আবদুল হামিদ খান ভাসানী

আবদুল হামিদ খান ভাসানী Contact information, map and directions, contact form, opening hours, services, ratings, photos, videos and announcements from আবদুল হামিদ খান ভাসানী, West Bengal Rajshahi Siraj gong, Cumilla.

~মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী বাংলাদেশের একজন জনপ্রিয় রাজনৈতিক নেতা ছিলেন, তিনি আওয়ামী লীগ এবং ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ) এর প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি ছিলেন। এছাড়াও, তিনি অসংখ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন। আসাম বিধানসভার সদস্য~
কাজের মেয়াদ
১৯৩৬ – ১৯৪৬
প্রধানমন্ত্রী
মুহাম্মদ ছাদুল্লাহ
উত্তরসূরী
এম. এম. আবুল কাসেম
সংসদীয় এলাকা
ধুবড়ী (দক্ষিণ)
পাকিস্তানের সংসদ সদস্য
কাজের মেয়াদ
১৯

৫৪ – ১৯৫৫
গভর্নর
ইস্কান্দার মির্জা
বাংলাদেশের সংসদ সদস্য
কাজের মেয়াদ
৭ এপ্রিল ১৯৭৩ – ১৫ আগস্ট ১৯৭৫
আওয়ামী লীগের ১ম সভাপতি
সাধারণ সম্পাদক
শামসুল হক
শেখ মুজিবুর রহমান
পূর্বসূরী
অফিস প্রতিষ্ঠিত
উত্তরসূরী
হোসেন শহীদ সোহ্‌রাওয়ার্দী
ব্যক্তিগত বিবরণ
জন্ম
১২ ডিসেম্বর ১৮৮০
সিরাজগঞ্জ, বঙ্গ, ব্রিটিশ ভারত (বর্তমানে রাজশাহী, বাংলাদেশ)
মৃত্যু
১৭ নভেম্বর ১৯৭৬ (বয়স ৯৫)
ঢাকা, বাংলাদেশ
সমাধিস্থল
সন্তোষ, বাংলাদেশ, টাঙ্গাইল, বাংলাদেশ
জাতীয়তা
ব্রিটিশ ভারতীয় (১৮৮০–১৯৪৭)
পাকিস্তানি (১৯৪৭–১৯৭১)
বাংলাদেশী (১৯৭১–১৯৭৬)
রাজনৈতিক দল
ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (১৯৫৭ সাল থেকে)
আওয়ামী মুসলিম লীগ (১৯৪৯–১৯৫৭)
মুসলিম লীগ (১৯৪৭–১৯৪৯)
নিখিল ভারত মুসলিম লীগ (১৯৩০–১৯৪৯)
স্বরাজ দল (১৯২৩–১৯৩০)
ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস (১৯১৭–১৯২৩)
দাম্পত্য সঙ্গী
আলেমা খাতুন
আকলিমা খাতুন
হামিদা খাতুন
সন্তান
আবু নাসের খান ভাসানী সহ ৮ জন
পিতামাতা
হাজ্বী শরাফত আলী খান (পিতা)
মোসাম্মৎ মজিরন বিবি (মাতা)
পুরস্কার
স্বাধীনতা পুরস্কার (১৯৭৭)
একুশে পদক (২০০২)
অন্য নাম
দ্য রেড মাওলানা, মাওলানা ভাসানী
ব্যক্তিগত তথ্য
ধর্ম
ইসলাম
আখ্যা
সুন্নি
ব্যবহারশাস্ত্র
হানাফী (মাযহাব)
আন্দোলন
খিলাফত আন্দোলন
অসহযোগ আন্দোলন
বাংলা ভাষা আন্দোলন
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ
ফারাক্কা লং মার্চ
শিক্ষা
দারুল উলুম দেওবন্দ
শিক্ষক
আব্দুল বারী চিশতী
অন্য নাম
দ্য রেড মাওলানা, মাওলানা ভাসানী
মুসলিম নেতা
এর শিষ্য
সাইয়্যেদ নাসির আদ-দ্বীন আল-বাগদাদি
যার দ্বারা প্রভাবিত
আরবি নাম
ব্যক্তিগত (ইসম)
আব্দুল হামিদ
عبد الحميد
পৈত্রিক (নাসাব)
ইবনে শারাফাত ইবনে কারামাত আলী খান
إبن شرافة بن كرامة علي خان
উপাধি (লাক্বাব)
মজলুম জননেতা
مظلوم جننيتا
স্থানীয় (নিসবা)
আল-ভাসানী
الباشاني

রাত্রিতে ছোট্ট নৌকাটিতে হুজুর শুইয়াছেন, আমি শুইয়াছি, দুই মাঝি শুইয়াছে। ঝমঝম করিয়া হঠাৎ বৃষ্টি আসিয়াছে। সবাই নৌকার ছই এর ...
21/08/2024

রাত্রিতে ছোট্ট নৌকাটিতে হুজুর শুইয়াছেন, আমি শুইয়াছি, দুই মাঝি শুইয়াছে। ঝমঝম করিয়া হঠাৎ বৃষ্টি আসিয়াছে। সবাই নৌকার ছই এর মধ্যে গিয়াছি। নৌকাও তেমন সরস কিছুনা। প্রশস্ত দিকটায় হুজুর মাঝিদেরকে শুইতে দিয়াছেন। লম্বালম্বি হুজুরের পাশাপাশি আমি শুইয়াছি। পা বাড়াইয়া শোয়া যায় না। বৃষ্টিতে পা ভিজিয়া যায়। এক রাত্রি লক্ষ্য করিলাম, হুজুর পা বাড়াইয়া শুইয়া আছেন এবং তাহা দিব্যি ভিজিতেছে। আমি ডাকিলাম, হুজুর পা টানুন। হুজুর সজাগই আছেন। বলিলেন, 'বৃষ্টির পানি আপদ নাকি? তুমি খবর রাখ, এই বৃষ্টিতে মাচাং-এর কত গরু ভিজিতেছে?
[আমার ভালোবাসা মওলানা ভাসানী (বৃষ্টি-বন্যা-নদী ও তিনি); সৈয়দ ইরফানুল বারী]

১ম পর্বআমি মেজর ডালিম বলছিমেজর ডালিমবাংলাদেশের ইতিহাসের না বলা সত্যকে জানুনঅসীম শ্রদ্ধা এবং প্রত্যয়ের সাথে এই ওয়েব সাই...
20/08/2024

১ম পর্ব
আমি মেজর ডালিম বলছি
মেজর ডালিম

বাংলাদেশের ইতিহাসের না বলা সত্যকে জানুন

অসীম শ্রদ্ধা এবং প্রত্যয়ের সাথে এই ওয়েব সাইট বর্তমান এবং ভবিষ্যত প্রজন্মের তাদেরকে
উৎসর্গ করলাম; যারা স্বাধীনতা, সত্য, ন্যায় এবং অধিকারের জন্য সংগ্রাম করার সাহস রাখবেন।

বাংলাদেশ এবং স্বাধীনতার যুদ্ধ সম্পর্কে অনেক কিছু লেখা হলেও পুরো সত্য এখনো উদঘাটিত
হয়নি। যারা প্রথম থেকেই ভারতীয় নীল নকশা সম্পর্কে অবগত ছিলেন এবং শেখ মুজিবের
বিরোধিতা করেছিলেন তাদের পক্ষে বিশ্বাস করা তেমন কঠিন ছিল না যে দেশের সার্বিক অবস্থা
ক্রমান্বয়ে চরম পরিণতির দিকেই ধাবিত হবে। কিন্ত যারা শেখ মুজিবের উপর অগাধ বিশ্বাস
রেখেছিলেন তাদের পক্ষে তেমনটি যে ঘটবেই সেটা মেনে নেয়া কিছুতেই সম্ভব ছিল না।

শেখ মুজিব সাধারণ ব্যক্তি ছিলেন না। যে পদে তিনি অধিষ্ঠিত হয়েছিলেন সেটাও ছিল
অসাধারণ। সমভাবে আমাদের মুক্তিযুদ্ধের বিষয়টিও ছিল অত্যন্ত জটিল। সেদিক থেকে বিচার
করলে এই ওয়েব সাইটের মাধ্যমে বেরিয়ে আসা প্রত্যেকটি ইস্যুই বিশদ বিশ্লেষনের দাবিদার।
আন্দোলনের সময় শেখ মুজিব ছিলেন অতি জনপ্রিয় একজন কাংখিত নেতা কিন্ত
স্বাধীনতান্তোরকালে তিনিই হয়ে উঠেন জনধিকৃত নিকৃষ্টতম এক স্বৈরাচারী শাসক। তার এই দুই
বিপরীত চরিত্রের মাঝে রয়েছে এক হারিয়ে যাওয়া যোগসূত্র। শেখ মুজিবের এই চারিত্রিক
দ্বৈততাকে এক সূত্রে বেরেছিল কোন একটি বিশেষ তাড়নায় -

রাজনীতি? আদর্শ? ভীতি? হীনমন্যতাঃ আত্মন্তরিতা? উচ্চাভিলাস? পাঠক বিষয়টিকে কিভাবে দেখবেন
তার উপরেই নির্ভর করবে এর জবাব। ওয়েব সাইটের বিষয়বস্তগুলো & সমস্ত লোকদের জীবন
থেকে নেয়া যারা শুধুমাত্র নিষ্ক্রিয় নিরব দর্শক ছিলেন না। তারা সবাই ছিলেন স্বাধীনতা সংগ্রামে
প্রত্যক্ষভাবে অংশগ্রহনকারী বীর মুক্তিযোদ্ধা। তখনকার ঘটনাপ্রবাহ এবং পরবর্তীকালে স্বাধীন
বাংলাদেশের রাজনাতির সাথেও তারা ছিলেন স্বাভাবক কারণে প্রত্যক্ষ অথবা পরোক্ষভাবে
জড়িত। তাই যুক্তি্গত কারণেই মুক্তিযুদ্ধ এবং দেশ সম্পর্কে কর্তৃত্বের সাথে কথা বলার অধিকার
রয়েছে তাদের। জনগণের একাংশের মাঝে & সমস্ত বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে যে অস্বচ্ছতা রয়েছে
তা দূর করার জন্য অনেক শ্রদ্ধেয়, পদস্থ, প্রতিষ্ঠিত এবং গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির বক্তব্য এবং মতামতও
এই ওয়েব সাইটে দেয়া হয়েছে। পাঠকের উপর কোন কিছু চাপিয়ে দেয়ার অভিপ্রায়ে এই ওয়েব
সাইট প্রকাশ করা হয়নি। এর মূল লক্ষ্য হল পাঠকদের জন্য কিছু চিন্তার খোরাক যোগানো।
তখ্যবহুল ঘটনাসমূহের আলোকে তারা যেন সত্যকে খুঁজে নিতে পারেন।

যা দেখেছি যা বুঝেছি যা করেছি

পাকিস্তানের রাজনীতির পরিণাম -
স্বাধীনতার সংগ্রাম এবং আমাদের সিদ্ধান্ত

জাতীয়তাবাদী সংগ্রামের চুড়ান্ত পর্যায়েই শুরু হয়েছিল ১৯৭১ এর মুক্তিযুদ্ধ

এ অঘটন এড়ানো সম্ভব ছিল।

পাকিস্তানের মত একটি বহুজাতিক দেশের জন্য শুরু থেকেই প্রয়োজন ছিল বিভিন্ন জাতিসত্বার

এলিট শ্রেণীর মধ্যে ব্রক্যমত্যের ভিত্তিতে একটি কার্যকরী শাসন ব্যবস্থা গড়ে তোলা। এ্ুক্যমত্যের

ভিত্তিতে রাষ্ট্র পরিচালনার কৌশল এবং পরিকল্পনা নির্ধারনের জন্য যে সহযোগিতা অতি আবশ্যক
ছিল তা নিশ্চিত করার জন্য নিম্মে বর্নিত বিষয়গুলোর উপর বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করা উচিত
ছিল জাতীয় পরিসরে :-

১, সব জাতীয় এলিট শ্রেণীর সমন্বয়ে একটি প্রতিনিধিত্বকারী সরকার কায়েম করা।

২. বিভিন্ন জাতিসত্বার মধ্যে ঁক্যমত্য এবং একটি কার্যকরী ব্যবস্থা গড়ে তোলা।

৩... সর্বক্ষেত্রে একতা ভিত্তিক সহজলভ্য জাতীয় প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা।

৪. জাতির লক্ষ্য এবং আশা-আকাগ্রা বাস্তবায়নের জন্য বিভিন্ন জাতিসত্বার এলিট শ্রেণীর
জনগণকে অনুপ্রানিত করার দায়িত্ব গ্রহণ করা।
যে কোন বিছিন্নবাদী প্রচেষ্টাকে অস্কুরেই বিনষ্ট করে দেয়া; বল প্রয়োগের মাধ্যমে নয়
এবং তা ইতিবাচক পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমেই।

৬... অর্থনৈতিক সুবিধাদি যাতে জনগণ পর্যন্ত পৌঁছে তা নিশ্চিত করা। আধুনিকীকরণ এবং
উন্নয়নের সুফল সমভাবে যাতে সব জাতিগোষ্ঠিই উপভোগ করতে পারে তার ব্যবস্থা
নিশ্চিত করা। জাতীয় এলিট শ্রেণীগুলো কর্তৃক বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠির জনগণের মাঝে
জাতীয় সম্পদ ও সুবিধাদির সুষম বন্টন নিশ্চিত করা।

এ ধরণের কৌশল এবং পরিকল্পনা সব সমস্যার সমাধান অবশ্যই ছিল না, কিন্ত এর

ফলে আশা করা যেত জাতায় রাজনোতক অবকাঠামোতে বর্জনের পরিবর্তে এঁক্যের
মাধ্যমে বহুজাতিক দেশের অখন্ডতা বজিয়ে রাখা।

ধারণা করা চলে, ন্যায্য অধিকার পাবার জন্য বিভিন্ন জাতিসত্বার জনগোষ্ঠি কিছুকাল হয়তো বা
প্রলম্বিত শিল্পায়নের পরিকল্পনা এবং স্তিমিত আধুনিকীকরণ প্রক্রিয়াকেও মেনে নিত। যে কোন
ব্যক্তির পক্ষে একটি ন্যায়ভিত্তিক সমাজে দরিদ্র হয়ে থাকাটা সহনীয় হয় তখনই যখন তার
পড়শীরা সমাজে অর্জিত ধন-সম্পদের বড়াই করার সুযোগ না পায়। একটি দেশ উন্নত হতে
পারে শুধুমাত্র শুক্যের ভিত্তিতে। বৈষম্য এবং বিভক্তি এক অথবা একাধিক জাতিগত রাষ্ট্রের জন্ম
দেয়। ফলে সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগোষ্ঠিরই হয় সমূহ ক্ষতি।

এ জন্যই বহুজাতিক একটি দেশের এলিট শ্রেণীদের ব্রক্যবদ্ধভাবে কাজ করা অপরিহার্য হয়ে
দাড়ায় শ্রেণী স্বার্থ এবং জাতীয় স্বার্থ দু'টোই বজিয়ে রাখার জন্য। কোন এক বিশেষ পর্যায়ে
তারা অবশ্যই নিজ নিজ জাতি স্বার্থে একে অপরের সাথে দ্বন্দবে লিপ্ত হতে পারেন। কিন্ত

কোনক্রমেই তাদের একে অপরের সহ্যশক্তি ও বোঝাপড়ার ক্ষমতার প্রতি সন্দেহ পোষণ করা
উচিত নয়। তেমনটি হলে বিচ্ছিন্নবাদের বিপদসংকুল একতরফা রাস্তা অবশ্যই খুলে যাবে।

তথাকথিত ইসলাম ও ইসলামিক রাষ্ট্রের ধ্বজ্জাধারী পাঞ্জাবী-মোহাজের নিয়ন্ত্রিত কেন্দ্রীয় সরকার
শুরু থেকেই বাঙ্গালীদের নিঃস্ব, হীনমনা এবং পশ্চাদমূথী জনগোষ্ঠি হিসাবে গন্য করে আসছিলেন।
তারা মনে করতেন বাঙ্গালী জনগোষ্ঠি পশ্চিম পাকিস্তানের উপর একটি বোবাস্বরূপ। তারা বিশ্বাস
করতেন পাকিস্তানী জাতীয়তাবাদ এবং অর্থনৈতিক উন্নতির সাথে বাঙ্গালীর জাতিগত চেতনা এবং

তাদের হিন্দুয়ানী মনোভাব সঙ্গতিপূর্ণ নয়।

যাই হোক না কেন, এ কথা অস্বীকার করার কোন উপায় নেই যে আইয়ুব খানের প্রণীত
অর্থনীতির ফলে পূর্ব পাকিস্তানে শিল্প উদ্যোগীর সংখ্যা তুলনামূলকভাবে বৃদ্ধি পায়। কিন্তু ₹ঁ সমস্ত
উদীয়মান শিল্প উদ্যোগীরা সরকারি মদদ এবং পৃষ্ঠপোষকতায় বেড়ে উঠা পশ্চিম পাকিস্তানী
শিল্পপতিদের সাথে প্রতিযোগিতায় টিকতে না পেরে বাঙ্গালী জাতীয়তাবাদী রাজনীতিবিদ যারা
আঞ্চলিক স্বায়ত্বশাসনের জন্য সংগ্রাম করেছিলেন তাদের সাথে হাত মেলান। সমস্তস বাঙ্গালী
শিল্পপতিরা ইস্পোর্ট লাইসেন্স এবং বৈদেশিক মুদ্রার কোটা বাড়াবার জন্য ৯ আন্দোলনকে কেন্দ্রের
উপর চাপ প্রয়োগকারী হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করতে থাকেন। শেষ পর্যায়ে আঞ্চলিক
্বায়স্বশাসনের দাবি বাঙ্গালী জাতির বিভিন্ন শ্রেণীকে একক একটি রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্মে উক্যবদ্ধ
করতে সক্ষম হয়। পশ্চিম পাকিস্তানী এলিট শাসক শ্রেণী অসঙ্গতভাবে তাদের বাঙ্গালী দোসরদের
হীনমন্য, পশ্চাদমূখী এবং হিন্দু মনোভাবাপন্ন বলে চিহিত করেন। এই ধরণের মনোভাব
বিচ্ছিন্নতাবাদী চেতনার উন্মেষ ঘটাতে বিশেষভাবে সাহায্য করে। তদপুরি শেখ মুজিবের বিচার
দেশের নাজুক শুঁক্যের উপর হানে চরম আঘাত। এখানে আবারও উল্লেখ করতে হয় মুজিবের ৬
দফায় কোন নতুন কিছু ছিল না। অতীতে বহুবার এ ধরণের দাবিসমূহ বাঙ্গালী সাংসদগন
কেন্দ্রীয় সংসদে উত্থাপন করেছিলেন। আগরতলা ষড়যন্ত্রে ঘোষণার সময়টি ছিল অতীব
গুরুত্বপূর্ণ। এ ঘোষণাটি করা হয় এমন এক সময় যখন সারা দেশ জুড়ে এক জটিল রাজনৈতিক
সমস্যা বিরাজমান। দেশ জুড়ে জনগণ তখন আইয়ুব শাহীর নিষ্পেষন এবং স্বৈরাচারী শাসনের
বিরুদ্ধে বিদ্রোহী হয়ে উঠেছে।

আইয়ুব শাহী আঞ্চলিক বৈষম্য দূরীকরণের কোন প্রচেষ্টাতো করেইনি বরং পাঞ্জাবী-মোহাজের
এলিট শ্রেণীর কায়েমী স্বার্থকে লালন করে তাদের আধিপত্যকে আরো সুসংহত করে তোলে।
সামরিক শাসনকালে কেন্দ্রীয় প্রশাসনে বাঙ্গালীদের প্রতিনিধিত্ব একরকম ছিলনা বললেই চলে।
ষাটের দশকে যখন বাঙ্গালীদের ধৈর্যের বার্ধ প্রায় ভেঙ্গে পড়ছিল ঠিক তখনই পাকিস্তানের
কেন্দ্রীয় শাসকগোষ্ঠি কর্তৃক বাঙ্গালী রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দকে বিশ্বাসঘাতক এবং শক্রশক্তি ভারতের
দালাল হিসাবে আখ্যায়িত করার ফলে অবস্থার আরো অবনতি ঘটে। বাংলাভাষী জনগণ যারা
্যার্থহীনভাবে ১৯৪৭ সালে পাকিস্তানের পক্ষে ছিলেন তারা পশ্চিমা শাসকগোষ্ঠির কাছ থেকে এ
ধরণের ব্যবহার কখনোই প্রত্যাশা করেনি। পাকিস্তানের সৃষ্টিতে বাঙ্গালী জনগোষ্ঠি সবিশেষ
গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এ সত্যটিই অতি সহজে ভূলে গিয়েছিলেন পশ্চিমা শাসকগন।
যদিও বাহ্যিকভাবে মুজিবের দাবিগুলো ছিল চরম প্রকৃতির। পাকিস্তান তখনও ছিল অভিপ্রিয়
প্রতিটি বাঙ্গালীর কাছে। বাঙ্গালী জনগণ শুধু চেয়েছিল রাষ্ট্র পরিচালনার ক্ষেত্রে মত প্রকাশের
ন্যায্য অধিকার। তারা চেয়েছিল সাম্য ও সংহতির উপর একটি রাজনৈতিক কাঠামো।

তারা চাইছিল স্বৈরাচারী একনায়কত্বের পরিবর্তে একটি গণতান্ত্রিক সরকার। স্বৈরাচারী একনায়কন্ব
তাদের অতীতের হিন্দু আধিপত্য ও অত্যাচার এবং ওঁপনিবেশিক শোষণকেই জোরালোভাবে মনে
করিয়ে দিয়েছিল। এ থেকে এটাই পরিষ্কারভাবে বলা চলে, বাঙ্গালীরা সুচিন্তিত কতগুলো লক্ষ্যের
বাস্তবায়নের জন্যই মূলতঃ সংগ্রাম করছিল। কোন স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্টা করার জন্য নয়। এটা
জোর দিয়েই বলা চলে যে, আইয়ুব শাহীর পতনকালে পূর্ব পাকিস্তনের বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়াটা মোটেই
অবধারিত পরিণতি ছিল না। জাতীয় রাজনীতি এবং অর্থনীতিতে বাঙ্গালীদের অংশদারিষ্বের
অধিকার থেকে বঞ্চিত রেখে ক্ষমতাধর শাসকচক্র বাঙ্গালী এলিট শ্রেণীকে জনগণের আন্দোলনের
প্রতিই ঠেলে দিয়েছিল এবং তাদের নৃতাস্বিক, সাংস্কৃতিক এবং ভাষাগত বৈষসম্যকে পূর্ন:জীবিত
করার আন্দোলনে নেতৃত্ব দিতে বাধ্য করেছিল জাতীয় এ্ঁক্যের বিরুদ্ধে। এ থেকে পরিশেষে এটাই
বলা চলে যে অসম উন্নয়নই বাধ্য করেছিল বাঙ্গালী এলিট শ্রেণীকে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে জনগণের

সাথে প্রক্যবদ্ধ হতে এবং জাতায়তাবাদা চেতনার পারবতে বাঙ্গালাস্বকে উস্কে 1দতে।

বাঙ্গালীত্বের চেতনাই তখন আঠারমত বাঙ্গালী এলিট শ্রেণীকে জনগণের সাথে এক অটুট বন্ধনে
বের্েছিল। অসম উন্নয়ন, শোষণ, বঞ্চনা, এবং নৃতাত্বিক চেতনা & ধরণের লোভী জোঁক যা একে
অপরকে শুষে বেচে থাকে সেই সময় অব্দি যখন সশক্্র সংঘাত অথবা গণঅভ্যুত্থানের বিকল্প
কোন পথই খোলা থাকে না। দুঃখজনক হলেও সত্য পাকিস্তানও ঠিক সেই সন্ধিষ্ষণে পৌঁছে
অপরিহার্য এক মহা বিপর্যয়ের অপেক্ষা করছিল ষাটের দশকের শেষে। অন্তিম অবস্থায় সামরিক
জান্তা রাজনৈতিক সমস্যার সমাধান বন্দুকের জোরে করার সিদ্ধান্ত নেয়। শুরু হয় ২৫-২৬শে
মার্চ ১৯৭১ এর আর্মি ক্র্যাকভাউন। পাকিস্তান সেনা বাহিনী বাঙ্গালীদের আন্দোলন নস্যাৎ করার
জন্য বর্বরোচিত সশস্ত্র অভিযান শুরু করে সমগ্র বাঙ্গালী জাতির বিরুদ্ধে। এভাবেই অনিবার্য হয়ে
উঠে দেশ বিভক্তি।

হুজুর জীবনে বহুবার এতেকাফ করিয়াছেন। সর্বশেষ ১৯৭৫ সালে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় জামে মসজিদে এতেকাফ করেন। যদিও এতেকাফে অত্যন্ত...
20/08/2024

হুজুর জীবনে বহুবার এতেকাফ করিয়াছেন। সর্বশেষ ১৯৭৫ সালে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় জামে মসজিদে এতেকাফ করেন। যদিও এতেকাফে অত্যন্ত প্রয়োজনীয় কথাবার্তা বলার অনুমতি প্রদান করা হইয়াছে, কিন্তু হুজুর এতেকাফে থাকাকালীন একেবারেই কথাবার্তা বলিতেন না। যাহা বলিবার প্রয়োজন পড়িত কাগজে লিখিয়া দিতেন। প্রশ্নোত্তর সবকিছুই লেখালেখিতে চলিত। ১৯৭৫ সালের রমজানে হুজুর যখন এতেকাফে ছিলেন তখন আমার আগ্রহ জন্মিল, এতেকাফে হইতে বাহির হইয়া আসিয়া হুজুর অতি প্রথম কোন্‌ প্রসঙ্গে কথা বলেন তাহা নোট করিয়া রাখিতে হইবে। সেইবার হুজুর এতেকাফে থাকাকালীন হুজুরের একজন মুরিদ আসিয়া আমাকে জানাইলেন- তাঁহার স্ত্রীর প্রসব বেদনা আজ তিন দিন। কিন্তু সন্তান প্রসব হইতেছে না। আমি কাগজে লিখিয়া হুজুর কে তা জানাইলাম। হুজুর আমাকে সাতটি রক্তজবা ফুল লইয়া যাইতে লিখিলেন। আমি লইয়া গেলাম এবং হুজুর তাহাতে দম দিয়া দিলেন। মুরিদ বরাবর লিখিয়া দিলেন, জবা ফুলগুলি পিষিয়া প্রসূতির পেটে প্রলেপ দিতে হইবে। ঘটনার তিন দিন পর এতেকাফ হইতে বাহির হইয়া হুজুর প্রথমেই আমাকে জিজ্ঞেসা করিলেন, মেয়েলোকটির প্রসবের খবর কি? আমি তো ভ্যাবাচ্যাকা খাইয়া হুজুরের দিকে ব্ল্যাঙ্ক দৃষ্টিতে তাকাইয়া রহিলাম। হুজুর ব্যাপার বুঝিলেন এবং বলিলেন, তোমারাই আবার মানুষ হবা!
[রমজানের দিবারাত্রি, মুর্শিদ মওলানা; সাপ্তাহিক হক কথা]

মাত্র চৌদ্দ বছর বয়সে পীর নাসির উদ্দীনের কাছ থেকে তিনি যে ‘ইলমে তাসাওয়াফ’র দীক্ষা নিয়েছিলেন, দেওবন্দ মাদ্রাসা থেকে যে সাম...
19/08/2024

মাত্র চৌদ্দ বছর বয়সে পীর নাসির উদ্দীনের কাছ থেকে তিনি যে ‘ইলমে তাসাওয়াফ’র দীক্ষা নিয়েছিলেন, দেওবন্দ মাদ্রাসা থেকে যে সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী শিক্ষা অর্জন করেছিলেন এবং মওলানা আজাদ সোবহানীর হাতে রব্বানী দর্শনের দীক্ষা নিয়েছিলেন- তারই পরিণতিতে তিনি এক অসাধারণ বিপ্লবী নেতায় পরিণত হন। প্রখ্যাত সাহাবা হযরত আবুজর গিফারী (রাঃ) কর্তৃক ব্যাখ্যাকৃত ইসলামের শাশ্বত অর্থনৈতিক দর্শন তাঁকে শোষণহীন সমাজ, সাম্যের সমাজ গড়ে তোলার পথে এগিয়ে নিয়ে যায়। তাঁর দীর্ঘ কর্মময় জীবনের সূচনা হয়েছিল গৃহত্যাগ করার মধ্য দিয়ে আর পরিসমাপ্তি ঘটেছিল ‘খোদায়ী খিদমতগার’ গঠনের মাধ্যমে। মওলানা ভাসানী ইসলামের সেই বিপ্লবী ধারায় উজ্জীবিত হয়েছিলেন, যে ধারায় ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন ইমাম আবু হানিফা (রাঃ), খাজা মঈনউদ্দীন চিশতী (রহঃ), হযরত শাহ ওয়ালিউল্লাহ (রহঃ), তিতুমীর, সৈয়দ আহমদ বেরেল্ভীসহ বিভিন্ন যুগের বিভিন্ন আলেম। মূলত তাঁদের ত্যাগই মওলানাকে উদ্বুদ্ধ করেছিল অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে, জুলুম-নির্যাতন ও শোষনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে। তিনি মনে করতেন ধর্ম হচ্ছে মানুষের ইহলৌকিক, পারলৌকিক ও আধ্যাত্মিক মুক্তির একমাত্র পথ। প্রচলিত বাম রাজনীতির সাথে তাঁর রাজনৈতিক দর্শনের পার্থক্য ছিল। তিনি মনে করতেন, ‘ওরা (কমিউনিস্টরা) আল্লাহ মানে না’। মওলানার রাজনৈতিক গুরু আল্লামা আজাদ সোবহানীকে লোকেরা বলত কমিউনিস্ট। তিনি বলতেন, ‘হ্যা আমি কমিউনিস্ট, but with Allah (তবে আল্লাহ সহ)’। মওলানার রাজনৈতিক দর্শন পর্যালোচনা করলে এই ব্যাপারটি ফুটে উঠে।
[বাংলাদেশের বাম রাজনীতি ও মওলানা ভাসানী, সৈয়দ ওয়াকিল হাসান]

আওয়ামি লিগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের চিত্রপাপের ফল তাইনা-
19/08/2024

আওয়ামি লিগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের চিত্র
পাপের ফল তাইনা-

19/08/2024

❝শেখ মুজিবুরের অবদান:❞

* যুদ্ধের সময় জনগণকে রেখে পাকিস্তানের কাছে ধরণা দিয়েছিল,নিজেকে আর পরিবারকে বাঁচাতে।
১) ক্ষমতার লোভে জাসদের ৩০ হাজার নেতাকর্মিকে গ্রেপ্তার করেছিলো
২) সিরাজ শিকদার এর মত বিপ্লবী কে ক্রসফায়ার করে হত্যা করেছিলো
৩) বাকশাল গঠন করেছিলো সমস্ত রাজনৈতিক দল কে নিষিদ্ধ করেছিলো
৪) অবহেলায় ১৯৭৪ এ দূরভিক্ষে ১৭ হাজার মারা গিয়েছিলো
৫) তার রাজনৈতিক গুরু আওয়ামী লীগ এর প্রতিষ্ঠাতা মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী কে অপমান করে দল থেকে বের হয়ে যেতে বাধ্য করেছিলেন
৬) তাজউদ্দিন আহমেদ কে প্রধানমন্ত্রী এর পদ থেকে সরিয়ে নিজেই প্রদান মন্ত্রি হয়েছিলেন
৭) সিনিয়র সব নেতার সাথে খারাপ ব্যাবহার করতেন তাদের তুই বলে সম্বোধন করতো
৮) তার ছেলে শেখ কামাল ব্যাংক ডাকাতি করতে গিয়ে পুলিশ চিনতে না পেরে গুলি করেছিলো
৯) তার মৃত্যুর তখনকার সাধারণ মানুষ খুসি হয়েছিলো তার দলের কোন নেতাকর্মি দেখতে আসেনি আমেরিকার বিখ্যাত চ্যানেল নিউজ করেছিলো মনে হচ্ছে এই শহরে কিছুই ঘটেনি
১০) তার মৃত্যুর পর তখনকার মন্ত্রিপরিষদ এর স্পিকার আব্দুল মালেক উকিল বলেছিলো দেশ একটা ফেরাউন এর হাত থেকে মুক্তি পেয়েছে
১১) ক্ষমতা পাকাপোক্ত করার জন্য রক্ষি বাহিনী গঠন করেছিলো এবং দেশব্যাপী সরকার বিরোধী দের হত্যা এবং নির্যাতন করেছিলো
১২) জনগনের ত্রান-সাহায্য লুট করেছিলো

১৫ ই আগষ্ট জাতীয় মিরজাফর মুক্ত দিবশ হোক।

যাহোক আমি ইতিহাসবেত্তা নই, রাজনৈতিক আন্দোলনের ভাষ্যকারও নই। আমি হাড়ে হাড়ে রাজনীতিবিদ থাকতে চাই এবং অহিংসার বানী নয় বি...
19/08/2024

যাহোক আমি ইতিহাসবেত্তা নই, রাজনৈতিক আন্দোলনের ভাষ্যকারও নই। আমি হাড়ে হাড়ে রাজনীতিবিদ থাকতে চাই এবং অহিংসার বানী নয় বিপ্লবের মন্ত্রে উদ্দীপিত হইয়া আন্দোলন চালাইয়া যাইতে চাই।
-মওলানা ভাসানী

19/08/2024

জহির রায়হান স্বাধীন বাংলার প্রথম গুম শিকার হয়।
কিন্ত শেখ মুজিব বলে বাড়ি থেকে চলে গেছে।
একজন মেধাবী ট্যালেন্টফুল ছিলেন,তার কাছেই বঙ্গবন্ধুর কুর্কিতীর সব ফাইল ছিলো

19/08/2024

❝বঙ্গবন্ধু ছিলেন একজন ভন্ড স্বৈরাশাসক ❞

১৯৭৪, ঢাকা।

শেখ মুজিবের শাসন কাল।

অস্ট্রেলিয়ার সাংবাদিক জন পিলজার একটা মেয়ের আঙুল ধরলেন। মানুষ তো জন্মের পর বড় হয়, তার মনে হলো, এই মেয়েটা জন্মের পর বড় হয়নি। বরং দিনদিন আরো ছোট হতে হতে মায়ের পেটের সাইজে ফিরে গেছে।

হাজার হাজার মহিলা অর্ধনগ্ন। বাংলাদেশের মতো কনজার্ভেটিভ একটা দেশে মেয়েদের গায়ের পোশাক কই? শুনলেন, এসব মানুষ খাবার কিনে খাওয়ার জন্য নিজের গায়ের কাপড় পর্যন্ত বিক্রি করে দিয়েছে।

আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলামের কর্মীরা ব্যস্ততার ঠেলায় চোখে দেখছেন না। আগে যেখানে কয়েকটা লাশ তাদের কুড়াতে হতো, এখন কুড়াতে হচ্ছে ৬০০। সবটাই অনাহারে মৃত্যু।

গায়ের কাপড় বিক্রি করে খাবার কিনে খেয়েছিলেন বাসন্তী। এরপর জাল দিয়ে জড়িয়ে নিজের লজ্জা নিবারণের চেষ্টা করলেন। সেই ছবি প্রকাশ হলো দৈনিক ইত্তেফাকে।

মানুষ ঘাস খেতে শুরু করলো।

কবি রফিক আজাদ লিখলেন, ভাত দে হারামজাদা নইলে মানচিত্র খাবো।

যতটুকু যা সাহায্য আসতো, সব লুট করে ফেলতো আওয়ামীলীগের লোকজন। ফলাফল হলো, কোন দেশ সাহায্যও করতে চাইতো না আর।

মুজিব এসময় ঢং করে করে সবাই পেয়েছে সোনৃর খনি আমি পেলাম চোরের খনি টাইপের কথা বলার চেষ্টা করেন। তার মেয়ের মতোই ভিক্টিম কার্ড খেলার চেষ্টা করলেন। যাতে সবাই তাকে দোষী না ভেবে দোষী ভাবে অন্যান্য লোকজনকে।

কিন্তু সোনার খনি আসলে কোথায় ছিলো জানেন?

মুজিবের বাসায়। গণভবনে।

১৯৭৪ এর ডিসেম্বর পর্যন্ত যে দেশের মহিলারা পরনের কাপড় বিক্রি করে ভাত কিনে খেলো, সেই দেশেই মুজিবের দুই ছেলের বিবাহ হলো সোনার মুকুট পরে।

না না। মেটাফোরিক না। আসলেই মুজিবের দুই ছেলে শেখ কামাল আর শেখ জামালের মাথায় সোনার মুকুট ছিলো।

জিয়াউর রহমানের মৃত্যুর পর হুমায়ূন আহমেদ কী লিখেছেন, মনে আছে?

জিয়া মানুষটা সৎ ছিলেন। লোক দেখানো সৎ না। সত্যি সত্যি সৎ। মৃত্যুর পর সম্পদের খোঁজ করতে গিয়ে দেখা গেল, জিয়া তাঁর পরিবারের জন্য কোন অর্থ সম্পদ রেখে যান নাই।

হুমায়ূন আহমেদ এখানে জিয়ার কথা বললেও বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুর পরের কথা এড়িয়ে গেছেন।

শেখ মুজিবের মৃত্যুর পর তাঁর বাসা থেকে উদ্ধার করা হয়েছিলো ৫০৩ ভরি সোনা। আর ৪ হাজার ভরি রূপা।
নগদ টাকা তো ছিলোই।

শেখ হাসিনা দেশে ফিরে আসার পর জিয়াউর রহমান এই ৫০৩ ভরি সোনাই শেখ হাসিনার হাতে বুঝিয়ে দেন। শেখ হাসিনাও বুঝিয়া পাইলাম সাইন করে ৫০৩ ভরি সোনা আর ৪ হাজার ভরি রূপা বুঝে নেন জিয়াউর রহমানের কাছে থেকে।

শেখ মুজিবের সেই সময়কার বক্তব্য অনেকেই শেয়ার দেন। সবাই পেল সোনার খনি, আমি পেলাম চোরের খনি টাইপের চটুল বক্তব্য। শুনে অনেকেই গলে যান।

অথচ মুজিবও সোনার খনিই পেয়েছিলেন।

না হলে যেই সময়টাতে এই দেশের লাখ লাখ নারী তাদের পরনের কাপড় বিক্রি করে চাল কিনছেন, রংপুরের কবি রফিক আজাদ লিখলেন, ভাত দে হারামাজাদা, নইলে মানচিত্র চিবিয়ে খাবো।

ঐ সময় এই দেশের প্রধানমন্ত্রীর বাসায় সোনার খনি কই থেকে আসে?

19/08/2024

১৫ আগস্ট ১৯৭৫ সকাল বেলা মেজর ডালিম , খন্দকার মোশতাক ও তিন বাহিনী সদস্যের ভাষণ ।

সময়টা ১৯৭৪রংপুরের বাসন্তী নামের এই নারীর ছবি ছড়িয়ে পড়ে বিশ্বে। যেখানে বাসন্তী কে খাবার ও বস্ত্রের অভাবে ছেড়া জাল পড়ে থ...
18/08/2024

সময়টা ১৯৭৪
রংপুরের বাসন্তী নামের এই নারীর ছবি ছড়িয়ে পড়ে বিশ্বে। যেখানে বাসন্তী কে খাবার ও বস্ত্রের অভাবে ছেড়া জাল পড়ে থাকতে হয়

কারো জানার থাকলে গুগল করতে পারেন

চুয়াডাঙ্গা সীমান্ত দিয়ে ভারতে পালানোর সময় আওয়ামী লীগের দুই নেতা আটকচুয়াডাঙ্গা  (১৮-০৮-২০২৪): অবৈধভাবে ভারতে পালানোর সম...
18/08/2024

চুয়াডাঙ্গা সীমান্ত দিয়ে ভারতে পালানোর সময় আওয়ামী লীগের দুই নেতা আটক

চুয়াডাঙ্গা (১৮-০৮-২০২৪): অবৈধভাবে ভারতে পালানোর সময় ফজলুল হক (৩৭) ও বুলবুল আহমেদ (৪০) নামে আওয়ামী লীগের দুই নেতাকে আটক করেছে বিজিবি। আজ রবিবার (১৮ আগস্ট) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে চুয়াডাঙ্গার দর্শনা সীমান্ত থেকে তাদের আটক করা হয়।

চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবি অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাঈদ মোহাম্মাদ জাহিদুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

আটকরা হলেন- ফজলুল হক রাজশাহী জেলার বাগমারা থানার খাজুরা গ্রামের মনির হকের ছেলে ও কুষ্টিয়া জেলার ভেড়ামারা থানার কাজিহাটা গ্রামের আশরাফুল আহমেদের ছেলে বুলবুল আহমেদ।

বিজিবি জানায়, রোববার দুপুরে দর্শনা সীমান্তের ৭৬ নম্বর মেইল পিলারের পাশ দিয়ে পাসপোর্ট নিয়ে ভিসা ছাড়াই অবৈধভাবে ভারতে পালিয়ে যাচ্ছিল এ দু'জন। এ সময় বিজিবির টহল দলের কাছে ধরা তারা পড়ে।

এ সময় তল্লাশি করে তাদের কাছ থেকে মোবাইল ফোন, ল্যাপটপসহ গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র উদ্ধার করা হয়েছে।

শেখ হাসিনা সবচে বেশি অহংকার করতো, "শেখ হাসিনা পালায় না।" কথাটা নিয়ে। আর তাচ্ছিল্য করতো তারেক রহমানের লন্ডন থেকে দল পরি...
18/08/2024

শেখ হাসিনা সবচে বেশি অহংকার করতো, "শেখ হাসিনা পালায় না।" কথাটা নিয়ে। আর তাচ্ছিল্য করতো তারেক রহমানের লন্ডন থেকে দল পরিচালনা করা নিয়ে।

নিয়তির কী নির্মম পরিহাস, শেখ হাসিনা নিজেও আজ পলাতক। তার ছেলে এখন বিদেশ থেকে ভিডিও বার্তা দিয়ে দল চালাচ্ছেন।

ওবায়দুল কাদেরের অহংকারটা ছিলো আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক শক্তি নিয়ে।

তাচ্ছিল্য করতেন বিএনপি আন্দোলন করতে পারে না। মাঠে নামতে পারে না।

সেই ওবায়দুল কাদের নিজেও শুনেছি পালাতে যাইয়া ধরা খেয়ে কোন এক ক্যান্টনমেন্টে আছেন। সংগঠন তারে বাঁচাতে পারে নাই।

আনিসুল হকের একটা চেম্বার ছিলো। আপনার নামে যে মামলাই হোক, উনার চেম্বার যাইয়া টাকা দিয়ে আসলেই আপনার প্রবলেম সলভ।

সেই আনিসুল হক এখন জেলে আছেন। রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।

আইন বিভাগের একচ্ছত্র অধিপতি এই লোকটাকেও আইন কোন হেল্প করতে পারতেছে না।

অহংকার জিনিসটার সবচে বড় সৌন্দর্য কী জানেন? সব পাপের শাস্তি আখিরাতে হলেও অহংকারের শাস্তিটা হয় দুনিয়াতেই।

এন্ড এক্সাক্টলি যেই জিনিসটা নিয়ে আপনি সবচে বেশি অহংকার করবেন না? সেই জিনিসটা দিয়েই আপনাকে সবচে বেশি লজ্জিত করা হবে।

আওয়ামীলীগ নেতাদের কাছে সবচে বড় অহংকারের নাম ছিলো শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনা সব পারে, সব ম্যানেজ করতে পারে টাইপ কথাবার্তা তো শুনেছেনই। সেই শেখ হাসিনাই এখন আওয়ামীলীগের কাছে সবচে বড় লজ্জা।

দেশের মানুষ তো দূরের কথা, ইভেন নিজের একটা নেতাকর্মীর কথাও না ভেবে পালাইয়া গেছেন।

শেখ হাসিনার আরো একটা অহংকার ছিলো তার বাবা। বাবাকে বড় করতে যাইয়া জিয়াকে রাজাকার বলেছেন, খালেদা জিয়ার ক্যারেক্টার নিয়েও ইভেন কথা বলেছেন।

বাট শেষে কী হলো?

মানুষ এখন মুজিবের কুকীর্তী আর হাসিনার চরিত্র নিয়েই কথা বলতেছে।

এক মহিলা টিভিতে নিজের নাম বলেননি কারণ তার নাম হাসিনা।

নিজেকে ১৫ বছর ধরে হাসিনা খোদা বানানোর চেষ্টা করে গেছেন, সেই হাসিনাকে জাস্ট ২ ঘন্টার মধ্যে আল্লাহ তাআলা শয়তান বানিয়ে ফেলেছেন।

যে শেখ মুজিব ৫ আগস্ট সকাল থেকেও দেবতার আসনে, সেই শেখ মুজিবকে এখন তুলনা করা হচ্ছে ইবলিসের সাথে। ক্যান ইউ ইমাজিন?

অহংকারের এমন করুণ পতন দেখতে পারাটাও কিন্তু একটা নিয়ামত।

ফেরাউন দেখার পর যেমন চাইলেও আরেকজন ফেরাউন হওয়া কঠিন।

তেমনি হাসিনা আর মুজিবের এই করুণ পরিণতি আশা করি আমাদেরকেও আরেকজন হাসিনা হওয়ার হাত থেকে বাঁচাবে।

মুসলিম লীগ কি কি ভুল করেছিল তার একটা হিসাব নিলেই আমাদের পক্ষে সাবধান হওয়া সহজ হবে বলে নিম্নে আমার জ্ঞানবুদ্ধিমত মুসলিম ল...
18/08/2024

মুসলিম লীগ কি কি ভুল করেছিল তার একটা হিসাব নিলেই আমাদের পক্ষে সাবধান হওয়া সহজ হবে বলে নিম্নে আমার জ্ঞানবুদ্ধিমত মুসলিম লীগের ভুলগুলি একে একে বলছি।
প্রথমত : ক্ষমতা তাদের মাথা গুলিয়ে দিয়েছিল। তার প্রমাণ পূর্ব পাকিস্তানের সাড়ে চার কোটি লোকের মতামত না নিয়ে মুসলিম লীগ করাচীতে রাজধানী নিয়ে গেল, উর্দু রাষ্ট্রভাষা হবে বলে ঘোষণা করলো এবং সর্বোপরি পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তানের অর্থ ও চাকুরি বণ্টনে বৈষম্যমূলক নীতি অনুসরণ করে চললো।
দ্বিতীয়ত : তাঁরা ব্যক্তিগত বা দলগত স্বার্থরক্ষার জন্য রাজনীতিতে ধর্মকে টেনে আনলেন। নিছক রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান হিসাবে যার জন্ম সেই মুসলিম লীগের দোষ ত্রুটির ন্যায্য সমালোচনাকে তাঁরা ইসলাম বিরোধিতা, রাষ্ট্রদ্রোহিতা প্রভৃতি আখ্যায় আখ্যায়িত করে জনমনে একটি ত্রাসের সঞ্চার করবার প্রচেষ্টায় মত্ত হলো।
তৃতীয়ত : মুসলিম লীগ নেতাদের অধিকাংশের ব্যক্তিগত জীবনে ইসলামের কোন অনুশাসন রক্ষিত হওয়ার নামমাত্র চিহ্ন পরিলক্ষিত না হলেও, তাঁরা রাজনৈতিক সভা-সমিতিকে প্রধানত ধর্মমূলক ওয়াজ-নসীহতের জলসায় পরিণত করলেন।
চতুর্থত : মুসলমানের আল্লাহ্‌ এক, ধর্ম এক, রসুল এক এবং কেতাব এক এই যুক্তিতে রাজনৈতিক দলও হবে এক বলে প্রচার চালালেন তাঁরা। একই যুক্তিতে তাঁরা বলে যেতে লাগলেন- বিরোধী দলমাত্রই রাষ্ট্রদ্রোহী।
পঞ্চমত : মুসলিম লীগের কর্ণধারগণ পাকিস্তানকে তাদের ব্যক্তিগত জমিদারী মনে করে নিজেদের ব্যাঙ্ক-ব্যালেন্স এবং স্থাবর অস্থাবর সম্পত্তি-বৃদ্ধির জন্য স্বজনপ্রীতিতে গা ভাসিয়ে দিলেন। এ অবস্থা যখন সরকারী কর্মচারিগণের চোখে ধরা পড়লো তখন তাদের অনেকে সম্পদ লুণ্ঠনের কার্য্যে অবতীর্ণ হলেন।
[কাগমারীতে অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগ কাউন্সিল অধিবেশনে সভাপতির ভাষণে মওলানা ভাসানী, (৫-৬ ফেব্রুয়ারি, ১৯৫৭); সূত্রঃ আবদুল হামিদ খান ভাসানী ভাষণ ও বিবৃতি]

মওলানার টুপিওয়ালা উঁচু মাথাটি যেনএক হারিয়ে যাওয়া পর্বতের স্মৃতি। আমি এই পর্বতের পাশে মাঝে মধ্যে যেতামস্নিগ্ধ, যেন নিজের ...
18/08/2024

মওলানার টুপিওয়ালা উঁচু মাথাটি যেন
এক হারিয়ে যাওয়া পর্বতের স্মৃতি।
আমি এই পর্বতের পাশে মাঝে মধ্যে যেতাম
স্নিগ্ধ, যেন নিজের মধ্যে সমাহিত এক বাতাসের ফুৎকার।
বলতেন, কবিতা দিয়ে কি হবে? আগে চাই স্বাধীনতা
তারপর ভাতকাপড়।
স্বাধীনতা আর ভাত কাপড়ের পর আপনার আর কী চাই মওলানা?
নিরুত্তর মওলানা আমার বোনের রেঁধে দেওয়া গলদা চিংড়ির
মালাইকারীর পেয়ালা উবুড় করে ঢেলে নিতেন পাতে
প্রাচীন অজগরের মতো নিঃশব্দ আহার
আহারের পর দাঁত আর দাড়িতে খেলাল।

বলুন এখন, এ অবস্থার মানুষের আর কি চাই—
—না, এবার তুমি আমাকে যা খুশি শোনাতে পারো
এমনকি তোমার ডায়রিটা খুলে
আবোল-তাবোল যা খুশি।

আমার খাতাটি খোলার আগেই তিনি ঘুমিয়ে পড়তেন।
যেন রহস্যময় দূরাগত ভাঙনের শব্দ তার নাক দিয়ে
উপচে পড়ছে।
আর এক ঘুমন্ত পর্বতের পাশে
আমার পাণ্ডুলিপির সমস্ত শব্দমালা ফরফর করে
ফড়িংয়ের মতো ওড়াওড়ি করলো।

—মওলানা ভাসানীর স্মৃতি : আল মাহমুদ, শ্রেষ্ঠ কবিতা (২য় সংস্করণ), প্রকাশক আদর্শ, বইমেলা ২০১২।

ভাসানীর পায়ে ধরে সালাম করছেন বঙ্গবন্ধু। উপরেই ভালো ছিলো ভিতরে ছিলো ক্ষমতার লোভ অহংকার।
18/08/2024

ভাসানীর পায়ে ধরে সালাম করছেন বঙ্গবন্ধু। উপরেই ভালো ছিলো ভিতরে ছিলো ক্ষমতার লোভ অহংকার।

এই দেশের রত্ন হিরার টুকরা, যাদের বিনিময়ে এদেশে আছি অথচ আওয়ামীলীগ তাদের কে ইতিহাস মুছে দিয়ে বঙ্গবন্ধু নামটা ইতিহাসে রেখে ...
18/08/2024

এই দেশের রত্ন হিরার টুকরা, যাদের বিনিময়ে এদেশে আছি অথচ আওয়ামীলীগ তাদের কে ইতিহাস মুছে দিয়ে বঙ্গবন্ধু নামটা ইতিহাসে রেখে দিলো।যারা এই অখন্ড ভারতের জন্য লড়াই করে গেছে।
~শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক

Address

West Bengal Rajshahi Siraj Gong
Cumilla
6700

Telephone

+16785432178

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when আবদুল হামিদ খান ভাসানী posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to আবদুল হামিদ খান ভাসানী:

Videos

Share