17/12/2024
#রেজভীর_আদর্শে_মামলা_হামলার_ভয়_নাই
- মুহাম্মাদ আব্দুল আউয়াল
ওরা মুসলমান বেশে মুনাফিক। ওরা মামলা করবে, হামলা করবে এটাই স্বাভাবিক। জুলুম করা ওদের রক্তে মিশে আছে। যদিও ওরা নিজেদেরকে মজলুম দাবী করে। বাংলাদেশের সাধারণ মুসলমান অধিক সরল এবং ধর্মের গভীরতায় পৌঁছে না বলেই ওরা ধোঁকা দিয়ে বোকা বানায় সহজে। তবে সুন্নি আলেমরা থেমে থাকেননি কখনো।
সুন্নিয়ত একটা প্রবহমান স্রোতধারা। কোন বাঁধাই স্রোতধারাকে আটকাতে পারবে না যতক্ষণ পর্যন্ত ইমাম মাহদী আলাইহিস সালাম এর সাথে মিলিত না হবে। বাংলাদেশের সুন্নিয়তের ইতিহাস চোখ মেলে দেখলে তা আরো স্পষ্ট করে বুঝা যাবে।
শেরে গাজী, শেরে মিল্লাত, মুফতিয়ে বাঙ্গাল, ইমামে আহলে সুন্নাত আল্লামা আকবর আলী রেজভী রাদ্বিয়াল্লাহু তা'য়ালা আনহুর সুন্নিয়তের জন্য আন্দোলন সংগ্রামের ইতিহাস দেখুন। মামলা হামলার রেকর্ড দেখুন। শিক্ষা গ্রহণ করুন। অনুপ্রেরণা নিন।সামনে এগিয়ে চলুন। বিজয় সুনিশ্চিত। ইনশাআল্লাহ।
ঘটনা-১!!
স্বপ্নে পাওয়া ছয় উছুলের তাবলীগ হারাম। আল্লামা রেজভী ফতুয়া দিলেন সেই পাকিস্তান আমলে। ত ব লী গীরা সামরিক আদালতে মামলা করলো। আল্লামা রেজভী ভয় পাননি। হাজির হয়েছেন সামরিক আদালতে।
প্রশ্ন করা হলো- রেজভী সাব তাবলীগ করা হারাম কেন ফতুয়া দিলেন? রেজভী সাহেব বললেন- এটা স্বপ্নে পাওয়া তাই হারাম।
প্রশ্ন করা হলো- "রেজভী সাব স্বপ্ন কি সত্যি হতে পারে না? রেজভী সাহেব চুপ! দ্বিতীয় বার একই প্রশ্ন! রেজভী সাহেব চুপ! তৃতীয় বার একই প্রশ্ন! তখন রেজভী সাহেব জবাব দিলেন- "স্বপ্ন সত্যি হতে পারে। এখন আমি একটা স্বপ্ন দেখছি, আমারটা শুনবেন?"
সামরিক অফিসার বললেন - হ্যাঁ, বলেন শুনি। রেজভী সাহেব বললেন- আমি স্বপ্নে দেখছি আমাকে আদেশ করা হয়েছে যেন ছয় উছুলের তাবলীগ যারা করে তাদের জুতা দিয়া পিটাইয়া মসজিদ থেকে বের দেয়া জন্য। কারণ, তারা হান্ডি পাতিল, ঘটি বদনা নিয়ে মসজিদে ঢুকছে। আল্লাহর পবিত্র ঘর মসজিদকে হোটেল বানাইছে। রেজভী সাহেব এর কথা শুনে সামরিক আদালত চুপচাপ।
রেজভী সাহেব আরো বললেন- তাবলীগীরা তাদের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে পারলে আমি আমার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে পারবো না কেন?
আল্লামা রেজভী রাদ্বিয়াল্লাহু তা'য়ালা আনহুর বুদ্ধিমত্তা দেখে সামরিক আদালত থেকে হুজুর কিবলাকে খালাস দেয়া হয়।
ঘটনা-২!!
সেই রেজভী নামে তাবলীগীরা পেরেশান থাকতো। হত্যা চেষ্টা থেমে থাকেননি। আল্লামা রেজভী রাদ্বিয়াল্লাহু তা'য়ালা আনহুও থেমে যাননি। সুযোগ বুঝে মুনাফিকের দল হুজুর কিবলাকে মেরে বস্তায় ভরে তিতাস নদীতে ফেলে দিয়েছিল। ওরা ভেবেছি রেজভী সাহেব মরে গেছে। কিন্তু খাজা বাবা এসে নদী থেকে উদ্ধার করে দিয়ে গেছেন। তারপরও আল্লামা রেজভী থেমে থাকেননি।
ঘটনা-৩!!
সিলেটের জমিনে ওরা প্রস্তুত ছিল। সুযোগ বুঝে মুনাফিকের দল হুজুর কিবলাকে পেটের নিচে বিষাক্ত ছুরি মেরে চিরতরে পঙ্গু করে দিয়েছিল। ওরা ভাবছে রেজভী মরে যাবে। কিন্তু মদীনা ওয়ালা এবার দয়া করলেন। থেমে যাননি আল্লামা রেজভী। হুইল চেয়ার বসেই সুন্নিয়তের খিদমতে ছুটে চলেছেন সারা দেশ।
ঘটনা-৪!!
অসুস্থ অবস্থায় হুইল চেয়ারে বসে ওয়াজ করছেন টঙ্গী গাজীপুরে। তাবলীগীরা প্রশ্ন করলো- ছয় উছুলের তাবলীগ জায়েজ কি না।
হুজুর কিবলা অন্যের সাহায্য ছাড়া চলতে অক্ষম। তিনি দেখতে পারছেন চারদিকে মুনাফিকের দল আক্রমণ করার জন্য রেডি হয়ে আছে। কিন্তু হুজুর কিবলা নির্ভয়ে বলে দিলেন "স্বপ্নে পাওয়া ছয় উছুলের তাবলীগ হারাম।"
ফতুয়া বলার সাথে মুনাফিকের দল হুজুর উপরে চাদর ফেলে আঘাত করতে থাকে। হুজুর কিংবা সহ সাথীরা রক্তাক্ত হলেন।
সেদিন ইচ্ছা করলেই আল্লামা রেজভী রাদ্বিয়াল্লাহু তা'য়ালা আনহু নিজেকে বাঁচিয়ে নিতে পারতেন। কিন্তু না, তিনি তা করেননি হক্ক কথা ছাড়েননি। মৃত্যুকে তিনি জয় করেছেন নবীজীর প্রেমে।
আমরা দেখেছি আল্লামা রেজভী রাদ্বিয়াল্লাহু তা'য়ালা আনহু বিছানায় শুয়ে শুয়ে ওহাবী-মওদুদী-তাবলীগীদের মোকাবেলা করার আকাঙ্ক্ষা করতেন।
সুতরাং আল্লামা রেজভী আদর্শ অনুসরণ করলে মামলা, হামলা, মৃত্যু ভয় সুন্নিদেরকে স্পষ্ট করতে পারবে না।
বিনীত,
মুহাম্মাদ আব্দুল আউয়াল
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৪ইং