Shahidul Islam Al Jihad

Shahidul Islam Al Jihad Life is hard but not impossible...

�Blood group: B+�

আলহামদুলিল্লাহ চাওয়াটা যখন আল্লাহর কাছেপাওয়াটা তখন সুনিশ্চিত। আল্লাহ তাআলা বলেনঃবলুন ইয়া আল্লাহ,আপনিই সার্বভৌম শক্তির অধ...
03/02/2025

আলহামদুলিল্লাহ
চাওয়াটা যখন আল্লাহর কাছে
পাওয়াটা তখন সুনিশ্চিত।

আল্লাহ তাআলা বলেনঃ
বলুন ইয়া আল্লাহ,
আপনিই সার্বভৌম শক্তির অধিকারী, আপনি যাকে ইচ্ছা রাজ্য দান করেন, যার থেকে ইচ্ছা রাজ্য ছিনিয়ে নেন।
আর যাকে ইচ্ছা বিজয় দান করেন, যাকে ইচ্ছা পরাজিত করেন, আপনার কাছেই সমস্ত কল্যান নিহিত।
নিশ্চয়ই আপনি সর্ব বিষয়ে সর্বশক্তিমান।
(আল কোরআন, সূরা- আলে ইমরান, আয়াত ২৬)

আল্লাহ তাআলা বলেন:
তোমাদের মধ্যে যারা বিশ্বাস স্থাপন করে ও সৎকর্ম করে, আল্লাহ তাদেরকে ওয়াদা দিয়েছেন যে, তাদেরকে অবশ্যই পৃথিবীতে শাসনকর্তৃত্ব দান করবেন, যেমন তিঁনি শাসনকর্তৃত্ব দান করেছেন তাদের পূর্ববর্তীদেরকে এবং তিঁনি সুদৃঢ় করবেন তাদের ধর্মকে যা তিঁনি তাদের জন্যে পছন্দ করেছেন এবং তাদের ভয়-ভীতির পরিবর্তে অবশ্যই তাদের শান্তি দান করবেন। তারা আমার এবাদত করবে এবং আমার সাথে কাউকে শরীক করবে না। এরপর যারা অকৃতজ্ঞ হবে, তারাই অবাধ্য।
(আল কোরআন, সূরা নূর, আয়াত ৫৫)

আল্লাহ তাআলা বলেন:
জেনে রাখ,
আল্লাহর দলই সফলকাম হবে।
(আল কোরআন, সূরা মুজাদালাহ, আয়াত ২২)

রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এরশাদ করেনঃ
যে ব্যক্তি আল্লাহর কালিমাকে উঁচু করার
উদ্দেশ্যে যুদ্ধ করে একমাত্র
তারই যুদ্ধ আল্লাহর পথে হয়ে থাকে।
(বুখারী, মুসলিম, তিরমিজি)

The love is for ALLAH & His Prophet MUHAMMAD (S). Because, everything of the world is a wonderful creation of ALLAH. The creation of ALLAH is so beautiful so how beautiful ALLAH is ! (Subhanallah). For this first should have to love ALLAH & His Prophet MUHAMMAD (S). Because, ALLAH will forgive us & give us Paradise on the recommendation of His Prophet MUHAMMAD (S). Whoever loves in this world will meet him in the Hereafter. The order of ALLAH, way of Prophet MUHAMMAD (S) everybody successful in the world & Hereafter.

We love
ALLAH & His Prophet MUHAMMAD (S).
(Deep & Infinity love)

স্বপ্নের জান্নাত...!!

জান্নাত আল্লাহ তাআলার এত সুন্দর একটি নিয়ামত যা কখনো কল্পনা করাও সম্ভব নয়। তারপরেও কোরআন ও সহিহ হাদিসের ভাষায় কিছু বর্ণনা দেয়া হলো :

১. জান্নাতের ১০০টি স্তর রয়েছে। প্রতি দুই স্তরের মাঝে আসমান-জমিনের সমান ব্যবধান।

ফিরদাউস হচ্ছে সবচেয়ে উঁচু স্তরের জান্নাত, সেখান থেকেই জান্নাতের চারটি ঝর্ণা প্রবাহিত হয় এবং এর উপরেই আল্লাহ তাআলার আরশ স্থাপিত। (সুবহানাল্লাহ)

নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘‘তোমরা আল্লাহ তাআলার নিকট প্রার্থনা করার সময় ফিরদাউসের প্রার্থনা করবে।’’ (তিরমিজি ২৫৩১)

২. জান্নাতে রয়েছে নির্মল পানির সমুদ্র, মধুর সমুদ্র, দুধের সমুদ্র এবং শরাবের সমুদ্র। এগুলো থেকে আরো ঝর্ণা বা নদী-সমূহ প্রবাহিত হবে। (তিরমিজি ২৫৭১)

জান্নাতের এই শরাবে জ্ঞান শূন্য হয় না, কোনো মাথা ব্যথায়ও ধরে না। (সূরা ওয়াকিআ, আয়াত ১৯)

৩. জান্নাতবাসীনী কোনো নারী যদি পৃথিবীর দিকে উঁকি দেয়, তবে গোটা জগত আলোকিত হয়ে যাবে এবং আসমান-জমিনের মধ্যবর্তী স্থান সুগন্ধিতে মোহিত হয়ে যাবে। তাদের মাথার ওড়নাও গোটা দুনিয়া ও তার সম্পদরাশি থেকে উত্তম। (বুখারী ৬৫৬৮)

৪. জান্নাতে কারো ধনুক অথবা কারো পা রাখার স্থান দুনিয়া ও তাতে যা আছে, তা থেকেও উত্তম। (বুখারী ৬৫৬৮)

৫. জান্নাতের একটি গাছের নিচের ছায়ায় কোনো সওয়ারী যদি ১০০ বছরও সওয়ার করে, তবুও তার শেষ প্রান্ত পর্যন্ত পৌঁছতে পারবে না। (বুখারী ৬৫৫২)

৬. জান্নাতে মুক্তা দিয়ে তৈরি ৬০ মাইল লম্বা একটি তাঁবু থাকবে। জান্নাতের পাত্র ও সামগ্রী হবে সোনা ও রূপার। (বুখারী ৪৮৭৯)

৭. সেখানে জান্নাতীগণের জন্য থাকবে প্রাসাদ আর প্রাসাদ। প্রাসাদের উপর নির্মিত থাকবে আরো প্রাসাদ। (সূরা যুমার আয়াত ২০)

৮. পূর্ণিমার চাঁদের মতো রূপ ধারণ করে জান্নাতীরা জান্নাতে প্রবেশ করবে। তাদের অন্তরে কোনো হিংসা-বিদ্বেষ থাকবে না। তারা কখনো রোগাক্রান্ত হবে না। তাদের প্রস্রাব-পায়খানা হবে না। তারা থুথু ফেলবে না। তাদের নাক দিয়ে ময়লা ঝড়বে না। তাদের চিরুনী হবে সোনার চিরুনী। তাদের গায়ের গন্ধ হবে কস্তুরির মতো সুগন্ধি। তাদের স্বভাব হবে এক ব্যক্তির ন্যায়। তাদের শারীরিক গঠন হবে (আদী পিতা) আদম (আঃ)-এর মতো (অর্থাৎ ৬০ হাত লম্বা)। (বুখারী ৩৩২৭)

৯. জান্নাতীদের খাবারগুলো ঢেকুর এবং মিশকঘ্রাণযুক্ত ঘর্ম দ্বারা নিঃশেষ হয়ে যাবে। (মুসলিম ৭০৪৬)

১০. জান্নাতীরা সুখ-শান্তি ও স্বাচ্ছন্দ্যে ডুবে থাকবে। হতাশা, দুশ্চিন্তা ও দুর্ভাবনা থাকবে না। পোশাক-পরিচ্ছেদ ময়লা হবে না, পুরাতন হবে না। তাদের যৌবনও নিঃশেষ হবে না। (তিরমিজি ২৫২৬)

১১. জান্নাতবাসীরা সব-সময় জীবিত থাকবে। কখনো মৃত্যুবরণ করবে না। সব-সময় যুবক-যুবতি থাকবে, বৃদ্ধ হবে না। (মুসলিম ৭০৪৯)

১২. জান্নাতবাসীদের প্রতি আল্লাহ তাআলা বলবেন, ‘‘আমি তোমাদের উপর আমার সন্তুষ্টি অবধারিত করবো। অতঃপর আমি আর কখনো তোমাদের উপর অসন্তুষ্ট হবো না।’’ (বুখারী ৬৫৪৯)

১৩. জান্নাতের ইট স্বর্ণ ও রৌপ্য দ্বারা তৈরি। কঙ্কর হলো মণিমুক্তা, আর মসল্লা হলো সুগন্ধীময় কস্তুরী। (তিরমিজি ২৫২৬)

১৪. জান্নাতের সকল গাছের কাণ্ড হবে সোনার। (তিরমিজি ২৫২৫)

১৫. জান্নাতের ১০০ স্তরের যে কোনো এক স্তরে সারা বিশ্বের সকল মানুষ একত্রিত হলেও তা যথেষ্ট হবে। (তিরমিজি)

১৬. জান্নাতে প্রত্যেক ব্যক্তিকে ১০০ জন পুরুষের সমান যৌনশক্তি ও সঙ্গম ক্ষমতা প্রদান করা হবে। (তিরমিজি ২৫৩৬)

১৭. জান্নাতবাসীগণ লোম, গোঁফ ও দাড়িবিহীন হবে। তাদের চোখ সুরমায়িত হবে। (তিরমিজি ২৫৪৫)

১৮. জান্নাতবাসী উট ও ঘোড়া চাইলে দু’টোই পাবে এবং তা ইচ্ছে মতো দ্রুত উড়িয়ে নিয়ে যাবে। তাতে সেসব জিনিস পাবে, যা কিছু মন চাইবে এবং নয়ন জুড়াবে। (তিরমিজি)

১৯. জান্নাতে একটি বাজার থাকবে। প্রত্যেক জুমুআয় জান্নাতী লোকেরা এতে একত্রিত হবে। তারপর উত্তরদিকের বায়ু প্রবাহিত হয়ে সেখানকার ধুলাবালি তাদের মুখমণ্ডল ও পোশাক-পরিচ্ছদে গিয়ে লাগবে। এতে তাদের সৌন্দর্য এবং শরীরের রং আরো বেড়ে যাবে। তারপর তারা নিজের পরিবারের কাছে ফিরে আসবে। এসে দেখবে, তাদেরও শরীরের রং এবং সৌন্দর্য বহু বৃদ্ধি পেয়েছে। তাদের পরিবারের লোকেরা বলবে, ‘আল্লাহর শপথ! আমাদের নিকট হতে যাবার পর তোমাদের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পেয়েছে।’ উত্তরে তারাও বলবে, ‘আল্লাহর শপথ! তোমাদের শরীরের সৌন্দর্য তোমাদের নিকট থেকে যাবার পর বহুগুণে বেড়ে গেছে।’ (মুসলিম ৭০৩৮)

২০. জান্নাতে একজন কৃষি কাজ করতে চাইবে। তারপর সে বীজ বপণ করবে এবং চোখের পলকে অঙ্কুরিত হবে, পোক্ত হবে এবং ফসল কাটা হবে। এমনকি পাহাড় পরিমাণ স্তুপ হয়ে যাবে। আল্লাহ তাআলা বলবেন, ‘‘হে আদাম সন্তান! এগুলো নিয়ে যাও, কোনো কিছুই তোমাকে তৃপ্তি দেয় না!’’ (বুখারী ২৩৪৮)

২১. জান্নাতে এমন সব নিয়ামত প্রস্তুত রয়েছে, যা কখনো কোনো চোখ দেখেনি, কোনো কান শোনেনি এবং কোনো অন্তর কল্পনাও করেনি। (বুখারী ৩২৪৪)

২২. আল্লাহ তাআলার সঙ্গে জান্নাতিদের সাক্ষাৎ ও দর্শন !!! (সুবহানাল্লাহ)

জান্নাতে জান্নাতিদের জন্য সবচেয়ে বড় নিয়ামত হবে মহান আল্লাহ তাআলার দীদার !!!
আল্লাহ তাআলার দীদার লাভ করা সহজ ব্যাপার নয়; তাও আল্লাহ তাআলা, কুরআনে মানুষকে জানিয়ে দিয়েছেন। ‘হে মানুষ! তোমাকে তোমার পালনকর্তা পর্যন্ত পৌঁছতে কষ্ট স্বীকার করতে হবে, অতপর তার সাক্ষাৎ ঘটবে।’ (সুরা ইনশিকাক, আয়াত ৬)

দুনিয়াতে মুমিনরা মহান আল্লাহকে না দেখেই তার প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করে, তাঁর আদেশ-নিষেধ মান্য করে। বিনিময়ে পরকালে তারা আল্লাহর কাছে বিনিময় প্রত্যাশা করে। পরকালে মুমিনদের বিশ্বাস ও আনুগত্যের যেসব পুরস্কার দান করবেন, তার ভেতর সর্বোত্তম পুরস্কার হলো মহামহিম আল্লাহর সাক্ষাৎ ও দর্শন। জান্নাতে মুমিনরা আল্লাহকে দেখে তাদের মনোবাসনা পূরণ করবে এবং সর্বোচ্চ পরিতৃপ্তি লাভ করবে। বিপরীতে অবিশ্বাসীরা আল্লাহর সাক্ষাৎ থেকে বঞ্চিত হবে।

পার্থিব জীবনে মানুষের পক্ষে আল্লাহ তাআলার সাক্ষাৎ বা তাঁর দেখা পাওয়া সম্ভব নয়। এ জন্য মুসা (আ.) যখন ‘হে প্রতিপালক, আমাকে দেখা দিন’ বলে সাক্ষাতের আবেদন করেছিলেন, তখন উত্তর দেওয়া হয়েছিল : ‘তুমি কখনোই আমাকে দেখতে পারবে না।’ (সুরা আরাফ, আয়াত ১৪৩)

তবে পরকালে মুমিনরা আল্লাহ তাআলার সাক্ষাৎ লাভ করবেন। পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, ‘কেয়ামতের দিন বহু মুখমণ্ডল সজীব ও প্রফুল্ল হবে। তারা নিজ পালনকর্তাকে দেখতে থাকবে।’ (সুরা, কিয়ামা, আয়াত : ২২-২৩)

আল্লাহ তাআলা কিয়ামতের দিন মুমিন বান্দার সঙ্গে যে সাক্ষাৎ দেবেন, সে সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘যেদিন আল্লাহর সঙ্গে মিলিত হবে; সেদিন তাদের অভিবাদন হবে সালাম। তিনি তাদের জন্য সম্মানজনক পুরস্কার প্রস্তুত রেখেছেন।’ (সুরা আহজাব, আয়াত ৪৪)

পরকালে মুমিনদের কাছে আল্লাহ তাআলার সাক্ষাৎ হবে সবচেয়ে প্রিয় বিষয়। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যখন জান্নাতবাসীরা জান্নাতে প্রবেশ করবে তখন আল্লাহ তাআলা বলবেন, তোমরা কি এমন কিছু চাও, যা আমি বাড়িয়ে দেব? তারা বলবে, আপনি কি আমাদের চেহারা উজ্জ্বল করেননি? আপনি কি আমাদের জান্নাত দান করেননি? আপনি কি আমাদের জাহান্নাম থেকে মুক্তি দেননি? অতঃপর আল্লাহ তাঁর পর্দাগুলো সরিয়ে দেবেন। জান্নাতিদের আল্লাহর সাক্ষাতের চেয়ে বেশি প্রিয় কিছু দান করা হবে না।’ (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ৩৩৮)

জান্নাতে মুমিনরা যখন আল্লাহ তাআলার সাক্ষাৎ লাভ করবে সে সময়ের দৃশ্য হাদিসে খুব সামান্যই বিবৃত হয়েছে। যার কয়েকটি হলো, আল্লাহকে দেখা যাবে নির্বিঘ্নে : জারির ইবনু আবদুল্লাহ (রা.) থেকে বর্ণিত, একবার পূর্ণিমার রাতে রাসূলুল্লাহ (সা.) আমাদের কাছে বের হয়ে এলেন। অতঃপর তিনি বললেন, ‘শিগগিরই তোমরা তোমাদের প্রতিপালককে কিয়ামতের দিন দেখতে পাবে, যেমন এ চাঁদটিকে তোমরা দেখছ এবং একে দেখতে তোমাদের অসুবিধে হচ্ছে না।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৭৪৩৬)

আল্লাহ তাআলা কথা বলবেন : আদি ইবনু হাতিম (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘তোমাদের প্রত্যেকের সঙ্গে শিগগিরই তার প্রতিপালক কথা বলবেন, তখন প্রতিপালক ও তার মধ্যে কোনো অনুবাদক ও আড়াল করে এমন পর্দা থাকবে না।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৭৪৪৩)

জান্নাতিরা কৃতজ্ঞতায় সেজদা করবে : আলী (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘(সব ধরনের নেয়ামত লাভের পর) জান্নাতিরা বলবে, আমাদের প্রভুর মুখদর্শন ছাড়া আর কিছুই অবশিষ্ট নেই, তখন আল্লাহ তাদের সামনে আত্মপ্রকাশ করবেন এবং জান্নাতিরা সেজদায় পড়ে যাবে। তাদের বলা হবে, তোমরা আমল করার স্থানে নেই, তোমরা রয়েছ প্রতিদান লাভের স্থানে।’ (জামিউল উলুম ওয়াল হিকাম : ২/৮৮৭)

আল্লাহ তাআলা কোরআন তেলাওয়াত করবেন : বুরাইদা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘নিশ্চয়ই জান্নাতিরা প্রতিদিন দুবার মহাপরাক্রমশালী আল্লাহর কাছে প্রবেশ করবে। অতঃপর তিনি তাদের সামনে কোরআন তেলাওয়াত করবেন।’ (জামিউস সগির, হাদিস : ২২৩৪)

পরকালে পাপীরাও আল্লাহ তাআলার সাক্ষাৎ পাবে, তবে তারা আল্লাহর দয়া ও অনুগ্রহের চেহারা দেখবে না। তাদের প্রতি আল্লাহ থাকবেন ক্রোধান্বিত। আবদুল্লাহ (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি মিথ্যা শপথ করে কোনো মুসলিমের সম্পদ আত্মসাৎ করবে, সে কেয়ামতের দিন আল্লাহর সঙ্গে মিলিত হবে এমন অবস্থায় যে তিনি তার ওপর রাগান্বিত।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৭৪৪৫)

অবিশ্বাসীরা সেদিনও শাস্তি হিসেবে আল্লাহর সাক্ষাৎ থেকে বঞ্চিত হবে। আল্লাহ বলেন, ‘অবিশ্বাসীরা সেদিন নিজ পালনকর্তার সাক্ষাৎ থেকে আড়ালে থাকবে (বঞ্চিত হবে)।’ (সুরা মুতাফফিফিন, আয়াত ১৫)

আল্লামা ইবনে তাইমিয়া (রহ.) বলেন, ‘নিশ্চয়ই অবিশ্বাসীরা আল্লাহকে আপন অবস্থায় দেখবে না, তিনি তাদের সামনে আত্মপ্রকাশ করবেন না, আবার তিনি তাদের থেকে গোপনও থাকবেন না।’ (মাজমুআতুল ফাতাওয়া : ৬/২৯২)

নিঃসন্দেহে আল্লাহর সাক্ষাৎ বান্দার জন্য সর্বোত্তম পুরস্কার। এ পুরস্কার মহান আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করতে হবে। আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহর সাক্ষাৎ পছন্দ করে, আল্লাহও তার সাক্ষাৎ পছন্দ করেন। আর যে ব্যক্তি আল্লাহর সাক্ষাৎ অপছন্দ করে, আল্লাহও তার সাক্ষাৎ অপছন্দ করেন।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৬৫০৭)

হে আল্লাহ, আমাদের সবাইকে আপনার সাক্ষাৎ লাভের সৌভাগ্য দান করুন। (আমিন)

আমরা কি চাইনা, এতো সুন্দর আল্লাহর তৈরি জান্নাতে যেতে? যেখানে আমরা থাকবো চিরকাল, কোন মৃত্যু নেই। যখন যা ইচ্ছে তাই করবো, যা চাইবো তাই পাবো।

কোন ভেদাভেদ থাকবে না কারো মাঝে। সবাই সবাইকে শুধু ভালবাসবে, থাকবে না কোন হিংসা-গীবত সমালোচনা।

তাহলে কেন আমরা এত সুন্দর জান্নাত কে ভুলে গিয়ে এই দুই দিনের দুনিয়ার ধোকায় পড়ে আছি ?

আসুন আমরা সবাই, এত সুন্দর যেটা আমাদের চিন্তা শক্তির বাইরে, এই সুন্দর আল্লাহর তৈরী জান্নাতে যাওয়ার প্রস্তুতি নিয়ে, দুনিয়ার মহব্বত ছেড়ে দিয়ে, তৈরি করি নিজেকে আল্লাহর জন্য।

বস্তুত এই দুনিয়াতো শুধু খেল আর তামাশার জন্য এবং পরীক্ষা স্বরুপ আমাদের জন্য।

হে আল্লাহ, আমাদের সবাইকে সঠিক বুঝ দান করুন, ক্ষমা করুন, হেদায়েত দান করুন এবং সবসময় হেফাজত করুন। (আমিন)

جَزَاكَ اللّٰهُ خَيْراً
হে আল্লাহ, আমাদের সবাইকে উত্তম বিনিময় দান করুন।

জাযা-কাল্লা-হু খইরান।

01/02/2025

জনপ্রিয় গজল | আমি তোমার প্রেমের ভিখারি | শহিদুল ইসলাম আল জিহাদ

- দুটো নোটেরই বয়স ১১ বছর!-একটি সারা দুনিয়ায় ঘুরেছে, অগণিত মানুষ ব্যবহার করেছে। • আরেকটি খুব যত্নে কোন এক সিন্দুকে কারো স...
01/02/2025

- দুটো নোটেরই বয়স ১১ বছর!

-একটি সারা দুনিয়ায় ঘুরেছে, অগণিত মানুষ ব্যবহার করেছে। • আরেকটি খুব যত্নে কোন এক সিন্দুকে কারো সম্পদ হয়ে আবদ্ধ ছিলো।

- পর্দা এবং বেপর্দার (মেয়ের) উৎকৃষ্ট উদাহরণ এটি।

01/02/2025
সবার মনেই জল্পনা ছিল, কাকে বিয়ে করেছেন জুলাই অভ্যুত্থানের অন্যতম এই নায়ক? কী সেই পাত্রীর পরিচয়? অবশেষে জানা গেছে সেসব..
31/01/2025

সবার মনেই জল্পনা ছিল, কাকে বিয়ে করেছেন জুলাই অভ্যুত্থানের অন্যতম এই নায়ক? কী সেই পাত্রীর পরিচয়? অবশেষে জানা গেছে সেসব..

সারজিস আলমের সহধর্মিণী, যিনি এক ভাই ও এক বোনের মধ্যে বড়, কোরআনের হাফেজা ও পর্দার প্রতীক। পর্দার প্রতি তার অবিচলতা এমন যে...
31/01/2025

সারজিস আলমের সহধর্মিণী, যিনি এক ভাই ও এক বোনের মধ্যে বড়, কোরআনের হাফেজা ও পর্দার প্রতীক। পর্দার প্রতি তার অবিচলতা এমন যে, নিজ নাম ও ছবি প্রকাশের ক্ষেত্রেও সংযমী। মাশাআল্লাহ, এমন নেককার জীবনসঙ্গী পাওয়া নিঃসন্দেহে আল্লাহর এক বিশেষ অনুগ্রহ। আল্লাহ তাআলা তাদের দাম্পত্য জীবন সুখ, শান্তি ও বরকতে ভরিয়ে দিন।
#সারজিস #আলম #বিয়ে

31/01/2025

মনে রাখবেন চিকিৎসা স্বাস্থ্যের হয় জীবনের না। আল্লাহ যখন নির্ধারিত সময় নির্ধারণ করেছেন তখনই মৃত্যুর সাথে সাক্ষাৎ করতে বাধ্য আমরা।

31/01/2025

বলুন
اللَّهُمَّ صَلِّ وَ سَلِّمْ عَلَى نَبِيِّنَا مُحَمَّدٍ
Allahumma salli wa sallim `alâ nabiyyinâ Muhammad
বলতেই থাকুন।

পবিত্র ওমরাহ পালনের উদ্দেশ্যে সৌদি আরবে যাওয়ার পথে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন...
31/01/2025

পবিত্র ওমরাহ পালনের উদ্দেশ্যে সৌদি আরবে যাওয়ার পথে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন...

31/01/2025

An-Nisa' 4:139
ٱلَّذِينَ يَتَّخِذُونَ ٱلۡكَٰفِرِينَ أَوۡلِيَآءَ مِن دُونِ ٱلۡمُؤۡمِنِينَۚ أَيَبۡتَغُونَ عِندَهُمُ ٱلۡعِزَّةَ فَإِنَّ ٱلۡعِزَّةَ لِلَّهِ جَمِيعًا
যারা মুমিনদের পরিবর্তে কাফিরদেরকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করে, তারা কি তাদের কাছে সম্মান চায়? অথচ যাবতীয় সম্মান আল্লাহর।

31/01/2025

নিশ্চয় তোমার রব অধিক অবগত তার সম্পর্কে, যে তাঁর পথ থেকে বিচ্যুত হয় এবং তিনি অধিক অবগত হিদায়াতপ্রাপ্তদের সম্পর্কে।
Sura Al an'am

31/01/2025

خُذِ ٱلۡعَفۡوَ وَأۡمُرۡ بِٱلۡعُرۡفِ وَأَعۡرِضۡ عَنِ ٱلۡجَٰهِلِينَ
তুমি ক্ষমা প্রদর্শন কর এবং ভালো কাজের আদেশ দাও। আর মূর্খদের থেকে বিমুখ থাক।

31/01/2025

জুম্মা মোবারক

গাজীপুরের টঙ্গীর তুরাগ নদের তীরে শুরু হয়েছে ৫৮তম বিশ্ব ইজতেমার আনুষ্ঠানিকতা...
31/01/2025

গাজীপুরের টঙ্গীর তুরাগ নদের তীরে শুরু হয়েছে ৫৮তম বিশ্ব ইজতেমার আনুষ্ঠানিকতা...

চকবাজার প্যারেড ময়দানে পবিত্র কোরআনের তাফসির করবেন ড. মিজানুর রহমান আজহারি...
31/01/2025

চকবাজার প্যারেড ময়দানে পবিত্র কোরআনের তাফসির করবেন ড. মিজানুর রহমান আজহারি...

31/01/2025

يُرِيدُ ٱللَّهُ أَن يُخَفِّفَ عَنكُمْۚ وَخُلِقَ ٱلۡإِنسَٰنُ ضَعِيفًا
আল্লাহ তোমাদের থেকে (বিধান) সহজ করতে চান, আর মানুষকে সৃষ্টি করা হয়েছে দুর্বল করে।

31/01/2025

وَٱصۡبِرۡ فَإِنَّ ٱللَّهَ لَا يُضِيعُ أَجۡرَ ٱلۡمُحۡسِنِينَ
তুমি সবর কর, নিশ্চয়ই আল্লাহ তাআলা ইহসানকারীদের প্রতিদান নষ্ট করেন না।

Address

Cox's Bazar

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Shahidul Islam Al Jihad posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Videos

Share