Yousuf

Yousuf "Want to build a beautiful world,☺️
🥀"I have no special talent. I am only passionately curious"💚

Golpo  #যে_পাখি_ঘর_বোঝেনা_    পর্ব---৩✍️: Mohammad Yousuf ---রিয়া তুই নিজের পরনের শারি খুলতেছিস কেনো। (কাব‍্য)রিয়া: সেটা...
31/12/2023

Golpo #যে_পাখি_ঘর_বোঝেনা_
পর্ব---৩
✍️: Mohammad Yousuf

---রিয়া তুই নিজের পরনের শারি খুলতেছিস কেনো। (কাব‍্য)

রিয়া: সেটা একটু পরেই বুজতে পারবি।

---কথাটি সম্পুর্ণ শেষ হতে না হতেই বাছাও বাছাও বলে চিৎকার করতে থাকে রিয়া।

কাব‍্য : এই কি করতেছিস এই সব। আমি তো কিছুই করলাম না তোকে।

---তবুও রিয়ার মুখে একটি কথা সেটা হলো বাছাও বাছাও। কাব‍্য আমার সর্বনাশ করে দিলো। ক্ষনিকের ভিতরেই দেখি সবাই দরকার বাহিরে উপস্থিত হলো?

হাসিব : এই রিয়া কি হয়েছে! এমন চিৎকার করছো কেনো শুনি।

রিয়া : হাসিব তোমার ভাই আমার সর্বনাশ করতেছে। প্লিজ আমাকে ওর হাত থেকে ছারিয়ে নাও।

---রিয়ার মুখে এমন উক্তিটি শুনেই হাসিব এক লাত্থি মেরে দরজাটি ভেঙ্গে ফেলে। তো দরজা ভেঙ্গেই হাসিব দেখে যে রিয়ার শরীরে পোশাক গুলা যেখানে সেখানে ছেরা।

হাসিব : এই রিয়া কি হয়েছে আমাকে বলতো। আর তুমি বাতরুমে যাওয়ার কথা বলে এসে। এখানে কি করছো।

রিয়া : আমি এখানে এসেছি কাব‍্যকে বুঝাতে। যাতে কোন ধরনের ঝগরা বা বিভেধ না লাগে। কিন্তু কাব‍্য এই কথাটি শুনা মাত্রই আমার উপরে ঝাপিয়ে পরে।

হাসিব : কি ওর এতো বর সাহস।

---কথাটি বলেই হাসিব একটি লাঠি নিয়ে কাব‍্য কে মারতে যায়। কিন্তু কাব‍্যের মা তখন হাসিব কে বাধা দেয়।

মা : হাসিব যদি একটি মার কাব‍্যের শরীরে পরে আমার থেকে খারাপ কেউ হবে না।

হাসিব : ছেলের জন্যে দেখি দরদ উথলে পরতেছে। কিন্তু আমার বউকে যে নষ্ট করার চেষ্টা করতেছে সেটা কি তোমার চোখে পরতেছে না।

মা : কাব‍্য এমন ছেলে না বুজছিস। আমার মন বলতেছে তোর এই বউ কোন না কোন সমস্যা সৃষ্টি করেছে।

রিয়া : এক দম মুখ সামলে কথা বলুন মা।

কাব‍্য : মা চুপ করো না। ওরা ছোট ভূল করতেই পারে। তাই বলে এমন রাগ হবে।

মা : তুই চুপ থাক। এই রিয়া আমাদের সংসার টা শেষ করে দিতেছে।

---এই কথাটি শুনেই রিয়া হাসিব কে উদ্দেশ্য করে বলে।

রিয়া : হাসিব তোমার মাকে ভদ্র ভাবে কথা বলতে ভলো। আর তা না হলে নিজেকে আমি কন্টল করতে পারবো না।

হাসিব : মা তুমি আজে বাজে কথা বলতে পারো না রিয়া সম্পর্কে।

মা : কিসের আজে বাজে কথা হ‍্যা। আমি সব সত্যি বলতেছি।

কাব‍্য : মা আমি একটা কথা বলি।

মা : হুমম বল কি বলবি তুই।

কাব‍্য : আমি একদিনে একটি জিনিস উপলব্ধি করলাম। সেটা হলো আমার আসাতে এই বাড়িতে ভিষণ একটি পরিবর্তন হয়েছে। বাবার মুখে একটি বার ও হাসি দেখলাম না। ছোটভাই যে কিন্তু আমার আসাতে বিরক্তিকর বোধ করতেছে। আমি এই প্রবাসে গিয়ে সব হারাইছি মা। আমি চাইনা আমার কারনে তোমাদের কোন প্রকার সমস্যা হোক। তার জন্যে আমি ভেবে রেখেছি আজ এই মুহূর্তে এই বাড়ি থেকে চলে যাবো।

মা আরো একটি কথা। আমি প্রবাসে জেলে ছিলাম না।তোমাদের মিথ্যা বলেছি। বলতে পারো কেনো মিথ্যা বলেছি তবে শোন। হঠাৎ একটি অপরিচিত নাম্বার থেকে আমার ফোনে কল যায়। প্রথমে ফোন রিসিভ করিনাই কিন্তু পর পর যখন ফোন আসতেছিলো তখন রিসিভ করলাম।

আসসালামু ওয়ালাইকুম কে বলেছেন?

--ওই দিক থেকে চিকন একটি মহিলা কন্ঠে বলে উঠলো আপনি কি কাব‍্য? আমি বললাম হুম আমি কাব‍্য কিন্তু আপনি কে চিনলাম না ঠিক। তখন মহিলাটি বলে উঠে আপনি বিদেশ থেকে যতো টাকা পাঠাচ্ছেন সব টাকা আপনার বাবা নষ্ট করতেছে। আপনি জমি কিনতে যেই টাকা পাঠিয়েছেন সেই টাকাও নষ্ট করে ফেলতেছে। আপনি কি জানেন আপনার বাবার আরো বউ সন্তান আছে।

"কথাটি শুনেই আমি ভিষন রাগ হই মহিলাটির উপরে।

---আপনি কি ফাজলামি করার জন্যে আর কাউকে পাননাই। আমাকে খুজে পেয়েছেন।

"তখন মহিলাটি আবার বলে উঠে? আরে আপনার বউ ও আপনার ছোট ভাইয়ের সাথে সম্পর্কে জরিয়ে গিয়েছে। আপনি শুধু শুধু ঠগে যাচ্ছেন ওদের টাকা পয়সা পাঠিয়ে।

"এই কথা শুনে আমি অনেক বাজে কথা বলি ওই মহিলাকে। কিন্তু এর পরে আমি প্রমান চাই। এই সব কিছুর। বিশ্বাস করো মা সেই মহিলাটি এক মাসের ভিতরে আমাকে সব প্রমান দিয়েছে। বাবা অন্য আর একটি সংসার আছে। সেখানে দুইটি সন্তান আছে। আর আমার ছো ভাই হাসিব সেও আমার বউয়ের সাথে পরকীয়া জরিয়ে গিয়েছে। ভেবে পাচ্ছিলাম না কি করবো। তখন উনি / উনি বলতে মহিলাটি আমাকে একটি বুদ্ধি দেয়। সেটা হলো আমাকে মিথ্যা মৃত্যুর নাটক করতে হবে। সেটা যেনো তোমরা বিশ্বাস করো।

---এর পরে সবার সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেই আমি। অনেক ইচ্ছে হতো তোমার সাথে কথা বলার কিন্তু আমি পরিস্থিতি শিকার ছিলাম। জানো মা আমার বতর্মান ঢাকা শহরে একটি বাড়ি আছে দুইটি রেস্তরা আছে। অনেক টাকার মালিক আমি। বলতে পারো এই সব জানাইনি কেনো। সত্যি বলতে আমি সংসারে অশান্তি চাইনি। আমি এখানে কেনো এসেছি জানো তোমার সাহায্য করার জন্যে। কিন্তু এসে যা দেখলাম বলার মতো না।

---কাব‍্যের কথা গুলা শুনে মায়ের চোখে যেনো অশ্রু পরা শুরু হয়ে গিয়েছে।

কাব‍্য : মা কান্না করিও না।

মা : বাবা তুই কেনো বলিশনাই এই সব আমাকে। যাকে আমি এতো বিশ্বাস করি সেই স্বামী আমাকে ঠগাইছে।

কাব‍্য : তোমার কপালটা খুবেই খারাপ মা।

--এর পরে কাব‍্যের মা কাব‍্যের বাবা কে জিঙ্গেস করে।

মা : আচ্ছা সত্যি কি তোমার আরো একটি পরিবার আছে।

বাবা : হুম আছে।

মা : তবে আগে বলোনাই কেনো।

বাবা : বলার প্রয়োজন মনে করিনাই। আর এ সব বলে কি হতো শুনি।

মা : তোমার লজ্জা করেনা এই সব বলো?

কাব‍্য : মা ঝগরা করিও না। যা হবার হয়েই গিয়েছে। এখন তুমি বলো আমার সাথে যাবে নাকা এখানে থাকেব।

--বেশ কিছুক্ষ চিন্তা করার পরে মা বলে উঠে।

মা : নারে খোকা আমি এখানেই থাকবো। আমি শহরে থাকতে পারবো না। মাঝে মাঝে আমাকে নিয়ে যাস আবার রেখে যাস।

কাব‍্য : না মা তুমি চলো আমার সাথে।

মা : না বাবা জোর করিশ না। আমি আমার বাকিটা জীবন এখানেই কাটাতে চাই।

কাব‍্য : ঠিক আছে তুমি যা ভালো বুঝো। তবে একটি কথা বলি মা। কতাটি হচ্ছে রিয়া তো আমাকে ডিভোর্স দিয়েই হাসিব কে বিয়ে করেছে তাই না।

মা : হুমম?

কাব‍্য: তবে আমি ও এখন অন্য কাউকে বিয়ে করবো। আর যাকে বিয়ে করবো তার নাম হলো পুতুল?

মা : ওহ হ‍্যা পুতুলের নামটি মনে করে দিয়ে ভালোই করলি। জানিস বাবা আজ পযর্ন্ত ও বিয়ে করেনাই তোকে ভালোবাসে বলে। তখন যদি বুজতাম সত্যি ওর সাথেই তোর বিয়েটা দিতাম।

( সবাই ভাবতে পারেন তবে কাব‍্য সেই দিন কেনো রিয়াকে জোর করলো হাসিব কে বিয়ে না করতে। সত্যি বলতে কাব‍্য জানে রিয়া হাসিব কে ভালোবাসে। এখন হাজারো কথা বললেও ছারা ছারি করবে না? তাই কাব‍্য মানুষ কে দেখানোর জন্যেই এমন নাটক করেছে। যাতে সবাই ভাবে কাব‍্য এখনো রিয়াকে নিজের বউ হিসেবে চায়)

কাব‍্য : হুমম বাদ দাও অতিত মা।

---চলুন একটু কাব‍্য ও পুতুলের প্রেম কাহিনী টা শুনে আসি।

"আজ থেকে প্রায় ১৩ বছর আগের কাহিনী?

---কাব‍্য এই কাব‍্য কলেজে যাবি না তুই। ( কাব‍্যের মা )

কাব‍্য : প্লিজ মা আর একটু ঘুমাইতে দাও না।

মা : কুত্তার বাচ্ছা ঘরিতে একটিবার ও দেখেছিস কয়টা বাজে।

---মায়ের মুখে এমন গালি শুনে এক লাফে কাব‍্য ঘুম থেকে উঠেই ঘরির দিকে তাকিয়ে দেখে যে ৯ :৫০ বাজে। যেখানে কলেজে ক্লাশ শুরু ১০ টায়।

---টাইম দেখে কাব‍্য আবার ওর মাকে রাগ দেখিয়ে বলে।

কাব‍্য : মা তুমি আরো আগে আমাকে কেনো ডাকোনাই।

মা : কি বললি তুই? তোকে সেই ৮ টা থেকে ডাকতে আছি। কিন্তু তুই____।

কাব‍্য : ঠিক আছে মা সরি!

---এই বলে কাব‍্য তারা হুরা করে ফ্রশ হয়ে কলেজ যাওয়ার জন্যে রেডিহয়।

মা : কাব‍্য তোর ভাত ডাইনিং টেবিলের উপরে রাখছি খেয়ে কলেজ যা।

কব‍্য : সরি মা আজ সময় নেই। কলেজ থেকে ফিরে খাবো।

---এই বলে বাসা থেকে বেরিয়ে পরে একটি রিশকা নিতে কাব‍্য কলেজে চলে আসে। তো যেইনা তারা হুরা করে কলেজে ডুকতে যাবে ঠিক তখনি একটি মেয়ের সাথে ধাক্কা লাগে।

কাব‍্য : সরি ভাই সরি?

---এ কথাটি বলে যেইনা চলে যেতে ধরবে ঠিক সেই সময় কাব‍্যের গালে একটি থাপ্পড় উরে আসে।

---ঠাসসসস! ঠাসসস! এই ছোট লোকের বাচ্চা আমাকে কোন দিক থেকে তোর ভাই মনে হয়।

---কথাটি শুনেই গালে হাত দিয়ে কাব‍্য ভালো করে লক্ষ করে আরে এটাতো মেয়ে।

কাব‍্য : ওহ সরি! আমার ক্লাশ শুরু হয়েছেত তাই তারা হুরা করে আসতে গিয়ে ধাক্কা খাইছি। লক্ষ ও করিনাই আপনি ছেলে না মেয়ে।

---মেয়ে মানুষ দেখলেই গায়ে পরতে ইচ্ছে করে। কেনো তোর ঘরে মা বোন নেই।

কাব‍্য : হুমম সবাই আছে শুধুমাত্র বউ নাই ( একটু মজা করে বলে কথাটি )

---এ কথা শুনে মেয়েটির মাথাতো ভিষন গরম হয়ে যায়। তাই নিজেকে কন্টল রাখতে আবার কশে একটি থাপ্পড় মারে কাব‍্য কে?

---ঠাসসসস ঠাসসস! একেই তো গায়ে পরেছিস। আবার এখন ইভটিজিং করতেছিস। ( মেয়েটি )

কাব‍্য : আশ্চর্য আপনি থাপ্পড় মারতেছেন কেনো বার বার। আমার গাল কি তুলার বস্তা পাইছেন।

---কি বেয়াদব ছেলেরে আবার তর্ক ও করে?

কাব‍্য : এই আপনি কি এই কলেজে নতুন নাকি।

---সেটা আপনাকে কেনো বলবো।

কাব‍্য : আশ্চর্য যা জিঙ্গেস করছি তাই বলেন।

---আমাকেও সেটাই বলুন আপনাকে কেনো বলবো আমি। কে হন আপনি আমার যে বলতেই হবে।

কাব‍্য : কী মেন্টাল মেয়েরে ( কথাটি মনে মনে কাব‍্য বলে )

---এই আপনি কিছু বললেন আমাকে।

কাব‍্য : জী না? ঠিক আছে আপু থাকেন আমি চললাম ক্লাশে।

---আবার আপু বলে?

কাব‍্য : ভাই বললে ও দোশ আপু বললে ও দোশ। তবে কি বলবো আপনি সেটা বলে দিন।

---কিছু বলতে হবে না।

কাব‍্য : আচ্ছা ঠিক আছে আপু? ( এই কথাটি বলেই কাব‍্য জিব্বায় কামর দিয়ে বসে।)

---আবার আপু ডাক শুনেই মেয়েটি চোখ বর বর করতে কাব‍্যের দিকে তাকাতেই কাব‍্য এক দৌরে ক্লাস রুমের সামনে চলে যায়।

কাব‍্য : স‍্যার আসতে পারি?

স‍্যার : হুমম অবশ্যই ?

---তো স‍্যারের অনুমতি নিয়ে যখনি কাব‍্য ভিতরে ডুকতে যাবে। ঠিক তখনি অনুভব করে কেউ একজ তাকে পিছন থেকে টেনে ধরছে।

---পিছনে ঘুরতেই দেখে ওই মেয়েটা?

কব‍্য : আপনার সমস্যা কি হ‍্যা। বললাম তো তখন সরি?

--এই কথাটি বলার সাথে সাথেই মেয়েটি কাব‍্যকে???

" পরবর্তী পর্বের জন্যে অপেক্ষা করুন? এই পযর্ন্ত কেমন হলো কমেন্ট করুন?
#ধন্যবাদ

গল্প  #বধু_সুন্দরী পর্ব---৪/শেষলেখনীতে✍️:  #ইউসুফ_শাহ ""রিতু : আমি তোমার বউ এই কথাটি কি মিথ্যা হাসিব?"কথাটি শোনা মাত্রই ...
31/12/2023

গল্প #বধু_সুন্দরী
পর্ব---৪/শেষ
লেখনীতে✍️: #ইউসুফ_শাহ

""রিতু : আমি তোমার বউ এই কথাটি কি মিথ্যা হাসিব?

"কথাটি শোনা মাত্রই হাসিব কশে একটি থাপ্পড় মারে রিতুকে সবার সামনে।

হাসিব : ঠাসসস ঠাসসস! লজ্জা করেনা আমার ব পরিচয় দিতে।

রিতু : আচ্ছা আমি তোমার বউনা আমি এই সব মিথ্যা বলেছি। প্লিজজ আমাকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে চলো। নাহলে আমি মরেই যাবো।

হাসিব : তুই মারা গেলেই বা আমার কি। আর না গেলেই বা আমার কি শুনি।

রিতু : (হাসিবের পায়ে ধরে) প্লিজজজ হাসিব আমি আর সজ‍্য করতে পাচ্ছিনা। আমাকে নিয়ে চলোনা।

"রিতুর এমন কান্না কাটি দেখে সবার সামনে ভালো মানুষ সাজার জন্যে হাসিব ডাক্তার কে ফোন দিয়ে সেখানে ডাকে "

"এর কিছুক্ষন পরে ডাক্তার সেখানে চলে আসে। আর এসেই রিতুকে কিছু ওষুধ দেয়।যেটা খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে রিতু ভালো হয়ে যায়।

রিতু : ডাক্তার আমার এই অবস্থা কেনো হয়েছিলো। জানতে পারি কি।

ডাক্তার : তেমন কোন সমস্যা নেই। আপনি মনে হয় ২/৩ দিন ধরে কিছু খাননি।

রিতু : হুমমম ডাক্তার।

ডাক্তার :এই কারনে এমন সমস্যা হয়েছে। যাক সময় মতো খাবেন। আর নিজের শরীরের যত্ন নিবেন। এখন আমি আসি।

রিতু : হুমমম ডাক্তার ঠিক আছে।

"তো ডাক্তার যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে রিতুও আবার ঠিক ওই রুমে চলে যায়।

"সবাই নতুন বউ দেখে চলে যাওয়ার পরে হাসিব নিজের রুমে চলে আসে।

হাসিব : এইইই এটা কি হলো শুনি।

রিতু : বিশ্বাস করো হাসিব আমি এমন কিছুই করতে চাইনি। আসলে আমার পেটে এমন অসজ‍্যকর ব‍্যথা শুরু হয়েছিলো নিজেকে আর কন্টল করতে না পেরে তোমার কাছে চলে গিয়েছিলাম।

হাসিব : আমি বাদে আর কেউ ছিলোনা এই বাসায়।

রিতু : তুমি বাদে সবাই আমাকে মনে হয় ঘৃনা করে। সেটা আমি বুজতে পেরেছি।

হাসিব : আমি তোকে ভালোবাসি এই কথাটি কখনো বলেছি নাকি।

রিতু : না বললেও বুঝা যায় তুমি ওদের মতোন না।

হাসিব : প্লিজজজ তুই আমার সামন থেকে চলে যা। আমি তোর ওই মুখ দেখতে চাইনা।

রিতু : আমার তো কোথাও যাওয়ার যায়গা নেই কোথায় যাবো।

হাসিব : তোর মা যেখানে মারা যাচ্ছে সেখানে গিয়ে তুইও মারা যা। তবুও আমার মুখের সামনে আসিসনা আল্লাহ্ দোহাই লাগে।

রিতু : আমাকে দেখলে তোমার ঘৃনা জন্মে কি।

হাসিব : হ‍্যা তোকে দেখলেই আমার মনে ঘৃনা জন্মন নেয়।

রিতু : ওহ। ঠিক আছে চলে যাবো সমস্যা নেই। কিন্তু যাওয়ার আগে আমার কিছু টাকা দিবা মায়ের জন্যে কিছু কিনে নিয়ে যেতাম।

হাসিব : কতো টাকা লাগবে তোর।

রিতু : তুমি যা পারো দাও।

হাসিব : এইইই নে এখানে ৫ হাজার টাকা আছে। আর কখনো আমার সামনে আসিস না প্লিজ।

রিতু : চিন্তা করিওনা আর কখনো আসবোনা।

"এই বলে হাসিবের কাছ থেকে টাকা গুলা নিয়ে রিতু বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়। যা দেখে হাসিবের পরিবারের সবাই বেশ খুশি হয়।

"তো টাকা ৫ হাজার নিয়ে রিতু একটি ফলের দোকানে চলে যায়। সেখানে গিয়ে অসুস্থ মায়ের জন্যে কিছু ফল কিনে আবার একটা ওষুধের দোকানে যায়। সেখানে কিছু ওষুধ কিনে একটি রিকশা নিয়ে হাসপাতালে যাচ্ছিলো অসুস্থ মায়ের কাছে।

"বেশ কিছুদুর যাওয়ার পরে হঠাৎ একটি ট্রাক কন্টর হারিয়ে সোজা রিতুর রিকশার উপর দিয়ে চলে যায়। আর সেখানেই রিকশাওয়ালা কোন ভাবে বেছে গেলেও রিতু বাছতে পারেনা। কারন ট্রাকটি এতো জোরে ধাক্কা মেরেছে এতে রিতুর মাথাটি ২ ভাবে বিভক্ত হয়ে যায়। আর ওখানেই রিতু মারা যায়।

"অসুস্থ মায়ের কাছে আর শেষ পযর্ন্ত পৌছাতে পারেনা। আর এখানেই এই গল্পটি শেষ হয়ে যায়।

"এই গল্পে একটি জিনিসেই বুজলাম এই পৃথিবীতে 99% মানুষ সুন্দের্যের প্রেমে পরে। কালার প্রসংসা সবাই করে কিন্তু দিন শেষে সবাই সুন্দর্যোই খোজে।

হাসিব কিন্তু চাইলে রিতুকে নিয়ে থাকতে পারতো। ওই যে রিতু সুন্দর না কাজের মেয়ে এটাই ছিলো তার জীবনের বর অভিশাপ?

#সমাপ্ত_সমাপ্ত_সমাপ্ত

সবাই ভালো থাকবেন আল্লাহ্ হাফেজ।

আসসালামু ওয়ালাইকুম💖

গল্প  #বধু_সুন্দরী  পর্ব---০৩কাহিনীতে:✍️  #ইউসুফ_শাহ ---বিশ খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে হাসিব সেখানে চলে আসে। বলতে থাকে।হাসিব : এ...
30/12/2023

গল্প #বধু_সুন্দরী
পর্ব---০৩
কাহিনীতে:✍️ #ইউসুফ_শাহ

---বিশ খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে হাসিব সেখানে চলে আসে। বলতে থাকে।

হাসিব : এইইইই কি হলো তোর? সত্যি সত্যি কি বিশ খেয়ে ফেল্লি।

"কথাটি শেষ হওয়ার সঙ্গে রিতু উত্তর দেয়"

রিতু : নাহ এখন পযর্ন্ত বিশ সত্যিকারের বিশ খাইনি একটু অভিনয় করলাম। দেখতে চাইছিলাম আপনি আমার কাছে আসেন কি না।

হাসিব : আসলেই তোদের মতো ছোট লোকদের চেনা বড় দায়। তোরা অভিনয়ে সেরা।

রিতু : এইবার কিন্তু সত্যি সত্যি খাবো। যদি আমাকে সঙ্গে নিয়ে না যান। আর আমি বিশ খাইলে আপনার কি হবে একবার ভেবে দেখছেন।

"রিতুর মুখে এমন কথা শুনে হাসিব বেশ ঘাবরে যায়। কারন কখন যে কি করে বসে তার ঠিক নাই। তাই হাসিব বলে।

হাসিব : এতোই যখন আমার বউ হবার শখ তোর তাহলে চল আমার সঙ্গে।

রিতু : হুমমমম আমি তো যাইতে চাই।

হাসিব : চল।

"এর পরে হাসিব বাদ্ধ হয়ে রিতুকে সঙ্গে নিয়ে বাসায় চলে আসে। এই দিকে আবার হাসিবের বাবা মা নতুন বউকে বরন করে নেয়ার জন্যে বাহিরের দরজায় দারিয়ে আছে।

"বাসায় ডুকা মাত্রই সবাই নতুন বউকে বরন করে নেয়। তো বরন করা শেষে যেইনা বউয়ের মুখে থেকে ঘোমটা সরায় তখন সবাই আশ্চর্য হয়ে যায়। কারন এই কাইল্লা ভুত আবার কে।

"হাসিব এটা কাকে নিয়ে এসেছিস তুই। ( হাসিবের মা)

"হাসিব নিশ্চুপ?

"কি হলো আমার কথার উত্তর দে। এই মেয়েটা কে? (মা)

হাসিব : মা ভুমির বাবা মা আমাদের সঙ্গে বাটপারি করছে। ভুমির বদলে এই কাজের বুয়ার সঙ্গে আমার বিয়ে দিয়েছে।

"কিইইইইই ভুমি কোথায় তবে। (মা)

হাসিব : ভুমি ৩ মাসের গর্ভবতী। ওর একটি ছেলের সাথে সম্পর্ক আছে।

"কি বলিশ এইসব আমার তো বিশ্বাস হচ্ছেনা।ওরা আমাদের এতো বড় মিথ্যা লুকিয়েছে। (মা)

হাসিব : আমি বাদ্ধ হয়ে এই কাজের মেয়েকে নিয়ে এসেছি।

"ওখানেই রেখে আসতে পারিশনাই এই কালা মেয়েটাকে। (মা)

হাসিব : চেষ্টা কি কম করেছি। অনেক চেষ্টা করেছি কিন্তু আমি আসার সঙ্গে সঙ্গে বিশ খাওয়ার চেষ্টা করতে ছিলো তাই নিয়ে এসেছি। সমস্যা নেই আমাদের বাসায় কাজের মেয়ে নাই ও সব কাজ করবে।

"কিন্তু মানুষ কি বলবে শুনি একটু। কাল বউ দেখার জন্যে কতো সন্মানিয় লোক আসবে। তাদের আমি কি বলবো? (মা)

"এই কথা শুনে রিতু বলে "

রিতু : কেনো আমাকে দেখাবেন। আমি কি দেখতে অসুন্দর নাকি।

"রিতুর এই কথা শুনে সেখানে সবাই হাহাহ হাহহা হাহা করে হাসতে থাকে "

হাসিব : কিইইইই তুই সুন্দরী। আরে তুইতো কাইল্লা ভুত।

রিতু : নিজের বউকে এমন করে বলতে নেই।

হাসিব : এইইইই ক/ত্তা/র বা/চ্ছা আর একবার বউয়ের অধিকার কথা বললে তোকে এখানে শেষ করে দিবো।

রিতু : তুমি ঘুঘু হলে আমি ঘুঘুর ফাদ। এই কথাটি মাথায় রাখিও শুধুমাত্র।

হাসিব : দেখলে মা ও কাজের মেয়ে হলে হবে কি। কথা বার্তা সব কোটিপতির সন্তানের মতো।

"সেটাই তো দেখতেছি। হাসিব আমার মনে হচ্ছে এইটা প্লান করে বিয়ে দিয়েছে ওরা। (মা)

হাসিব : মিথ্যা বলোনাই।

রিতু : অনেক রাত হয়েছে বেশি কথা বলতে পারবোনা। তোমার রুম কোনটা বলো ঘুমাবো আমি।

"রিতুর এমন ঠাস ঠাস করে কথা শুনে সবাই বেশ আশ্চর্য হয়।

হাসিব: কিইইই তুই আমার রুমে ঘুমাবি।

রিতু : অবশ্যই। কারন তুমি আমার স্বামী তোমার রুমেই তো ঘুম যাবো।

হাসিব : তুই ঘুমাবি আমাদের অন‍্য কাজের বুয়া গুলার সঙ্গে।

রিতু : ঠিক আছে যেখানে ইচ্ছে সেখানেই ঘুমাইতে দাও। তবে কাল আমার মৃত লাশ পাবে। তখন বুজবে।

হাসিব : ধমক দিস আমাকে।

রিতু : ধমক দিবো কেনো। এই রিতু যেটা বলে সেটাই করে।

"এমন সময় হাসিবের মা হাসিবকে একটু সাইডে নিয়ে কিছু কথা বলে। যা শুনে হাসিব রিতুকে বলে।

হাসিব : ঠিক আমার রুমেই ঘুমাবি চলে।

"ওয়েট তার আগে আমি কিছু কথা বলতে চাই। কথাটি হচ্ছে কাল আমাদের বাসায় অনেক মেহমান আসবে নতুন বউ দেখার জন্যে। কিন্তু আমাদের পোরা কপাল যাকে বউ হিসেবে দেখতে চাইলাম তাকে পেলাম না। তাই কাল সারা দিন হাসিব তোর বউ যেনো রুম থেকে বের না হয়। কারন আমি অন্য একটি মেয়েকে বউ সাজিয়ে সবার সাথে পরিচয় করে দিবো। না হলে আমাদের মান সন্মান সব শেষ হবে। (মা)

হাসিব : ঠিক আছে মা সমস্যা নেই।

"যা রুমে যা কালা ভুতটারে সঙ্গে নিয়ে? (মা)

"মায়ের কথা মতো হাসিব রিতুকে নিজের রুমে নিয়ে যায় বাদ্ধ হয়ে ''

"রুমে এসেই"

2

রিতু : বাহ কি সুন্দর করে বাসর ঘরটী সাজিয়েছে আমাদের জন্যে।

হাসিব : তোর জন্যে না। আমার আর ভুমির জন্যে ছিলো বুজেছিস।

রিতু : আচ্ছা একটি কথা বলি আপনাকে। সরি এখন থেকে তুমি করে বলবো। আচ্ছা একটি কতা বলি তোমাকে।

হাসিব : বল কি বলতে চাস।

রিতু : তুমি যদি বিয়ের পরে জানতে ভুমির পেটে ৩ মাসের একটি নভজাত বেরে উঠতেছে সেটাও আবার অন্য কারোর। তখন তুমি কি করতা।

হাসিব : কি আর করতাম তাকে ডিভোর্স দিতাম। না হলে বাচ্চা টি নষ্ট করতাম।

রিতু : আচ্ছা। কিন্তু তার পরেও যদি ভুমি তার boyfriend সঙ্গে মেশা মেশা করতো তখন।

হাসিব : সোজা ডিভোর্স দিতাম।

রিতু : আচ্ছা ভালোবাসা মন থেকে হয়না দেখ থেকে হয়।

হাসিব : মন থেকে ভালোবাসা হয়। কিন্তু তুই এই সব আমাকে বলতেছিস কেনো।

রিতু : আমি জানি আমি দেখতে সুন্দর না। অন্য মেয়েদের মতো শিক্ষিত না। ভালো জামা কাপর নেই। মানুষ বাড়িতে কাজ করে খাই। তাই বলে কি আমার কোন স্বপ্ন নেই। আমার ভালোবাসার শখ নেই।

হাসিব : হুমমম আছে।

রিতু : কোই তুমি তো আমাকে একবার ও সন্মান দিয়ে কথা বললেনা। আমার সম্পর্কে জানতে চাইলেনা।

হাসিব : তোরা আমার সঙ্গে নাটক করেছিস। আমাকে ধোক দিয়েছিস।

রিতু : কেনো এমন করলাম একবাও জানতে চাইছো।

হাসিব : না।

রিতু : শোন তাহলে। ভুমি ওর মা মিলে এই প্লান করেছে। ওর বাবার কোন দোশ নেই এই সব। আসলে ওরা আমাকে ব্লাকমেইল করেছে।

হাসিব : মানে।

রিতু : ভুমি আপু প্লান করে বিয়ের আসরে এমন ভাবে কাউকে ঘোমটা দিয়ে লাখবে যাতে মনে হয় ওখানে ভুমি আছে। কিন্তু কেউ এতে রাজি হচ্ছিলো না। তখন ওরা আমাকে টাকার লোভ দেখায়। বলে তুই এই কাজ করলে ৩ লক্ষ টাকা দিবো। আর সেই টাকা দিয়ে তোর মায়ের চিকিৎসা করতে পারবি। বিশ্বাস করো হাসিব তখন আমি রাজি হয়ে যাই কারন আমার মা অসুস্থ। তাকে সুন্দর করতে অনেক টাকা লাগবে।

হাসিব : ওহ। বুজলাম তুই তোর জায়গা থেকে কাজটি ঠিক করেছিস। কিন্তু একবার ও ভেবে দেখেছিস এর পরে কি ঘটতে পারে।

রিতু : আমাকে মাপ করে দাও হাসিব। সত্যি তখন এই চিন্তা মাথায় আসেনি আমার।

হাসিব : মাপ করলেই কি ঠিক হবে সব কিছু।

রিতু : তুমি চাইলে আমাকে ডিভোর্স দিতে পারো। আমি কোন একশন নিবোনা। শুধুমাত্র আমার মায়ের চিকিৎসা জন্যে ১ লক্ষ টাকা দিলেই হবে।

"রিতুর মুখে এই কথাটি শুনে হাসিবের মুখে একটু যেনো হাসির ছাপস ফুটে উঠলো"

হাসিব : সত্যি বলছিস।

রিতু : হুমমমম সত্যি সত্যি সত্যি।

হাসিব : কিন্তু ৩ মাসের আগে তো ডিভোর্স হবেনা। তাই আমাদের এই ৩ মাস এক সঙ্গে থাকতে হবে।

রিতু : হুমমমম।

হাসিব : এই কথাই থাকলো ৩ মাস পরে এক লক্ষ টাকা নিয়ে ডিভোর্স হবে।

রিতু : হুমমম এখন ঘুমাই তবে।

হাসিব : শোন কাল আমাদের বাসায় অনেক মেহমান আসবে তুই কাউকে পরিচয় দিবিনা তোর সঙ্গে আমার বিয়ে হয়েছে। এক কথায় এই রুম থেকে বাহিরে যাবিনা। অন্য একটি মেয়েকে বউ সাজিয়ে পরিচয় করিয়ে দিবো নাহলে আমাদের মান সন্মান থাকবেনা।

রিতু : ঠিক আছে।

হাসিব : ঘুমাও এখন।

রিতু : তুমি ঘুমাবেনা। অনেক রাত হয়েছে ঘুমিয়ে পরো তুমি ও।

হাসিব : আমার দেরি আছে। তুই ঘুমাও। আমি একটু পরে এসে সোপায় ঘুমাবো।

রিতু : আমি সোপায় ঘুমাই তুমি খাটে ঘুমাইও।

হাসিব : তুই ঘুমাও খাটে।

"এই বলে হাসিব সেখানে থেকে বাহিরে চলে যায়। রিতুও আর কিছু না বলে খাটেই ঘুমিয়ে পলে।

"তো পরের দিন সকালে বেলায় রিতু উঠতে না উঠতেই বাড়িতে অনেক মানুষের চিৎকার শোনা যাচ্ছিলো যারা সবাই নতুন বউ দেখার জন্যে এসেছ।

"এর পরে রিতু ঘুম থেকে উঠে জানালার এক পাশ দিতে বাহিরে দেখছিলো। একটি মেয়ে বউয়ের সাজে সজিয়ে হাসিবের পাশে বসে আছে। আর সাই ওদের ছবি তুলে নিচ্ছে।

"এটা দেখে রিতু ভাবে থাকে ইশশশ কেনো যে বড়লোকের ঘরে জন্ম নিলামনা। আল্লাহ্ কেনো যে সুন্দরী করে বানালোনা। আজ যদি সুন্দর হতাম তাহলে নিজর স্বামীর পাশে থাকতাম।

"এই সব ভাবতে ভাবতে হঠাৎ রিতুর পেটটা ভিষন ব‍্যথা করতে শুরু করে। কি কারনে করে সেটাও সে জানেনা।

"বেশ কিচ্ছুক্ষন সজ‍্য করার পরে যখন আর নিজেকে কন্টল বলতে পাচ্ছিলোনা তখন রিতু দরজাটি খুলে বাহিরে চলে আসে হাসিবের সামনে।

যেটা দেখে হাসিব বেশ আশ্চর্য হয়?

রিতু : হাসিব আমাকে বাছাও আমার পেট ভিষণ ব‍্যথা করতেছে। বুজতেছিনা কি হয়েছে।

হাসিব : এইই কে আপনি। আপনার পেট ব‍্যথা করতেছে তো আমি কি করবো শুনি। যান এখান থেকে চলে যান।

রিতু : প্লিজড হাসিব ডাক্তার ডাকো আমি সজ‍্য করতে পাচ্ছিনা।

হাসিব : আপনাকে চিনিনা জানিনা আমি কেনো ডাক্তার ডাকবো শুনি।

রিতু : আমাকে চিনোনা আরে আমি তোমার বিয়ে করা বউ রিতু। এখন চিনছো আমাকে।

এই কথাটি শুনেই সেখানে হাসিব______

চলবে,,,,

---- পরবর্তী পর্বে কি ঘটতে পারে কমেন্ট করুন সবাই ধন্যবাদ।

গল্প  #যে_পাখি_ঘর_বোঝেনা_    পর্ব---০২লেখা ও কাহিনী :✍️  #ইউসুফ_শাহ ---প্লিজ আমাকে মেরে ফেলো না। হাসিব বাছাও আমাকে? ---এ...
30/12/2023

গল্প #যে_পাখি_ঘর_বোঝেনা_
পর্ব---০২
লেখা ও কাহিনী :✍️ #ইউসুফ_শাহ

---প্লিজ আমাকে মেরে ফেলো না। হাসিব বাছাও আমাকে?

---এমন চিৎকার শুনে সাথে সাথেই হাসিবের ঘুম ভেঙ্গে যায়। আর দেখতে পায় রিয়া ঘুমের মধ্যে এমন চিৎকার করতেছে।

হাসিব : রিয়া এই রিয়া কি হয়েছে তোমার। এমন চিৎকার করতেছো কেনো।

---হাসিবের ডাক শুনামাত্রই রিয়ার ঘুম ভেঙ্গে যায়। তখন রিয়া বলতে থাকে।

রিয়া : আমি একটা স্বপ্ন দেখেছি।

হাসিব : স্বপ্ন দেখে কেউ এমন চিৎকার করে হ‍্যা। আর একটু হলে তো আমি ভয় পাইছিলাম।

রিয়া : শোন তবে কি হয়েছে। আমি দেখলাম কব‍্য আমাকে মেরে ফেলতেছে। কতো রিকুয়েস্ট করলাম তবুও ছারছেনা।

হাসিব : হাহাহহাহা তুমিও না হও। আমি থাকতে তোমার কিচ্ছু হবে না কথাটি মাথায় রেখো।

রিয়া : শোন একটি কথা বলি।

হাসিব : আরে বাবা পারমিশন নিতে হবে না বলো কি বলবা।

রিয়া : তোমার বাবার সম্পত্তি এখন দুই ভাগ হবে। কিন্তু এই সব কিছু তোমার নামে লিখে দেয়ার কথা ছিলো।

হাসিব : হুমমম কিন্তু কি আর করার বলো। ওতো ফিরে এসেছে।

রিয়া : তাতে কি। আমরা যে কোন ভাবেই কাব‍্য কে এই বাসা থেকে তারাবো।

হাসিব : মানে তুমি কি বলতে চাচ্ছো।

রিয়া : আমার কোন একটি কাহিনী ঘটিয়ে কাব‍্য কে এই বাসা থেকে বের করে দিবো। তার পরে পুরা সম্পত্তি তোমার নামে লিখে নিবো।

হাসিব : আচ্ছা দেখা যাক তবে। এখন ঘুমাও অনেক রাত হয়েছে।

---এর পরে আর কোন কথা বারা বারি না করে দুজনেই ঘুমিয়ে পরে। পরের দিন কাব‍্য সকাল বেলা উঠেই একটু বাহিরে হাটা হাটি করতে যায়। বেশ কিছুক্ষন হাটার পরে হঠাৎ করেই একটি মেয়ে এসে সালাম দেয়।

---আসসালামু ওয়ালাইকুম। কেমন আছেন।

---কাব‍্য একটু অবাক হয়ে বলে।

কাব‍্য : ওয়ালাইকুম আসসালাম। কে আপনি চিনলাম না তো সঠিক।

---আমার নাম পুতুল?

---পুতুল নামটি বলার সাথে সাথেই কাব‍্য বলে উঠে।

কাব‍্য : ওহ পুতুল তুমি । কিন্তু তোমার এই অবস্থা কেনো হলো।

পুতুল : যাক তবে চিনতে পারছো।

কাব‍্য : তোমাকে কি ভোলা যায় বলো। কেমন আছো।

পুতুল : আলহামদুলিল্লাহ্ ভালো আছি। কিন্তু এখন এই মূহুর্তে আরো বেশি ভালো ।

কাব‍্য : সত্যি তুমি অনেক চেন্স হয়ে গেছো।

পুতুল : তুমিও।

কাব‍্য : তোমার স্বামী কেমন আছে।

পুতুল : আমি এখনো বিয়ে করিনাই।

কাব‍্য : মানে।

পুতুল : সবি তো জানো। আবার নতুন করে কি জানতে চাইতেছো শুনি।

কাব‍্য : তোমার মথায় নিশ্চিত সমস্যা আছে। কেউ এমন করে নিজের জীবনটা শেষ করে।

পুতুল: ভালোবাসি যে তাকে এখনো।

কাব‍্য : তোমার এটা পাগলামি। কারন পাগলামি ছারা কখনো সম্ভব না এটা।

পুতুল : তাকে ভোলার অনেক চেষ্টা করছি। কিন্তু দিন শেষে তাকে ভূলতে পারিনি। হয়তো এটা আমার ব‍্যর্থতা।

কাব‍্য : থাক কিচ্ছু বললাম না। আজ চলি আবার অন্য দিন কথা হবে।

পুতুল : তুমি একটু সাবধানে থাকিও।

কাব‍্য : কেনো?

পুতুল : তোমার বাসার লোক ভিষণ ডেন্জার।

কাব‍্য : এক দম বাজে কথা বলবা না। আমার পরিবারের লোকজন কে আমি ভালো চিনি।

পুতুল : ওহ! জানো আমার এই অবস্থা হবার কারন কি।

কাব‍্য : না বললে কেমন করে জানবো বলো।

পুতুল : থাক অন্য দিন দেখা হলে বলবো। ভালো থাকিও আল্লাহ্ হাফেজ।

---এটা বলেই পুতুল সেখানে থেকে চলে যায়। আপনারা বলতে পারেন পুতুল কে। এখন বালা যাবে না। ধৈর্য ধরুন সব জানতে পারবেন ইনশাআল্লাহ।

---তো এর পরে কাব‍্য ও আর কিছু জানতে না চেয়ে বাসায় চলে আসে। এসেই দেখে সবাই খাইতে বসছে।

---এমন সময় মা বলে উঠে?

মা : কাব‍্য ফ্রেশ হয়ে আয়। এসে খাবার খেয়ে নি।

---তো মায়ের কথা মতো কাব‍্য ফ্রেশ হয়ে এসে খাইতে বসে সবার সাথে। এমন সময় কাব‍্য তার বাবা কে বলে।

কাব‍্য : বাবা একটি কথা বলার ছিলো।

বাবা : হুমম বল কী বলবি।

কাব‍্য : আমি তো দেশে ফিরে আইছি। এখন ব‍্যবসা করবো। এবং জমিতে চাষাবাদ করবো।

বাবা : তো এতো আমি কি করবো।

কাব‍্য : কিচ্ছু করতে বলছি না। শুধুমাত্র আমার জমি গুলা দেখাই দাও যে গুলা বিদেশ থাকতে ক্রয় করেছি। আর হ‍্যা ১৪ লক্ষ টাকা ক‍্যাশ ও দিয়েছি। ওই গুলা দাও ব‍্যবসা করবো।

---কথাটি শুনেই কাব‍্যের বাবা বলে উঠে।

বাবা : কিসের জমি?

কাব‍্য : আমি বিদেশ থাকতে যেই জমি কিনেছি আমার নামে। ওই জমি।

বাবা: সেই জমি তোর একার নামে না। হাসিব ও সেখানে পাবে।

কাব‍্য : মানে। ও পাবে কেনো বুজলাম না।

বাবা : দুজনের নামে আছে তাই পাবে।

কাব‍্য : কিন্তু বাবা এই সব তো আমি নিজের টাকায় কিনেছি।

বাবা : যে এক বিঘা জমি তার আবর এতো কথা।

---বাবার মুখে এক বিঘা কথাটি শুনেই কাব‍্য বেশ আশ্চর্য হয়।

কাব‍্য : কি বলো এক বিঘা জমি। আমি তো জমি কিনেছি ১১ বিঘা?

বাবা : তুই বললেই হলো?

কাব‍্য : আচ্ছা ক‍্যাশ টাকা যে গুলা ব‍্যাংকে রাখতে দিছি ওই গুলাও আমাকে দাও।

বাবা : কোন টাকা নেই।

কাব‍্য : তার মানে তুমি এতো দিন আমাকে মিথ্যা বলছো সব ছি.. ছি.. বাবা। তুমি এমন কাজ করতে পারলে আমার সাথে।

বাবা : চুপ চাপ খাইতে হলে খা না হলে যেখানে থেকে এসেছিস সেখানে চলে যা।

---বাবার মুখে এমন কথাটি শুনেই কাব‍্যের বূকটা কেমন জানি কম্পন দিয়ে উঠলো।

কাব‍্য : বাহ বাবা তুমি কতো সুন্দর কথা বলতে পারো। আমি ভাবতে পারিনাই তুমি এতোটা ছলনাময়ি।

---এই কথা শুনে রিয়া বলে।

রিয়া : হাসিব তোমার বাবাকে একটা মানুষ অপোমান করতেছে। আর তুমি মুখ বুজে সজ‍্য করতেছো। কেমন ছেলে তুমি।

কাব‍্য : এই চুপ কর তুই? একটা মানুষ কিরে।

রিয়া : কি ভাবছিস তর এই ধমকে আমি ভয় পাবো। আর চুপ করে থাকবো।

কাব‍্য : হাসিব ওকে চুপ থাকতে বল। না হলে কখন যে থাপ্পড় দিবো নিজেই জানি না।

হাসিব : আমার বউ তো মিথ্যা কিছু বলতেছে না। সত্যি তো তুই বাবা কে অপোমান করতেছিস। আবার বর বর কথাও বলতেছিস।

কাব‍্য : ওহ। বাবা তোমাকে শেষ বারের মতো একটি কথা বলি। তুমি কি আমার কষ্টের টাকা পয়সা গুলা ফিরাই দিবে প্লিজ। আমি নতুন করে বাছতে চাই।

বাবা: কোন টাকা নেই।

কাব‍্য : মা তুমি তো কিছু বলো বাবা কে।

বাবা: তোর মা কি বলবে শুনি। এই বাসাথে আমি যা বলবো তাই হবে।

কাব‍্য : ভালো খুবেই ভালো।

---আর কোন তর্ক না করে কাব‍্য নিজের রুমে চলে যায়। খাওয়া দাওয়া না করেই। রুমে এসে ভাবতে থাকে সত্যি তো পুতুল মিথ্যা কিছু বলেনাই। আমার পরিবারের লোকেরা ভিষণ খারাপ।

---এমন সময় কাব‍্য লক্ষ করে রিয়া তার রুমে এসেছে। এটা দেখে কাব‍্য জিঙ্গেস করে।

কাব‍্য : তুই এই রুমে কি করিশ।

রিয়া : তুই এখানে থেকে চলে যা। আমাদের শুখে থাকতে দে প্লিজ।

কাব‍্য : ছি রিয়া তুই যে এমন হয়ে যাবি আমি কখনো কল্পনাও করতে পারিনাই।

রিয়া : যা হবার হয়ে গেছে। তুই চলে যা এই বাসা থেকে।

কাব‍্য : আশ্চর্য আমার বাসা থেকে আমি কেনো চলে যাবো।

রিয়া : যাবি কি না।

কাব‍্য : যাবো না। দেখি তুই কি করতে পারিশ।

রিয়া : ঠিক আছে দেখ আমি করি করতে পারি আর না করতে পারি।

---এই কথাটি বলেই রিয়া দরজাটি লাগিয়ে দেয় সাথে সাথে।

কাব‍্য : এই দরজা লাগিয়ে দিচ্ছিস কেনো।

---দরজা লাগিয়ে দিয়েই রিয়া______এমন একটি কাহিনী ঘটিয়ে ফেলে। যার জন্যে কাব‍্য প্রস্তুত ছিলো না ___?

"পরবর্তী পর্বের জন্যে অপেক্ষা করুন কাল পযর্ন্ত ধন্যবাদ

এই প্রথম নিজে নিজে সিঙ্গারা বানাইলাম, ভাজা কি ঠিক আছে নাকি আরেকটু ভাজা লাগবে..?😍
29/12/2023

এই প্রথম নিজে নিজে সিঙ্গারা বানাইলাম, ভাজা কি ঠিক আছে নাকি আরেকটু ভাজা লাগবে..?😍

😭😭
29/12/2023

😭😭

 #বধু_সুন্দরী_পর্ব ---২কাহিনীতে :✍️ ইউসুফ শাহ ---ভুমির মুখ থেকে ঘোমটা সরাইতেই দেখতে পায় বাসার চাকরানি রিতু এখানে।"এইইই র...
29/12/2023

#বধু_সুন্দরী_
পর্ব ---২
কাহিনীতে :✍️ ইউসুফ শাহ

---ভুমির মুখ থেকে ঘোমটা সরাইতেই দেখতে পায় বাসার চাকরানি রিতু এখানে।

"এইইই রিতু তুইইইই এখানে। ভুমি কোথায়।
(ভুমির বাবা)

---সাহেব আমি তো জানিনা ভুমি আপা কোথায়। (রিতু)

"তোকে এই জায়গায় কে আসতে বলতেছে। সব কিছু খুলে বল আমাকে। ( ভুমির বাবা)

---সাহেব আপনার বউ আমাকে সাজিয়ে গুছিয়ে এখানে নিয়ে এসেছে। আর বলছে এই বিয়েটা নাকি আমার। ( রিতু )

"তার মানে এই বিয়েটা তোর সঙ্গে হলো হাসিবের" (ভুমির বাবা)

---হুমমম আমার সঙ্গে হয়েছে। আমি কবুল বলে বিয়ে করেছি? (রিতু)

"এই কথাটি ছেলে পরক্ষের লোক শোনার সঙ্গে সঙ্গে একটি বড় ঝামেলা সৃষ্টি হয়ে যায় সেখানে।

---আপনি আপনার মেয়েকে বিয়ে দিবেন না ভালো কথা। কিন্তু একটি কাজের মেয়ের সঙ্গে আমার বিয়েটা দিলেন কেনো। ( হাসিব )

"ভুমির সঙ্গে যার বিয়ের কথা ছিলো তার নাম হচ্ছে হাসিব।

---বাবা বিশ্বাস করো সত্যি আমি এই সবের কিছুই জানতাম না। ( ভুমির বাবা)

---আবর কথা বলেন। আপনার লজ্জা করেনা। আমি এখন এই মুখ মানুষের সামনে কিভাবে দেখাবো হ‍্যা। আপনাকে আমি পুলিশে দিবো ( হাসিব )

"প্লিজজজ হাসিব আমাকে ক্ষমা করে দাও। সত্যি আমি কিছু জানি না? (ভুমির বাবা)

---আপনার বাসা আর আপনি জানেন না। এতো বড় ধোকা কি ভাবে দিলেন হ‍্যা। ( হাসিব )

"হাসিবে এমন কথা শুনে সবাই তখন ভুমির বাবা উপরে থুথু দিতে থাকে" আর খারাপ ভাষায় কিছু কথা শুনায়।

"এই সব সজ‍্য করতে না পরে সবার সামনে ভুমির মাকে নিয়ে আসে।

---কি হয়েছে ভুমির সব কিছু আমাকে খুলে বলো। সবাই জানুক যে এখানে আমার কোন হাত নেই।
(ভুমির বাবা)

"কিন্তু ভুমির মা নিশ্চুপ হয়ে থাকে?

---তোমাকে জিঙ্গেস করছি সব কাহিনী খুলে বলো। রিতু এই বিয়ের আসরে কি করতেছে। (ভুমির বাবা)

"আবার নিশ্চিুপ?

"এমন নিশ্চুপ থাকার কারনে ভুমির বাবা সবার সামনে ভুমির মায়ের গালে কশে একটি থাপ্পড় বসিয়ে দেয়?

---ঠাসসসসস! ঠাসসসস! তুই যদি সত্যি কথা বলিশ এখানেই তোকে তালাক দিবো। ( ভুমির বাবা)

"বলতেছি বলতেছি প্লিজজ তালাক কথা মুখে আনিও না।

---হুমমম বল কাহিনী কি।

"আমাদের মেয়ে ভুমি ইশান কে ভিষন ভালোবাসে। এই ভালোবাসা থেকে ওরা গভির সম্পর্কে চলে যায়। আর এর কারনে ভুমির পেটে সন্তান চলে আসে।

---কিইইই ভুমি সত্যি সত্যি প্রেগনেন্ট। ( ভুমির বাবা)

''হুমমমম ৩ মাসের একটি সন্তান এর পেটে আছে। আর সেই সন্তানের বাবা হলো ইশান।

---বাহ খুব ভালো। তা তোমার সেই সন্তান কোথায় এখন জানতে পারি একটু। (ভুমির বাবা)

"ওহ ইশানের বাসায় চলে গেছে।

---কোই আমি তো গেটেই দারিয়ে ছিলাম একবারও তো বাহিরে যাইতে দেখলাম না। (বাবা)

"ভুমি কালো একটি বোরকা পরে বেরিয়ে গিয়েছে। ও চাচ্ছিলোনা ইশান কে হারাতে তাই পালিয়েছে।

---ওহ। এখন যে আমার মুখে সবাই থুথু দিচ্ছে সেটা তোমার বেশ ভালো লাগতেছে তাই না। ( ভুমির বাবা)

"এই কথাটি শুনেই ভুমির মা ভুমির বাবার পায়ে পরে "

"প্লিজজ আমাকে মাপ করে দাও। আসলে আমি ভুমির কান্না সজ‍্য করতে পারিনাই। এই জন্যে পালিয়ে যেতে সাহায্য করছি।

---থাক মাপ চাইতে হবেনা। হাসিবের কাছে মাপ চাও সে যদি মাপ করতে পারে তবে আমি মাপ করবো?

"হাসিব বাবা আমার ভুল হয়েছে প্লিজজজ তোমরা আমাকে মাপ করে দাও।

হাসিব : চুপ করুন বেয়াদব মহিলা। আপনি বিয়ে দিবেন না বলতেই পারতেন। কিন্তু চালাকি করে কাজের বুয়ার সাথে কেনো বিয়ে দিলেন সেটাই বলুন।

"আমি বুজতে পারিনাই সত্যি।

হাসিব : আপনি কি কচি খোকা ফিটারে দুদ খান কিছু বুজেন না। এখন আমার কি হবে শুনি।

"বাবা রিতু খুব ভালো মেয়ে পরাশুনাও আছে একটু কোন সমস্যা হবেনা তোমার।

হাসিব : just setap! আমার সাথে মজা করেন তাই না।

"মজা করবো কেনো সত্যি বলতেছি। রিতু অনেক ভালো মেয়ে। তোমাদের কোন সমস্যা হবেনা।

হাসিব : আর একটি কথা বললে আমার থেকে খারাপ কেউ হবেনা। ফাজিল মহিলা কোথাকার আপনার কাজের বুয়াকে আপনার কাছেই রাখুন।

'এমন সময় ইশান বলে '

ইশান : বললাম না আপনার সন্তানের পেটে আমার বাচ্চা আছে। আপনি ত বিশ্বাস করতেই চাচ্ছিলেন না। এখন বিশ্বাস হয়েছে নাকি। তবে একটি কথা আপনারা চাইলে এই বিয়েটা নাও দিতে পারতেন। শুধু শুধু ছেলেটার জীবন নষ্ট করলেন। এখন না পারবে সমাজে মুখ দেখাইতে না পারবে ভালো কোন পরিবেশে মিশতে।

---এই তোমার এই সবের মধ‍্যে কথা বলতে কে বললো হ‍্যা। ( ভুমির বাবা)

হাসিব : কেনো ছেলেটা ভুল কিছু তো বলেনাই। ও সব সত্যি বলেছে।

ইশান : সত্যি কথার ভাত নেই ভাই। আচ্ছা আমি গেলাম ভুমি বাসায় আসলে বলবেন ইশান এখানে এসেছিলো।

"ভুমি তোমার বাসায় গিয়েছে বাবা। তুমি ওখানেই ওকে পাবে? (ভুমির মা )

ইশান : বাহ তাই নাকি। অনেক ভালো আমি গেলাম?

"এই বলে ইশান সেখানে থেকে চলে যায়।

"এর পরে হাসিব বলে"

হাসিব : ঠিক আছে আমরাও চলে যাচ্ছি। আমারা এই বিয়েটা মানিনা।

"এই কথাটি শুনেই রিতু সবার সামনে বলে উঠে"

রিতু : এই যে মি হাসিব বিয়েটা কি খেলনা পেয়েছেন নাকি। চাইলেন শুরু করুলেন আর চাইলেন না শেষ করলেন।

হাসিব : এইইই কি বললি তুই।

রিতু : আমি যা বলছি সেটা আপনি ভালো করেই শুনেছেন।

হাসিব : তোর কথা শুনে আমি বেশ আশ্চর্য হলাম। তুই কাজের মেয়ে হয়ে এই ভাবে কথা বলিশ বাহ।

রিতু : কেনো কাজের মেয়েরা কি মানুষ না।

হাসিব : হুমমম মানুষ কিন্তু ভাগ আছে।

রিতু : আমি এতো কিছু জানতে চাইনা। আপনি এখন আমাকে সঙ্গে নিয়ে চলুন।

হাসিব : কোথায় যাবি তুই।

রিতু : কেনো আপনার বাসায় যাবো। আপনি আমার স্বামী এই কথাটি কি ভুলে গিয়েছেন।

হাসিব : হাহহাহা হাহহা আমি তোর স্বামী। এটা কোন দিক দিয়ে তোর বিয়ে মনে হলো হ‍্যা।

রিতু : কোন দিক দিয়ে বিয়ে মনে হয়েছে এখানে সবাই সেটা ভালো জানে। এ ছারা আমাদের বিয়ের কাগজ পাতিও আছে।

হাসিব : হাহহহা তোর মতো কাজের বেটিকে আমি বিয়ে করে ঘরে তুলবো। সেটা তুই কিভাবে ভাবলি।

(প্রিয় পাঠক পাঠিকা একটি কথা বলি। এখানে কিন্তু হাসিবের বাবা মা বিয়ে বাড়িতে আসেনি তারা বাসায় আছে। আর কেনো আছে সব পরে খুলে বলবো)

রিতু : ভাই আমি এতো কথা শুনতে চাইনা।আমরা এখন স্বামী স্ত্রী ওকে।

হাসিব : চুপ কর ছোট লোকের বাচ্ছা কোথাকার।

রিতু : আপনি আমাকে যাই বলুন না কেনো। আমি আপনার সঙ্গে যাবোই।

হাসিব : এটা কখনোই পচিবল না। তুই কোথায় আর আমি কোথায় দেখেছিস।

রিতু : এই সব এখন বলে কোন লাভ নাই।

হাসিব : আমার কাছে এখন কাহিনী টা পরিকষ্কার হচ্ছে।

রিতু : কিসের কাহিনী শুনি।

হাসিব : তোরা সবাই প্লান করে এই বিয়ের ব‍্যবস্থা করেছিস।

রিতু : আপনার যা ইচ্ছে আমি ভাবতে পারেন। সত্যি কথা হচ্ছে আপনার আর আমার বিয়ে হয়েছে।

হাসিব : এইইই তোকে কতো বার বলবো আমি এই বিয়ে মানিন।

রিতু : কেনো।

হাসিব : কেনো মানি না সেটা আমার থেকে তুই ভালো জানিস। আর এই যে ভুমির বাবা আপনার কাজের বুয়া কিন্তু বেশি কথা বলতেছে।

রিতু : স্বামী সঙ্গে বেশি কথা বলবো নাতো কার সঙ্গে বলবো।

হাসিব : আপনার কাজের বুয়া কে ভালো করে বুজান। ব্রামন হয়ে চাদের দিকে যেনো হাত না বাড়ায়।

---আমি আর কি বলবো হাসিব বলো। তোমরা এখন স্বামী স্ত্রী আমার থেকে তোমরা ভালো বুজো।
( ভুমির বাবা)

হাসিব: বাহ বাহ এই বুড়াও দেখি খুব সুন্দর নাটক করতে পারে।

---সাবধানে কথা বলবে। তোমাকে বলছিনা এ সবে আমার কোন হাত নেই। এটা একটি এক্সিডেন্ট।
( ভুমির বাবা)

হাসিব : আমি তোদের নামে মামলা করবো মান হানির। তখন বুজবি আসল কাহিনী।

---তোমার যা ইচ্ছে করতে পারো কোন সমস্যা নেই আমার। (ভুমির বাবা)

রিতু : তুইইই যদি মানহানির মামলা করিশ আমি তাহলে নারি নির্যাতনের মামলা করবো। তখন বুজবি বিয়ের পর বউ না নেয়ার কারন।

হাসিব : তোর কথা বার্তা শুনে মনে হচ্ছে তুই কাজের বুয়া না। তোর মন অন‍্য কোন প্লান আছে।

রিতু : হাহহাহা হাহ হাহাহ কেনো ভয় পেয়ে গেছেন।

হাসিব : এই হাসিব কখনো ভয় পায়না।

রিতু : দেখলাম তো সেটা।

"এর পরে হাসিব রাগান্বিত হয়ে সবাইকে নিয়ে যখনি ভুমিদের বাসা থেকে যাইতে ধরবে। ঠিক সেই সময় রিতু বলে উঠে।

রিতু : হাসিব তুমি যদি আমাকে সঙ্গে না নিয়ে এই বাসা থেকে এক পা বাড়াও তবে আমি বিশ খাবে। এই দেখো বিশের শিশি।

"কথাটি শুনেই হাসিব দরিয়ে যায় সেখানে"

হাসিব : বাহহহহ অনেক সুন্দর নাটক হচ্ছে দেখি এখানে।

রিতু : হুমমম আরো অনেক কিছুই বাকি আছে।

---রিতু তুই বিশের শিশি কোথায় পেলি মা?
(ভুমির বাবা)

রিতু : চাচা আমি জানতাম এই বিয়তে কিছু একটা কাহিনি ঘটবেই। তাই আগে থেকে নিজের সঙ্গে বিশ নিয়ে রাখছি।

---সত‍্যি সত‍্যি খেয়ে ফেলবি নাকি। (ভুমির বাবা)

রিতু : অবশ্যই খাবো। যদি হাসিব আমাকে ওর সঙ্গে নিয়ে না যায়।

হাসিব : হুমমম তুই বিশ খা।

রিতু : সত্যি কিন্তু খেয়ে ফেলবো। এর পরে তোমাদের পুলিশ কি করবে ভেবে দেখো।

হাসিব : এই মুহূর্তে খা আমি ও দেখি। তোর বিশ গুলা কেমন।

রিতু : সত্যি কিন্তু এই গুলা বিশ।

হাসিব : হুমমমম সেটাই তো খেয়ে দেখাওনা বিশ গুলো দেখি কেমনে খায়।

রিতু : তার মানে তোমার বউ হিসেবে আমাকে সঙ্গে নিয়ে যাবেনা।

হাসিব :কখনোই না।

"কথাটি শেষ হতে না হতেই রিতু শিশিটার মুখটা খুলে ফেলে ঢক ঢক করে সব বিশ খেয়ে ফেলে। যা দেখে হাসিব হাহহাহা করে হাসতে থাকে"

হাসিব : বিশ গুলা কি মিষ্টি নাকি। যে ঢক ঢক করে খাচ্ছিস।

"বিশটা খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে রিতুর মুখ দিয়ে কি যেনো সাদা সাদা বের হচ্ছিলো। আর পাগলের মতো চিৎকার করতেছিলো। যা দেখেই হাসিব__

" পরবর্তী পর্বের জন্যে অপেক্ষা করুন। পরবর্তীতে পর্বে কি ঘটতে চলতেছে কমেন্ট করুন।

পেইজ👉https://www.facebook.com/profile.php?id=61554737702566

Address

Cox's Bazar

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Yousuf posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Videos

Share


Other Digital creator in Cox's Bazar

Show All