বিশ্বে একই দিনে ঈদ বা রোজা শুরু প্রসঙ্গে একমত পোষণ করে বলেন: "উদয়স্থল এলাকা বা রাষ্ট্র বিবেচনার বিষয়বস্তু হবেনা। চন্দ্র উদয়ের ব্যাপারটি শুধু বিবেচ্য হবে। মাজহাবের প্রকাশ্য মত এটিই"।তার মতেও সারাবিশ্বে একই দিনে ঈদ করা প্রয়োজন। তার এ মতের সাথে মাজহাবে আরও ২ ইমাম একমত পোষণ করেছেন।
অন্যতম ফতোয়ার কিতাব "ফতোয়ায়ে আলমগীরিতেও ইমাম আবু হানিফার এ মতটিকে প্রাধান্য দেয়া হয়েছে।

★৯. এছাড়া ফতোয়ায়ে কাজী খানে উল্লেখ করা হয়েছে, ফকিহ আবু লাইস ও সামসুল আইম্মাহুনাওয়ানী এরূপ ফতোয়া প্রদান করেন: "যদি পশ্চিম দেশীয় লোক রমজানের চাঁদ দর্শন করে, তবে পুর্ব দেশীয় লোকদের উপর রোজা রাখা ওয়াজিব হয়ে যাবে"। তার মতেও একই দিনে ধর্মীয় অনুষ্ঠান করার কথাই বলা হয়েছে।

★১০. "খোলাসা" নামক আরেকটি ফতোয়ার কিতাবে বলা হয়েছে: "যারা পরে চাঁদ দেখে (১ দিন পর) তাদের ওপরও রোজা ফরজ হবে। যদি ঐ দেশীয় লোকদের চাঁদ দেখার সংবাদ নিভর্রযোগ্য সূত্রে এসে পৌছে"। সুতরাং এ মতটি দ্বারা কোথাও চাঁদ উঠার সংবাদ পেলে একই সাথে রোজা রাখার কথা বলা হয়েছে।

★১১. মোজতাহেদ আল্লামা রশীদ রেজা "তাফসীরুল মানারে" একই দিনে ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালনের পক্ষে মত দেন।

★১২. ১৯৬৯ সালে ২১-২৭ এপ্রিল মালয়েশিয়ায় অনুষ্ঠিত মুসলিম ওলামা সম্মেলনে একই দিনে ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালনের ব্যাপারে সুপারিশ করা হয়।

★১৩. ১৯৭৪ সালে আলজিরিয়ায় শিক্ষা ও ধর্ম মন্ত্রনালয়ের পক্ষ থেকে একই দিনে ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালনের জন্য একমত পোষণ করা হয়।

★১৪. ১৯৭৮ সালে ইস্তাম্বুলে একটি সেমিনারে একই দিনে ঈদ ও ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালনের জন্য ২ টি কমিটি গঠন করা হয়। তারাও এ বিষয়ে একমত পোষণ করেন।

★১৫. একই দিনে ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালনের জন্য ১৯৯৫ সালে পাকিস্তানে অনুষ্ঠিত ওআইসির সম্মেলনে সূফী সম্রাট দেওয়ানবাগী হুজুরের উদ্ভাবিত অষ্টবর্ষচক্র ক্যালেন্ডারটি সারাবিশ্বে প্রচলন এর মাধ্যমে ঈদ সমস্যার সমাধানে সবাই একমত পোষণ করেন। এ ক্যালেন্ডার গণনা করে নিশ্চিত ভাবে চন্দ্র উদয়ের তারিখ বলে দেয়া সম্ভব। এ ক্যালেন্ডার টি আবিস্কারের জন্য ওআইসির সম্মেলনে সূফী সম্রাট দেওয়ানবাগী হুজুরের ভূয়সী প্রসংসা করা হয়। এবং অচিরেই তা বাস্তবায়নের আহবান জানানো হয়।

অবশেষে বলবো আজ যদি রাসূল (স:) সোনার মদিনায় স্বশরীরে থাকতেন ও ঈদ করতেন তবে কি আমরা আজ ঈদ না করে ১/২ দিন পর ঈদ করতাম। নিশ্চয়ই তা করতাম না। নবীজির সাথে একই দিনে সারাবিশ্বে ঈদ করতাম।

তাই আসুন মহান রাব্বুল আলামিনের প্রাথর্না জানাই তার অলিবন্ধুর উসিলায় সারাবিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশের মুসলিমদেরও একই দিনে ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালন করার ব্যবস্থা করে দেন। আমিন।

সহায়িকা গ্রন্থ : সূফী সম্রাটের যুগান্তকারী ধর্মীয় সংস্কার ১ম খন্ড।

25/02/2024

মোহাম্মদী ইসলামের নেতৃত্ব প্রদানকারী মহামানব ইমাম প্রফেসর ড. কুদরত এ খোদা (মা. আ.) হুজুরের বানী মোবারক

#ইসলামিক

আল্লাহর অলীগন মৃত্যুবরণ করেন না, বরং এক ঘর থেকে অন্য ঘরে স্থানান্তরিত হন মাত্র আল হাদীসঃ (তাফসীরে কাবির ৩য় খন্ড, ১৮৮১)
22/02/2024

আল্লাহর অলীগন মৃত্যুবরণ করেন না, বরং এক ঘর থেকে অন্য ঘরে স্থানান্তরিত হন মাত্র

আল হাদীসঃ (তাফসীরে কাবির ৩য় খন্ড, ১৮৮১)

20/02/2024

লাইভ আশেকে রাসূল (সঃ) ওয়াজ মাহফিল।

আলোচনা করছেন, হযরতুল আল্লাম, মাহবুবুর রহমান আজাদী সাহেব।

স্থানঃ খলিল মালের কান্দি, ৫নং ওয়ার্ড, দক্ষিন তারাবুনিয়া সখিপুর, শরীয়তপুর।

#আশেকে_রাসূল_ওয়াজ_মাহফিল
#ওয়াজ

আজ ২০ তারিখ, রোজ মঙ্গলবার বাদ এশা আশেকে রাসূল আনোয়ার উকিল  ভাইয়ের বাড়িতে অনুষ্ঠিত হবে আশেকে রাসূল (সা.) মিলাদ মাহফিল। উক...
20/02/2024

আজ ২০ তারিখ, রোজ মঙ্গলবার বাদ এশা আশেকে রাসূল আনোয়ার উকিল ভাইয়ের বাড়িতে অনুষ্ঠিত হবে
আশেকে রাসূল (সা.) মিলাদ মাহফিল।

উক্ত মিলাদ মাহফিলে আলোচনা করবেন দেওয়ানবাগীর দল ওলামা মিশনের সদস্য আশেকে রাসূল মাহবুবুর রহমান আজাদী ভাই।

স্থান: দক্ষিন তারাবুনিয়া মাল বালার বাজার, খলিল মালের কান্দি।
প্রয়োজনেঃ আশেকে রাসূল আনোয়ার উকিল।
মোবাইলঃ 01852839536

19/02/2024

প্রথমেই আন্তরিকভাবে দুঃখিত আজকের লাইভ প্রোগ্রামটি সাময়িক অসুবিধার জন্য করা হবে না

Address

Char Sakhipur
Dhaka Division
8080

Telephone

+8801846408528

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Tarikat Media posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Tarikat Media:

Videos

Share

Nearby media companies


Other Digital creator in Dhaka Division

Show All