WOS Production in Bangladesh

WOS Production in Bangladesh WOS Production is an enterprise of Kamal Square Group. WOS Day is on 10th November(Birthday).

WOS(Willing Of Somnambulist) Production is an international film production house which aims is to fulfil the dreams of film-loving people through films. WOS Production is sister concern of Kamal Square Group which is established by MD IFTHEKAR KAMAL(XOYET)

মোশাররফ করিম একজনই!বাংলাদেশের কোন অভিনেতা যখন অন্য দেশেও কাজ করে পূরস্কারের জন্য মনোনিত হয় তখন ভালোই লাগে।'ডিকশনারি' চলচ...
15/03/2022

মোশাররফ করিম একজনই!

বাংলাদেশের কোন অভিনেতা যখন অন্য দেশেও কাজ করে পূরস্কারের জন্য মনোনিত হয় তখন ভালোই লাগে।

'ডিকশনারি' চলচ্চিত্রের জন্য ভারতের প্রাচীন চলচ্চিত্র পুরস্কার ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ডসে মনোনয়ন পেয়েছে মোশাররফ করিম।

#শুভকামনা_রইলো ♥♦

অভিনন্দন রইলো: ইলিয়াস কাঞ্চন - নিপুন পরিষদের সকল সদস্য ও শুভাকাঙ্ক্ষীদেরকে । সত্যের জয় সুনিশ্চিত সেই সাথে ক্ষমতা চিরস্...
06/02/2022

অভিনন্দন রইলো: ইলিয়াস কাঞ্চন - নিপুন পরিষদের সকল সদস্য ও শুভাকাঙ্ক্ষীদেরকে । সত্যের জয় সুনিশ্চিত সেই সাথে ক্ষমতা চিরস্থায়ী নয় পরিবর্তনশীল আবারও প্রমান হলো। আপনাদের হাত ধরেই এগিয়ে যাক বাংলাদেশ এর ফ্লিম ইন্ড্রাস্ট্রি। শুভ দোয়া রইলো।

জায়েদ খানের প্রার্থিতা বাতিল করেছে আপিল বোর্ড। নিপুণ আপাকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছে...যুগান্তর।।অভিন...
05/02/2022

জায়েদ খানের প্রার্থিতা বাতিল করেছে আপিল বোর্ড। নিপুণ আপাকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছে...
যুগান্তর।।
অভিনন্দন
নিপুন আপা।।

#সংগ্রহীত।

 #শুভ_জন্মদিন💖💖💖💖"নায়করাজ"। এই একটি উপাধি চিনিয়ে দেয় একজন মানুষকে। একজন তারকাকে। শুধু নিজের দেশে নয়, দেশের সীমানা ছাড়িয়ে...
23/01/2022

#শুভ_জন্মদিন💖💖💖💖
"নায়করাজ"। এই একটি উপাধি চিনিয়ে দেয় একজন মানুষকে। একজন তারকাকে। শুধু নিজের দেশে নয়, দেশের সীমানা ছাড়িয়ে, বাংলা ভাষাভাষী মানুষ পৃথিবীর যে প্রান্তেই থাকুন না কেন, " নায়করাজ" উচ্চারণ করলেই, এক লহমায় বুঝে নেন কার কথা বলতে চাইছি। তিনি নায়করাজ রাজ্জাক। আমার অত্যন্ত শ্রদ্ধার এই মানুষটিকে নিয়ে ছোট করে লিখার কোন অবকাশ নাই। তাঁকে নিয়ে লিখতে গেলে প্রয়োজন গ্রন্থের। কয়েক খন্ডের গ্রন্থ। এ দেশের চলচ্চিত্র শিল্পের বুনিয়াদ রচনায় তাঁর অপরিসীম অবদান চির স্মরণীয় হয়ে থাকবে। বলা যেতে পারে দেশীয় চলচ্চিত্রের ভিত শক্ত হয়েছে যে শিল্পীর অবদানে, সেই কিংবদন্তি, নায়করাজ রাজ্জাক। একাধারে অভিনয় শিল্পী, প্রযোজক এবং পরিচালক। তাঁর নির্মাণ করা চলচ্চিত্র যেমন ব্যাবসা সফল হয়েছে, তেমনি সুনির্মিত ছবি হিসেবে প্রশংসিত হয়েছে। পেয়েছেন 'স্বাধীনতা পুরস্কার'। প্রধান চরিত্রে শ্রেষ্ঠ অভিনয়ের জন্য পাঁচবার পেয়েছেন জাতীয় পুরস্কার। ২০১৩ সালের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে নায়করাজ রাজ্জাক আজীবন সম্মাননা অর্জন করেন। এ ছাড়াও বেশ ক'বার বাচসাস সহ পেয়েছেন অনেক পুরস্কার, পদক ও সম্মাননা। ১৯৮৪ সালে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি গঠিত হবার পর তিনি ছিলেন প্রথম সভাপতি। জাতিসংঘের জনসংখ্যা তহবিলের শুভেচ্ছা দূত হিসেবে কাজ করেছেন নায়করাজ রাজ্জাক। আজ ২৩ জানুয়ারি নায়করাজ রাজ্জাকের জন্মদিন। শ্রদ্ধা, শুভেচ্ছা এবং ভালোবাসা এই প্রিয় মানুষটির জন্য। মহান আল্লাহ যেন তাঁকে বেহেশত নসীব করেন।

অভিনেতা হিসেবে মীর সাব্বির কেমন! এই প্রশ্নের উত্তর বয়সভেদে নানারকম হতে পারে। যেমন যাদের বয়স এখনো কুড়ি পেরোয় নি,পুরনো নাট...
08/01/2022

অভিনেতা হিসেবে মীর সাব্বির কেমন!
এই প্রশ্নের উত্তর বয়সভেদে নানারকম হতে পারে। যেমন যাদের বয়স এখনো কুড়ি পেরোয় নি,পুরনো নাটকের প্রতি আগ্রহ কম৷ তাদের কাছে মীর সাব্বির মানেই বরিশালের ভাষায় কথা বলা নোয়াশাল কিংবা বাপ বেটা সেম সাইড নাটকের অভিনেতা। অনেকের কাছেই এগুলো কমেডির নামে ভাঁড়ামি৷ আবার যারা বয়সে একটু বড়,বিটিভির নাটক দেখে বড় হয়েছে৷ তাদের কাছে মীর সাব্বির একজন ভালো অভিনেতা,যার বহু নাটক দেখেছে৷ তবে রয়েছে আফসোস!

'বিষকাঁটা',অনন্ত হীরার এই ধারাবাহিক নাটকে বরিশালের আঞ্চলিক ভাষায় 'আক্কাস' চরিত্রে অভিনয় করে প্রথম আলোচনায় আসেন মীর সাব্বির। এছাড়া বিটিভিতে প্রচারিত অরন্য আনোয়ারের 'জনক,অতঃপর নুরুলহুদা,ফেরদৌস হাসানের জলে তাহার ছায়া,কায়সার আহমেদের পাথর গলা স্রোত থেকে বিটিভির নিজস্ব প্রযোজিত 'প্রতিকৃতি'তে ভিন্নধর্মী অভিনয়ের কারনে হয়ে উঠেন দর্শকপ্রিয়। স্বপ্নচূড়াও বেশ জনপ্রিয়।

'মনের রাজা', ক্যারিয়ারের সেরা অভিনয় করেছিলেন সম্ভবত এই নাটকেই,বনের ভিতর একা বাস করা রহস্যময় মিলন চরিত্রটা এখনো দর্শকদের মনে আছে,এটা তার প্রথম প্রযোজিত নাটক। দীপংকর দীপনের স্বপ্ন দুঃস্বপ্ন টেলিফিল্মটাও অন্যতম সেরা প্রাপ্তি,এছাড়া আজ কিছু হতে চলেছে,শেষ রাতের পাখি,মঙ্গলী আরো অনেক নাটক। প্রধান কিংবা পার্শ্ব যেকোনো চরিত্রেই হউক অভিনয় গুণে আলোকিত হতেন।

'নোয়াশাল',বরিশালের আঞ্চলিক ভাষার নাটকের সাথে মীর সাব্বিরের প্রথম থেকেই যোগসূত্র। বরিশাল বনাম নোয়াখালী নাটক দিয়ে নির্মাতা হিসেবে নাম লিখান, মকবুল নিজের নির্মানে অন্যতম সেরা নাটক,নোয়াশাল বেশ জনপ্রিয়,দীর্ঘদিন ধরে চলা ধারাবাহিক। নিজের ঘরানার বাইরে গিয়ে তারুন্যের ত্রিভুজ প্রেমের নাটক 'আবার আসিব ফিরে' ব্যক্তিগত ভাবে বেশ পছন্দের। এক সময় আঞ্চলিক ভাষার নাটকের মান কমে যেতে থাকে,কমেডি পরিনত হয় ভাঁড়ামিতে। কিন্তু ইউটিউবে এক ধরনের আলাদা দর্শক গড়ে উঠায় তাদের কাছে এইধরনের নাটকের গ্রহণযোগ্যতা থাকায় তিনিও চালিয়ে যেতে থাকেন আর ধীরে ধীরে হারিয়ে যান সেই পুরনো মীর সাব্বির।

'রাত জাগা ফুল', সেই পুরনো মীর সাব্বির কে যেন দেখা গেল এজ সিনেমায়। একজন এতিম পাগলাটে চরিত্রে মীর সাব্বিরের ডেডিকশন প্রশংসা করবার মত। যারা উনার কাছে ভালো অভিনয় দেখার অপেক্ষায় থাকেন,তাদের জন্যই এই ছবি,আবার যারা একটু নাক কুঁচকান তাদের মত পরিবর্তনের জন্য এই ছবি দেখা উচিত। সরকারী অনুদানে মীর সাব্বির নিজেই নির্মান করেছেন 'রাত জাগা ফুল'। গীতিকার হিসেবেও এই ছবিতে অভিষেক ঘটেছে দারুণ গান লিখেছেন। এই মুহুর্তে চলছে সিনেমা হল গুলোতে। এই ছবি দিয়ে যে মীর সাব্বিরের প্রত্যাবর্তন ঘটেছে,সেটা জারি থাকুক।

শুভ জন্মদিন..... মীর সাব্বির ❤️

শুভ জন্মদিন ৩ বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরষ্কার প্রাপ্ত কিংবদন্তি অভিনেতা জাহিদ হাসান 🎉🎁🎂🎉
04/10/2021

শুভ জন্মদিন ৩ বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরষ্কার প্রাপ্ত কিংবদন্তি অভিনেতা জাহিদ হাসান 🎉🎁🎂🎉

 🥰 #পৃথিবীর সর্বকালের সবচেয়ে বড় সুপারস্টার ! পপ সংগীতের রাজা এবং বিংশ শতাব্দীর অন্যতম প্রভাবশালী ব্যক্তি। বিশ্বের সর্ব...
29/08/2021

🥰

#পৃথিবীর সর্বকালের সবচেয়ে বড় সুপারস্টার !

পপ সংগীতের রাজা এবং বিংশ শতাব্দীর অন্যতম প্রভাবশালী ব্যক্তি। বিশ্বের সর্বাধিক পুরস্কৃত শিল্পী এবং সম্ভবত বিনোদন জগতের সবচেয়ে বড় ফ্যানবেজের মালিক।

এই পৃথিবীতে খুব কম মানুষই এসেছেন যারা সাফল্যের এমন উচ্চতা অর্জন করেছেন যা কেবল স্বপ্নের মধ্যেই সম্ভব, তার মধ্যে তিনি বিশিষ্ট একজন।

শুভ জন্মদিন Greatest Entertainer Of All Time ... MICHAEL JACKSON ❤

শুভ জন্মদিন প্রিয় লিজেন্ড। ❤️💜তাহসান বছরখানেক আগে একটা লাইভে বলেছিলেন - যে তার মতে বাংলাদেশের অন্যতম সেরা অভিনেতা মোশারর...
22/08/2021

শুভ জন্মদিন প্রিয় লিজেন্ড। ❤️💜

তাহসান বছরখানেক আগে একটা লাইভে বলেছিলেন - যে তার মতে বাংলাদেশের অন্যতম সেরা অভিনেতা মোশাররফ করিম। আমাদের দেশে এখন সেরকম ভালো ডিরেক্টর ও নির্মাতা নেই। যদি মোশাররফ বিদেশী কোনো ডিরেক্টরের হাতে পড়তো তবে তার অভিনয়ের ধারের আরো ভালো প্রমাণ বাঙ্গালী পেতো।

হয়ত অনেক হীনমন্যতাকে Cool মনে করার স্বভাবে অভ্যস্ত লোক হাসতে পারে তবে নওয়াজুদ্দিন সিদ্দিকীর থেকে Far Better Actor মোশাররফ করিম। যতটা সুযোগ পেয়েছেন ভিন্ন ধারার চরিত্র করবার সেটুকুও জাজ করুন তবেই বুঝতে পারবেন। ভাল ডিরেক্টর না থাকলেও এমন পারফরম্যান্স কয়জন অভিনেতা দিতে পারে??

অত্যাধিক কমেডি নাটক করায় অনেকে তাকে আন্ডারস্টিমেট করে। কমেডি সিনেমা চলে তাই হয়ত কমারশিয়াল কারনে করিম বেশি করেন। তবে একবার ভাবুন এমন বস্তাপচা গল্পে,ডিরেকশনেও Worthy কিছু থাকলে সেটা মোশাররফের অভিনয়।

কিছু সিনেমাবোদ্ধার মতে দুনিয়ার সবচেয়ে আন্ডারেটেড সেক্টর হলো কমেডি। কমেডির জন্য কেউ এওয়ার্ড এপ্রিসিয়েশন পায়না কিন্ত এটা করাই সবচেয়ে টাফ এক্টিং এর পর্যায়ে পড়ে। আর মোশাররফ শুধু কমেডি নয়, ইমোশনাল ড্রামা বা নেগেটিভ শেডেও কতটা পাকা অভিনেতা তা তার বাছাইকৃত কিছু কাজ দেখলে ঠাওর করতে পারবেন।

বড় পর্দায় - জয়যাত্রা, রূপকথার গল্প, দারুচিনি দ্বীপ, থার্ড পারসন সিঙ্গুলার নাম্বার, প্রজাপতি, টেলিভিশন, জালালের গল্প, অজ্ঞাতনামা, হালদা ও কমলা রকেটের মত সিনেমা করেছেন।

৫০০+ নাটকে অভিনয় করেছেন।

দীর্ঘ ক্যারিয়ারে ছোট পর্দায় কাজের জন্য ৯ টি মেরিল প্রথম আলো পুরষ্কার। আভাংকা ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে জালালের গল্পের জন্য সেরা অভিনেতা ক্যাটাগরিতে পুরষ্কার পেয়েছেন।

কমলা রকেটের জন্য জাতীয় পুরষ্কার পেলেও সেটা প্রত্যাখ্যান করেন।

শুভ জন্মদিন, মোশাররফ করিম।

দেশের চলচ্চিত্র শিল্পের কয়েক প্রজন্মের কাছে তিনি আইকনিক অধ্যায়। একটা সময় আমাদের দেশে ভিনদেশী সিনেমার প্রভাব ছিল। তখন তাঁ...
20/08/2021

দেশের চলচ্চিত্র শিল্পের কয়েক প্রজন্মের কাছে তিনি আইকনিক অধ্যায়। একটা সময় আমাদের দেশে ভিনদেশী সিনেমার প্রভাব ছিল। তখন তাঁর আবির্ভাব হয়। তিনি নায়করাজ রাজ্জাক। তিনি তাঁর অভিনয় দিয়ে দর্শকদের বাংলা সিনেমামুখী করেছিলেন। নিজেই তৈরি করেছিলেন এক স্বতন্ত্র অবস্থান।

অভিনয় দক্ষতায় সব ধরণের মানুষের কাছে নায়কদের শিরোমনি হয়ে উঠেছিলেন নায়করাজ রাজ্জাক। তাই কোটি বাঙালির হৃদয়ে আজও তিনি বেঁচে আছেন। যতোদিন বাংলাদেশ থাকবে, বাংলাদেশের সিনেমা থাকবে ততোদিনই তিনি আমাদের সকলের হৃদয়ে অহংকার হয়ে থাকবেন।

নায়করাজ রাজ্জাক ছিলেন আমার মাথার ওপরে সুবিশাল আকাশ। ছায়ায় ও মায়ায় আগলে রেখে ভালোবাসা ও পরামর্শ দিতেন। অনেকদিন দেখা না হলেও কিভাবে যেন বুঝে যেতেন কীসের মধ্যে আছি, এটাই বুঝি আত্মার সম্পর্ক!

আজ (২১ আগস্ট) নায়করাজ রাজ্জাকের চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী। আপনাকে হারানো আমার কাছে নিজের অভিভাবক হারানোর মতো বেদনার। আমার বিশ্বাস, চোখের সামনে না থাকলেও আপনার অদৃশ্য স্নেহ সবসময়ই আমাকে সামনে এগিয়ে যেতে সাহায্য করছে।

আপনার আত্মার শান্তি কামনা করি। শান্তিতে থাকুন আমাদের নায়করাজ।

#নায়করাজ #রাজ্জাক #মৃত্যবার্ষিকী #শ্রদ্ধা

"জীবন থেকে নেয়া ছবির শুটিং,  সে-তো এক ইতিহাস। ছবিটার শুটিং হচ্ছিলো এফডিসির ৩নং ফ্লোরে।ডিরেকশন দিচ্ছিলেন জহির ভাই। হঠাৎ এ...
19/08/2021

"জীবন থেকে নেয়া ছবির শুটিং, সে-তো এক ইতিহাস। ছবিটার শুটিং হচ্ছিলো এফডিসির ৩নং ফ্লোরে।ডিরেকশন দিচ্ছিলেন জহির ভাই। হঠাৎ একদল মিলিটারি এসে চারদিক ঘিরে ফেলে। এসেই জিজ্ঞেস করে ছবির ডিরেক্টর কে? জহির ভাই আসলেন। অনেকক্ষণ তর্ক হলো। এরপরে জিজ্ঞেস করলেন হিরো কে? আমি আসতেই আমার পায়ে বারি দিল ওরা। এরপরে আমাকে আর জহির ভাইকে নিয়ে গেলো ক্যাম্পে। সেখানেও জহির ভাইয়ের সাথে তর্ক হলো। জহির ভাইয়ের একটাই কথা, আমি ছবি বানাচ্ছি। তোমাদের সেন্সরববোর্ড আছে। আপত্তির কিছু থাকলে তখন আটকিয়ো। এখন আমি ছবিটা বানাবো। অবশেষে ওরা জহির ভাইকে হুমকি দিল- বি কেয়ারফুল জহির সাব।ইউ উইল বি ইন ট্রাবল। এরপরেও জহির ভাই ছবিটা চালিয়ে গেলেন।"

অভিনয় জীবনের ৫০ বছরপূর্তি উপলক্ষে, চ্যানেল আইয়ের একটা অনুষ্ঠানে জহির রায়হান সম্পর্কে এই কথাগুলো বলেছিলেন নায়করাজ রাজ্জাক।

আজ জহির রায়হানের জন্মদিন। গুণী নির্মাতা আমরা অনেক পেয়েছি। কিন্তু একজন জহির রায়হানের অভাব হয়তো কোনোদিনই পূরণ হবে না।

 #কানের_রেড_কার্পেট #রেহানামারিয়ামনূর #বাংলাদেশএই ছবিগুলো আমার কাছে একটা স্বপ্ন জাগানিয়া ছবি..আমার মনের কোনায় ক্ষীণ আশা,...
10/07/2021

#কানের_রেড_কার্পেট
#রেহানামারিয়ামনূর
#বাংলাদেশ
এই ছবিগুলো আমার কাছে একটা স্বপ্ন জাগানিয়া ছবি..
আমার মনের কোনায় ক্ষীণ আশা, এই সম্মান-অর্জন দেখে বাংলাদেশের বিভিন্ন বিভাগ-জেলা-থানা-গ্রাম-পাড়া-মহল্লার কোনায়-কোনায় কোন কোন ছেলে-মেয়েরা স্বপ্ন দেখতে শুরু করবে তারা বড় হয়ে সিনেমা বানাবে.. সিনেমায় অভিনয় করবে..
তাদের সিনেমা সারা-বিশ্বে প্রশংসিত হবে..
বাংলাদেশকে সম্মান এনে দেবে তাদের কাজ দিয়ে..
আমি স্বপ্নবাজ মানুষ..
Rehana Maryam Noor আমার কাছে বড়ই স্বপ্ন জাগানিয়া একটি নাম 🇧🇩

কানে লাল গালিচায় এক টুকরো বাংলাদেশ টিম  #রেহানামরিয়মনূর ❤️🇧🇩❤️
10/07/2021

কানে লাল গালিচায় এক টুকরো বাংলাদেশ
টিম #রেহানামরিয়মনূর ❤️🇧🇩❤️

Rest in Peace Sir 🤍 An inspiration to all the actors out there, Dilip Kumar has left the world today at the age of 98 😥ন...
07/07/2021

Rest in Peace Sir 🤍
An inspiration to all the actors out there, Dilip Kumar has left the world today at the age of 98 😥

নিজের আইডল ও প্রয়াত অভিনেতা দীলিপ কুমার কে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে তার বাড়িতে উপস্থিত হলেন শাহরুখ খান।
৯৮ বছর বয়সে লিজেন্ডারি এই অভিনেতা চিরতরে চলে গেলেন না ফেরার দেশে।

ইন্ডিয়ান সিনেমার অন্যতম লিজেন্ড ছিলেন তিনি। ইন্ডিয়াই মেথড এক্টিং এর পাইওনিয়ার ও তিনিই। ওনার ব্যাপারে যতো বলবো ততো কম হবে।
ইন্না ইলাইহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।
এভারগ্রিন Mohammed Yusuf Khan Aka Dilip Kumar💜.
অনেক এক্টর বলিউডে আসবে যাবে কিন্তু দিলিপ কুমার আর আসবে না।
বি:দ্র: তিনি একজন মুসলিম ছিলেন।

10/05/2021

WOS Production Bangladesh Presents
EID Project " Sandel । সেন্ডেল "
Produced by Unlimited Twist
Story, Screenplay & Direction Md Anwar Hossain
Assistant Director Habib Asr
Cinematography Montaisir Ahmed
Assistant Cinematography Akbar Hossain
Cast : Rabeya Jaman Angela, Jannatul Ferdous
Coustume Designer: jewel Cakma
Voice: Tanim Chowdhury
Light Murad Hasan
Food Nashrin Hera
In collaboration Leo Tushar Rahman , jibon, Ovi, Ariful Islam
Coming soon...

দেখে নিন ভারতীয় চলচ্চিত্র ইতিহাসের সর্বশ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্ব সত্যজিৎ রায় সম্পর্কে কিছু অন্যান্য বিশেষ তথ্য :-•  ...
02/05/2021

দেখে নিন ভারতীয় চলচ্চিত্র ইতিহাসের সর্বশ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্ব সত্যজিৎ রায় সম্পর্কে কিছু অন্যান্য বিশেষ তথ্য :-

• প্রথম এশিয়ান যিনি ব্রিটিশ ফিল্ম ইনস্টিটিউট ফেলোশিপ অ্যাওয়ার্ড জিতেছেন।

• বার্লিন ফিল্ম ফেস্টিভালে সর্বোচ্চ নমিনেশন পাওয়া পরিচালক।

• প্রথম এবং একমাত্র চতুর্থ ব্যক্তি যিনি ভারতের চারটি সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরষ্কার জিতেছেন।

• একমাত্র ভারতীয় এবং দ্বিতীয় এশিয়ান হিসেবে ভেনিস ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের সর্বোচ্চ পুরস্কার Golden Lion জিতেছেন।

• একমাত্র ভারতীয় এবং তৃতীয় এশিয়ান হিসেবে বার্লিন ফেস্টিভালের সর্বোচ্চ পুরস্কার Golden Bear জিতেছেন।

• শুধুমাত্র চার্লি চ্যাপলিনের পরে চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্ব যিনি অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক সম্মানসূচক ডক্টরেট প্রাপ্ত হয়েছেন।

• শিকাগো চলচ্চিত্র উৎসবে এশিয়ার দ্বিতীয় সর্বোচ্চ মনোনীত পরিচালক।

• সান ফ্রান্সিসকো ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে সর্বাধিক মনোনীত ও জয়যুক্ত ভারতীয়।

• কান চলচ্চিত্র উৎসবে আজীবন কৃতিত্বের জন্য Honorary পুরষ্কার প্রাপ্ত একমাত্র ভারতীয়।

• বার্লিন ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে দু'বার Silver Bear পুরষ্কার অর্জনকারী একমাত্র এশিয়ান।

• বিশ্ব চলচ্চিত্রের সিনেমাগুলিতে সর্বাধিক উল্লেখ পাওয়া ভারতীয় চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্ব।

• একাডেমি ফিল্ম আর্কাইভ সত্যজিৎ রায়ের ১৮টি চলচ্চিত্র সংরক্ষণ করেছে, যা এশিয়ার কোনও চলচ্চিত্র নির্মাতার পক্ষে সবচেয়ে বেশি।

• BBC ও অন্যান্য পোল দ্বারা এশিয়ার সর্বসেরা পরিচালক হিসেবে এবং পৃথিবীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র নির্মাতা হিসেবে ভোট পেয়েছেন

তিনি সর্বদা বিশ্বব্যাপী চলচ্চিত্র ভ্রাতৃত্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কিংবদন্তী হিসাবে স্মরণে থাকবেন 🙏❤

শুভ জন্মদিন Dwayne The Rock Johnson ! ছোটবেলায় ছিলেন ফুটবলপ্রেমী, কলেজের হয়ে চ্যাম্পিয়নশিপ জিতেছিলেন বটে কিন্তু সেই রাস্...
02/05/2021

শুভ জন্মদিন Dwayne The Rock Johnson !

ছোটবেলায় ছিলেন ফুটবলপ্রেমী, কলেজের হয়ে চ্যাম্পিয়নশিপ জিতেছিলেন বটে কিন্তু সেই রাস্তায় বাধা পড়ে তাই বিভিন্ন প্রশিক্ষণ নিয়ে তিনি WWF(Now WWE) প্রফেশনাল রেসলিং এ ডেব্যু করেন এবং মসৃণ করে তোলেন তার ক্যারিয়ারের চাকা।

সেখানে Attitude Era এর অন্যতম বিগেস্ট সুপারস্টার হন ও তার ক্রেজি ফ্যানবেজ এবং ওয়ার্ল্ডওয়াইড জনপ্রিয়তার জন্য তিনি ফিল্মেও চান্স পেয়ে যান একবিংশ শতাব্দীর শুরুর দিকেই।

প্রধান চরিত্রে জনসনের প্রথম চলচ্চিত্রটি ছিল The Scorpion King, এর পর থেকে তিনি The Game Plan, Tooth Fairy, Journey 2: The Mysterious Island, G.I. Joe: Retaliation, Hercules, San Andreas, Central Intelligence, Rampage and Skyscraper, Jumanji Series এর মতন অনেকগুলি সফল ছবিতে অভিনয় করেছেন। Luke Hobbs চরিত্রে Fast & Furious সিরিজে তার স্টারডম ভূমিকাও ছিল অনবদ্য, জনসন এইচবিও সিরিজ ব্যালার্স প্রযোজনা ও অভিনয় করেছিলেন, যা পাঁচটি মরশুম ধরে চলেছিল এবং ছয় বছরে এইচবিওর সর্বাধিক দেখা Comedy Series হিসাবে স্থান পেয়েছে।

বিশ্বের হায়েস্ট পেইড অভিনেতার হওয়ার পাশাপাশি টাইম ম্যাগাজিনের ১০০ জন সর্বোচ্চ প্রভাবশালী মানুষের লিস্টেও ছিলেন দুই বছর।

আজ Dwayne বিশ্বের একজন বিশাল বড় এক আইকন, Most Demanding Movie Star এবং WWE প্রফেশনাল রেস্টলারদের জন্য এক তুলনাহীন অনুপ্রেরণা !

তার আপকামিং Jungle Cruise ও Black Adam সিনেমা দুটির জন্য রইলো শুভকামনা

WOS production PresentsBangla Short Film "সেন্ডেল" 🎬Coming this Eid-ul-Fitr 🌙
01/05/2021

WOS production Presents
Bangla Short Film "সেন্ডেল" 🎬
Coming this Eid-ul-Fitr 🌙

 #বাংলাদেশি প্রথম মহানায়ক তথা ভদ্র নায়ক খ্যাতো অভিনেতা বুলবুল আহমেদ-সত্তর/আশির দশকের সুর্দশন নায়ক, অভিনেতা, পরিচালক ছিলে...
21/04/2021

#বাংলাদেশি প্রথম মহানায়ক তথা ভদ্র নায়ক খ্যাতো অভিনেতা বুলবুল আহমেদ-

সত্তর/আশির দশকের সুর্দশন নায়ক, অভিনেতা, পরিচালক ছিলেন বুলবুল আহমেদ।অভিনয় দক্ষতার বাইরে ব্যক্তিত্ব হিসেবে তিনি ছিলেন উচ্চশিক্ষিত, অত্যন্ত নম্র,ভদ্র এবং অতি সাধারণ ভাবে জীবনযাপন করতেন।যার কারনে সবাই তাকে অন্যতম মহানায়কের পাশাপাশি ভদ্র নায়ক বলেও ডাকতেন। দেবদাস মুভির দেবদাস চরিত্রে বুলবুল আহম্মেদ এর অসাধারন অভিনয় দর্শকদের মনে গেথে গিয়েছিলো। এইজন্য অনেকে তাকে বাংলার দেবুদা ও বলে থাকেন।

মুভির পাশাপাশি বুলবুল আহমেদ অসংখ্য নাটকে অভিনয় করেছেন এবং নাটক দিয়েই তিনি তার অভিনয় জিবন শুরু করেছিলেন ১৯৬৮ সালে(নাটক পুর্বাভাস)। এই সময় তিনি বাংকের জব ও করতেন। এরপর ১৯৭৩ সালে ইয়ে করে বিয়ে নামক মুভিতে অভিনয়ের মাধ্যমে চলচ্চিত্র জগতে কাজ শুরু করেন। বুলবুল আহম্মেদ অভিনীত উল্লেখযোগ্য কিছুসংখ্যক মুভি-মহানায়ক,দেবদাস,সিমানা পেরিয়ে, ভালো মানুষ, সূর্য কন্যা,দিপু নাম্বার টু,মোহনা, জননী ।উনার মুভি তার সময়ের বাকি নায়কের চাইতে অনেকটাই আলাদা ছিলো।উনার মুভিতে দর্শক শুদ্ধ রুচির পরিচয় পেতেন। সমৃদ্ধ হতো মানূষের বিনোদনের মানষিকতা।
বুলবুল আহমেদ শ্রেষ্ঠ অভিনেতা বিভাগে ৩ বার, শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেতা হিসেবে ১ বার এবং শ্রেষ্ঠ পরিচালক বিভাগে ১ বার দিয়ে মোট ৫ বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার জিতেন।

সবশেষ বুলবুল আহমেদ কে নিয়ে একটা কথা না বললেই নয়। যেটা হলো বাংলাদেশের প্রথম মহানায়ক, কিংবদন্তি একজন অভিনেতা হওয়া সত্তেও বিভিন্ন বাংলা চলচ্চিত্র গ্রুপ গুলাতে অনান্য লিজেন্ড নায়ক(রাজ্জাক,মান্না,আলমগির,সাল মান শাহ....) এদের নিয়ে যেভাবে আলোচনা হয় সেই দিক থেকে বুলবুল আহমেদ অনেকটাই আন্ডাররেটেড।বাট এর কারন আমার অজানা।

নায়ক ওয়াসিম আর নেই৷ইন্নালিল্লাহে ওয়া ইন্না-ইলায়হে রাজেউন।আঘাতের পর আঘাত ধারণ করা কঠিন😭
17/04/2021

নায়ক ওয়াসিম আর নেই৷
ইন্নালিল্লাহে ওয়া ইন্না-ইলায়হে রাজেউন।
আঘাতের পর আঘাত ধারণ করা কঠিন😭

সেদিন সন্ধ্যায় চিত্রনায়িকা কবরীকে খুব কাছ থেকে দেখেছিলামবন্দরনগরী চট্টগ্রামের ব্যস্ততম এলাকা জুবলী রোডে অবস্থিত জলসা সিন...
17/04/2021

সেদিন সন্ধ্যায় চিত্রনায়িকা কবরীকে খুব কাছ থেকে দেখেছিলাম

বন্দরনগরী চট্টগ্রামের ব্যস্ততম এলাকা জুবলী রোডে অবস্থিত জলসা সিনেমায় বেলা তিনটার শো-এ দেখি
'অপরাজিত নায়ক' নামে একটি ছায়াছবি। কবরী, রাজীব, ইলিয়াস কাঞ্চন,দিতি অভিনীত 'অপরাজিত নায়ক' ছবিতে কবরী ইলিয়াস কাঞ্চন দেবর-ভাবি, রাজীব কবরীর স্বামী। কবরী, রাজীব, ইলিয়াস কাঞ্চন, দিতি এই চারজন আমার প্রিয় তারকাদের তালিকায় ছিলো। ছবিটি সামাজিক অ্যাকশনধর্মী।
শো শেষ হওয়ার পর যখন বের হলাম তখন সন্ধ্যা সোয়া ছ'টা। সিনেমা হল থেকে বাহির হওয়ার সাথে সাথে একটি পরিচিত কণ্ঠের বক্তৃতা কানে আসলো। আর সেই কণ্ঠ চট্টগ্রামের মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর।
মেয়র সবে বক্তৃতা শুরু করছে। তিনি বলছেন- আমি ধন্যবাদ জানাই কবরী আপাকে। তিনি আমাদের মাঝে এসে আমাদের ধন্য করেছে। আর কবরী আপাতো আঁরার চাঁটগাইয়া মাইয়া........

মেয়রের কথা শুনে চমকে উঠলাম। মানে নায়িকা কবরী জুলবী রোডে। জলসা সিনেমার বিপরীতে সিটি কর্পোরেশন মডেল হাইস্কুল ময়দান।
প্রথম গেইটে একটি ব্যানার টাঙানো। ব্যানারটি বঙ্গবন্ধু 'ল' টেম্পল এর অভিষেক বা এ জাতীয় অনুষ্ঠানের। আমার এখন মনে পড়ছে না। প্রধান অতিথি নায়িকা কবরী সরোয়ার। তখন তিনি রাজনীতিতে সরাসরি সক্রিয়।
বিষয়টি আমার কাছে সারপ্রাইজ। আমি তারাতারি রাস্তা পার হয়ে স্কুল ময়দানে প্রবেশ করলাম।
ময়দানে সবাই 'ল' টেম্পলের ছাত্র। তবে ছাত্র ছাড়াও অনেকে আছেন। যেহেতু বারবার নায়িকা কবরীর নাম উচ্চারিত হচ্ছে। তাই আমার মতো অনেকেই ময়দানে প্রবেশ করেছেন।
ময়দানে সবাই দাঁড়ানো। উচু মঞ্চ তৈরী করা হয়েছে। সেই মঞ্চে নায়িকা কবরী বসা আর মেয়র বক্তৃতা দিচ্ছেন।

আমি নায়িকা কবরীকে সরাসরি দেখি, আমি আমার চোখকে বিশ্বাস করতে পারছিলাম না। কবরী, শাবানা, অঞ্জু এই তিনজন নায়িকার চট্টগ্রামে আলাদা জনপ্রিয়তা ছিলো। কারণ তারা চট্টগ্রামের। তবে অঞ্জু চট্টগ্রামে ছিলো না। তিনি চট্টগ্রামে যাত্রায় অভিনয় করতো। চট্টগ্রাম থেকে তিনি চলচ্চিত্রে নায়িকা হয়ে যান।
তাই অনেকে মনে করতেন অঞ্জু চট্টগ্রামের মেয়ে।
আমি সিনেমা শুরু করার আগে থেকেই নায়িকা কবরীর নামের সাথে বিশেষভাবে জড়িত। কারন, নায়িকা কবরী যদিও বোয়ালখালির কাননগো পাড়ার কিন্তু তিনি নায়িকা হবার আগে থাকতেন ফিরিঙ্গি বাজার।
আমার বাসা থেকে আধা মাইল দূরে ছিলো। আমার এক ক্লাসমেট শ্যামল কান্তি বড়ুয়ার বাড়ির পাশেই ছিলো নায়িকা কবরী। শ্যামলের মা, বড়ভাই, বড়বোনের মুখে শুনতাম কবরীর কথা।
কবরীর আদি নাম মিনা পাল। তাই ফিরিঙ্গি বাজারের সিনিয়র সিটিজেন-দের কাছে কবরী মিনা পাল নামেই বেশি পরিচিত।

আমার ভাই এবং ভাইয়ের বন্ধু দেলাওয়ার এরা দুজন ছিল সিনেমা পাগল। যে ছবিই মুক্তি পেত তারা দুজন
প্রথম দিনেই দেখতো।
তাঁদের মুখে কবরীর অনেক গল্প শুনতাম। সিনেমায় চরিত্রের গল্প। ব্যক্তি জীবনের গল্প।
সিনেমার চরিত্রের গল্পগুলো আমাকে মুগ্ধ করতো।
ময়না, নবীতুন, সখি,পার্বতী'র গল্প তাঁদের মুখে শুনতে শুনতে আমার মুখস্থ হয়ে গেছিলো।
আরেকটি কথা শুনতাম, কবরীর হাসি লাখ টাকা।
লাখ টাকা অনেক বড় ব্যাপার। তখন কারো পকেটে বিশ টাকার নোট থাকলে, রাস্তায় একা হাঁটতে ভয় পেত। যদি ডাকাত এই বিশ টাকার জন্য জীবননাশ করে!
সেই সময়ের একজন নায়িকার হাসির দাম লাখ টাকা!
এইসব শুনে কবরীর প্রতি অনুরক্ত হয়ে যায়।

আমি কবরীর প্রথম ছবি দেখি " বাঁশরী" নামে একটি ছবি। ১৯৮৬ সালে নেভাল অডিটোরিয়াম টাইগারপাসে। ছবিটি সাদাকালো ছিলো। সাদাকালো ছবিতে কবরীকে ভালো লাগতো বেশী আমার কাছে।
ময়না মতি, সারেং বৌ, সুতরাং, সোনালী আকাশ, বধূ বিদায়, গুণ্ডা, সুজন সখি, লাভ ইন সিমলা সহ অনেক সাদাকালো ছবিতে ভালো লাগতো।
কাকতালীয় একটি বিষয় লক্ষ করি আর তা হলো আলমগীর, উজ্জ্বল, জাফর ইকবাল, ফারুক, সোহেল রানার প্রথম নায়িকা কবরী। আর এইসব নায়করা সত্তর-আশি এবং নব্বই দশকের জনপ্রিয় নায়ক।

নবীতুন খ্যাত মিষ্টি নায়িকা কবরীকে কাছ থেকে দেখতে আমি ভিড় ঠেলে আসতে আসতে মঞ্চের কাছে যেতে থাকি। অনেক কষ্টে অবশেষে আসি মঞ্চের সামনে। তখন আমার দৃষ্টি আর নায়িকা কবরীর মাঝে বাতাস ছাড়া আর কিছু ছিলো না। অনেক কাছ থেকে প্রিয় নায়িকাকে দেখার সুযোগ হয়।
আমার পরনে নতুন শার্ট ছিলো। এক সাপ্তাহ আগে ষাট টাকা দিয়ে ক্রয় করেছিলাম। হঠাৎ কাপড়ের পোঁড়া গন্ধ নাকে এলো। আমি পাশের জনকে বলি- কারো মনে হয় শার্ট বা পাঞ্জাবি পোঁড়া যাচ্ছে। তিনি আমার দিকে তাকিয়ে বললো- আরে তোমার শার্ট। আমি পিছন ফিরে দেখি আমার শার্টের পিছনে নীচের দিকে দুইটি পোঁড়ার চিহ্ন। আমার পিছনে একজন সিগারেট পান করছিলেন।
আমার খুব রাগ হলো। কিন্তু হজম করে গেলাম। নায়িকার সামনে রাগ করলে ব্যক্তিত্ব নষ্ট হবে।

ঘরে এসে ষাট টাকা দামের নতুন শার্টটি ফেলে দিলাম। অভাবের দিনে ষাট টাকা আমার কাছে ষাট হাজার টাকার মতো। তাতে দুঃখ নাই, প্রিয় নায়িকাকে কাছ থেকে দেখেছি। সেটাই বড়কথা।

রূপালি পর্দার নায়িকা হিসাবে কবরী ছিল মার্জিত, রুচিসম্পন্ন, পরিচ্ছন্ন পোশাকের নায়িকা। আমি কবরীর অনেক ছবি দেখেছি, কিন্তু কখনো অশ্লীল মনে হয় নি।
সারেং বউ এবং বধূ বিদায় ছবিতে শুধু শাড়ি পরে অভিনয় করে, অ্যাণ্ডার গার্মেন্টস (ব্লাউজ -পেটিকোট) ছাড়া। কিন্তু কখনো অশ্লীল মনে হয় নি।
আমি বাল্যকালেও ছবি দুটো দেখেছি আবার যুবককালেও দেখেছি, কখনোই কবরীকে অশ্লীল মনে হয় নি।
বাস্তবতা এই যে এই দুটি ছবির চরিত্রের মতো জীবনে অনেক নারী দেখেছি গ্রামে। যারা শুধু শাড়ি পরতো।
এখন যখন এই লেখাটি লিখছি, তখন আমার বাড়ির উঠান দিয়ে এমন একজন মহিলা হেঁটে গেছে, যাকে ত্রিশ বছর পর্যন্ত দেখে আসছি, শুধু শাড়ি পরতে।
তাঁদের যেমন অশ্লীল লাগে না বরং মার্জিত লাগে তেমনি কবরীকেও অশ্লীল মনে হয় নি, বরং অনেক মার্জিত লেগেছে।
কিছুদিন আগে একজন পেজ নির্ভর জনপ্রিয় নায়িকার ফটোতে কমেন্ট করেছিলাম- 'আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। আপনার ফটো দেখলে কবরী, শাবানা, সুজাতার প্রতি শ্রদ্ধা বেড়ে যায়।'
ব্যক্তি কবরী বিষয়ে আমার কিছু বলার নাই। কিন্তু রূপালী পর্দার মার্জিত প্রতিভাময়ী কবরী আমার প্রিয় নায়িকা।

করোনায় আক্রান্ত হয়ে আজ কবরী মৃত্যুবরণ করে। ইন্নালিল্লাহি ওয়াইন্নাইলাইহি রাজিউন।

✍ আকবর খসরু

শনিবার, ০৪ ঠা রামাদান ১৪৪২

কবরী খুব ভাল অভিনয় করেছেন, এমন কোনো ছবির নাম বলতে পারবেন?তিতাস একটি নদীর নাম? সারেং বউ? সুতরাং? সুজন সখী? বধূ বিদায়? কখগ...
17/04/2021

কবরী খুব ভাল অভিনয় করেছেন, এমন কোনো ছবির নাম বলতে পারবেন?

তিতাস একটি নদীর নাম? সারেং বউ? সুতরাং? সুজন সখী? বধূ বিদায়? কখগঘঙ? রংবাজ? ময়নামতি? কাচ কাটা হীরা? দেবদাস? স্মৃতিটুকু থাক? আরাধনা?

কবরী অভিনীত ছবির সংখ্যা চল্লিশটার মতো। এর প্রায় বিশটার মতো আমি দেখেছি। বেশিরভাগ ছবিগুলো ১২০ মিনিটের এবং এসব ছবিতে কবরীর উপস্থিতি পুরো ছবিতে দশ থেকে বিশ মিনিটের মতো।

বেশিরভাগ ছবিই পুরুষপ্রধান। নায়িকারা এখানে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই নির্যাতিত বাঙালি নারীর প্রতিরূপ। তবে কবরী শাবানার মতো কেঁদে বুক ভাসান না। সারেং বউ ছবিতে কবরীর হাহাকার দর্শকের কাছে অতি-অভিনয় বলে মনে হয় না।

সে সময়ের বেশিরভাগ ছবিতে একাধিক গল্প। তিতাস একটি নদীর নামে কবরী একটা সাবজেক্ট মাত্র। নীল আকাশের নীচে সিনেমায় তিনটা গল্প। আনোয়ার হোসেন-রোজীর একটা গল্প, কবিতার একটা গল্প, রাজ্জাক-কবরীর আরেকটা গল্প। এর বাইরে বাংলা সিনেমার নিয়মিত ভাঁড় ও ভিলেনের কর্মকাণ্ড তো আছেই। অন্য ছবিগুলোও কমবেশি এমনই একাধিক গল্পের সমাহার।

এতো অল্প সময় এবং এতো গৌণভাবে কবরীর উপস্থিতি, মনে হয় যেন, তিনি অনেকটা অতিথি শিল্পী হয়ে এসেছেন। পর্দায় উপস্থিতি এতো কম যে অভিনয় বোঝা খুব কঠিন।

[গানের দৃশ্যগুলো বাদ দিয়ে। গানের দৃশ্য নিয়ে পরে অন্য সময় আলোচনা করা যাবে। সে সময়ের সিনেমা বা অভিনয় আলোচনা করতে গেলে বরং গানের দৃশ্যগুলোর কথা বিশেষভাবে ভাবতে হবে।]

তারপরেও কবরী বাণিজ্যিকভাবে সফল এক অভিনেত্রী। কেন?

সবমিলিয়ে সুভাষ দত্তের কথাটাই আমার কাছে ঠিক মনে হয়।

কবরীকে মঞ্চ থেকে পর্দায় তোলেন সুভাষ দত্ত। ১২/১৩ বছরের এক শিশুকে নায়িকা হিসেবে কেন নির্বাচন করেছিলেন, এর জবাবে সুভাষ দত্ত মজা করে বলেছিলেন, নতুন দাঁত উঠেছিল তো। তাতে হাসিটা চমৎকার ছিল। ওই ঢেউখেলানো দাঁতের হাসির জন্যই নিয়েছিলাম।

১৯৬৪ সালে প্রথম ছবি মুক্তির পর গত ৫৭ বছর ধরে তিনি সেই শিশুসুলভ হাসিটা ধরে রেখেছিলেন।

আমার ব্যক্তিগত ধারণা, ওই হাসি দিয়েই তিনি বাঙালি দর্শকদের মন জয় করেছেন।

১৯৫০ সালের ১৯ জুলাই চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে জন্মগ্রহণ করেন কবরী। তাঁর আসল নাম ছিল মিনা পাল। বাবা শ্রীকৃষ্ণদাস পাল এবং মা ...
16/04/2021

১৯৫০ সালের ১৯ জুলাই চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে জন্মগ্রহণ করেন কবরী। তাঁর আসল নাম ছিল মিনা পাল। বাবা শ্রীকৃষ্ণদাস পাল এবং মা লাবণ্য প্রভা পাল। ১৯৬৩ সালে মাত্র ১৩ বছর বয়সে নৃত্যশিল্পী হিসেবে মঞ্চে উঠেছিলেন তিনি। তারপর টেলিভিশন ও সবশেষে সিনেমায়। কবরী বিয়ে করেন চিত্ত চৌধুরীকে। সম্পর্ক বিচ্ছেদের পর ১৯৭৮ সালে তিনি বিয়ে করেন সফিউদ্দীন সরোয়ারকে। ২০০৮ সালে তাঁদেরও বিচ্ছেদ হয়ে যায়। কবরী পাঁচ সন্তানের মা।

আমাদের একজন তৌকির আহমেদ আছে। ❤️That's a great thinking 🥰🥰🥰
31/03/2021

আমাদের একজন তৌকির আহমেদ আছে। ❤️
That's a great thinking 🥰🥰🥰

কী বলে আপনাকে শুভেচ্ছা জানাবো ওয়াসিম ভাই। অবশ্য আপনার সমসাময়িক যারা তারা এখনো আপনাকে মেজবাহ বলেই উল্লেখ করেন। সেই ১৯৬৪ স...
23/03/2021

কী বলে আপনাকে শুভেচ্ছা জানাবো ওয়াসিম ভাই। অবশ্য আপনার সমসাময়িক যারা তারা এখনো আপনাকে মেজবাহ বলেই উল্লেখ করেন। সেই ১৯৬৪ সালে আপনি যখন 'বডি বিল্ডিং' মিস্টার ইস্ট পাকিস্তান খেতাব পেয়েছিলেন তখন থেকেই। ইতিহাসে মাস্টার্স সারটিফিকেটে আপনার নাম মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ। কিন্তু, সব ছেড়ে আপনি হয়ে গেলেন এ দেশের চলচ্চিত্র ইতিহাসের অংশ। আপনার সংগে আমার সম্পর্কটা একদিনের নয়। অনেক বছর আগে থেকে আপনার সঙ্গে সেই যে সুসম্পর্ক গড়ে উঠেছিল, তা আজও হৃদয়ে অম্লান। আগে দেখা হতো "রাতের পর দিন" এখন হয়না দিনের পর দিন। আমাদের চলচ্চিত্র শিল্পে সহকারী পরিচালক হয়ে এলেও, নায়ক হয়ে গেলেন একদিন। তারপর একটানা প্রায় ৫০ টি "সুপার হিট" ছবি উপহার দিয়েছেন। আপনার অভিনীত এ সব ব্যাবসা সফল ছবি দিয়ে, প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন অনেক প্রযোজক। গাড়ি হয়েছে, বাড়ি হয়েছে। সে সময় আপনি যখন স্টুডিওতে হেঁটে যেতেন, পেছনে প্রযোজক পরিচালক দের যে লাইন থাকতো, মনে হতো মিছিল যাচ্ছে। একটু শেড্যুল (schedule) পেলেই ধন্য হত নির্মাতারা। আজ আপনার জন্মদিনে আপনি একা, নিভৃতচারী এক মানুষ। না, সে সব দুঃখ গাঁথা এখানে আলোচনা করবোনা। শুধু বলবো এ দেশে এখনও অনেক মানুষ আছে যারা আপনাকে ভালোবাসে। আপনি হয়তো ভুলেই গেছেন ১৯৪৭ সালের ২৩ মার্চ আপনি চাঁদপুর জেলায় জন্মেছিলেন। আমাদের মনে আছে। শুভেচ্ছা ওয়াসিম ভাই।
মজতুবা সউদ এর টাইম লাইন থেকে।

#সংগ্রহীত

শুভ জন্মদিন অন্যতম প্রিয় অভিনেতা ও পরিচালক। তৌকির আহাম্মেদ স্যার।🥰🥰🥰🥰
06/03/2021

শুভ জন্মদিন অন্যতম প্রিয় অভিনেতা ও পরিচালক।
তৌকির আহাম্মেদ স্যার।🥰🥰🥰🥰

বলিউডের আছে অমিতাভ বচ্চন আর আমাদের আছে আলমগীর।  আমার কাছে সিনেমা হলে বাংলা সিনেমা দেখার সোনালি দিনগুলোতে আলমগির হলেন অসং...
06/03/2021

বলিউডের আছে অমিতাভ বচ্চন আর আমাদের আছে আলমগীর। আমার কাছে সিনেমা হলে বাংলা সিনেমা দেখার সোনালি দিনগুলোতে আলমগির হলেন অসংখ্য ব্যবসাসফল ও দর্শক নন্দিত চলচ্চিত্রের অভিনেতা আলমগীর হলেন খুব প্রিয় একজন অভিনেতা বা প্রথম পছন্দের অভিনেতা।আলমগীরের অভিনয় ও সংলাপ বলার ধরন এতোটাই স্মার্ট যে কোন চরিত্রে আলমগিরের অভিনয় আমাকে মুগ্ধ করতো। বলিউডের চলচ্চিত্রে যেমন বিগবি খ্যাত একজন অমিতাভ বচ্চন আছেন আমার কাছে আলমগীর হলেন বাংলা চলচ্চিত্রের অমিতাভ বচ্চন।

বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের ইতিহাসের যে কজন জীবন্ত কিংবদন্তী আছেন তাঁদের মধ্যে আলমগীর নামটি শীর্ষ তালিকায় থাকা একটি নাম । বাংলা চলচ্চিত্রের এক অসাধারন অভিনেতা ও কোটি কোটি দর্শকের পছন্দের অভিনেতা হিসেবে আজো আলমগির আছেন ও থাকবেন চিরকাল।

১৯৫০ সালের ৩রা এপ্রিল আলমগীর জন্মগ্রহন করেন । তাঁর পিতার নাম দুদু মিয়া যিনি সেই সময়ের একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী ছিলেন । ১৯৫৬ সালে নির্মিত বাংলাদেশের প্রথম সবাক চলচ্চিত্র ‘মুখ ও মুখোশ’ এর সহযোগী প্রযোজক ছিলেন আলমগীরের পিতা দুদু মিয়া । সেই সুত্রেই সিনেমার সাথে ছোটবেলা থেকেই আলমগীরের পরিবারের জানাশোনা । ‘আমার জন্মভুমি’ ছবিতে অভিনয়ের মাধ্যমে আলমগীর এর বাংলা চলচ্চিত্রে আগমন। এরপর ৭০ দশকের মাঝামাঝি থেকে ৯০ দশকের প্রথম পর্যন্ত একের পর এক ব্যবসাসফল ছবি উপহার দিয়ে নিজেকে নিয়ে গেছেন অন্য এক উচ্চতায় । ভারতের হিন্দি চলচ্চিত্রে যেমন বিগম্যান খ্যাত অমিতাভ আছেন আমার কাছে বাংলা চলচ্চিত্রের অমিতাভ বচ্চন হলেন আলমগীর যিনি তাঁর সমসাময়িক অভিনেতাদের মাঝে সবচেয়ে বেশি সময় ধরে পর্দায় দাপুটের সাথে অভিনয় করে গেছেন।

বাংলা চলচ্চিত্রের নায়করাজ রাজ্জাক তাঁর সমসাময়িক অভিনেতাদের মাঝে আলমগিরের সাথে সবচেয়ে বেশি চলচ্চিত্রে একসাথে কাজ করেছেন ।রাজ্জাকের সাথে আশার আলো,কাপুরুষ,কেউ কারো নয়, লাইলি মজনু,স্বামী স্ত্রী, ন্যায় বিচার, অন্ধ বিশ্বাস, সমর সহ আরও অনেক ছবিতে। শুধু রাজ্জাক নয়, নায়ক বুলবুল আহমেদ, জসিম, ওয়াসিম, সোহেল রানা, ইলিয়াস কাঞ্চন, জাফর ইকবাল সবার সাথেই আলমগিরের আছে অসংখ্য দর্শকননন্দিত চলচ্চিত্র। একই সাথে ৯০ দশকের রুবেল,মান্না, সালমান শাহ,ওমর সানিদের সাথেও আছে একাধিক দর্শকনন্দিত চলচ্চিত্র। মাল্টিস্টার ধারার চলচ্চিত্রে প্রযোজক পরিচালকদের কাছে আলমগির ছিলেন অন্যতম পছন্দের অভিনেতা। আলমগীর শুধু চলচ্চিত্রে একজন অভিনেতা হিসেবেই থেমে থাকেননি তিনি একাধারে একজন প্রযোজক, পরিচালক ছিলেন। সেই সময় সকল প্রযোজক ,পরিচালক এর কাছে আলমগীর ছিলেন সবচেয়ে আস্থাশীল ও নির্ভরশীল একজন অভিনেতা ।
সামাজিক অ্যাকশন , পারিবারিক টানাপোড়ন, রোমান্টিক অ্যাকশন। ফোক ফ্যান্টাসি সহ সব ধারাতেই আলমগীর ছিলেন সফল । যার ফলে সব ধরনের চরিত্রে আলমগীর ছিলেন মানানসই। বাংলাদেশের সর্বাধিক (৬৭টি) ছবির পরিচালক দেলোয়ার জাহান ঝনটু পরিচালিত ৪০ টি ছবিতেই আলমগীর অভিনয় করেন।শুধু তাই নয় সোনালি যুগের বাংলা চলচ্চিত্রের মাস্টার মেকার এ জে মিন্টু, ক্লাসিক পরিচালক আমজাদ হোসেন,জহিরুল হক,কামাল আহমেদ, শিবলি সাদিক, মোতালেব হোসেন,দেওয়ান নজরুল, আলমগীর কুমকুম, শহিদুল ইসলাম খোকন, কাজী হায়াত, দিলিপ বিশ্বাস,আজিজুর রহমান, ইবনে মিজান , গাজী মাজহারুল আনোয়ার, মোস্তফা মেহমুদ,কাজি জহির, আজহারুল ইসলাম খান , দিলিপ সোম, মতিন রহমান ,আব্দুল্লাহ আল মামুন, কবির আনোয়ার, সাইফুল আজম কাশেমের মতো রথি মহারথীদের একাধিক চলচ্চিত্র ছাড়াও নুর হোসেন বলাই, মোহাম্মদ হান্নান, সোহানুর রহমান সোহান, মালেক আফসারি, মমতাজুর রহমান আকবর, ইস্পাহানি আরিফ জাহানের মতো ৯০ দশকের পরিচালকদের একাধিক চলচ্চিত্রেও কাজ করেন এই গুণী অভিনেতা। এতেই বুঝা যায় যে আলমগীরের উপর নির্মাতারা কি পরিমান আস্থা রাখতেন। কলেজ পড়ুয়া তরুন ছাত্র, পুলিশ অফিসার, মাস্তান, গ্রাম্য যুবক, সহজ সরল বোকা যুবক, ব্যর্থ প্রেমিক, রাজকুমার, বড় ভাই, পিতা সহ সব ধরনের চরিত্রে আলমগীর ছিলেন সফল। চলচ্চিত্রে আলমগীর এমনই আস্থাশীল ছিলেন যে কিছু পরিচালক শুধু আলমগীর ছাড়া তাদের ছবিতে অন্য কাউকে চিন্তা করতে পারতেন না। এছাড়া স্বাধীন পরবর্তী বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে এমন পরিচালক পাওয়া দুঃসাধ্য যার সাথে আলমগীর কাজ করেনি। ৭০ দশকের শেষ প্রান্তে দিলিপ বিশ্বাস পরিচালিত ‘জিঞ্জির’ ছবিতে প্রথম একই ছবিতে নায়করাজ রাজ্জাক ও সোহেল রানা’র সাথে সমান তালে অভিনয় করে তিনি নিজের অভিনয়ের দক্ষতা দেখিয়ে সবার কাছে বেশ আলোচিত হয়েছিলেন ।

এরপর ৯০ দশকের শুরুতে নায়করাজ রাজ্জাক ও অভিনেত্রী শাবানার সাথে মতিন রহমানের ‘অন্ধ বিশ্বাস’ ছবিতে দুর্দান্ত অভিনয় করে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের শ্রেষ্ঠ অভিনেতার পুরস্কার লাভ করেন । জুটি বেঁধে কাজ করেছেন শাবানা, ববিতা, কবরী, সুচরিতা, অলিভিয়া, রোজিনা, অঞ্জু ঘোষ, দিলারা, দিতি , চম্পা সহ অসংখ্য অভিনেত্রীর সাথে যারমধ্যে আলমগীর শাবানা জুটি বাংলা চলচ্চিত্রের এক অনন্য রেকর্ড স্থাপন করে ইতিহাস হয়ে আছে। শাবানার সাথে প্রায় দেড় শতাধিক চলচ্চিত্রে অভিনয় করে বাংলা চলচ্চিত্রের যে কোন জুটির সর্বাধিক চলচ্চিত্রের রেকর্ড আজো অক্ষুণ্ণ রেখেছেন। মজার ব্যাপার হলো চিত্রনায়িকা চম্পার সাথে জুটি বেঁধে নিস্পাপ চলচ্চিত্রে যেমন সফল হয়েছিলেন ঠিক তেমনি কাজী হায়াতের ‘দেশপ্রেমিক’ চলচ্চিত্রে চম্পার বাবার চরিত্রেও অভিনয় করে সফল হয়েছিলেন এই অসাধারন অভিনেতা। আবার বুলবুল আহমেদের ‘আকর্ষণ’ চলচ্চিত্রে জাফর ইকবালের সাথে সহ নায়ক হিসেবে যেমন সফল হয়েছিলেন ঠিক তেমনি একই সময়ে দিলিপ বিশ্বাসের ‘অপেক্ষা’ চলচ্চিত্রে জাফর ইকবালের বাবার চরিত্রে অভিনয় করেও সফল হয়েছিলেন ।

৭০ দশকের শেষ প্রান্তে গীতিকার খোশনূর আলমগীর এর সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হোন। আলমগীর -খোশনূর দম্পতির দুই কন্যা ও এক পুত্র সন্তান রয়েছে । আলমগীর খোশনূর দম্পতির কন্যা আঁখি আলমগীর (সঙ্গীত শিল্পী) ১৯৮৪ সালে ‘ভাত দে’ ছবির জন্য শ্রেষ্ঠ শিশু শিল্পী হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করে। আলমগির আরও একাধিক ছবির গানে কণ্ঠও দিয়েছিলেন । ১৯৯৮/৯৯ সালে কণ্ঠশিল্পী রুনা লায়লাকে বিয়ে করে আলাদা সংসার গড়েন আলমগীর।

১৯৮৫ সালে ‘মা ও ছেলে’ ছবির জন্য আলমগীর প্রথম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন । এরপর অপেক্ষা , ক্ষতিপূরণ, অন্ধ বিশ্বাস , মরনের পরে, পিতা মাতা সন্তান, দেশপ্রেমিক ছবির জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের শ্রেষ্ঠ অভিনেতার পুরস্কার লাভ করেন যা ছিল বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের কোন অভিনেতার সর্বাধিকবার শ্রেষ্ঠ অভিনেতার পুরস্কার পাওয়ার বিরল ও একমাত্র ঘটনা। এছাড়া আলমগীর ১৯৮৯ – ৯২ সাল পর্যন্ত একটানা ৪ বার শ্রেষ্ঠ অভিনেতার ( ক্ষতিপূরণ , মরনের পরে , পিতা মাতা সন্তান ও অন্ধ বিশ্বাস) জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়ে এক অনন্য রেকর্ড করেন যা এখনও কেউ ভাঙতে পারেনি । শুধু ১৯৯৩ সাল বাদ দিয়ে ১৯৯৪ সালে কাজী হায়াত এর ‘দেশপ্রেমিক’ ছবির জন্য আবারও শ্রেষ্ঠ অভিনেতার পুরস্কার লাভ করেন । সর্বাধিক ৭ বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের শ্রেষ্ঠ অভিনেতার পুরস্কার সহ ২০১০ সালে ‘জীবন মরনের সাথী’ ছবির জন্য শ্রেষ্ঠ পার্শ্বঅভিনেতা হিসেবে পুরস্কার নিয়ে সর্বমোট ৮ বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের অভিনেতাদের মধ্য এখন পর্যন্ত আলমগীরই হলেন সর্বাধিক বার জাতীয় পুরস্কার পাওয়া অভিনেতা।

প্রায় ৩ শতাধিক চলচ্চিত্রে অভিনয় করা আমার দেখা আলমগীর অভিনীত উল্লেখযোগ্য ছবিগুলো হলো – আমার জন্মভুমি, দস্যুরানী, মণিহার, দেনা পাওনা, জিঞ্জির, মাটির মানুষ, মধুমিতা, বাসর ঘর, মনিহার,আগুনের আলো,লুটেরা,ঘরের বউ, ভালোবাসা,দিওয়ানা, মেহেরবানু, চণ্ডীদাস রজকীনি, কেউ কারো নয়, কাপুরুষ, আশার আলো,সৎপথে হলো দেখা, আঘাত, ভরসা, লাইলি মজনু, বড় বাড়ির মেয়ে, ঘরের বউ, ছক্কা পাঞ্জা, মধু মালতী, নির্দোষ, মানে না মানা, আওলাদ, আকর্ষণ, মান সম্মান,শ্রীমতী ৪২০,বিচ্ছেদ,শশিপুন্না, সোনার নাও পবনের বৈঠা, সাথী,আক্রোশ,মায়ের দোয়া, স্বামীর আদেশ, নানটু ঘোটক, ওস্তাদ সাগরেদ, সবুজ সাথী, প্রতিজ্ঞা, ভাত দে, মা ও ছেলে, হালচাল, অস্বীকার, অপেক্ষা, লাল বেনারসি, ছেলেকার,আওয়াজ ,বৌমা, মায়ের দোয়া , সমর, ঘরের সুখ, জেলের মেয়ে, লাখে একটা, ব্যথার দান, জেল হাজত, ভাই আমার ভাই, জলপরী, আইন আদালত, অবহেলা, স্ত্রীর স্বপ্ন, ন্যায় বিচার, অমরসঙ্গী,অপরাধী, নিস্পাপ, অশান্তি, স্বামী স্ত্রী, সত্য মিথ্যা, বিদায়, বিশ্বাসঘাতক, দোলনা, চেতনা, অমর, ন্যায় অন্যায়,বিসর্জন,বউ শাশুড়ি, ক্ষতিপুরন , রাঙ্গা ভাবী , গরীবের বউ, সান্ত্বনা, ননদ ভাবী, মরনের পরে, অচেনা, অর্জন, গরীবের বন্ধু , অন্ধ বিশ্বাস , ক্ষমা, অবুঝ সন্তান, বাংলার বধূ, পিতা মাতা সন্তান, শাসন, বুকের ধন, দেশপ্রেমিক, স্নেহ, দুর্জয় , রাক্ষস, নির্মম, নরপিশাচ, অজান্তে সংসারের সুখ দুঃখ, জজ ব্যারিস্টার, রাগ অনুরাগ, ঘাতক , বন্ধন, বুকের ধন, ঘর দুয়ার, বাংলার মা, নির্মম,সত্যবাদী,অগ্নিস্বাক্ষর,কন্যাদান, আসামি বধূ, ঘাতক , স্নেহের বাঁধন, বাপের টাকা, আমি সেই মেয়ে।

নিচে সিনেমা হলে দেখা আলমগীর অভিনীত সেরা তিনটি ( ব্যক্তিগত বিচার) সিনেমার বিস্তারিত দেয়া হলো।

১) ক্ষতিপূরণঃ এফডিসির চলচ্চিত্র মানেই যে ৭ টা ফাইট, ৫ টা গান, যাত্রার ঢং এ অ্যাকটিং, কানের পর্দার ফাটানো চিঃকার, আজগুবি গল্প নয় এই কথাটার আরেকটি প্রমাণ দিচ্ছি ,শুনুন । আমাদের মূলধারার বাণিজ্যিক চলচ্চিত্রে গতানুগতিক ধরনের বাহিরে অসংখ্য দর্শকনন্দিত ছবি আছে যা অনেকেরই অজানা। ১৯৮৯ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘ক্ষতিপূরণ’ ছবিটি তারই একটি প্রমাণ যে ছবিটি সাধারন সিনেমা দর্শক থেকে সমালোচক সবার প্রশংসা কুড়িয়েছিল এবং যে ছবিটা জাতীয় চলচ্চিত্রের একাধিক শাখায় পুরস্কারও অর্জন করেছিলেন । সম্প্রতি সালমান খানের ‘বজরঙ্গি ভাইজান’ ছবিটি দেখে যারা কাঁদেন তাঁদের বলবো দয়া করে আমাদের স্বল্প বাজেটে নির্মিত ‘ ক্ষতিপূরণ’ ছবিটি একবার দেখুন ।

১৯৮৯ সালের কোন এক বিকেলে সপরিবারে গিয়েছিলাম সিলেটের ‘মনিকা’ সিনেমা হলে যথারীতি মুক্তিপ্রাপ্ত নতুন ছবি ‘’ক্ষতিপূরণ’’ দেখতে । ছবিটির নায়ক ছিলেন আলমগীর ও নায়িকা রোজিনা । কিশোর বেলার সেই সময় আলমগীর আমার সবচেয়ে প্রিয় একজন নায়ক যার ছবি মানেই অসাধারন কিছু । সেদিন ছবিটি দেখার আগ পর্যন্ত ভাবতে পারিনি কি চমক অপেক্ষা করছিল আমাদের জন্য ও সিনেমা হল ভর্তি সকল দর্শকদের জন্য । যাই হোক , টেলিসামাদ ও আবুল খায়েরের অলিম্পিক ব্যাটারি ও গোল্ডলিফের বিজ্ঞাপন দুটো শেষে জাতীয় পতাকা প্রদর্শন শেষে ছবি শুরু হলো ।

ছবির গল্পটি সংক্ষেপে এমন – আলমগীর একজন চিত্রশিল্পী যার স্ত্রী ও সন্তান মারা গেছে। সন্তান মারা যাওয়ায় প্রিয়তমা স্ত্রী সন্তানের শোকে একদিন আত্মহত্যা করেন। স্ত্রী’র মৃত্যু নিয়ে আলমগীরকে পুলিশও সন্দেহ করে । বিশাল বাড়ীতে আলমগীর একাই থাকেন । শোকে দুখে আলমগির প্রতিরাতে মদ খেয়ে মাতাল হয়ে বাড়ীতে ফেরে। একদিন মাতালবস্থায় বাড়ী ফেরার পথে রাস্তার ধারে একটি ৫/৬ বছরের বয়সী শিশুকন্যাকে কুড়িয়ে পায় । বাসায় নেয়ার পর আলমগীর জানতে পারে মেয়েটি বোবা । মেয়েটিকে নিজের মেয়ে ‘কবিতা’ নাম দিয়েই লালন পালন করতে শুরু করে কিন্তু এই মেয়েটিকে বাড়ী আনার পর থেকেই ঘটতে থাকে একের পর এক ঘটনা । কারা যেন মেয়েটিকে ছল বলে কৌশলে আলমগিরের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিতে চায় মেয়েটিকে খুন করতে চায় । আলমগির নিজেও ভেবে পায়না কেন এই নিস্পাপ শিশুটির পেছনে এতো শত্রু । ঘটনাক্রমে একদিন মেয়েটির ছোট খালা রোজিনার সাথে আলমগিরের পরিচয় হয়। রোজিনা মেয়েটিকে গাড়ীতে একা বসে থাকতে দেখে মায়ায় পরে যায় এবং কবিতাকে নিয়ে শপিংমলে ঘুরে বেড়ায় যেভাবে রোজিনার সাথে আলমগিরের পরিচয়। রোজিনাও জানে না যে এই শিশুটি তাঁর মেঝো বোনের মেয়ে যাকে বিদেশ থেকে আসার পর রোজিনা ও তাঁর বড় বোন রোজী আফসারি খুঁজছে। শিশুটিকে নিতে ছদ্মবেশে দিলদার ও তাঁর স্ত্রী আলমগিরের বাড়ীতে হানা দেয় এবং নিজেদের শিশুটির মা বাবা দাবী করে । কিন্তু দিলদার যখন মেয়েটিকে বাবা বলে ডাকতে বলে তখনই আলমগিরের সন্দেহ হয়। অর্থাৎ খুনি চক্র দিলদারকে টাকার বিনিময়ে মেয়েটিকে অপহরণ করতে পাঠায়। একদিন খুনি চক্রের সাজানো নারী অপহরণ ঘটনায় সন্দেহে জেলে যায় আলমগির । মেয়েটির দায়িত্ব নেয় রোজিনা এবং আলমগির রোজিনাকে বলে যেন যে ভাবেই হোক কবিতার দিকে যেন খেয়াল রাখে । রোজিনা কবিতাকে নিজেদের বাড়ীতে নিয়ে আসার পর রোজী কবিতাকে চিনে ফেলে এবং রোজিনাকে জানায় এই সেই তাঁদের মেঝো বোন দিলারার মেয়ে। মেঝো বোনের নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় থানায় আগেই জিডি করে রেখেছিল রোজী ।রোজী কবিতাকে খুঁজে পাওয়ার ঘটনা পুলিশকে জানায় এরপর বের হয়ে আসে অন্য রোমহর্ষক ঘটনা । কে বা কারা কবিতার মা ও বাবাকে মেরে নিজেদের বাড়ীর বাগানের পেছনে মাটি চাপা দিয়ে রেখেছিল যাদের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ । পুলিশ সন্দেহ করে আলমগীরকে কিন্তু বোবা শিশুটির আচরণে বুঝিয়ে দেয় আলমগির খুনি নয় বরং আলমগিরের কাছে সে সবচেয়ে বেশি নিরাপদ । আলমগিরও সেদিন প্রথম জানতে পারে কুড়িয়ে পাওয়া বোবা শিশুটিকে কেন বারবার একটি চক্র ছিনিয়ে নিতে চেয়েছিল আলমগিরের কাছ থেকে । আলমগির পুলিশের জেলে যাওয়ার পথে পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে পালিয়ে যায় । কামারের ঘরে হাতকড়া খুলতে এসে দেখা পেয়ে যায় কামাররুপী দিলদার’কে যে একদিন কবিতার বাবা সেজে আলমগিরের বাড়ী থেকে কবিতাকে অপহরণ করতে গিয়েছিল। আলমগির দিলদারের কাছ থেকে জানতে পারে যে এক দাঁড়িওলা লোক তাঁকে টাকার বিনিময়ে এই কাজ করতে বাধ্য করেছিল। অভাবে পরে দিলদার সেদিন রাজী হয়েছিল। দিলদারের কাছ থেকে ধারনা পেয়ে আলমগির একজন লোকের একটি ছবি আঁকে যাকে সে একদিন রাস্তায় দেখেছিল এবং যে লোকটিকে দেখামাত্রই শিশু কবিতা ভয় পেয়ে গিয়েছিল । রাতের আঁধারে রোজিনার সাথে দেখা করতে এসে সব খুলে বলে কেন সে পালিয়েছে এবং সাদা একটি কাগজে একজন দাঁড়িওয়ালা লোকের ছবি এঁকে স্ক্রেচটি রোজিনার হাতে তুলে দিয়ে বলে ‘’তুমি কবিতাকে এই ছবিটা দেখিয়ে জানার চেষ্টা করবে কবিতা এই লোকটিকে চিনে কিনা? ‘’ আলমগিরের কথামতো রোজিনা হাতে আঁকা ছবিটি কবিতাকে দেখাতেই কবিতা ভয় পেয়ে যায় যাতে বুঝতে বাকী নেই কবিতা আলমগিরের হাতে আঁকা ছবির মানুষটিকে চিনে যাকে একদিন রাস্তায় দেখে আলমগিরের সাথে থাকা শিশু কবিতা আঁতকে উঠেছিল । ………

এরপর শুরু হয় কবিতার মা বাবাকে খুন করার রহস্য উদ্ঘাটন ও খুনিদের ধরার আলমগিরের অভিযান যে নিস্পাপ শিশুটির মা বাবা হারানোর ‘’ক্ষতিপূরণ’’ বুঝিয়ে দিতে চায় এবং অবশেষে খুনি ড্যানি সিডাক ও আহমেদ শরীফের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে ছবিটি শেষ হয় এবং চাঞ্চল্যকর একটি খুনের রহস্য উদ্ঘাটন ও খুনিদের জীবন বাজী রেখে ধরিয়ে দেয়ার পুলিশের হেফাজত থেকে পালিয়ে যাওয়া ফেরারি আসামী আলমগিরকে পুলিশ বিভাগ ক্ষমা করে দেয় । শিশু কবিতা আলমগির ও রোজিনার মাঝে তাঁর হারানো মা বাবাকে খুঁজে পায় । এভাবেই সেদিন রুদ্ধশ্বাস এক গল্পের সহজ সরল কিন্তু অসাধারন নির্মাণের ছবি ‘’ক্ষতিপূরণ’’ ছবিটি দেখে তৃপ্তি নিয়ে দর্শক সিনেমা হল থেকে বের হয়েছিল । যে ছবিটির টাইটেলের শুরুতে পরিচালক মালেক আফসারি ‘’একটি বিদেশী ছবির ছায়া অবলম্বনে’’ লিখে না দিলে কেউ সহজে বুঝতেই পারতো না ছবিটি বাংলাদেশের গল্প নয় কারণ বিদেশী ছবির গল্প হলেও পুরো ছবিটি ছিল বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে নির্মিত ছবি । সেদিন কিশোর বয়সে ছবিটি দেখলেও আজো ছবিটির স্মৃতি বারবার চোখে ভাসে কারণ বিস্মিত হয়ে গিয়েছিলাম বাংলাদেশের বাণিজ্যিক সিনেমার ব্যতিক্রমধর্মী ছবিটি দেখে।

২) দেশপ্রেমিকঃ কাজী হায়াত নামের বাংলাদেশের মূলধারার বাণিজ্যিক চলচ্চিত্রে একজন অসাধারন পরিচালক আছেন যা আজকের ডিজিটাল চলচ্চিত্রের তথাকথিত মেধাবী গোষ্ঠীর অনেক ডিজিটাল নির্মাতারা স্বীকারই করতে চান না। এই সকল নব্য মেধাবীরা মনে করে যে উনারা আজ যা দেখাচ্ছেন সেটাই মূলত চলচ্চিত্র আর কাজী হায়াত ও তাঁর সমমনা যারা ছিলেন তাঁরা সব বস্তাপোঁচা ছবি দেখিয়েছেন আমাদের !!! যা তাঁদের চরম মূর্খতার প্রমাণ দেয় । আমাদের নতুনধারার চলচ্চিত্রে এমনও কিছু নির্বোধ আছে যারা বলে ‘’ তখন (৮০/৯০ দশক) বাণিজ্যিক চলচ্চিত্রে ‘’ So called মেধাবী‘’ ছিল যারা আসলে মেধাবী না ‘’ যা শুনে হাসবো না কাঁদবো ভেবে পাইনা। যারা মনে করেন বাংলাদেশের বাণিজ্যিক চলচ্চিত্র কিছু গতানুগতিক ফর্মুলার ছবি তাঁদেরকে বলবো ‘’দেশপ্রেমিক’’ ছবিটা পারলে একটু দেখেন ।
কাহিনী সংক্ষেপঃ আলমগির একজন চিত্রপরিচালক । সংসারে স্ত্রী (ডলি জহুর) ও এক শিশু কন্যা (চম্পা) নিয়েই সুখেই আছেন । স্ত্রী ডলি জহুর শিল্পপতি পিতার একমাত্র মেয়ে হওয়া সত্ত্বেও বাবার অমতে খুব সাধারন আলমগীরকে ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন । যিনি আলমগিরকে নিয়ে গর্ব করেন। শ্বশুর আরিফুল হকের কাছে আলমগির হলো পৃথিবীর সবচেয়ে নির্বোধ ব্যক্তি । যিনি পরিচালক আলমগীর’কে পছন্দ করেন না। আলমগির ‘দেশপ্রেমিক’ নামের একটি নতুন ছবি নির্মাণ করছেন যা ছিল নষ্ট সমাজ ও নষ্ট রাজনীতির এক সাহসী চিত্রায়ন। কিন্তু ছবিটি মুক্তির আগেই সমালোচিত হয় সরকারের পক্ষ থেকে । আলমগীর’কে তথ্যমন্ত্রী বাসায় ডেকে নিয়ে ছবিটি মুক্তি না দিতে অনুরোধ জানায় এবং এর বদলে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা প্রাপ্তির নিশ্চয়তা দেন । আলমগীর তথ্যমন্ত্রীর প্রস্তাব সরাসরি ফিরিয়ে দেন এবং শুরু করেন ছবিটি মুক্তি দেয়ার প্রক্রিয়া । কিন্তু সরকারের নির্দেশে তাঁকে এফডিসির ল্যাবে ছবিটি প্রিন্ট করতে দেয়া হয় না। পদে পদে আলমগির বাধাগ্রস্থ হোন। কোন প্রযোজক ,পরিবেশক ছবিটির বাকি কাজ শেষ করতে অর্থ প্রদানে আগ্রহী হয় না। আলমগির বিদেশ থেকে ছবিটি প্রিন্ট করিয়ে আনার জন্য এফডিসির সম্পাদক আশিস কুমার লৌহের কাছ থেকে টাকা ধার নেন এবং স্ত্রীর গহনা বিক্রি করে বাকি টাকা যোগাড় করেন । সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা যখন দেখলেন কোন ভাবেই আলমগীরকে থামানো যাচ্ছে না তখনই রাতের অন্ধকারে ঘর থেকে পুলিশ গ্রেফতার করে নিয়ে যায় এবং একটি স্বর্ণচোরাচালানের মামলায় জড়িয়ে দেয়। রিমান্ডের নামে চলে পুলিশের অমানুষিক নির্যাতন । স্ত্রী ও সন্তানের কথা চিন্তাকরে পুলিশের কথায় মিথ্যা স্বীকারোক্তি দিতে রাজী হয় । স্বীকারোক্তি দেয়ায় আলমগীরের ২০ বছরের জেল হয় । আলমগির চলে যান অন্ধকার কারাগারে । স্ত্রী ডলি জহুর শিল্পপতি বাবার সহযোগিতায় একমাত্র মেয়েকে নিয়ে চলে যান দেশের বাহিরে।

২০ বছর বৃদ্ধ আলমগীর জেল থেকে বের হোন এবং ঠিকানাবিহীন ভাবে পথে পথে ঘুরেন । একদিন শ্বশুরবাড়ীতে যান স্ত্রী ও মেয়ের খোঁজে । শ্বশুর তাঁকে তাড়িয়ে দেন । আলমগিরের মেয়ে চম্পা বিদেশ থেকে ফিরে আসে এবং তাঁর বাবাকে খুঁজে বেড়ায় । চম্পার বন্ধু হিসেবে পাশে দাঁড়ায় মান্না। মান্না ও চম্পা সারাদিন আলমগির’কে খুঁজে বেড়ায় । নানা ঘটনা ও নাটকীয়তায় ছবিটা এগিয়ে যায় এবং একসময় চম্পা তাঁর বাবা আলমগিরকে খুঁজে পায়। আলমগীরকে খুঁজে পেয়ে নানা আরিফুল হক’কে ছেড়ে আলাদা ভাবে বৃদ্ধ বাবাকে নিয়ে বসবাস করতে থাকে এবং আলমগীরকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আনার চেষ্টা করে। চম্পা আলমগীরের নির্মিত সেই ‘দেশপ্রেমিক’ ছবিটা মুক্তির প্রক্রিয়া নতুন করে শুরু করে যা ছিল আলমগিরের স্বপ্ন । এরমধ্য আলমগির আক্রান্ত হোন মরনব্যাধি রোগ লিভার ক্যান্সারে। মৃত্যুপথযাত্রী আলমগিরের ছবি মুক্তি পায় এবং দর্শকদের মধ্যে সাড়াফেলে। দর্শকরা আলমগিরের প্রতি যে অন্যায় করা হয়েছে সেই অন্যায়ের বিচার দাবী করে । চীনের বেইজিং তে আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে আলমগিরের ছবিটি পুরস্কার লাভ করে যা চম্পা আলমগিরের পক্ষ থেকে পুরস্কার গ্রহন করেন । আলমগির পুরস্কারটি হাতে নিয়ে ধীরে ধীরে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন এবং চিরবিদায়ের আগে সবার কাছে অনুরোধ করেন যে ‘’ কখনও শিল্পীর কণ্ঠকে স্তব্দ করতে যেও না। তাঁর উপর যে অন্যায়টা করা হয়েছে আর কোনদিন যেন শাসকগোষ্ঠীর এমন নির্যাতন কোন শিল্পীর জীবনে না ঘটে ।‘’ সবশেষে মেয়ে চম্পা , মান্না, আশিস কুমার লৌহ সহ সকল শুভাকাঙ্ক্ষীদের নিয়ে আলমগির সমবেত কণ্ঠে ‘’ ও আমার দেশের মাটি, তোমার পরে ঠেকাই মাথা’’ গানটি গাইতে গাইতে মৃত্যুবরণ করেন । ছবির শেষ দৃশ্যটি ছিল আমার দেখা সেরা ৫ টি শেষ দৃশ্যর একটি যা ছিল বাংলা বাণিজ্যিক চলচ্চিত্রের অন্যতম ক্লাসিক সমাপ্তি। একটি মূলধারার বাণিজ্যিক বিনোদনধর্মী ছবি অথচ মারপিট ছাড়াই কত চমৎকার সমাপ্তি ভাবা যায়?

ছবিটা আলমগীরের জীবনের সেরা অভিনয় সমৃদ্ধ একটি ছবি এতে কোন সন্দেহ নেই । চম্পা, মান্না, মিজু আহমেদ, আরিফুল হক প্রতিটা চরিত্র সাবলীল অভিনয় করেছেন । আলমগিরের পর চম্পা ছিলেন ছবিতে অনবদ্য । পুরো ছবিটা কাজী হায়াত খুব যত্ন করে বানিয়েছেন সেটা স্পষ্ট। ছবিতে কাজী হায়াত একটা নির্দিষ্ট গল্প ছক বেঁধে নির্মাণ করেছেন এবং কাহিনি,সংলাপ ও চিত্রনাট্য এই তিনটি মূল বিষয়ের উপর কাজী গুরুত্ব সহকারে কাজ করেছেন যার ফলে ছবিটি পর্দায় মনে হয়েছে কোন বাস্তব ঘটনা আড়ালে থেকে ক্যামেরাবন্দি করা হয়েছে । একবারও মনে হয়নি পর্দায় যা দেখছি তা কোন ছবির গল্প যা বাস্তবে মিথ্যা । প্রতিটা দৃশ্য বাস্তবতার সাথে মিল রেখে কাজী এগিয়েছেন । মূল বক্তব্যটা শিক্ষিত , অশিক্ষিত কোন শ্রেণীর দর্শকদের কাছেই দুর্বোধ্য ছিল না । সব শ্রেণীর মানুষগুলোর চেহারায় পর্দার আলমগিরের জন্য একটা হাহাকার স্পষ্ট দেখা গেছে। এখানেই পরিচালক সফল । ছবির যে বিষয়বস্তু সেটা আজ থেকে ২১ বছর আগেও যেমন ছিল এখন তাঁর চেয়েও বেশি /প্রকট । সালমান ,সানি, রুবেল,মান্না’র সেরা সময়ে সিনিয়র অভিনেতা আলমগির’কে কেন্দ্র করে ছবি বানানো এবং কোন খলনায়কের কুটলামি ও প্রতিশোধ নির্ভর ছবির ভিড়ে খলনায়ক ছাড়া সম্পূর্ণ একটি ব্যতিক্রমধর্মী গল্প নিয়ে সব শ্রেনির দর্শকদের মন জয় করার মতো কঠিন চ্যালেঞ্জ কাজী হায়াত খুব দারুন ভাবেই সফল হয়েছিলেন। মান্নার ‘দেশপ্রেমিক’ ছবিটা দেখে আজকের চলচ্চিত্রের তথাকথিত ১নং নায়ক ও তাঁর ভক্তদের সেখা উচিৎ কিভাবে ক্যারিয়ারের তুঙ্গে থাকাবস্থায় একজন নায়ক নিজেকে পার্শ্ব চরিত্রে রেখে অভিনয় করে দর্শকদের প্রশংসা কুঁড়াতে পারে । ক্যারিয়ারে সস্তা জনপ্রিয় ছবি অনেক পাওয়া যাবে কিন্তু মনে দাগ কাটার মতো চলচ্চিত্রে অভিনয়ের সুযোগ বারবার আসেনা যা মান্না সেইসময় নিজের বুদ্ধিমত্তার প্রমাণ দিয়েছিলেন ।

আজাদ রহমানের সুর সঙ্গীতে ছবির গানগুলো ছিল মানানসই। কাজী হায়াত এর আগে তাঁর চলচ্চিত্রে বিদ্রোহী নজরুলকে বারবার এনেছিলেন আর দেশপ্রেমিক ছবিতে আনলেন বিশ্ব কবি রবীন্দ্রনাথকে ।দেশপ্রেমিক ছবিতে রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যার কণ্ঠে একাধিক রবীন্দ্র সঙ্গীতে ছিল । বিশেষ করে ডলি জহুর যখন তাঁর শিশু কন্যাকে গান ‘‘’ মম চিত্তে নিতি নৃত্যে কে যে নাচে / তা তা থৈ থৈ , তা তা থৈ থৈ , তা তা থৈ থৈ ......’’ শেখাচ্ছিল এবং আলমগির যখন ছবি মুক্তি দেয়ার দেয়া জন্য হন্য হয়ে টাকা খুঁজছিলেন সেই সময়ে আবহে ‘’ সংকটেতে বিহবলতা নিজেরই অপমান’’ রবীন্দ্র সঙ্গীত দুটো ছবির দৃশ্যগুলো ছিল দারুন চিত্রায়ন । এই ছবিতে কাজী হায়াত ‘’ তুমি দেখেছো কভু ‘’ গানটিকেও নতুন করে নির্মাণ করেন যা ছবির গল্পের সাথে সম্পূর্ণ সামঞ্জস্য বজায় ছিল । এমন একটি বিষয়বস্তু চলচ্চিত্র নির্মাণের জন্য খুবই বিপদজনক একজন পরিচালকের জন্য ,অথচ কাজী হায়াত সেই কঠিন বিষয়টাকেই বাণিজ্যিক বিনোদনধর্মী ছবির বিষয়বস্তু হিসেবে নিয়েছেন এবং তা সার্থকভাবে নির্মাণ করে সফলও হয়েছেন । এমন বিষয়বস্তু নিয়ে ছবি কোন বিকল্পধারার পরিচালকদেরও কোনদিন নির্মাণ করতে দেখিনি ,হয়তো দেখবোও না। এমন একটি বলিষ্ঠ বক্তব্যর সাহসী ছবি হয়তো আমাদের বাণিজ্যিক চলচ্চিত্রে আর দেখা যাবে না ।

সত্যি কথা বলতে ‘’দেশপ্রেমিক’’ ছবিটা সম্পর্কে লিখে বর্ণনা করে বুঝানো সম্ভব নয় যে ছবিটি কত অসাধারন ছিল ।ছবিটি মুক্তি পেয়েছিল আজ থেকে ২১ বছর আগে । আজ ২০২০ সাল অথচ আজ আমরা বাস্তবে একাধিক ঘটনা দেখছি ‘দেশপ্রেমিক’ ছবিটার গল্পের চিত্র । রাষ্ট্রশক্তির মতামত উপেক্ষা করে বা বিরোধিতা করলে কিছু প্রকাশ করতে গেলে সাংবাদিক, রাজনৈতিক নেতা সহ সাধারন মানুষের উপর কি রকম নির্যাতনের খড়গ নেমে আসে যা এক কথায় জনগণের মৌলিক অধিকার বাকস্বাধীনতা’র হরনের বাস্তবচিত্র। সরকারের রোষানলে পড়ে আজ অনেক সংবাদপত্র, টিভি চ্যানেল বন্ধ রয়েছে । রাজনৈতিক নেতাকর্মী থেকে শুরু করে সাংবাদিক, শিল্পী, টেলিভিশন চ্যানেলের মালিক সহ সাধারন অনেক মানুষকে আজ আমরা জেলে যেতে দেখেছি । অথচ আজ থেকে ২৬ বছর আগে বাংলা মূলধারার বাণিজ্যিক চলচ্চিত্রের গুণী পরিচালক কাজী হায়াত তাঁর ‘’দেশপ্রেমিক’’ ছবিটার মাধ্যমে বাকস্বাধীনতা হরনের নির্মম এক চিত্র সেলুলয়েডের ফিতায় বন্দি করেছিলেন যা দেখে সেদিন অসংখ্য দর্শকের চোখে অস্রু এসেছিল । শুধু টাই নয় ছবিটা সব শ্রেণীর দর্শকসহ সমালোচকদের প্রশংসা পেয়েছিল যার ফলে ‘দেশপ্রেমিক’ ছবিটি ১৯৯৪ সালের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে হুমায়ুন আহমেদ এর ‘আগুনের পরশমনি’’ এর সাথে ‘শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র’ পুরস্কারের শাখায় ভাগ বসিয়েছিল এবং একাধিক শাখায় পুরস্কার লাভ করেছিল যা হলো – যৌথভাবে শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র, শ্রেষ্ঠ অভিনেতা (আলমগির), শ্রেষ্ঠ পরিচালক (কাজী হায়াত), শ্রেষ্ঠ চিত্রনাট্যকার (কাজী হায়াত) ।

২৬ টি বছর আগে সিলেটের নন্দিতা সিনেমায় দেখেছিলাম এরপর আর দেখা হয়নি ছবিটি, কিন্তু এখনও বাংলা বাণিজ্যিক ছবির গল্প উঠলে আমি ‘’দেশপ্রেমিক’’ ছবিটাকে মনে করি । খুব ইচ্ছে করে এমন একটি ছবি আবার আমাদের চলচ্চিত্রে দেখতে কিন্তু এমন ছবি বানানোর সাহসী ,দূরদর্শী নির্মাতা,প্রযোজক আমাদের দেশে নেই । প্রযোজক শেখ মুজিবুর রহমান (হাসনাবাদ কথাচিত্র) এর অন্যতম সেরা ও সফল ছবি ‘দেশপ্রেমিক’ । পুরো ছবিতে কাজী হায়াত এমন কিছু বিষয়ের অবতারনা করেছেন যা আপনাকে ভাবাবেই।

সেদিনের ‘’দেশপ্রেমিক’’ ছবিটার গল্প যেন আজ অহরহ ঘটছে । শাসকগোষ্ঠীর রোষানলে পরে একজন মেধাবী মানুষের জীবন কি ভাবে তছনছ হয়ে যায় সেটা ‘’দেশপ্রেমিক’’ ছবিতে সাহসিকতার সাথে তুলে ধরতে পেরেছিলেন কাজী হায়াত । কাজী হায়াত ছবিটির মাঝে বারবার বলতে চেয়েছেন জনগণের বাকস্বাধীনতা হরন করা কোন সমাজ, রাষ্ট্র, ব্যক্তিজীবন কোন কিছুর জন্যই সুফল বয়ে আনে না। আমাদের রাষ্ট্রে যখন বাকস্বাধীনতা থাকে না তখন সমাজে নানাক্ষেত্রে অসংগতি দেখা দেয় যা নিয়ে কেউ কোন কথা বলতে পারেনা। শাসকগোষ্ঠী থেকে যায় সকল জবাবদিহিতার ঊর্ধ্বে ফলে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হওয়া সম্ভবপর হয়না । ‘দেশপ্রেমিক’ ছবিটার মতোই আজ শাসকগোষ্ঠীর রোষানলে পরে অনেক মেধাবী মানুষ অকালে হারিয়ে যাচ্ছেন যার প্রতিবাদ আমরা করতে শিখিনি । আমাদের এই ব্যর্থতার কারণে শাসকগোষ্ঠী যেন আজ আমাদের বুকে পাথর হয়ে বসে আছে । আজ ‘ডিজিটাল চলচ্চিত্র’ নামের যেসব চলচ্চিত্র তথাকথিত মেধাবীরা তৈরি করছে তাঁদের বলবো কাজী হায়াতের ‘’দেশপ্রেমিক’’ ছবিটার মতো জীবন ঘনিষ্ঠ সাহসী একটি বাণিজ্যিক ছবি আজ নির্মাণ করে দেখান তো ? জানি পারবেন না , কারণ ঐ তথাকথিত মেধাবীরা আসলে কি সেটা গত ১০ বছরে বারবার প্রমাণ হয়েছে যারা বাংলাদেশের মূলধারার বাণিজ্যিক ছবির ইতিহাসটাই জানে না সঠিক ভাবে । ভালো ছবি বানাতে গেলে ‘বিকল্পধারা’ বা ‘অফট্র্যাক’ যাওয়া লাগে না এবং টেলিভিশনের নাট্যশিল্পীদের দিয়ে অভিনয় করানো লাগে না। ভালো ছবি বানানোর মেধা থাকলে সব শ্রেণীর দর্শকদের জন্য মূলধারার বাণিজ্যিক ছবির অভিনেতা অভিনেত্রীদের দিয়েই মনে দাগ কাটার মতো বাণিজ্যিক ছবি নির্মাণ করা যায় ।
১৯৯৪ সালে দেশপ্রেমিক যে পুরস্কারগুলো পেয়েছিল -
সেরা চলচ্চিত্র - আগুনের পরশমণি ও দেশপ্রেমিক
সেরা পরিচালক - কাজী হায়াৎ (দেশপ্রেমিক)
সেরা অভিনেতা - আলমগীর (দেশপ্রেমিক)
সেরা চিত্রনাট্যকার - কাজী হায়াৎ (দেশপ্রেমিক)।

৩) পিতা মাতা সন্তানঃ বাংলাদেশের বাণিজ্যিক চলচ্চিত্রের ৯০ দশকের নিয়মিত দর্শক যারা তাদের কাছে ‘পিতা মাতা সন্তান’ শুধু একটি সাধারন কোন ছবির নাম নয় বারবার চোখে জল আনা একটি জীবনঘনিষ্ঠ অসাধারন ছবির নাম যা আজো সুযোগ পেলে ঐ দর্শকরা দেখতে বসেন । ‘পিতা মাতা সন্তান’ কেমন ছবি সেটা দেখার আগে যদি আজকের কোন খুঁতখুঁতে বিজ্ঞ দর্শক জানতে চান তাহলে তাঁকে বলবো ১৯৯১ সালের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের তালিকাটা দেখে নিতে পারেন যে ছবিটা শ্রেষ্ঠ পরিচালক ,অভিনেতা সহ একাধিক পুরস্কার পেয়েছিল যা সেই বছরের শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র ‘পদ্মা মেঘনা যমুনা’ পায়নি । ১৯৯১ সালের শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র হয়েছিল চাষি নজরুল ইসলামের অমর সৃষ্টি ‘পদ্মা মেঘনা যমুনা’ ছবিটি কিন্তু উক্ত ছবির জন্য চাষি শ্রেষ্ঠ পরিচালক হতে পারেননি তার কারণ ছিল এ জে মিন্টুর ‘পিতা মাতা সন্তান’ ছবিটি । চাষির ছবিটা দারুন কোন সন্দেহ নাই কিন্তু ‘পিতা মাতা সন্তান’ ছবিটা যে শুধু একটি ছবি ছিল না , ছিল জীবনের কিছু কঠিন বাস্তবতা, মানুষের মানবিক ও আত্নিক সম্পর্কের টানাপড়েন নিয়ে দর্শকদের কিছু নির্মম প্রশ্নের মুখোমুখি করে দেয়ার অসাধারন কিছু । শুধু ‘পদ্মা মেঘনা যমুনা’ নয় , ৯১ সালের জাতীয় পুরস্কারের তালিকায় ছিল কাজি হায়াতের আগুনঝরা ‘দাঙ্গা’ চলচ্চিত্রটিও কিন্তু সেই আগুন ঝরা ছবিটিকেও মিন্টু পেছনে ফেলে দিয়ে শ্রেষ্ঠ পরিচালকের পুরস্কার ৩য় বারের জন্য অর্জন করেছিলেন । আর ছবিটির প্রান অভিনেতা আলমগিরও পেয়ে যান শ্রেষ্ঠ অভিনেতার পুরস্কার অথচ সেইবছর আলমগিরের অভিনীত অচেনা, সান্ত্বনা, লাখে একটা, স্ত্রীর পাওনা’র মতো একাধিক সেরা ছবি ছিল ।

লেখাঃ Fazlay Alahi ভাই💜

Address

Chittagong
7077

Website

Products

Short Films ,TVC, Feature Films, Drama

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when WOS Production in Bangladesh posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to WOS Production in Bangladesh:

Videos

Share

Our Story

WOS Production is an enterprise of Kamal Square Group, which is established by IFTHEKAR KAMAL and SHUVO ISLAM


Other Broadcasting & media production in Chittagong

Show All