কিছু মুহূর্তツ

কিছু মুহূর্তツ নিয়মিত ইসলামিক পোস্ট এবং ভিডিও পেতে আমাদের সাথেই থাকুন, ধন্যবাদ

10/10/2024

❤️❤️❤️

05/10/2024

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, দাইয়ূস কখনোই জান্নাতে প্রবেশ করবে না’

নাসাঈঃ ২৫৬২, আহমাদ, মিশকাতঃ ৩৬৫৫

যার গায়রত নাই, সে কোনদিন পুরুষ মানুষ হতে পারে না! সে অন্য কিছু হলে হতে পারে!

24/09/2024

ভারতের এক হি.ন্দু পুরোহিত ইসলাম ধর্ম এবং রাসুল ﷺ কে নিয়ে কটুক্তি করেছে, অতঃপর বি.জিপির এক নেতা আবার সেটাকে সমর্থন করেছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে পুরো ইন্ডি.য়া ফুঁসে ওঠেছে।

মহারাষ্ট্রের একজন মুসলিম নেতা ইমতিয়াজ জলিলের আহ্বানে আজকে মহারাষ্ট্র থেকে হাজার হাজার গাড়িতে লক্ষাধিক মুসলমান মুম্বাইতে আগমন করেছে এবং তাদের ঈমানের পরিচয় দিয়েছে। ঐ পুরোহিতের বিচার দাবি করেছে।


আমরা সংক্ষেপে সবর সম্পর্কে জানবো। এ বিষয়ে অনেকের মধ্যে ভুল ধারণা রয়েছে। বহু সংখ্যক মানুষের দৃষ্টিতে সবর হলো-কান্না না ক...
17/09/2024

আমরা সংক্ষেপে সবর সম্পর্কে জানবো। এ বিষয়ে অনেকের মধ্যে ভুল ধারণা রয়েছে। বহু সংখ্যক মানুষের দৃষ্টিতে সবর হলো-কান্না না করা। কিন্তু সীরাত থেকে আমরা দেখতে পাই যে, রাসূল (স)-ও কেঁদেছিলেন। তাই কান্না না করাটা সবর হতে পারে না। সবরের সাথে যন্ত্রণা অনুভবের কোনো সম্পর্ক নেই। এটা ভুল ধারণা। অনেকের কাছে সবর অর্থ আপনি কাঁদবেন না। এটা কোথা থেকে পেলেন? কে আপনাকে বলেছে যে, সবর অর্থ যন্ত্রণাহীনতা, সবর অর্থ দুশ্চিন্তাহীনতা, সবর অর্থ কান্না না করা? এটা একটা ভুল ধারণা।

তাহলে সবর আসলে কি? সবর হলো একটি অভ্যন্তরীন, মনস্তাত্ত্বিক এবং বুদ্ধিবৃত্তিক জিহাদ। কিভাবে? আপনি আপনার মনঃকষ্টকে যুক্ত করবেন সেই পুরষ্কারের সাথে যা আল্লাহর পক্ষ থেকে প্রত্যাশা করেন। এটাই হলো সবর। সবরের অবস্থান আপনার মনে। এটা বড় একটা সংগ্রাম। কারণ আপনার হৃদয় শূন্যতায় ছেয়ে আছে। আপনার অস্তিত্ত্ব বিলীন হওয়ার উপক্রম- “এর পরে আমি কিভাবে বাঁচবো!” সবর অর্থ-সেই দুর্দশা, সেই যন্ত্রণা, সেই কষ্টকে আপনি যুক্ত করবেন কিসের সাথে? আল্লাহ থেকে প্রাপ্ত পুরষ্কারের সাথে। আর যখন আপনি এটাকে আল্লাহর পুরষ্কারের সাথে যুক্ত করবেন, যখন আপনি আল্লাহর পুরষ্কারের প্রত্যাশা করবেন, তখন সহসাই কোমল এক প্রশান্তি অনুভব করবেন। আপনি স্বস্তি অনুভব করবেন।

আল্লাহ আমাকে যা প্রদান করবেন, তা আমি যা হারিয়েছি তা থেকে উত্তম। যখন আমি আল্লাহর সাথে সাক্ষাত করবো, আল্লাহ আমাকে আমার এই যন্ত্রণার তুলনায় অনেক বেশী দান করবেন-এই চিন্তাই যন্ত্রণাটিকে সহনযোগ্য করে দিবে। এটাই হলো সবর।

তো আপনি যখন এভাবে চিন্তা করবেন-যন্ত্রণাটি কিন্তু এখনো বিদ্যমান, হৃদয়ের শূন্যতা এখনো বর্তমান-তখন সহসাই আপনি নিজেকে আল্লাহর মহাপরিকল্পনার কাছে সমর্পণ করে দিবেন। আর আপনি আল্লাহর সন্তুষ্টি ছাড়া অন্য কোনো কথা বা কাজ করবেন না। এটাই হলো সবর। সবর হলো আপনার অন্তর্গত যন্ত্রণাকে আপনার প্রত্যাশিত পুরষ্কারের সাথে যুক্ত করা। আপনি যদি এই যোগসূত্র তৈরী করতে পারেন, আপনি সবর অর্জন করেছেন।

কারণ, যখন এই যোগসূত্র তৈরী করবেন, হয়তো খুশী হতে পারবেন না, দুঃখ-দুর্দশার সময় কেউ তো খুশী হতে পারে না, কিন্তু আপনি নিজেকে সান্ত্বনা দিতে পারবেন, "সামনে আমার জন্য উত্তম কিছু অপেক্ষা করছে”। আর এই সান্ত্বনাটিই আপনাকে প্রকৃতিস্থ রাখবে। এই সান্ত্বনাটিই আপনাকে সামনে এগিয়ে যাবার শক্তি যোগাবে। এই সান্ত্বনাটিই আল্লাহর প্রতি ইমানকে প্রদর্শন করে, যা অন্য কোনোভাবে সম্ভব না। আর সেজন্যই আল্লাহ কুরআনে Ratat - إِنَّمَا يُوَفَّى الصَّابِرُونَ أَجْرَهُمْ بِغَيْرِ حِسَابٍ ICMCS ইউওয়াফ্ফাস সবিরুনা আজরাহুম বিগইরি হিসাব। সবরের প্রতিদান আল্লাহ হিসাব ছাড়া প্রদান করবেন। আর জান্নাতের সর্বোত্তম স্তর অর্থাৎ জান্নাতুল ফেরদাউসের কথা উল্লেখ করতে গিয়ে আল্লাহ বলেছেন, ফেরেশতাগণ জান্নাতিদেরকে অভিবাদন জানাবেন, وَالْمَلَائِكَةُ يَدْخُلُونَ عَلَيْهِمْ - مِنْ كُلِّ بَابٍ سَلَامٌ عَلَيْكُمْ بِمَا صَبَرْتُمْ فَنِعْمَ عُقْبَى الدَّارِ ওয়াল মালাইকাতু ইয়াদখুলুনা 'আলাইহিম মিন কুল্লি বাব, সালামুন 'আলাইকুম বিমা ছবারতুম, ফানি'মা উক্ববাদদার। আপনি যদি সবর অবলম্বন করেন, আপনি সর্বোত্তম জান্নাত লাভ করবেন।

লক্ষ্য করুন প্রিয় ভাইয়েরা, আমি আপনাদের এমন একটা কথা বলবো সম্ভবত আপনি কথাটা এভাবে কখনো শুনেননি, কিন্তু আল্লাহর শপথ, এটা সত্য। জান্নাতে প্রবেশ করা সহজ। এটা সহজ। وَمَا جَعَلَ عَلَيْكُمْ فِي الدِّينِ مِنْ حَرَجٍ - ওয়ামা জা'আলা 'আলাইকুম ফিদ দীনি মিন হারাজ। يُريد اللَّهُ بِكُمُ الْيُسْرَ - ইউরিদুল্লাহু বিকুমুল ইউসর। আল্লাহ এই ধর্মকে কঠিন করেননি। আপনি পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ুন, রমযানে রোযা রাখুন, যাকাত প্রদান করুন, বড় গুনাহগুলোকে পরিহার করুন, আর এমনকি আপনি যদি বড় গুনাহ করেও ফেলেন, আল্লাহর কাছে সত্যিকার অর্থে অনুতপ্ত হোন এবং নতুন অধ্যায়ের সূচনা করুন। আপনি যদি বড় গুনাহগুলো পরিহার করতে পারেন, অথবা বড় গুনাহগুলোর জন্য তওবা করেন, এবং ইসলামের পাঁচটি আরকান মেনে চলেন, মোটামুটি নিশ্চিত যে আপনি জান্নাত লাভ করবেন। একথা আমি বানিয়ে বলছি না। এই বিষয়ে বর্ণিত হাদিসগুলো পাঠ করুন-বেদুইনের সেই হাদিস, ইসলামের আরকান সংক্রান্ত হাদিসগুলো।

জান্নাতে প্রবেশ করা তেমন কঠিন কাজ নয়। কিন্তু

ফেরদৌসে প্রবেশ করা-সেটা কঠিন ব্যাপার। সর্বোচ্চ স্তরে উন্নীত হওয়া-সেটা ভিন্ন জিনিস। আল্লাহ সর্বোত্তম ছাত্রদেরকে পৃথক করেছেন। A+ হলো সর্বোত্তম গ্রেড; আর সর্বনিম্ন গ্রেড কি?D? আল্লাহ A+ কে D গ্রেড থেকে পৃথক করেছেন। আল্লাহ A+ কে D থেকে পৃথক করেছেন। D গ্রেড পাওয়া, শুধু পাশ করা- এটা তেমন কঠিন না। আমি নিজে থেকে এটা বলছি না, কুরআন এবং সুন্নাতেই একথা রয়েছে। উম্মার বেশীরভাগ সদস্য, যারা সৎকাজ করার চেষ্টা করে, তারা সর্বোচ্চ চেষ্টা করে, তারা নামাজ আদায় করার চেষ্টা করে, তারা রমযানে রোযা রাখে, তারা বড় গুনাহগুলো থেকে দূরে থাকে, তারা আল্লাহ এবং তাঁর রাসূলের উপর বিশ্বাস করে, উম্মার বেশীরভাগ সদস্যই ইনশা আল্লাহ জান্নাতে প্রবেশ করবে। এটা রাসূল (স)-এর কথা।

কিন্তু আপনি যদি সর্বোত্তম স্থানের আশা করেন, আপনি যদি ফেরদাউসের আশা করেন, সেটা সহজ না। সেটার জন্য আপনাকে নূন্যতম দায়িত্বগুলোর চেয়ে বেশী কাজ করতে হবে; বুঝতে পারছেন? কিভাবে আপনি সেই সর্বোচ্চ জান্নাতে পৌছুবেন? তার জন্য অনেকগুলো উপায় রয়েছে। কিন্তু একটি উপায়, একটি উপায় হলো, আল্লাহ দুঃখ-দুর্দশা প্রেরণ করেন। কারণ তিনি চান আপনি সর্বোত্তম জান্নাত লাভ করেন। আর এই দুঃখ-দুর্দশার উদ্দেশ্য হলো আপনাকে পদোন্নতি প্রদান করা-এই দুঃখ-দুর্দশা মোকাবেলা করার ফলে।

আমি একটি বাস্তব উদাহরণ তুলে ধরছি। গাযার অধিবাসীগণ-মহান আল্লাহ তাঁদেরকে সবর প্রদান করুন, তাঁদের শহীদদের উপর রহম করুন এবং তাঁদেরকে এই অন্যায়-অত্যাচার থেকে মুক্ত হওয়ার উপায় বের করে দিন।

আপনি কি মনে করেন যে আমরা যারা বিলাসিতা এবং স্বাচ্ছন্দ্যময় জীবন যাপন করছি, আমরা আর গাযার অধিবাসীগণ একই জান্নাত লাভ করবো? আল্লাহ তাঁদেরকে পরীক্ষা করছেন! তাঁদের মধ্যে যারা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হচ্ছেন, আর তাঁদের অধিকাংশই এই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হচ্ছেন, তাঁদের ইমান পৃথিবীর মাঝে উজ্জ্বল আলো ছড়াচ্ছে। আপনি কি মনে করেন তাঁরা আমাদের মতো? তাঁরা বাবা, মা, সন্তান হারাচ্ছেন, তাঁরা সবকিছু হারাচ্ছেন, বোমা পতিত হচ্ছে, কোনো খাবার নেই; কিন্তু তবুও আল্লাহর প্রতি তাঁদের ইমান এতো মজবুত। আপনি কি মনে করেন তাঁরা এবং আমরা বাকী সবাই সমান? কখনোই না। এভাবেই আপনি জান্নাতুল ফেরদৌস অর্জন করবেন। এভাবেই আপনি সর্বোচ্চ স্তর অর্জন করবেন। আমরা তাঁদের মতো পরীক্ষার সম্মুখীন হতে চাই না। কিন্তু যাদেরকে আল্লাহ পরীক্ষার জন্য বাছাই করেন, আর তাঁরা সেই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন, তাঁরা D গ্রেড পাবেন না। তাঁরা পাবেন A+। তো সবর অর্থ, আপনি আপনার দুঃখ-দুর্দশাকে আল্লাহর পুরষ্কারের সাথে যুক্ত করবেন।

-ডক্টর ইয়াসির কাদি
NAKInBangla

এই পৃথিবীতে এমন কেউ নেই, কোনো একজন মানুষও নেই, আমি সহ, আজকের এই উপস্থিতির মধ্যেও এমন কেউ নেই -যার হৃদয়ে কোনো অশান্তি নেই...
16/09/2024

এই পৃথিবীতে এমন কেউ নেই, কোনো একজন মানুষও নেই, আমি সহ, আজকের এই উপস্থিতির মধ্যেও এমন কেউ নেই -যার হৃদয়ে কোনো অশান্তি নেই, যার মধ্যে উদ্বিগ্নতা এবং মানসিক চাপ নেই। এমন অনেক বিষয় রয়েছে যা আমাদের মধ্যে অনুতাপ এবং অনুশোচনার উদ্রেক করে। এমনসব বিষয় রয়েছে যা আমাদের চোখের ঘুম কেড়ে নেয়।

আমরা যখন নিরবে সময় কাটাই অথবা নিরবে থাকার মতো সময়ও হয়তো আমাদের থাকে না। কারণ এই বিষয়গুলো সামনে চলে আসে, আর আমরা চিন্তা করতে থাকি, মানসিক চাপ নিতে থাকি এবং ভাবতে থাকি যে, "কিভাবে আমি এর সমাধান করবো"।

এই পৃথিবীর প্রত্যেকটি মানুষ নিজের ভিতরে মানসিক চাপ অনুভব করে। আমি বলছি না যে সকলের চাপ সমান। আমি বলছি না যে সকলেই এক্ষেত্রে সমান। আমি যা বলছি তা হলো, এই পৃথিবীতে কারোর হৃদয়েই পরিপূর্ণ সুখ নেই। কেনো? কারণ এই পৃথিবী চরম সুখের স্থান নয়। আপনি এই পৃথিবীতে চিরন্তন সুখ এবং পরিপূর্ণ প্রশান্তি পাবেন না। যে কেউ এর ব্যতিক্রম চিন্তা করে সে ভ্রান্তিতে রয়েছে।

প্রত্যেক মানুষই একইসাথে একাধিক সংকটের মধ্য দিয়ে দিনগুলো পার করছে। আমি বলছি না যে সকলের জন্য এটা সমান। আমি বলছি, যদি ভাবেন যে, কেউ দুশ্চিন্তামুক্ত জীবন যাপন করছে, যদি মনে করেন যে, কেউ প্রতিনিয়তই চিরন্তন সুখ উপভোগ করছে, আপনি ভুলের মধ্যে রয়েছেন। চিন্তাটা সঠিক নয়। প্রত্যেকটি মানুষই অভ্যন্তরীন সমস্যা, অভ্যন্তরীন টানাপোড়েন, অভ্যন্তরীন অনুতাপ, অভ্যন্তরীন দুশ্চিন্তার মধ্যে রয়েছে। প্রকৃতপক্ষে স্বাভাবিক অবস্থা হলো,
আমাদের সকলেরই দুশ্চিন্তা রয়েছে-একাধিক বিষয়ে। আর ব্যক্তি ভেদে এর তারতম্য ঘটে থাকে।

সুবহানাল্লাহ! এই দুর্বলতা দিয়ে আল্লাহ আমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন। একই বিষয়, এক ব্যক্তির জন্য এর অভাব দুশ্চিন্তার কারণ; আর অপর ব্যক্তির জন্য এর উপস্থিতিই দুশ্চিন্তার কারণ। একই বিষয়, যদি তা থাকে, তাহলে দুশ্চিন্তা; যদি তা না থাকে, তাহলেও দুশ্চিন্তা।

আমি আপনাদেরকে সুপরিচিত একটি উদহরণ দিচ্ছি। টাকা। আমরা প্রায় সকলেই বেশী বেশী টাকার আকাঙ্ক্ষা করি। আমরা প্রায় সকলেই টাকার জন্য সংগ্রাম করছি। আমরা আপন মনে চিন্তা করি, "আমি যদি ঐ লক্ষ্যে পৌঁছুতে পারতাম”! আপনার লক্ষ্যটি কী? “আমি ঠিক বলতে পারছি না। হয়তো এক কোটি টাকা, দুই কোটি টাকা, আমি বলতে পারছি না। আমি যদি সেই লক্ষ্যে পৌঁছুতে পারি, আমি সুখী হবো”।

সুবহানাল্লাহ! আপনি যদি বিষয়টা বুঝতে পারতেন! আমি প্রতিজ্ঞা করে বলতে পারি, সম্পদশালী ব্যক্তিদেরও প্রধানতম দুশ্চিন্তার কারণ হলো তাদের সম্পদ। তাদের সম্পদের কারণেই তারা মানসিক চাপে থাকে। আপনারা জানেন, আমেরিকায় যখন শেয়ার বাজারে ধ্বস নামে, কে আত্মহত্যা করে? মাল্টিমিলিয়নিয়াররা আত্মহত্যা করে। ধনী এবং অভিজাতরাই আত্মহত্যা করে। সম্পদ পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনার দুশ্চিন্তা এবং এই সম্পদ হারানোর ভয়। আর আমাদের যাদের তা নেই, আমরা দুশ্চিন্তাগ্রস্ত, কারণ আমাদের তা নেই।
আল্লাহ কিছু মানুষকে পরীক্ষা করেন-তাদের সন্তান হয় না। সন্তান না থাকার দুশ্চিন্তা তাদেরকে মারাত্বক উদ্বিগ্ন করে রাখে। তারা মনে করে, "যদি শুধু আমাদের সন্তান থাকতো, আমরা সুখী হতাম"। আর আল্লাহ আমাদের যাদেরকে সন্তান প্রদান করে ধন্য করেছেন, সম্ভবত আমাদের দুশ্চিন্তার প্রধান কারণ হলো সেই সন্তান। এই দাড়ি যে সাদা বর্ণ ধারণ করেছে, কারণ আলহামদু লিল্লাহ আমার তিনটি টিন-এইজ সন্তান রয়েছে। এখন টিন-এইজ সন্তানরা কিছুটা বেড়ে উঠেছে, কিন্তু এই সন্তানদের কারণে দুশ্চিন্তা তৈরী হয়। আলহামদুলিল্লাহ। কিন্তু এটাই বাস্তবতা। তাই না? যার এটা রয়েছে, সে এজন্য দুশ্চিন্তাগ্রস্ত। যার এটা নেই, সে-ও এজন্য দুশ্চিন্তাগ্রস্ত। আপনাদের কেউ কেউ অবিবাহিত, এখনো বিয়ে করেননি। আপনার দুঃখি মন ভাবে যে, “যখনই আমি বিয়ে করবো, চিরন্তন সুখ লাভ করবো"। কিন্তু বিবাহিতরা বাস্তবতা জানেন।

তো, মূল বিষয়টি হলো, আল্লাহ এই ব্যাপারটিকে এই পৃথিবীতে সার্বজনীন করে দিয়েছেন। দুশ্চিন্তা সার্বজনীন। উদ্বিগ্নতা সার্বজনীন। অন্তর্গত দ্বন্দ্ব, দুশ্চিন্তা, সবসময় কোনো কিছু নিয়ে চিন্তিত থাকা – এটা মানব প্রকৃতির অংশ।

কারণ, প্রিয় ভাইয়েরা, চিন্তামুক্ত জীবন যাপন, ভীতিহীন জীবন যাপন, উৎকণ্ঠামুক্ত জীবন যাপন-সেটা আপনার সামনে অপেক্ষা করছে জান্নাতে। সেটাই দারুস সালাম। দারুস সালাম কি? এটা তানজানিয়ার রাজধানী না। দুটি নাম একই, কিন্তু এই দারুস সালামের কথা আমরা বলছি না। আমরা বলছি জান্নাতের কথা। আল্লাহ তাআলা বলেন . وَاللهُ يَدْعُو إِلَى دَارِ السَّلَامِ - ওয়াল্লাহু ইয়াদ'উ ইলা দারিস সালাম, অর্থাৎ আল্লাহ দারুস সালামের দিকে আহ্বান করছেন। এটা তো অবশ্যই জান্নাত, কিন্তু দারুস সালাম বলতে মুলত কি বুঝায়?

দারুস সালাম অর্থ-এমন এক আবাস যাতে কোনো দুশ্চিন্তা নেই। চিরন্তন সুখের আবাস, প্রশান্তির আবাস। আল্লাহ আপনাকে দারুস সালামের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছেন। আপনি এই পৃথিবীতে দারুস সালাম পাবেন না। আপনাকে প্রথম থেকেই, শুরু থেকেই এটা বুঝতে হবে। দারুস সালাম হলো, নির্ঝঞ্ঝাট শঙ্কামুক্ত চিরন্তন সুখের এক আবাস। যার আকাঙ্ক্ষা আমরা সবাই করি। এমন একটি আবাসই আমরা অবচেতন মনে সব সময় খুঁজে ফিরি। কিন্তু সেটা এই পৃথিবীতে অনুপস্থিত। তার অবস্থান ওপারের জগতে।

-ডক্টর ইয়াসির কাদির আলোচনা থেকে
-- NAKInBangla
img: Chatgpt

03/08/2024
04/07/2024

এই জীবন পেয়েছিলাম রবের ইবাদত করার জন্য!

কিন্তু সময় পার হচ্ছে কাগজের টুকরো(টাকা) কামানোর পেছনে!

না কাফনের রয়েছে পকেট না কবরে রয়েছে আলমারি।

আর আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে মৃত্যুর ফেরেশতারা কোনো ঘুষ নেয় না!

যদি বলা হয় আজ মধ্য রাত্রিতে ঢাকা বিমানবন্দরে অবতরণ করবেন ফুটবল বিশ্বের খ্যাতিমান তারকা লিওনেল মেসি অথবা ক্রিস্টিয়ানো রোল...
06/06/2024

যদি বলা হয় আজ মধ্য রাত্রিতে ঢাকা বিমানবন্দরে অবতরণ করবেন ফুটবল বিশ্বের খ্যাতিমান তারকা লিওনেল মেসি অথবা ক্রিস্টিয়ানো রোলানদো এবং ভক্তকুলের সাথে তারা কাটাবেন সুন্দর কিছু মুহূর্ত, ছবি আর অটোগ্রাফে ধন্য করবেন বাঙালি দর্শককে, বিমানবন্দর এলাকাতে কেমন উপচে পড়া ভিড় হবে বলে আপনার ধারণা?

আমি জানি ভিড়ের সেই দৃশ্যটা আপনি কল্পনাতেও আনতে পারছেন না। সারাদেশ থেকে ছুটে আসা তাদের ভক্তকুলে কানায় কানায় পূর্ণ হবে বিমানবন্দর এলাকা। তাদের প্রায় সকলের গায়ে থাকবে খেলোয়াড়দের জার্সি, কারও হাতে ফুটবল এবং অনেকের গায়ে লেপ্টে থাকবে উক্ত খেলোয়াড়দের দেশ অথবা ক্লাবের পতাকা। প্রিয় মানুষটাকে মুগ্ধ করতে আয়োজনের কোনো কমতি কোথাও পরিলক্ষিত হবে না।

যাকে একটা পলক দেখার জন্য রাতের ঘুমকে বিসর্জন দিয়ে আপনি ছুটে এসেছেন বিমানবন্দরে, যার একটা অটোগ্রাফের জন্য আপনি অন্ধকারে মশার কামড়কেও পাত্তা দিচ্ছেন না, ঝড়-বৃষ্টি-বাদলও যেখান থেকে আপনাকে এতটুকুও নড়াতে পারছে না, সেই তারকা খেলোয়াড়েরা আপনার সাথে কাটানো প্রতিটা মিনিটের বিপরীতে গুনে নেবে কোটি কোটি টাকা।

প্রিয় খেলোয়াড়ের সাথে সাক্ষাতের বিষয়টা আপনার কাছে আনন্দ আর গৌরবের হলেও, তাদের কাছে সেটা উপার্জনের একটা উসিলা বৈ আর কিছু নয়। দিনশেষে তারা না আপনাকে চিনেছে আর না কোনোদিন আপনাকে মনে রাখবে। এমনকি আপনার দেশের নামটা পর্যন্ত তারা ভুলে যাবে।

যারা আপনাকে কোনোদিন চিনেনি, কোনোদিন চিনবে না এবং যাদের কাছে আপনি নিতান্তই অর্থোপার্জনের একটা উসিলা শুধু, তাদেরকে একপলক দেখার জন্য জীবনের গুরুত্বপূর্ণ সময় ব্যয়ে আপনার মাঝে কোনো দুঃখবোধ নেই। তাদের একটা অটোগ্রাফের জন্য আপনি অনায়াসে মেনে নিতে পারেন যাবতীয় ধকল।

কিন্তু, যে মহান রব আপনাকে আপনার মাতৃগর্ভে বড় করে তুলেছেন, আলো-হাওয়া আর পানির মতো অবিশ্বাস্য উপাদান দিয়ে যিনি আপনাকে বাঁচিয়ে রেখেছেন দুনিয়ায়। যিনি আপনাকে জড়িয়ে রেখেছেন পিতা-মাতা, ভাই-বোনের আদরে, যিনি আপনার চোখকে শীতল করেছেন স্ত্রী-সন্তানের ভালোবাসায়, সেই রবের জন্য কতখানি ত্যাগ, কতখানি সময় আপনি ব্যয় করতে রাজি দুনিয়ায়?

মধ্যরাতে আপনার প্রিয় খেলোয়াড়ের আগমনের সংবাদ পেয়ে আপনি বিমানবন্দরে ফুল, জার্সি আর পতাকা নিয়ে ছুটে যেতে দ্বিধা করেন না একটুও, কিন্তু প্রতিটা রাতের শেষ প্রহরে যখন আপনার রব দুনিয়ার নিকটতম আসমানে এসে আপনাকে ডাকেন, তাঁর আহ্বানে সাড়া দিতে আপনি কি কখনো আগ্রহ দেখিয়েছেন? কখনো কি মনে হয়েছে—আজ রাত্তিরে আমার যাবতীয় সংলাপ শুধু রবের সাথেই হওয়া চাই?
সংগৃহীত --

আরিফ আজাদ

■▪রিযিকেরর সর্বনিম্ন স্তর হচ্ছেঃ টাকা, পয়সা, অর্থ এবং সম্পদ।■▪রিযিক এর সর্বোচ্চ স্তর হচ্ছেঃ শারীরিক এবং মানসিক সুস্থতা।■...
03/06/2024

■▪রিযিকেরর সর্বনিম্ন স্তর হচ্ছেঃ টাকা, পয়সা, অর্থ এবং সম্পদ।
■▪রিযিক এর সর্বোচ্চ স্তর হচ্ছেঃ শারীরিক এবং মানসিক সুস্থতা।
■▪রিযিকের সর্বোত্তম স্তর হচ্ছেঃ পুণ্যবান স্ত্রী এবং পরিশুদ্ধ নেক সন্তান এবং
■▪রিযিক এর পরিপূর্ণ স্তর হচ্ছেঃ মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি।

■■ রিযিক খুব গভীর একটি বিষয়, যদি আমরা তা বুঝতে পারি।

■■ আমি পুরো জীবনে কত টাকা আয় করবো সেটা লিখিত, কে আমার জীবনসঙ্গী হবে সেটা লিখিত, কবে কোথায় মারা যাবো সেটাও লিখিত এবং কতটা খাবার ও পানীয় গ্রহণ করবো তাও লিখিত বা নির্দিষ্ট।

■■ আশ্চর্যের ব্যাপার হচ্ছে, আমি কতগুলো দানা বা ভাত দুনিয়াতে খেয়ে তারপর মারা যাবো সেটা লিখিত। একটি দানাও কম না এবং একটিও বেশি না।

■■ ধরুন এটা লিখিত যে আমি সারাজীবনে এক কোটি টাকা আয় করবো, এই সিদ্ধান্ত আল্লাহ্‌ তা'আলা নিয়েছেন।

■■ কিন্তু, আমি হালাল উপায়ে আয় করবো না হারাম উপায়ে আয় করবো সেই সিদ্ধান্ত একান্তই আমার।

■■ যদি ধৈর্য ধারণ করি, আল্লাহ্‌ তা'আলার কাছে চাই, তাহলে হালাল উপায়ে ওই এক কোটি টাকা আয় করেই আমি মারা যাবো। আর হারাম উপায়ে হলেও ওই এক কোটিই... নাথিং মোর, নাথিং লেস!

■■ আমি যেই ফলটি আজকে টেকনাফ বসে খাচ্ছি, সেটা হয়ত ইতালি কিংবা থাইল্যান্ড থেকে ইমপোর্ট করা। ওই গাছে যখন মুকুল ধরেছে তখনই নির্ধারিত হয়েছে যে, সেটি আমার কাছে পৌঁছাবে। এর মধ্যে কত পাখি ওই ফলের উপর বসেছে, কত মানুষ এই ফলটি পাড়তে গেছে, দোকানে অনেকে এই ফলটি নেড়েচেড়ে রেখে গেছে, পছন্দ হয় নি বা কিনেনি। এই সব ঘটনার কারণ একটাই, ফলটি আমার রিযিকে লিখিত। যতক্ষণ না আমি কিনতে যাচ্ছি, ততক্ষণ সেটা ওখানেই থাকবে।
এর মধ্যে আমি মারা যেতে পারতাম, অন্য কোথাও চলে যেতে পারতাম, কিন্তু না! রিযিকে যেহেতু লিখিত আমি এই ফলটি না খেয়ে মারা যাবো না।

■■ রিযিক জিনিসটা এতোটাই শক্তিশালী!

■■ কিংবা যেই আত্মীয় কিংবা বন্ধু-বান্ধব আমার বাসায় আসছে, সে আসলে আমার খাবার খাচ্ছে না। এটা তারই রিযিক, শুধুমাত্র আল্লাহ্‌ তা'ইলা আমার মাধ্যমে তার কাছে পৌঁছে দিচ্ছেন। হতে পারে এর মধ্যে আমাদের জন্য মঙ্গল রয়েছে। আলহামদুলিল্লাহ!

■■ কেউ কারওটা খাচ্ছে না, যে যার রিযিকের ভাগই খাচ্ছেন।

■■ আমরা হালাল না হারাম উপায়ে খাচ্ছি, সেটা নির্ভর করছে আমি আল্লাহ্‌ তা'আলার উপর কতটুকু তাওয়াক্কাল আছি, কতটুকু ভরসা করে আছি। কেননা,
আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ
-------"দুনিয়ায় বিচরণকারী এমন কোনো প্রাণী নেই, যার রিযিকের দায়িত্ব আল্লাহর ওপর নেই। তাদের স্থায়ী এবং অস্থায়ী অবস্থানস্থল সম্পর্কে তিনি অবহিত। সব কিছুই একটি সুস্পষ্ট কিতাবে লেখা আছে।"
-----(সুরা হুদ : আয়াত ৬)

■■ আল্লাহ তা'আলা অন্যত্র বলেনঃ
-------"যে আল্লাহকে ভয় করে, আল্লাহ তার জন্য কোনো না কোনো পথ বের করে দেবেন। আর তাকে (এমন উৎস থেকে) রিযিক দেবেন, যা সে ধারণাও করতে পারবে না।"
-----(সুরা ত্বালাক : আয়াত ২-৩)

■▪মহান আল্লাহ্‌ তা'আলা আমাদের সঠিক পথ এবং হালাল ও প্রশস্ত কামাই রোজগার ও রিযিক এর ব্যবস্থা করে দিন এবং সকল প্রকার হারাম কামাই রোজগার ও রিযিক থেকে হিফাযত করুন এবং আমাদের সবাইকে ক্ষমা করুন, এবং হিফাযত করুন(আমীন)।

©

04/04/2024

এখন ৩৮° তাপমাত্রা! সাথে কিচেনের আগুনের তাপে ৪৫° + হয়। এত কষ্ট করে যে নারী আপনার জন্য রান্না করছে, তাকে সম্মান দিন!

রমাদান মুবারাক!নতুন চাঁদ দেখে দুয়া পড়া সুন্নাহঃاَللّٰهُ أَكْبَرُ، اَللّٰهُمَّ أَهِلَّهُ عَلَيْنَا بِالْأَمْنِ وَالْإِيْم...
11/03/2024

রমাদান মুবারাক!
নতুন চাঁদ দেখে দুয়া পড়া সুন্নাহঃ
اَللّٰهُ أَكْبَرُ، اَللّٰهُمَّ أَهِلَّهُ عَلَيْنَا بِالْأَمْنِ وَالْإِيْمَانِ، وَالسَّلَامَةِ وَالْإِسْلَامِ، وَالتَّوْفِيْقِ لِمَا تُحِبُّ رَبَّنَا وَتَرْضَى، رَبُّنَا وَرَبُّكَ اللّٰهُ

09/02/2024

হাদীসে নববীর পাঠশালায়

Address

Barura
Cumilla
3500

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when কিছু মুহূর্তツ posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Videos

Share

Category