15/01/2025
কলা চাষ বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ কৃষি কার্যক্রম। এটি সঠিক পদ্ধতিতে করলে উচ্চ ফলন এবং ভালো লাভ হতে পারে। নিচে কলা চাষের পদ্ধতি ধাপে ধাপে আলোচনা করা হলো:
---
১. জমি নির্বাচন
- মাটি বেলে-দোআঁশ বা পলিমাটি কলা চাষের জন্য আদর্শ। মাটির পিএইচ মান ৫.৫-৭ এর মধ্যে হওয়া উচিত।
জমির প্রস্তুতি আগাছা মুক্ত, উঁচু এবং পানি নিষ্কাশনের উপযোগী জমি বেছে নিন। ভালোভাবে চাষ ও মই দিয়ে জমি সমান করতে হবে।
---
২. চারা নির্বাচন
- উচ্চ ফলনশীল এবং রোগমুক্ত জাতের চারা বেছে নিন। উদাহরণস্বরূপ:
- সাগর কলা
- চাঁপা কলা
- কাবুলি কলা
- মেহেরসাগর
চারা ভালোভাবে জীবাণুমুক্ত করতে ফর্মালিন পানিতে ৫-১০ মিনিট ভিজিয়ে নিন।
---
৩. রোপণ পদ্ধতি
- **সময়:** বর্ষাকাল (মে-জুলাই) রোপণের জন্য সেরা সময়।
- **গর্ত তৈরি:** ২ মিটার x ২ মিটার দূরত্বে গর্ত তৈরি করুন। গর্তের মাপ ৫০ সেমি x ৫০ সেমি।
- **সার প্রয়োগ:** গর্ত প্রতি ১০-১৫ কেজি পচা গোবর, ২০০ গ্রাম টিএসপি, এবং ১০০ গ্রাম এমওপি সার প্রয়োগ করুন। সার ভালোভাবে মাটির সাথে মিশিয়ে নিন।
৪. সেচ ও পানি নিষ্কাশন
- রোপণের পরপরই সেচ দিন। গ্রীষ্মকালে প্রতি ৭-১০ দিন অন্তর সেচ দিতে হবে।
- জমিতে যাতে জলাবদ্ধতা না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
৫. সার ব্যবস্থাপনা
- প্রথম ২-৩ মাসে ৩০-৫০ গ্রাম ইউরিয়া এবং ১০০-১৫০ গ্রাম পটাশ প্রয়োগ করুন।
- ৪-৫ মাস পর আবার সার দিন।
- প্রয়োজনে জৈব সার প্রয়োগ করুন।
৬. রোগ ও পোকামাকড় ব্যবস্থাপনা**
- বায়ানোকস:** ছত্রাকজনিত রোগ প্রতিরোধে ব্যবহার করতে পারেন।
-পোকামাকড়। থ্রিপস বা কাঁটাপোকা দেখা গেলে অনুমোদিত কীটনাশক ব্যবহার করুন।
৭. ফল সংগ্রহ
- রোপণের ৯-১২ মাস পরে ফল সংগ্রহের উপযোগী হয়।
- ফল পূর্ণ বয়স্ক হলে কাঁচা অবস্থায় সংগ্রহ করুন এবং বাজারজাত করুন।
সঠিক যত্ন ও ব্যবস্থাপনা করলে কলা চাষ লাভজনক হতে পারে।
#পরিচর্যা #হাইব্রিডটমেটো #রোগ #সার #বাজারজাতকরণের #চাষপদ্ধতি #কলা