Md Mobarok Mojumder

Md Mobarok Mojumder হে মহান রব আমাদেরকে আপনার রহমতের ছায়াতলে আশ্রয় দিন। 🌸

15/12/2024

যারা ২৪ দিয়ে ৭১ কে মুছে ফেলতে চায় কিংবা ৭১ দিয়ে ২৪ কে মুছে ফেলতে চায়, দুটো গ্রুপই সমস্যাজনক। ৭১ আমাদের শেকড় আর ২৪ আমাদের অস্তিত্ব!

15/12/2024

বিডিআর হত্যা-/কাণ্ড দিয়ে আওয়ামী লীগের ফ্যাসিস্ট হয়ে ওঠার যাত্রা শুরু হয়েছিল। বিডিআর হত্যা**কাণ্ডের বিচারের ক্ষেত্রে গড়িমসিকে আমি সন্দেহের চোখে দেখি।

15/12/2024

ওই খেলায় কেউই হারে না যে খেলায় দুই-জনই বেইমান থাকে!😅

15/12/2024

হেলাল হাফিজের সেই হেলেন - শেকলে আটকে বদ্ধ উন্মাদ অবস্থায় কাটে যার জীবন :

নেত্রকোণার মগড়া নদী। এই নদীর ধারেই ছবির মত সুন্দর মেঘময় আকাশের নিচে ১২-১৩ বছর বয়সের কিশোর হেলাল হাফিজ প্রেমে পড়েছিলেন হেলেন নামের এক কিশোরীর। দীর্ঘদিনের প্রেম, একসাথে গ্রামের মাঠে মাঠে ছুটে বেড়ানো, নদী থেকে কচুরিপানা তুলে হেলেনের খোপায় গুঁজে দেয়া - কত স্মৃতি, কত ভালোবাসার শৈশব কৈশোর কাটে তাদের একসাথে। কিন্তু তাদের এই সুন্দর প্রেমের উপন্যাসে বাঁধ সাধলো দুই পরিবার। কোনোভাবেই কেউ মেনে নিলো না তাদের এই প্রেমকাহিনী। অভিমান করে ঢাকায় এসে পড়লেন কবি। হেলেনের থেকে অনেক দূরত্ব তখন তার। তবুও মনের মধ্যে আশা রাখেন, একদিন হেলেন তার হবে। কিন্তু তা না হয়ে হুট করে একদিন হেলেনের চিঠি আসলো কবির কাছে - "কবি! আগামীকাল আমার বিয়ে, নেমন্তন্ন রইলো।"
চিঠির দিকে চেয়ে থাকা ছাড়া আর কিছুই তখন করার ছিলো না কবির। লিখলেন,
"হয়তো তোমাকে হারিয়ে দিয়েছি
নয়তো গিয়েছি হেরে,
থাক না ধ্রুপদী অস্পষ্টতা
কে কাকে গেলাম ছেড়ে।'

ধুমধাম করে হেলেনের বিয়ে হয়ে গেলো ঢাকার বিখ্যাত এক সিনেমা হলের (মুন সিনেমা হল) মালিকের সাথে। বিয়ের পরও বারকয়েক হেলেনকে চিঠি দিয়েছিলেন কবি। বারবার লিখতেন, "পত্র দিও, পত্র দিও।" কিন্তু ফিরতি পত্র আর কখনো আসত না কবির ঠিকানায়। এক বুক ভরা বিষণ্ণতা নিয়ে বসে থাকেন কবি, লিখেন :
"প্রতিমা
শুনেছি সুখেই বেশ আছো,
কিছু ভাঙচুর আর
তোলপাড় নিয়ে আজ আমিও সচ্ছল,
টলমল অনেক কষ্টের দামে জীবন গিয়েছে জেনে
মূলতই ভালোবাসা মিলনে মলিন হয়, বিরহে উজ্জ্বল।"
নিজের সব বিষণ্ণতা কবিতার খাতায় তুলে আনেন কবি। সারাদিন পাগলের মত কবিতা লিখেন। কবিতার খাতা ভর্তি করে বইমেলায় বের করলেন তার প্রথম কাব্যগ্রন্থ - "যে জলে আগুন জ্বলে।"

নিয়তির কি করুণ পরিহাস! বইমেলা থেকে আরো অনেক বই এর সাথে সেই কাব্যগ্রন্থও কিনে আনেন হেলেনের স্বামী। বাসায় বইমেলা থেকে কিনে আনা বই এর মধ্যে নিজের প্রাক্তন প্রেমিকের বই দেখে চমকে উঠেন হেলেন। বই এর পৃষ্ঠার পর পৃষ্ঠা উল্টাতে থাকেন। কবিতার পর কবিতা পড়ে যেতে থাকেন। প্রতিটা কবিতায় হেলেনকে নিয়ে লেখা কবির আর্তচিৎকার, হাহাকার, পেয়েও হারানো বেদনা হেলেনের বুকের মধ্যে যেয়ে হাতুড়ি পেটা করে। নিজেকে আর বেশিদিন ঠিক রাখতে পারে না হেলেন। ধীরে ধীরে মস্তিষ্কবিকৃতি ঘটতে থাকে তার। উচ্চতর চিকিৎসার জন্য বিভিন্ন দেশ ঘুরিয়ে আনলেও হেলেন আর ভালো হয়নি৷ শেষমেশ স্বামীর থেকে তালাকপ্রাপ্তা হয়ে হেলেনের আবার ঠাঁই হয় নেত্রকোণায় তার নিজের বাসায়। হেলেন তখন বদ্ধ উন্মাদ। শিকল দিয়ে বেঁধে রাখতে হয় তাকে। এদিকে নিঃসঙ্গ অবস্থায় শাহবাগের মেসে যখন হেলাল হাফিজ তার শেষ দিনগুলা কাটাচ্ছিলেন, ওদিকে হেলেন তখন নেত্রকোণার এক গ্রামে শেকলে বাঁধা অবস্থায় বদ্ধ উন্মাদ অবস্থায় দিনাতিপাত করছিলেন। দুইজনই দুইজনকে ভালোবেসেছিলেন, কিন্তু কারোরই আর কাউকে পাওয়া হয় নাই। নিঃসঙ্গতার কঠিন বেড়াজালে কাটলো তাদের জীবন। মানুষের ভালোবাসা বোধহয় কবির কবিতার পঙক্তির মতই - মিলনে হয় মলিন, বিরহে হয় উজ্জ্বল। কিন্তু সেই উজ্জ্বলতার পাশাপাশি সেই ভালোবাসা মানুষকে অদ্ভুত এক নির্জনতাও উপহার দিয়ে যায়। আর সেই নির্জনতা থেকে মুক্তির একমাত্র উপায়ই বোধহয় মৃত্যু।

মানুষ কি আসলে তার জীবনে কিছু পায়? কাফকা তার জীবনে মিলেনারে পায় নাই, মিলেনার উদ্দেশ্যে কত শত চিঠি লিখে গিয়েছেন, যেগুলার কোনোটা হয়ত মিলেনার হাতেও পৌঁছে নি। এডগার এলান পো এর জীবনেও তার সারাহ কখনো এনাবেল লী হয়ে আসে নাই। জন কীটস তার নিজের অসুস্থতার কারণে পান নাই ফ্যানিকে।
লর্ড বায়রন মেরিকে না পেয়ে কবিতার খাতা খুলে বসেছিলেন, লিখে ফেলেছিলেন তার বিখ্যাত কবিতা The dreamers. দান্তে বিয়াট্রেসকে না পেয়ে তার সব ক্ষোভ রাগ উগরে দিয়েছিলেন দ্য ডিভাইন কমেডিতে। আমাদের জীবননান্দও তার শোভনাকে না পাওয়ার বেদনা ভুলতে লিখলেন বনলতা সেন।

আর তেমনি আমাদের হেলাল হাফিজও পান নাই তার হেলেনকে। এক হেলেনকে না পাওয়ার দুঃখ ভুলতে আমাদের হেলাল হাফিজের এক জীবন কেটে গেলো।

মানুষের জীবনের এই চাওয়া আর পাওয়ার মধ্যে বিস্তর ফারাক। এই ফারাকের ব্যবধানের হিসাব কষতে কষতে মানুষের এক জীবন পার হয়ে যায়, তবুও মানুষের অংক শেষ হয় না। এই কঠিন সমীকরণ মিলাতে যেয়ে মানুষ ভয়াবহ নিঃসঙ্গতায় ডুবে যায়। নিঃসঙ্গতায় ডুবে যেমন ভ্যান গঘ নির্জন এক রাতে ছবি আঁকতে আঁকতে নিজের বুকে গুলি করে পড়ে ছিলেন তার স্টুডিওতে। সারাজীবন মেলানকোলিয়ায় ডুবে থেকে এক শীতের সকালে সূর্য ওঠার আগেই মৃত অবস্থায় পার্কের বেঞ্চে পাওয়া গেলো এডগার এলান পোর মৃতদেহ। নিঃসঙ্গতায় ভর্তি এক জীবন কাটিয়ে জীবনানন্দ পা বাড়ালেন ট্রামলাইনে।

আমাদের হেলাল হাফিজকেও তেমনি পাওয়া গেলো শাহবাগের এক মেসে। নিঃসঙ্গতায় ভরা এক জীবন কাটিয়ে অবশেষে ঘুচলো তার নিঃসঙ্গতা। নিঃসঙ্গতার সমাধান - বোধহয় এই এক মৃত্যু। এছাড়া সেই আদিকাল থেকে শুরু করে কোনো কবি সাহিত্যিকই নিঃসঙ্গতার আর কোনো সমাধান পান নি।

15/12/2024

কবরের প্রথম চাপ দুনিয়ার সকল কষ্ট কে হার মানাবে।

14/12/2024

ইউনুসের চেষ্টা শান্তিতে ২য় নোবেল পাওয়া আর দাঙ্গাবাজ মোদীর চেষ্টা ২য় দাঙ্গা লাগানো।এটাই উঁচু বর্ণের হিন্দু ও সাধারণ মুসলমানের তফাৎ।

14/12/2024

ধীরে ধীরে তোমার সময় কমে যাচ্ছে..! ⏳
ফিরে এসো রবের দিকে.!🥹🤲

14/12/2024

বোকা মানুষ বুঝেনা যে মানুষ কখনো নিজের পায়ে দাড়াতে পারেনা।

14/12/2024

মহানবী (সাঃ) বলেছেন যে ব্যাক্তি ১ দেরহাম সুদ খাবে সে যেন ৩৬ জন নারীর সাথে জিনা করলো।

13/12/2024

প্রস্থান
__হেলাল হাফিজ

এখন তুমি কোথায় আছো কেমন আছো, পত্র দিও
এক বিকেলে মেলায় কেনা খামখেয়ালীর তাল পাখাটা
খুব নিশীথে তোমার হাতে কেমন আছে, পত্র দিও।
ক্যালেন্ডারের কোন পাতাটা আমার মতো খুব ব্যথিত
ডাগর চোখে তাকিয়ে থাকে তোমার দিকে, পত্র দিও।
কোন কথাটা অষ্টপ্রহর কেবল বাজে মনের কানে
কোন স্মৃতিটা উস্কানি দেয় ভাসতে বলে প্রেমের বানে
পত্র দিও, পত্র দিও।

আর না হলে যত্ন করে ভুলেই যেও, আপত্তি নেই।
গিয়ে থাকলে আমার গেছে, কার কী তাতে?
আমি না হয় ভালবাসেই ভুল করেছি ভুল করেছি,
নষ্ট ফুলের পরাগ মেখে
পাঁচ দুপুরে নির্জনতা খুন করেছি, কি আসে যায়?
এক জীবনে কতোটা আর নষ্ট হবে,
এক মানবী কতোটা বা কষ্ট দেবে!

ছবি- যৌবনে হেলাল হাফিজ, ১৯৭৩।
ছবি: শামসুল আলম আলমাজী

13/12/2024

কিশোর হেলাল হাফিজ প্রেম করতেন হেলেন নামে এক কিশোরী সাথে। নেত্রকোনায় তারা প্রতিবেশী ছিলেন!

দারোগার মেয়ের সাথে স্কুল শিক্ষকের ছেলের প্রেম মেনে নেননি দারোগা বাবু। মেয়েকে বিয়ে দিয়ে দেন এক সিনেমা হলের মালিকের সাথে ঢাকায়।

হেলাল হাফিজও চলেন আসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে।

তার এক মাত্র কবিতার বই বের হয়। নাম "যে জলে আগুন জ্বলে!"

হেলেনের স্বামী বইমেলা থেকে বইটি কিনে হেলেন কে উপহার দেন। হেলেন দেখেন পুরো কবিতার বই জুড়ে কবির আকুতি। তাকে না পাওয়ার।

হেলেন সে কবিতার বই পড়ার পর মানসিকভাবে আঘাত পেয়ে আস্তে আস্তে পাগল হয়ে যান। স্বামী তাকে তালাক দেয়।

নেত্রকোনায় বাবার বাড়ি ফিরে যান হেলেন। তাকে শেকল দিয়ে ঘরে বেধে রাখতে হয়।

হেলাল হাফিজ নিজেকে কখনো ক্ষমা করতে পারেননি। কিংবা সে প্রেম থেকে বের হতে পারেননি।

তাই আর কখনো বিয়ে করেননি।

খুব গুছিয়ে থাকতেন। গোছালো মানুষ ছিলেন। তাকে দেখে বুঝা যেতো না, ভেতরে ভেতরে তার ভেতর এতোটা ভাঙ্গন
©️

13/12/2024

হেলাল হাফিজ এর মৃত্যুর খবর শুনে পুরো শরীরের লোম দাঁড়িয়ে গিয়েছিল আমার!

13/12/2024

পড়ালেখা করে চাকরি করা উত্তম
নাকি ব্যবসা করাটা ভালো হবে?

13/12/2024

হে আল্লাহ অন্তরে লুকানো কষ্ট গুলো আপনি ছাড়া কেউ জানে না, এই অশান্ত হৃদয়ে আপনি প্রশান্তি দান করুন।

13/12/2024

শিক্ষার থেকে মানুষের মতো মানুষ হওয়া টা বেশি জরুরি! 😌🌷✨

13/12/2024

এদেশের সিস্টেমই এমন, যার কারণে ক্ষমতার নেশাময় স্বাদ গ্রহণ করতে গিয়ে এক সময় মজলুমও জালেম হয়ে ওঠে হাসনাত সাহেব।

12/12/2024

শীতকালে এত বেশি পেশাবে ধরে কেন? 🤔

12/12/2024

মজলুম যেনো আবার জালিম না হয়ে উঠে।

Address

Cumilla

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Md Mobarok Mojumder posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Videos

Share

Nearby media companies


Other Digital creator in Cumilla

Show All