03/01/2025
শীতের দাপটে গরম কাপড়ের খোঁজে কুমিল্লায় ফুটপাতে ভিড়
নিজস্ব প্রতিবেদক, সদর দক্ষিণ
কয়েকদিন ধরেই কুমিল্লাসহ দেশজুড়ে বইছে হিমেল হাওয়া। সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে শীতের তীব্রতা। শীতের তীব্রতা থেকে বাঁচতে হালকা উষ্ণতার জন্য গরম পোশাক কিনতে ছুটছেন মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্তের মানুষ। কুমিল্লা সদর দক্ষিণের বিভিন্ন এলাকায় শপিং মহলগুলোর পাশাপাশি ফুটপাতে ক্রেতার ভিড় লেগেই আছে।
শুক্রবার (৩জানুয়ারি) কুমিল্লা সদর দক্ষিণের পদুয়ার বাজার বিশ্বরোড, সুয়াগাজী বাজার, চৌয়ারা বাজার, বিজয়পুর বাজার, এয়াসিন মার্কেটসহ আশপাশের এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, শপিং কমপ্লেক্সগুলোর তুলনায় ফুটপাতের দোকানগুলোতে জমে উঠেছে শীতের পোশাক বিক্রি। ক্রেতার চাহিদা ও ক্রয়ক্ষমতা অনুযায়ী বিভিন্ন দামে মিলছে শীতের বাহারি পোশাক।
এছাড়াও রাস্তার দু'পাশের ফুটপাতে শীতের কাপড়-চোপড় কেনাকাটায় ব্যস্ত ক্রেতারা। কয়েকজন মধ্যবিত্ত ক্রেতার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, শীতে নতুন কাপড়-চোপড় কিনতেই তারা ফুটপাতে এসেছেন। স্বল্প মূল্যে আরামদায়কভাবে কেনাকাটা করা যাচ্ছে। বাচ্চাদের গরম কাপড়, পুরুষদের হুডি, জ্যাকেট, ফুলহাতা টি-শার্ট কেনার প্রবণতা বেশি দেখা গেছে। মেয়েরা ব্যস্ত সোয়েটার, চাদর, হুডি কিনতে। এছাড়া শিশুদের জন্য জাম্পার, গেঞ্জি, মাথার টুপি, কাপড়ের জুতা কিনতে দেখা যায় অনেক নারী ক্রেতাকে।
তবে শিশুদের শীতবস্ত্র সবচেয়ে বেশি বিক্রি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা।
ফুটপাতের কাপড় কিনতে আসা আব্দুল্লাহ বলেন, “শীত নিবারণের জন্য প্রয়োজন গরম কাপড়। মার্কেটে কাপড়ের দাম বেশি। ফুটপাতে নতুন ও পুরোনো কাপড়ের দাম তুলনামূলক কম, আর দেখতেও ভালো। তাই ফুটপাতের কাপড়ের দোকানে কিনতে এসেছি। যে চাদর ও সোয়েটার আমি এখান থেকে ৪০০/৫০০ টাকা দিয়ে কিনতে পারছি, সেটা মার্কেটের দোকানে গেলে হাজার বারো'শ টাকা লাগত। গরিবের জন্য এই দোকানগুলো অনেক উপকারের।”
তানজিলা নামের এক নারী ক্রেতা বলেন, “প্রতিবারই শীতের সময় কিছু গরম কাপড় কিনতে হয়। শপিং মহলের পাশাপাশি রাস্তার পাশেও স্বল্প দামে ভালো মানের কেনাকাটা করা যায়। শপিং মলের তুলনায় ফুটপাতে পোশাকের দাম অনেক কম, সঙ্গে ভালো মানের পোশাকও পাওয়া যায়। তবে গতবারের তুলনায় এবার পোশাকের দাম একটু বেশি।
ফুটপাতে শীতের কাপড় বিক্রি করা কয়েকজন দোকানদার জানান, এসব কাপড় তারা রাজধানীর বিভিন্ন স্থান থেকে সংগ্রহ করে বিভিন্ন বাজার ও রাস্তায় বিক্রি করেন। দাম কম হওয়ায় বেচাকেনা ভালোই হচ্ছে। শীত যত বাড়বে, এই কাপড়ের চাহিদাও তত বাড়বে। শীত বাড়ায় বেচাকেনাও বেড়েছে।