অক্ষরবৃত্ত প্রকাশন

অক্ষরবৃত্ত প্রকাশন একটি সৃজনশীল প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান
হেল্পলাইন : 01881613838

প্রকাশ হয়েছে কবি আকবর চৌধুরীর 'কাপলেট'। আপনার কপি সংগ্রহ করতে ইনবক্সে নক দিন।মূল্য : ১৫০ টাকা
23/12/2024

প্রকাশ হয়েছে কবি আকবর চৌধুরীর 'কাপলেট'। আপনার কপি সংগ্রহ করতে ইনবক্সে নক দিন।

মূল্য : ১৫০ টাকা

আমার কোনোকিছু ভালোলাগে না-আবার এই কথা তোমাকে বলতে ভালোলাগে!আমার ঘরে থাকতে ইচ্ছে করে নাকিন্তু তোমার পাশে থাকলে মনে হয় আমা...
20/12/2024

আমার কোনোকিছু ভালোলাগে না-
আবার এই কথা তোমাকে বলতে ভালোলাগে!
আমার ঘরে থাকতে ইচ্ছে করে না
কিন্তু তোমার পাশে থাকলে মনে হয় আমাদের একটা ঘর থাকা দরকার!
----
স্বপ্নীল চক্রবর্ত্তী এর নতুন কাব্যগ্রন্থ 'আমার পাশে থাকো কিছুক্ষণ'। কবি যেন এই শহরের বিষণ্ণতম প্রেমিক। এই বইয়ে কবি তাঁর নিজের স্মৃতিগুলোকে শিমুলতুলোর মতো ছড়িয়ে দিয়েছেন। কবির মতে, এই বই তাঁকে অজানা কোনো প্রাপ্তি বা সমাপ্তির সাথে পরিচয় করাবে।

প্রিয় পাঠক, স্বপ্নীল চক্রবর্ত্তী এর কাব্যভুবনে স্বাগতম। কবিতার মায়াচ্ছন্ন জগতে ডুবে যেতে বইটি নিজেকে কিংবা প্রিয়জনকে উপহার দিন।

২৫% ছাড়ে অর্ডার করুন। সরাসরি পেজ থেকে অর্ডার করলে পাচ্ছেন লেখকের হাতে লেখা চিঠি। অর্ডার লিঙ্ক কমেন্ট

"এখন যৌবন যার, যুদ্ধে যাবার তার শ্রেষ্ঠ সময়।"প্রেম ও দ্রোহের কবি হেলাল হাফিজ মারা গেছেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৬ বছ...
13/12/2024

"এখন যৌবন যার, যুদ্ধে যাবার তার শ্রেষ্ঠ সময়।"

প্রেম ও দ্রোহের কবি হেলাল হাফিজ মারা গেছেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৬ বছর।

শাহবাগের সুপার হোস্টেলের একটা ঘরে একা থাকতেন কবি। শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) দুপুরে ওয়াশরুমের দরজা খুলে তাকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। প্রায় ৩০ মিনিট চেষ্টার পর দুপুর সোয়া ২টার দিকে ওয়াশরুমের দরজা ভেঙে খোলা হয়। পড়ে গিয়ে মাথায় আঘাত পেয়েছিলেন তিনি, হয়েছিলেন রক্তাক্ত।

এরপর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (BSMMU) হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

হেলেনকে ভালোবেসে এই নিঃসঙ্গতাকেই বেছে নিয়েছিলেন তিনি। নীল কষ্ট নিয়ে চলে গেলেন কবি।

বইমেলা পঁচিশ উপলক্ষ্যে অক্ষরবৃত্ত থেকে প্রকাশিত অপু বড়ুয়ার দুটি বই──ক. নির্বাচিত ১০০ ছড়াখ. আমার যত কবিতা ছড়া
12/12/2024

বইমেলা পঁচিশ উপলক্ষ্যে অক্ষরবৃত্ত থেকে প্রকাশিত অপু বড়ুয়ার দুটি বই──

ক. নির্বাচিত ১০০ ছড়া
খ. আমার যত কবিতা ছড়া

19/11/2024

কথাসাহিত্যিক ও অনুবাদক রিয়াজ মোরশেদ সায়েমের 'কালো পাহাড়' আসবে অক্ষরবৃত্ত থেকে।
প্রিয় পাঠক, অপেক্ষায় তো?

আগামী ডিসেম্বরের ১০ তারিখে পাঠকের হাতে পৌঁছে দেব কাপলেট। এখন ১৪০ টাকায় প্রি-অর্ডার চলছে রকমারিতে। রকমারির লিংক──https:/...
16/11/2024

আগামী ডিসেম্বরের ১০ তারিখে পাঠকের হাতে পৌঁছে দেব কাপলেট। এখন ১৪০ টাকায় প্রি-অর্ডার চলছে রকমারিতে।

রকমারির লিংক──https://www.rokomari.com/book/438589/couplet

বইমেলা পঁচিশ উপলক্ষ্যে অক্ষরবৃত্ত প্রকাশন থেকে আসছে মোশতাক আহমদের "নারসিসাসের আরশি"।
16/11/2024

বইমেলা পঁচিশ উপলক্ষ্যে অক্ষরবৃত্ত প্রকাশন থেকে আসছে মোশতাক আহমদের "নারসিসাসের আরশি"।

বইমেলা পঁচিশ উপলক্ষ্যে অক্ষরবৃত্ত থেকে প্রকাশ হলো অপু বড়ুয়ার "নির্বাচিত ১০০ ছড়া"।অর্ডার করতে পেইজের ইনবক্সে মেসেজ দিন...
16/11/2024

বইমেলা পঁচিশ উপলক্ষ্যে অক্ষরবৃত্ত থেকে প্রকাশ হলো অপু বড়ুয়ার "নির্বাচিত ১০০ ছড়া"।

অর্ডার করতে পেইজের ইনবক্সে মেসেজ দিন।

বইমেলা পঁচিশ উপলক্ষ্যে অক্ষরবৃত্ত প্রকাশন থেকে আসছে শামসুল আরেফীনের দুটি বই──১. লোককবি ও লোকসংগীত ২. আহমদ ছফা ও অন্যান্য
15/11/2024

বইমেলা পঁচিশ উপলক্ষ্যে অক্ষরবৃত্ত প্রকাশন থেকে আসছে শামসুল আরেফীনের দুটি বই──

১. লোককবি ও লোকসংগীত
২. আহমদ ছফা ও অন্যান্য

২০২৫ বইমেলা উপলক্ষ্যে অক্ষরবৃত্ত প্রকাশন থেকে আসছে অভিজিৎ বড়ুয়া অভির দুটি বই──১. সমকালীন কলাম (প্রবন্ধ)২. লাবণ্য প্রভা...
14/11/2024

২০২৫ বইমেলা উপলক্ষ্যে অক্ষরবৃত্ত প্রকাশন থেকে আসছে অভিজিৎ বড়ুয়া অভির দুটি বই──

১. সমকালীন কলাম (প্রবন্ধ)
২. লাবণ্য প্রভা (কাব্যগ্রন্থ)

প্রচ্ছদ : পরাগ ওয়াহিদ

12/11/2024
কবি স্বপ্নীল চক্রবর্ত্তীর 'যে দুপুর বাহানা বানায়'──চাইলে আপনিও সংগ্রহ করতে পারেন।যে দুপুর বাহানা বানায়by স্বপ্নীল চক্রব...
11/11/2024

কবি স্বপ্নীল চক্রবর্ত্তীর 'যে দুপুর বাহানা বানায়'──চাইলে আপনিও সংগ্রহ করতে পারেন।

যে দুপুর বাহানা বানায়
by স্বপ্নীল চক্রবর্ত্তী
TK. 172

(অর্ডার লিংক কমেন্টে)

বইমেলা ২০২৫ উপলক্ষ্যে অক্ষরবৃত্ত প্রকাশন থেকে আসছে কবি আকবর হোসেনের কাব্যগ্রন্থ 'কুড়িয়ে পাওয়া প্রেম'।
09/11/2024

বইমেলা ২০২৫ উপলক্ষ্যে অক্ষরবৃত্ত প্রকাশন থেকে আসছে কবি আকবর হোসেনের কাব্যগ্রন্থ 'কুড়িয়ে পাওয়া প্রেম'।

বিকৃত মস্তিষ্কের একজন নরখাদক কত হিংস্র হতে পারে তা এই বইটি না পড়লে জানাই হতো না। বইটির নাম শুনেই বুঝেছিলাম বইটি অন্য বই ...
31/10/2024

বিকৃত মস্তিষ্কের একজন নরখাদক কত হিংস্র হতে পারে তা এই বইটি না পড়লে জানাই হতো না।
বইটির নাম শুনেই বুঝেছিলাম বইটি অন্য বই থেকে একেবারেই ভিন্ন ধরণের। বইটি জুড়ে সমাজের অন্তরালে ঘটে যাওয়া নৃশংস পাশবিক ঘটনার বর্ণনা। ঠান্ডা মাথায় ১৫ বছর ধরে ৪৯ জন মানুষের মাংস ভক্ষণ করা কার্ল ডেনকের বীভৎসতা পাঠকের মনে ভয়ের ও ঘৃণার উদ্বেগ ঘটাবে।

কার্ল ডেনকে (নরখাদক) বইটির শুরুতেই তার ছোটবেলার ইতিহাস বর্ণনা করেছে- পরিবার ও স্কুলে তাকে প্রায় প্রতিদিনই শাস্তি পেতে হতো। ছোটখাটো কাজ না পারার জন্য বাড়িতে তাকে শাস্তি পেতে হতো আর স্কুলে পেতে হতো লেখাপড়া না পারার জন্য।
নির্মম অত্যাচার সহ্য করা ডেনকে বলেন- 'আমি যা পারি না সেটা শাস্তি দিলেও পারব না।'
এ বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ একটি বার্তা দেয় ; শিশুদের সাথে কখনোই নির্দয় আচরণ করা ঠিক না,এতে তাদের ক্ষতিই বেশি হয়। তারচেয়ে বরং বুঝিয়ে-সুজিয়ে তাদেরকে দিয়ে অনেক অসাধ্য সাধন করানো যায়।

ডেনকের পারিবারিক বন্ধন ভালো ছিলো না। ছোটবেলা থেকেই তার বাবা- মা, ভাই- বোন কেউই তাকে গুরুত্ব দেয়নি। ডেনকে স্বাধীনভাবে বাঁচার চেষ্টায় বাড়ি থেকে পালিয়ে যায় এবং মি. মার্ফি নামের এক ব্যক্তির কাছে আশ্রয় পায়। মি. মার্ফি বিখ্যাত অথবা কুখ্যাত মানুষের চামড়া, হাড় এসব সংগ্রহ করে যা পরবর্তীতে ডেনকেকে ভিক্টিমদের চামড়া, হাড়সহ শরীরের নানান অংশ সংগ্রহ করতে উৎসহ প্রদান করে।

ছোটবেলা থেকে ডেনকের খাবারের প্রতি আকর্ষণ বেশি ছিলো বিশেষ করে মাংসের প্রতি। পরিবারের অন্যরা যখন তার বেশি খাবার খাওয়া নিয়ে ব্যঙ্গ করতো তখন ডেনকে ভেতরে ভেতরে বিদ্রোহী হয়ে ওঠে। ইনট্রুভার্ট ডেনকে কাউকে কিছু না বলে সমস্ত রাগ নিজের উপর দেখাতো।
স্কুলে খেলাধুলায় হেরে গিয়ে নিজের বাহু কামড়ে মাংস খেয়ে রাগ মিটায় সে। ডেনকের ভাষায়- " আমি নিজেও বুঝে উঠতে পারি না যে কিভাবে আমার বাম বাহুর একদলা গোশত ছিঁড়ে আসে আমার মুখে, আর আমি তা চিবিয়ে খেয়েও ফেলি যখন খেয়াল হলো তখন আমার বাহু থেকে রক্ত ঝরছে।"
নিজের গোশতই প্রথম তাকে নরমাংসের স্বাদ এনে দেয়।

বাড়ি থেকে পালানো ডেনকে যখন বাড়ি ফিরে আসে তখন পরিবারের সদস্যরা তাকে দেখে খুশি হয় না। এমনকি দুর্ভিক্ষের সময় ডেনকে তার পরিবারের কাছে গেলে তারা ডেনকের প্রতি বিরক্তি প্রকাশ করে যার ফলে ডেনকে পরিবার থেকে পুরোপুরি নিজেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলে এবং জীবনে আর কখনো তাদের সাথে যোগাযোগ করে না।
যদি পরিবার ডেনকেকে আশ্রয় দিত তাহলে হয়ত সে এমন পাপ কাজে লিপ্ত হতে পারতো না। ইতিহাস স্বাক্ষী, পরিবার একটি মানুষের সবচেয়ে নিরাপদ আশ্রয়। আপনজনরাই পারে মানুষকে খারাপ কাজ থেকে বিরত রাখতে।

বইটিতে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ঘটে যাওয়া মারাত্নক দুর্ভিক্ষের তথ্য রয়েছে এবং সে সময় মানুষ হয়ে মানুষের গোশত খাওয়ার ভয়ংকর বর্ণনাও রয়েছে, যেমন- ১৮৪৫ থেকে ১৮৫২, এই সাত বছর আয়ারল্যান্ড মহাদুর্ভিক্ষের শিকার হয়। প্রায় ১০ লক্ষ মানুষ প্রাণ হারায়।
'জন কনোলী' নামের এক ব্যক্তি অনাহারে মৃত ছেলেকে কফেনে না শুইয়ে তার গোশত খেয়ে নিজের প্রাণ বাঁচায়।
১৩১৫ সালে উওর ইউরোপে দুর্ভিক্ষ ছড়াতে শুরু করে। ক্ষুধার জ্বালায় বাবা- মা সন্তাদের ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছে। জেলের বন্দিরা তাদের সঙ্গীদের ছিঁড়েখুঁড়ে খেয়েছে।

বইটিতে জাদুচর্চা ও জাদুকরদের ইতিহাস সম্পর্কে জানা যায়। যেমন- জার্মানির ট্রায়ানে ১৫৮৩-৯৪ পর্যন্ত চলে ডাইনি বা জাদুকর নিধন। আনুমানিক ৩৬৮ জন মানুষকে মারা হয়েছিল সে সময়।
সপ্তদশ শতকের মাঝামাঝি স্কটল্যান্ডে শুরু হয়েছিল জাদুবিদ্যার সাথে জড়িতদের ধরপাকড়। এবং ৪৫০ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছিল।

ডেনকে সমাজের চোখে ভালো মানুষ সেজে থাকে। এলাকার লোক তাকে ' ফাদার ডেনকে' বলে ডাকে। ভালো মানুষের মুখোশের আড়ালে ডেনকে একের পর এক মানুষ হত্যা করে নিজের লালসা পূরণ করে। আমাদের সমাজেও এমন মুখোশধারী ভালো মানুষের অভাব নেই, যাদের নারকীয় উল্লাসের শিকার হয়ে প্রতিনিয়ত জীবন দিচ্ছে দুর্ভাগা মানুষগুলো।

ডেনকে সব সময় স্টেশনের প্ল্যাটফর্ম অথবা অন্য এলাকা থেকে আগত সাময়িক অসুবিধার মুখোমুখি মানুষদেরকে নিজের মিষ্টি কথায় ভুলিয়ে বাড়িতে এনে শিকার করে।
সুতরাং এ ঘটনা আমাদের শিক্ষা দেয় অপরিচিত অথবা অল্পপরিচিত কারো কথায় বিশ্বাস করে নিজেকে বিপদের মুখে ঠেলে দেওয়া যাবে না।

ডেনকে একসময় ভবিষ্যৎ জানার চেষ্টা করে এবং এবিষয়ে পড়াশোনা করে।
চাঁদ এবং নদীগুলির উপর চাঁদের প্রভাব এবং একটি সাম্প্রদায়িক ক্যালেন্ডার সংগঠনের বিষয়গুলো রেকর্ড করার প্রথম পদক্ষেপ ছিল।
ব্যাবিলন ও কালদিয়া অঞ্চলে এ বিদ্যা ব্যাপকভাবে শুরু হয় এবং সমগ্র পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়ে।
ইউরোপে প্রকাশিত প্রথম জ্যোতির্বিজ্ঞান গ্রন্থটি ছিল "লাইবার প্লানেটিস এন্ড মুন্সি ক্লাইমাটিবাস।"
ভবিষ্যৎ দেখার জন্য যুগে যুগে নানা কৌশল ব্যবহার করা হয়,যেমন- হস্তরেখা দেখা, ক্রিস্টাল বল ব্যবহার, ধাতব পেয়ালা, রুপার পেয়ালা ব্যবহার করা ইত্যাদি।
তিব্বতীয় সাধকরা ক্রিস্টাল বল ব্যবহার করতেন।
ব্যাবিলনে উজ্জ্বল ধাতব ব্যবহার করা হতে।
ডেনকে নিজেও ক্রিস্টাল বল ব্যবহার করে ভবিষ্যৎ জানার চেষ্টা করে এবং এক পর্যায়ে সে সফলও হয়। ডেনকে পরবর্তী একসময় নিজের শেষ পরিনতি ক্রিস্টাল বল ব্যবহার করে দেখে নেয়। সে জানতো তার শেষ পরিনতি পুলিশের হাতে ধরা পড়া এবং সবার ঘৃণা ও অভিশাপ নিয়ে করুণ মৃত্যু বরণ করা। সুতরাং ডেনকে সকলের ঘৃণা ভরা চোখ দেখার আগেই আত্মহত্যা করে।

শাস্তির খুব নিকৃষ্ট ধরণ সম্পর্কে তথ্য পাওয়া যায় নরখাদকের ডায়েরি বইটিতে।
সর্বপ্রথম প্রাচীন গ্রীসে একটা পদ্ধতি চালু হয়। যার নাম র‍্যাগ। এ পদ্ধতিতে প্রচন্ড যন্ত্রণা দিয়ে কপিকলের মাধ্যমে অপরাধীকে মারা হতো।
প্রাচীন ইউরোপে ভিক্টিমের পা থেকে মাথা পর্যন্ত চামড়া ছিলে নেওয়া হতো, এতে রক্তক্ষরণে অপরাধীর মৃত্যু হতো।
প্রাচীন চীনে লিং পদ্ধতিতে জল্লাদ ছুরি দিয়ে বুকের বামপাশ কেটে নিত তারপর বিরতি দিয়ে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ প্রত্যঙ্গের মাংস কেটে নিত ফলে রক্তক্ষরণে অপরাধীর মৃত্যু হতো।
গ্রিসে পিতলের তৈরি ষাঁড়ের ফাঁকা পেটের ভেতর আসামি ঢুকিয়ে নিচে আগুন জ্বেলে দেয়া হতো। আসামি আগুনের প্রচন্ড তাপে সিদ্ধ হয়ে মারা যেত।

ডেনকে তার ভিকটিমদের চামড়া দিয়ে বই/ ডায়েরির মলাট, জুতার ফিতা, সাসপেন্ডার, মানিব্যাগ,জ্যাকেট তৈরি করতো। দাঁতগুলো দিয়ে বোতাম, আংটি, লকেট তৈরি করতো।

চুলগুলো দিয়ে রশি তৈরি করতো। ডেনকের মৃত্যুর পর পুলিশ তার ঘর তল্লাশি করে এসব পায়।

ডেনকের মানুষ মারা এবং কেটেকুটে খাওয়ার অংশটা প্রচন্ড বিভৎস, তাই এসম্পর্কে কিছু লিখতে চাই না। পড়তে গিয়ে গা গুলিয়ে উঠেছে।
দুর্বল চিত্তের পাঠকদের অনুরোধ করবো বইটি এড়িয়ে যেতে।

নরখাদকের ডায়েরি বইটিতে আধিভৌতিক কিছু ঘটনার বর্ণনা আছে। ডেনকের মতো হৃদয়হীন নিষ্ঠুর মানুষের মনেও ভৌতিক ঘটনাগুলো ভয়ের সঞ্চয় করেছে। ডেনকের ভাষায়-' অদৃশ্য কেউ একজন আমার হাত ধরে বসল! আর আমার হাত থেকে (মাংস) তা নিয়েও নিল।
তারপর সেই লবণাক্ত টুকরো শূন্যে বাসতে লাগলো।"
নরখাদক ডেনকে শেষ পর্যন্ত আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নেয় কারণ সে সমাজের ঘৃণিত দৃষ্টি ভয় পেয়েছিল। সবাই তার জঘন্য অপরাধ জানার পর কি হবে সে তা অনুমান করতে পারে এবং আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নেয়।
ডেনকের ভাষায়- ' হাকিম সাহেব ভয়ানক কোন মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেবে।
আমি আর ভাবতে পারছি না। আমি এমন সময়ের মুখোমুখি হতে পারবো না। তার আগেই আমার মরে যাওয়া ভালো। "
উপন্যাসটি সবাইকে এই বার্তা দেয় যে, অত্যাচারির পরিণতি কখনো ভালো হয় না। অন্যায় করলে একদিন তার শাস্তি পেতেই হবে।

লেখনির শুরুতে বলেছিলাম 'নরখাদকের ডায়েরি' বইটি হাতে নিয়ে উল্টে-পাল্টে দেখেছি বেশ কিছুক্ষণ কারণ বইটির বাঁধাই, ছাপাসহ বিন্যাস আমাকে মুগ্ধ করেছে। এজন্য বিশেষ ধন্যবাদ জানাতে চাই 'অক্ষরবৃত্ত প্রকাশনকে'। বইটি পড়তে গিয়ে যেমন লেখক সম্পর্কে উন্নত ধারণা হয়েছে তেমনি প্রকাশনীর উপর আস্থা বেড়েছে।

সর্বশেষ বলবো, 'নরখাদকের ডায়েরি' 'আহমাদ স্বাধীনের' এক উল্লেখযোগ্য সৃষ্টি। প্রিয় লেখকের এমন তথ্য ভিত্তিক বই আরও পড়তে চাই।
দেড়শো বছর আগের এক নরখাদকের ব্যক্তিগত রচনার সাথে লেখকের কল্পনার মিশ্রণ, হরর প্রিয় পাঠকদের কাছে উপন্যাসের নতুন স্বাদ এনে দেবে বলে আমার বিশ্বাস।

নৃশংস পাশবিক ঘটনার স্বাক্ষী : নরখাদকের ডায়েরি
বই : নরখাদকের ডায়েরি
লেখক : Ahmad Shadhin
প্রচ্ছদ : হিমেল হক।
প্রকাশনী : অক্ষরবৃত্ত
মূল্য : ২৫০ টাকা
---
আলোচনা: Monira Mita

(৩য় কিস্তি)২০২৫ বইমেলা উপলক্ষ্যে অক্ষরবৃত্ত থেকে আসছে...
29/10/2024

(৩য় কিস্তি)

২০২৫ বইমেলা উপলক্ষ্যে অক্ষরবৃত্ত থেকে আসছে...

বইমেলা ২০২৫ উপলক্ষ্যে অক্ষরবৃত্ত প্রকাশন থেকে আসছে অপু বড়ুয়ার "নির্বাচিত ১০০ ছড়া"।
12/10/2024

বইমেলা ২০২৫ উপলক্ষ্যে অক্ষরবৃত্ত প্রকাশন থেকে আসছে অপু বড়ুয়ার "নির্বাচিত ১০০ ছড়া"।

বইমেলা পঁচিশ উপলক্ষ্যে অক্ষরবৃত্ত প্রকাশনের নতুন বই...
07/10/2024

বইমেলা পঁচিশ উপলক্ষ্যে অক্ষরবৃত্ত প্রকাশনের নতুন বই...

Address

30 Momin Road, Kodom Mobarak By Lane
Chittagong
4000

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when অক্ষরবৃত্ত প্রকাশন posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to অক্ষরবৃত্ত প্রকাশন:

Share

Category

‘অক্ষরবৃত্ত পাণ্ডুলিপি পুরস্কার ২০২০’ আহ্বান

“অক্ষরবৃত্ত পাণ্ডুলিপি পুরস্কার ২০২০”

প্রিয় লেখক বন্ধুগণ, ‘অক্ষরেই অমরত্ব’ এই স্লোগানকে লালন করেই ২০১৮ সালে সাহিত্যাঙ্গণে পদার্পণ ঘটে অক্ষরবৃত্ত প্রকাশনের। প্রথম বছরেই অমর একুশে বইমেলা ২০১৮, চট্টগ্রামে শ্রেষ্ঠ প্রকাশনা ও শ্রেষ্ঠ স্টল পুরস্কার লাভ করে লেখক পাঠকদের অন্তরে জায়গা করে নেয়।

বাংলাভাষায় সাহিত্যচর্চাকে উন্মুক্ত করতে এবং তরুণ নিবেদিত প্রাণ লেখদের অনুপ্রেরণা দেওয়ার উদ্দেশ্যে ২০১৮ সালে প্রথমবারের মতো ঘোষিত হয় ‘অক্ষরবৃত্ত পাণ্ডুলিপি পুরস্কার’। এর ধারাবাহিকতায় ২০১৮ ও ২০১৯ এর পর ২০২০ সালেও পাণ্ডুলিপি আহ্বান করা হচ্ছে।

#বিভাগ- ১) কবিতা (কবিতা, কিশোরকবিতা, গীতিকাব্য) ২) গল্প-উপন্যাস (গল্প, উপন্যাস, সায়েন্স ফিকশন, ডিটেকটিভ, অ্যাডভেঞ্চার, হরর, কিশোর উপন্যাস, মুক্তিযুদ্ধ) ৩) প্রবন্ধ (প্রবন্ধ, গবেষণা, ভ্রমণ, অনুবাদ) ৪) শিশুসাহিত্য (ছড়া, গল্প, রূপকথা, উপকথা, ভূতের গল্প, নীতিগল্প)