Ukhiya News Today

Ukhiya News Today সীমান্ত জনপদের মূখ্যপাত্র

সুস্থ হয়ে উঠছেন খালেদা জিয়াবিএনপি চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার আরো উন্নতি হয়েছে। তিনি ...
13/01/2025

সুস্থ হয়ে উঠছেন খালেদা জিয়া

বিএনপি চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার আরো উন্নতি হয়েছে। তিনি আগের চেয়ে ভালো আছেন। একা হাঁটাচলাও করতে পারছেন।
উন্নত চিকিৎসার জন্য সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে গত ৮ জানুয়ারি লন্ডনের শীর্ষ-স্থানীয় ও ঐতিহ্যবাহী বিশেষায়িত হাসপাতাল ‘দ্য ক্লিনিকে’ ভর্তি করা হয়। ওই হাসপাতালের লিভার বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক জন প্যাট্রিক কেনেডির তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন খালেদা জিয়া।
বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ও বেগম খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন রোববার (১২ জানুয়ারি) মধ্য-পশ্চিম লন্ডনের বিশেষায়িত এ হাসপাতালের সামনে স্থানীয় সাংবাদিকদের সাথে দলীয় নেত্রীর ‘চিকিৎসা ও স্বাস্থ্য সংক্রান্ত’ বিষয়ে সর্বশেষ পরিস্থিতি নিয়ে আলাপকালে এ কথা জানান।
বিএনপি চেয়ারপার্সনের ব্যক্তিগত চিকিৎসক দলের সদস্য ও চিকিৎসক হিসেবে লন্ডনে তাঁর সফরসঙ্গী ডা. মুহাম্মদ এনামুল হক চৌধুরী এ সময় উপস্থিত ছিলেন। তিনিও জানান, খালেদা জিয়া রোবাবার ক্লিনিকের ভেতরে এক-একা হাঁটাচলা করেছেন। এদিন তিনি দেশের খোঁজ-খবরও নিয়েছেন।
এদিকে, বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার চিকিৎসাকালীন সফরসঙ্গী হিসেবে লন্ডনে অবস্থানরত মেডিকেল বোর্ডের একজন চিকিৎসক বাংলাদেশ সময় রোববার দিবাগত রাত ২টায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা বাসসকে জানান, আগামী মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) লন্ডন ক্লিনিকের সমন্বিত একটি মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে আলোচনায় বসতে পারেন। তারা সবসময়ই খালেদা জিয়ার চিকিৎসার খোঁজখবর রাখছেন বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
ডা. জাহিদ জানান, ক্লিনিকে ভর্তি হওয়ার পর থেকেই খালেদা জিয়ার ‘রুটিন স্বাস্থ্য পরীক্ষা’ চলছে। তার চিকিৎসার ধরনে কিছু পরিবর্তন হয়েছে। কিছু মেডিকেল পরীক্ষার পরে, সেই রিপোর্টের ভিত্তিতেই তার চিকিৎসা চলছে। তিনি জানান, খালেদা জিয়াকে এখন ফিজিওথেরাপি দেওয়া হচ্ছে। নেফ্রোলজিস্ট, কার্ডিওলজিস্ট ও ইনটেনসিভিস্ট চিকিৎসকরা তাকে দেখেছেন।
তিনি বলেন, এভাবে আরও কয়েকদিন চিকিৎসা চলার পর; আমরা আশা করছি তার (খালেদা জিয়ার) শারীরিক অবস্থা নিয়ে আরও সুনির্দিষ্টভাবে কিছু বলার সময় আসবে।’
ডা. জাহিদ আরও জানান, তারেক রহমান, ‘ডা. জোবাইদা রহমান, মরহুম আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী সৈয়দা শর্মিলা রহমান, খালেদা জিয়ার নাতনি, তারেক রহমানের একমাত্র কন্যা ব্যারিষ্টার জাইমা রহমানসহ তিন নাতনি হাসপাতালে সবসময় খালেদা জিয়ার দেখভাল করছেন। ছেলে তারেক রহমান প্রতিদিন বাসা থেকে নিজে হাতে করে মায়ের জন্য খাবার নিয়ে আসছেন হাসপাতালে। ফলে, ম্যাডাম এখন অনেকটা ভালো আছেন। মানসিকভাবে উৎফুল্ল আছেন।’
সোমবার বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের পরামর্শে বিশেষ কিছু পরীক্ষা করানো হতে পারে বলেও জানান খালেদা জিয়ার ব্যাক্তিগত চিকিৎসক ডা. জাহিদ।
এর আগে শনিবার লন্ডনের স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় যুক্তরাজ্যে সফররত জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস দলীয় নেত্রী খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের খোঁজখবর নেওয়ার জন্য ‘লন্ডন ক্লিনিকে’ যান এবং তাঁর (বেগম জিয়া) সঙ্গে দেখা করেন।
পরে, ক্লিনিক থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় হাসপাতালের বাইরে অপেক্ষারত স্থানীয় সাংবাদিকরা তার কাছে বিএনপি চেয়ারপার্সনের স্বাস্থ্যের অবস্থা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘মাশাআল্লাহ, ম্যাডামকে দেখে অনেক ভালো লেগেছে। মানসিকভাবে তিনি সবসময় স্ট্রং ছিলেন। এ জন্য এখনো এভাবে মেরুদণ্ড সোজা করে আছেন।’
আফরোজা আব্বাস বলেন, ‘ম্যাডাম এখন পরিবারের সবার সঙ্গে আছেন, এ কারণে আগের চেয়ে অনেক ভালো আছেন। আমরা আশা করছি অচিরেই তিনি সুস্থ হয়ে দেশে আবার ফিরে আসবেন। দেশে এসে দেশ ও জনগণের হাল ধরবেন।’ এসময় তার স্বামী বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস তার সঙ্গে ছিলেন।

চিন্ময়ের আইনজীবীসহ ৬৩ আইনজীবীর জামিন মঞ্জুরচট্টগ্রাম আদালত প্রাঙ্গণে সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ ...
13/01/2025

চিন্ময়ের আইনজীবীসহ ৬৩ আইনজীবীর জামিন মঞ্জুর

চট্টগ্রাম আদালত প্রাঙ্গণে সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের জামিন ঘিরে সংঘর্ষ, ভাঙচুরের মামলায় চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের আইনজীবী শুভাশিষ শর্মাসহ ৬৩ আইনজীবীর জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত। আজ সোমবার চট্টগ্রামের অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সরকার হাসান শাহরিয়ারের আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন আইনজীবীরা। শুনানির পর তাদের জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন আদালত।
জামিনের বিষয়টি নিশ্চিত করেন চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) অ্যাডভোকেট মফিজুল হক ভূইয়া।
এদিকে, জামিনের আদেশের পর আইনজীবীদের একাংশ নিহত সাইফুল ইসলাম আলিফের বিচারের দাবিতে আদালত প্রাঙ্গণ এলাকায় বিক্ষোভ করেন।
চট্টগ্রাম নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (প্রসিকিউশন) মফিজ উদ্দিন বলেন, আইনজীবীদের শুনানিতে কেন্দ্র করে আদালত পাড়ায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছিল। সেখানে কোনো প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।

অর্ধেকে নেমেছে লবণের দাম: বেঁচে থাকার লড়াইয়ে হতাশ ৪০ হাজার চাষিকক্সবাজারের পেকুয়া ও কুতুবদিয়াসহ আশপাশের এলাকায় লবণের দ...
13/01/2025

অর্ধেকে নেমেছে লবণের দাম: বেঁচে থাকার লড়াইয়ে হতাশ ৪০ হাজার চাষি

কক্সবাজারের পেকুয়া ও কুতুবদিয়াসহ আশপাশের এলাকায় লবণের দাম অর্ধেকে নেমে আসায় চরম সংকটে পড়েছেন প্রায় ৪০ হাজার লবণ চাষি। চলতি মৌসুমে মণপ্রতি লবণের দাম উৎপাদন খরচের চেয়ে প্রায় ২০০ টাকা কমে গেছে। হতাশ চাষিরা এ অবস্থার জন্য বাজার নিয়ন্ত্রণকারী সিন্ডিকেটকে দায়ী করছেন।
দামে ধস, লোকসানে চাষিরা
বাংলাদেশ ক্ষুদ্র কুটির শিল্প কর্পোরেশনের (বিসিক) তথ্যমতে, পেকুয়া ও কুতুবদিয়ার ১০ হাজার একরের বেশি জমিতে লবণ চাষ হয়। সারা দেশে এ মৌসুমে মোট ৬৮ হাজার একর জমিতে লবণ উৎপাদিত হলেও দাম পড়ে যাওয়ায় বড় ধাক্কা খাচ্ছেন চাষিরা। গত বছরের তুলনায় কেজি প্রতি লবণের দাম কমেছে ৮ থেকে ১২ টাকা। বর্তমানে প্রতি মণ কাঁচা লবণ বিক্রি হচ্ছে ২০০-২৫০ টাকায়, যা গত বছরের ৫০০-৫৫০ টাকার তুলনায় অর্ধেকেরও কম।
চাষির কণ্ঠে ক্ষোভ ও হতাশা
পেকুয়ার মগনামা ইউনিয়নের চাষি আমান উল্লাহ জানান, "লবণের দাম এত কম যে উৎপাদন খরচও উঠে না। ৪ থেকে ৫ টাকায় কেজি বিক্রি করতে হচ্ছে, যা গত বছরে ছিল ১২-১৩ টাকা।" রাজাখালীর চাষি ফরিদুল আলম বলেন, "খারাপ আবহাওয়ার কারণে উৎপাদনও কমছে। বাজারে ন্যায্য দাম নেই। এই পরিস্থিতিতে টিকে থাকা কঠিন।"
খরচ বেড়েছে, লাভ নেই
চাষিদের অভিযোগ, লবণ উৎপাদনের সব খরচ বেড়েছে। জমি ভাড়া, পলিথিন, সেচ খরচ ও শ্রমিকের মজুরি বৃদ্ধি পেলেও দাম কমে যাওয়ায় চাষিরা দিশেহারা। ফলে অনেকেই এই পেশা ছেড়ে দিতে বাধ্য হচ্ছেন।
বিসিকের বক্তব্য
কক্সবাজার লবণ শিল্প উন্নয়ন কার্যালয়ের উপ-মহাব্যবস্থাপক মো. জাফর ইকবাল ভূঁইয়া জানান, "বিসিক লবণের দাম নির্ধারণ করে না। এটি নির্ভর করে চাষি ও ব্যবসায়ীদের ওপর।"
চাষিদের দাবি, সরকার দ্রুত পদক্ষেপ নিয়ে লবণ শিল্পের ভবিষ্যৎ রক্ষায় কার্যকর ভূমিকা রাখুক, নইলে এ শিল্পের সঙ্গে জড়িত হাজারো মানুষ অনিশ্চিত ভবিষ্যতের মুখোমুখি হবে।

"অবশেষে সন্ধান পাওয়া গেছে" ভিকটিম বর্তমানে পরিবারের সাথে |উখিয়া রাজাপালং শীলের ছড়া গ্রামের ইমতিয়াজ মোহাম্মদ সাইদ প্রকাশ ...
11/01/2025

"অবশেষে সন্ধান পাওয়া গেছে" ভিকটিম বর্তমানে পরিবারের সাথে |

উখিয়া রাজাপালং শীলের ছড়া গ্রামের ইমতিয়াজ মোহাম্মদ সাইদ প্রকাশ (বাবুইয়া) অদ্য সকল ১১ ঘটিকা হতে নিখোঁজের ১৫ ঘন্টা পর পাওয়া গেছে।

বিষয়টি ভিকটিমের বাবা খোরশেদ সাওদাগার উখিয়া নিউজ টুডে'কে নিশ্চিত করেছে। পাশাপাশি ফেসবুক ও গণমাধ্যমে যারা বিষয়টি তুলে ধরে সহযোগিতা করেছে সকলের প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে ভিকটিমের পরিবার।

নিখোঁজ সংবাদ:::উখিয়া রাজাপালং শীলের ছড়া গ্রামের ১২ বছর বয়সী ইমতিয়াজ মোহাম্মদ সাইদ প্রকাশ (বাবুইয়া) অদ্য সকল ১১ ঘটিকা হতে...
11/01/2025

নিখোঁজ সংবাদ:::

উখিয়া রাজাপালং শীলের ছড়া গ্রামের ১২ বছর বয়সী ইমতিয়াজ মোহাম্মদ সাইদ প্রকাশ (বাবুইয়া) অদ্য সকল ১১ ঘটিকা হতে নিখোঁজ।
সে উখিয়ার ব্যবসায়ি খোরশেদ সাওদাগারের পুত্র এবং উখিয়া টেকনিক্যাল স্কুলের ৭ ম শ্রেণীর ছাত্র।

কেউ যদি সন্ধান পেয়ে থাকেন 01822325109/01817270083
যোগাযোগ করার অনুরোধ জানাচ্ছি।

11/01/2025
এনআইডি আইন পর্যালোচনায় বৈঠক ডেকেছে ইসি
09/01/2025

এনআইডি আইন পর্যালোচনায় বৈঠক ডেকেছে ইসি

ডেস্ক রিপোর্ট।। জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন (এনআইডি) আইন পর্যালোচনায় বৈঠক ডেকেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আগামী রোববার (১২ জা...

হাত-পা বাঁধা’ থাকায় বদির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া যায়নি; মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর
09/01/2025

হাত-পা বাঁধা’ থাকায় বদির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া যায়নি; মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর

ডেস্ক রিপোর্ট।। বর্তমানে দেশের সবচেয়ে ভয়াল মাদকের নাম ইয়াবা। বিশেষ করে তরুণদের কাছে বেশি জনপ্রিয় এই মাদক। মি....

দেশজুড়ে বাড়ছে উখিয়ার সুপারির কদর: প্রতিবাজারে বিক্রি হয় অর্ধকোটি টাকা
09/01/2025

দেশজুড়ে বাড়ছে উখিয়ার সুপারির কদর: প্রতিবাজারে বিক্রি হয় অর্ধকোটি টাকা

শাহেদ হোছাইন মুবিন/উখিয়া নিউজ টুডে।। সারাদেশে বাড়ছে কক্সবাজারের উখিয়ার সুপারির কদর। আর এবারে উখিয়ায় সুপারির বা.....

পৌরসভা বিলুপ্তির কথা ভাবছে স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশন
09/01/2025

পৌরসভা বিলুপ্তির কথা ভাবছে স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশন

ডেস্ক রিপোর্ট।। স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশন প্রধান সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে দেশের অনেক পৌরসভা বিলুপ্তির সুপারিশ ...

প্রেমিকার সঙ্গে ঝগড়া, বিমানের ইমারজেন্সি দরজা খুলে লাফের চেষ্টা প্রেমিকেরযাত্রা শুরু করতে প্রস্তুত বিমান। এমন সময় বিমানে...
09/01/2025

প্রেমিকার সঙ্গে ঝগড়া, বিমানের ইমারজেন্সি দরজা খুলে লাফের চেষ্টা প্রেমিকের

যাত্রা শুরু করতে প্রস্তুত বিমান। এমন সময় বিমানের ভেতরে এক প্রেমিক শুরু করলেন ফোনে ঝগড়া। বিষয়-প্রেমিকার ফোনে কথা বলা নিয়ে অসন্তুষ্ট প্রেমিক। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে ঠাণ্ডা মাথা গরম হয়ে যায় প্রেমিকের। তাই রেগেমেগে প্লেনের জরুরি বহির্গমন দরজা খুলে ‘ঝাঁপিয়ে পড়ার চেষ্টা’ করেন রাগান্বিত প্রেমিক। বুধবার (৮ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি নিউজ এ তথ্য জানায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ম্যাসাচুসেটস বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের মতে, বোস্টন লোগান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ছেড়ে আসা জেটব্লু ফ্লাইট ১৬১-কে থামানো হয়, কারণ একজন ব্যক্তি বিমানের জরুরি বহির্গমন দরজা খুলে লাফ দেয়ার চেষ্টা করেন
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৭:৩০ টার দিকে পুয়ের্তো রিকোর সান জুয়ানের উদ্দেশ্যে রওনা হওয়া বিমানটি যাত্রা শুরু করবে এমন সময় এই ঘটনাটি ঘটে।
এফবিআইয়ের সদস্যরা তাকে এসে আটকায়। এরপর পুলিশ তাকে প্লেন থেকে নামিয়ে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় প্লেনটি উড্ডয়নে দেরি হয়।

সময়ের সাথে সত্য প্রকাশে দ্বিধাহীন www.ukhiyanews today
09/01/2025

সময়ের সাথে সত্য প্রকাশে দ্বিধাহীন
www.ukhiyanews today

বিডিআর বিদ্রোহ মামলার শুনানি ঘিরে দিনভর নানা নাটকীয়তারাজধানীর পুরানো ঢাকার বকশীবাজারে অবস্থিত আলিয়া মাদ্রাসার মাঠে বৃহ...
09/01/2025

বিডিআর বিদ্রোহ মামলার শুনানি ঘিরে দিনভর নানা নাটকীয়তা

রাজধানীর পুরানো ঢাকার বকশীবাজারে অবস্থিত আলিয়া মাদ্রাসার মাঠে বৃহস্পতিবার পিলখানায় বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনায় করা বিস্ফোরক মামলার শুনানি হওয়ার কথা থাকলেও একদিকে মামলা শুনানির ভেন্যু নিয়ে রাতভর নানা নাটকীয়তা, এজলাস পুড়ে যাওয়া এবং অন্যদিকে আলিয়া মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ সব কিছু মিলিয়ে শেষ পর্যন্ত শুনানিই হয়নি মামলাটির।
বেলা পৌনে বারটায় আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে পৌঁছান বিচারক মো. ইব্রাহিম মিয়া।
আদালতের এজলাস কক্ষ পরিদর্শন করেন তিনি। পরে রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের আইনজীবীদের সাথে কথা বলেন।
এ মামলার চিফ প্রসিকিউটর মো. বোরহান উদ্দিন জানান, "আজকের এ প্রেক্ষাপটে নিঃসন্দেহে এখানে আদালত পরিচালনা করার মতো কোনো পরিবেশ নাই। উনি এটা অবহিত হলেন, একমত হলেন।"
"মামলার পরবর্তী তারিখ কবে হবে আমাদের ও আসামিপক্ষের আইনজীবীদের সাথে বিকেলে কথা বলে সেটা তিনি ঠিক করবেন," মি. উদ্দিন।
পরে বিকেল সাড়ে চারটায় জানানো হয় আগামী ১৯শে জানুয়ারি এ মামলার পরবর্তী শুনানি হবে।
কিন্তু কোন স্থানে আদালতের বিচারিক কার্যক্রম হবে সেটি এখনো নির্ধারিত হয়নি।
এদিকে, সকাল থেকেই বিডিআর সদস্য ও তাদের পরিবারের স্বজনরা ন্যায়বিচার নিশ্চিত, কারামুক্তি, চাকরিতে পুনর্বহালের দাবিতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান নিয়ে সমাবেশ করেছেন।
পরে দেড়টায় তারা সেখান থেকে শাহবাগ মোড় 'ব্লকেড' করে। এর ফলে চারপাশের সব সড়কে তীব্র যানজট তৈরি হয়।
বেলা তিনটার দিকে শাহবাগ থেকে উঠে আবার শহীদ মিনারে অবস্থান নেন তারা। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত অবস্থান করার ঘোষণা দেয় তারা।
মামলা শুনানির ভেন্যু নিয়ে নাটকীয়তা কেন ?
বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনায় হত্যা ও বিস্ফোরক দুইটি মামলা হয়। এর মধ্যে মাদ্রাসা মাঠের অস্থায়ী আদালতেই হত্যা মামলার বিচার হয়েছিল।
ওই মামলা বিচারিক আদালত ও হাইকোর্টে নিষ্পত্তি হয়েছে। এখন আপিল বিভাগে বিচারাধীন।
কিন্তু একই ঘটনায় বিস্ফোরক মামলাটিতে এখনও সাক্ষ্য গ্রহণই শেষ হয়নি।
সবশেষ গত ২৮শে নভেম্বর ঢাকা জজ কোর্টের একটি আদালতে এ মামলার শুনানির দিন ছিল।
কিন্তু সেদিন রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের কারণে আসামিদের জামিন আবেদনের শুনানি হয়নি।
সরকারি গেজেট অনুযায়ী আলিয়া মাদ্রাসা মাঠের অস্থায়ী আদালতে এ মামলার শুনানি হওয়ার কারণ দেখিয়ে ছিল রাষ্ট্রপক্ষ।
একইসাথে ওই মাঠের ভূমি মালিকানা নিয়ে একাধিক মামলা চলমান রয়েছে বলে জানানো হয়েছিল।
এছাড়া নিরাপত্তা ঝুঁকি ও জামিন শুনানিতে আইনি প্রতিবন্ধকতা থাকায় শুনানি মুলতবি করার আবেদন করে তারা।
এরই মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় কোন আদালতে এ মামলার শুনানি হবে তা নিয়ে রীতিমতো ধুম্রজাল তৈরি হয়।
কেরানীগঞ্জের অস্থায়ী আদালতে এ মামলার শুনানি হবে বুধবার বিকেল থেকে এমন একটি খবর প্রকাশিত হওয়ার পর মূলত এই ধুম্রজাল তৈরি হয়।
ওই আদালতে জামিন শুনানিকে ঘিরে নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পুলিশের আটই জানুয়ারির একটি চিঠিও রয়েছে।
পরে বুধবার রাত সাড়ে এগারটায় আইন মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়, আলিয়া মাদ্রাসা মাঠেই বিডিআর মামলার আদালত বসবে।
এমনকি বৃহস্পতিবার সকালেও একই তথ্য আইন মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়।
সকালে আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে জামিন আবেদনের শুনানির জন্য আইনজীবীরা উপস্থিত হন।
আসামিপক্ষের আইনজীবী পারভেজ হোসেন বলেন, "বিচারকার্যের ভেন্যু গত ২৪ ঘণ্টায় কয়েকবার পরিবর্তন করা হয়েছে। প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী আমরা জানতাম কেরানীগঞ্জ আদালতে হবে, পরে আবার জানানো হয় মাদ্রাসা মাঠে।"
"সকালে জজ কোর্টে যাই সেখান থেকে বিচারকের বেঞ্চ সহকারী জানায় মাদ্রাসা মাঠে হবে। সকালে যখন খবর পাই এখানে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করছে, তখন জজ কোর্টে যাই," বলেন মি. হোসেন।
পরে সেখানকার আদালতের বেঞ্চ সহকারী আলিয়া মাদ্রাসায় শুনানি হবে বলে জানায়।
মি. হোসেন এ মামলার ৩১১ জন আসামির আইনজীবী।
তিনি জানান, এ মামলায় সাড়ে পাঁচ শ'র বেশি জামিন আবেদন বিচারাধীন রয়েছে।
সকাল এগারটা নাগাদ বকশীবাজার মোড়ে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক মো. ইবরাহিম মিয়ার গাড়িকে প্রায় এক ঘণ্টা অবরোধ করে রাখে শিক্ষার্থীরা।
সেখানে আইনজীবীদের প্রবেশ করতেও বাধা দেয় তারা। পরে পুলিশ ও সেনাবাহিনী তাদের বুঝিয়ে বিচারকের গাড়ি প্রবেশ করতে দেয়।
এ সময় এজলাস কক্ষ ঘুরে দেখেন বিচারক। পরে আইনজীবীদের সাথে কথা বলে বারোটা দশে চলে যান।
এরপর রাষ্ট্রপক্ষের প্রধান আইনজীবী মো. বোরহান উদ্দিন জানান নভেম্বরে নিয়োগ পাওয়ার পর মামলাটির শুনানির দুইটি তারিখ পেয়েছেন।
তবে ভেন্যু জটিলতায় শুনানি হয়নি।
"আজকে আমরা সবাই আশাবাদী ছিলাম এটা নিষ্পত্তি হোক, কিন্তু বাস্তবে এটা হয়নি। তারিখ শিফট করা বা হিয়ারিং না হওয়ার পিছনে কোনো পরিকল্পনা আমার জানা এবং বিশ্বাস মতে নাই," বলেন রাষ্ট্রপক্ষের প্রধান আইনজীবী।
কোথায় শুনানি হবে সেটি নিয়ে বেশ কয়েকটি প্রস্তাব এসেছে বলে জানান তিনি।
এর মধ্যে পুরানো জেলখানা, মহিলা কারাগার এই দুইটি স্থান আসামিপক্ষ থেকে প্রস্তাব করা হয়েছে।
এরপরের ভেন্যু হিসেবে কেরানীগঞ্জের কেন্দ্রীয় কারাগারের পাশের অস্থায়ী আদালত ভবনকে প্রাধান্য দেয়া হবে বলে জানান তিনি।
তবে পরবর্তীতে স্থান জানানো হবে বলেও জানান তিনি।
মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের আন্দোলন কেন ?
সকাল পৌনে নয়টায় বকশীবাজারের মোড় থেকে ব্যারিকেড দিয়ে রাস্তা বন্ধ করে দেয়া হয়।
এ সময় এপিবিএন এবং পুলিশের সদস্যরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় উপস্থিত ছিলেন।
পরে সাড়ে নয়টার দিকে সেনাবাহিনীর সদস্যদেরও আলিয়া মাদ্রাসায় যাওয়ার প্রতিটি পয়েন্টে সতর্ক অবস্থানে থাকতে দেখা গেছে।
সরেজমিন বেশ কিছু মাদ্রাসা শিক্ষার্থীকে জমায়েত হয়ে আন্দোলন করতে দেখা যায়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বুয়েটসহ সব দিক থেকে আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে প্রবেশের সব রাস্তা এ সময় বন্ধ দেখা যায়।
মাদ্রাসার মূল গেইটে লাঠি-সোটা নিয়ে অবস্থান করতে দেখা যায় শিক্ষার্থীদের। এ সময় কোনো রিক্সা, গাড়ি বা যানবাহন এ রাস্তায় ঢুকতে দেয়া হচ্ছিল না।
বেশ কয়েকটি পয়েন্টে সাধারণ মানুষের সাথে শিক্ষার্থীদের বাকবিতণ্ডা করতেও দেখা যায়।
মো. রাফিউদ্দিন নামে একজন ব্যক্তি জানান তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের কার্যালয় এই এলাকায়। ফলে এই রাস্তা দিয়ে নিয়মিত যাতায়াত করেন।
"সকাল থেকে এক ঘণ্টা ধরে মোটরসাইকেল নিয়ে এখানে দাঁড়িয়ে আছি। প্রতিদিন এই রাস্তায় যাই, এখান দিয়েই যেতে দিতে হবে। তারা বলতেছে যাওয়া যাবে না," বলেন মি. উদ্দিন।
বিরক্ত প্রকাশ করে মি. উদ্দিন বলেন, "কিছু হলেই রাস্তা বন্ধ না করে দাবি আদায়ের জন্য একটা ময়দান করে দেয়া উচিত।"
শিক্ষার্থীদের দাবি তারাও বিডিআর মামলার বিচার চান। কিন্তু নিজেদের প্রতিষ্ঠানের মাঠ পুনরুদ্ধার করতে চান। এই মাঠে আজ বৃহস্পতিবার পূর্ব নির্ধারিত বার্ষিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ছিল।
মাদ্রাসার ফাজিল তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মাহমুদ বিল্লাহ বিবিসি বাংলাকে বলেন, "আমরাও চাই পিলখানা হত্যা মামলার সুষ্ঠু বিচার হোক, কিন্তু আমরা আমাদের মাঠে শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত করে এ ধরনের কার্যক্রম চাই না।"
"এজন্য আন্দোলন চলছে দীর্ঘদিন ধরে। আমাদের মাঠকে প্রশাসনের হাতে তুলে দিতে চাই না আমরা, আমাদের মতো পরিচালনা করতে চাই," জানান মি. বিল্লাহ।
পূর্ব নির্ধারিত বার্ষিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের জন্য মাঠের ভেতরেই একটি প্যান্ডেল বানানো দেখা যায়। পাশে ডেকোরেটরের অনেকগুলো চেয়ারও রাখা।
শিক্ষার্থীরা জানান গত তিন দিন ধরে এই মাঠেই তাদের সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা হয়েছিল।
এজলাসে আগুন দিলো কে বা কারা ?
২০১৩ সাল থেকে আলিয়া মাদ্রাসার মাঠে অবস্থিত এ আদালতেই বিডিআর বিদ্রোহ মামলার শুনানি চলছে।
এছাড়াও জিয়া অরফানেজ ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার বিচারিক কার্যক্রমও এ আদালতে হয়।
শিক্ষার্থীরা জানান দীর্ঘদিন ধরে‌ই নিজেদের প্রতিষ্ঠানের মাঠ ফিরে পেতে তারা আন্দোলন করছিলেন।
রাতে আগুনে পুড়ে পুরো এজলাসের আসবাবপত্র পুড়ে ছাই হয়ে যায়। বিচারকের চেয়ারটি থেকে সকাল সাড়ে নয়টায়ও নিভু কাঠ কয়লা জ্বলতে দেখা যায়। উড়ছিলো ধোঁয়া।
ফায়ার সার্ভিসের বেশ কয়েকজন সদস্যকে এ সময় ওই কক্ষ পরিদর্শন করতে দেখা যায়।
বিচারকের চেয়ার
লালবাগের সিনিয়র স্টেশন অফিসার মো. মোস্তাফিজুর রহমান বিবিসি বাংলাকে বলেন, "রাত চারটা বিশে খবর পেয়ে এখানে আসি। রাস্তায় বিভিন্ন স্থানে ব্যারিকেড দেয়া ছিল।"
"স্থানীয়দের সহায়তায় গেইট পর্যন্ত পৌঁছাই। নানা প্রতিকূলতার কারণে ভেতরে ঢুকতে পারিনি আমরা। আমরা এসে আগুনের শাখা বিশাখা পাইনি, ধোঁয়ার কুণ্ড দেখেছি। এখন সরেজমিন তদারকি করছি আমরা," বলেন মি. রহমান।
তবে আগুনের সূত্রপাত বিষয়ে কোনো কথা এখনই বলতে চাননি তিনি।
আগুনের লাগার খবর শিক্ষার্থীরা পেয়েছিলেন কি না এমন প্রশ্নে একজন শিক্ষার্থী জানান তারা একেবারেই বিষয়টি জানতেন না।
রাত বারোটার পর থেকেই বকশীবাজার মোড়ে অবস্থান নিয়ে আন্দোলন করছিলেন তারা।
আরবী সাহিত্যে কামিল দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী নাজির উদ্দিন বিবিসি বাংলাকে বলেন, "বকশীবাজার মোড়ে রাতে আমরা আন্দোলন করছিলাম। তখন হঠাৎ দেখি ফায়ার সার্ভিসের হর্ন বাজতেছে, শুনে তাদের রিসিভ করি। বলি কী হইছে, কোথায় আগুন লাগছে। তারা জানায় পুলিশ কল দিছে অস্থায়ী আদালতে আগুন লাগছে।"
এই শিক্ষার্থীদের দাবি ঘটনাস্থলে যেতে তারাই ফায়ার সার্ভিসের গাড়িকে সহযোগিতা করেছিল। তবে গেইটে তালা থাকায় ফায়ার সার্ভিস ভেতরে প্রবেশ করতে পারেনি।
যদিও গেইটের তালা আগেই কেটে নেয়ার হয়েছে বলে দাবি করেছেন এই শিক্ষার্থীরা।
"রাত সাড়ে বারোটার দিকে পুলিশের গাড়িতে দুই জন সাদা পোশাকধারী এসে তালা কেটে ফেলে। পরে আমরা ধাওয়া করার পরে পুলিশের গাড়িতে উঠেই তারা চলে যায়," জানান একজন শিক্ষার্থী মাহমুদ বিল্লাহ।
এজলাসে কে বা কারা আগুন দিয়েছে সে বিষয়ে জানেন না বলে দাবি করেন শিক্ষার্থীরা।
এদিকে ন্যায়বিচার নিশ্চিত, কারামুক্তি, চাকরিতে পুনর্বহালের দাবিতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বিডিআর সদস্যদের স্বজন এবং চাকরিচ্যুত সদস্যরা বুধবারের ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবারও সকাল থেকেই অবস্থান নিয়ে সমাবেশ করেছেন।
পরে দুপুর দেড়টার দিকে তারা শহীদ মিনার থেকে শাহবাগ মোড় 'ব্লকেড' করতে রওনা দেন।
সেখানে প্রায় ঘণ্টা দুই অবস্থান নেন তারা। এতে আশেপাশের সব রাস্তায় যানজট সৃষ্ট হয়।
পরে শাহবাগ থেকে আবার শহীদ মিনারে গিয়ে অবস্থান নেন তারা। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত সেখানে অবস্থান করার ঘোষণা দেয়া হয়।
শহীদ মিনারে কথা হয় বিডিআরের চাকুরিচ্যুত সিপাহি শাহ মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমানের সাথে। তিনি বিবিসি বাংলাকে জানান, বিডিআরের বিশেষ আদালতে সাত বছরের সাজা খাটা শেষে মুক্তি পেয়েছেন তিনি।
মি. রহমান বলেন, "অফিসিয়াল মামলায় সাত বছরের সাজা খাটছি। দাবি একটাই চাকরি পুনর্বহাল, বন্দিদের মুক্তি। সিপাহি হিসেবে সেদিন পিলখানায় কর্মরত ছিলেন। আমার মতো অনেক নিরপরাধকে সাক্ষী না দেয়ার কারণে আসামি করা হইছিল।"
২০০৯ সালে বিডিআর বিদ্রোহের এ ঘটনার দিন রাঙামাটিতে নিউ লংকর ক্যাম্পে সিগনাল ম্যান হিসেবে কর্মরত ছিলেন কুতুবউদ্দিন।
"আমাদেরকে বলা হয় আমরা সমর্থন করছি। ওই ইউনিট ক্লোজ করে আমাদেরকে জেলে নিয়া যায়। এখন চাকরি চাই," বলেন মি. উদ্দিন।
২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬শে ফেব্রুয়ারি পিলখানায় বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনায় বিডিআরের তৎকালীন মহাপরিচালক মেজর জেনারেল শাকিল আহমেদসহ ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন নিহত হন।
এ ঘটনায় করা মামলা দুটিতে বাংলাদেশের ইতিহাসের সর্বোচ্চ সংখ্যক ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে। হত্যা মামলার আসামি ছিল ৮৫০ জন; অপরদিকে বিস্ফোরক আইনের মামলাটিতে ৮৩৪ জনকে আসামি করা হয়।

বিএনপি নির্বাচনের কথা বললেই মন খারাপ উপদেষ্টাদের: মেজর হাফিজের কঠিন মন্তব্যবিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মেজর (অব.) হাফিজ ...
09/01/2025

বিএনপি নির্বাচনের কথা বললেই মন খারাপ উপদেষ্টাদের: মেজর হাফিজের কঠিন মন্তব্য

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, নির্বাচনের প্রসঙ্গ উঠলেই দলের উপদেষ্টাদের মন খারাপ হয়ে যায়। রাজধানীতে বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
মেজর হাফিজ বলেন, "আমরা দ্রুত নির্বাচন চাই। শেখ হাসিনার পলায়নের মাধ্যমে ৮০ ভাগ সংস্কার ইতোমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে। এখন প্রয়োজন নির্বাচনী ব্যবস্থা সংস্কার। নির্বাচনের তারিখ যত পিছাবে, শেখ হাসিনার ষড়যন্ত্র তত বাড়বে।"
তিনি আরও বলেন, "যে সংস্কারের কথা বলা হচ্ছে, সেটি করার অধিকার তাদের নেই। এটি জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের কাজ।"
কিংস পার্টি গঠনের সমালোচনা:
মেজর হাফিজ অভিযোগ করেন, দেশে নতুন করে 'কিংস পার্টি' গঠনের চেষ্টা চলছে। তিনি বলেন, "কিংস পার্টির ভবিষ্যৎ কখনো ভালো ছিল না, আর হবেও না। নির্বাচনের নামে প্রহসন চালিয়ে একদল দুর্বৃত্ত ক্ষমতায় ছিল। এখন সেই দুর্বৃত্তদের দলে ফেরানোর চেষ্টাও চলছে।"
তরুণ শিক্ষার্থীদের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "জুলাই-আগস্টে অবদান রাখা শিক্ষার্থীদের আমরা স্বাগত জানাই। তবে দেশের রাজনীতিতে কিংস পার্টি গঠনের চেষ্টা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যাবে না।"
নির্বাচন ও সংস্কার:
মেজর হাফিজের মতে, দেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে দ্রুত সুষ্ঠু নির্বাচন প্রয়োজন। শেখ হাসিনার অধীনে কোনো নির্বাচনই গ্রহণযোগ্য হবে না বলে তিনি মন্তব্য করেন।
গুরুত্বপূর্ণ বার্তা:
বিএনপির এই নেতার বক্তব্যে স্পষ্ট, দলটি দ্রুত নির্বাচন চায় এবং বর্তমান সরকার ব্যবস্থার পরিবর্তন দাবি করছে। এছাড়াও তিনি সতর্ক করেছেন, রাজনীতিতে ষড়যন্ত্রমূলক কর্মকাণ্ড দেশের জন্য ক্ষতিকর হবে।
সংক্ষেপে:
মেজর হাফিজের বক্তব্যে উঠে এসেছে বিএনপির সংস্কার ও নির্বাচনী ব্যবস্থার প্রতি দৃঢ় অবস্থান, কিংস পার্টি গঠনের প্রচেষ্টা নিয়ে উদ্বেগ এবং তরুণদের রাজনীতিতে ইতিবাচক ভূমিকা রাখার আহ্বান।

টিউলিপ সিদ্দিকের এমপি পদ থেকে সরে দাঁড়ানো উচিত: দ্য টাইমসযুক্তরাজ্যের অর্থ ও নগরবিষয়ক মন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে ...
09/01/2025

টিউলিপ সিদ্দিকের এমপি পদ থেকে সরে দাঁড়ানো উচিত: দ্য টাইমস

যুক্তরাজ্যের অর্থ ও নগরবিষয়ক মন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ উঠেছে, যার মধ্যে রয়েছে আওয়ামী লীগ সমর্থিত এক ব্যবসায়ী থেকে বিনামূল্যে ফ্ল্যাট গ্রহণ এবং বাংলাদেশের রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পে দুর্নীতির সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ। এসব অভিযোগের কারণে, টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে তদন্তও শুরু করেছে ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষ।
এই পরিস্থিতিতে ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম দ্য টাইমস তাদের সম্পাদকীয়তে জানিয়েছেন, টিউলিপ সিদ্দিকের বর্তমানে দায়িত্বে থাকা এই চলমান তদন্তের মধ্যে যথাযথ হবে না। দুর্নীতির অভিযোগ ওঠার পর টিউলিপ সিদ্দিককে তার এমপি পদ থেকে সরে দাঁড়ানো উচিত, কারণ এর মাধ্যমে তিনি নিজেকে, তার দলের এবং সরকারের জন্য আরও বড় বিপদ থেকে রক্ষা করতে পারবেন।
সম্পাদকীয়তে আরও বলা হয়েছে, টিউলিপ সিদ্দিকের নিয়োগকে সমালোচনা করে লেবার পার্টির নেতা কিয়ার স্টারমারের সিদ্ধান্তকেও আক্রমণ করা হয়েছে।
দ্য টাইমস দাবি করেছে যে, টিউলিপ সিদ্দিককে এই গুরুত্বপূর্ণ পদে নির্বাচন করা ‘স্বচ্ছ ছিল না’ এবং তার পেছনে কোনো রাজনৈতিক সুক্ষ্মদর্শিতা দেখা যায়নি। বরং স্টারমারের উত্তর লন্ডনের প্রতিবেশীদের প্রতি রাজনৈতিক নৈতিকতা এবং পছন্দের কারণে এমন একটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
যেহেতু তদন্ত চলছে এবং অভিযোগগুলো জটিল দ্য টাইমস মনে করে, টিউলিপ সিদ্দিকের এখন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সহযোগিতা করার সময়, এবং তদন্ত সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত তার মন্ত্রিপদ থেকে সরে দাঁড়ানোই উচিত হবে। তবে, যদি তিনি পুরোপুরি নির্দোষ প্রমাণিত হন, তবে তাকে পুনরায় মন্ত্রিপদে ফেরানো সম্ভব হবে।
সম্পাদকীয়তে বলা হয়েছে যে, বর্তমান পরিস্থিতিতে টিউলিপ সিদ্দিক আর্থিক সেবা খাতের দায়িত্বে থাকা অবস্থায় দেশের অর্থনীতির জন্য যথেষ্ট উপকারী হতে পারবেন না। এমন অবস্থায় তার মন্ত্রিপদ থেকে সরে দাঁড়ানো শুধু তারই নয়, বরং স্যার কিয়ার স্টারমারের জন্যও অপ্রয়োজনীয় বিতর্ক এড়ানোর উপায় হতে পারে।
দ্য টাইমস পরামর্শ দিয়েছে, টিউলিপের পরিবর্তে তার সহকর্মী, আর্থিক সেবা বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী এমা রেনল্ডসকে এই দায়িত্বে বসানো যেতে পারে।

Address

Cox's Bazar
4750

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Ukhiya News Today posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Ukhiya News Today:

Videos

Share