30/09/2024
দলীয় চাঁদাবাজি, ঘুষ, লুটপাট , স্বার্থপর তদবির ও দুর্নীতি দেশের উন্নয়নের প্রধান বাধা। এসব অপকর্মের মাধ্যমে দলীয় সুবিধা নেওয়ার প্রবণতা শুধু নৈতিক অবক্ষয় ঘটায় না, বরং জাতীয় অগ্রগতির পথকেও রুদ্ধ করে।
স্বাধীনতার পর থেকে এদেশের দলীয় সরকারগুলো এই অসুস্থ সংস্কৃতি চর্চা করেই চলেছে, যা আমাদের উন্নয়ন ও সম্ভাবনাকে থমকে দিয়ে দেশকে পঙ্গু করে রেখেছে।
অথচ
১৯৬৫ সালে স্বাধীনতা লাভের পর, সিঙ্গাপুর একটি ক্ষুদ্র দ্বীপ রাষ্ট্র থেকে আধুনিক ও উচ্চ প্রযুক্তির নগর রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে।
স্বাধীনতার পরপরই, নেতৃত্বের দক্ষতা ও দৃঢ়তার মাধ্যমে দেশটি আর্থিক, সামাজিক এবং অবকাঠামোগত উন্নয়নের অসাধারণ দৃষ্টান্ত স্থাপন করে। সিঙ্গাপুর প্রথমে শিল্পায়ন এবং বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণের দিকে মনোযোগ দেয়। অর্থনৈতিকভাবে সিঙ্গাপুর দ্রুত একটি বাণিজ্যিক, প্রযুক্তিগত ও আর্থিক কেন্দ্র হিসাবে বিকশিত হয়।
রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, কঠোর আইন শৃঙ্খলা, এবং বৈদেশিক বাণিজ্যে ওপেন পলিসি সিঙ্গাপুরের দ্রুত অগ্রগতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।
দীর্ঘ ৫৩ বছর পর বাংলাদেশ একজন ড ইউনুসের মতো সৎ ও বিশ্ব গ্রহণযোগ্য সরকার প্রধান পেয়েছে । দেশবাসী আশাবাদী এই সরকার প্রধান দেশে শিল্পায়ন এবং বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণের দিকে মনোযোগ দিয়ে আর্থিক, সামাজিক এবং অবকাঠামোগত উন্নয়নের অসাধারণ দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে।
আমরা সবাই এই সরকারকে সহযোগিতা করি। সবাই নিজ থেকে সুনাগরিক চেষ্টা করি। ঘুষ, দুর্নীতি, চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়। চাঁদাবাজি একপ্রকার ভিক্ষাভিত্তি । ক্ষমতা লোভী দলের যেসকল নেতাকর্মীরা এখনই চাঁদাবাজির ভিক্ষাভিত্তির তৎপরতা চালাচ্ছে তাদেরকে নিধন করি।
সবাই মিলে দেশ গড়ি। খুব শিগ্রই আমরা একটা সমৃদ্ধ বাংলাদেশে বিকশিত হতে পারব ।