Rayhan Gaming

Rayhan Gaming Life is as short as the time between the Maghrib call to prayer and Iqamah.

13/12/2023

Free fire new video

26/09/2023
ইয়া রব্বি, কুরআনের সুবাস ছড়িয়ে যাওয়া এই বান্দাকে আপনার রহমতের চাদরে আবৃত করে নিন৷ ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।
14/08/2023

ইয়া রব্বি, কুরআনের সুবাস ছড়িয়ে যাওয়া এই বান্দাকে আপনার রহমতের চাদরে আবৃত করে নিন৷ ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।

13/08/2023

বাঁচবা আর কয়দিন
নামাজ পড়ো প্রতিদিন!

06/08/2023

- হে আল্লাহ আমার অতীত কে ক্ষমা করুন!😥

- এবং আমার ভবিষ্যৎ কে পরিবর্তন করুন!🌸

05/08/2023

হাওয়ায় হাওয়ায় দোলনা দোলে 🥀💚

05/08/2023

বান্ধবি তোর ব্যবহার টা আজ বুলিনি!
জানতাম না তোর মনের মাঝে এত শয়তানি! 😀

05/08/2023

একটি মেয়ে বাবার সাথে তার বিয়ের শপিং করতে গেলো। বাবা বললেন, "তোমার যেই শাড়ীটা সবচেয়ে বেশি পছন্দ হয় তুমি সেটা নাও"! মেয়েটি ভা’ঙ্গা মন নিয়ে তাঁর বাবার দিকে তাকিয়ে বললো, "শাড়ীর মতো আমার পছন্দের মানুষটাকে আমার করে দিলে" কি এমন ক্ষ’তি হয়ে যেতো!🖤🌸

01/08/2023

প্রেমিকা টিউশনি করিয়ে প্রেমিকের বিসিএস প্রস্তুতির জন্য দীর্ঘ সাত বছর বই কেনা,মেসের খরচে সহযোগিতা করে এসেছে!'অতঃপর প্রেমিক বিসিএস ক্যাডার হয়ে বিয়ে করে সারপ্রাইজ দিয়ে বললো, বাবা-মায়ের জোরে হঠাৎ করেই হ'য়ে গেলো!'তোমার কথা শুনে বয়স দেখে রাজি হয়নি!'🙂

28/07/2023
04/04/2023

নিমিষেই জীবিকা পুড়ে ছাই।

বঙ্গবাজারে ভয়াবহ অগ্নিকান্ড ,বেঁচে নেই কোন স্বপ্ন,সব পুড়ে ছাই..!😢😭 🔥

তবে স্মরণে রাখতে হবে— দুনিয়ার পেছনে ছুটতে গিয়ে আমরা যেন আমাদের আখিরাত নষ্ট না করি। তাহলে আমরা দুনিয়া আর আখিরাত— দুটোকেই ...
04/11/2022

তবে স্মরণে রাখতে হবে— দুনিয়ার পেছনে ছুটতে গিয়ে আমরা যেন আমাদের আখিরাত নষ্ট না করি। তাহলে আমরা দুনিয়া আর আখিরাত— দুটোকেই হারাবো।

দুনিয়ার পেছনে আমাদের ছুটবার মাত্রা কীরকম হওয়া উচিত তার একটা চমৎকার দিকনির্দেশনা আমরা নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছ থেকে জান্নাতের সুসংবাদ-প্রাপ্ত সাহাবি আব্দুর রহমান ইবনে আউফ রাদিয়ালাহু আনহুর জীবন থেকে পাই। আব্দুর রহমান ইবনে আউফ রাযিয়াল্লাহু আনহু ছিলেন মক্কার সফলতম একজন ব্যবসায়ী। আমরা যেমন এখন ‘বিজনেস ম্যাগনেট’ বলতে জেফ বেজোস, ইলন মাস্ক সহ নানান ব্যক্তিকে চিনি, নবিজীর সময়ে তখন আব্দুর রহমান ইবন আউফ রাযিয়াল্লাহু আনহুকে সেভাবে চিনতো সবাই।

ইসলাম গ্রহণের পর বাধ্য হয়ে অন্য সাহাবিদের সাথে তাকেও নিজের সকল সহায়-সম্পদ, সকল ব্যবসা-পাতি ছেড়ে মদিনায় হিজরত করতে হয়। মক্কায় যিনি ছিলেন একজন সেরা ব্যবসায়ী, তাকে মদীনার মাটিতে পা রাখতে হলো একান্ত নিঃস্ব অবস্থায়! অবশ্য, অবস্থাটাকে তারা খুশী মনে গ্রহণ করে নিয়েছিলেন।

মদিনার আনসার সাহাবিরা যখন মুহাজির সাহাবিদের সাথে নিজেদের সহায় সম্পদ ভাগাভাগি করে নিচ্ছিলেন, তখন একজন আনসার সাহাবি এসে আব্দুর রহমান ইবনে আউফ রাযিয়াল্লাহু আনহুকে তার সম্পদ হতে কিছু দিতে চাইলেন যাতে মদিনায় জীবিকা নির্বাহে খুব বেশি অসুবিধে না হয়। তখন আনসার সাহাবিকে আব্দুর রহমান ইবন আউফ বলেছিলেন, ‘আল্লাহ তোমার পরিবারে আর সম্পদে অঢেল বারাকাহ দিন। কিন্তু, তোমার সম্পদের আমার কোন দরকার নেই। তারচে বরং তুমি আমাকে বাজারটা দেখিয়ে দাও’।

হিজরতের সময়ে যে যৎসামান্য টাকা সাথে এনেছিলেন, তাকে সম্বল করেই আব্দুর রহমান ইবন আউফ নিজের পায়ে নিজে দাঁড়াতে চাইলেন। তিনি একজন অভিজ্ঞ ব্যবসায়ী। সম্পদের সঠিক ব্যবহার করে কিভাবে নিজের আর্থিক অবস্থার পরিবর্তন করা যায়— সে ব্যাপারে তার চাইতে ভালো আর কে জানে! তাই তিনি আনসারী সাহাবির দয়ার আশ্রয়ে না থেকে, নিজের একটা কিছু দাঁড় করানোর জন্যে বাজারের সন্ধান চাইলেন।

তার কিছুদিন পরেই একদিন খুশিমনে আব্দুর রহমান ইবন আউফ রাযিয়াল্লাহু আনহু নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে এলেন। তার শরীরে তখন দামী সুগন্ধীর গন্ধ। নবিজি বললেন, ‘কি হে আব্দুর রহমান, কী ব্যাপার?’

তিনি বললেন, ‘ইয়া রাসুলাল্লাহ, আমি বিবাহ করেছি?’

বিস্মিত হয়ে নবিজি বললেন, ‘মাশাআল্লাহ! মোহরানা কী দিয়েছো?’

-‘স্বর্ণ। একটা খেঁজুর আঁটির সমান’।

-‘বাহ, তাহলে এখন তো খাওয়া-দাওয়ার বন্দোবস্ত করা লাগে। যাও, আমাদের খাওয়ানোর ব্যবস্থা করো’।

চিন্তা করুন— সবকিছু ছেঁড়েছুঁড়ে আসায় আব্দুর রহমান ইবনে আউফ রাযিয়াল্লাহু আনহুর সামনে ছিলো মদিনায় বিনা পরিশ্রমে সম্পত্তি লাভের সুযোগ। সে সুযোগ নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তৈরি করে দিয়েছিলেন। কিন্তু, তিনি এমন সুযোগ গ্রহণ করলেন না। যোগ্যতা দিয়ে তিনি অর্জন করতে চেয়েছেন নিজের অবস্থান। দক্ষতার জায়গাটা তো তার চেনাই আছে। পথ খুঁজে পেলে লেগে পড়তে পারেন।

বিনা-পরিশ্রমে সম্পদ লাভের চাইতে আব্দুর রহমান ইবন আউফ চেনা পথটার সন্ধানে নেমে গেলেন বরং। অর্পিত সম্পদের প্রস্তাবকে নাকচ করে তিনি জেনে নিলেন বাজারের রাস্তা। সেখানে গিয়ে সাধ্যমত মালপত্র কিনে তা বিক্রি-বাট্টাতে লেগে গেলেন। আর, আমরা তো জানি— যে লেগে থাকে এবং প্রাণান্তকর চেষ্টা করে, আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালাও তাকে সাহায্য করেন। অলস আর অকর্মণ্য লোকের জন্য কখনোই আল্লাহর সাহায্য আসে না।

রিক্ত হস্তে আসা একজন সাহাবি ওই সময়ে সম্পূর্ণ নতুন একটা পরিবেশে এসে ব্যবসা-বাণিজ্য করে স্বর্ণ দিয়ে মোহরানা পরিশোধ করে বিয়ে করছে— মদিনার আনসারদের নিকটও তা ভারি আশ্চর্যের ছিলো বটে!

হালাল উপার্জনের মাধ্যমে আমরা যারা বড় হতে চাই, নিজের একটা অবস্থান তৈরি করতে চাই, আব্দুর রহমান ইবন আউফ আমাদের জন্য এক বিরাট অনুপ্রেরণার নাম। নিজের দক্ষতার ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী ছিলেন বলেই তিনি সম্পদের প্রস্তাব নাকচ করে পথের সন্ধান চেয়েছিলেন। আমরাও যদি আমাদের দক্ষতার জায়গাগুলোকে পোক্ত করতে পারি, যদি নিজেদের যোগ্য করে তুলতে পারি জ্ঞানে-দক্ষতায়, আব্দুর রহমান ইবনে আউফ রাযিয়াল্লাহু আনহুর মতো আমরাও নিজেদের পথটাকে খুঁজে নিতে পারবো অন্যের গলগ্রহ হয়ে না থেকে।

আব্দুর রহমান ইবন আউফ দুনিয়া অর্জন করেছেন, কিন্তু হারিয়ে ফেলেননি অনন্ত সুখের আখিরাত। কেমন তাকওয়াবান, ঈমান আর আমলদার হলে নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁকে দুনিয়াতেই জান্নাত লাভের নিশ্চয়তা প্রদান করেন, ভাবা যায়?

দুনিয়াকে খুঁজতে কোন অসুবিধে নেই তা যদি আব্দুর রহমান ইবনে আউফ রাযিয়াল্লাহু আনহুর মতো হয়।

'এবার ভিন্ন কিছু হোক' বইয়ের 'যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে' অধ্যায় থেকে নেওয়া টুকরো অংশ...

(১)দুপুর থেকে বাইরে কয়লা-পোড়া রোদ। রোদের তেজ আর তাপে ঘরের ভিতরটাও উনুনের মতো গরম হয়ে আছে। মাথার ওপর অবিরাম, অবিশ্রান্তভা...
24/10/2022

(১)

দুপুর থেকে বাইরে কয়লা-পোড়া রোদ। রোদের তেজ আর তাপে ঘরের ভিতরটাও উনুনের মতো গরম হয়ে আছে। মাথার ওপর অবিরাম, অবিশ্রান্তভাবে ঘুরতে থাকা সিলিং ফ্যানের হাওয়াগুলোও যেন বিদ্রোহ করে বসেছে। গায়ে হাওয়া লাগছে না আগ্নেয়গিরির তাপ লাগছে বোঝা মুশকিল।

এরই মাঝে রান্নাঘর থেকে খুন্তি হাতে হন্তদন্ত হয়ে ছুটে এলো রেবেকা। এসেই আমাকে বললো, 'শুনছো, মাছের তরকারিতে না লবণ একটু বেশি হয়ে গেছে। পানি দিলেই কমে যেতো, কিন্তু তুমি তো অতো ঝোল পছন্দ করো না, তাই দিতে চাচ্ছি না। কোন সমস্যা হবে তোমার?'

আমি দেখলাম, কথাগুলো বলার সময় রেবেকার কপাল বেয়ে ঝর্ণাধারার মতো ঘাম ঝরছে। সে অভিজ্ঞ অভিনেত্রীর মতো, ওড়নার একটা অংশ দিয়ে চট করে তা মুছে নিয়ে আমার উত্তরের অপেক্ষায় দরোজার কিনারে দাঁড়িয়ে আছে।
আমি হাসফাস করতে করতে বললাম, 'দরকার কি বলো তো এতো কষ্ট করার? সাধারণ কিছু একটা হলেই বেশ চলে যেতো। এই গরমের মাঝে চুলোর পাড়ে বসে হরেক পদের তরকারি রান্না করার কোন মানে আছে?'

আমার এই কথাকে খুব একটা আমলে নিলো না রেবেকা। নিজের ওড়না দিয়ে দ্বিতীয়বার কপাল বেয়ে নামা ঘাম মুছতে মুছতে বললো, 'সপ্তাহে এই একদিনই তো দুপুরে বাসায় খেতে পারো। অন্য সব দিন তো সেই বাইরেই ছুটোছুটি। কী যে খাও আল্লাহ মালুম! এই একদিন-ই যদি তোমাকে ভালো-মন্দ রেঁধে কিছু না খাওয়াতে পারি, তাহলে আর আমার স্ত্রী হওয়ার সার্থকতা কোথায়?'

- 'বেশ প্যাচাল পাড়া শিখে গেছেন আপনি! এই যে লম্বা লম্বা লেকচার শুনাচ্ছেন, নিজের চেহারাটার দিকে একবার তাকিয়েছেন আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে?'

- 'ও আমার দেখে আর কি হবে, বলো? নতুন করে তো আর বিয়ে হবে না আমার! তোমার যদি আমাকে আর পছন্দ না হয় বলবে, আমি সোজা বাপের বাড়ি চলে যাবো।'

- 'হয়েছে বাবা হয়েছে! কান ধরছি! যার জন্যে চুরি করি সেই বলে চোর! করতে গেলাম ভালো, হয়ে গেলাম খারাপ!'

- 'আমার অতো ভালো চাওয়া লাগবে না তোমার। এখন বলো তাড়াতাড়ি, খানিকটা লবণ বেশি হলে ঝামেলা হবে?'

- 'ঝামেলা মিটে যেতো যদি তুমি ওই গরম চুল্লি থেকে বেরোতে। বাইরে খেতে খেতে লবণ কম আর বেশি— দুটোই আমার মুখ-সওয়া হয়ে গেছে'।

রেবেকা আর কোন জবাব দিলো না। এক ভোঁ দৌঁড়ে রান্নাঘরে চলে গেলো।

রেবেকা আসলে সত্যি-ই বলেছে। কাজের সুবাদে আমাকে ছুটে বেড়াতে হয় দেশের একপ্রান্ত থেকে অন্যপ্রান্তে। টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া। আমার কাজ হলো ফিচার লেখার উপাদান সংগ্রহ এবং তা দিয়ে পত্রিকার জন্য ফিচার তৈরি করা। সাঁওতাল পল্লী থেকে শাপলার বন— কোথায় যাই না আমি গল্পের উপকরণ খুঁজতে? নিরন্তর ছুটতে গিয়ে কখন যে দিন রাত হয়ে যায়, রাত কেটে ভোর আসে— টের পাই না।

(২)

'যেমন বুনো ওল তেমন বাঘা তেঁতুল'— প্রবাদ বাক্যকে সত্যি প্রমাণ করে, কটমটে সূর্যটাকে একদল দস্যি মেঘ এসে ঢেকে ফেললো। মুহূর্তকাল পরেই নেমে এলো অঝোর ধারার বৃষ্টি। অবিরাম ধারার বর্ষণ প্রকৃতিজুড়ে। বৃষ্টির এমন একাধিপত্য দেখে কে বুঝবে— একটু আগেও এখানে কাঠফাটা রোদ ছিলো?

আকাশের বর্ষণে সবকিছু যেন এক অনুপম স্নিগ্ধতা আর শীতলতায় ভরে গেলো। আমি দেখলাম, আমার জানালার কিনারে দুটো চড়ুই গা ঝাড়া দিয়ে বসেছে। হঠাৎ এমন ঝড়ো বৃষ্টিতে তারা সম্ভবত বিভ্রান্ত। এমন গা-শীতল করা আবহাওয়ায় নিজেকে চাঙা করে নিতে বেলকনিতে এসে দাঁড়ালাম। আকাশ থেকে প্রকাণ্ড আকারের বৃষ্টির ফোঁটা ঝরে পড়ছে। প্রচন্ড গরমে হাহাকার করে উঠা প্রকৃতিতে এই বৃষ্টি-জল একফালি স্বস্তি হয়ে ধরা দিলো।

বৃষ্টি আমার বরাবর-ই পছন্দের। এই একটা জিনিসকে নিয়েই সম্ভবত পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি সাহিত্য রচিত হয়েছে। আর, সেই সাহিত্যের তিনভাগের দুইভাগ হয়েছে কেবল ভারতীয় উপমহাদেশে। বৃষ্টি নিয়েও যে এতো চমৎকার সাহিত্য রচনা করা যায়— এই কথা অনেক ইউরোপীয়রা বিশ্বাস করতো না। তাদের কাছে বৃষ্টি ছিলো নিছক বিরক্তি আর বিড়ম্বনার কারণ। অবশ্য— উত্তর-আধুনিক ইউরোপ যখন দালান আর ইমারতে ভরে গেলো, প্রকৃতির সান্নিধ্য থেকে একপ্রকার দূরেই ছিটকে পড়লো ইউরোপীয়ানরা। বৃষ্টির সময় প্রকৃতি যে মনোহরা রূপ ধারণ করে— তা অবলোকনের সুযোগ আর থাকলো-ই বা কই তাদের? এজন্যে বোধকরি তারা ভাবতে পারতো না যে— বৃষ্টি নিয়েও চমৎকার সাহিত্য তৈরি করা যায় এবং দূর্দান্ত সাহিত্য তৈরি হয়েও আছে।

বৃষ্টি নিয়ে আমার এমন ভাবালুতার মাঝে ছেদ ঘটালো রেবেকা। সে বেলকনিতে আমার পাশে দাঁড়িয়ে বললো, 'কী সুন্দর বৃষ্টি, তাই না গো?'

- 'হু'।

- 'মানুষের দুয়া যে এতো দ্রুত কবুল হয়, তা দেখে আমি তাজ্জব বনে গেলাম, জানো?'

আমি কৌতূহলী দৃষ্টিতে রেবেকার দিকে তাকিয়ে বললাম, 'বুঝিনি'।

- 'ওই যে, গরমে তুমি বেশ হাসফাস করছিলে না? তখন রান্নাঘর থেকে মনে মনে দুয়া করছিলাম। বলছিলাম, 'আল্লাহ, একটা ঝুম বৃষ্টি দিয়ে চারপাশটা ঠান্ডা করে দাও। আমার জামাইটার অস্বস্তি লাগছে অনেক। এমন বৃষ্টি দাও যেন আমার জামাই বৃষ্টি নিয়ে একটা গল্পও লিখে ফেলতে পারে। হি হি হি'।

- 'তুমি কি সত্যিই এমন দুয়া করেছিলে?'

- 'হ্যাঁ। এমনটাই তো জপছিলাম রান্নাঘরে। কিন্তু বিশ্বাস করো, সত্যি সত্যিই যে আকাশ ভেঙে বৃষ্টি নামবে— তা আমার ধারণাতেই ছিলো না। আল্লাহ মাঝে মাঝে কতো দ্রুত দুয়া কবুল করে ফেলেন, দেখলে?'

আমি জানি রেবেকা মিথ্যে বলেনি। ও কখনোই মিথ্যে বলে না। আমাদের পাঁচ বছরের দাম্পত্য জীবনে কোনোদিন একটিবারের জন্যও তাকে আমি মিথ্যে বলতে দেখিনি। ও যখন এই দুয়া করেছে বললো, তাহলে সেটা অবশ্যই সত্যি।

ফ্যানের নিচে বসে হাওয়া গিলতে থাকা আমার অস্বস্তি কাটাতে বৃষ্টির জন্য দুয়া করেছে জ্বলন্ত চুলোর পাশে থাকা এক রমণী! কী অবিশ্বাস্য ভালোবাসা! কী অনুপম মায়ার বন্ধন!

রেবেকা আবার বললো, 'বৃষ্টির সময় দুয়া করলে ওই দুয়াও কবুল হয়। চলো, আমরা দুয়া করি'।

- 'কী দুয়া করবো?'

- 'যা মন চায় করো'।

জানালা গলে, রেবেকার হাত চলে গেলো বাইরে। রিমঝিম বৃষ্টিতে ভিজে যাচ্ছে তার হাত। আমি দেখলাম, সে চোখ বন্ধ করে বিড়বিড় করে কিছু বলছে। আমি জানি— তার এই বলার অনেকটাজুড়ে আমি আছি। ও আমাকে রাখবেই।

(৩)

রাত নেমে গেছে অনেক আগেই। থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে এখন। খাওয়া-দাওয়া শেষ করে আমি ল্যাপটপ খুলে বসে পড়লাম। কালকেই আমাকে একটা ফিচার জমা দিতে হবে অফিসে। পত্রিকার ত্রৈ-মাসিক ম্যাগাজিনের সময় আর বেশি নেই হাতে।

অনেকটুকু লেখার পরে খেয়াল করলাম, বাইরে আবার ঝুম বৃষ্টি নেমেছে। বাতাসে জানালার কাঁচগুলো রিনিঝিনি শব্দ তুলছে। আমি পড়ার ঘর থেকে শো'বার ঘরে এলাম। আলো জ্বালিয়ে দেখি রেবেকা ঘুমিয়ে পড়েছে। সারাদিনের সাংসারিক ব্যস্ততার পরে এক শান্তির ঘুমে বেঘোর সে। তার নিষ্পাপ, মায়াময় চেহারা, তাতে কোথাও কোন অভিযোগের রেখা ফুটে নেই। এই মেয়েটা সারাটা দিন আমাকে নিয়ে ভাবে। আমার ভালো থাকা, আমার ভালো-লাগা নিয়ে তার কতো ভাবনা-চিন্তা! মাঝে মাঝে মনে হয়— মেয়েরা বোধকরি অন্য ধাতুতে গড়া। একেবারে অপরিচিত একটা মানুষ, একটা পরিবার, একটা পরিবেশকে তারা কতো নিবিড়ভাবে আপন করে নেয়! কতো সুন্দর করে তাতে এঁকে দেয় ভালোবাসার আল্পনা!

বেলকনিতে এসে দাঁড়ালাম। বৃষ্টির সময়ে দুয়া করলে সেই দুয়া কবুল হয়। বাইরে হাত বাড়াতেই বৃষ্টির ফোঁটাগুলো আমার হাতে লেগে ছিন্নভিন্ন হয়ে যাচ্ছে। চোখ বুজে, হৃদয়ের গভীর থেকে ভাষা টেনে নিয়ে, বিড়বিড় করে বললাম—'পরওয়ারদেগার! রেবেকাকে আমি অসম্ভব ভালোবাসি। এই দুনিয়ার মতো, জান্নাতেও আমরা এভাবে কাছাকাছি, পাশাপাশি থাকতে চাই'।

গল্পটি আমার লেখা 'জীবন যেখানে যেমন' বই থেকে নেওয়া।

19/10/2022

আল্লাহ ছাড়া আর কারো ফায়সালার ইখতিয়ার নেই!
(সূরা আনআম-৫৯)

05/10/2022

মাঝে মাঝে এমনসব জায়গা থেকে দুঃখ পাবেন যা আপনি কখনো দুঃস্বপ্নেও ভাবতে পারেন না।

মাঝে মাঝে আপনার সবচেয়ে কাছের মানুষটাই সবচেয়ে বড় ক্ষতিটা করে দেবে।

কখনো কখনো দেখবেন— যার জন্য সারাজীবন কেঁদে গেছেন, আপনার কান্নার দিনে সে উল্লাস করে হাসছে।

আপনাকে বুঝতে হবে— এসবকিছুই জীবনের অনুষঙ্গ। মাঝে মাঝে আপনার অন্তরকে চূর্ণ-বিচূর্ণ করে দিয়ে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া'তায়ালা আপনাকে বোঝাতে চান যে— বন্ধু হিশেবে, আপন হিশেবে, সুহৃদ আর শুভাকাঙ্ক্ষী হিশেবে দিনশেষে তিনিই আপনার শেষ আশ্রয়স্থল। যাদের পেতে গিয়ে আপনি আল্লাহকে ভুলে বসেছেন, তারা কখনোই আপনার ছিলো না।

04/10/2022

যখন তুমি কোন কাজের সিদ্ধান্ত নাও, তখন আল্লাহর উপর ভরসা করো!
(সূরাঃ আল ইমরান - ১৫৯)

Send a message to learn more

Address

Comilla

Telephone

+8801830656624

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Rayhan Gaming posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Videos

Share

Nearby media companies



You may also like