05/12/2023
সুপথ
-মুহাম্মদ মিজান-উর-রহমান রুবেল
……………………………..
“বিসমিল্লাহ” তে দেখো কতো মহিমা
এই দোয়ার বরকতে বাঁচিলো রহিমা।
ফেরআউন প্রাসাদে লেখা ছিল এ আয়াত
তার তরে বেড়েছে জেনে নাও তার হায়াত।
ফেরআউন স্ত্রী; নাম বিবি আছিয়া
ফুটন্ত তৈল হতে গেল ওরে বাঁচিয়া।
খালেদে বেঁচে গেল করেও বিষপান
যায়েদ ইবনে হারেস তার বলে পেল ত্রান।
মহাপ্লাবন হতে নূহ, মুক্তি যে পাইলো
এ আয়াত মুখে তুলে কত পাখি গাইলো|
…………………………………………
আরশ কুরসী সৃজিলে তো যতনে
ভরেছো এ বসুমতি নানাবিদ রতনে।
মহাকাশ সাজালে জ্বলজ্বল তারাতে
কি তার সুর ঢেউ নদী জলো ধারাতে।
পাখিদের কলতানে ভরে ধরা ছন্দে
হাওয়ারা মুখরিত পুষ্প সুগন্ধে।
শিশিরে ভেসে যায় পৌষের প্রান্তর
কত খেলা খেলে যায় সারাবেলা অন্তর।
বাদলে কেঁপে উঠে কদমের চর্ম
রাত আনে বারতা, বুঝে কে তার মর্ম।
জীবনের কাব্যিক দিশা ফুটে আঁধারে
মন তার সব দেখে, মানতেই বাধারে।
স্বরচিত পাঠ সবে পড়বে কো হাশরে
কেউ পড়ে সেজদায়, কেউ মদ আসরে।
আপনাতে ধিক্কার কি তোর জমাতে!
কি দেখে রহমান, নিবে তোকে ক্ষমাতে।
পাঠ পড়ে কাঁদবে, চোখে জল তপ্ত
আজ আয়ু নিবে গেছে, বাণী বিলুপ্ত।
অগ্নির দহনে কায়া হবে ঝাঁঝরা
প্রস্তর বহনে ভেঙে যাবে পাঁজরা।
সর্প দংশনে বিষে নীল চর্ম
স্রোতোধারায় বহে যাবে পুঁজ-মল-ঘর্ম।
সন্তরণ করে নাই বাঁচা সাধ্য
মনে পড়ে আজ হায় ছিলাম অবাধ্য।
যারা ছিলো সেজদায় রহমানের প্রান্তে
বেহেস্তি হলো আজ বিচারের অন্তে।
তুপ্তির হাসি নিয়ে হলো তারা শান্ত
ধরা লোভে মজেনি, চলেনি পথ ভ্রান্ত।
…………………………………………
দাও গো অন্ন ও ইয়া রাযযাক্ব
সব ক্ষুধা গ্লাণিতা মুছে যাবে যাবে যাক।
ডুবে যেন না মরি নিশা গাঢ় অমাতে
ও ইয়া গাফুরু, পাপ লও ক্ষমাতে।
সাফল্য চারিধার করে যেন ঘুরঘুর
ও ইয়া আহাদু, সব ভয় করো দুর।
……………………………………….
চিৎকার করে পাখি গায় শুন তশাহহুদ
কানে কি তোর গেল না, ওরে বোকা নির্বোধ।
তখত তাউসে পেতে চাস যে প্রণাম
অগ্নির দোজখে লেখা রবে তোর নাম।
দু:খে জ্বলা বুক, করো তার শান্ত
দরবারে তব যে বাহু তুলে কানতো।
নারী-পুরুষ সবে সম, ইসলামই বলে
সন্তানের স্বর্গ মায়ের পা তলে।
মাতা-পিতা বৃদ্ধ হলে কারো কোন রূপ
বিরক্তি টেনে নিয়ে যাবেনা করা উফ।
যথাযথ সম্মান তাদের না দিলে
আল্লার প্রেমে আর কি প্রাণ বাঁধিলে।
………………………………………
জাবালে রহমত আজো চোখে ভাসিলো
হাওয়াকে পেয়ে আদম যবে রে হাসিলো।
এই এ ছায়া পথ, ঐ দূর গগণে
জানি নাই কি সুর বহিলো সে লগনে!
মেঘপাতার ছায়া ধরে ধরা ছিল শান্ত
ডালা ভরে হুরীরা কি ফুল আনতো!
নদী এনে ঢেউ দিতো, গান দিতো পাখিরা
কেউ মালা গলে দিতো, সুর দিতো বাকিরা।
…………………………………………
“বরজখ” ভেসে গেল পাপীদের কান্নায়
আজ সব নিয়ে যাও, পাপ মনে আর নাই।
জাবালুন নুর কেন নিরব হলো আজকে
মিকাঈল করো ঝড় রোষানল বাজকে।
ফের তবে জিব্রিল পাঠ করো সে বাণী
গগণে ফুল ঝড় ঝরবে সে জানি।
ইবনে আওয়াম, ফের খুলো তলোয়ার
আল্লাহ ছাড়া প্রভু, কে তুমি বলো আর।
মুসার লাঠিতে ফের ঝরুক ঝর্ণা
তুষ্ণাতে কারবালা কাঁদবে আর না।
নীল নদে ডুববে ফেরআউন পাপীরা
ধৈর্য্যতে ভাল হোক আয়ুবের সে পীড়া।
ফের দেখাও সেই পথ, ওরে পয়গম্বর
তারা ফুলে ভরে যাক ঐ যে নীলাম্বর।
বে এলেম মোরা সব কি করিবো হায়রে
তুমি আছো তবু মোরা খুঁজে কি গো পাইরে!
মরুভূমির বালুতে গেল যারা চলি পা
কোথায় গেল আজ হায় আবু উমর খলিফা।
……………………………………………
বলে প্রভু- কষ্টেও রবে শুধু হালালে
সহে নেবে যত জ্বালা, নিলো যেমন বেলালে।
মনে হোক খচিত কুরআনের বাণী যে
নিরাশ হইওনা, মুছে যাবে গ্লানি যে।
স্বর্গের দ্বার ধরে দাড়িয়ে রেজওয়ান
অতি সে উত্তম, নামাযি যে জোয়ান।
সত্যকে পেল খুঁজে ইমাম বুখারী
বেমালুম আমরা তাই মোরা ভিখারী।
আছে অতি বরকত, সেহেরী খাওয়াতে
রাখো রোজা পুরো মাস, রমজান পাওয়াতে।
ঈমানী আত্মায় যে পড়িবে তারাবী
পূর্বের গুনাহ সব মাফ তোরা তো পাবি।
লজ্জার তাজ পড়ে থাকো সব বান্দা
বিফলে নাহি যায়, মুমিনের কান্দা।
চরিত্রে নেই যার কোমলতা কিঞ্চিৎ
সব রকম কল্যাণ হতে সে রয় বঞ্চিত।
শ্রেষ্ঠ সে পালোয়ান, যে পারে ক্রোধ ধমাতে
গরীবেরও আছে হক ধনীদের জমাতে।
……………………………………….
জানের হুমকি আসলেও কখনো
আল্লার শরীক করিওনা তখনো।
নিজ শির কেটে নিক সে এজিদ কষায়
নমরুদের মস্তক নত হলো সহসায়।
অগ্নিকে শীতল করে দিলে হাওয়ায়ে
খলিলে মুক্তি, দিলে তুমি পাওয়ায়ে।
তোমারই নির্দেশে জ্বলে তারা ঝিলমিল
মরিয়ম তনয় ঈসা পেল ইনজিল।
নরনারী জ্বিন পরী, পশু পাখি দৈত্য
করেছিলে সোলায়মানের সবই আনুগত্য।
নূহের নৌকায় তুলে নাও ফের-আবার
যেন পারি হুতাশনে সেজদায় পড়িবার।
জবুর হলো নাজিল দাউদের উপরে
কাউকে তুমি করো মুমিন, কাউকে আবার কুফরে।
তোমার কুদরতে পক্ষীরা গান গায়
ইসরাফিল বসে আছে প্রলয়ের শিঙ্গায়।
আমল নামা লিখে কেরামন কাতেবীন
স্বর্গের ছায়াতলে কার হাসির বাজে বীণ!
আল্লার প্রেমে মজে পুত্রের নিতে জান
ঐ দেখো উদ্দামে কোন বাবা ছুটে যান।
আজরাঈল কোলে চড়ে উঠে বসে ইসমাঈল
পেতে মোর আল্লাহকে বলো আর কত মাইল!
আরশে বসে প্রভু, দেখছেন সে খেলা
আল্লাহতে প্রেম যার সে নহে একেলা।
………………………………………..
নাঙ্গা রোষানল ফুঁসে উঠে লেলিহ
বীর বেশে ভীরু সবে, চুড়ি পড়ে খেলিও।
সেই নামে তসবীহ, বসে যাও গুনতে
দৌঁড়ে দৌঁড়ে হেঁটে যাও, তাঁর বাণী শুনতে।
এই বলে আবু জেহেল, রাগে কাটে দন্ত
কিসে তার এতো জিদ, এতো অপুরন্ত!
তোমাদের জাগেনা কোন প্রতিহিংসা?
তাঁর খুন খবরে মিটবেকো পিপাসা।
যে তাঁর মস্তক কেটে নেবে জানিবো
সহস্র স্বর্ণ, শত উট দানিবো।
লৌহু জাগে তপ্ত, উমরের শিরাতে
খুন তাঁরে ব্যতীত পারবেনা ফিরাতে।
উমরের গর্জনে উল্লাস জনতার
নাঙ্গা তলোয়ার মস্তক নিবে তাঁর।
ঝড় বেগে উন্মাদ, প্রাণ কাঁপে উমরের
নেচে উঠে হিংসায় হাড় দুই কোমড়ের।
হত্যা নয়কো, লুঠে নবী চরণে
মোহিত হলো হিয়া, ইসলাম বরণে।
…………………………………………….
হায় হায় আবরাহা কি পাপে যে মজিলো
মোর প্রাণ কাবাকে ভাঙিতে যে খুঁজিলো।
দিকে দিকে জ্বালা মুখ হয়ে গেছে হন্য
হাতি-সাথি নিয়ে চলে আবরাহার সৈন্য।
আকাশে আবাবিল পাখি করে গুঞ্জন
আল্লার লীলা বুঝে, ওরে বল কোন্ জন!
…………………………………………….
এই সুর আযানের, আল্লাহু আকবর
মনে উঠে উচ্ছ্বাস, নাই ওরে নাই ডর।
হীন দাগ দীনতা, ধূলি জরা জীর্ণ
সব মুছে এই সুর করে মধু পূর্ণ।
পাখিরা ভুলে গান মত্ত এ সুরেতে
রবি পড়ে সেজদায়, গগণ ঐ দূরেতে।
খরবাজ লাজ পেয়ে, করে তার নত শির
তারকারা শান্ত, তুপ্ত সুস্থির।
ফেরদৌস গন্ধ সেই সুরে ভাসিলো
উচ্ছাসে নদী ঢেউ, ছলছলে হাসিলো।
পরহেজ পাগুলি উদ্দামে ছুটে যায়
ব্যজনীর মতো ডাল রাখে হাওয়া মুঠে তাই।
দীপ আলো এই সুর, সারা এই দুনিয়ার
ভাঙে বাধ চোখ জল, ধ্যানে বসি শুনি আর।
মূর্তিতে পূর্তির পৌত্তলিকেরা
এই সুর কানে গেলে হয়ে যায় দিক হারা।
ইটে মাথা খুটে মরে হাহুঁতাশে হায় হায়
তবু মোর স্রষ্টাকে চিনিতে না তারা পায়।
………………………………………
“আমিন” বলে উঠে তরু লতা তৃণ
করি নাই অর্চনা, কেটে যায় দিনও।
অভাগা এ পাপীরা ফিরিতে এ তওবা
নত করে আজ শির, ভীত প্রাণ সভা।
বলে উঠি সমস্বরে- আল্লাহুস সামাদ
বিস্ময়ে কাঁদে দেখো ধূমকেতু গ্রহ চাঁদ।
সীমার ডুবে মরে লোহু স্রোত সাগরে
আবু লুলু কাঁদছে, উমরের সে ঘরে।
পাষাণে বাঁধি বুক হায় সুহাইব রুমী
তারঁ জানাযার নামায পড়ালে গো তুমি।
আজো কাঁদে সারা বেলা মক্কার মসনদ
যাঁর হুকুম করে তামিল মিসরের নীল নদ।
বনের পাখিরা তুলে তান হাওয়াতে
দ্বিতীয় খলিফা, উমরকে পাওয়াতে।
………………………………………….
গাজীদের রক্তে হলো রাজী লাল
সেই তরে পেয়েছি নতুন সকাল।
আসহাবুস সুফফায় জ্বলেছে বাতি
মোরা নবী উম্মত, শ্রেষ্ঠ জাতি।
জ্ঞান আলো ধরা বুকে পড়ে ছড়িয়া
তাই দেখে নেচে উঠে নীল দরিয়া।
“ফাতহুম মুবিন” তা, যাকে ভাবো হার
বিজয়ের দিন এলো, এলো যে এবার।
বদরের রাঙা রোদ রক্তে নবীন
মুসলিম জাহানের শ্রেষ্ঠ এ দিন।
…………………………………………..
কোথায় তাঁরে আজ খুঁজি, নম্র সে লোকটি
প্রতি নবী কদমে দিলো দাস মুক্তি।
মালাকুন যাঁকে দেখে নত হতো লজ্জায়
আজো মোরা তাঁকে খুঁজি স্বর্গের দরজায়।
…………………………………………..
বিস্মিত হয়ে পড়ি, ভাবি যবে বিজনে
নাই ভুল-বিন্দু, স্রষ্টার সৃজনে।
চন্দ্র সূরর্যড়, গ্রহ ঘেরা ছায়াপথ
নির্ধারিত ক্ষণে, চলে কাল-কায়া-রথ।
………………………………………..
ভুলি নাই দাজলা, খালেদের স্মৃতিতে
কাঁপে জল থরো থরো নেক প্রাণ ভীতিতে।
ঝাঁপিয়ে সেনাদল পড়ে সেই দাজলায়
ভিজলোনা ঘোড়া-খুর ঈমানী কাজলায়।
……………………………………….
নম্র সেই কারুণ নম্র নেই আজ
কিমিয়াগিরি শিখে হলো সে ধনরাজ।
সত্তর উটে নেয়, ধন-চাবি বহিয়া
যাকাত দিতে মুসা গেল তাকে কহিয়া।
অস্বীকার করে কারুণ ধন ক্ষয় বলিয়া
খোদার লানতে গেল ভূতল তলিয়া।
আজো কতো ধনে ধনী, কত বিভিন্ন
তাদের রুহে আজো কারুনী চিহ্ন।
দাম্ভিকতা তাদের বসন ও ভূষণে
সতত জেগে তারা নিজ আয়ু দূষণে।
…………………………………….
ভেবেছিল ওযায়ের, হায় ইয়া রহমান
ধ্বংস এ শহরে কি রূপে দিবে প্রাণ।
শত বছর মৃত রেখে ওযায়েরকে উঠালে
মৃত সেই শহরে নবফুল ফুটালে।
………………………………………..
হযরত খাব্বাব আজো তোমায় ভুলিনি
বাহু বাঁধা তলোয়ার, আজো মোরা খুলিুন।
পাঁজরে হুংকার তাই তুলি সারারাত
মোরা তব ভ্রাতাগণ, এনেছি বাশারাত।
…………………………………………
শবল কালিমায় ঢেকে গেছে ধরণী
নাই চেতন এখনো, ডুবে যায় তরণী।
ভেবে মোদের যায় দিন, দ্বিধা আর দন্ধে
কাফিরের খড়গ বাজে স্কন্ধে।
শেরে খোদা ইয়া আলী ফের জাগো ভাইরে
ইসলামের রবি, ডুবে যায় হায়রে।
……………………………………………..
ইলমে গায়েব জানে শুধু রহমান
মহার্ণব স্রোতসম দয়া তাঁর বহমান।
দুনিয়ার সব দিয়ে লিখে গুনকীর্তন
যাবেনা করা শেষ, পুরাবেনা চিন্তন।
……………………………………
লাখোধিক নবী রাসূল এলো এই ধূলিতে
কালিমার গুহা হতে মানবেরে তুলিতে।
সহে গেল তাঁরা যত কষ্টের ধৈরর্য্য
তাই হাসে আজো চাঁদ, আলোকের সূর্য।
মোর নবী শ্রেষ্ঠ, শেষ নবী সৃষ্টির
তাঁর তরে ছড়িয়ে পড়ে ফুল বৃষ্টির।
…………………………………………
মুনকির নকীর, জিজ্ঞাসিবে হায়
আল্লাহকে বলে প্রভু, দুনিয়াতে মানো নাই?
তব দ্বীন কি সেটা, কি তুমি মানতে
কাকে তুমি নবী বলে ইহকালে মানতে?
নির্ধারিত হবে মৃতদের জবাবে
উত্তর তাই দিবে, দুনিয়ার স্বভাবে।
মুমিনের উত্তর হবে পুরো সুন্দর
বরজখে সুখ তার, হায় দুখ মন্দর।
……………………………………
একূলে সকলে, ও কূলে স্বর্গ
হাওয়া বেগে হেবে পাড়, নবী গুণী বর্গ।
কেউ যাবে ঘোড়া বেগে সেই পুলসিরাতে
কেউ যাবে হেঁটে হেঁটে, কেউ ধম ঝিরাতে।
পাপীরা পড়ে যাবে, আগুনের ইন্ধন
নিস্তার পাবেনা, বুক ফাঁটা ক্রন্দন।
পোড়া দেহে গজিবে ফের নব চর্ম
অস্বীকার করে ছিলে ইসলাম ধর্ম।
সেজদায় ছিলে নত বানায়ে মূর্তি
মদ জুয়ার উল্লাসে করেছো ফূর্তি।
ক্ষমতায় ছিলে বড় মিথ্যার আশ্রয়
ভালো কিছু আর নেই, থাকো উপহাস লই।
তাদের বুঝোনি যারা ধর্মান্ধ
তাদের চোখেই নুর, তুমিই ছিলে অন্ধ।
আত্মগরীমায় চাওনি তা জানতে
জ্ঞান এসে ফিরে গেছে তব দ্বার প্রান্তে।
পুলসিরাত আজ তাই পারলেনা পেড়ুতে
দোজখে হবে দহো, পারবেনা বেরুতে।
………………………………………….
আজ করো লাফালাফি, দিতে কম ওজনে
সঠিক মাপ দাও মুমিন হয়েও ক’জনে!
মীযানে মাপবেন স্রষ্টা তিঁনিও
তিল সম কম বেশ হবেনা জানিও।
পূণ্যের পাল্লা ভারী যার মীযানে
কত সৌভাগ্য তার, কেবল সে জানে।
যার হবে হালকা, হতভাগা অতীব
দু:খের বর্ণনা, বলো তার কি দিবো!
…………………………………………
দিন বেশী দূরে নয় সেই মহাপ্রলয়ের
ছিঁড়ে ফেলো আজ বাঁধ লিপ্সার বলয়ের।
হায় ‘ইয়া নাফসী’ হায় হায় হায় গো
তুমি ছাড়া রক্ষিবে নাই প্রভু নাই গো।
দুনিয়ার মোহে পড়ে পারি নাই চিনতে
দিন গেল আপনার সুখ শখ কিনতে।
কারা আজ হেঁটে যায় স্বর্গের প্রান্তে
পাপীদের ছুটাছুটি হুকুমত আনতে।
এ ছুটাছুটি যদি করতো সে দুনিয়ায়
স্বর্গের সুখ পেতো, থাকতোনা কোন দায়।
আজ আর নাই পথ, পারবেনা ফিরতে
ধ্বংসের জিঞ্জীর পারবেনা ছিঁড়তে।
তাস ফেলে খোশ করে যারা জুয়া আসরে
কি জবাব দিবে তারা সে দিন হাশরে?
এতীমের হক খেয়ে যারা করে উল্লাস
দুর্ভোগ অতীব, হুতামায় তার বাস।
মুরতাদ মুক্তি পাবেনা মরণে
মুশরিকও জ্বলবে সম তার ধরনে।
মুনাফিক ফাসিক পাবেনা নিস্তার
তাদের দহনে দোজখের বিস্তার।
……………………………..
কাঁদে আজো উত্তাল মুসলিমই সিন্ধূ
বদরেই মুছে নাই রক্তের বিন্দু।
ধরা তলে প্রলয়ের সংকেত অশনি
প্রাণ অধিক দ্বীনকে বেশী ভাল বাসোনি।
মুসলিম বলি তারে প্রাণ যার তুচ্ছ
প্রতিক্ষণে নড়ে তার মৃত্যুর পুচ্ছ।
আপোষহীন আত্মা, সহেনা সুখ অন্যায়
ভাসায়ে দে তকদীর ঈমানী বন্যায়।।