22/12/2024
একান্ত সাক্ষাৎকারে জসীম উদ্দীন
মহেশখালী-কুতুবদিয়া মানে সাবেক সাংসদ আলমগীর ফরিদের ঘাটি
ছালাম কাকলীঃ
কক্সবাজার-২ আসনের সাবেক সাংসদ আলমগীর ফরিদের প্রেরণায় আমি শহীদ রাস্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের হাতে গড়া সংগঠন বিএনপির দলের সাথে ছাত্র জীবন থেকে অদ্যবদি ও তপ্রোতভাবে জড়িত।
আমি উপজেলা ছাত্র দলের সাধারণ সম্পাদক থাকা কালে ছাত্র দলের সভাপতি ছিলেন আকতার হোসাইন। এ সময় মহেশখালী উপজেলা বিএনপির সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন এডভোকেট নূরুল আলম ও সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে ছিলেন মরহুম নূরুল ইসলাম চেয়ারম্যান। মাতারবাড়ী ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন কালে ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ছিলেন মরহুম সাইফুল কাদের চৌধুরী। তখন মহেশখালীর রাজনীতিতে আলাদা আনন্দ ছিল। সাবেক সাংসদ আলমগীর ফরিদ নেতা -কর্মীদের যা দিক নির্দেশনা দিতেন ; সেই নির্দেশনামতে নেতা কর্মীরা মিটিং, মিছিল ও সমাবেশ করতেন। এমনকি এই নেতার নির্দেশনামতে নেতা কর্মীরা স্বচ্ছ দল করায় মহেশখালী -কুতুবদিয়ার মানুষের ধানের শীষের প্রতি আগ্রহ বেড়ে যায়। এমনকি সাবেক সাংসদ আলমগীর ফরিদ পর পর দুবার সাংসদ নির্বাচিত হন। এ অবস্থায় ১/১১ জনপ্রিয় এই নেতা জেলে যাওয়ার কারণে হামিদুর রহমান আযাদ বিএনপি ও জামায়াতের ভোট নিয়ে সাংসদ নির্বাচিত হন। এখনো মহেশখালী ও কুতুবদিয়ার মাটি আলমগীর ফরিদের ঘাটি হিসেবে পরিচিত। এক কথায় মহেশখালী -কুতুবদিয়ায় বিএনপির ঘাটি করার পিছনে আলমগীর ফরিদের কষ্টের ফসল। গেল স্বৈরাচার সরকারের আমলে সাবেক সাংসদ আলমগীর ফরিদ অর্থ ও শ্রম দিয়ে বিএনপি নেতা কর্মীদের মাঠে থাকার সাহস জুগিয়েছেন। আমি এখনো এই নেতাকে নিয়ে গর্ব করি। আমি এই নেতার সাহসের ঠিকানা নিয়ে মহেশখালী উপজেলা কৃষক দলের আহবায়কের দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছি স্বচ্ছ ভাবে।
অপরদিকে ছাত্রদল ও ইউনিয়ন বিএনপির দায়িত্ব থাকা কালে আমাদের মধ্যে কোন ধরনের একজন অপরজনের মধ্যে রেষারেষি ছিল না। এমনকি সাবেক সাংসদ আলমগীর ফরিদের নির্মাণ করা রাস্তা ঘাট, জেটি ও ব্রীজ সহ গ্রামের বিভিন্ন অবকাঠামো এখনো হাত ছানি দিয়ে বিএনপি কে আমন্ত্রণ জানাচ্ছে। এ অবস্থায় এই নেতার পিছনে একটি চক্র পিছু লেগেছে। এই চক্র সাবেক সাংসদ আলমগীর ফরিদের ক্ষতি করতে পারবে না। এই নেতাকে ক্ষতি করতে গিয়ে মহেশখালী -কুতুবদিয়ার ধানের শীষের ঘাটি কে খন্ড বিখন্ড করছে। দুষ্ট চক্রের কালো হাত ভেঙ্গে দিতে হলে মহেশখালী -কুতুবদিয়ায় সাবেক সাংসদ আলমগীর ফরিদের বিকল্প নেই। এক কথায় মহেশখালী -কুতুবদিয়ায় ধানের শীষের ঘাটি টিকিয়ে রাখতে হলে আমাদের বার বার আলমগীর ফরিদের দরকার আছে বলে আমি মনে করি।
এক সংক্ষিপ্ত সাক্ষাৎ কারে উপরোক্ত কথা গুলো বলেছেন মহেশখালী উপজেলা কৃষক দলের আহবায়ক জসীম উদ্দীন। তিনি মাতারবাড়ী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মরহুম নূরুল ইসলামের ভাতিজা হন।