23/03/2022
প্রথম প্রথম নিজেকে খুব লাকি মনে হবে। দিনে ৫০খানা ম্যাসেজ, ১০বার ফোন, 'কবে দেখা করবে?' এর আব্দার।
'কী করছো? ম্যাসেজের উত্তর দিচ্ছ না কেন? ফোন করোনি কেন? আমায় মনে পড়ে না বুঝি? স্নান করেছো? খেয়েছো? ঘুমিয়ে পড়ো কিন্তু! নিজের যত্ন নাও ঠিক করে...' কত্ত কেয়ার, কত্ত ভালোবাসা, নিজেকে খুব মূল্যবান মনে হবে। মনে হবে এই তো সে, যার জন্য আমাকে পাঠিয়েছেন ঈশ্বর।
তারপর আস্তে আস্তে যত সময় কাটবে, সম্পর্কের শরীর থেকে উবে যাবে টাটকা তরতাজা গন্ধ, তত কমে যাবে ফোন, ম্যাসেজ, দেখা করার ইচ্ছা।
'ফোন তোলোনি কেন? ম্যাসেজের উত্তর দাওনি কেন? এত্ত ব্যস্ত যে সারাদিনে একটা ফোন করতে পারোনি?'
এ'সব প্রশ্নের উত্তরে আসবে, 'এত এক্সপ্ল্যানেশন দিতে হবে নাকি তোমাকে কথায় কথায়?' , 'বিরক্ত কোরো না তো, পরে কথা বলছি'...
প্রশ্ন একই থাকবে, উত্তর বদলে যাবে।
তখন নিজেকে আর মূল্যবান বা লাকি মনে হবে না, বরং খুব বোকা লাগবে যে একদিন নিজেকে এত্ত ইম্পর্টেন্ট ভেবেছিলাম।
শোনো, মানুষ পাশে বসে, সুখ দুঃখের গল্প করে, হাতের ভেতর হাত রেখে মায়া বাড়ায় তারপর হঠাৎ করে একদিন বিনা নোটিশে সব মায়া ভেঙে দেয়। এটাই জীবন।
তাই আজ নতুন কোনও মানুষ যদি তোমার খুব খেয়াল রাখে, খুব যত্ন করে, খুব খোঁজ খবর নেয় চার বেলা; তবে শুরুতেই নিজেকে ভীষণ লাকি বা সেই মানুষটাকে খুব কেয়ারিং ভেবে ফেলো না। অপেক্ষা করো, আগে দেখো, সময়ের ঝড়ে তার যত্ন-ভালোবাসা-অভ্যাস সব ধীরে ধীরে উবে যায় নাকি!
আসলে এক্সপেক্টেশন একটু কমই থাকা ভালো।
পরে সব ভেঙে গেলে, যন্ত্রণা কম হয়।
লেখাঃ Amit Dittuu
📸Zee Photography