গল্প আর কবিতা - Golpo R Kobita

গল্প আর কবিতা - Golpo R Kobita ভালো লাগার মত কিছু গল্প আর কবিতা,,
বলো,,,

নিজের হাতে মজাদার ফুসকা বানালাম। বন্ধুরা সবাই নিজের  হাতে তৈরি করে খেতে চেষ্টা করবেন তাতে করে স্বাস্থ্যসম্মত খাবার হবে।🙂
24/11/2024

নিজের হাতে মজাদার ফুসকা বানালাম।
বন্ধুরা সবাই নিজের হাতে তৈরি করে খেতে চেষ্টা করবেন তাতে করে স্বাস্থ্যসম্মত খাবার হবে।🙂

ব্রেকআপ হওয়ার ১৯ বছর পর।বাসর রাতে বউয়ের ঘোমটা খুলে চমকে উঠলাম!😯মিনু মিনু বলে এক দৌড়ে রুমের বাহিরে চলে গেলাম!🏃🏃-এটা কি কর...
29/06/2024

ব্রেকআপ হওয়ার ১৯ বছর পর।
বাসর রাতে বউয়ের ঘোমটা খুলে
চমকে উঠলাম!😯
মিনু মিনু বলে এক দৌড়ে রুমের বাহিরে
চলে গেলাম!🏃🏃
-এটা কি করে সম্ভব??🤔🤔
মিনু কি দিন দিন যুবতী হচ্ছে??🤨
সেই ১৯ বছর আগে আমার গার্লফ্রেন্ড
ছিলো মিনু !💃💃
ওর বিয়ে হয়ে যাওয়ার পর
ডিসিশন নিয়েছিলাম
আর বিয়েই করবো না জীবনে!😒💔
ব্যাস! বাবার ব্যবসা দেখা-শুনা করতে
শুরু করলাম!
অনেক উন্নতি করেছি ব্যবসায়
এই ১৯ বছরে!🚗🏩🏣
বিয়ে করতে চাইছিলাম না!😒
কিন্তু মা অসুস্থ হয়ে যাওয়ায়
আর বাবার চাপে
এক প্রকার বাধ্য হয়েই বিয়ে করতে
হয় আমাকে,,,,,,👸🌺👳
বউকে আমি দেখতেও যাইনি!😒
বাবা সব ম্যানেজ করেছেন!
কিন্তু মিনু এই ১৯ বছর পরেও
এই যৌবন কিভাবে ধরে রাখলো?🤔
ও তো আরও ছোট হয়ে গেছে?😋
এটা কেমনে সম্ভব??😯
আমার চিল্লানি শুনে বাবা
নিচ তলা থেকে হাক জুড়েছেন,,,,📢
""ছোটকালের স্বভাব এখনো
গেলো না তোর!?? যা রুমে যা!☹️
আমি বাবাকে খুব ভয় পাই!
তাই জলদি করে রুমে চলে গেলাম!🏩
রুমে গিয়ে দেখলাম
বউ আমার খুব কান্না করছে!😭😭
আমি বললাম কি হয়েছে তোমার?
কান্না শুরু করলে কেন⁉️
--বউ বললো, আপনি আমার মায়ের
নাম জানলেন কি করে??🤔👸
আমি: মানে কি? প্রশ্ন করলাম??
বউ: মানে আমার আম্মুর নাম হচ্ছে মীম!
আর আমি দেখতে হুবহু আমার
মায়ের মতো হয়েছি!🙈🙈
আমি: ওহহহহ তাই বুঝি!!😋😋
মনে মনে বললাম,
সবুরে মেওয়া ফলে!💯
একটু ধৈর্য ধরলে গার্লফ্রেন্ড
শাশুড়ীও হয়!!
😂😂🙈

⚊"শুভ্রতা মানেই মুগ্ধতা ❯ 🦋💛🪽
16/05/2024

⚊"শুভ্রতা মানেই মুগ্ধতা ❯ 🦋💛🪽

09/05/2024

ছিলো অনেকেই, এখন আর নেই। স্বার্থ শেষ, প্রয়োজন শেষ ব্যাস এখন কেউ আমাকে চিনেনা!🖤

মানুষ চট্টগ্রামকে যেভাবে মনে করে😀😀
28/12/2023

মানুষ চট্টগ্রামকে যেভাবে মনে করে😀😀

``🥀লাইলি মজনু কেমন ছিলেন দেখেন,💝``🥀 চেহারা দেখে কখনো ভালোবাসা হয় না:)🙂💖
25/12/2023

``🥀লাইলি মজনু কেমন ছিলেন দেখেন,💝

``🥀 চেহারা দেখে কখনো ভালোবাসা হয় না:)🙂💖

25/11/2023

Bus driver helps pregnant woman who missed bus

অভিশাপপর্ব_৫চিৎকার করে বলে উঠলো "আমম্মম্মুউঁহ্ আমার আর ব্যাথা সহ্য করতে পারছি না"।চিৎকারে পুরো বাড়ি নড়ে উঠার মতো।পাগলের ...
20/08/2023

অভিশাপ
পর্ব_৫
চিৎকার করে বলে উঠলো "আমম্মম্মুউঁহ্ আমার আর ব্যাথা সহ্য করতে পারছি না"।চিৎকারে পুরো বাড়ি নড়ে উঠার মতো।পাগলের মতো হন্তদন্ত হয়ে ছুটে আসে তার আম্মু।তার আব্বু অফিসের কাজে ব্যস্ত।ক্যালেন্ডারে দিকে চোখ যেতেই দেখলো লাল মার্ক করা "নিচে লেখা আমার আমার কিউট বাচ্চাটার হওয়ার ডেট"।
মাধবীলতার আম্মু ভয়ে কাপছে, মাথা থেকে ঘাম ঝোড়ছে।১৭ বছর বয়সী একটা মেয়ে এত কম বয়সে বাচ্চা হতে গিয়ে যদি নিজের মেয়েটাকেই হারায়।
ফোন তুলে তারাহুরা করে মাধবীলতার আব্বুর নাম টাইপ করে।কল দিলো রিং হচ্ছে কিন্তু ফোন তুলছে না।
মাধবীলতার আব্বু মিটিংয়ে থাকায় কলটা কেটে দিয়ে আবার মিটিংয়ে মনযোগী হয়ে সবাইকে বুঝাচ্ছে।
কাপা কাপা হাতে ম্যাসেজ করলো "প্লিজ কলটা ধরো, মাধবীলতার খুব গুরুতরো অবস্তা!"
ম্যাসেজ দেখে কিছুটা ভয় ঢুকে গেছে মনের ভেতর।কিছু হলো নাতো মেয়েটার?
এবার কল করতেই ধরলো।
ওপাশ থেকে মাধবীলতারর আম্মু বলল....
-হ্যালো..(মাধবীলতার আম্মু)
-তোমার কণ্ঠ কেমন ভাড়ি ভাড়ি লাগছে কি হয়েছে মাধবীলতার।কোন দূঘটনা ঘটলো নাততো!.. (মাধবীলতা আব্বু)
(রুমাল দিয়ে বার বার কপালের ঘাম মুছতেছে)
-আমি মাধবীলতাকে নিয়ে জিয়া-মেডিকেল নিয়ে যাচ্ছি।ওর শরীরটা খুব খারাপ.. (মাধবীলতার আম্মু)
-জিয়া-মেডিকেল কেন? (মাধবীলতার আব্বু)
(চিন্তা যেন ধীরে ধীরে মাধবীলতার আব্বুর বেরেই যাচ্ছে)
-ফোনে সব বলা সম্ভবনা, তুমি প্লিজ তারাতারি চলে আসো.. (মাধবীলতার আম্মু)
মাধবীলতার আব্বু এসে দেখে তার স্ত্রী একটা ব্রেঞ্চিতে বসে ঝুকে কান্না করছে।পিঠে হাত রাখতেই চমকে উঠলো।
স্ত্রীকে জোরিয়ে ধরে।
চোখের জল মুছে দিয়েবলল....
-সৃষ্টিকর্তা আছে আমার সাথে।তিনি আমাদের মেয়ের কিছুই হতে দেবে না, তার উপর বিশ্বাস রাখো.. (মাধবীলতার আব্বু)
-ভাবছিলাম আমাদের মেয়ের বাচ্চা হলে কি করব? (মাধবীলতার আম্মু)
-চিন্তা করো না, আমি একটা না একটা ব্যবস্তা ঠিকি করে দেব.. (মাধবীলতার আব্বু)
-(তবুও বার বার প্রশ্নর পর প্রশ্ন করেই যাচ্ছে)
সমাজে কিভাবে মুখ দেখাব? তারা যদি প্রশ্ন করে বিয়ের আগেই কিভাবে বাচ্চা হলো তখন? (মাধবীলতার আম্মু)
-বললাম তো চিন্তা করো না, আমি আছি তো সব কন্ট্রোলে রাখার জন্য... (মাধবীলতার আব্বু)
তার স্ত্রীকে শক্ত করে বুকে জোরিয়ে ধরে আছে। "হুঁহুঁ" কান্না করছে, কান্নায় তার শার্ট ভিজে চুপসে যাচ্ছে।
ডাক্তার বেরিয়ে এলো।মাধবীলতার আম্মু চোখের জল লেপটে লুপটে মুছে বলল...
-ডক্টর আমার মেয়ে এখন কেমন আছে? (মাধবীলতার আম্মু)
-বাচ্চার মা একদম সুস্থ আছে কিন্তু...! (ডাক্তার)
-কিন্তু কি ডক্টর, এভাবে চুপ থাকবেন না? (মাধবীলতার আব্বু)
-সরি, আমরা মাকে বাঁচাতে গিয়ে।বাচ্চাকে বাঁচাতে পারিনি।আপনারা চাইলে প্রেসেন্ট এর সাথে এখন দেখা করতে পারেন.. (ডাক্তার)
ডাক্তার চলে গেলো কথা গুলো।
বিধাতার কাছে লাখ লাখ শুকরিয়া করলো স্ত্রী-স্বামী মিলে।
দুজনে মাধবীলতার রুমে ঢুকে মিষ্টি একটা হাসি দিলো।মাধবীলতা তাদের দেখে উঠার চেষ্টা করলো।
তখন তার (মাধবীলতার) আম্মু বলল...
-উঠিস না, ডক্টর তোকে রেস্ট নিতে বলেছে, (মাধবীলতার আম্মু)
-আমার বাচ্চা কই,।কই আমার বাচ্চা..
(পাগলের মতো বলতে লাগলো।দীর্ঘশ্বাস ফেলে তার (মাধবীলতার আম্মু বলল....)
-তোর বয়স কম হওয়ায় বাচ্চা হয়েই মারা গেছে।তুই ভালো আছিস এটাই অনেক আমাদের কাছে.... (মাধবীলতার আম্মু)
-মিথ্যা, মিথ্যা বলছো তোমরা।আমার বাচ্চাকে তোমরাই মেরেছো।কোথায় রাখছো বলো...
(কাঁদতে শুরু করে দিলো)
-এতে মিথ্যা বলার কি আছে! (মাধবীলতার আম্মু)
-তোমরা ডক্টরকে ঘুষ দিয়েছো।প্লিজজ ফিরে দাও আমার বাচ্চাকে প্লিজ।তোমরা যা বলবে আমি সব করতে রাজি...
(কেঁদে কেঁদে অনুরোধ করলো)
-বিশ্বাস না হলে ডক্টরকে বল।তারাই জানে বাচ্চা মারা গেছে নাকি বেঁচে আছে... (মাধবীলতার আম্মু)
-তোমরা এতটা নিষ্ঠুর কিভাবে হতে পারলে।একটা নিষ্পাপ বাচ্চাকে কেন মারলে?
(এখনও কাঁদছে)
এরি মাঝে চলে আসে মাধবীলতার আব্বু।
মাধবীলতা সন্তান হারানোর ভয়ে লক্ষ্যই করেনি তার আব্বু বাহিরে চলে গেছে কখন।ফল হাতে রুমে ঢুকলো...
-মা মেয়ের কি কথা হচ্ছে হুম? (মাধবীলতার আব্বু)
-দেখো না, তোমার মেয়ে কি সব আবল-তাবল বকছে? আমরা নাকি ওর বাচ্চাকে মারার জন্য ঘুষ দিয়েছি... (মাধবীলতার আম্মু)
-হ্যাঁ তোমরাই তো মেরেছো।তোমরা খুনি..
(গলা ফাটিয়ে বলল)
-চুপ! একদম চুপ! (মাধবীলতার আব্বু)
(একটা ধমকে পুরো রুম চুপ হয়ে গেলো)
-বুঝাও তোমার মেয়েকে! কিছুতেই বু্ঝতেছে না জারজ বাচ্চাটা মারা গেছে... (মাধবীলতার আম্মুু)
-শোন, বাচ্চাটার মুখ থেকে মা ডাক শোনার ভাগ্য ততোর কপালে ছিলো না তাই মারা গেছে।যদি ততোর ভাগ্যে থাকতো তাহলে অবস্যই মা ডাক শুনতে পেতি।ভাগ্যর সাথে খেলা করে সবাই জিততে পারে না।ভুলে সব অতীত, নতুন ভাবে জীবন যাপন করে (মাধবীলতার আব্বু)
-কিন্তু আব্বু..!
(মাঝ খানেই কথা বলা থামিয়ে দিলো মাধবীলতার)
-আমি কোন কিন্তু শুনতে চাইনা।বিয়ের জন্য নিজেকে রেডি করো।আর মাত্র ৬ দিন পর তোমার বিয়ে... (মাধবীলতার আব্বু)
-আব্বু আমি বিয়ে করতে চাইনা..!
-কেন? কায়েস'কে বিয়ে করতে ইচ্ছা করে।বলনা তাহলে তোর কায়েস'কে বিয়ে করতে।সব কথার এক কথা আমি যাকে পছন্দ করেছি তার সাথেই তোর বিয়ে হবে..(মাধবীলতার আব্বু)
কথা গুলো বলো উঠে চলে গেলো তার অফিসের কাজে।
কান্নায় ভেঙ্গে পরা মাধবীলতাকে তার আম্মু বার বার বুঝাচ্ছে।
এভাবেই কেটে গেলো ৬দিন।কিন্তু মাধবীলতার এখনও কোনো বিয়ের প্রস্তুতি নেওয়া হয়নি।
আগ্রহ থাকলে তো প্রস্তুতি নেবে।তার বান্ধবীরা হাতে স্বর্ণের বালা পরিয়ে দিচ্ছে, কেউ বা মেকাপ করিয়ে দিচ্ছে।
কিন্তু বার বার মেকাপ গুলো লেপটে যাচ্ছে।এত কান্না করলো হয় তার বান্ধবীর মন্তব্য।
বান্ধবীরা মিটিমিটি হেসে হেসে ফুলসজ্জা রাতের দুষ্টু মিষ্টি গল্পের কথা।
বাম হাতে শক্ত করে ধরে আছে বিষের বোতল।হয় কায়েসের সাথে পালাবে নয়তো বিষ পানে মৃত্যু ঘটবে।কায়েস'কে বার বার কল দেওয়ার চেষ্টা প্রথম কয়েক বার কলটা গেলেও ধরেনি।ম্যাসেজ দিলো ''মরা মুখ দেখার জন্য রেডি থেকো"।
হঠাৎ করেই তার আম্মু রুমে ঢুকে বলল...
-তোমরা সবাই বাহিরে যাও.. (মাধবীলতার আম্মু)
-জ্বী আচ্ছা আন্টি.. (বান্ধবীরা)
-(মাধবীলতাকে উদ্দেশ্যে করে বলল) বাম হাতটা দে,, সোহান তোর জন্য স্বর্ণর রিং পাঠিয়েছে .. (মাধবীলতার আম্মু)
মনের ভেতর এক অজানা ভয় কাজ করছে।ঠোঁটে ঠোঁট চেপে ধরে "মাথা ঝাকিয়ে না বলে দিলো"।
জোর করে বাম পিঠের পিছন থেকে আনতেই অবাক হয়ে গেলো।বিষের বোতল ধরে আছে।
সর্ব শক্তি দিয়ে ডান গালে থাপ্পর বসিয়ে দিলো।মাধবীলতার চোখে পানি টলটল করছে।পাঁচ আঙ্গুলের ছাঁঁপ পস্ট বোঝা যাচ্ছে...
-হারামজাদি আত্মহত্যার চেষ্টা করিস।থাক বন্দি হয়ে রুমের ভেতর।
বিয়ে না করে চেয়েও বিয়ে হয়ে গেলো।বাসর ঘড়ে ঘোমটা দিয়ে বসে আছে মাধবীলতা।বুক ধুক ধুক করছে ভয়ে।
সোহান রুমে ঢুকে ছিটকেরি লাগিয়ে দিলো।ছিটকেরি লাগানোর শব্দে ঘোমটার আড়াল থেকে মুখ তুলে তাকালো সোহানের দিকে।
গলা ঝারিয়ে কাঁশি দিলো "এহেম এহেম", কিন্তু কোন সারা শব্দ না পেয়ে সোহান ছেলেটা আচর্য হয়ে মনে মনে ভাবলো "অভদ্র পরিবারের মেয়ে নাকি সালামও করলো না!
বিছানায় উঠে বসে কাঁধে হাত রেখে বলল "আপনার কি নার্ভাস লাগছে, প্রথম বার সবারি নার্ভাস লাগে।তবে আপনার সবার মতো বাসর রাত হবে নাহ্"
বলার আগে হাত সরিয়ে দিয়ে কাপতে কাপতে বলল...
-আমাকে ধরবেন না, দূরে থাকুন আপনি (মাধবীলতা)

অভিশাপপর্ব_০৪-আমার একটা বন্ধু ছেলের সাথে বিয়ে ঠিক করেছি, মাইনে অনেক ভালো।একবার বিয়ে হয়েছিলো বউ রেখে চলে গেছে।সংসারের কাজ...
20/08/2023

অভিশাপ
পর্ব_০৪
-আমার একটা বন্ধু ছেলের সাথে বিয়ে ঠিক করেছি, মাইনে অনেক ভালো।একবার বিয়ে হয়েছিলো বউ রেখে চলে গেছে।সংসারের কাজ বলতে তেমন কিছু করতে হবে না শুধু একটা বাচ্চা মেয়ে আছে তার যত্ন নিতে হবে"(মাধবীলতার আব্বু)
-একটা ডিভোর্সি ছেলের সাথে বিয়ে!(আচর্য হয়ে)
-তো কি রাজকুমারের সাথে বিয়ে করতে চাচ্ছিস (হা হা) (মাধবীলতার আম্মু)
মাধবীলতা দু'হাত মুখে চেপে, মাথা নিচু করে মুখ চাপা কান্না করছে শুধু "হুঁহুঁ" করে একটা শব্দ আসতেছে সোফায় বসা মাধবীলতার কাছ থেকে।মেয়েটা কয়েক দিনেই কেমন অগোছালো হয়ে গেছে, আগের মতো আর বাসায় দুষ্টুমি গুলোও দেখা যায় না।
কলেজ থেকে এসেই আর বাচ্চাদের মতো তার আব্বুকে জোরিয়ে ধরে বায়না করেনা "আব্বু আমার জন্য চকলেট আনোনাই কেন? আমি আর তোমার সাথে কথা বলব না হু.!"
মাধবীলতার আব্বুও আর নিজ হাতে তুলে খাওয়ায় না।যে মেয়েটা মার হাতে না খেলে ক্ষুধা মেটে না।
সেই মেয়ে গত দুই দিন ধরে ঠিক মতো খাওয়া দাওয়া করে না।চুল গুলো শুশকো হয়ে গেছে।
চোখের কোটরে চলে গেছে চোখের মণি গুলো, ঘনো কালো দাঁগ চোখের নিচে।
একটা মেয়ের সব থেকে মূল্যবান সম্পদ, অহংকার তার দেহ।আজ মাধবীলতা বু্ঝতেছে।নিজের রুমে বসে মাধবীলতা চিৎকার করে কান্না করছে।মাধবীলতার রুমের দরজায় ("ঠক ঠক") নক পরলো।
ছিটকেরি খুলে দিতেই দেখতে পেলো তার আম্মু।খুশিতে আত্মাহারা হয়ে গেলো মাধবীলতা!
হাতে প্লেটে উপর আরেক'টা প্লেট দিয়ে ঢেকে রেখেছে কিছু একটা।
মাধবীলতা চোখের পানি মুছে, বিছানায় উঠে বসলো।তার আর সহ্য হচ্ছে না কখন তার আম্মু খাইয়ে দেবে সেআ আশায়।
প্লেট টেবিলে রেখে চলে যাচ্ছিলো, চেহারা না ফিরিয়েই বলল.....
-পড়ার টেবিলে রেখে গেলাম খেয়ে নিস" (মাধবীলতার আম্মু)
-আমম্মুউঁ..
(আল্লাদি সুরে)
-ঐমুখে আম্মু ডাক, ডাকবি না।লজ্জায় আমার মাথা নিচু হয়ে যায়।তোর মতো কলঙ্কিনী মেয়ের মুখে আম্মু ডাক মানায় না! (মাধবীলতার আম্মু)
-আম্মু আমি দু'দিন ধরে খাচ্ছি না।জানো না তোমার হাতে না খেলে ক্ষুধা মেটে না।প্লিজ খাইয়ে দাও না, প্লিজ আম্মু...
(অনুরোধ করে বলল মাধবীলতা)
-তোকে খাইয়ে দিতে ইচ্ছা করে না।এখন বড় হয়ে গেছি, কলেজে পড়িস আবার রুমডেটেও যাস।এখন কি আর ছোট আছিস যে খাইয়ে দিতে হবে,,!! (মাধবীলতার আম্মু)
-সরি আম্মু, এমন ভুল আর হবে না...
(মাথা নতো করে)
-কিছু ভুলের কখনোই মেনে নেওয়া যায় না।বড় বড় ভুল সরি বলেই সমাধাণ করা যায় না... (মাধবীলতার আম্মু)
মুখে আঁচল চেপে কান্না করতে করতে চলে গেলো।
মেয়ের সামনে মুখামুখি হয়ে হয়তো এসব কথা বলতে পারতো না।অনেক ভালোবাসে যে মেয়েটাকে,
তাই তো চেহারা না ফিরিয়েই কথা গুলো বলল।
বিছানা ছেড়ে শাওয়ার নিলো।
বেশ কিছুক্ষণ শাওয়ার নিলো যেন মনটা একটু ফ্রেস হয়ে যায়।তোয়ালে দিয়ে মাথা ঝুকে চুল মুছতে মুছতে রুমে ঢুকে দেখলো বিছানায় পরে থাকা ফোনে "অচেনা নাম্বার থেকে কল এসেছে"।
কেটে দিলো কলটা।
আবারও কল আসলো।বিরক্তি কল নিয়ে ধরে রাগ দেখি বলল...
-কি সমস্যা কি আপনার? বার বার বিরক্ত করছেন কেন? পরিচয় কি আপনার?
-আমি সোহান!
(আচর্য হয়ে সোহান ছেলেটা নিজের নাম বলল।তার সাথে বিয়ে ঠিক করছে অথচ তার নাম জানেনা আবার রাগও দেখাচ্ছে)
-চিনলাম আপনে।কে আপনি ঠিক করে বলুন তো?
-কেন আপনার বাবা-মা আমার সম্পর্কে আপনাকে কিছু বলেনি।আমার সাথেই তো আপনার বিয়ে ঠিক করা হয়েছে! আপনার বাবার বন্ধুর ছেলে..!
-ওহহ হ্যাঁ চিনতে পারছি।
-আসলে খুব ব্যস্ত থাকার জন্য আপনাকে ফেন দিতে পারিনি।একা হাতে সংসারের সব কাজ আর পিচ্চি মেয়েটার দেখা শোনা, এক কথা বলতে গেলে ব্যস্ততার উপর সময় কাঁটে।তবে হ্যাঁ আমাদের যখন বিয়ে হবে তখন আপনাকে রান্নার কাজে হেল্প করতে পারি।আমার হাতের রান্না অনেক ভালো...
-(হা হা) বিয়ের আগেই এতো স্বপ্ন।আপনাকে এখন যে কথাটা বলব, শুনলে বিয়েই করবেন না আমাকে!
-বলুন তাহলে।
কিছু বলার আগেই ব্যালেন্স শেষ হয়ে গেলো।
সোহান ছেলেটা ভাবছে মেয়েটা কি খুব গুরুত্বপূর্ণ কথা বলতে চেয়ে ছিলো।বলেও বলতে পারলো না, ঘড়িতে এখন ১২টারও বেশি বাজে মনে হয় না কোন ফ্যাসিলোড খোলা আছে।এত রাতে গোসল করে ঠান্ডা ঠান্ডা লাগছে।কাঁদতে কাঁদতে ঘুমিয়ে যায় সেদিনের মতো..
সোহান ছেলেটা আর কল করে না।বিজনেসম্যান লোক বিজনেস নিয়ে হয়তো ব্যস্ত অথবা তার পিচ্চি মেয়েকে নিয়ে।
আজ মাধবীলতার নাভির নিচে প্রচন্ড ব্যাথা অনুভব করছে।
প্রসব ব্যাথায় মেয়েটা (মাধবীলতা) বিছানার চাদর টেনে ধরে আছে।চিৎকার করে বলে উঠলো "আমম্মম্মুউঁহ্ আমার আর ব্যাথা সহ্য করতে পারছি না"।
চিৎকারে পুরো বাড়ি নড়ে উঠার মতো।
পাগলের মতো হন্তদন্ত হয়ে ছুটে আসে তার আম্মু।তার আব্বু অফিসের কাজে ব্যস্ত।ক্যালেন্ডারে দিকে চোখ যেতেই দেখলো লাল মার্ক করা "নিচে লেখা আমার আমার কিউট বাচ্চাটার হওয়ার ডেট"।

অভিশাপপর্ব_০৩-চুপ! ডাইনি,, নিজের সন্তান কাকে দাবি করিস।ওটা একটা জারজ সন্তান।তোর পাপ কর্মের সন্তান!! (মাধবীলতার আম্মু)মাধ...
20/08/2023

অভিশাপ
পর্ব_০৩
-চুপ! ডাইনি,, নিজের সন্তান কাকে দাবি করিস।ওটা একটা জারজ সন্তান।তোর পাপ কর্মের সন্তান!! (মাধবীলতার আম্মু)
মাধবীলতা কান্না শুরু করে দিলো।মাঝ খানে ডাক্তার বলল....
-বাচ্চা এখন আর নষ্ট করা সম্ভব না।আপনারা চাইলে কয়েকটা সপ্তাহ বাদে অপারেশন করতে পারেন।এখন নষ্ট করলে মা এবং সন্তান দুজনেরই ঝুকি আছে... (ডাক্তার)
-আমি আগেই সন্দেহ করেছিলাম তোমার মেয়ের পেট বেরে যাওয়া নিয়ে।নাহ্! তুমি বলেছিলে মেয়ে মোটা হচ্ছে।মোটা হলে কোন মেয়েরই এভাবে পেট হয়ে যায় না..!(মাধবীলতার আম্মু)
মাধবীলতার বাবাকে ইঙ্গিত করে এসব কথা বলল।
মেয়ের এরকম কাজে বার বার লজ্জায় মাথা নিচু হয়ে যাচ্ছে।লজ্জায় টকবক করছে বাবার চেহারাটা, টোল পরা গালে লজ্জায় লাগ লাল রং এর পষ্ট ছাঁঁপ।
চেয়ারটা সরিয়ে দিয়ে উঠে গেলো নিজেস্ব গাড়িতে।এক হাতে ড্রাইভিং করছে অন্য হাতে জ্বলন্ত সিগারেট।
মাধবীলতা তার বাবার দিকে তাকিয়ে আছে, সে লোকটা তার মেয়ের মায়াবী মুখ-খানা দেখলে সিগারেটের কথা ভুলে যেত।অন্য দিনের মতো আজও মুখ থেকে টান দিয়ে নিয়ে বাহিরে ফেলে দিলো..
-ঠাসসস্, সাহস কিভাবে হয় তোর সিগারেট ফেলে দেবার?
-আবব্বুউঁ...!
(গালে হাত রেখে কাঁদছিলো মাধবীলতা, যে বাবা তাকে মামুনী ছাড়া ডাকতো না আজ তার মুখে তুই শব্দটা শুনে কান্না আটকাতে পারেনি)
-ছিঃ তোর মেয়ে যেন কোন বাবা-মা না পায়, তুই হয়তো জানিস না বাবা-মা তাদের সন্তানকে নিয়ে কত স্বপ্ন দেখে থাকে..!
টপ করেই একটা ফোঁটা চোখের-জল কালো জুতোই চুইয়ে পরে।সহজেই কোন পুরুষ কাঁদেনা,,,
গাড়িটা থামিয়ে হন-হনিয়ে বাবা-মা বাসার ভেতরে চলে গেলো। নিরব কান্নায় ভেসে দিচ্ছে নরম বালিশটা, সন্ধ্যা পেরিয়ে রাতের অন্ধকার নিমে এসেছে, রুমের সব লাইট'টা বন্ধ করানো।
পাগলের মতো ছুটে গেলো মোবাইল ফোনের কাছে।কায়েস বার কার মাধবীলতার ফোনটা কেটে দিচ্ছে।
সে এখন অন্য মেয়ের জন্য ব্যস্ত!
শেষে বিরক্ত হয়ে ফোনটা ধরেই মেজাজ দেখিয়ে বলল....
-তোমার কি কোন কাজ থাকেনা নাকি? সব সময় এত ফোন কেন দাও!
-আমাকে বিয়ে করতে পারবা?
-বিয়ে...!!
(আচর্য হয়ে)
-কেন তুমিই তো বিয়ের স্বপ্ন দেখি অনেক কিছু করেছো।এখন আমার চরিত্রটা রক্ষা করো,,
(কেঁদেই দিয়েছে ফোনের ওপাশ থেকে)
-কখন?
-দেখি আমি সিরিয়াসলি বলছি।আই এম প্রেগন্যান্ট, তুমিই বলো এই সন্তানের কি করবা?
-আমি এখন বিয়ে টিয়ে করতে চাইনা, আর তুমি একটা চরিত্রহীন মেয়ে আমার সাথে শারীরিক সম্পর্ক করতে পারলে অন্যজনের সঙ্গে করতেও...
-কায়েস!
-চিল্লাও ক্যান? বাচ্চা নষ্ট করে দিলে সমস্যার সমাধাণ হয়ে যাবে,,!
কায়েস ফোনটা কেটে দিয়ে সিমটাই ফেলে দিলো।
মাধবীলতার টেবিল ল্যাম্পের উপর প্লিল বরি দেখে হাতে নিতেই দেখলো "আউট অফ ডেট" হয়ে গেছে প্লিল গুলোর।
সব মা-বাবাই তার সন্তানের ভালো চায়।অবস্যই মাধবীলতাকে তার বাবা মাও একটা সুযোগ দিতে পারে।
টিপটিপিয়ে তার আম্মু আব্বুর রুমে চলে গেলো।
কয়েকটা নক দিতেই ভেতর থেকে ছিটকেরি খুলে দিলো।বিষন্যতা মুখে তাকিয়ে আছে তার আম্মু।জোরিয়ে ধরে কেঁদে দিলো..
-আবার কাঁদছিস কেন? যা হবার হয়ে গেছে।আমরা একটা না একটা ব্যস্ততা করবই.. (মাধবীলতার আম্মু)
-সরি আম্মু!
-পাগলী মেয়ে চোখের জল মুছ!! (মাধবীলতার আম্মু)
-সরি আম্মু আব্বু এখন থেকে তোমরা যা বলবে তাই শুনবো...,
(মাথা নিচু করে, কেঁদে বলল)
মাধবীলতার আম্মু-আব্বু নিজেস্ব কিছু কথা বলল।
আব্বু নড়েচড়ে বসলো, হুট করেই তার আম্মু বলল...
-তোর বাচ্চা হওয়ার ডেট আর কিছু দিন পর।আমরা জারজ বাচ্চাটা ফেলে দিতে চাই.. (মাধবীলতার আম্মু)
-নাহ্! আম্মু এসব তুমি কি বলো? হাজার হলেও সেটা আমার সন্তান।তুমি কি আমাকে মেরে ফেলতে পারবে?
-এই না বললি "যা বলবে তাই করব"! (মাধবীলতার আম্মু)
-আমার সন্তানকে মারতে পারব না,,
(রাগি মেজাজ দেখিয়ে)
-জারজ সন্তান, ওই সন্তানের কি পরিচয় দিবি? যদি বড় হয়ে বাবার পরিচয় চায় তখন কি জবাব দিবি (মাধবীলতার আম্মু)
-আমার সন্তানকে আমার পরিচয়ে বড় করব...
-লোক সমাজে কি পরিচয়ে বড় করবি।সবার তো আর জানার বাঁকি নেই তোর এসব নোংরামির ঘটনা জানার!! (মাধবীলতার আম্মু)
-আমি বুঝবো সেটা,,,
-হুমম তোর যেটা ভালো মনে হয়।ওই সন্তান যেন কোনো দিন আমাকে নানী ডাকটা না ডাকে, বিধাতার কাছে এটাই চাওয়া..... (মাধবীলতার আম্মু)
-প্লীজ আম্মু একটু চুপ করবা?
-যদি মেয়ে জন্মই না হতো তাহলে হয়তো সমাজের সামনে মাথা নিচু করে হাঁটতে হতো না,, (মাধবীলতার আব্বু)
-আব্বু তুমিও আমাকে অবহেলা করতেছো?
-আমার একটা বন্ধু ছেলের সাথে বিয়ে ঠিক করেছি, মাইনে অনেক ভালো।একবার বিয়ে হয়েছিলো বউ রেখে চলে গেছে।সংসারের কাজ বলতে তেমন কিছু করতে হবে না শুধু একটা বাচ্চা মেয়ে আছে তার যত্ন নিতে হবে" (মাধবীলতার আব্বু)
-একটা ডিভোর্সি ছেলের সাথে বিয়ে!
(আচর্য হয়ে)
-তো কি রাজকুমারের সাথে বিয়ে করতে চাচ্ছিস (হা হা) (মাধবীলতার আম্মু)...........................................................................

পরের পর্ব পেতে কমেন্ট অবশ্যক
বিঃদ্রঃ আপনি যদি গল্প প্রেমি হন তাহলে পেইজটা ফলো দিয়ে পাশে থাকুন। পরবর্তী পোস্ট করার সঙ্গে সঙ্গে নোটিফিকেশন পেয়ে যাবে।

গল্পঃ অভিশাপ(পর্বঃ ০২)Writer:- (নষ্ট জীবন) -মাঝ রাতে পড়া বুঝিয়ে নিতে গিয়েছিলি তাহলে খোরাচ্ছিস কেন? (মাধবীলতার আম্মু)-আহ্...
20/08/2023

গল্পঃ অভিশাপ
(পর্বঃ ০২)
Writer:- (নষ্ট জীবন)
-মাঝ রাতে পড়া বুঝিয়ে নিতে গিয়েছিলি তাহলে খোরাচ্ছিস কেন? (মাধবীলতার আম্মু)
-আহ্ বকছো কেন? একটাই তো মেয়ে হয়তো কোখাও পরে গিয়ে ব্যাথা পেয়ে গেছে! যাও ঘুমিয়ে পরো কাল তো কলেজে আছে সকাল সকাল উঠতে হবে...? (মাধবীলতার আব্বু)
-তুমি আর লাইদিও না।লাই দিতে দিতে মাথায় তুলে ফেলছো।বড্ড জেদি মেয়ে আমার কোন কথাই শোনে না.. (মাধবীলতার আম্মু)
-বাচ্চা মেয়ে বোঝে কম একটু তো জেদি হবেই.. (মাধবীলতার আব্বু)
-সারা রাত জেগে কার সঙ্গে যেন কথা বলে আর তুমি বলছে বাচ্চা মেয়ে।একটু বেশিই খোঁজ খবর রাখতে হবে।বলা তো যায় না... (মাধবীলতার আম্মু)
-হয়তো বান্ধবীদের সাথে কথা বলে।আমাদের মেয়ে মোটেও এরকম নয় বুঝলে? (মাধবীলতার আব্বু)
-একদিন ঠিকি এর ফল ভোগ করতে হবে! (মাধবীলতার আম্মু)
মাধবীলতার আব্বু-আম্মু অন্যরাতের মতোই ঘুমিয়ে পরলো, একদিকে মাধবীলতার দুচোখে একটু ঘুম ধরছেনা।
একবার এপাশ আবার ওপাশ ফিরছে নরম বালিশে মাথা রেখে।
শরীরের ব্যাথা সাথে কায়েসের আচারণ নিয়ে চিন্তায় বিভোর মেয়েটা।বার বার মনে একি প্রশ্ন উঁকি দিচ্ছে কায়েস আমাকে বিয়ে করার স্বপ্ন দেখিয়ে ভোগ করছে নাতো।পরের দিন ব্যাথা শরীল নিয়ে কলেজ করতে যাইনি মাধবীলতা।
সারাটা দিন নাভির নিচে ব্যাথা অনুভব করে।
দিনের পর পর দিন কেটে যাচ্ছে বারছে কায়েসের শরীরিক ক্ষুধা।প্রতিনিয়ত রুমডেটের অফার, যা মাধবীলতা একদমি পছন্দ করে না।
সপ্তাহে দু'তিন বার করে রুমডেট।ভালোবাসার বদলে মনে হয় যেন ধর্ষণ করছে।
একদিন প্রশ্ন করলো....
-মাধবী কি ভাবছো?
-এক মাস হয়ে গেলো কিন্তু তুমি এখনও বিয়ে করতে চাচ্ছো না আমাকে।শুধুই কি দেহের লোভ তোমার?
-চাকরি পেলেই বিয়ে করব, এনিয়ে তোমার চিন্তা করতে হবে না।তুমি শুধু আমাকে একটু আদরের পর্শ দিও তাতেই চলবে..
-আদর নাকি দেহ ভোগ করার কথা বলছো..!
(সাহস নিয়ে কথাটা বলেই দিলো)
-তোমার দিব্বি আমি তোমাকেই বিয়ে করব।শুধু চাকরিটা পেতে দাও, তারপর দেখবে তোমাকে রাজরানী করে রাখব...
-আমার দিব্বি কাটতে হবে না! এমন কোনো সময় নিয়ে যে নিজের জন্য আমাকে ব্যবহার করোনি।পিরিওড চলা কালিনও আমাকে তুমি নরপশুর মতো ভোগ করেছো কিছুই বলিনি কারণ তোমাকে ভালোবাসি।আমার চোখের জলেরও কোনো মূল্য নেই তোমার কাছে...
-ভালোবাসায় এত একটু আকটু হবেই!
বার বার ভালোবাসার দোহাই দিয়ে ছেলেটা।মাধবীলতাকে বিয়ের নাম করে ধর্ষণ করে যাচ্ছে।
এখন আর মাধবীলতাকে ম্যাসেজ অথবা ফোন দেওয়ার গুরুত্ব মনে করে না।
প্রতিদিন যদি একই খাবার বার বার দেওয়া হয় তাহলে সেটার প্রতি ঘৃণা ধরে যায় তেমনি মাধবীলতার প্রতিও কায়েসের ঘৃণা ধরে গেছে।
কিছু দিন আগে তার জন্মবার্ষিকী গেলো সেদিন রাত ৪টা পর্যন্ত জেগে থেকেও কোন ম্যাসেজ, ফোন পায়নি।
ম্যাসেজ, ফোন করার থেকেও বড় কিছু আশা করেছিলো।যা করলে মাধবীলতার আচর্য হয়ে যাবে।
বাধ্য হয়ে নিজে থেকেই ফোন দিলে, ওপাশ থেকে নরম কণ্ঠে ভেসে আসলো কাঙ্ক্ষিত নাম্বারটি এখন ব্যস্ত আছে।
বালিশ চাপা শব্দহীন কান্না আর কিছুক্ষণ পরেই ফোন অন করে দেখা কোন ম্যাসেজ আসলো কিনা।
কাঁদতে কাঁদতেই ঘুমিয়ে যায় মেয়েটা (মাধবীলতা) ভোর সকালে উঠে যখন আয়নার সামনে দাড়িয়ে দাঁত দেখতে দেখতে ব্রাশ করছিলো, হঠাৎ করেই বমি বমি ভাব অনুভব করলো।
হালকা মাথা ঝিমুচ্ছে, মনের ভেতর অজানা আতংকের একটা ভয় কাজ করছে "কায়েস বলেছি এই বয়সে বাচ্চা হবে না কিন্তু এমন কেমন লাগছে, যেন পেটের ভেতর কেউ আসতেছে।মিথ্যা বলল নাতো?"
মাধবীলতার আম্মুর রুমে হয়রানের মতো খুঁজতে লাগলো।
প্লিলের পাতা পেয়ে ওরনার নিচে লুকিয়ে এনে, পানি দিয়ে সব কয়টা খেয়ে ফেললো।
দিন দিন মাধবীলতার শরীল আরও গুরুতরো ভাবে অসুস্থ হতে লাগলো।দিনের অর্ধেক সময় বাসাতেই থাকার চেষ্টা করে কারণ মাঝে মাঝেই সেন্স হারিয়ে যায়।
মনের ভেতর একটাই ভয় বাড়িতে কোন ভাবেই এই বিষয়ে জানতে দেওয়া যাবে না।
শরীরটা বেশি খারাপ লাগায় কলেজ থেকে আজ বাসায় তারাতারি ফেরার চেষ্টা করে।
বাসায় এসে কলিংবেল বাজাতেই নিচে মাথা ঘুরে পরে যায়।মাধবীলতার আম্মু এমন অবস্তা দেখে মেয়েটার (মাধবীলতার) আব্বুকে ফোন দিয়ে ডাক্তারের কাছে আসতে বলে।
ডাক্তারের রোগি দেখার রুমে তিন জনেই বসে আছে।মাধবীলতা লজ্জায় মাখা নিচু করে আছে, ডাক্তার প্রথমে বলল....
-আপনার মেয়ে কি বিবাহিতা? (ডাক্তার)
-না, কেন? (মাধবীলতার আব্বু)
(অনেকটাই আচর্য হয়েছে কথাটা শুনে।কোন রোগিকেই এমন প্রশ্ন করা হয় না)
-আপনার মেয়ের পেটে ৭ মাসের বেশি সময় ধরে একটা বাচ্চা জন্ম নিছে! (ডাক্তার)
এমন কথা শুনলে যেন কোন বাবা মায়েরই মনটা চাইবে মেয়েকে বিষ খিলিয়ে মেরে ফিলি কিন্তু কেউ সেটা করতে পারেনা।হাজার হলেও সেটা তার সন্তান?
মনে হচ্ছে আকাশে ভেঙ্গে মাথায় চুরমার হয়ে পরেছে, মাধবীলতার আম্মু মেয়ে হওয়াই ভালো করেই জানে বাচ্চা নষ্ট করা যায়।ডাক্তার কে বলল....
-ডাক্তার বাচ্চাটা নষ্ট করা যাবে না? (মাধবীলতার আম্মু)
-আম্মু ওটা আমার সন্তান! আমার পাপের শাস্তি, আমার সন্তান কেন পাবে? (মাধবীলতা)
-চুপ! ডাইনি,, নিজের সন্তান কাকে দাবি করিস।ওটা একটা জারজ সন্তান।তোর পাপ কর্মের সন্তান!! (মাধবীলতার আম্মু)
মাধবীলতা কান্না শুরু করে দিলো।মাঝ খানে ডাক্তার বলল....
-বাচ্চা এখন আর নষ্ট করা সম্ভব না।আপনারা চাইলে কয়েকটা সপ্তাহ বাদে অপারেশন করতে পারেন।এখন নষ্ট করলে মা এবং সন্তান দুজনেরই ঝুকি আছে...

গল্পঃ অভিশাপ(পর্বঃ ০১)Writer:- (নষ্ট জীবন)-ব্লাড যদি বের হয় তখন?-আরে পাগলী কিচ্ছু হবে না, প্রথম প্রথম একটু কষ্ট সব মেয়ের...
20/08/2023

গল্পঃ অভিশাপ
(পর্বঃ ০১)
Writer:- (নষ্ট জীবন)
-ব্লাড যদি বের হয় তখন?
-আরে পাগলী কিচ্ছু হবে না, প্রথম প্রথম একটু কষ্ট সব মেয়েরাই পায়!!
-তবুও আমার ভয় করছে,,
কায়েস মাধবীলতাকে বুকে টেনে নিয়ে দু'গালে হাত রেখে কপালে চুমু দিলো।ভয়ে মেয়েটার শরীল "ঠক ঠক" করে কাপছে।কায়েস মৃদু হেসে বলল....
-ভয় করছে তোমার?
-হুমমম প্রচন্ড ভয় করছে, বিয়ের আগে এসব না করলেই নায় কি?
-পাগলী মেয়ে! করবো তো বিয়ে।আর মাত্র ১ মাস পরেই বিয়ে করব.,
-এই এক মাসও অপেক্ষা করতে পারবা না!
-প্লীজ মাধবী! না, করো না..
মাধবীলতা আর না করেনি, প্রচন্ড ভয়ে কায়েসের হাতটা শক্ত করে চেপে ধরে ছিলো।একটা দামি কামরা বুকিং করলো তাদের দুজনের জন্য।
কায়েস হাসতে হাসতে রুমের ছিটকেরি লাগিয়ে।নরম গদির বিছানায় বসে আছে মাধবীলতা মেয়েটা।ভয়ে মেয়েটার কালো ফ্যাকাশে হয়ে গেছে।কায়েস পাশে বসে হাতের উপর হাত রেখে বলল...
-শোন!
-হুম বলো?
-বিয়ের পর আমাদের একটা বাচ্চা হবে তখন এসব কষ্ট আর মনে পরবে না।
-হুমমম
(মাথা ঝাকিয়ে হুম জবাব দিলো)
-আচ্ছা যাও, ড্রেস চেন্জ করে আসো।আমি তোমার জন্য অপেক্ষা করছি বসে...
তোয়ালে নিচ দিকে টানতে টানতে রুমে ঢুকলো।কায়েসের শরীরে শুধু একটা শর্ট প্যান্ট।মাধবীলতা আচর্য হয়ে বলল..
-কোনো সেভটি ব্যবহার করবে না!
-আরে বোঁকা! এখন সেভটি লাগবে না।তোমার বাচ্চা নেওয়ার বয়স এখনও হয়নি, চিন্তার কিছুই নেয়..
-তবুও সেভটি নিলে ভালো হতো?
-লাগবে না বললাম তো!!
-রাগছো কেন?
-কই রাগলাম।বিছানায় আসো!
-তাহলে এমন কথা বলতেছো কেন?
মাঝ রাতে মাধবীলতা তোয়ালে বুকে জোরিয়ে, গোসল করতে চলে গেলো।গোসল করতে করতে ভাবছিলো বিয়ের আগেই কি এসব করা ঠিক হলো?
না, না কায়েস তো আমার ভবিষ্যৎ স্বামী হবে।কায়েসের অধিকার আছে আমার শরীরে।
চুল গুলো মাথা নিচু করে মুছতে মুছতে কায়েসের দিকে তাকলো ছেলেটা ঘুমন্ত অবস্তায় কত সুন্দর নিষ্পাপ লাগছে।
কিন্তু কিছুক্ষণ আগে এই ছেলেটাই আমাকে জানোয়ারের খুবলে খাচ্ছিলো।ভালোবাসলে কেউ এরকম ভাবে তার গালফ্রেন্ডকে ব্যবহার করে কিনা জানিনা, তবে তার চোখে নিজেকে খুঁজে পায়।
ধর্ষণ করলো নাকি উপভোগ করলো বোঝা কঠিন।আয়নার সামনে দাড়িয়ে নিজেকে বিশ্বাস হচ্ছিলো না কিছুক্ষণ আগে বয়ফ্রেন্ড তাকে কি ক্ষতি করেছে।
ঠোঁটটা কামরে রক্তারক্তি অবস্তা করে দিছে।
গালেও দাঁত দিয়ে কামরের দাঁগ পরে গেছে।
বিছানার কোণে বসে কায়েসকে ধাক্কা দিয়ে ডাকার চেষ্টা করছে, ঘুমের ঘোড়ে কায়েস বিরক্ত নিয়ে বলল...
-কি হয়েছে নিজেও ঘুমাবে না অন্যকেও ঘুমাতে দিচ্ছো না!
-আমার বাসায় যেতে হবে, আম্মু আব্বু চিন্তা করছে হয়তো!
-একদিন বাসায় না গেলে কিছুই হবে না।আসো ঘুমাও..
-না, কায়েস আমার সারা শরীল প্রচন্ড ব্যাথা করছে।চলো না একটু আমাকে বাসা পর্যন্ত এগিয়ে দিয়ে আসবে.?
-বসো আমি শার্ট প্যান্ট পরে রেডি হয়ে আসতেছি!!
বিরক্তিকর চেহারা নিয়ে কায়েস বের হলো।রাস্তা দিয়ে খুরিয়ে খুরিয়ে হেঁটে যাচ্ছে মাধবীলতা।
কায়েস রাগ দেখিয়ে বলল.....
-অভিনয় করে হাঁটতে হবে না স্বাভাবিক ভাবে হেঁটে চলো!
-সত্যি আমার হাঁটতে অসুবিধা হচ্ছে, পাজাকলা করে নাও না, হাঁটতে পারছি না তো!
-এভাবে গেলে চলো না গেলে এখানেই রাত কাটাও"!
মাধবীলতা যদি ছেলে হতো অবস্যই রাতটা রাস্তাতেই কাটে দিতো।কায়েসের ব্যবহারও কেমন জানি খারাপ হয়ে যাচ্ছে!
প্রথম রুমডেটেই যদি আগ্রহ কমে যায় তাহলে আমার চরিত্রর কালো দাঁগ কোন দিনও মেশাতে পারব না।
বাসার কাছে আসতেই কোন কিছু না বলে, সিগারেট ধরিয়ে টানতে টানতে চলে যাচ্ছে কায়েস।
কায়েসের এমন ব্যবহারে মাধবীলতা অন্যমনস্ক হতে লাগলো।এত অবহেলা কেন করছে আমার প্রতি?
কায়েসের চাহিদা মিটে গেছে বলে কি আমাকে অবহেলা করছে।দরজায় কলিংবেল দিতে হলো না।
হালকা ধাক্কা দিতেই দরজা খুলে গেলো।তার মানে মাধবীলতার আম্মু আব্বু এখনও জেগে আছে..!
টিপ টিপ পায়ে মাধবীলতার রুমে ঢুকার চেষ্টা।তার আব্বু আম্মু সোফায় বসে গালের হাত রাখা।
চিন্তায় পরলে যেন হয় মানুষদের।
না দেখার ভান করে মাধবীলতা সিড়ি বেয়ে উপরের রুমে চলে যাচ্ছিলো হঠাৎ পিছন থেকে ডাক পরলো "মাধবীলতা এত রাত্রী করে বাড়ি ফিরলে কেন? কোথায় ছিলেন সারা রাত?"
মাথা নিচু করে বলে...
-জ্বী, আব্বু বান্ধবীর বাসায় ছিলাম।কিছু পড়া বুঝিয়ে নেওয়ার জন্য.. (মাধবীলতার আব্বু)
মাধবীলতার আম্মু রেগে গিয়ে বলল...
-মাঝ রাতে পড়া বুঝিয়ে নিতে গিয়েছিলি তাহলে খোরাচ্ছিস কেন? (মাধবীলতার আম্মু)
-আহ্ বকছো কেন? একটাই তো মেয়ে হয়তো কোখাও পরে গিয়ে ব্যাথা পেয়ে গেছে! যাও ঘুমিয়ে পরো কাল তো কলেজে আছে সকাল সকাল উঠতে হবে...?

17/08/2023

রাতে বউয়ের সাথে তুমুল ঝগড়া করেছি !!😤
ওকে বলেছি "তুমি যদি মানুষের বাচ্চা হও তাহলে আমার সাথে কথা বলবে না"

ব্যাস, কাজ হয়েছে,আর কথা বলে না।খালি রাগে ফোলে। সারারাত নাক টেনে কান্না করছে...

না নিজে ঘুমাচ্ছে না আমাকে ঘুমাতে দিচ্ছে।🥲

সকালে খেতে বসে দেখি আজব কান্ড, আমার খাওয়ার পাশে খাতা কলম রাখা।
বললাম এগুলা কি..?🤔

বউ তার খাতায় কি জানি লিখলো
তারপর আমাকে দেখালো!

আমি পড়লাম। তাতে লেখা আছে..."আমি মানুষের বাচ্চা, তাই কোনোও কথা নাই"

আজব কাহিনি___☹️
যাই হোক...... সে আমাকে মাংস দিলো ৩ পিস, আমি খাতায় লিখলাম, "২ পিস দাও"😤🙄

খাওয়ার মাঝে লিখলাম,"পানি দাও"।

রাতে ঘুমানোর আগে আমি শুয়ে আছি,সে গুন গুন করে গান গাইছে আর চুল আঁচড়াচ্ছে।🗣️🧏

কি চমৎকার দৃশ্য আমি খাতায় খস খস করে লিখলাম "প্রিয় জানু, আগামিকাল সকাল ৮ টায় আমার অফিসে একটা জরুরী মিটিং আছে,🙂

প্লিজ সকাল ৭ টায় ডেকে দিও।🥺
চিঠি টা বউয়ের হাতে দিয়ে আমি ঘুমিয়ে গেলাম।🧖😕

ঘুম থেকে উঠে দেখি ৯টা ৩৫,😳
চিৎকার দিয়ে উঠে বসছি। এইটা কি......? 🤔

পাশ ফিরে দেখি বউ নাই।😲

বউয়ের জায়গায় একটা চিঠি,📝
তারাতাড়ি করে খুলে দেখি,বউ চিঠিতে লেখে রেখেছে-- ওগো শুনছো সকাল সাড়ে ৭টা বা"জে প্লিজ উঠো তোমার দেরি হয়ে যাচ্ছে!!!😂

স্বামী: বেহুশ🙄

জীবনানন্দ দাশ (জন্ম: ১৮ ফেব্রুয়ারি, ১৮৯৯, বরিশাল - মৃত্যু: ২২ অক্টোবর, ১৯৫৪, বঙ্গাব্দ: ৬ ফাল্গুন, ১৩০৫ - ৫ কার্তিক, ১৩৬...
15/08/2023

জীবনানন্দ দাশ (জন্ম: ১৮ ফেব্রুয়ারি, ১৮৯৯, বরিশাল - মৃত্যু: ২২ অক্টোবর, ১৯৫৪, বঙ্গাব্দ: ৬ ফাল্গুন, ১৩০৫ - ৫ কার্তিক, ১৩৬১) বিংশ শতাব্দীর অন্যতম প্রধান আধুনিক বাংলা কবি।

তিনি বাংলা কাব্যে আধুনিকতার পথিকৃতদের মধ্যে অগ্রগণ্য। মৃত্যুর পর থেকে শুরু করে বিংশ শতাব্দীর শেষ ধাপে তিনি জনপ্রিয়তা পেতে শুরু করেন এবং ১৯৯৯ খ্রিস্টাব্দে যখন তাঁর জন্মশতবার্ষিকী পালিত হচ্ছিল ততদিনে তিনি বাংলা সাহিত্যের জনপ্রিয়তম কবিতে পরিণত হয়েছেন।

জীবনানন্দের সাহিত্যিক জীবন বিকশিত হতে শুরু করে। দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশ ১৯২৫ এর জুনে মৃত্যুবরণ করলে জীবনানন্দ তার স্মরণে 'দেশবন্ধুর প্রয়াণে' নামক একটি কবিতা রচনা করেন, যা বঙ্গবাণী পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। কবিতাটি পরবর্তীতে তার প্রথম কাব্য সংকলন ঝরা পালকে স্থান করে নেয়। কবিতাটি পড়ে কবি কালিদাস রায় মন্তব্য করেছিলেন, "এ কবিতাটি নিশ্চয়ই কোন প্রতিষ্ঠিত কবির ছদ্মনামে রচনা"। ১৯২৫ খ্রিস্টাব্দেই তার প্রথম প্রবন্ধ স্বর্গীয় কালীমোহন দাশের শ্রাদ্ধবাসরে প্রবন্ধটি ব্রাহ্মবাদী পত্রিকার পরপর তিনটি সংখ্যায় ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হয়। ঐ বছরেই কল্লোল পত্রিকায় 'নীলিমা' কবিতাটি প্রকাশিত হলে তা অনেক তরুণ কাব্যসরিকের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। ধীরে ধীরে কলকাতা, ঢাকা এবং অন্যান্য জায়গার বিভিন্ন সাহিত্যপত্রিকায় তার লেখা ছাপা হতে থাকে; যার মধ্যে রয়েছে সে সময়কার সুবিখ্যাত পত্রিকা কল্লোল, কালি ও কলম, প্রগতি প্রভৃতি। ১৯২৭ খ্রিস্টাব্দে কবির প্রথম কাব্যগ্রন্থ ঝরা পালক প্রকাশিত হয়। সে সময় থেকেই তিনি তার উপাধি 'দাশগুপ্তের' বদলে কেবল 'দাশ' লিখতে শুরু করেন।

সম্ভবতঃ মা কুসুমকুমারী দেবীর প্রভাবেই ছেলেবেলায় পদ্য লিখতে শুরু করেন তিনি। ১৯১৯ সালে তাঁর লেখা একটি কবিতা প্রকাশিত হয়। এটিই তাঁর প্রথম প্রকাশিত কবিতা। কবিতাটির নাম বর্ষা আবাহন। এটি ব্রহ্মবাদী পত্রিকার ১৩২৬ সনের বৈশাখ সংখ্যায় প্রকাশিত হয়েছিল। তখন তিনি শ্রী জীবনানন্দ দাশগুপ্ত নামে লিখতেন। ১৯২৭ সাল থেকে তিনি জীবনানন্দ দাশ নামে লিখতে শুরু করেন। ১৬ জুন ১৯২৫ দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশ এর লোকান্তর হলে তিনি 'দেশবন্ধুর প্রয়াণে' শিরোনামে একটি কবিতা লিখেছিলেন যা বংগবাণী পত্রিকার ১৩৩২ সনের শ্রাবণ সংখ্যায় প্রকাশিত হয়। তবে দীনেশরঞ্জন দাস সম্পাদিত কল্লোল পত্রিকায় ১৩৩২ (১৯২৬ খ্রি.) ফাল্গুন সংখ্যায় তাঁর নীলিমা শীর্ষক কবিতাটি প্রকাশিত হলে আধুনিক বাংলা কবিতার ভুবনে তার অন্নপ্রাশন হয়। জীবদ্দশায় তাঁর ৭টি কাব্যগ্রন্থ প্রকাশিত হয়। প্রথম প্রকাশিত ঝরাপালক শীর্ষক কাব্যগ্রন্থে তাঁর প্রকৃত কবিত্বশক্তি ফুটে ওঠেনি, বরং এতে কবি কাজী নজরুল ইসলাম, মোহিতলাল মজুমদার ও সত্যেন্দ্রনাথ দত্তের প্রকট প্রভাব প্রত্যক্ষ হয়। তবে দ্রুত তিনি স্বকীয়তা অর্জন করেছিলেন। দীর্ঘ ব্যবধানে প্রকাশিত দ্বিতীয় কাব্য সংকলন ধূসর পান্ডুলিপি-তে তাঁর স্বকীয় কাব্য কৌশল পরিস্ফুট হয়ে ওঠে। বাংলা সাহিত্যের ভূবনে তাঁর বৈশিষ্ট্যগুলো আলোচনার বিষয় হয়ে ওঠে। শেষের দিককার কবিতায় অর্থনির্মলতার অভাব ছিল। সাতটি তারার তিমির প্রকাশিত হওয়ার পর তার বিরুদ্ধে দুবোর্ধ্যতার অভিযোগ ওঠে। নিজ কবিতার অপমূল্যায়ন নিয়ে জীবনানন্দ খুব ভাবিত ছিলেন। তিনি নিজেই স্বীয় রচনার অর্থায়ন করার অভিপ্রায় ব্যক্ত করেছিলেন যদিও শেষাবধি তা সম্ভব হয়ে ওঠেনি। তবে কবি নিজেই নিজ রচনার কড়া সমালোচক ছিলেন। তাই সাড়ে আট শত কবিতার বেশী কবিতা লিখলেও তিনি জীবদ্দশায় মাত্র ২৬২টি কবিতা বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় ও কাব্যসংকলনে প্রকাশ করতে দিয়েছিলেন। এমনকি রূপসী বাংলার সম্পূর্ণ প্রস্তুত পাণ্ডুলিপি তোড়ঙ্গে মজুদ থাকলেও তা প্রকাশের সিদ্ধান্ত নিতে পারেননি জীবনানন্দ দাশ। তবে তিনি এ কাব্যগ্রন্থটির নাম দিয়েছিলেন বাংলার ত্রস্ত নীলিমা যা তার মৃত্যুর পর আবিষ্কৃত এবং রূপসী বাংলা প্রচ্ছদনামে প্রকাশিত হয়। আরেকটি পাণ্ডুলিপি আবিষ্কৃত হয় মৃত্যু পরবর্তীকালে যা বেলা অবেলা কালবেলা নামে প্রকাশিত হয়। জীবদ্দশায় তার একমাত্র পরিচয় ছিল কবি। অর্থের প্রয়োজনে তিনি কিছু প্রবন্ধ লিখেছিলেন ও প্রকাশ করেছিলেন। তবে নিভৃতে গল্প এবং উপন্যাস লিখেছিলেন প্রচুর যার একটিও প্রকাশের ব্যবস্থা নেননি। এছাড়া ষাট-পয়ষট্টিরও বেশী খাতায় "লিটেরেরী নোটস" লিখেছিলেন যার অধিকাংশ এখনও (২০০৯) প্রকাশিত হয়নি।

নিখিলবঙ্গ রবীন্দ্রসাহিত্য সম্মেলন ১৯৫২ খৃস্টাব্দে পরিবর্ধিত সিগনেট সংস্করণ বনলতা সেন কাব্যগ্রন্থটি বাংলা ১৩৫৯-এর শ্রেষ্ঠ কাব্যগ্রন্থ বিবেচনায় পুরস্কৃত করা হয়। কবির মৃত্যুর পর ১৯৫৫ খৃস্টাব্দের ফেব্রুয়ারী মাসে জীবনানন্দ দাশের শ্রেষ্ঠ কবিতা (১৯৫৪) সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার লাভ করে।

কাব্যগ্রন্থ
জীবনানন্দের কাব্যগ্রন্থসমূহের প্রকাশকাল সম্পর্কে বিশেষভাবে প্রণিধানযোগ্য যে, কয়েকটি কাব্যগ্রন্থের একাধিক পরিবর্ধিত সংস্করণ প্রকাশিত হয়েছিল। নিচে কেবল প্রথম প্রকাশনার বৎসর উল্লিখিত। মৃত্যু পরবর্তী প্রকাশিত গ্রন্থসমূহ তারকা চিহ্নিত।
ঝরা পালক (১৯২৭)
ধূসর পান্ডুলিপি (১৯৩৬)
বনলতা সেন (১৯৪২, কবিতাভবন সংস্করণ)
মহাপৃথিবী (১৯৪৪)
সাতটি তারার তিমির (১৯৪৮)
বনলতা সেন (১৯৫২, সিগনেট প্রেস সংস্করণ)
জীবনানন্দ দাশের শ্রেষ্ঠ কবিতা (১৯৫৪)
রূপসী বাংলা (১৯৫৭)*
বেলা অবেলা কালবেলা (১৯৬১)*
সুদর্শনা (১৯৭৪)*
আলো পৃথিবী (১৯৮১) *
মনোবিহঙ্গম*
অপ্রকাশিত একান্ন (১৯৯৯) *

আজ পর্যন্ত জীবনানন্দ দাশ এর ১১৬টি কবিতা প্রকাশিত হয়েছে।

--মোট= ১১৬টি কবিতা এ কাব্যগ্রন্থ ---পঠিত হয়েছে মোট= বার
কবিতা কাব্যগ্রন্থ পঠিত মন্তব্য পথহাঁটা বনলতা সেন ------- ২৪১৯০ বার
* অঘ্রান প্রান্তরে বনলতা সেন ------------------------- ১৩৬৪১ বার
* সুচেতনা বনলতা সেন ------------------------------------ ১৯৩০৭ বার
* সবিতা বনলতা সেন ------------------------------------- ৭৩৭৩ বার
* মিতাভাষণ বনলতা সেন ------------------------------- ৯২১৭ বার
সুরঞ্জনা বনলতা সেন ------------------------------------ ১৭৪৬৮ বার
হাজার বছর শুধু খেলা করে বনলতা সেন -------------- ১৫৩৩২ বার
শিরীষের ডালপালা বনলতা সেন---------------------------৮৪০৩ বার
ধান কাটা হয়ে গেছে বনলতা সেন--------------------------১০৫৬৩ বার
তুমি বনলতা সেন ------------------------------------------২২৭৯০ বার
আমাকে তুমি বনলতা সেন -------------------------------১৯৩৪২ বার
স্বপ্নের ধ্বনিরা বনলতা সেন -------------------------------১২০৯৫ বার
অবশেষে বনলতা সেন ----------------------------------৯৮৭৪ বার
দুজন বনলতা সেন --------------------------------১৭৬৬৪৫ বার
শ্যামলী বনলতা সেন ----------------------------------৮৮০৭ বার
কমলালেবু বনলতা সেন ----------------------------১২৫৯৫ বার
অন্ধকার বনলতা সেন ----------------------------------১৫৬০১ বার
সুদর্শনা বনলতা সেন ----------------------------------১৪৮৫৯ বার
বেড়াল বনলতা সেন ----------------------------------৬৫৭৩ বার
হরিণেরা বনলতা সেন ----------------------------------৫৬৪০ বার
শিকার বনলতা সেন ----------------------------------৯৫৬৭ বার
নগ্ন নির্জন হাত বনলতা সেন ---------------------------২৬৮৩৮ বার
শঙ্খমালা বনলতা সেন ----------------------------------৩১৭৫৩ বার
বুনো হাঁস বনলতা সেন ----------------------------------১৪৮৭৮ বার
হায় চিল বনলতা সেন ----------------------------------১৫৮৭০ বার
ঘাস বনলতা সেন ---------------------------------------১৮৮৯২ বার
আমি যদি হতাম বনলতা সেন -----------------------২২৫১৭ বার
হাওয়ার রাত বনলতা সেন -----------------------------৯০৬৮ বার
কুড়ি বছর পরে বনলতা সেন ----------------------------৩৬৮১৪ বার
বনলতা সেন বনলতা সেন -----------------------------৯৪৯২০ বার
সারাটি রাত্রি তারাটির সাথে তারাটিরই কথা হয় ঝরা পালক --৩৪২১১ বার
ওগো দরদিয়া ঝরা পালক ------------------------------৩৪২১ বার
সেদিন এ ধরণীর ঝরা পালক -------------------------৫৯০২ বার
স্মৃতি ঝরা পালক -----------------------------------------১১১৪৮ বার
যে কামনা নিয়ে ঝরা পালক -----------------------------৯৫৫৬ বার
দক্ষিণা ঝরা পালক ----------------------------------৩৯৮৩ বার
চাঁদিনীতে ঝরা পালক ----------------------------------২৭৩৩১ বার
মরুবালু ঝরা পালক ----------------------------------২৮৫১ বার
পিরামিড ঝরা পালক -----------------------------------৫৯৪৮ বার
মিশর ঝরা পালক ------------------------------------৪১৫০ বার
শ্মশান ঝরা পালক -----------------------------------৫২৫৪ বার
ডাহুকী ঝরা পালক -----------------------------------৩৬১৭ বার
পতিতা ঝরা পালক ------------------------------------৭০৭১ বার
নিখিল আমার ভাই ঝরা পালক ------------------------৩৩৫৮ বার
হিন্দু-মুসলমান ঝরা পালক ----------------------------১৫৩৮৮ বার
বিবেকানন্দ ঝরা পালক ------------------------------৫৯৫৫ বার
দেশবন্ধু ঝরা পালক -----------------------------------৫৯৪৮ বার
সিন্ধু ঝরা পালক -----------------------------------------৫২২১ বার
কবি ঝরা পালক ----------------------------------------৬০৮০ বার
ডাকিয়া কহিল মোরে রাজার দুলাল ঝরা পালক ------------- ৫৭০২ বার
ছায়া-প্রিয়া ঝরা পালক ------------------------------------৭৪৪৭ বার
অস্তচাঁদে ঝরা পালক -----------------------------------৫৮৩১ বার
আলেয়া ঝরা পালক -----------------------------------৪১০৩ বার
একদিন খুঁজেছিনু যারে- ঝরা পালক ----------------২২৯৫৬ বার
চলছি উধাও ঝরা পালক -----------------------------৫৫৩২ বার
সাগর বলাকা ঝরা পালক ----------------------------১৪৮৪৩ বার
বনের চাতক–মনের চাতক ঝরা পালক ------------------৫৯৭৫ বার
নাবিক ঝরা পালক -----------------------------------৫৪১১ বার
বেদিয়া ঝরা পালক ----------------------------------৩৩৯৭ বার
জীবন-মরণ দুয়ারে আমার ঝরা পালক ------------------৬১৮৪ বার
মরীচিকার পিছে ঝরা পালক ------------------------৭৩৫৪ বার
কিশোরের প্রতি ঝরা পালক ------------------------------৩১৩৪ বার
নব নবীনের লাগি ঝরা পালক ------------------------৫২৮৮ বার
নীলিমা ঝরা পালক -----------------------------------৬৮৮৪ বার
আমি কবি,–সেই কবি ঝরা পালক ------------------৩৬২৩ বার
স্বপ্নের হাত ধূসর পান্ডুলিপি -------------------------৭১৮০ বার
মৃত্যুর আগে ধূসর পান্ডুলিপি -----------------------১৮৭০৫ বার
শকুন ধূসর পান্ডুলিপি ------------------------------৩৪১০ বার
পাখিরা ধূসর পান্ডুলিপি -----------------------------৯৭৬৮ বার
পিপাসার গান ধূসর পান্ডুলিপি ------------------------৬৫৭০ বার
প্রেম ধূসর পান্ডুলিপি ---------------------------------৪৩৮২৩ বার
১৩৩৩ ধূসর পান্ডুলিপি ----------------------------২৭৯৫৭ বার
জীবন ধূসর পান্ডুলিপি ----------------------------৩৪০০২ বার
ক্যাম্পে ধূসর পান্ডুলিপি -----------------------------৬৯৯২ বার
অবসরের গান ধূসর পান্ডুলিপি ----------------------১০৫০৬ বার
বোধ ধূসর পান্ডুলিপি ---------------------------------৪৯৭৫০ বার
পরস্পর ধূসর পান্ডুলিপি ----------------------------১৩৯৪৮ বার
অনেক আকাশ ধূসর পান্ডুলিপি ----------------------৩৪৯৩৪ বার
কয়েকটি লাইন ধূসর পান্ডুলিপি ----------------------১৮৩৮২ বার
সহজ ধূসর পান্ডুলিপি ----------------------------১১৯৫৪ বার
কার্তিক মাঠের চাঁদ (মাঠের গল্প) ধূসর পান্ডুলিপি------------৬০৪২ বার
পঁচিশ বছর পরে (মাঠের গল্প) ধূসর পান্ডুলিপি -------১৬৪১০ বার
পেঁচা (মাঠের গল্প) ধূসর পান্ডুলিপি -------------------৯৬৭১ বার
মেঠো চাঁদ (মাঠের গল্প) ধূসর পান্ডুলিপি -------------৫২৮২ বার
নির্জন স্বাক্ষর ধূসর পান্ডুলিপি -----------------------২৮৮১৭ বার
সূর্য নক্ষত্র নারী - ৩ বেলা অবেলা কালবেলা -------------১২০১৮ বার
সূর্য নক্ষত্র নারী - ২ বেলা অবেলা কালবেলা -------------৬০৮৫ বার
সূর্য নক্ষত্র নারী - ১ বেলা অবেলা কালবেলা --------------৮১৫১ বার
সময়-সেতু-পথে বেলা অবেলা কালবেলা -------------৬৭৮৭ বার
যতিহীন বেলা অবেলা কালবেলা ------------------------২৮৪৭ বার
তোমাকে বেলা অবেলা কালবেলা ------------------------৯৫৪০ বার
আমাকে একটি কথা দাও বেলা অবেলা কালবেলা -------৭৭৯৬ বার
লোকেন বোসের জর্নাল শ্রেষ্ঠ কবিতা ------------------৫৭৮৫ বার
সে সংকলিত (জীবনানন্দ দাশ) -----------------------১৩২৯৪ বার
তোমায় আমি সংকলিত (জীবনানন্দ দাশ) ------------২০৯৪৩ বার
একটি নক্ষত্র আসে সংকলিত (জীবনানন্দ দাশ) --------৭৯৪৩ বার
অন্য প্রেমিককে সংকলিত (জীবনানন্দ দাশ) -------৬২৬৫ বার
অন্য এক প্রেমিককে সংকলিত (জীবনানন্দ দাশ) -------৮২৪৬ বার
অদ্ভুত আঁধার এক সংকলিত (জীবনানন্দ দাশ) ------৩৭৫০৭ বার
স্বপ্ন মহাপৃথিবী -----------------------------------------------৭৭৩১ বার
স্থবির যৌবন মহাপৃথিবী ------------------------------------৭৩৭৭ বার
সূর্যসাগরতীরে মহাপৃথিবী ------------------------------------১৯৩৩ বার
সিন্ধুসারস মহাপৃথিবী -----------------------------------------৫২৫৪ বার
শ্রবণরাত মহাপৃথিবী ----------------------------------------৫৩৫৩ বার
শহর মহাপৃথিবী ----------------------------------------------৬০০৭ বার
শব মহাপৃথিবী ----------------------------------------------২৬৪৬ বার
মুহূর্ত মহাপৃথিবী ----------------------------------------৬৩৩৩ বার
বলিল অশ্বত্থ সেই মহাপৃথিবী -------------------------------২১৪২ বার
ফুটপাথে মহাপৃথিবী ----------------------------------------৫৮৩৬ বার
ফিরে এসো মহাপৃথিবী ------------------------------------৭৮৭৪ বার
ইহাদেরই কানে মহাপৃথিবী -----------------------------------৪৯৬৫ বার
আদিম দেবতারা মহাপৃথিবী ------------------------------৭৩৮০ বার
আট বছর আগে একদিন মহাপৃথিবী-----------------------৮১৯৮৯ বার
আজকের এক মুহূর্ত মহাপৃথিবী -----------------------------৬৪৬২ বার
সপ্তক সাতটি তারার তিমির ------------------------------৫৪২৫ বার
আকাশলীনা সাতটি তারার তিমির -----------------------২৮৯০৭ বার

Address

Book House
Cumilla
3623

Opening Hours

Monday 10:00 - 22:00
Tuesday 10:00 - 22:00
Wednesday 10:00 - 22:00
Thursday 10:00 - 22:00
Friday 10:00 - 22:00
Saturday 10:00 - 22:00
Sunday 10:00 - 22:00

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when গল্প আর কবিতা - Golpo R Kobita posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Videos

Share