অবস্থান:
কুমিল্লা জেলা সদর থেকে সড়ক পথে ৩৫.৪২ কিলোমিটার দূরে গোমতী নদীর তীরে মুরাদনগর উপজেলাটি অবস্থিত। উত্তরে নবীনগর উপজেলা, পূর্বে দেবিদ্বার, ব্রাহ্মণপাড়া ও কসবা উপজেলা, দক্ষিণে চান্দিনা ও দেবিদ্বার উপজেলা, পশ্চিমে দাউদকান্দি, হোমনা ও বাঞ্ছারামপুর উপজেলা।
প্রশাসনিক এলাকা:
আয়তন ৩৪০.৯৩ বর্গ কিলোমিটার, মুরাদনগর উপজেলাতে ১টি পৌরসভা ও ২২টি ইউনিয়ন পরিষদ বিদ্যমান। পৌরসভার নাম মুরাদনগর পৌরসভা। মৌজা
র সংখ্যা ১৫৩টি, গ্রামের সংখ্যা ৩০৮টি। ইউনিয়ন পরিষদগুলো হচ্ছে:
শ্রীকাইল
আকুবপুর
আন্দিকোট
পূর্বধইর (পূর্ব)
পূর্বধইর (পশ্চিম)
বাংগরা (পূর্ব)
বাংগরা (পশ্চিম)
চাপিতলা
কামাল্লা
যাত্রাপুর
রামচন্দ্রপুর (দক্ষিণ)
রামচন্দ্রপুর (উত্তর)
মুরাদনগর
নবীপুর (পূর্ব)
নবীপুর (পশ্চিম)
ধামঘর
জাহাপুর
ছালিয়াকান্দি
দারোরা
পাহাড়পুর
বাবুটিপাড়া
টনকী
ইতিহাসঃ
এক সময়ের শিক্ষা, সংস্কৃতি, শিল্প ও সাহিত্যের পাদপীঠ মুরাদনগর একটি প্রাচীন ঐতিহ্য সমৃদ্ধ জনপদ হিসাবে বহুল পরিচিত। মুরাদনগর উপজেলা ১৮৫৮ সালে প্রথম থানা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। সে সময়ে এ থানার নাম ছিল থোরলা। ১৮৭৮ সালে এর পুন: নাম করণ করা হয় মুরাদনগর। মুরাদনগর উপজেলার নামকরণ সম্পর্কে সঠিক কোন তথ্য পাওয়া যায়না। তবে জনশ্রুতি আছে যে, মোগল সম্রাট শাহ্ জাহানের কনিষ্ঠ পুত্র মুরাদ কোন এক সময়ে এ এলাকায় এসেছিলেন। সে অনুসারে এ এলাকার নামকরণ মুরাদনগর করা হয়েছে। এছাড়া অনেকের মতে, মুরাদনগর মূলত: মির মুরাদ আলীর নাম অনুসারে হয়, যিনি ছিলেন তৎকালীন বৃটিশ শাসনের একজন রেভিনিউ কালেক্টর। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের স্মৃতি বিজড়িত মুরাদনগর উপজেলার পরিচয় পাওয়া যায় কবি রচিত নিচের গানে-
উপল নুড়ি কাঁকন চুড়ি বাজে বাজ ঘুমতি নদীর জলে।