দৈনিক আমাদের ব্রাহ্মণপাড়া

দৈনিক আমাদের ব্রাহ্মণপাড়া Contact information, map and directions, contact form, opening hours, services, ratings, photos, videos and announcements from দৈনিক আমাদের ব্রাহ্মণপাড়া, Newspaper, Comilla.

30/11/2023
স্কোয়াশ চাষে লাভের স্বপ্ন যুবকের।
25/11/2023

স্কোয়াশ চাষে লাভের স্বপ্ন যুবকের।

23/11/2023
আজ দৈনিক কুমিল্লার কাগজের নিউজ
17/11/2023

আজ দৈনিক কুমিল্লার কাগজের নিউজ

14/11/2023

সারা বাংলাদেশ বিএনপি জামাতের আগুন সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে শান্তি উন্নয়নের লক্ষ্যে ব্রাহ্মণপাড়া বিশাল সমাবেশ অনুষ্ঠিত।

কুমিল্লায় বিলুপ্তির পথে শিল্পীপাখি বাবুইইসমাইল নয়ন।। কবি রজনীকান্ত সেনের কালজয়ী ছড়ার শিল্পীপাখি বাবুই কুমিল্লায় এখন বিলু...
07/11/2023

কুমিল্লায় বিলুপ্তির পথে শিল্পীপাখি বাবুই

ইসমাইল নয়ন।।
কবি রজনীকান্ত সেনের কালজয়ী ছড়ার শিল্পীপাখি বাবুই কুমিল্লায় এখন বিলুপ্তির পথে। এখন আর যত্রতত্র দেখা মেলে না তাদের। উঁচু গাছ বা তাল গাছের স্বল্পতা ও প্রকৃতিক বিপর্যয়ের কারণেই এমনটি হচ্ছে বলে মনে করছেন স্থানীয় সচেতন মহল। এতে পরিবেশের ভারসাম্যও নষ্ট হচ্ছে বলে মনে করছেন তারা।

জানা গেছে, গ্রীষ্মকাল বাবুই পাখিদের প্রজনন ঋতু। এই সময় এরা বাসা বাঁধে। সাধারণত মে থেকে আগস্ট মাস পর্যন্ত বাবুই পাখির প্রজনন মৌসুম। স্ত্রী পাখির প্রেরণায় পুরুষ বাবুই পাখি মনের আনন্দে বিরামহীনভাবে বাসা তৈরির কাজ শেষ করে। একটি পুরুষ বাবুই পাখি একটি মৌসুমে প্রায় পাঁচ থেকে ছয়টি বাসা তৈরি করতে পারে। তবে প্রেমিক বাবুই পাখি যতই ভাব-ভালোবাসা প্রকাশ করুক না কেন প্রেমিকা বাবুই পাখি ডিম দেয়ার সাথে সাথে প্রেমিক বাবুই আবার সঙ্গী খোঁজার কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। এভাবেই চলে বাবুইদের জীবনের গল্প।

সরেজমিনে কুমিল্লার বিভিন্ন উপজেলায় ঘুরে দেখা গেছে, কালের আবর্তনে হারিয়ে যাচ্ছে তাল পাতায় গড়া নিপুণ কারুকার্যে খচিত বাবুই পাখির বাসা। বাবুই পাখির প্রধান আবাসস্থল বাংলার ঐতিহ্য তালগাছ এখন আর তেমন দেখা যায় না, তাই তেমন একটা চোখে পড়ে না শিল্পীপাখি বাবুইরও। অথচ আজ থেকে প্রায় ১০ থেকে ১৫ বছর আগেও কুমিল্লার বিভিন্ন উপজেলার ওই গ্রামগুলোর বাড়ির পাশের, মাঠ-ঘাটের তাল গাছে দেখা যেত এদের বাসা। দেখা যেত এদের শিল্পকর্মের নিপুণ দৃশ্য। বাবুই পাখির কিচিরমিচির শব্দও এখন বিস্মৃত স্মৃতির মতো।

কথা হয় বুড়িচং উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের শংকুচাইল গ্রামের স্থানীয় বাসিন্দা রহমত আলী ( ৭১) সাথে, তিনি বলেন, তাল গাছে বাসা গড়ার ছোট পাখি বাবুই এই অঞ্চলের প্রায় প্রতি বাড়ির পাশের তাল গাছে, পুকুর পাড়ের তাল গাছে দেখা যেত। তাদের গড়া বাসা দেখতে যেমন আকর্ষণীয়, তেমনি অনেক মজবুত। প্রবল ঝড়েও তাদের বাসা ভেঙে পড়ে না। এক সময় বিভিন্ন প্রজাতির বাবুই পাখি এই অঞ্চলে দেখা যেত। এরমধ্যে অনেক বাবুই এখন বিলুপ্তির পথে। টিকে আছে কিছু দেশি বাবুই। এদের বিলুপ্তির প্রধান কারণ উঁচু জাতীয় গাছ, তালগাছ কমে যাওয়া।

পাখিপ্রেমী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আবু হাসনাত মোঃ মহিউদ্দিন মুবিন বলেন, প্রকৃতি ও জীববৈচিত্র্য রক্ষায় পাখিদের আবাসস্থল নিশ্চিত করা এখন সময়ের দাবি। সে জন্য প্রতিটি নাগরিকের উচিৎ গাছ লাগানো। বাবই পাখিরা উঁচু গাছে বাসা বাঁধে, তাই তালগাছ, নারকেল গাছ ও খেজুরগাছ লাগানো প্রয়োজন। এতে বিলুপ্তির পথে হাঁটা শিল্পীপাখি বাবুই আবারও আগের মতোই চোখে পড়বে। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় পাখিদের আবাসস্থল নিশ্চিত করার বিকল্প নেই।
এ ব্যাপারে কুমিল্লা জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা চন্দন কুমার পোদ্দার কুমিল্লার কাগজ কি বলেন, শিল্পী পাখি বাবুই এখন আর সচরাচর চোখে পড়ে না, কুমিল্লায় বনভূমির অভাবে বাবুই পাখি ও তার বাসা হারাতে বসেছে আজ। সবুজ সমারহের সংকট উঁচু উঁচু তালগাছ আর চোখে মিলে না, জনসংখ্যা বৃদ্ধি পরিবেশ দূষণ এর কারণ ও বাবুই পাখি ও তার বাসা কুমিল্লা তথা পুরো দেশ থেকে হারাতে বসেছে।

যৌতুকের বলি ব্রাহ্মণপাড়ার জেসমিন, কান্না থামছে না অবুঝ শিশু জান্নাতের নিজস্ব প্রতিবেদক।। পাঁচ বছর আগে বধূ বেশে স্বামীর স...
22/10/2023

যৌতুকের বলি ব্রাহ্মণপাড়ার জেসমিন, কান্না থামছে না অবুঝ শিশু জান্নাতের

নিজস্ব প্রতিবেদক।।

পাঁচ বছর আগে বধূ বেশে স্বামীর সংসারে গিয়েছিল জেসমিন আক্তার। বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই যৌতুক চেয়ে শুরু হয় শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন। কিন্তু জেসমিনের পরিবারের নেই সেই সামর্থ্য । আর এ কারণে স্বামী এবং শ্বশুরবাড়ির লোকদের শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার সহ্য করেই চলছিল তার জোড়াতালির সংসার। পরে জেসমিন জানতে পারে তার স্বামী তার অনুমতি না নিয়ে দ্বিতীয় বিয়ে করেছে। অবশেষে এসব অত্যাচার আর দ্বিতীয় বিয়ের খবর সইতে না পেরে গত ১৮ ( অক্টোবর ) রাত আনুমানিক দশটায় গলায় ওড়না প্যাঁচিয়ে জীবনের ইতি টানলেন জেসমিন। এমনটাই অভিযোগ জেসমিনের বড় ভাই মো: আবুল বাশারের। প্রসঙ্গত: এ ব্যপারে ব্রাহ্মণপাড়া থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।

নিহত জেসমিন আক্তার ( ২৩ ) কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার চান্দলা ইউনিয়নের ছোটধুশিয়া গ্রামের মৃত জজু মিয়ার মেয়ে। পাঁচ বছর আগে একই উপজেলার সিদলাই ইউনিয়নের দক্ষিণ সিদলাই ( গোলাবাড়িয়া ) গ্রামের আবু জাহেরের ছেলে আক্তার হোসেনের সঙ্গে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় জেসমিনের। জান্নাত আক্তার নামে আড়াই বছর বয়েসী একটি কন্যা সন্তান রয়েছে ওই দম্পতির।

নিহতের পরিবার ও স্থানীয় লোকজন জানান, বিয়ের কিছুদিন পর থেকে জেসমিন-আক্তারের দাম্পত্য জীবনে যৌতুক নিয়ে দ্বন্দ্বে কলহ শুরু হয়। প্রায় সময়ই ঝগড়াঝাটি লেগে থাকত জেসমিনের শ্বশুরবাড়ির লোকজনের সাথে। যৌতুক চেয়ে স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজনের অত্যাচার চলত প্রায়ই। এরইমধ্যে ওই দম্পতির ঘরে আসে এক কন্যা সন্তান। তবুও থামেনি যৌতুকের অত্যাচার। বরং অত্যাচারের মাত্রা আরও বেড়ে গিয়েছিল। তবু সবকিছু সহ্য করেই জেসমিন করছিল স্বামীর সংসার। ঘটনার দিন ( ১৮ অক্টোবর ) সকালে জেসমিন তার স্বামীর বাড়ি যায়। জেসমিনের শাশুড়ী জেসমিনকে বাড়িতে ঢুকতে দেয়নি। এ সময় তার শাশুড়ী তাকে বলে, 'তুই আর এই বাড়ি আসবি না। আমার ছেলে আবার বিয়ে করেছে, তোকে নিয়ে সে সংসার করবে না।' সেখান থেকে বাবা বাড়ি ফিরে আসে জেসমিন। পরে তার স্বামীর সাথে দীর্ঘক্ষণ কথা শেষে সকলের অগোচরে আনুমানিক রাত দশটার দিকে সে গালায় ওড়না প্যাঁচিয়ে আত্মহত্যা করে। তার আত্মহত্যার খবর পেয়েও স্বামীসহ ওই পরিবারের কোনো সদস্য তাকে দেখতেও আসেনি। পরে ব্রাহ্মণপাড়া থানাপুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। ময়নাতদন্ত শেষে নিহত জেসমিন আক্তারের লাশ ( ১৯ অক্টোবর ) বিকেলে তার বাবার বাড়ির পারিবারিক গোরস্থানে দাফন করা হয়। এদিকে মা হারানো আড়াই বছর বয়েসী অবুঝ শিশু জান্নাত আক্তারের কান্না যেন থামতেই চাইছে না। বর্তমানে শিশুটি তার খালার তত্ত্বাবধানে আছে।

এ ব্যপারে নিহত জেসমিন আক্তারের বড় ভাই আবুল বাশার বলেন, পাঁচ বছর আগে আমার বোন জেসমিনের বিয়ে হয় পার্শ্ববর্তী ইউনিয়নের দক্ষিণ সিদলাই ( গোলাবাড়িয়া ) গ্রামের আবু জাহেরের ছেলে আক্তার হোসেনের সাথে। বিয়ের কিছুদিন যেতে না যেতেই যৌতুক চেয়ে আমার বোনের উপর শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার শুরু হয়। আমি আমার এতিম বোনকে বিয়ে দিয়েছি অনেক কষ্ট করে, আমার তো যৌতুক দেওয়ার মতোও তৌফিক নাই। তাই যৌতুক না পেয়ে যৌতুকের জন্য আমার বোনকে প্রায়ই মারত। অনেকবার বাড়িতে এসে কান্নাকাটি করেছে। বোনকে সান্ত্বনা দিয়ে বুঝিয়ে-সুঝিয়ে স্বামীর বাড়িতে ফেরত পাঠাতাম। ভেবেছিলাম ওদের একটি মেয়ে হয়েছে, এখন হয়তো এই অত্যাচার বন্ধ হবে। পরে দেখি অত্যাচারের মাত্রা আরও বেড়ে গেছে। পরে এ নিয়ে আমি নিজে বাদী হয়ে ব্রাহ্মণপাড়া থানায় দুটি লিখিত অভিযোগ করেছি। আদালতেও এ বিষয়ে মামলা করেছিলাম। দিন দিন অত্যাচারের মাত্রা এতো বেড়ে গিয়েছিল যে আমার বোনটি এসব অত্যাচার আর সইতে পারছিল না। পরে যখন আমার বোন জানতে পারলো তার স্বামী তার অনুমতি ছাড়া দ্বিতীয় বিয়ে করেছে তখন সে এই কষ্ট সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যা করে নিজের জীবন দিয়ে দিল। আমি ও আমার পরিবারের লোকজন এর সুষ্ঠু বিচার চাই।

এ ব্যপারে নিহত জেসমিনের স্বামী আক্তার হোসেনের মুঠোফোনে চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। তার মুঠোফোন বন্ধ।

এ ব্যাপারে থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি ) শেখ মাহমুদুল হাসান রুবেল বলেন, যৌতুকের জন্য তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাকে অত্যাচার করতো এরকমটা আমরা এখনও পাইনি। তবে, জেসমিন-আক্তার দম্পতির মধ্যে বনিবনা ছিল না। ওই দম্পত্তির আড়াই বছর বয়েসী একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। নিহত জেসমিনের বাবার বাড়ির লোকজন অভিযোগ তোলেন, ঘটনার দিন সকালে জেসমিন তার স্বামীর বাড়ি গিয়েছিল। এ বিষয়ের কোনো প্রমাণ আমরা এখনও পাইনি। তবে, কেউ তো আত্মহত্যা এমনিতেই করে না, এর পেছনে কোনো না কোনো কারণ তো অবশ্যই আছে। আমরা তা খতিয়ে দেখছি ।

17/10/2023

পণ্য কৃত্রিম সংকট ও বেশি দামে বিক্রি করলে কঠোর অবস্থানে থাকবে প্রশাসন
ব্রাহ্মণপাড়ায় নিত্য পণ্যের মূল্য সহনীয় রাখতে নবাগত উপজেলা নির্বাহী অফিসার মত বিনিময় সভা

নিজস্ব প্রতিবেদক।।
কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ায় নিত্য পণ্যের মূল্য সহনীয় পর্যায়ে রাখতে ব্যবসায়ীদের সাথে নবাগত উপজেলা নির্বাহী অফিসার স ম আজারুল ইসলাম এর এক মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত ১৭ অক্টোবর (মঙ্গলবার) সকাল উপজেলা মিলনায়তনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো: কায়সার হামিদ এর সঞ্চালনায় সভাপতিত্বে করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার স ম আজহারুল ইসলামের।

এসময় নবাগত উপজেলা নির্বাহী অফিসার স ম আজারুল ইসলাম বলেন, নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য সহনীয় পর্যায়ে রাখতে
ব্যবসায়ীরা প্রতিটি পণ্যের মূল্য তালিকা বাজারের দৃশ্যমান স্থানে টানিয়ে রাখতে হবে। সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দামে যেন বিক্রি না করে সেজন্য বাজার মনিটরিং জোরদার এবং ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করার কথা জানান তিনি।এ ব্যাপারে কটোর অবস্থানে থাকবে বলে জানান উপজেলা প্রশাসন। এছাড়া ভোক্তাদের জন্য নিরাপদ গরুর মাংস সরবরাহের লক্ষ্যে শিগগিরই স্লটার হাউস (কসাইখানা) নির্মাণ কথা জানান নবাগত উপজেলা নির্বাহী অফিসার স ম আজাহারুল ইসলাম।

সভায় উপস্থিত ছিলেন ব্রহ্মণপাড়া উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যন আমিনুল ইসলাম সুজন, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আবু হাসনাত মোঃ মহিউদ্দিন মুবিন, কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মাহবুবুল হাসান, মৎস কর্মকর্তা জয় বণিক, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা এনামুল হক, সমাজসেবা কর্মকর্তা কবির আহামেদ, ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ইদ্রিস মিয়া মাস্টার, এস আই শিশির ঘোষ, একটি বাড়ি একটি খামার এর কর্মকর্তা আবদুল হালীম, সদর ইউপি চেয়ারম্যান জহিরুল হক, সাহেবাবাদ ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মনির হোসেন চৌধুরী, সিদলাই ইউনিয়ন চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম, চান্দলা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ওমর ফারুক, ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল নয়ন অর্থ সম্পাদক মোঃ অপ খান চৌধুরী এবং ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার বিভিন্ন বাজার কমিটির সভাপতি,সাধারণ সম্পাদকসহ পাইকারি ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়িগণ।

আসন্ন সংসদ নির্বাচনে আ.লীগের মনোনয়ন চান জাহাঙ্গীর খান চৌধুরী ইসমাইল নয়ন।।কুমিল্লা -৫ (বুড়িচং - ব্রাহ্মণপাড়া) আসনে আসন্ন...
13/10/2023

আসন্ন সংসদ নির্বাচনে আ.লীগের মনোনয়ন চান জাহাঙ্গীর খান চৌধুরী

ইসমাইল নয়ন।।
কুমিল্লা -৫ (বুড়িচং - ব্রাহ্মণপাড়া) আসনে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশি তৃণমূল থেকে উঠে আসা ত্যাগী নেতা হিসেবে খ্যাত
কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সহ- সভাপতি ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক দুই বারের উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব জাহাঙ্গীর খান চৌধুরী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন চান।

গতকাল শুক্রবার সকাল থেকে দিন ব্যাপী বুড়িচং ও ব্রাহ্মণপাড়ার বিভিন্ন ইউনিয়নে গনসংযোগ, মতবিনিময় করেন। এ সময় তাঁর সঙ্গে বিপুলসংখ্যক দলীয় নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন। তিনি গণসংযোগে সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজের প্রচারণাও করেন।

সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার সকালে আলহাজ্ব জাহাঙ্গীর খান চৌধুরী প্রথমে বুড়িচং উপজেলার বাকসেমুল ইউনিয়নের ফকির বাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের তার সমর্থীত নেতাকর্মীদের নিয়ে জুম্মার নামাজ আদায় করে, নামাজ শেষে সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের সাথে শুভেচ্ছা ও কৌশল বিনিময় করেন। প্রচারণায় তিনি আওয়ামী লীগ সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ তুলে ধরেন প্রচারপত্রের মাধ্যমে। বুড়িচং উপজেলার ফকির বাজার, কালিকাপুর দক্ষিণগ্রাম, ছয়গ্রাম শংকুচাইল, চরনল ও ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার হরিমঙ্গল, তেতাভুমি, শশীদল, বাগড়া সহ বিভিন্ন এলাকায় ও গ্রামে প্রচারণা চালান। এই সময়ে তিনি বিভিন্ন স্থানে নেমে জনগণের সঙ্গে হাত মেলান। একই সঙ্গে আওয়ামী লীগ সরকারের অর্জন তুলে ধরেন।

উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তফা ছারোয়ার খান, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও ভাইশ চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম সুজন, দপ্তর সম্পাদক ও জেলা পরিষদের সদস্য সাইফুল ইসলাম টিটু,সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মোহন মিয়া , উপজেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তবা আলী শাহীন, উপজেলা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক গাজী আব্দুল হান্নান,মালাপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান এ কে এম আজাদ ভূঁইয়া, উপজেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক বিল্লাল হোসেন সরকার, কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা যুবলীগের নেতা ফুরকান আহমেদ সবুজ, আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল জলিল মেম্বার, মশিউল আলম সোহাগ, যুবলীগ নেতা আবু সাঈদ, নাসির উদ্দিন, ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার ছাত্রলীগের নেতা আবু কাওসার দিপু প্রমুখ।

07/10/2023

ওয়াজটা শুনুন বাস্তব জীবনে কাজে আসবে।

04/10/2023

ব্রাহ্মণপাড়ায় পাট থেকে আশঁ ছাড়ানোর অপরুপ দৃশ্য।

03/10/2023

আমার নাতনির গান,,,,,,

01/10/2023

আজ চ্যানেল আই টিভির ২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে কুমিল্লায় বিশাল র্যালি ও কেক কেটে অনুষ্ঠান উদযাপন করা হয়।

ব্রাহ্মণপাড়ায় অসংরক্ষিত জমিদার বাড়ি, বিলীন হচ্ছে প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন ইসমাইল নয়ন।। বাংলাদেশের অনেক স্থানেই রয়েছে ঐতিহ...
27/09/2023

ব্রাহ্মণপাড়ায় অসংরক্ষিত জমিদার বাড়ি, বিলীন হচ্ছে প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন

ইসমাইল নয়ন।।
বাংলাদেশের অনেক স্থানেই রয়েছে ঐতিহাসিক অনেক নিদর্শন। যা দেশের বিভিন্ন এলাকায় এখনও ইতিহাসের স্বাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে। তার একটি কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার শশীদল ইউনিয়নের তেঁতাভূমি এলাকার তারেক রাজা চৌধুরী বাড়ি। কালের স্বাক্ষী হয়ে আজও মাথা উঁচুু করে দাঁড়িয়ে আছে বাড়িটি। বিভিন্ন এলাকা থেকে বাড়িটি দেখার জন্য ঐতিহ্যপ্রেমী মানুষজন ছুটে আসছেন। স্থানীয়দের অভিমত সংরক্ষণের অভাবে বিলীন হয়ে যাচ্ছে কালের সাক্ষী ওই বাড়িটির প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন। ফলে নতুন প্রজন্মের কাছ থেকে হারিয়ে যাচ্ছে পুরনো ইতিহাস।
স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, ওই বাড়িটি তৎকালীন জমিদার তারেক রাজা চৌধুরীর। তারেক রাজা চৌধুরী তেঁতাভুমির জমিদার হিন্দু পরিবার ছেড়ে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে ছিলেন। তিনি একজন আদর্শ মুসলিম হিসেবে পার্শ্ববর্তী চড়ানলে স্থায়ি বসতীস্তাপন করে ছিলেন। পরে একসময় সপরিবারে ভারতে চলে যান। তেতাভুমির পরিত্যক্ত ওই জমিদার বাড়ি তার নামেই তারেক রাজা চৌধুরীর বাড়ি নামে আজও পরিচয় বহন করছে। ওই পরিত্যক্ত বাড়ির প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন রক্ষণাবেক্ষণের দাবি এলাকাবাসীর।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, তারেক রাজা চৌধুরীর ওই বাড়িটি পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। প্রাচীন ওই অট্টালিকা থেকে সংরক্ষণের অভাবে ইট সুরকি খসে খসে পড়ছে। খসে যাওয়া দালানটির ইটের ফাঁকে ফাঁকে গজিয়েছে পরজীবি বৃক্ষ। জমেছে শেওলার আস্তরণ। বাড়ির বিভিন্ন কামরায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে লোহার সিন্ধুক, আসবাবপত্র ও জমিদার পরিবারে ব্যবহারিক নানা সামগ্রী। কোথাও কোথাও খসে পড়ছে পলেস্তারা। বাড়িটির পাশের আরেকটি ভবন সংরক্ষণের অভাবে আগেই বিলীন হয়ে গেছে।
কথা হয় ওই এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা সিরাজুল ইসলামের সাথে, তিনি জানান, তারেক রাজা চৌধুরী জমিদার ছিলেন। তার জমিদারীর চিহ্ন আজও বহন করছে বাড়িটি। এই বাড়িটি সংরক্ষণ করলে নতুন প্রজন্মের কাছে ইতিহাস তুলে ধরা যাবে। সংরক্ষণের অভাবে বাড়িটি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
স্থানীয় বাসিন্দা আরিফুর রহমান বলেন, তারেক রাজা চৌধুরী জমিদার বাড়িটি দিন দিন নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। বাড়িটি সংরক্ষণ করা হলে আগামী প্রজন্ম এর ইতিহাস সম্পর্কে অবগত হবে।

এব্যপারে শশীদল ইউপি চেয়ারম্যান আতিকুল ইসলাম রিয়াদ বলেন, ঐতিহ্য ও ইতিহাস দেশের সম্পদ। প্রতিটি জাতি তাদের ঐতিহ্য ও ইতিহাস নিয়ে গর্ববোধ করে। আমাদের এ দেশের বিভিন্ন এলাকায় থাকা পুরনো স্থাপত্য সংরক্ষণ করা প্রতিটি নাগরিকের দায়িত্ব। তেঁতাভূমির ওই জমিদার বাড়িটি সংরক্ষণ করা প্রয়োজন। অনাগত প্রজন্ম এর থেকে এ দেশের ইতিহাস ও ঐতিহ্য বিষয়ে জানতে পারবে।'

ব্রাহ্মণপাড়ায় বীর মুক্তিযোদ্ধা আমির খানকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন সম্পন্ননিজস্ব প্রতিবেদক।।  কুমিল্লা ব্রাহ্মণপাড়া উপজেল...
12/09/2023

ব্রাহ্মণপাড়ায় বীর মুক্তিযোদ্ধা আমির খানকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন সম্পন্ন

নিজস্ব প্রতিবেদক।।

কুমিল্লা ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের কল্পবাস গ্রামের মরহুম আলী আহাম্মদের ছেলে বীর মুক্তিযোদ্ধা, যুদ্ধকালীন কমান্ডার, সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সার্জেন্ট মো. আমির খান সোমবার সন্ধ্যা ৬টায় বার্ধক্যজনিত কারণে তার নিজ বাড়ীতে ইন্তেকাল করেছেন। (ইন্নানিল্লাহি.... রাজিউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯০ বছর। তিনি স্ত্রী, ৩ ছেলেসহ অসংখ্যা গুনগ্রহী রেখে গেছেন। মঙ্গলবার বাদ জোহর তার প্রতিষ্ঠিত দারুল ইসলাম মাদ্রাসা মাঠে নামাজে জানাযা শেষে তাকে তার পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। এর আগে মুক্তিযোদ্ধা মো. আমির খানকে উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশের পক্ষ থেকে গার্ড অব অনার শেষে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়। তার নামাজে জানাযায় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার সোহেল রানা, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ্ব জাহাঙ্গীর খান চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক ও ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম সুজন, মুক্তিযোদ্ধা সাবেক কমান্ডার ইদ্রিস মিয়া মাষ্টার ও হাজী নুরুল ইসলাম, অধ্যক্ষ সেলিম রেজা সৌরভ, অধ্যক্ষ খলিল উদ্দিন আখন্দ, থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ মাহমুদুল হাসান রুবেল, সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. জহিরুল হক, সাবেক চেয়ারম্যান হাজী জসিম উদ্দিন, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান আতিকীসহ বিভিন্ন এলাকার ধর্মপ্রাণ মুসল্লীবৃন্দরা। তার নামাজে জানাযা পড়ায় মাওলানা জমির খান।

08/09/2023

ব্রাহ্মণপাড়া রাজামিয়া মেমোরিয়াল কাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত
ইসমাইল নয়ন।।
কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ায় রাজামিয়া মেমোরিয়াল কাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে উপজেলার মাধবপুর উচ্চ বিদ্যালয় আয়োজনে ওই বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত হয়।

খেলায় মাধবপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি বিশিষ্ট সমাজসেবক মিয়া মো: জাহাঙ্গীর এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন কুমিল্লা দ. জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সদস্য ও সোনার বাংলা কলেজের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ আবু ছালেক মো: সেলিম রেজা সৌরভ। বিশেষ অতিথি ছিলেন সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান সুলতান আহাম্মদ, সাবেক ইউপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হাজী আবু জাহের, বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী ও সমাজসেবক আব্দুর রশীদ,মাধবপুর উচ্চ বিদ্যালয় এর প্রতিষ্ঠাতা সদস্য অবসরপ্রাপ্ত অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম, দাতা সদস্য মাহমুদ মোস্তফা খান, আরো উপস্থিত ছিলেন মাধবপুর উচ্চ বিদ্যালয় এর ম্যানেজিং কমিটির পরিচালনা পর্ষদের সম্মানিত সদস্য মোঃ সোহেল রানা, মোঃ আবুল হাশেম, রুনা আক্তার, মোহাম্মদ ইউনুস, মোঃ জয়দল হোসেন, বিশিষ্ট শিক্ষানুরোগী তারেক মাহমুদ, শিক্ষক প্রতিনিধি সদস্য মনির হোসেন আকন্দ, ইমরুল হাসান, সেলিনা বেগম, অনুষ্ঠানের সাবেক তত্ত্বাবধানে ছিলেন মাধবপুর উচ্চ বিদ্যালয় এর প্রধান শিক্ষক মনিরুল ইসলাম সরকারসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উক্ত খেলার উপস্থিত ছিলেন। উক্ত খেলায় মাধবপুর উচ্চ বিদ্যালয় এর সাদা দল বনাম সবুজ দল অংশগ্রহণ করেন।

দৈনিক কুমিল্লার কাগজের নিউজ।
07/09/2023

দৈনিক কুমিল্লার কাগজের নিউজ।

ব্রাহ্মণপাড়ায় আগাম সবজি চাষে ব্যস্ত কৃষকেরাইসমাইল নয়ন।। কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ায় শীতকালীন সবজির আগাম চাষে ব্যস্ত সময় পার ...
06/09/2023

ব্রাহ্মণপাড়ায় আগাম সবজি চাষে ব্যস্ত কৃষকেরা
ইসমাইল নয়ন।।
কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ায় শীতকালীন সবজির আগাম চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকেরা। আগাম শাকসবজি বাজারে তুলতে নিরলসভাবে কাজ করছেন তারা। আগাম সবজি চাষে বেশি টাকা আয় করা সম্ভব সেই দিক মাথায় রেখেই ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষীরা।
এ বছর চলতি মৌসুমে ব্রাহ্মণপাড়ায় ৩২৮ হেক্টর জমিতে শীতকালীন সবজির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে লক্ষ্যমাত্রা আরও বাড়ারও সম্ভাবনা কথা জানান উপজেলা কৃষি বিভাগ।
উপজেলার বিভিন্ন মাঠে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিভিন্ন জাতের সবজি চাষ শুরু করেছেন কৃষক। এসব খেত পরিচর্যা করছেন তারা। কৃষকরা জানান, এ বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে ওই অঞ্চলে আগাম জাতের সবজির উৎপাদন ভালো হবে। এ বছর উপজেলার বিভিন্ন এলাকার মাঠজুড়ে চাষ করা হয়েছে শিম, ফুলকপি, বাঁধাকপি, টমেটো, ক্যাপসিকাম, মুলা, ধুন্দুল, লাউ, লালশাক,পালংশাক ও নানা ধরনের সবুজ শাকসবজি। আগাম শীতকালীন সবজি চাষ করলে বাজারে বেশি দাম পাওয়া যায়। তাই পুরোদমে চলছে মাঠ প্রস্তুত, বীজ বপন, চারা রোপণ ও পরিচর্যার কাজ।
স্থানীয় কৃষক সোহেল রানা বলেন, এ বছর শীতকালীন সবজি উৎপাদন করে উপযুক্ত সময়ের আগেই আমরা সবজি বাজারে তুলতে চাই। এ জন্য একটু আগেভাগে সবজি চাষ শুরু করেছি। আশা করছি আবহাওয়া অনুকূলে থাকবে এবং ভালো ফলন ও দাম পাবো।
চাষি সরু মিয়া বলেন, টমেটো, পুঁইশাক, শশা, ফুলকপি ও মুলা চাষ করতে জমি প্রস্তুত করেছি। চারাও রোপণ উপযোগী হয়ে উঠেছে। আবহাওয়া ভালো পেলে নিজেদের চাহিদা মিটিয়ে এসব সবজি বাজারেও বিক্রি করতে পারবো।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা কৃষিবিদ মাহবুবুল হাসান কালবেলাকে বলেন, ‘ শীতকালীন শাকসবজি উৎপাদনে কৃষি বিভাগ কৃষকের সঙ্গে সরাসরি মাঠে কাজ করছে। বড় ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে কৃষক আগাম সবজি চাষে লাভবান হবেন। আশা করছি আমরা আমাদের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পারবো।’

বীরউত্তম শহীদ খাজা নিজামউদ্দিনের ৫২তম শাহাদাত বার্ষিকী আজইসমাইল নয়ন।। কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ার গর্ব। মহান স্বাধীনতা যুদ্ধ...
05/09/2023

বীরউত্তম শহীদ খাজা নিজামউদ্দিনের ৫২তম শাহাদাত বার্ষিকী আজ

ইসমাইল নয়ন।।
কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ার গর্ব। মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের অকতোভয় বীর মুক্তিযোদ্ধা। স্বাধীনতা যুদ্ধে জীবন উৎসর্গকারী মুক্তিযোদ্ধা শহীদ বীরউত্তম খাজা নিজামউদ্দিন ভূঁইয়ার ৫২তম শাহাদাত বার্ষিকী আজ। ১৯৭১ সালের এই দিনে সিলেট জেলার কানাইঘাটে পাকিস্তানী দখলদার বাহিনীর সাথে সম্মুখযুদ্ধে শহীদ হন তিনি। তিনি হলেন মুক্তিযুদ্ধের সর্বোচ্চ বেসামরিক ব্যক্তিত্ব।

জানা গেছে, সিলেট অঞ্চলের ৪ নম্বর সেক্টরের সাব সেক্টর জালালপুরের যুদ্ধ পরিচালনার জন্য প্রথমে সাব সেক্টর সেকেন্ড ইন কমান্ড এবং পরবর্তীতে সাবসেক্টর কমান্ডার হিসেবে বীরত্বের সাথে যুদ্ধ পরিচালনা করেন তিনি। রণাঙ্গনে তিনি এতই চৌকষ ছিলেন যে, সহযোদ্ধারা তাকে ক্যাপ্টেন নিজাম বলে সম্বোধন করতেন।

সেদিন ১৯৭১ সালের ৪ সেপ্টেম্বর কানাইঘাটের আটগ্রাম সড়কের বাজারের খুব কাছে খাজা নিজাম উদ্দিন ভূঁইয়ার নেতৃত্বাধীন মুক্তিযোদ্ধারা একটি সেতু ধ্বংস করেন। এসময় দখলদার পাকিস্তানী বাহিনীর একটি দল কাছেই অবস্থান করছিল। তারপর মুক্তিবাহিনীর সাথে হানাদার বাহিনীর মুখোমুখি যুদ্ধ শুরু হয়। এ মুখোমুখি যুদ্ধে পাকিস্তানী বাহিনীর ব্যাপক ক্ষতিসাধনও হয়। এ সম্মুখযুদ্ধের নেতৃত্বে থেকে তিনি বীরত্বের সাথে যুদ্ধ করতে করতে শহীদ হন। সিলেটের মোকামটিলায় রয়েছে বীর এ যোদ্ধার সমাধিস্থল এবং তার স্মৃতিধরে রাখতে পুরো অঞ্চলটির নামকরণ করা হয় নিজামনগর। স্বাধীনতার যুদ্ধে খাজা নিজামউদ্দিন ভূঁইয়ার সাহসী আত্মত্যাগের জন্য বাংলাদেশ সরকার ১৯৭৩ সালের ১৫ ডিসেম্বর প্রণীত এক গেজেটে খাজা নিজামউদ্দিন ভূঁইয়াকে বীরউত্তম উপাধি প্রদান করেন। পরে শেখ হাসিনা সরকার তাকে "মরোণত্তর স্বাধীনতা পদক ২০২৩" এ ভূষিত করেন।

কুমিল্লার কান্দিরপাড় থেকে পুলিশলাইন হয়ে শাসনগাছা পর্যন্ত এ সড়কটি বীরউত্তম শহীদ খাজা নিজামুদ্দিনের নামে নামকরণ করা হয়। ঢাকার মালিবাগ রেলগেট থেকে খিলগাঁও ফ্লাইওভার হয়ে বিশ্বরোড পর্যন্ত সড়কটি তাঁর নামে নামকরণ করা হয়। তাঁর শাহাদাতস্থল সিলেটের কানাইঘাটে তাঁর বীরত্বের স্মৃতি ধরে রাখতে একটি স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করা হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে তাঁর নামে গরীব অসহায় শিক্ষার্থীদের জন্য একটি কল্যাণ ট্রাস্ট প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।

বীরউত্তম শহীদ খাজা নিজামউদ্দিন ভূঁইয়া ১৯৪৯ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি কুমিল্লা জেলার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার মালাপাড়ার একটি সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর বাবার নাম আবদুল লতিফ ভূঁইয়া ও মায়ের নাম তাবেন্দা আক্তার খাতুন।

❤️এটা সাধারণ কোন পা নয়, পরিবারের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য পরিশ্রম করে যাওয়া পা।ভালো থাকুক পৃথিবীর সকল বাবা 💖
02/09/2023

❤️এটা সাধারণ কোন পা নয়, পরিবারের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য পরিশ্রম করে যাওয়া পা।
ভালো থাকুক পৃথিবীর সকল বাবা 💖

কুমিল্লায় কর্মব্যস্ততা বেড়েছে কৃষকেরইসমাইল নয়ন।। কুমিল্লার বিভিন্ন উপজেলার প্রতিটি গ্রামে কৃষকরা এখন ব্যস্ত সময় পার করছে...
02/09/2023

কুমিল্লায় কর্মব্যস্ততা বেড়েছে কৃষকের

ইসমাইল নয়ন।।
কুমিল্লার বিভিন্ন উপজেলার প্রতিটি গ্রামে কৃষকরা এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন। একদিকে সোনালি আউশধান কেটে ঘরে তোলা অন্যদিকে আমন ধান চাষের জন্য জমি প্রস্তুত, বীজতলা থেকে চাড়া তোলা ও রোপণ করা। সময়ের কাজ যথা সময়ে শেষ করতে মহা ব্যস্ততায় দিন পার করছেন কৃষকেরা।
সরেজমিনে কুমিল্লার বিভিন্ন উপজেলার মাঠে গিয়ে দেখা গেছে, একদল কৃষক আউশের সোনালি পাকাধান কেটে ঘরে তুলছেন। ট্রাক্টর দিয়ে হালচাষ করে আমন ধান আবাদের জন্য কেউ কেউ জমি প্রস্তুত করছেন। কোথাও আবার রোপা-আমন ধানের বীজতলা তৈরিতে ব্যস্ত কৃষক। কেই কেউ আগাম আমন ধানের চারা রোপণে ব্যস্ত। মাঠজুড়ে এক মনোরম পরিবেশ। তবে এ বছর আমনধান চাষের জন্য আবহাওয়া এখনও অনুকূলে রয়েছে বলে জানান বিভিন্ন উপজেলার কৃষকরা।
কুমিল্লা কৃষি বিভাগ সুত্রে জানা গেছে, এ বছর এ জেলায় চলতি আমন মৌসুমে ১ লাখ ১৪ হাজার ৬ শত ২৫ হেক্টর জমিতে ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে আসলে লক্ষ্যমাত্রা অনায়াসেই অর্জিত হবে বলেও আশা করছেন কৃষি বিভাগ। তবে এ বছর যথাসময়ে বীজতলা তৈরি করতে পারেনি অনেক কৃষক। এ বছর আমনের বীজ তলার লক্ষ্যমাত্রা চেয়ে কিছুটা কমই আর্জিত হয়েছে।কৃষি বিভাগ আরো জানান,কুমিল্লা জেলায় আউশধানের লক্ষ মাত্র ছিল ৯২১৫০ হেক্টর কিন্তু অর্জিত হয়েছে ৮০৪৩৬ হেক্টর, ধান রোপনের সময় বৈরী আবহাওয়া থাকায় আর্জন কিছু কম হয়েছে।
বরুড়া উপজেলার কৃষকরা বিল্লাল মিয়া জানান, জমিতে বৃষ্টির পানি জমা থাকার কারণে তারা শুধু হালচাষের টাকা ও শ্রমিক মজুরী দিয়েই তাদের জমি রোপন করতে পারছেন। আগাম আমন ধানের চারা রোপণে জমিতে পানির তেমন স্বল্পতা নেই।
ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের কল্পবাস এলাকার কৃষক সোনা মিয়া জানান, এ বছর ৪১ শতক জমি আমন ধানের চারা লাগানোর জন্য প্রস্তুত করেছি। ধানের চারাও বেড়ে উঠছে। খুব শীঘ্রই চারা রোপণের উপযোগী হয়ে উঠবে। আশা করছি কয়েকদিনের মধ্যেই আমনের চারা রোপণ করতে পারব।

বুড়িচং উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের শংকুচাইল এলাকার কৃষক আবদুল মালেক বলেন, আউশধান কাটা ও ঘরে তোলার পাশাপাশি আমন ধানের চারা রোপণ করতে জমি প্রস্তুত করার কাজও করছি। আমাদের এখন খুব ব্যস্ততার মধ্যে সময় কাটছে।
দেবিদ্বার উপজেলার মহেশপুর গ্রামের কৃষক আব্দুল মান্নান বলেন, আমার আউশধান কাটা শেষ এখন আমন ধান লাগানোর জন্য হাল চাষ করে জমি প্রস্তুত করছি, তবে তেলের দাম বাড়ায় টাক্টর দিয়ে হাল চাষ করতে কিছুটা ব্যাগ পেতে হচ্ছে।

এ বিষয়ে কুমিল্লা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক( ডিডি) আইয়ুব মাহমুদ গতকাল কুমিল্লার কাগজকে বলেন, প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে এ বছর আউশধান চাষে কিছুটা ব্যহত হয়েছে।তবে ফলন ভালো হয়েছে, এখন পর্যন্ত ৬২ পার্সেন্ট জমিতে আউশ কর্তন হয়েছে বাকিটা অল্প কিছুদিনের মধ্যে শেষ হবে। বর্তমানে আমন চাষের জন্য আবহাওয়া অনুকূলে রয়েছে এ পর্যন্ত কুমিল্লায় ৫০ পার্সেন্ট জমিতে আমন ধান রোপন করা হয়েছে।আর কিছুদিনের মধ্যে আমন ধান লাগানোর লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে। তবে এই সময়টাতে কুমিল্লার কৃষকেরা আউশধান কাটা এবং আমনধান লাগাতে ব্যস্তময় সময় পার করছে।

31/08/2023

ব্রাহ্মণপাড়ায়১২টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন জরাজীর্ণ

নিজস্ব প্রতিবেদক।।

ভবনের ছাদ চুইয়ে পানি পড়া, বিভিন্ন স্থানের পলেস্তারা খসেপড়া, ভিমে ফাটলসহ নানা কারণে কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার ১২টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন দীর্ঘদিন ধরে জরাজীর্ণ অবস্থায় পড়ে আছে। এ কারণে এসব বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর পাঠদান কিছুটা ব্যাহত হচ্ছে।

ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয় ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলায় ১০৮টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এসব বিদ্যালয়গুলোর মধ্যে ১২টি বিদ্যালয়ের ভবন জরাজীর্ণ হয়ে পড়ে আছে। বিদ্যালয়গুলোর ভবনের বিভিন্ন স্থানে ফাটল, পলেস্তারা খসে পড়া ও ছাদ চুইয়ে পানি পড়া, মেঝেতে ফাটল হওয়ায় শিক্ষার্থীদের পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে । জরাজীর্ণ এই ভবনগুলো হচ্ছে মনগোছ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পোমকাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শিবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ব্রাহ্মণপাড়া আদর্শ সদর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সাহেবাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, টাটেরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চারিপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, গাঘরাকাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পশ্চিম বেড়াখোলা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, হুড়ারপাড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও উওর গোপালনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণপাড়া আদর্শ সদর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি মোঃ আক্তার হোসেন বলেন, আমি দায়িত্ব থাকা কালিন পরিত্যক্ত ভবনের অপসারনের জন্য কর্তৃপক্ষের নিকট বহুবার আবেদন করেছি কিন্তু কোন ধরনের সূরাহ পায়নি। অচিরেই এই ভবনগুলো অপসারণ করা দরকার না হয় যে কোন সময় বিপদ হতে পারে।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মোঃ মাসুদ ইবনে হোসাইন বলেন, ওই ১২টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবনের বিষয়ের জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা অবগত আছেন। কিছুদিন পূর্বে ৩ টি ভবন টেন্ডার নোটিশের মাধ্যমে অপসারণ করা হয়েছে, বাকি জরাজীর্ণ ভবনের তালিকা অপসারণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য একটি প্রতিবেদন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার মহোদয়ের কাছে পাঠানো হয়েছে।

ব্রাহ্মণপাড়ায় সেতুটি সংস্কারের দাবি জোড়াতালি দিয়ে   ৬ গ্রামের মানুষের পারাপারনিজস্ব প্রতিবেদক।। ব্রাহ্মণপাড়ায় ২৭ বছর আ...
29/08/2023

ব্রাহ্মণপাড়ায় সেতুটি সংস্কারের দাবি জোড়াতালি দিয়ে ৬ গ্রামের মানুষের পারাপার

নিজস্ব প্রতিবেদক।।
ব্রাহ্মণপাড়ায় ২৭ বছর আগে নির্মিত একটি সেতুর গত চার বছর পূর্বে পাহাড়িঢলে সেতুর অধিকাংশ দসেপড়ে বিলীন হয়ে যায়। এ সেতুর বেহাল দশার কারণে ভোগান্তিতে পড়েছে শত শত শিক্ষার্থীসহ এলাকাবাসী। জোড়াতালির এ সেতুটি ৪ বছর পেরিয়ে গেলেও সংস্কারের উদ্যোগ নেয়া হয়নি। প্রতিদিন শত শত মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সেতুটি পার হচ্ছেন। ৬ গ্রামের মানুষের সহায়তায় অর্ধেক সেতুর সাথে বাঁশ দিয়ে কোনরকম চলাচলের উপযোগী করেন গ্রামবাসী। তবে কোন প্রকার যানবাহন চলাচল করতে পারছে না এই সেতু দিয়ে। অসুস্থ রোগী ও গর্ভবতী মায়েদের ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে প্রতিনিয়ত।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার চান্দলা ইউনিয়নের খলিফাপাড়া গ্রামের সংলগ্ন খালের ওপর প্রায় ২৭ বছর আগে এই সেতুটি নির্মাণ করা হয়। সেতুটি নির্মাণের ২৩ বছর পর থেকেই সেতুর কিছু অংশ ডেবে যেতে দেখা যায়। এরপর ২০১৯ সালের শেষের দিকে সেতুর অধিকাংশ পাহাড়িঢলে ধসে যাওয়ায় পর মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে।
ঝুঁকিপূর্ণ বিধ্বস্ত এই সেতুটি বিকলাবস্থার কারণে প্রায় ১৫/২০ দিন চলাচলের একদম অযোগ্য হয়ে পড়েছে। সীমাহীন দুর্ভোগে পড়েছে প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কলেজসহ আশপাশের কয়েক গ্রামের শত শত কোমলমতি শিক্ষার্থী ও সাধারণ লোকজন। পরে সে সময়ে স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বার জাকির হোসেন এর সহায়তায় গ্রামবাসীদের নিয়ে অর্ধেক ভাঙ্গা ব্রিজের উপর বাঁশ দিয়ে জোড়াতালি দিয়ে কোনরকম মেরামত করে এবং সেই ব্রিজ দিয়ে ৬ গ্রামের মানুষ যাতায়াত করছে। এ সেতু দিয়ে চলাচলের গ্রামের মধ্যে
চান্দলা,খলিফাপাড়া,শান্তিনগর, নোয়াপাড়া, দেউস, ও চড়েরপাথরের অধিকাংশ মানুষ যাতায়াত করছে।

সরজমিন গিয়ে কথা হয় সেতু দিয়ে চলাচলকারী শান্তিনগরের মোসলেম মিয়ার সাথে তিনি আক্ষেপ করে বলেন দীর্ঘ চার বছর ধরে গ্রামবাসীর সহায়তায় ৬/৭ মাস পর পর সেতুর বাঁশ পরিবর্তন করে আবার নতুন বাঁশ লাগাতে হয় এবং ৪০ হাজার টাকা খরচ করতে হয় গ্রামবাসীদের।
খলিফাপাড়ার কলেজ পড়ুয়া রনি আহমেদ বলেন, এ সেতুটি দিয়ে কয়েক গ্রামের মানুষ পায়ে হেটে যাতায়াত করছে কিন্তু কোন প্রকারের যানবাহন চলাচল না করায় ভোগান্তির অন্ত নেই আমাদের।
খলিফাপাড়ার কৃষক মতি মিয়া বলেন, আমাদের প্রায় অধিকাংশ জমি দেউস বিলে পাকাধান ও সার বীজ নিয়ে ও অন্যান ফলফলাদি আনানেওয়া ভোগান্তির শেষ নেই।
এছাড়া জমি থেকে ধান আনার জন্য কোনো গাড়ি চলাচল করতে না পারায় কৃষকরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ওই ভাঙা সেতু দিয়ে পার হচ্ছেন।
চান্দলা গ্রামের পিন্টু মিয়া জানান, সেতুটিতে কয়েকজন মানুষ উঠলে কখনো ডানে কখনো বামে কাঁত হয়ে যায়। অথচ সেতুটি মেরামতের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কোনো মাথাব্যথা নেই। কয়েক বছর ধরে শুনি সেতুটি মেরামত করা হবে, কিন্তু মেরামত কবে হবে তা কেউই বলতে পারে না।
এ ব্যপারে চান্দলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ওমর ফারুক বলেন, খলিফাপাড়া গ্রামের পাশে অবস্থিত খালের ওপর এই সেতুটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
অচিরেই এ সমস্যার সমাধান করার লক্ষে আমি কর্তৃপক্ষের নিকট আলোচনা করেছি তবে সেতুটি সংস্কার হলে এই এলাকার মানুষসহ আশপাশের অনেক গ্রামের মানুষ উপকৃত হবে।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলী আবদুল রহিম বলেন, গুরুত্বপূর্ণ এই সেতুটির অবস্থা খুবই বেহাল। সেতুটি সরজমিন পরিদর্শন করে নির্মাণে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র উর্ধ্বতন ও কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠিয়েছি।

কুমিল্লায় মাছ ধরার 'চাই' আন্তার কদর বাড়ছে নিজস্ব প্রতিবেদক।। আষাঢ় শ্রাবণ ভাদ্র এ তিন মাস বর্ষার মৌসুম মাঠ-ঘাট, খাল-বি...
26/08/2023

কুমিল্লায় মাছ ধরার 'চাই' আন্তার কদর বাড়ছে

নিজস্ব প্রতিবেদক।।
আষাঢ় শ্রাবণ ভাদ্র এ তিন মাস বর্ষার মৌসুম মাঠ-ঘাট, খাল-বিল-নদীতে পানি আর পানি। আর পানিতে নানা প্রজাতির দেশীয় মাছের ছড়াছড়ি। কুমিল্লার বিভিন্ন উপজেলার গ্রামে গ্রামেএখন মাছ ধরার ‘চাই’ বা আন্তার এর খুব কদর।
কুমিল্লায় জেলায় মাছ ধরার ‘চাই’ বা আন্তা নামে পরিচিত। যারা এই আন্তা বানাচ্ছেন তারা পরিচিত মাহালি নামে। কুমিল্লায় মাহালিরা এখন চাই বা আন্তা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পর করছেন। পেশাদার ও শখের জেলেরা মাছ ধরার আন্তা কিনতে ভিড় জমাচ্ছেন হাটে-বাজারে বিক্রেতাদের কাছে।
প্রতি বছর বর্ষার শেষে বিভিন্ন মাঠ-ঘাটে খাল-বিলে ডিম ছাড়ে বিভিন্ন জাতের দেশীয় মাছ। বর্ষা শেষে ওইসব মাছের ডিম কাদামাটিতে পড়ে থাকে এবং মাটির ভেতর রয়ে যায়। আবার বর্ষা শুরু হলে, বর্ষার পানিতে মাটি নরম হয়ে ওইসব ডিম থেকে মাছের জন্ম হয়। এখন এসব দেশি জাতের মাছগুলো ঘুরে বেড়াচ্ছে পানি জমে থাকা ধান ক্ষেতে আর ডোবা নালায়। এসব মাছ ধরতেই নানাজন হাট-বাজার থেকে আন্তা জোগাড় করছেন।
কুমিল্লার বিভিন্ন উপজেলার হাট বাজারে গেলে দেখা যায়, হাতের তৈরি বিভিন্ন রকমের ছোট বড় আন্তা চাই ও পলই দোকানে সাজিয়ে রেখেছেন। আর তা কিনতে ভিড় করছেন অনেকেই। মাহালিরা এ সব জিনিস বিক্রি করছেন ছোট চাই ৩০০ টাকা থেকে ৪২০ টাকা, মাঝারি ৫০০ টাকা, বড় আন্তা ৬৫০ টাক থেকে প্রায় হাজার টাকা বিক্রি করছেন। সাহেবাবাদ বাজারে আসা মহালক্ষীপাড়া গ্রামের শাহজালালসহ অনেকেই বলছেন, এবছর প্রতিটি আন্তার দাম বেশি নিচ্ছেন। বাজারে আসা বিক্রতারা বলছেন, সব জিনিসের দাম বেশি, আমাদের লাভ কম।
আন্তা কিনতে আসা হুমায়ুন বলেন, আমার বাড়ি শশীদল ইউনিয়নের নাগাইশ গ্রামে। আমাদের গ্রামের আশপাশের ধানিজমি ও ছোট ছোট ডোবা নালা বর্ষার পানিতে ভরে গেছে। আর সেখানে দেখা যাচ্ছে বিভিন্ন জাতের দেশি মাছ। বর্ষাকালে মাছ ধরা আমার নেশা। একটা দুইটা বড় সাইজের আন্তা নিলাম সাড়ে ৯ শত টাকা দিয়ে।

আরেক জন আন্তা কিনতে আসা নাইঘরের রফিক বলেন, বর্ষাকালে আমি কখনো মাছ কিনে খাই না। প্রতি বছর বর্ষায় বিভিন্ন খালে আন্তা, ফেলুন জাল, কুনি জাল দিয়ে মাছ ধরি। আজ আমি একটা ফেলুনজাল ও একটা আন্তা কিনলাম।
ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার সাহেবাবাদ বাজারের মাহালি সমির দাস বলেন, আগের মতো তো আর আমাদের তৈরি জিনিসপাতির বিক্রি নাই। তবে বর্ষাকাল আসলে একটু বেশি মাছ ধরার আন্তা এবং ফলই বিক্রি হয়।

দেবিদ্বার উপজেলার বৃষ্টিপুরের মাহালি কমল দাস বলেন, এই কাজে আমাদের আর লাভ হয় না। একটা বাঁশের দাম ৪৫০ থেকে ৫ শত টাকা। তা দিয়ে ১২ থেকে ১৫ টা আন্তা তৈরি হয়, তা তৈরির মজুরি দিতে হয় ৬ শত থেকে ৮ শত টাকা। এতে তেমন লাভ হয় না। বাপ-দাদার কর্ম ছাড়তে পারি না। এতে সংসার চালানো মুশকিল। আমরা যা করছি, আমাদের ছেলেদের আর এই কর্ম করতে দেবো না।

25/08/2023

কুমিল্লায় পাটের সোনালি আঁশ ছাড়াতে ব্যস্ত চাষীীরা

ইসমাইল নয়ন।।
কুমিল্লার বিভিন্ন উপজেলার কৃষকের ঘরে উঠতে শুরু করেছে সোনালি আঁশ। পাট থেকে সোনালি আঁশ ছাড়ানো ও রোদে শুকানোর কাজে ব্যস্ত সবাই। নদী-নালা ও খাল বিল থেকে জাগ দেওয়া পাট তুলে এনে তার থেকে আঁশ ছাড়ানো ও রোদে শুকানোর কাজ করছেন তারা । এ বছর পাটচাষে আবহাওয়া অনুকূলে না থাকায় পাট চাষীদের বিপাকে পড়তে হয়েছিল। তবু সোনালি আঁশের সোঁদা গন্ধে ও স্বপ্নের সোনালি আঁশ দেখে কৃষকদের মনে স্বস্তি ফিরেছে। তবে এ বছর পাটের ফলন ভালো হলেও আশানুরূপ মূল্য না-পাওয়ার শঙ্কায় রয়েছেন চাষীরা।

কুমিল্লার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, উপজেলার পাট চাষীর সংখ্যা প্রতিবছরই কমছে। কৃষক ধান চাষের দিকে ঝুঁকছে বেশি। অন্য বছরের তুলনায় এবছর পাটের ফলন ভালো হয়েছে বলে জানান চাষীরা। চাষিরা পাট কেটে তা নদী, নালা, খাল, বিল ও ডোবায় জাগ দেওয়া, আঁশ ছাড়ানো এবং হাটে বাজারে তা বিক্রিসহ সব মিলিয়ে এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন। আবার কোথাও কোথাও দেখা গেছে নারী-পুরুষের অংশ গ্রহণে পাট থেকে আঁশ ছাড়ানোর কাজ চলছে। তবে গত বছরের তুলনায় এ বছর পাটের বাজারমূল্য নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেন তারা। এ বছর কুমিল্লা বিভিন্ন উপজেলায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অনেক কম জমিতে পাট চাষ করা হয়েছে। কুমিল্লায় দেশি পাট অর্জিত হয়েছে ৪৭৬ হেক্টর তুষা ৫৬৩ হেক্টর অর্জিত হয়েছে বলে জানান কুমিল্লা কৃষি বিভাগ।
এছাড়া দেশি পাট গড় ফলন ১০৫ হেক্টর ৮.০৫ মেট্রিক টন ফলন সংগ্রহ করা হয়েছে। এবং তুষা জাতের পাট ৪০৪ হেক্টর ১১.৫ মেট্রিক টন পাট সংগ্রহ করা হয়েছে। এ বছর হোমনা, তিতাস, মেঘনা এবং দাউদকান্দি উপজেলায় পাট চাষ ভালো ফলন হয়েছে।

এদিকে পাট চাষী ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার কান্দুঘর এলাকার জয়নাল আবেদীন বাচ্চু বলেন, এখন পাট কাটা, পানিতে ডোবানো ও ধোয়ার কাজে আমরা ব্যস্ত সময় পার করছি।এ বছর আবহাওয়া অনুকূলে ছিল না। তবু পাটের ফলন মোটামুটি ভালো হয়েছে। শুর থেকে পাট শুকানো পর্যন্ত যা খরচ করেছি সেই অনুযায়ী পাটের মূল্য পাব কিনা জানি না। শুনছি এ বছর পাটের বাজার মন্দা যাচ্ছে।
বুড়িচং উপজেলার পাট চাষী আবদুল হক বলেন, এ বছর আমি একুশ শতক জমিতে পাটচাষ করেছি। এতে আমার খরচ হয়েছে প্রায় চার হাজার টাকা। মৌসুমের শুরুতে আবহাওয়া অনুকূলে না থাকায় পাটচাষে আমাদের অনেক বেগ পেতে হয়েছে। তারপরও পাটের ফলনও ভালো হয়েছে। তবে আশানুরূপ মূল্য না পেলে আমি পাটচাষে ক্ষতিগ্রস্ত হব।
দেবিদ্বার উপজেলার এগারগ্রাম এর পাট চষী আক্কাস মিয়া জানান, এ বছর তিনি ৩২ শতক জমিতে পাটচাষ করেছি এতে তাঁর খরচও হয়েছে অনেক। পাটের ফলনেও তিনি সন্তোষ প্রকাশ করেন। তবে পাটের বাজারমূল্য আশানুরূপ না পেলে পাটচাষে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার শঙ্কাও প্রকাশ করেন তিনি।

এ বিষয়ে কুমিল্লা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক( ডিডি) আইয়ুব মাহমুদ গতকাল কুমিল্লার কাগজকে বলেন, প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে এ বছর পাটচাষ কিছুটা ব্যহত হয়েছে। অধিকাংশ কৃষকই পাটচাষ ছেড়ে ধান চাষে আগ্রহী হয়ে পড়ছেন। তবে এ বছর পাটের ফলন ভালো হয়েছে। পাটের ন্যায্য মূল্য পেলে চাষিদের মাঝে পাট চাষে আগ্রহ বাড়বে।

Address

Comilla
3526

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when দৈনিক আমাদের ব্রাহ্মণপাড়া posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Videos

Share

Category