08/10/2023
মাওলানা খলীলুর রহমান সাজ্জাদ নোমানী সম্পাদক: মাসিক আল-ফোরকান, ভারত। অনুবাদ: সালিমুদ্দিন মাহদি উস্তাজ: আল্-জমিয়া আল্-ইসলামিয়া পটিয়া চট্টগ্রাম বিগত দীর্ঘ দিনযাবত “ইসলামী বিশ্বের” বিভিন্ন অঞ্চল সম্পর্কীয় যে সংবাদ প্রকাশিত হচ্ছে তা মুসলিম উম্মাহর অনুভূতিশীল ও সচেতন ব্যক্তিদের প্রত্যেকের অন্তরে ও মন-মস্তিষ্কে নানা প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। অস্তিরতা ও ব্যকুলতা ছাড়া তাদের অন্তরে ভয়-ভীতি ও ভবিষ্যত সম্পর্কে হতশা সৃষ্টি করছে। শুধুমাত্র ঐ সকল সৌভাগ্যমণ্ডিত লোকেরাই তা থেকে মুক্ত, যাঁদের মন-মস্তিষ্ক ঈমানের আলোতে আলোকিত, যাঁরা কুরআন-সুন্নায় বর্ণিত প্রকৃত জ্ঞান ও তার ওপর দৃঢ় ঈমানের বদৌলতে এই কথায় পূর্ণ বিশ্বাসী যে, একটি বিশেষ যুগের আর্বিভাব হবে [যা সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-র স্পষ্ট সতর্ক বাণী ও পরিষ্কার নির্দেশনা রয়েছে] তখন “ফিতনা” বিপর্যয়ের বৃষ্টি বর্ষিত হবে, মুসলমানরা রক্তে রঞ্জিত হবে এবং গোটা বিশ্ব মুসলিম উম্মহের রুগ্ন শরীরের দিকে এভাবে ঝাপিয়ে পড়বে যেমনি ক্ষুদার্থ ব্যক্তি খাদ্যপাত্রের ওপর ঝাপিয়ে পড়ে থাকে এবং লক্ষ-কোটি মুসলমান বিশ্ববাসীর জন্য ‘খাদ্যবস্তু’তে পরিণত হবে। ইসলামের প্রকাশ্য শক্র ছাড়া তারা এমন ব্যক্তিদের হাতেও হত্যা, সন্ত্রাস ও লুটতরাজের শিকার হবে যারা “ইসলামী আন্দোলন” ও “খিলাফতের” নামে প্রতারণা করবে, বস্তুতঃ তারা হবে এই যুগের “খারেজী” এবং অভ্যন্তরীণ শক্র ও বহিরাগত শক্তি; উভয় দিক থেকে আগ্নিপাত হবে এবং রক্ত বণ্য বেয়ে যাবে। সারাংশ হল জুলুম ও অন্যায়ের উপদ্রব সর্বত্র ছড়িয়ে পড়বে। আমার উদ্দেশ্য হল উম্মতে মুসলিমার যে সকল ব্যক্তির দৃষ্টি এই ধরণের সতর্কবাণীর প্রতি সদা নিবিষ্ট থাকে এবং তারা বিশ্ব পরিস্থিতিকে কুরআন-সুন্নার সতর্কবাণীর আলোকে অনুধাবন করার চেষ্টা করে কেবল তাদেরকেই বর্তমান সময়ে ভয়-ভীতি, আশ্চর্য-বিস্ময় এবং হতাশা ও নৈরাশার মত নেতিবাচক প্রভাব থেকে মুক্ত দেখা যায়, বরং তাদের অবস্থা সাধরণ অবস্থার সম্পূর্ণ বিপরীত। প্রত্যেক নতুন সংবাদ শুনে [বাহ্যতঃ তা যতই হতাশ ও নিরাশকারী হোক না কেন] ইসলামের সততার ওপর তাঁদের বিশ্বাস এবং উম্মতে মুসলিমার ভবিষ্যৎ ও মানবতার আলোকিত ফিউচার সম্পর্কে তাঁদের প্রত্যশা আরো বৃদ্ধি পায়। তাঁরা পূর্বের চেয়ে বেশী দৃঢ়তা ও বাড়তি আগ্রহের সাথে নিজেদের প্রতিরক্ষা ও পদক্ষেপ মূলক প্রচেষ্টায় নিয়োজিত হয়ে যায়। এবং বাহ্যত বিপজ্জনক ও নিরাশকারী পরিস্থিতি তাঁদের দৃঢ়পদতা ও অবিচলতার এক মাত্র করণ হল রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সেই ভবিষ্যতবাণীর ওপর তাদের পূর্ণ বিশ্বাস যা সম্পর্কে তিনি পূর্বেই অবহিত করেছেন “هَذَا مَا وَعَدَنَا اللَّهُ وَرَسُولُهُ وَصَدَقَ اللَّهُ وَرَسُولُهُ” [অর্থ: এটি, যার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন আল্লাহ ও তাঁর রাসূল] এবং তারা মনে করেন যে, যেমনি এই সকল পরিস্থিতি সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ভবিষ্যৎবাণী সত্য সাব্যস্ত হচ্ছে, তেমনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ঐ সকল ভবিষ্যৎবাণীও অব্যশই সত্য প্রমাণীত হবে, যেখানে তিনি সুস্পষ্ট ভাষায় বলেছেন যে, এই সকল পরিস্থিতিতেও নিসঃন্দেহে আমার উম্মতের মধ্যে এমন একটি দল থাকবে যারা ন্যায় ও সত্য প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে জুলুম-নিপীড়ন ও অত্যচারীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের ময়দানে অবিচল থাকবে, এবং পরিশেষে মুজাহিদদের মধ্যে হযরত ঈসা আলাইহিস সাল্লাম অবরতণ করবেন, অতঃপর হযরত ঈসা আঃ-র অলৌকিক আধ্যাত্মিক শক্তির বরকতে সেই সাহসী সৈনিক ও তাদের ইমাম [যাঁর নাম হবে মুহাম্মদ এবং উপাধী হবে মাহদী] এর ওপর আল্লাহ তা’য়ালার গায়েবী সাহায্য অবতীর্ণ হবে। ফলে তাগুতী শক্তির অবসান ঘটাতে এবং সকল অবৈধ ব্যবস্থা ও অত্যাচারী শাসক থেকে আল্লাহর যমিনকে মুক্ত করতে সক্ষম হবে, পরিশেষে পৃথিবীতে ন্যায়-ইনসাফের ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হবে।...
মাওলানা খলীলুর রহমান সাজ্জাদ নোমানী সম্পাদক: মাসিক আল-ফোরকান, ভারত। অনুবাদ: সালিমুদ্দিন মাহদি উস্তাজ: আল্-জমিয়া আ....