বেদ এর জ্ঞান

বেদ এর জ্ঞান বেদ সম্পর্কে জানুন। বেশি বেশি ধ্যান করুন।

30/11/2023

দেব না হলে বেদ বোঝা যাবে না কারন বেদের ভাষা হলো দেবতার ভাষা।

দেবতার ভাষা বোঝার জন্য কি করতে হবে? বেশি বেশি ধ্যান করতে হবে, জপ করতে হবে যাতে সেই স্তরে যাওয়া যায়।

আবারো বলছি, দেবতার স্তরে না গেলে শুধু অনুবাদ পড়ে বেদ এর জ্ঞান লাভ করা যাবে না। ওতে বড়জোর কিছু বিভ্রান্তির সৃষ্টি হবে।

আপনাদের প্রতি আমার অনুরোধ, ত্রিসন্ধ্যা করবেন, প্রার্থনা করবেন আর বেশি বেশি ধ্যান করবেন। ৬টা মাস নিয়মিত ধ্যান করে দেখুন একই সময়ে, আপনার মধ্যে দেবত্ব জাগ্রত হবে।

আর হ্যাঁ, আপনার গুরু থাকলে উনার পরামর্শ মতো ধ্যান করবেন। যদি গুরু না থাকে তাহলে প্রতিদিন একই সময়ে চুপচাপ চোখ বন্ধ করে বসে থাকুন।

আর কিছুই করতে হবে না শুধু এটুকু করলেই হবে।

আপনাদের সকলের মঙ্গল হোক🙏

হরি ওঁ তৎসৎ…

10/10/2023

কমেন্টবক্স চেক করুন। বিশেষ কিছু দেয়া হয়েছে।

12/09/2023

খাবার খাওয়ার সময় খাবারের কিছু অংশ, খুব সামান্য পরিমান নিয়ে বাইরে পাখি কিংবা পিঁপড়ে অথবা যেকোন পশুপাখিকে দিয়ে দিবেন।

এভাবে ৬ মাস করে দেখুন, একটি আধ্যাত্মিক অনুরণনের প্রকাশ আপনার দেহে আপনি দেখবেন। এতে আপনার নানাবিধ মঙ্গল হবে। বিপদ, গ্রহ কিংবা বাস্তুদোষ ও বিনষ্ট হয়! অনেক প্রারব্ধ কেটে যাবে আপনার।

হরি ওঁ শান্তি !! 😊

08/09/2023

নমস্কার সবাইকে।এটি মূলত সনাতন ধর্ম শিক্ষা বই হতে বিশেষ লাইভ। অনেককিছুই এখানে দেয়া হয়েছে আর আমরা সেগুলো সম্পর্কে জানবো।

লিংক কমেন্টে দেয়া হয়েছে। খুব দারুণ একটি বিষয়। পড়ুন, আশা করি ভালো লাগবে।
06/09/2023

লিংক কমেন্টে দেয়া হয়েছে। খুব দারুণ একটি বিষয়। পড়ুন, আশা করি ভালো লাগবে।

06/09/2023

Hi everyone! 🌟 You can support me by sending Stars – they help me earn money to keep making content that you love.

Whenever you see the Stars icon, you can send me Stars.

Shout out to my newest followers! Excited to have you onboard!P***k Das, Rupali Roy Rupa, কাব্যের সমীরণ, Rk GB, মধুশ্রী ...
06/09/2023

Shout out to my newest followers! Excited to have you onboard!

P***k Das, Rupali Roy Rupa, কাব্যের সমীরণ, Rk GB, মধুশ্রী রায়, রিয়াঙ্কা বিশ্বাস

জেনে রাখা ভালো!….
02/09/2023

জেনে রাখা ভালো!….

এই লেখার উদ্যেশ্য মাতা সীতার অগ্নি পরীক্ষা বিষয়ে রামায়ণের এক বিবাদিত প্রসঙ্গে । বলা হয়ে থাকে যে, রাবণের সংহার এবং ...

25/08/2023

যোগ তথা ধ্যানের অনেক রহস্য সম্পর্কে বিশদ অভিমত প্রদান করা হয়েছে।

21/08/2023

ওঁ

অনেক সুন্দর এবং দারুণ ভাবে সবকিছু দেয়া আছে। আপনি পড়লে খুব সহজেই পবিত্র সামবেদের মর্মার্থ বুঝে যাবেন।

Veda (Rig, Sam, Yaju, Atharva) - Dr. Tulsiram Sharma Page :- 8818 (total)Size :- 18 mb (total) Link :-
20/08/2023

Veda (Rig, Sam, Yaju, Atharva)
- Dr. Tulsiram Sharma
Page :- 8818 (total)
Size :- 18 mb (total)
Link :-

12/08/2023

এটা পড়বেন। ভালো লাগবে। খুব দারুণ একটি বই। আপনার অনেক ভ্রান্তি, প্রশ্ন সবই দূর হবে আশা করি।

এটি বিখ্যাত চন্দ্রনাথ মন্দির। এই মন্দিরের বিশাল ইতিহাস রয়েছে। বিস্তারিত লিখবো না। যাদের আগ্রহ আছে জেনে নিবেন গুগল থেকে। ...
24/07/2023

এটি বিখ্যাত চন্দ্রনাথ মন্দির। এই মন্দিরের বিশাল ইতিহাস রয়েছে।

বিস্তারিত লিখবো না। যাদের আগ্রহ আছে জেনে নিবেন গুগল থেকে।

আমি বড়জোর জানার পথটি সম্পর্কে আপনাদের অবগত করাতে পারি প্রিয় পাঠক।

সামান্য বলছি, এখানে মহাকালী এবং মহাদেবের মিলিত প্রচন্ড শক্তি রয়েছে।

Shout out to my newest followers! Excited to have you onboard!Baikuntha Prosad Mondal, সুমি রানী দাশ, Nimay Kumar Chandr...
04/07/2023

Shout out to my newest followers! Excited to have you onboard!

Baikuntha Prosad Mondal, সুমি রানী দাশ, Nimay Kumar Chandrao, Pritam Chowdhury, Shaju Das, বিনোদিনী রাই

21/06/2023

সেটা সভাই নহে, যেখানে বৃদ্ধরা থাকেন না, তাহারা বৃদ্ধই নহেন, যাহারা ধৰ্ম বলেন না। তাহা ধৰ্মই নহে, যাহাতে সত্য থাকে না এবং তাহা সত্যই নহে, যাহা ছলযুক্ত হয় ॥

=[মহাভারত,উদ্যেগপর্ব ৩৫/৬১]=

19/04/2023

একজন বিস্মৃতপ্রায় 'হিন্দু' বিজ্ঞানী -- আর্যভট্ট
---------------------------------------------------------------

১৯৭৫ সালের ১৯ এপ্রিল কাপুস্টিন ইয়ার থেকে 'কসমস-৩এম' লঞ্চ ভেহিকলের মাধ্যমে সোভিয়েত ইউনিয়ন কর্তৃক উৎক্ষেপিত হয় এই যানটি। আর্যভট্ট ভারতের প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহ। এটি প্রাচীন ভারতের বিশিষ্ট বিজ্ঞানী আর্যভট্টের নামাঙ্কিত। ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (ইসরো) মহাকাশবিদ্যা সংক্রান্ত গবেষণার কাজ চালানোর জন্য এই উপগ্রহটি নির্মাণ করেন। ১৯৯২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে আর্যভট্ট পুনরায় প্রবেশ করে।

আর্যভট্ট (৪৭৬ – ৫৫০)
==================

প্রাচীন ভারতের সবচেয়ে বিখ্যাত গণিতবিদদের মধ্যে একজন। আর্যভট্টের কাজ থেকে তাঁর জন্মসাল সম্পর্কে সুস্পষ্ট তথ্য পাওয়া গেলেও তাঁর জন্মস্থান নিয়ে সুবিশেষ কোন তথ্য পাওয়া যায়নি। আর্যভট্টের অন্যতম ভাষ্যকার ভাস্কর ১ এর ভাষ্য অনুযায়ী তাঁর জন্ম হয়েছিল অশ্মকা নামের একটি জায়গায়। প্রাচীন বৌদ্ধ এবং হিন্দু রীতিতে এই জায়গাটিকে নর্মদা এবং গোদাবরী নদীর মধ্যবর্তী স্থানে দক্ষিণ গুজরাট এবং উত্তর মহারাষ্ট্রের আশেপাশের একটি জায়গা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। কিছু তথ্যমতে জানা যায় যে তিনি উচ্চশিক্ষার জন্য কুসুমপুরায় গিয়েছিলেন। তিনি কুসুমপুরায়ই বসবাস করতেন, তার ভাষ্যকার ভাস্কর ১ যে স্থানকে পাটালিপুত্র বলে অভিহিত করেছেন সেটি বর্তমান ভারতে পাটনা নামে পরিচিত। তিনি কুসুমপুরের আর্যভ নামে খ্যাত ছিলেন। ভারতের প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহের নাম তার নামে "আর্যভট্ট" রাখা হয়।

জন্মস্থান নিয়ে বিতর্ক থাকলেও তাঁর জীবনের একটি বড় সময় কেটেছে পাটনায় এবং তাঁর কাজের অধিকাংশই তিনি করেছিলেন নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়ে। এখানেই তিনি উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ করেন। শিক্ষাশেষে তিনি ঐ বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক হিসাবে যোগ দেন। কেউ কেউ বলেছেন, নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান হিসেবেও আর্যভট্ট দায়িত্ব পালন করেছিলেন।

প্রাচীন ভারতীয় গণিতের ইতিহাসে আর্যভট্টের হাত ধরেই ক্লাসিকাল যুগ (কিংবা স্বর্ণযুগ) শুরু হয়। গণিত এবং জ্যোতির্বিদ্যা সংক্রান্ত আর্যভট্টের বিভিন্ন কাজ মূলত দুটি গ্রন্থে সংকলিত হয়েছে বলে জানা গেছে। এর মাঝে ‘আর্যভট্টীয়’ একটি, যেটি উদ্ধার করা গিয়েছে। এটি রচিত চার খণ্ডে, মোট ১১৮টি স্তোত্রে। অন্য যে কাজটি সম্পর্কে জানা যায় সেটি হল ‘আর্য-সিদ্ধান্ত’। আর্য-সিদ্ধান্তের কোন পাণ্ডুলিপি খুঁজে পাওয়া যায়নি, তবে বরাহমিহির, ব্রহ্মগুপ্ত এবং প্রথম ভাস্করের কাজে এটির উল্লেখ মেলে। আর্যভট্ট গ্রন্থ রচনা করেছেন পদবাচ্যের আকারে।

মাত্র ২৩ বছর বয়সে আর্যভট্ট এই গ্রন্থটি সংকলন করেন। এ চারটি অধ্যায়‌ দশগীতিকা, গণিতপাদ, কালক্রিয়াপদ ও গোলপাদ। দশগীতিকা, কালক্রিয়া ও গোলপাদ অধ্যায়ে গোলীয় ত্রিকোণমিতি ও জ্যোতির্বিদ্যা সংক্রান্ত বিষয়াবলী রয়েছে। অন্যদিকে গণিত পাদে আছে পাটীগণিত, বীজগণিত, সমতল ত্রিকোণমিতি, দ্বিঘাত সমীকরণ, প্রথম n সংখ্যক স্বাভাবিক সংখ্যার ঘাতবিশিষ্ট পদ সমূহের বর্গ ও ঘনের সমষ্টি এবং একটি সাইন অনুপাতের সারণি রয়েছ। তাছাড়া এই অধ্যায়ে সে সময়কার জনপ্রিয় জ্যোতিষচর্চার প্রয়োজনীয় ৩৩টি গাণিতিক প্রক্রিয়ার বর্ণনা রয়েছে। গণিতপাদে আর্যভট্ট পাই-এর মান তথা বৃত্তের পরিধির সঙ্গে এর ব্যাসের মান ৩.১৪১৬ হিসাবে চিহ্নিত করেন।

আর্যভট্টের কাজে দশমিক সংখ্যা পদ্ধতির পূর্ণ ব্যবহার পাওয়া যায়। আর্যভট্ট অবশ্য তাঁর কাজে প্রচলিত ব্রাহ্মী লিপি ব্যবহার করেননি। পদবাচ্যের আকারে গ্রন্থ রচনা করায় সংখ্যা উপস্থাপনের একটি নিজস্ব পদ্ধতি তৈরি করেছিলেন তিনি। সেখানে সংখ্যাকে শব্দের আকারে উপস্থাপন করা হত। ব্যঞ্জনবর্ণগুলোকে তিনি ব্যবহার করতেন বিভিন্ন অঙ্ক হিসেবে আর স্বরবর্ণগুলোর সাহায্যে বুঝিয়ে দিতেন যে কোন অঙ্কটি কোন অবস্থানে রয়েছে। সে দিক থেকে তাঁর ব্যবহৃত দশমিক সংখ্যা ব্যবস্থা ঠিক আজকের দশমিক সংখ্যা ব্যবস্থার মত নয়, তবে পদ্ধতিগত বিবেচনায় আজকের দশমিক সংখ্যার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। তাঁর দশমিক সংখ্যা পদ্ধতিতে শূন্য ছিল কিনা সে বিষয়ে দ্বন্দ্ব রয়েছে। শূন্যের সমতুল্য একটি ধারণা তাঁর কাজে ছিল, সেটিকে বলা হয়েছে ‘খ’ (শূণ্যতা অর্থে)। ‘খ’ এর ধারণাটি কোন অঙ্ক হিসেবে ছিল নাকি শূন্যস্থান জ্ঞাপক চিহ্ন হিসেবে ছিল সেটি নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। প্রচলিত বইগুলোতে সেটিকে শূন্যস্থান জ্ঞাপক চিহ্ন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে, যদিও Georges Ifrah দাবি করেছেন যে আর্যভট্ট পরোক্ষভাবে সেটিকে একটি দশমিক অঙ্ক হিসেবেই ব্যবহার করতেন। তবে দশমিক পদ্ধতিকে ব্যবহার করে তিনিই প্রথম পূর্ণাঙ্গ গাণিতিক প্রক্রিয়া বর্ণনা করেন, এর মঝে ছিল সংখ্যার বর্গমূল ও ঘনমূল নির্ণয়। এটিই ছিল দশমিক সংখ্যা ব্যবস্থাকে পূর্ণাঙ্গরূপে স্থাপিত করার জন্য সবচেয়ে বেশি জরুরি, কারণ স্থানাঙ্ক ব্যবস্থায় এ সংখ্যার উপস্থাপন বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন সভ্যতায় ব্যবহার করা হলেও স্থানাঙ্ক ব্যবস্থায় গাণিতিক প্রক্রিয়াগুলোর ব্যবহারটি প্রতিষ্ঠা করা হয়নি, সুতরাং এটির পদ্ধতিগত উপযোগিতা সম্পূর্ণরূপে অনুধাবিত হয়নি। সে সময় সবচেয়ে জরুরি ছিল দশমিক পদ্ধতি ব্যবহার করে পদ্ধতিগত সাধারণীকরণ নিশ্চিত করা, যেটি সর্বপ্রথম করেন আর্যভট্ট। তাই তিনিই পূর্ণাঙ্গ দশমিক সংখ্যা পদ্ধতি প্রবর্তনের কৃতিত্বের দাবিদার। ৪৯৮ সালের দিকের একটি কাজে আর্যভট্টের একটি কাজে দশমিক সংখ্যা ব্যবস্থার বিবৃতিতে স্থানম স্থানম দশ গুণম বাক্যাংশটি পাওয়া যায় যার অর্থ হল- স্থান থেকে স্থানে দশ গুণ করে পরিবর্তিত হয়। এখান থেকে স্পষ্টতই বর্তমান দশমিক সংখ্যা পদ্ধতির মূল বৈশিষ্ট্যের স্বীকৃতি মেলে।

আর্যভট্টের দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ গাণিতিক অবদান হচ্ছে আধুনিক ত্রিকোণমিতির সূত্রপাত করা।
আর্যভট্ট সূর্যগ্রহণ এবং চন্দ্রগ্রহণের হিন্দু পৌরাণিক ধারণার পরিবর্তে প্রকৃত কারণগুলো ব্যাখ্যা করে গেছেন। সেই সাথে তিনি সূর্য গ্রহণ এবং চন্দ্রগ্রহণের সময়কাল নির্ণয়ের পদ্ধতিও বের করেছিলেন। আর্যভট্ট বলেছিলেন যে চাঁদের আলো আসলে সূর্যের আলোর প্রতিফলনেরই ফলাফল।

31/03/2023

ঈশ্বর আছেন প্রকৃতিতে, আর প্রাণে!
স্রষ্টার অস্তিত্ব আপনি তখনই বেশি উপলব্ধি করবেন, যখন প্রকৃতির খুব কাছাকাছি যাবেন।

তন্ত্রশাস্ত্রে মদ্যপানসনাতন ধর্মে ঋগ্বেদ সংহিতাসহ বিবিধ শাস্ত্রেই মদ্যপান সুস্পষ্টভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ঋগ্বেদ সংহিতায়...
31/10/2022

তন্ত্রশাস্ত্রে মদ্যপান

সনাতন ধর্মে ঋগ্বেদ সংহিতাসহ বিবিধ শাস্ত্রেই মদ্যপান সুস্পষ্টভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ঋগ্বেদ সংহিতায় বলা হয়েছে, সুরাপ্রমত্ত বা নেশায় আসক্ত ব্যক্তি ইন্দ্ররূপ পরমেশ্বরকে হিংসা করে। তাই নেশাকারী বন্ধু যদি সবচেয়ে বিদ্বান বা ধনীও হয়, তারপরও অবশ্য পরিত্যজ্য।

নকী রেবন্তং সখ্যায় বিন্দসে পীয়ন্তি তে সুরাশ্বঃ।
যদা কৃণোষি নদনুং সমূহস্যাদিৎ পিতেব হূয়সে।।
(ঋগ্বেদ সংহিতা: ৮.২১.১৪)

" হে ইন্দ্র! ধনবান মানবকে বন্ধুত্বের জন্য কেন আশ্রয় কর না? সুরাপ্রমত্ত ব্যক্তি তোমার হিংসা করে। যখন মনুষ্যের কার্পণ্য দূর কর, তখনই সে পিতার ন্যায় তোমাকে আহ্বান করে।"

সামবেদীয় ছান্দোগ্য উপনিষদে পঞ্চমহাপাতকের মধ্যে মদ্যপায়ীকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। ছান্দোগ্য উপনিষদে মদ্যপায়ীকে পতিত বা মহাপাতক বলেই ক্ষান্ত হয়নি ; সাথে এটাও সিদ্ধান্ত দেয়া হয়েছে যে এই মদ্যপায়ী পতিতদের সাথে সঙ্গ দেয় তারাও সমান পতিত। অর্থাৎ মদ্যপায়ীর মত সমান অপরাধে অপরাধী।

স্তেনো হিরণ্যস্য সুরাং পিবংশ্চ
গুরোত্তল্পমাবসন্ ব্রহ্মহা
চৈতে পতন্তি চত্বারঃ
পঞ্চমশ্চাচরংস্তৈঃ।—ইতি ॥
(ছান্দোগ্য উপনিষদ : ৫.১০.৯)

"সুবর্ণসহ অন্যের দ্রব্য অপহরণকারী, মদ্যপায়ী, গুরুপত্নীগামী ব্যক্তি এবং ব্রাহ্মণঘাতক এ চার ব্যক্তি এবং যে পঞ্চম ব্যক্তি তাদের সংসর্গ করে, তারা পতিত হয়।"

ছান্দোগ্য উপনিষদের সিদ্ধান্তটি মনুসংহিতাসহ বিবিধ শাস্ত্রের অভ্যন্তরে পাওয়া যায়।

ব্রহ্মহা চ সুরাপশ্চ স্তেয়ী চ গুরুতল্পগঃ।
এতে সর্বে পৃথগ্‌জ্ঞেয়া মহাপাতকিনো নরাঃ।।
(মনুসংহিতা: ৯.২৩৫)

"ব্রাহ্মণহত্যাকারী, সুরাপানকারী, চোর এবং গুরুপত্নীগামী ব্যক্তি – এরা প্রত্যেকেই মহাপাতকী।"

মনুসংহিতায় ব্রাহ্মণদের সাবধান করে বলে হয়েছে, ব্রাহ্মণ যদি মদ্যপান করে তবে তারা মদ্যের নেশায় মত্ত হয়ে নিজের অজ্ঞাতসারে বিবিধ প্রকারের নিষিদ্ধকর্ম, অপকর্ম করে ফেলতে পারে; অপবিত্র স্থানে পতিত হতে পারে; বেদবাক্য অশুদ্ধভাবে অস্থানে উচ্চারণ করতে পারে; তাই তাদের মদ্যপান করা কখনই উচিত নয়।

যক্ষরক্ষঃপিশাচান্নং মদ্যং মাংসং সুরাসবম্ ।
তদ্ ব্রাহ্মণেন নাত্তব্যং দেবানামশ্নতা হবিঃ ।।
অমেধ্যে বা পতেন্মত্তো বৈদিকং বাপ্যুদাহরেৎ ।
অকার্যমন্যৎ কুর্যাদ্বা ব্রাহ্মণো মদমোহিতঃ ।।
(মনুসংহিতা: ১১.৯৬-৯৭)

"মাদকদ্রব্য , মাংস, মদিরা তথা দ্রাক্ষারস যক্ষ, রাক্ষস এবং পিশাচের ভক্ষ্য দেবতার হবি ভক্ষণকারী ব্রাহ্মণের এসব কদাপি সেবনযোগ্য নয়।
ব্রাহ্মণ মদপান করে মত্ত হলে অপবিত্র স্থানে পতিত হতে পারেন; বেদবাক্য অশুদ্ধভাবে অস্থানে উচ্চারণ করতে পারেন অথবা অন্য কোন নিষিদ্ধ কর্ম করে ফেলতে পারেন। তাই মদ্য পান করা উচিত নয়।"

বেদ, মনুসংহিতায় মদ্য বা সুরাকে পাপের সাথে তুলনা করা হয়েছে। সাথে পাপের প্রায়শ্চিত্তরূপ স্বেচ্ছায় মৃত্যুদণ্ডের মত বিভিন্ন প্রকারের ভয়ংকর শাস্তি প্রদানের বিধিও প্রদান করা হয়েছে ।দ্বিজ অজ্ঞানে আচ্ছন্ন হয়ে মদ্য পান করলে, আগুনের মত তপ্ত মদ্য পান করে দেহকে বিনাশ করবে। দেহ দগ্ধ হয়ে, সেই মদ্যপানের পাপ থেকে সে মুক্ত হবে।অথবা চালকণা বা তিল রাত্রে একবার করে এক বর্ষ করে ভক্ষণ করবে, সুরাপানের পাপ দূর করার জন্য কম্বলের বস্ত্র পড়বে এবং জটাধারী থাকবে এবং সুরাপান পাত্র ধারণ করে থাকবে।

সুরাং পীত্বা দ্বিজো মোহাদগ্নিবর্ণাং সুরাং পিবেৎ ।
তয়া স্বকায়ে নির্দগ্ধে মুচ্যতে কিল্বিষাত্ততঃ ।।
গোমূত্রমগ্নিবর্ণং বা পিবেদুদকমেব বা ।
পয়ো ঘৃতং বা মরণাদেগাশকৃদ্রসমেব বা ॥
কণান্ বা ভক্ষয়েদব্দং পিণ্যাকং বা সকৃন্নিশি ।
সুরাপানাপনুত্ত্যর্থং বালবাসা জটী ধ্বজী ।।
সুরা বৈ মলমন্নানাং পাপ চ মলমুচ্যতে । তস্মাব্রাহ্মণরাজন্যৌ বৈশ্যশ্চ ন সুরাং পিবেৎ ॥
(মনুসংহিতা:১১.৯১-৯৪)

" দ্বিজ মোহবশতঃ সুরা পান করলে, এর প্রায়শ্চিত্ত স্বরূপ আগুনের মত উত্তপ্ত সুরা পান করবেন। এইভাবে জলন্ত সুরা পান করে নিজদেহ নিঃশেষে দগ্ধ করে পাপমুক্ত হবেন।

অথবা অগ্নির মত উত্তপ্ত গোমূত্র, জল, দুধ, ঘি, গোময়জল ততক্ষণ পর্যন্ত পান করে যাবে, যতক্ষণ মৃত্যু না হয়।

অথবা সুরাপানের পাপাপনোদনার্থে গোলোমাদিনির্মিত বস্ত্রপরিহিত ও জটাধারী হয়ে সুরাপাত্র ধারণ করে একবৎসর কাল খুদ বা খইল রাত্রে একবার ভক্ষণ করবে।

নিশ্চয়ই সুরা বা মদ অন্নের মলস্বরূপ এবং পাপকেও মল বলা হয়। তাই ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয়, বৈশ্য এ দ্বিজগণ কখনো মদ্য পান করবে না।"

বৈদিক শাস্ত্রে মদ্য সুস্পষ্টভাবে নিষিদ্ধ হলেও, বিভিন্ন তন্ত্রে পঞ্চমকার সাধনার মধ্যে মদ্যের উল্লেখ এবং ব্যবহার পাওয়া যায়। মুণ্ডমালাতন্ত্রের পঞ্চম পটলের বলা হয়েছে, কলিযুগে সাধারাণ মানুষের জন্য মদ্যপান নিষিদ্ধ হলেও শৈব ও শাক্তগণের কাছে মদ্যপান সর্বসিদ্ধিদায়ক। এ শাস্ত্রীয় সিদ্ধান্তটি আপাতদৃষ্টিতে সংশয়বাচক হলেও, বিষয়টি সংশয়বাচক বা নেতিবাচক নয়। এ বিষয়টি আমরা কুলার্ণবতন্ত্রসহ বিভিন্ন তন্ত্রের বচনের মধ্যে দেখব।

মদ্যপান ন কর্তব্যং ন কর্তব্যং কলৌ যুগে।
শাক্তানাং চৈব শৈবানাং কর্তব্যং সর্বসিদ্ধিদম্।।
(মুণ্ডমালা তন্ত্র:৫.৫১)

"কলিযুগে সাধারাণ মানুষের জন্য মদ্যপান উচিত না হলেও শৈব ও শাক্তদের মদ্যপান অবশ্য কর্তব্য ও মদ্যপান তাদের জন্য সর্বসিদ্ধিদায়ক।"

কুলার্ণবতন্ত্রে মদ্যপানের প্রয়োজনীয়তা প্রসঙ্গে বলা হয়েছে, মদ্য জীবের মায়াজালাদি বিনাশ করে, মোক্ষমার্গ নিরূপণ করে দেয়, অষ্ট দুঃখাদি বিরহিত করে তোলে এবং মহাদানের তাৎপর্য প্রকাশ করে।

মায়াজালাদিশমনাম্মোক্ষমার্গনিরূপণাৎ।
অষ্টদুঃখাদিবিরহান্মদ্যমিতাভিধীয়তে ৷৷
মহাদানার্থরূপত্বদ্ যাগভূম্যেককারণাৎ।
মদ্ভাবজননাদ্দেবি মদ্যমিত্যভিধীয়তে ৷৷
(কুলার্ণবতন্ত্র: ১৭.৬৩-৬৪)

"মায়াজালাদি বিনাশ করার জন্য, মোক্ষমার্গ নিরূপণের জন্য এবং অষ্ট দুঃখাদি বিরহিত করার জন্য মদ্য এই নাম দেয়া হয় ।
মহাদানের তাৎপর্য প্রকাশ করে বলে এবং একমাত্র পূজার ক্ষেত্রই এর ব্যবহারের কারণ বলে আর মদ্ভাব উৎপন্ন করে বলে বলা হয় মদ্য।"

মহাদানার্থরূপত্বদ্- মহাদানের অর্থরূপত্বহেতু অর্থাৎ তাৎপর্য প্রকাশ করে বলে। যাগভূম্যেককারণাৎ—একমাত্র যাগভূমি অর্থাৎ পূজার ক্ষেত্র এর ব্যবহারের কারণ বলে । মদ্ভাবজননাৎ—শিবভাব উৎপন্ন করে বলে তাকে মদ্য বলা হয়। এখানে মদ্য বলতে কোন মাদকদ্রব্যজাতীয় পানীয় নয়, তত্ত্বকে নির্দেশ করা হয়েছে। এ তত্ত্ব হল মূলাধার থেকে ব্রহ্মরন্ধ্রে অর্থাৎ সেখানকার সহস্রারে যাতায়াতকারী কুণ্ডলিনীর ক্ষরিত অমৃত। আমাদের শরীরে সূক্ষ্ম সুতার মত প্রাণশক্তির মূল কুলকুণ্ডলিনী শক্তি ব্রহ্মদ্বারের মুখ আবৃত করে জননেন্দ্রিয় ও গুহ্যদেশের মধ্যবর্তী কুন্দস্থানে সর্বদা রয়েছে। এ শক্তিকে একটি ঘুমন্ত সাপের সাথে তুলনা করা হয়, এ স্থানকে বলে মূলাধারচক্র।দেহের অভ্যন্তরে সুষুম্না নাড়ীর পথে অতি সূক্ষ্ম পদ্মাকৃতিমূলাধার, স্বাধিষ্ঠান, মণিপুর, অনাহত, বিশুদ্ধ ও আজ্ঞা-ছয়টি চক্র আছে, যাকে ষটচক্র বলে।সকলের উর্দ্ধে আছে সহস্র পাপড়ির সহস্রার পদ্ম। সাধক যখন মুক্তি লাভ করে তখন এই সহস্র পাপড়ির পদ্মটির একটি একটি পাপড়ি প্রস্ফুটিত হচ্ছে এমন একটি গভীর উপলব্ধি হয়।

অমূলাধারমাব্রহ্মরন্ধ্রং গত্বা পুনঃ পুনঃ ।
চিচ্চন্দ্রকুণ্ডলীশক্তিসামরস্য সুখোদয়ঃ ।।
ব্যোমপঙ্কজনিস্যন্দসুধাপানরতো নরঃ।
সুধাপানমিদং প্রোক্তমিতরে মদ্যপায়িনঃ ৷৷
(কুলার্ণবতন্ত্র: ৫.১০৭-১০৮)

"মূলাধার থেকে ব্রহ্মরন্ধ্রে অর্থাৎ সেখানকার সহস্রারে সাধক বার বার যাতায়াত করবে। সেখানে শিবরূপ চিৎচন্দ্রের সঙ্গে কুণ্ডলিনীর সামরস্যসুখের উদ্ভব হয়।

ব্যোমপঙ্কজ অর্থাৎ সহস্রারে এই সামরস্যজনিত অমৃত ক্ষরিত হয়। সাধক সেই অমৃত পান করে। এরই নাম সুধাপান অর্থাৎ কৌলশাস্ত্রবিহিত মদ্যপান । এরূপ সুধাপানকারী ব্যতীত অন্যেরা মদ্যপমাত্র।"

কুণ্ডলিনীর ক্ষরিত রসকেই মদ্য বলা হয়েছে। কুলার্ণবতন্ত্রে একে অমৃতের কণা বলে অবিহিত করা হয়েছে। মুক্তিরূপ এ অমৃতে সাধকের মৃত্যুভয় নিবারিত হয়ে ষটচক্রভেদ করে সাধককে ইষ্টের দর্শন দিয়ে
ইষ্টতত্ত্বপ্রকাশ করে।

অমৃতাংশুস্বরূপত্নান্মমৃত্যুভীতিনিবারণাৎ।
তত্ত্বপ্রকাশহেতুত্বাদমৃতং কথিতং প্রিয়ে ৷৷
(কুলার্ণবতন্ত্র: ১৭.৬৬)

"হে প্রিয়ে, অমৃতকণাস্বরূপ বলে, মৃত্যুভয় নিবারণ করে বলে এবং তত্ত্বপ্রকাশ করে বলে বলা হয় অমৃত।"

অমৃতরূপ কুলকুণ্ডলিনীর সুধাপানের বিষয়টি মধ্যযুগে বাংলার শ্রেষ্ঠ শাক্তকবি রামপ্রসাদ সেনের সংগীতেও পাওয়া যায়।

"ওরে সুরাপান করি নে আমি, সুধা খাই জয়কালী বলে; মন মাতালে মাতাল করে, মদ-মাতালে মাতাল বলে। গুরুদত্ত গুড় লয়ে, প্রবৃত্তি মসলা দিয়ে মা;
আমার জ্ঞান-শুঁড়ীতে চুয়ায় ভাটি, পান করে মোর মন মাতালে।
মূলমন্ত্র যন্ত্র ভরা, শোধন করি বলে তারা মা;
রামপ্রসাদ বলে এমন সুরা, খেলে চতুব্বর্গ মেলে৷৷"

মদ্যের বিকল্পে শাস্ত্রে অনুকল্পতত্ত্ব ব্যবহারের ব্যবস্থা শাস্ত্রে দেওয়া হয়েছে। পরমানন্দতন্ত্রে মদ্যের অনুকল্প সম্বন্ধে বলা হয়েছে - মদ্য, মাংস, মৎস্য এবং অষ্টগন্ধ—এই কয়টি দ্রব্য সমান পরিমাণে নিয়ে বড়ি তৈরি করে শুকিয়ে রেখে দেবে। এরপরে পূজার সময় বড়ি জল দিয়ে ঘষে অর্ঘ্যপাত্রে রাখবে। এটি প্রথম অনুকল্প। দ্বিতীয় অনুকল্প হল কাঁসার পাত্রে নারকেলের জল। তৃতীয় অনুকল্প হল তামার পাত্রে দুধ। চতুর্থ অনুকল্প হল গুড়মিশ্রিত ঘোল। পঞ্চম অনুকল্প হল গুড়মিশ্রিত জল এবং ষষ্ঠ অনুকল্প হল চন্দনমিশ্রিত জল।

হেতুদ্ৰব্যং দ্বিতীয়ং চ তৃতীয়ং চাষ্টগন্ধকম্।
সমানং বটকাং কৃত্বা সংশোষ্য স্থাপয়েচ্ছিবে।
অনূদঘৃষ্যোদকে তত্তু যোজয়েদর্ঘ্যপাত্রকে।
নারিকেলোদকং কাংস্যে তাম্রে ক্ষীরং তু তক্রকম্।
গুড়মিশ্রং জলং বাঽপি জলং চন্দনমিশ্রিতম্।

শাস্ত্রে ব্রাহ্মণাদি পৃথক পৃথক বর্ণের জন্য মদ্যের পৃথক পৃথক অনুকল্পের ব্যবস্থা করা হয়েছে। যেমন কুলচূড়ামণিতন্ত্রে বলা হয়েছে, ব্রাহ্মণের জন্যে মদ্যের অনুকল্প হল আদাগুড়, তাম্রপাত্রে মধু, গোদুগ্ধ, কাংস্যপাত্রে নারিকেলজল। ক্ষত্রিয়ের জন্যে মদ্যের অনুকল্প হল ঘৃত-মিশ্রিত মধু বা গব্যঘৃত। বৈশ্যের মদ্যের জন্যে অনুকল্প হল মাক্ষিক মধু এবং শূদ্রের জন্যে মদ্যের অনুকল্প হল পুষ্পাদিজাত মধু।

যত্রাসবমবশ্যন্তু ব্রাহ্মণস্তু বিশেষতঃ।
গুড়ার্দ্রকং তদা দদ্যাত্তাম্রে বা বিসৃজেন্মধু। ..বৈশ্যস্য মাক্ষিকং শুদ্ধং ক্ষত্রিয়স্য তু সাজ্যকম্।
ব্রাহ্মণশ্চ গবাং ক্ষীরং তাত্রে বা বিসৃজেন্মধু। নারিকেলোদকং কাংস্যে...
গোক্ষীরং ব্রাহ্মণো দদ্যাৎ গব্যমাজ্যঞ্চ বাহুজঃ।
বৈশ্যশ্চ মাক্ষিকং দ্রব্যং শূদ্রঃ পৌষ্পাদিকং পুনঃ।

মহানির্বাণতন্ত্রে জাতি-বর্ণ-নির্বিশেষে সকল সাধকের জন্যই মদ্যের অনুকল্পের সিদ্ধান্ত দেয়া হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, প্রবল কলিতে সংসারাক্ত গৃহস্থের পক্ষে মদ্যের অনুকল্প তিনটি মধুর দ্রব্য বিহিত। এই তিনটি মধুর দ্রব্য হল– দুগ্ধ, শর্করা এবং মাক্ষিক মধু। এই তিনটি মধুর দ্রব্যকে মদ্যস্বরূপ মনে করে সাধক দেবতার কাছে নিবেদন করবে।

গৃহকাম্যৈকচিত্তানাং গৃহিণাং প্রবলে কলৌ। আদ্যতত্ত্বপ্রতিনিধৌ বিধেয়ং মধুরত্রয়ম্ ।।
দুগ্ধং সিতা মাক্ষিকঞ্চ বিজ্ঞেয়ং মধুরত্রয়ম্ ।
অলিরূপমিদং মত্বা দেবতায়ৈ নিবেদয়ে।।
স্বভাবাৎ কলিজন্মানঃ কামবিভ্রান্তচেতনঃ ।
তদ্রূপেণ ন জানন্তি শক্তিং সামান্যবুদ্ধয়ঃ ॥
(মহানির্বাণতন্ত্র:৮.১৭১-১৭৩)

"কলিকাল প্রবল হলে, যে সমুদায় গৃহস্থ একমাত্র গৃহকার্য্যেই নিবিষ্টচিত্ত থাকবে, তাদের পক্ষে আদ্যতত্ত্বের প্রতিনিধি স্বরূপ মধুরত্রয় বিধান করতে হবে।

দুধ, চিনি ও মধু, এই তিন দ্রব্যের নাম মধুরত্রয়; এই মধুরত্রর মদ্যস্বরূপ মনে করে দেবতার নিকট নিবেদন করবে।

কলিসম্ভুত মানবদের মন স্বভাবতই কাম দ্বারা উদভ্রান্ত। সেই সামান্য বুদ্ধি মানবগণ শক্তিকে ইষ্টদেবতাস্বরূপা বিবেচনা করতে পারে না।"

তথ্য সহায়তা:
১. উপেন্দ্রকুমার দাস, শাস্ত্রমূলক ভারতীয় শক্তিসাধনা (দ্বিতীয় খণ্ড), রামকৃষ্ণ মিশন ইন্সটিটিউট অব কালচার, কলকাতা: ২০১১

কুশল বরণ চক্রবর্ত্তী
সহকারী অধ্যাপক,
সংস্কৃত বিভাগ,
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়

Address

Chittagong

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when বেদ এর জ্ঞান posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Videos

Share

Category