Rubel

Rubel লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ (সা:)
♥♥♥♥
♥♥♥
♥♥
(1)

09/12/2024

গল্পের নাম- আমার একটাই তুমি
পর্ব -০১
অনেক সুন্দর একটি রোমান্টিক গল্প গল্পটা পড়ুন আপনাদের খুব ভালো লাগবে।

সব থেকে কঠিন কাজ হলো ছলোনা বোঝা!মানুষ হাতে হাত রেখে ছলোনা করে,বুকে জড়িয়ে ধরে ছলোনা করে, চোখে চোখ রেখে ছলোনা করে, ভালোব...
08/12/2024

সব থেকে কঠিন কাজ হলো ছলোনা বোঝা!

মানুষ হাতে হাত রেখে ছলোনা করে,
বুকে জড়িয়ে ধরে ছলোনা করে, চোখে চোখ রেখে ছলোনা করে, ভালোবাসি বলতে বলতে ছলোনা করে।
এই মানুষ গুলো দেখতে খুবই সাধা-সিধে টাইপের হয়। উপরে দেখতে সাধা-সিধে মনে হলেও আসলে তারা জাত অভিনেতা।
তাদের উপরের এই আবরনটার জন্য আমরা বুঝতে পারি না একটা মানুষ এতোটা জঘন্য হতে পারে।
একজনকে ভালোবাসি বলতে বলতে আরেকজনেরে নিয়া পার্কে,রেল লাইনে, হোটেলে ঘুড়ে বেরায়। তাদের এসব নিজের চোখে দেখার পরও নিজের চোখ কেই বিশ্বাস করতে পারবেন না। নিজেকে কুয়াসার ঘোরের মধ্যে মনে হবে,মেনে নিতে না চাইলেও ওটাই সত্যি।
যখন এসব নিয়ে কথা বলতে যাবেন তার সাথে তখন নিজেই সব থেকে বেশি খারাপ থাকবেন, কারন আপনার সাথে ঝগড়া হলে তার মন খারাপ ভালো করার জন্য আরো দুই চারজন আছে।
কিন্তু আপনার মন ভালো করার জন্য আপনার কাছে শুধুই সে ছিলো।
আপনি সব যেনে শুনে মেনে নিয়ে ঠিক করতে চাইলেও কোনো কিছুই আর আগের মতো ঠিক হবে না।
আমাদের গ্রামের লোক মুখে এখনো একটা কথা প্রচলিত আছে,, যতোই ঘী দিয়ে ডলো কুত্তার লেজ কখনো সোজা হয় না।
ঠিক সেটাই আপনি ,সব ঠিক করে নিতে চাইলেও কোনো কিছুই আর ঠিক হয় না।
তারপর একটা সময় পর ঠিকানা পরিবর্তন করে ফেলে আপনি চাইলেও তার সাথে যোগাযোগ করতে পারেন না,,
তার সাথে একটু কথা বলার তৃষ্ণায় রোজ পুড়ে ছারখার হবেন কিন্তু তার কিছু যায় আসবে না,
মাসের পর মাস যাবে বছর কেটে যাবে কিন্তু সে ভুলেও জানতে আসবে না আপনি কেমন আছেন?,কেমন করে সহ্য করতেছেন তার দেওয়া বিরহো বিচ্ছেদের যন্ত্রনা?
তার দেওয়া বিরহো বিচ্ছেদের আগুনে পুড়তে পুড়তে অনেকটা সময় পর বুঝতে পারবেন ,আসলে
নিজের ভালো নিজেকেই রাখতে হয়, কারো উপর নির্ভর হয়ে থাকলে শুধু জ্বলে পুড়ে ছারখার হতে হয় ।
তারপর একটা পর্যায়ে ভালো থাকা শিখে যাবেন,,
তখন আগের মতো অতো সহজে আর কাউকে বিশ্বাস করতে পারবেন না,,
বিশ্বাস টা একেবারই মরে যায়।

রাব্বী
ছিলে না তুমি

 #প্রেমপিপাসা❤ #পর্ব - ৭্🍁কুহু ক্লাসে যাওয়ার সময় হটাৎ কেউ তার হাত ধরে টান দেয়। কুহু ভয় পেয়ে চিৎকার দিতে নিলেই কুহুর মুখট...
08/12/2024

#প্রেমপিপাসা❤
#পর্ব - ৭

🍁
কুহু ক্লাসে যাওয়ার সময় হটাৎ কেউ তার হাত ধরে টান দেয়। কুহু ভয় পেয়ে চিৎকার দিতে নিলেই কুহুর মুখটা চেঁপে ধরে।
কুহু সামনে তাকিয়ে অবাক হয়ে যায়! রেহান দাড়িয়ে আছে। চোখ মুখ দিয়ে যেনো রক্ত ঝড়ছে!

কুহু - আ... আপনি?

রেহান - কেনো? এখানে কাকে একসেপ্ট করছিলে? তিশান কে? (প্রচন্ড রেগে)

কুহু - মানে? তিশান কে?

রেহান - ওহহ না চেনার ভান করছো তাই না? দেখো কুহু আমাকে রাগিও না। ভালোই ভালোই বলো তোমার তিশান টা কে?

কুহু - কোন তিশান কোথাকার তিশান আমি তো কিছুই বুঝতে পারছি না। (অবাক হয়ে)

রেহান কুহুর কথা শুনে আরও প্রচন্ড রকমের রেগে যায়।

রেহান - একদম ন্যাকামি করবা না কুহু। সোজাসাপ্টা উত্তর দাও। তিশান কে? ভালোই ভালোই সব বলো নয়তো কোনো দিন তিশান কে তোমার আশেপাশেও যদি দেখি তো আস্ত রাখবো না।

কুহু রেহানের ধমক শুনে কেঁপে কেঁপে উঠছে।
সবকিছু যেনো কুহুর মাথার উপর দিয়ে যাচ্ছে। কে এই তিশান? কিছুই মাথায় ঢুকছে না।

রেহান - কি হলো? এখন মুখটা অফ কেনো? কথা বের হয়না কেনো এখন? ওহহ বুঝেছি তোমার তিশান কে নিয়ে আমার কাছে কিছু বলার ইচ্ছে নেই তাই তো?
না বলতে চাইলে বলো না তবে একটা কথা বলে দিই আমি তোমাকে চাই মানে চাই। তোমার তিশান কে বলো ভালোই ভালোই তোমাকে ছেড়ে চলে যেতে নয়তো ওর কপালে খারাপ আছে বলে দিলাম।

রেহান রেগে ক্লাসরুম থেকে বের হয়ে যায়। এদিকে কুহু এখনো বোকার মতো দাড়িয়ে আছে।

কুহু - এই লোকটা কি পাগল? কি সব বলে গেলো! আমি তো কিছুই বুঝতে পারছি না। কে তিশান। আমি তো কোনো দিন তিশান নামের কাউকে দেখবো দূরে থাক নামও শুনি নি।

এদিকে সানিয়া আর রিহা কিছুদূর যাওয়ার পরই পেছন ফিরে তাকায়...

সানিয়া - কুহু.... কুহু কোথায় গেলো?

রিহা - আমাদের সাথেই তো আসছিলো। পেছনে ছিলো কই গেলো ও?

সানিয়া - ওফফফ এই মেয়ে টা না! কিছু না বলেই চলে গেলো। এখন কোথায় খুঁজবো বল তো?

কুহু ক্লাসথেকে বের হয়ে একপ্রকার দৌড়ে নিজের ক্লাসের দিকে যেতে থাকে।
দৌড় দিয়েই সানিয়া আর রিহার সামনে পড়ে...

সানিয়া - এই তুই কোথায় ছিলি? হাওয়া হয়ে গিয়েছিলি নাকি?

রিহা - হ্যা সেই তো। আমিও ভাবলাম আমাদের মাঝ খান থেকে তোকে কেউ কিডন্যাপ করে নিয়ে গেলো নাকি?

কুহু - হ্যা সেটাই তো করেছে (অন্যমনস্ক হয়ে)

রিহা - কিহহহ? (অবাক হয়ে)

সানিয়া - তোকে কেউ কিডন্যাপ করেছে আবার এনে দিয়েও গেছে? বলি তুই তো পাগল হয়েছিস এবার আমাদেরও পাগল করে ছাড়বি!

কুহু - আরে রাখ না। আচ্ছা তিশান কে চিনিস?

কুহুর এমন প্রশ্নে সানিয়া রিহা দু'জনই অবাক হয়ে যায়।

সানিয়া - তিশান? (অবাক হয়ে)

রিহা - তিশান আবার কে?

কুহু - জানিস না তাইনা? হ্যা আমিও তো জানিনা তিশান কে?

রিহা - কুহু তুই সত্যি সত্যি পাগল হয়ে গেছিস?

কুহু - আরে না! সত্যিই বলছি আমিও তো চিনি না তিশান কে?

সানিয়া - হয়েছে? এবার তোর এইসব কথা বন্ধ করে ক্লাসে চল। ক্লাস বোধহয় শুরু হয়ে গেছে।

কুহু - হ্যা চল।

সানিয়া আর রিহা কুহুকে নিয়ে ক্লাসে চলে যায়। ক্লাসে সবাই যার যার মতো মন দিলেও কুহুর মন পড়ে আছে রেহানের বলা কথা গুলো ভাবতে!

কুহু - ( কে এই তিশান? আমি তো কিছুই বুঝতে পারছিনা। ওফফফ! আমি তো পাগল হয়ে যাবো এতো টেনশনে।)

ক্লাস শেষে কুহু একা একাই বের হয়ে আসে।

সানিয়া আর রিহা পেছন পেছন দৌড়ে বের হয়।

রিহা - কুহু.... ফেলে রেখেই চলে যাচ্ছিস কেনো? ওহহ ভার্সিটি তে উঠতে না উঠতেই পালটে ফেললি?

কুহু - কি পালটে ফেললাম? (অবাক হয়ে)

সানিয়া - বুঝতে পারছিস না কি? আমাদের।

কুহু - তোদের পালটাবো? পাগল হলি নাকি?

সানিয়া - তাহলে এভাবে ফেলে রেখে নিজে নিজেই চলে যাচ্ছিলি কেনো?

কুহু - সরি রে। আসলে মাথায় অনেক কিছু ঘুরপাক খাচ্ছে তাই ভুল হয়ে গেছে।

রিহা - ওকে। এখন কি বাসায় চলে যাবি?

কুহু - হ্যা তো?

সানিয়া - না মানে কিছুক্ষণ থাকবি না?

কুহু - নাহ।

রিহা - কুহু... তুই কি কোনো কারনে আপসেট?

কুহু - আরেহ না। আমি একদম ঠিক আছি।

রিহা - দেখ আমাদের বলতে পারিস। আমরা তো তোর ফ্রেন্ড তাইনা। হেল্প ওত করতে পারি। বলেই দেখ না।

সানিয়া আর রিহা জোর করায় কুহু রেহানের বলা সব কথা বলে দেয়। রিহা সানিয়া দুজনই অবাক হয়ে যায়....

সানিয়া - তিশান মানে? রেহান ভাইয়া কি ভাবছে তোর বফ আছে? যার নাম তিশান?

কুহু - হ্যা।

রিহা - কি বলিস? আমরা তো জানি তোর কোনো বফ নেই ইভেন তুই কোনো রিলেশনও করিস নি। তাহলে তিশান আসলো কোথ থেকে। তুই কোনো দিনও আমাদের কাছ থেকে কিছু লুকাস নি। আমরা নিশ্চয় জানতাম।

সানিয়া - আমার কি মনে হই জানিস? রেহান ভাইয়াকে কেউ তোর নামে উল্টাপাল্টা বুঝিয়েছে। এই জন্যই রেহান ভাইয়া তোকে ভুল বুঝছে।

কুহু - হোয়াট? ঐ ছেলে আমাকে ভুল বুঝলো বা ঠিক বুঝলো তাতে আমার কি যায় আসে। আমার একটাই কথা তিশান কে? আমি কোনো দিন রিলেশন করি নি তাহলে উনি কেনো এই সব বলছে?
আমি এতো বড় মিথ্যে মেনে নিবো কেনো?

সানিয়া - তার জন্য তো ভাইয়া কে সবটা বলতে হবে তাইনা। না বললে তো ভাইয়া ঐ মিথ্যাটা কেই সত্যি মনে করবে।

রিহা - কুহু তুই মন খারাপ করিস না। দেখ আমার কি মনে হই জানিস কেউ হয়তো তোকে আর ভাইয়াকে নিয়ে জেলাস ফিল করছে। এতো স্মার্ট একটা ছেলে তোর পিছন পরে আছে অথচ তুই পাত্তাও দিচ্ছিস না তাই কেউ তোর নামে বাজে কথা বলেছে ভাইয়াকে।
তুই কিছু চিন্তা করিস না আমি নিজে ভাইয়ার সাথে কথা বলবো। আমি ভাইয়াকে সবটা বুঝিয়ে বলবো।

কুহু - আজিব ওকে কি বলবি তুই। ওকে কেনো বুঝাতে যাবি। কে ও? আমি শুধু জিগ্যেস করবো আমার সম্পর্কে এতো খারাপ কথা বলার সাহস হলো কি করে।

সানিয়া - আচ্ছা বাবা এবার বাড়ি চল।

রিহা - হ্যা তুই বরং বাড়ি যা। গিয়ে রেস্ট কর। তোর এমনি তেই মাথা গরম। বাড়ি যা।

কুহু সানিয়া আর রিহা বেরিয়ে যায়। কুহুকে এক রিকশায় উঠিয়ে দিয়ে সানিয়া আর রিহা অন্য রিকশায় উঠে যায়।

এদিকে কিছুক্ষন পরই রেহান পুরো ক্যাম্পাস খুজতে শুরু করে। কিন্তু কুহুকে কোথাও দেখতে পায় না। রেহান কালকের মতো গেইটের বাইরে এসে ফুচকাওয়ালার কাছে যায় কিন্তু সেখানেও কুহুকে দেখতে পায় না। রেহানের প্রচন্ড রাগ হয় কুহুর উপর।

রেহান - এই মেয়েটার সাহস দেখে আমি বরাবরই অবাক হচ্ছি। এতো সাহস হয় কি করে ওর!
কালকে এতো বলার পরও আজ চলে গেলো! বার বার বলেছিলাম আমি পৌঁছে দিবো। আমার জন্য ওয়েট না করেই চলে গেছে! নিশ্চয় ওর তিশান ওকে পৌঁছে দিবে তাই চলে গেছে।
আজ যদি ওকে রাস্তায় পাই না জ্যান্ত পুঁতে দিবো বেয়াদব মেয়ে!

রেহান রেগে হনহন করে বাইকের কাছে গিয়ে বাইক স্টার্ট দেয়।

কুহু - এই লোকটা আসলেই বাজে। না জেনেই আমাকে এতো গুলো কথা শুনিয়েছে! আর কোনো দিনও উনার সামনেও যাবো না ফালতু লোক কোথাকার।
বাসার সামনে এসে কুহু রিকশা থেকে নেমে অবাক হয়ে যায়....

রেহান কুহুর বাসার সামনে দু'হাত বুকে গুঁজে বাইকের সাথে হেলান দিয়ে দাড়িয়ে আছে।
রেহান কে দেখেই বুঝা যাচ্ছে অনেক টা রেগে আছে সে।
রেহানের কথা গুলো মনে পড়তেই কুহুর রাগ উঠে। কুহু রেহান কে উপেক্ষা করে বাসায় ঢুকে পরে৷ রেহান কে কিছু বলার সুযোগ দেয়নি এমনকি নিজেও কিছু বলেনি।
রেহান কুহুর কাজে আরও রেগে যায়।

রেহান - এখন তো আমাকে এড়িয়ে যাবেই। তোমার তিশান কে পেয়েছো না! ইচ্ছে করছে তোমাকে আর তোমার ভালোবাসার তিশান দু'জনকেই উপরে পাঠিয়ে দিই।

কুহু বাসায় এসেই নিজের রুমে চলে যায়। জেরিন বিষয় টা খেয়াল করেই বুঝতে পারে কুহুর কিছু একটা হয়েছে।

জেরিন - নিশ্চয় আমার হিরো কিছু একটা বলেছে আপি কে। না হলে তো আপি এতটা চুপচাপ কোনো দিন থাকেনি। ওফ! আমার যে কি আনন্দ হচ্ছে!

চলবে...

 #প্রেমপিপাসা❤ #পর্ব - ৬🍁ভাবতে ভাবতেই রেহান নাম্বারটায় ফোন দেয়। রিং হতে না হতেই ওপাশ থেকে ফোন টা রিসিভ করে... রেহান - বা...
08/12/2024

#প্রেমপিপাসা❤
#পর্ব - ৬
🍁
ভাবতে ভাবতেই রেহান নাম্বারটায় ফোন দেয়। রিং হতে না হতেই ওপাশ থেকে ফোন টা রিসিভ করে...

রেহান - বাবাহ আমার ফোনের জন্য ওয়েট করছিলে বুঝি? না হলে এতো তারাতারি ফোন রিসিভ করতে না নিশ্চয়?

--- আমি তো সবসময়ই আপনার জন্য ওয়েট করে থাকি। সারাক্ষন শুধু আপনাকে নিয়েই ভাবি। জানেন? আমার অনেক ইচ্ছে ছিলো যদি আপনাকে আরেক বার সামনাসামনি দেখতে পারতাম! আল্লাহ আমার ইচ্ছে পূরণ করেছে। এমনকি আপনার সাথে কথাও বলতে পারছি। সত্যি সব কিছুই কেমন স্বপ্নের মতো লাগছে!
আজ আমি সত্যিই অনেক অনেক খুশি।

রেহান - (কি হলো এটা! এতো দেখছি ভুতের মুখে রাম রাম! যে কিনা আমাকে সহ্যই করতে পারতো না সে এখন বলছে আমার সাথে কথা বলতে পেরে খুশি! আশ্চর্য!
আর গলার স্বর টাও কেমন কেমন লাগছে! কি জানি কুহুর সাথে তো কোনো দিন ফোনে কথা হয়নি। ফোনে তো সবার স্বরই পালটে যায়। হতেই পারে এমন। কিন্তু ও হটাৎ এমন বিহেভ করছে কেনো? পাগল টাগল হয়ে গেলো নাকি?.... মনে মনে)

--- এইযে মিস্টার... কথা বলছেন না কেনো?

রেহান - হ্যা বলুন.. না মানে বলো...

--- নিশ্চয় খুব অবাক হচ্ছেন? আমার মুখ থেকে এসব কথা শুনে? আসলে কি জানেন? অনেক মেয়েরা তো কখনো মুখ ফুটে কিছু বলতে পারে না। কাউকে ভালোবাসার কথা তো না ই। আমিও সেরকমই একজন।
আপনাকে প্রথম দেখেই ভালোবেসে ফেলেছি কিন্তু আমার বিহেইভিয়ার দিয়ে বুঝাই নি ইভেন আপনাকে মুখেও বলি নি। তাই হয়তো আপনার অবাক লাগছে। কি তাই তো?

রেহান - আর ইউ ওকে কুহু?

--- কেনো আমার আবার কী হবে? আপনার কি মনে হয় আমার মাথা খারাপ হয়ে গেছে?

রেহান - না তা না। বাই দ্যা ওয়ে তুমি কে?

--- আপনি কার কাছে ফোন করেছেন?

রেহান - ফোন কাকে করেছি তা জানিনা তবে আমি কুহুর সাথেই কথা বলতে চাই অন্য কারো সাথে না।

--- আচ্ছা এতো কুহু কুহু করার কী মানে হই বলুন তো? ও তো আপনাকে পাত্তা ও দেয় না। তাহলে আপনি কেনো ওর জন্য ওয়েট করে আছেন?

রেহান - হোয়াট!! তুমি তার মানে কুহু না?

--- না আমি কুহু না। আপনার কি মনে হয় কুহু এরকম বিহেভ করবে আপনার সাথে? ও তো আপনাকে সহ্যই করতে পারে না।

রেহান - জাস্ট সাট আপ ডেম এট তোমার সাহস তো কম না। তুমি কুহুর নামে এতো বাজে কথা বলছো কোন সাহসে? তুমি নিশ্চয় কুহুর বোন?

--- হ্যা আমি জেরিন।

রেহান - ইউউ... তোমাকে যদি এখন কাছে পেতাম না কষে দুইটা থাপ্পড় মারতাম। লজ্জা করে না তোমার? নিজের বোনের বফের সাথে প্রেমের আলাপ করছো?

জেরিন - বোনের বফ?

রেহান - ইয়াপ.. আজ না হই কাল কুহু আমাকে ঠিকই মেনে নিবে। তখন তো আমাকে দুলাভাই ডাকবে তুমি !!

জেরিন রেহানের কথা শুনে প্রচন্ড রেগে যায়।

জেরিন - দুলাভাই মাই ফুট... দেখুন না আপি আপনাকে মেনে নেয় কিনা। কোনো দিনও মানবে না বুঝলেন কারন আপি শুধু তিশান ভাইয়াকে ভালোবাসে। আপির মনে তিশান ভাইয়ার জায়গা টা কেউ নিতে পারে নি আর পারবে ও না। আপনি তো কখনো না!!

রেহান - তিশান কে?

জেরিন - সেটা না হয় আপনার না জানাই থাক। না জেনেই যেহেতু ভালোবেসেছেন না জানাই থাকুক।

রেহান - তিশান কে? আন্সার মি....(চেচিয়ে)

রেহানের ধমক শুনে জেরিন কিছুটা ভয় পেয়ে যায়।

জেরিন - আপির বয়ফ্রেন্ড। ৩ বছরের ডিপ রিলেশন তাদের। জানেন? আপি তিশান ভাইয়াকে অনেক ভালোবাসে ইভেন নিজের থেকেও বেশি। এই জন্যই হয়তো আপনাকে মেনে নিতে পারছে না।

রেহান জেরিনের কথা শুনে কিছু না বলে ফোন টা কেটে দেয়। রেহানের এমন চুপ থাকার মধ্যেও তার ভয়াবহ রাগই প্রকাশ পায়।
রাগে রেহানের কপালের রগ টা ফুলে উঠেছে। হাত দু'টো মুষ্টিবদ্ধ করে রেখেছে। অনেক খন ধরে চোখ বন্ধ করে জোরে জোরে নিশ্বাস নিচ্ছে রেহান। আর এরকম করার একটাই কারন নিজের রাগ কনট্রোল করার চেষ্টা করছে সে।

রেহান - তোমার তিশান কে ভালোবাসো তাই না? তিশান!
ভালো তো তুমি আমাকেই বাসবে। তোমার সাথে ভালো ব্যবহার করেছি বলে টের পাওনি তাই না? রেহানের ভালো রুপ টাই চোখে পড়েছে তাই এড়িয়ে গেছো কাল থেকে ভয়ংকর রুপটা দেখবে! জাস্ট ওয়েট এন্ড ওয়াচ্!

রেহান রেগে হাতের কাছে থাকা ফুলদানি টা তুলে আাছাড় মেরে ভেঙে ফেলে।
মাথায় দু'হাত দিয়ে চেঁপে ধরে বসে থাকে।

এদিকে কুহু ফোন নিয়ে ফেসবুকে ঢুকে। অনেক খন বান্ধবীদের সাথে আড্ডা দিয়ে অফলাইনে চলে যায়। কিছুক্ষন পরই কুহুর মা আসে...

কুহুর মা - খেয়ে আয় কুহু।

কুহু - ওকে মা আসছি।

কুহু খাবার টেবিলে গিয়ে বসে। জেরিন ও আগে থেকেই বসা ছিলো।
জেরিন কে দেখেই বুঝা যাচ্ছে সে অনেক খুশি!

কুহু - কিরে এতো খুশি খুশি! কোনো গুড নিউজ আছে নাকি?

জেরিন - (গুড নিউজ তো বটেই আপি! কিন্তু সরি গো.... তোমাকে তো বলা যাবে না!)
না না আপি গুড নিউজ কিসের আবার। এমনিতেই ভালো লাগছে আজ।

কুহু - ওহহ আচ্ছা খাওয়া শুরু কর।

জেরিন - হুম।

সবাই খাওয়া শুরু করে। কুহুর খাওয়া শেষ হতেই সে নিজের রুমে চলে যায়।

জেরিনও নিজের রুমে যায়। গিয়েই ফোন টা হাতে নিয়ে দেখে রেহান ফোন দিয়েছে কিনা?
কিন্তা না! রেহানের কোনো ফোন বা ম্যাসেজ কিছুই আসেনি।

জেরিন - হুহহহ দেমাক কতো ছেলেটার! যাকগে আমিই ফোন দিয়ে দেখি।

জেরিন রেহান কে ফোন দেয় কিন্তু রেহানের ফোন অফ। জেরিন একটু পর পরই রেহান কে ফোন দিয়েই যাচ্ছে কিন্তু রেহানের ফোন অফ।

জেরিন রেহান কে একটা ম্যাসেজ পাঠায় যাতে লিখা ছিলো....

" কাল আমার সাথে একবার দেখা করবেন প্লিজ? কিছু কথা ছিলো। "

ম্যাসেজ টা দিয়েই জেরিন ঘুমিয়ে পড়ে।

সকালে...

রেহান ঘুম থেকে উঠে দেখে ৮ টা বাজে। রেহান একলাফে উঠে বসে পড়ে।

ভার্সিটির দেরি হয়ে যাবে তাই রেহান দ্রুত উঠে ওয়াশরুমে চলে যায়।
রেহান ফ্রেশ হয়ে আসতেই তার মা রুমে আসে...

রেহানের মা - আজ এতো বেলা অব্দি ঘুমালি যে?

রেহান - হ্যা। তুমি ডাকলে না যে?

রেহানের মা - তোকে কতো বার ডাকতে এসেছি আমি নিজেও জানিনা। তোর ঘুম ভাঙ্গলে তো?

রেহান - ঠিক আছে ব্রেকফাস্ট রেডি করো আমি আসছি।

রেহানের মা - হ্যা আয় তারাতারি।

রেহান ভার্সিটির জন্য রেডি হয়ে নিচে নেমে আসে। রেহান সবাইকে গুড মর্নিং জানায়।

রেহানের বাবা - রাতে কি ঘুম হয়নি?

রেহান - না। তাই তো সকালে উঠতে পারি নি।

রেহানের বাবা - হুম বুঝলাম। ভার্সিটিতে যাবে না?

রেহান - হ্যা যাবো বাবা। ( যেতে তো আজ হবেই!)

রেহানের বাবা - ওকে খেয়ে নাও তারাতারি।

রুপসা ( রেহানের ছোট বোন) - ভাইয়া আজ কিন্তু আমার পাওনা টা চাই।

রেহান - তোর আবার কিসের পাওনা শুনি? (ভ্রু কুঁচকে)

রুপসা - ঐযে আমার আইসক্রিম।

রেহান - ওরে বাবা! এখনো মনে আছে তোর। আমি তো ভেবেছিলাম তোর মাথায় গোবর ভরা কিছু মাথায় রাখতে পারিস না।

রুপসা - ভাইয়াআআআ......বেশি বলছো না তুমি?

রেহান - ওকে বাবা সরি। এই কান ধরছি (কান ধরার ভান করে)

রুপসা - হবে না। আইসক্রিম চাই।

রেহান - ঠিক আছে বাবা আনবে আনবো।

রেহানের বাবা - আচ্ছা ঠিক আছে এবার খেয়ে নে।

রেহান খাওয়া শেষ করে উঠে পরে।

রেহান ভার্সিটির উদ্দেশ্য বেরিয়ে পরে।

ভার্সিটি তে আসার পর অনেকক্ষণ ধরে রেহান কারো জন্য ওয়েট করছে।

এদিকে কুহু সানিয়া আর রিহার সাথেই ভার্সিটি তে ঢুকে।

ভার্সিটিতে আসার পরই কুহুর চোখ আটকে যায়।
তার ব্ল্যাক কিং!
বাহ আবার সেই আগের মতোই তবে আজ একটু ব্যাতিক্রম লাগছে!
সাদা শার্ট হাতা ফোল্ড করা, কালো জিন্স, চোখে সানগ্লাস, চুল গুলো বার বার অবাধ্য হয়ে চোখে পড়ছে।

কুহু একদৃষ্টিতে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থাকে।

সানিয়া - কিরে... প্রেমে পড়লি নাকি?

রিহা - আমার তো মনে হচ্ছে সামথিং সামথিং!

সানিয়া - আরে এবার তো চোখ নামা। বেচারার নজর লেগে যাবে তো!

রিহা আর সানিয়ার হাসাহাসিতে কুহু ধ্যান ভাঙে।

কুহু - কি হয়েছে এভাবে হাসছিস কেনো?

সানিয়া - যাহ বাবা! দেখায় এতোটাই ব্যাস্ত ছিলি যে আমরা এতোখন কি বললাম কিছুই শুনলি না!

কুহু - বাজে কথা বন্ধ করে ক্লাসে চল।

সানিয়া - এখনো ও ক্লাস শুরুই হয়নি। তাছাড়া মনে হই ক্লাসে কেউ যায়ও নি। একটু পরে যাই?

কুহু - এখনি চল। কেউ যায়নি তো কি হলো? আমরা গিয়ে আড্ডা দিবো কিছুক্ষন।

রিহা - ওকে চল।

কুহু চলে যাওয়ার সময় একপলক রেহানের দিকে তাকায়। কুহু বেশ বুঝতে পারছে রেহান রেগে আছে। কিন্তু কেনো রেগে আছে তার কারন টা কুহুর অজানা।

চলবে...

 #প্রেমপিপাসা❤ #পর্ব - ৫কুহু - ফালতু কথা বলবি তো এক চরে দাঁত ফেলে দিবো। ফেলে দিবে কেনো শুনি? ওর এতো সাহস আছে নাকি? মুখে ...
08/12/2024

#প্রেমপিপাসা❤
#পর্ব - ৫

কুহু - ফালতু কথা বলবি তো এক চরে দাঁত ফেলে দিবো। ফেলে দিবে কেনো শুনি? ওর এতো সাহস আছে নাকি? মুখে মুখেই যতো গুন্ডামি কথা।

সানিয়া - আচ্ছা বাবা হয়েছে। এবার ক্লাস কর মন দিয়ে।

ক্লাস শেষে..

সানিয়া - কুহু বাড়ি যাবি? নাকি থাকবি কিছুখন?

কুহু - একটু পরে যাই।

সানিয়া - ওকে।

রিহা - ফুচকা খেতে যাবি?

সানিয়া - হ্যা যাওয়াই যায়।

কুহু - চল।

তিন জন ভার্সিটির পাশেই ফুচকা খেতে চলে যায়।
এদিকে রেহান কুহুকে সারা ভার্সিটি খুঁজছে।

রেহান - গেলো কোথায় মেয়েটা? ওর সাহস আছে বটে। আমি এতো বার করে বলার পরও চলে গেলো!

রেহান প্রচন্ড রেগে যায়। রাতে রেহানের মুখ লাল বর্ণ ধারন করছে। রেহান কুহুকে এদিক সেদিক খুঁজে বেরাচ্ছে।

আর কুহু বেচারি মন মতো ফুচকা খেয়েই যাচ্ছে।

কুহু - মামা লাস্ট আরেক প্লেট বানান তবে হ্যা ঝাল দিবেন বেশি করে।

রেহান কুহুকে খুঁজতে খুঁজতে গেইটের বাহিরে চলে আসে।

বাহিরে আসতেই রেহান দেখে কুহু ওর বান্ধবী দের সাথে ফুচকা খাওয়ায় ব্যাস্ত। রেহানের রাগ টা আরও বেরে যায়। সারা ভার্সিটি খুঁজে ক্লান্ত হয়ে পড়েছে আর এই মেয়ে এখানে ফুচকা খাচ্ছে! খাওয়াচ্ছি তোমার ফুচকা দাড়াও!!

রেহান রেগে কুহুর পাশে গিয়ে দাড়ায় সানিয়া আর রিহা রেহান কে দেখে অনেক টা ভয় পেয়ে যায়। কিন্তু কুহুর কোনো খবরই নাই বেচারি ফুচকা খাওয়ায় ব্যাস্ত।

রেহান রেগে কুহুর হাত চেঁপে ধরে টানতে টানতে ভার্সিটির ভেতরে নিয়ে আসে। কুহু রেহানের কাজে ভয় পেলেও প্রকাশ করে না বরং কিছুটা রাগ দেখিয়ে বলে...

কুহু - আপনার সমস্যা টা কী বলুন তো? সব সময় আমার পিছন পড়ে থাকেন কেনো? আমার কি কোনো পার্সোনালিটি নেই নাকি? এভাবে রাস্থায় সবার সামনে হাত ধরে নিয়ে এলেন কেনো?

রেহান কুহুর কথায় কোনো জবাব দেয় নি বরং রাগি চোখে কুহুর দিকে একপলক তাকিয়ে আবার টানতে টানতে একটা ক্লাসরুমের দিকে নিয়ে যেতে থাকে।
কুহু এবার খেয়াল করে অনেক খন আগেই ভার্সিটি ছুটি হয়ে গেছে৷ এখন তো পুরো ভার্সিটি ফাঁকা।

কুহু - (এই ছেলে আমাকে ক্লাসরুমের দিকে নিয়ে যাচ্ছে কেনো? এমনিতেই তো ভার্সিটি ছুটি হয়েছে অনেক খন আগে। এখন নিশ্চয় কেউ নেই। তাহলে!!
আল্লাহ এই গুন্ডার হাত থেকে রক্ষা করো আমায়!! মনে মনে)

রেহান কুহুকে একটা ক্লাসরুমে এনে দেয়ালের সাথে চেপে ধরে...

রেহান - বলেছিলাম না ছুটির পর থাকতে? আমি বাসায় পৌঁছে দিবো। বলেছিলাম কি না? (ধমক দিয়ে)

রেহানের ধমকে কুহু কেঁপে উঠে..

রেহান - কথা বলছো না কেনো? কে বলেছিলো রাস্তায় দাড়িয়ে ফুচকা খেতে? আমি বলেছিলাম? খুব সখ না ছেলেদের সামনে দাড়িয়ে ফুচকা খেতে? (দাঁতে দাঁত চেপে)

কুহু - আমি কি করবো না করবো সেটা কি আপনার কাছ থেকে জেনে নিতে হবে নাকি? এতো অধিকার খাটাচ্ছেন কেনো? আপনি কি আমার ভাই? নাকি আমার বর?

রেহান কুহুর কথায় ভ্রু কুঁচকে তাকায়....

রেহান - বর। কেনো সন্দেহ আছে নাকি?

কুহু - এইসব ফালতু কথা বলবেন না একদম! আমার তো খেয়ে দেয়ে কাজ নেই আপনার মতো অসভ্য লোক কে বর বানাবো।

রেহান - তোমার বানাতে হবে না কোকিল পাখি। আমিই বানাবো।

কুহু রেগে রেহান কে ধাক্কা মারে কিন্তু কপাল খারাপ হলে যা হয় আরকি। বেচারি রেহান কে এক ইঞ্চি ও সরাতে পারেনি৷

রেহান - আমার মতো বডি বিল্ডারের কাছে তোমার মতো পুঁচকি মেয়ের সামান্য শক্তি কিছুই না। বুঝলে? (বাঁকা হেসে)

কুহু - বডি বিল্ডার না বলুন হাতি হাতি!!

রেহান কুহুর কথা শুনে ভ্রু কুঁচকায়....

রেহান - সিরিয়াসলি হাতি!!

কুহু - অবশ্যই!!

রেহান - হাতি বলো আর গন্ডার বলো তোমারই তো বর তাইনা। (মুচকি হেসে)

কুহু - বাজে কথা রাখুন আর আমাকে যেতে দিন।

রেহান - হুম চলো।

কুহু - আমি একাই যেতে পারবো।

রেহান - তুমি কি চাইছো তোমাকে আমি কোলে করে নিয়ে যাই।

কুহু রেহানের কথা শুনে রেগে যায়। তাও শান্ত ভাব নিয়ে বলে...

কুহু - না... চলুন যাচ্ছি।

রেহান মুচকি হেসে কুহুর হাত ধরে।

কুহু - হাত ধরলেন কেনো?

রেহান - পারমিশন নিতে হবে নাকি? (দাঁতে দাঁত চেপে)

কুহু - না ঠিক আছে৷ (অসভ্য ছেলে কোথাকার। ইচ্ছে করে দাঁত গুলো ভেঙে দিই)

রেহান কুহুকে বাইকের পেছনে বসিয়ে নিজেও উঠে বসে।

কুহু - এইভাবে যাবো নাকি?

রেহান - তো? উড়োজাহাজ ভাড়া করবো নাকি? (রেগে)

কুহু - না চলুন। (এই ছেলের মুখে কি মিষ্টি কথা নেই নাকি৷ মনে হয় জন্মের সময় মুখে মধু না দিয়ে নিমপাতার রস দিয়েছিলো.... মনে মনে)

রেহান বাইক স্টার্ট দেয়।

রেহান - ধরে বসো নয়তো পড়ে ব্যাথা পাবে।

কুহু - ঠিক আছি আমি। ( তোকে ধরতে যাবো কোন দুঃখে)

রেহান কুহুর কথায় কিছুটা রেগে যায়। তাও প্রকাশ করে না। রেহান ইচ্ছে করেই বাইকের স্পিড বাড়িয়ে দেয়। কুহু কয়েক বার পড়ে যেতে নিলেও রেহান কে খামচে ধরে বাঁচে। তাই বাধ্য হয়ে রেহানকে ধরে বসে।
কুহু ধরা মাত্রই রেহান বাইকের স্পিড কমিয়ে দেয়।

কুহু - (এ তো দেখি আস্ত একটা শয়তান!! ইচ্ছে করে এতোখন স্পিডে চালিয়েছে!! মনে মনে)

কিছুক্ষণের মধ্যেই রেহান কুহুকে তার বাড়ির সামনে নামিয়ে দেয়।

কুহু সোজা বাড়িতে ঢুকতে গেলেই রেহান পেছন থেকে ডাক দেয়...

রেহান - কেউ হেল্প করলে যে তাকে থ্যাংকস্ বলতে হয় শিখোনি?

কুহু রেহানের কথা শুনে দাড়িয়ে যায়। কিছুটা রেগে রেহানের দিকে তাকায়...

কুহু - থ্যাংকস্। এবার শান্তি?

রেহান - ইয়াহ... (মুচকি হেসে)

কুহু রেগে হনহন করে বাসায় চলে যায়। রেহান কিছুক্ষণ দাড়িয়ে থেকে নিজেও চলে আসে।

বিকেলে...

কুহু পড়ে ঘুমাচ্ছে এর মধ্যেই জেরিন রুমে আসে...

জেরিন - আপি...আর কতো ঘুমাবে? উঠো তো।

কুহু - ডাকছিস কেনো? (ঘুমের ঘোরে)

জেরিন - আরে আপি আরেকটু পরই সন্ধা হয়ে যাবে। এই টাইমে কেউ ঘুমায় নাকি! উঠো ছাদে যাই চলো ভালো লাগবে।

কুহু উঠে বসে।

কুহু - হ্যা ঠিকই বলেছিস। শোন না তুই দু কাপ কফি বানিয়ে ছাদে চলে যা। আমিও ফ্রেশ হয়ে আসছি।

জেরিন - ওকে আপি তারাতারি এসো।

জেরিন কফি বানিয়ে ছাদে যায়। কুহু ফ্রেশ হয়ে নেয়।
জেরিন কফি গুলো হাতে নিয়ে ছাদের এক কোণে গিয়ে দাড়াতেই চমকে উঠে..!
একি! এ আমি কাকে দেখছি??

আমার হিরো!!

জেরিনের ইচ্ছে করছিলো এক লাফে তার হিরোর কাছে পৌঁছে যেতে কিন্তু এটা তো সম্ভব না। বেচারি এক বালতি দুঃখ নিয়ে রেহান কে ইশারা করতে থাকে। কিন্তু রেহানের দৃষ্টি কুহুর ঘরের জানলার দিকেই স্থির।

এর মাঝেই কুহু ছাদে চলে আসে।

জেরিন - ( এই রে কেনো যে আপিকে আজ ছাদে আসতে বললাম কে জানে! ইচ্ছে করছে নিজের মাথায় কফি টা ঢেলে দিই। এখন তো নিশ্চিত আপিকে দেখে ফেলবে আমার হিরো টা!)

কুহু - সরি রে অনেক খন ওয়েট করতে হলো তোকে।

জেরিন - আ...আপি চলো না ঘরেই চলে যাই। আমার এখানে ভালো লাগছে না।

কুহু - কেনো? (ভ্রু কুঁচকে)

জেরিন - এমনিই চলো। (জেরিন বার বার নিচে তাকাচ্ছে)

কুহু কিছু একটা ভেবে নিচে তাকায়।

কুহু - একি! এই গুন্ডা টা এখানে কি করছে? (রেগে)

জেরিন - এই যাহহ! দেখেই নিলো।

কুহু - এই ছেলের জন্য তুই ছাদ থেকে চলে যেতে চাইছিস তাই না। কেনো রে? ও কি ছাদে এসে উঁকি মেরে দেখবে আমাদের?

জেরিন - না। এমনিতেই। জেরিন বার বার নিচে তাকাচ্ছে।

রেহান - ধুর বাবা এতোখন ধরে দাড়িয়ে আছি একবারও আসার নাম নেই। ওর ঘরে যে জানলা আছে সেটা ও যানে তো!! আমার তো মনে হই জানেই না। না হলে এতোখনে একবার অন্তত আসার কথা ছিলো।
রেহান এদিক ওদিক তাকিয়ে হটাৎ ছাদে তাকাতেই চমকে উঠে।

রেহান - ছাদে এরা কে? মনে তো হচ্ছে কুহুর বোন। সাথের টা কে?

কুহু - জেরিন তুই কি উঁকি মেরেই থাকবি নাকি বসবি কোথাও? (রেগে)

জেরিন - এইতো আমার হিরো তাকিয়েছে। জেরিন বেচারি তো মহা খুশি। বার বার চুল ঠিক করছে। কত রকমের স্টাইল করছে। কিন্তু রেহান এসব দেখায় ব্যাস্ত না। জেরিনের সাথে কে আছে দেখার চেষ্টায় আছে সে।

কুহু - জেরিন চল তো। এই বাদর টাকে কি দেখছিস এতো। (কুহু নিচে তাকাতেই রেহানের মুখে হাসি ফুটে উঠে। রেহান বুঝতে পারে জেরিনের সাথে কুহুই ছিলো)

রেহান কুহুকে ইশারা করে ফোন দেখায়।

কুহু - বজ্জাতের হাড্ডি টা কি দেখাচ্ছে রে?

জেরিন - আপি বোধহয় ফোন নাম্বার চাইছে!

কুহু জেরিনের কথা শুনে চোখ বড় বড় করে তাকায়!
এতো বড় সাহস আমার বাড়ির সামনে এসে আমারই ফোন নাম্বার চাইছে!!

কুহু কিছু না বলে দ্রুত সিড়ি বেয়ে নামতে থাকে।
জেরিন ও সাথে সাথে নামে।

কুহু বাসার সামনে যেতেই রেহান কুহুর কাছে আসে।

রেহান - ও বাবাহ! আমার বউ টার দেখি অনেক টান আমার জন্য! যেই দেখলো আমি দাড়িয়ে আছি অমনি নিচে নেমে এসেছে।

কুহু - বাজে কথা বন্ধ করুন। আর এখানে কেনো এসেছেন আপনি?
এসেছেন তাও আবার ছাদে ইশারা করছেন লোকে দেখলে কি ভাববে বলুন তো?

রেহান - কি ইশারা করছিলাম বুঝতে পারো নি?
ফোন নাম্বার দাও।

কুহু - হোয়াট? আপনাকে ফোন নাম্বার দিবো তাই না!

রেহান রেগে কুহুর দিকে তেড়ে আসতেই কুহু এক দৌড়ে বাড়ির ভেতর চলে যায়।

রেহান - পালিয়ে বাঁচতে পারবে না। কাল এসো ভার্সিটিতে পরে বুঝতে পারবা পালানোর মজা।
রেহান চলে যেতে নিলে কেউ পেছন থেকে ডাক দেয়। রেহান পেছন ফিরে তাকিয়ে দেখে জেরিন।

জেরিন - হাই আমি জেরিন।

রেহান - তোমার সাথে হাই হ্যালো করার সময় নেই। যদি পারো তো কুহুর ফোন নাম্বার টা দাও।

রেহানের কথায় জেরিন মারাত্মক রেগে যায়। তার মতো এতো সুন্দরী মেয়েকে কতো কতো ছেলে পটাতে চেয়েছে কেউ সাকসেস হতে পারে নি। আর এই ছেলে কিনা তাকে এভাবে ইনসাল্ট করেছে!
জেরিন নিজেকে কিছুটা সামলে নিয়ে হাতে থাকা একটা কাগজের টুকরো রেহানের দিকে এগিয়ে দেয়।

রেহান - কী এটা? (ভ্রু কুঁচকে)

জেরিন - আপনি যেটা চাইছিলেন সেটাই।

রেহান - আর ইউ শিওর?

জেরিন - একদম!

রেহান - ওকে থ্যাংকস্ --- বলেই কাগজের টুকরো টা হাতে নিয়ে সেখান থেকে চলে আসে।

জেরিন তো মনে মনে নাগিন ড্যান্স দিচ্ছে। যাক এতোদিনে তার মনের আশা পূরণ হলো!

জেরিন বাসায় চলে আসতেই দেখে কুহু দাড়িয়ে আছে।

কুহু - তুই ঐ ছেলের সাথে কী কথা বলছিলি?

জেরিন - এমনি কিছুনা।

কুহু - দেখ জেরি ছেলেটা ভালো না। যদি ভালো হতো আমিই তো তোকে হেল্প করতাম বল। আমি তো চাইবো না জেনে শুনে আমার বোন কে একটা বখাটে ছেলের পাল্লায় ফেলতে।

জেরিন - আপি আমি কারো পাল্লায় পড়ি নি। --- বলেই চলে আসে।

কুহু - ( তুই যে কেনো বুঝতে পারছিস না। ছেলেটা সত্যিই তোর জন্য পারফেক্ট না রে। আস্ত বখাটে ছেলে ও।)

এদিকে রেহান বাসায় এসে ফ্রেশ হয়ে নাম্বার টা হাতে নেয়।

রেহান - একবার ফোন করে দেখবো? হুম দেখি। নিশ্চয় অবাক হয়ে যাবে আমার কোকিল পাখিটা। ওর বোন টা হেল্প না করলে তো মহারানির ফোন নাম্বার টাই পেতাম না।
ভাবতে ভাবতেই রেহান নাম্বার টা দিয়ে ফোন দেয়....

চলবে...

 #প্রেমপিপাসা❤ #পর্ব - ৪কুহু খেয়াল করে দেখে ছেলেটা ওদের দিকেই আসছে। কুহু - এই রিহা.. এই ছেলে টা কে রে? এদিকে আসছে। রিহা ...
08/12/2024

#প্রেমপিপাসা❤
#পর্ব - ৪

কুহু খেয়াল করে দেখে ছেলেটা ওদের দিকেই আসছে।

কুহু - এই রিহা.. এই ছেলে টা কে রে? এদিকে আসছে।

রিহা কুহুর ডাকে ছেলেটার দিকে তাকিয়ে বেচারিও ক্রাশ খায়।

রিহা - ছেলেটা তো পুরাই জোস।

কুহু রেগে রিহার দিকে তাকায়...

কুহু - অমনি না!! ছেলে দেখলি আর শুরু হয়ে গেলো তোর লুচুগিরি।

রিহা - আরেহহ কথা কম বল। ছেলেটা এদিকে কেনো আসছে সেটা ভাব।

এরি মাঝে ছেলেটা কুহুর কাছে এসে চোখ থেকে সানগ্লাস টা খুলে কুহুকে চোখ মারে।

কুহু বেচারি সাথে সাথে চিৎকার করে উঠে....

কুহু - নাআআআ........ এ আমি কাকে দেখছি!!

রিহা - তুই উনাকে চিনিস? (ভ্রু কুঁচকে)

কুহু কিছু বলার আগেই ছেলেটা বলে উঠে....

--- চিনবে না মানে! নিজের বর কে কেউ ভুলে যেতে পারে বলুন তো?

কুহু এবার ১০০০ বোল্ডের শক খায়।

কুহু - বররর!!!

রিহা - বর!! কুহু তুই বিয়ে করে ফেললি একবার জানালিও না? আমরা কি এতোই পর ছিলাম?

কুহু - আরে আমার কথা টা তো শুন! আমি এই অসভ্যকে বিয়ে করতে যাবো কেনো বল তো? এ তো ঐ অসভ্য ছেলেটা তোদের না কাল সব বললাম।

রিহা - ওওহহ!! উনি? তবে যাই বলিস ছেলেটা সত্যিই কিউট (কুহুর কানে ফিসফিসিয়ে বলে)

কুহু রেগে রিহার দিকে তাকায়...

রেহান - তো মিস কোকিল পাখি কাল যেনো কি বলছিলে...?

কুহু - হোয়াট কোকিল পাখি? আমি কুহু ওকে।

রেহান - সে যাই হোক। কাল কি বলছিলে তুমি? আমাকে ঘাড় ধরে বের করে দিবে ভার্সিটি থেকে তাই তো? ঢুকতে দিয়েছে কে আমাকে তাই না? (দাঁতে দাঁত চেঁপে)

কুহু - হ্যা বলেছি। তো?

রেহান রেগে কুহুর দিকে তেড়ে যায়। কুহু ভয় পেয়ে পিছু ফিরে গাছের সাথে আটকে যায়।
কুহু আশে পাশে তাকিয়ে দেখে সবাই ওদের দেখছে।

কুহু - আপনার সাহস দেখে আমি বরাবরই অবাক হচ্ছি। আপনি আমার সাথে এমন আচরণ করার সাহস পান কোথায়? (রেগে)

রেহান চোখ রাঙিয়ে তাকাতেই আশেপাশের সবাই সরে যায়।

কুহু অবাক হয়ে যায়। হচ্ছে টা কী? এই ছেলেকে এত ভয় পাওয়ার কী আছে আজিব!

রেহান এবার রিহার দিকে তাকায়। রেহানের তাকানো দেখেই রিহার আত্না উড়ে যায়।

রেহান - আপনাকেও কি আলাদা করে বলতে হবে? (দাঁতে দাঁত চেঁপে)

রিহা - মা.. মানে?

রেহান - মানে বুঝতে পারো নি? এখান থেকে কেটে পরো। (ঝারি মেরে)

রেহানের ঝাড়ি শুনে রিহা সেখান থেকে সাথে সাথে কেটে পড়ে।

রিহা চলে যাওয়াতে কুহু ভয়ে কাচুমাচু হয়ে দাড়িয়ে থাকে।

রেহান রেগে গিয়ে কুহুর গাল চেপে ধরে...

রেহান - এতো বড়বড় কথা বলার সাহস পাও কই তুমি? আর তোমাকে কিছু বলতে গেলে আমার সাহস লাগবে নাকি? কি মনে করো নিজেকে? দুইদিনের পুঁচকি মেয়ে আমাকে আসছে সাহস দেখাতে? আর কাল বলেছিলে না আমাকে ঘাড় ধরে বের করে দিবে কিন্তু তোমার ভাগ্য খারাপ জানো তো! আমি এই ভার্সিটির সিনিয়র। সো আমার উপর কারো কথা বলারও সাহস হয় না। আর সেখানে তুমি বলছো আমাকে দারোয়ান দিয়ে ঘাড় ধরে বার করে দিবে তাই না!!

কুহু রেহানের কথা শুনে বেহুঁশ হয়ে যাওয়ার অবস্থা।

রেহান - আজকের পর থেকে আর আমার মুখে মুখে তর্ক করবা তো তোমার বারোটা বাজাবো আমি মাইন্ড ইট। (রেগে)
রেহান কুহুর গাল ছেড়ে দিয়ে কুহুর কপালে চুমু দিয়ে সেখান থেকে হনহন করে চলে আসে।

কুহু রেহানের কাজে আরও রেগে যায়। বার বার কপাল মুছছে। ইচ্ছে করছে গাছের সাথে কপাল ঘষা দিতে যাতে করে ঐ অসভ্যর ছোঁয়া না থাকে!

কুহু রেগে ক্লাসরুমে চলে যায়। গিয়ে দেখে রিহা আর সানিয়া একসাথে বসে কথা বলছে।

কুহু - তোরা কখন আসলি?

সানিয়া - এই মাত্র আসলাম। তুই এতো লেট করলি কেনো?

কুহু - লেট কি সাধে করেছি? ঐ ছেলের জন্য মনে হই এই ভার্সিটিতে থাকা হবে না।

সানিয়া - ঐ ছেলে? ঐ হারামী টা আমার আসছে? ওরে বের করে দিলি না ক্যন? আমাদের ভার্সিটিতে বার বার আসার সাহস পায় কোথায় ও?

সানিয়া বক বক করেই যাচ্ছে কুহু আর রিহা ঢোক গিলছে কারন পিছনে যে রেহান রাগি লুক নিয়ে দাড়িয়ে আছে!

সানিয়া - তুই না আসলেই বোকা কিছু করতে পারলি না? আমি হলে তো সিরিয়াসলি ঘাড় ধরে বের করে দিয়ে আসতাম।

রেহান - ওহ সিরিয়াসলি!!

সানিয়া - হ্যা..... এই কুহু এটা কার কন্ঠ রে?

কুহু ইশারা করে সানিয়াকে পেছন তাকাতে বলে। সানিয়া পেছনে তাকিয়ে দেখে রেহান দু'হাত পকেটে গুঁজে রাগি লুক নিয়ে সানিয়ার দিকে তাকিয়ে আছে।

সানিয়া বেশ ভয় পেয়ে যায়। কিন্তু রেহানের কাছে কিছুতেই প্রকাশ করতে চাইছে না।

সানিয়া - আপনার এতবড় সাহস? এখানে আসলেন কিভাবে?

রেহান - সিনিয়র দের সাহস লাগেনা। তারা যখন যেখানে ইচ্ছে থাকতে পারে। বুঝলে??

সানিয়া - সি..সি...সিনিয়র!!

রিহা - হ্যা রে উনি আমাদের সিনিয়র। তুই তখন থেকে বকবক করেই যাচ্ছিস। এতো করে ইশারা করলাম থাম থাম তাও থামলি না। এবার মজা বুঝ।

রেহান - আমার বিষয়ে আর কারো কিছু জানার আছে? (ধমক দিয়ে)

সানিয়া - ন..না না.

রিহা - না ভাইয়া কিছু জানার নেই আর।

রেহান - ভাইয়া না দুলাভাই আমি তোমাদের। অবশ্য এখনকার দিনে দুলাভাই এর থেকে ভাইয়া ডাকা টাই ভালো মেবি।

সানিয়া - জ্বী দুলাভাই না মানে ভাই.... (ভয়ে ভয়ে)

রেহান সানিয়া আর রিহার অবস্থা দেখে হেসে দেয়। সাথে ক্লাসের কয়েক জনও বেশ ভয় পায়।

রেহান ইশারা করে যার যার কাজে মন দিতে বলে। সবাই রেহানের কথা মতো নিজের মতো ব্যস্ত হয়ে পড়ে।

রেহান - কুহু আমার সাথে চলো!!

কুহু - নেভার!

রেহান কিছুটা রেগে যায়... তারও নিজের রাগ কনট্রোলে এনে বলে..

রেহান - কুহু চলো। এক কথা বার বার বলতে পছন্দ করি না আমি।

কুহু - আপনি পছন্দ করেন বা না করেন তাতে আমার কি? আমি আপনার সাথে কোথাও যাবো না দ্যাটস ফাইনাল।

রেহান এবার প্রচন্ড রেগে কুহুকে কোলে তুলে নেয়। সানিয়া আর রিহা কিছু বলতে গিয়েও রেহানের ভয়ে বলেনি।

কুহু- ছাড়ুন আমায় কি হচ্ছে টা কি? ছাড়ুন....

কুহু নিজের মতো করে বলেই যাচ্ছে কিন্তু রেহানের সেদিকে কোনো খেয়াল নেই। রেহান কুহুকে সোজা ছাঁদে নিয়ে আসে।

কুহু এবার একটু ভয় পেয়ে যায়। ছাদে কেনো আনলো এই ছেলেটা? ছাদ থেকে ফেলে দেবে না তো?

রেহান কুহুকে ছাদের এক পাশে দাড় করায়।

কুহু - আমাকে এখানে আনার মানে কী?

রেহান - অনেক মানে আছে।

কুহু - ফাজলামি বাদ দিন। এখানে কেনো আনলেন আমায়? আর আপনি আমার পিছু কেনো পড়ে আছেন শুনি? (রেগে)

রেহান - জাস্ট সাট আপ ওকে। আমি তোমার পিছু পড়ে থাকবো কেনো? হোয়াই? রেহান ওয়াহিদ কখনো কারো পিছু ঘুরঘুর করে না। কোনো মেয়ের পিছু তো নয় ই। আর হ্যা... আমি তোমার পিছু নেই নি। তোমাকে ভালো লেগেছে তোমাকে আমার চাই ব্যাস আর কিছু না।

কুহু - তোমাকে আমার চাই!! হাসালেন! আপনি বোধহয় ভুলে যাচ্ছেন আমি কোনো দ্রব্য না যে চাইলেই পেয়ে যাবেন। আমি মানুষ। আমার নিজেরও পছন্দ অপছন্দ আছে।
আর আপনার মতো অসভ্য, বাজে লোক কে আমি কোনো দিনও একসেপ্ট করতে পারবো না বুঝতে পেরেছেন?

রেহান - তোমাকে একসেপ্ট করতে কে বললো?
আমি নিজেই নিজের টা আদায় করে নিবো বুঝছো? তোমাকে ভালোও বাসতে হবে না পছন্দও করতে হবেনা।

কুহু - আপনার এই গুন্ডামি টাইপ কথা গুলো অন্য মেয়েদের গিয়ে বলুন ওকে। আমি আপনার এইসব ফালতু কথায় কান দিবো না। আপনার যা ইচ্ছে করুন গিয়ে। আপনাকে আর আশেপাশে আসাও সহ্য করতে পারবো না। মনে রাখবেন কথাটা।

কুহু রেগে চলে যেতে নিলে রেহান কুহুর হাত ধরে ফেলে। কুহু কিছু বলতে যাবে তার আগেই রেহান একটানে কুহুকে দেয়ালের সাথে চেপে ধরে...

রেহান - অনেক বড়বড় কথা বলেছো! তুমি আমাকে সহ্য করতে পারো না তাইনা? সহ্য করতে হবেও না। আমার থেকে দূরে কোনো দিনও যেতে পারবে না। যতো কিছুই করো আমার কাছেই থাকতে হবে তোমার।

কুহু রেহানের চাহনি দেখে ভয় পেয়ে যায়। রেহান মারাত্মক রেগে আছে। চোখ দুটো লাল হয়ে আছে। দেখতে কেমন হিংস্র লাগছে। কুহুর গলা শুকিয়ে যায়।

কুহু - ক্লাস শুরু হয়ে গেছে আমায় যেতে দিন। (ভয়ে ভয়ে)

রেহান বুঝতে পারে কুহু বোধহয় রেহান কে ভয় পাচ্ছে।

রেহান কিছুনা শান্ত হয়ে বলে...

রেহান - ভার্সিটি ছুটির পর ওয়েট করো আমি বাসায় পৌঁছে দিবো ওকে।

কুহুর রাগে রেহান কে মেরে ফেলতে ইচ্ছে করছে কিন্তু তাও নিজেকে সামলে নিয়ে বলে....

কুহু - ঠিক আছে।

রেহান কুহুর দু গালে হাত রেখে কুহুর কিছুটা কাছে যায়। রেহানের কাছে আসাতে কুহু ভয়ে চোখ বন্ধ করে ফেলে। রেহান মুচকি হেসে কুহুর ঠোঁটে চুমু দিয়ে কুহুকে ছেড়ে দেয়।

রেহান - যাও। আর হ্যা কোনো ছেলের সাথে যেনো কথা বলতে না দেখি ওকে।

কুহু রেগে রেহানের দিকে তাকিয়ে আছে। এই মূহুর্তে এতোটাই রাগ হচ্ছে বেচারির ইচ্ছে করছে নিজের চুল নিজে টানতে।

কুহু - (যদি তোকে এই ছাদ থেকে ফেলে দিতে পারতাম আমার থেকে বেশি খুশি আর কেউ হতো না। মনে মনে)

রেহান - কি হলো? কি ভাবছো এতো? ক্লাসে যেতে বললাম না? আর হ্যা ছুটির পর দাড়িয়ে থাকবা যতো খন আমি না আসি।

কুহু রেহানের কথার কোনো উত্তর না দিয়ে বরং চোখ গরম করে রেহানের দিকে তাকিয়ে চলে আসে ছাদ থেকে।

রেহান কুহুর যাওয়ার দিকে তাকিয়ে আছে।

রেহান - আই নৌ ডিয়ার... তুমি আমার উপর মারাত্মক রেগে গেছো বাট মুখে কিছুই বলতে পারো নি। বলতে পারবেও না। (বাঁকা হেসে)

কুহু রেগে ক্লাসরুমে গিয়ে দেখে ক্লাস শুরু হয়ে গেছে। কুহু ভয়ে ভয়ে টিচারের পারমিশন নিয়ে ক্লাসে ঢুকে।

রিহা - কিরে এতোখন কোথায় ছিলি? কোথায় নিয়ে গিয়েছিলো তোকে? (ফিসফিসিয়ে)

কুহু - ছাদে!

সানিয়া - কিহহহ! ভাগ্যিস ছাদ দেখে ফেলে টেলে দেয় নি। না হলে তের বাবা মার কাছে কী জবাব দিতাম আমরা বল তো?

কুহু - ফালতু কথা বলবি তো এক চরে দাঁত সব ফেলে দিবো। ফেলে দিবে কেনো শুনি? ওর এতো বড় সাহস আছে নাকি? মুখে মুখেই যতো গুন্ডামি কথা!

চলবে...

Address

Cumilla

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Rubel posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share


Other Digital creator in Cumilla

Show All