29/10/2024
চট্টগ্রাম আদালতে হাজির আবদুর রহমান বদি: দুদকের মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা
মূল প্রতিবেদন:
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা ১৭ বছর আগের অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য আবদুর রহমান বদিকে চট্টগ্রাম আদালতে হাজির করা হয়েছে। চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিশেষ জজ কবির উদ্দিন প্রামাণিকের আদালতে সোমবার (২৮ অক্টোবর) তাকে হাজির করা হয়। এদিন আদালত দুইজন ব্যাংক কর্মকর্তার সাক্ষ্য গ্রহণ করেন, যা প্রায় আধঘণ্টাব্যাপী চলে।
সাক্ষ্যদানকারী ব্যাংক কর্মকর্তারা হলেন—ইসলামী ব্যাংক টেকনাফ শাখার সাবেক ম্যানেজার এবং ইসলামী ব্যাংক কক্সবাজার শাখার তৎকালীন অফিসার।
দুদকের সরকারি কৌঁসুলি কাজী ছানোয়ার আহমেদ লাভলু সিভয়েস২৪’কে জানান, ‘পরিপূর্ণ নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে আবদুর রহমান বদিকে আদালতে হাজির করা হয় এবং সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আবার তাকে কারাগারে নেওয়া হয়।’
মামলার পটভূমি:
২০০৭ সালে দুদক আবদুর রহমান বদির বিরুদ্ধে মোট ৪৩ লাখ ৪৩ হাজার ৯৯৪ টাকার তথ্য গোপন এবং ৬৬ লাখ ৭০ হাজার টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা দায়ের করে। মামলাটির তদন্ত শেষে ২০০৮ সালে বদির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেয় দুদক।
মামলার শুরুর সময় বদি টেকনাফ পৌরসভার মেয়র ছিলেন। পরবর্তীতে উচ্চ আদালতের স্থগিতাদেশে মামলাটি দীর্ঘদিন স্থগিত থাকে। তবে ২০১৭ সালে মামলাটি পুনরায় সচল হয়। এরপর ২০২০ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর বদির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়।
বদি উচ্চ আদালতে আপিল করলেও ২০২২ সালের জানুয়ারিতে সেই আবেদন খারিজ করে দেওয়া হয়। একই বছরের ২২ সেপ্টেম্বর থেকে সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়।
সাম্প্রতিক গ্রেপ্তার:
২০২৪ সালের ২৪ আগস্ট রাতে চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ এলাকা থেকে আবদুর রহমান বদিকে র্যাব-৭ গ্রেপ্তার করে। তখন তাকে সরকার পতনের পর দায়েরকৃত একটি হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকায় আবদুর রহমান বদি মাদক চোরাচালানের পৃষ্ঠপোষক হিসেবে অন্তর্ভুক্ত এবং ‘মাদকের গডফাদার’ হিসেবে পরিচিত। তালিকায় বদির পরিবারের আরও ২৬ জনের নাম রয়েছে, যেখানে তার চার ভাইও অন্তর্ভুক্ত।
উল্লেখযোগ্য বিষয়:
দীর্ঘ আইনি লড়াই এবং একাধিকবার আদালতে উপস্থিতির মধ্য দিয়ে বদির বিরুদ্ধে এ মামলার বিচার কার্যক্রম এখনো অব্যাহত রয়েছে।