বিচিত্র জীবনের রঙ

বিচিত্র  জীবনের রঙ Life Is Meaningless Without Experience, This page will show you various kind of natural view and natural sight.

ইসরাইলের জন্য এই চুক্তি অত্যন্ত লজ্জাজনক এবং পরাজয়ের। তারা কিন্তু দয়া দেখিয়ে চুক্তি করছে এমন না। শয়তান জানোয়ারদের দয়া বল...
16/01/2025

ইসরাইলের জন্য এই চুক্তি অত্যন্ত লজ্জাজনক এবং পরাজয়ের। তারা কিন্তু দয়া দেখিয়ে চুক্তি করছে এমন না। শয়তান জানোয়ারদের দয়া বলতে কিছুই নেই। তারা হাসপাতালেও এয়ারস্ট্রাইক চালাইছে ইউ নো।

সো এই চুক্তি ইসরাইল বাধ্য হয়ে করেছে। যা তাদের ঔদ্ধত্য ধূলোর সাথে মিশিয়ে দিয়েছে। ওরা ভেবেছিল কয়েকদিনে সবকিছু শেষ করে দেবে। কিন্তু ওরা তা পারেনি।

ওহুদে মুশরিকরা মদীনা দখল করতে এসেছিল। গরিব মুসলমানদেরকে কয়েকদিনে নিশ্চিহ্ন করে দেবে। তারা পারেনি, ফিরে গেছে। মুসলমানরা ৭০ জন মারা গেছে। ক্ষয়ক্ষতিও বেশি। তাও কিন্তু এটাকে মুশরিকদের পরাজয় হিসাবে উল্লেখ করেছেন আল্লাহ। কাফেরদের পরাজয়ের প্রথম ধাপ এটা।

"আল্লাহ কাফেরদেরকে রাগান্বিত অবস্থায় ফিরিয়ে দিলেন যে তাদের কোনো লাভই অর্জিত হয়নি। আর মুমিনদের পক্ষ থেকে যুদ্ধের জন্য আল্লাহ যথেষ্ট হয়ে গেছেন। আল্লাহ সর্বশক্তিমান, মহাপরাক্রমশালী।"

[সূরা আহযাব, ২৫]

~Asif Muhammad

16/01/2025

আমরা যারা দেখতে খুব একটা আকর্ষণীয় হই না, মেধা থাকে মিডিওকোর লেভেলের এবং আর্থিক সক্ষমতা থাকে টানাপোড়েনের মধ্যে, আমাদের মধ্যে না কিছু বিষয় খুব কমন থাকে!!

আমরা দেখতে এত সাধারণ হই যে, কেউ কখনো দ্বিতীয়বার ঘুরে তাকায় না। আমরা রাস্তার ধারে নাকেমুখে তরমুজ মাখিয়ে খেলেও যেমন কারো চোখে পড়ি না, তেমনি কোন প্রোগ্রামের গেইটে সেজেগুজে রিকশা থেকে নামলেও কেউ পাত্তা দেয় না।

আমরা কখনো কোনো প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় টপ করি না। স্কুল কলেজে টপের দুই ধাপ নীচে থেকে থেকে পরিবার পরিজনের এক্সপেকটেশন বাড়াই শুধু। এরপর প্রতিযোগিতার আসল সমুদ্রে নামার পরে এক্সপেকটেশনের চাপে টুপ করে ডুবে হারিয়ে যাই। কিংবা মরে গিয়ে পেট উপরে জাগিয়ে ভেসে উঠি, বিষ ঢালা পুকুরের বোয়াল মাছের মত।

আমাদের আর্থিক সক্ষমতার গল্পগুলো হয় খুবই পীড়াদায়ক। ছোটবেলায় যখন আমাদের ২০ টাকার পেটিস খাওয়ার শখ হয়, তখন আমাদের কাছে থাকে ১৬ টাকা। মাঝবয়সে যখন আমাদের ২০ হাজার টাকার বাসায় থাকতে ইচ্ছে করে, তখন আমাদের কাছে থাকে ১৬ হাজার টাকা। শেষ বয়সে যখন ২০ লাখ টাকার গাড়িতে চড়তে ইচ্ছে করে, আমাদের ব্যাঙ্কে থাকে ১৬ লাখ।

এরকম দুই বা চারের ছোট্ট ফাঁকগুলো গলে বেরিয়ে যায় আমাদের সব স্বপ্ন, সাধ, আহ্লাদগুলো!!

আমরা কখনো গান গাইতে পারি না, কবিতা আবৃত্তি পারি না, ছবি আঁকতে পারি না, বিতর্ক পারি না, গল্পের জমজমাট আসরের মধ্যমণি হতে পারি না। এরপর একদিন আমরা হুট করে আবিষ্কার করে বসি, উপরওয়ালা আমাদেরকে কোন ধরণের বাড়তি গুণ দিয়ে পৃথিবীতে পাঠান নি।

তিনি আমাদেরকে পাঠিয়েছেন শুধু অন্যের গিফটেড কাজ দেখে মুগ্ধ হয়ে হাততালি দিয়ে যাওয়ার জন্য, হাততালি পাওয়ার জন্য নয়!!

আমরা ভীড় তৈরী করি, কিন্তু কখনো ভীড়ের কারণ হতে পারি না। আমরা অন্যকে নিয়ে স্বপ্ন দেখি, কিন্তু নিজে কখনো কারো স্বপ্নের কারণ হতে পারি না। আমরা সবাইকে এপ্রিশিয়েট করে চলি, কিন্তু নিজেরা কখনো এপ্রিসিয়েশন পাই না।

ভীড় থেকে নিজেকে আলাদা করার চেষ্টা আমরা যারা করি, আমরা সবসময় হেরে যাই। দুটো হাততালি পাওয়ার আশায় আমরা হয়ে উঠি পিপল প্লিজার। ব্যতিক্রম কিছু হতে চেয়ে আমরা সবসময়ই হয়ে উঠি কাছের মানুষের উপহাসের পাত্র।

যাকে মুগ্ধ করতে চাই, তার চোখে দেখি করুণা। যার কাছে প্রায়োরিটি চাই, তার কাছে পাই অবহেলা। যাদের পায়ে দুনিয়াটা এনে দিতে চাই, তারা বলে, ইউ আর নট এনাফ!!

আমাদের কপালে দিনশেষে থাকলে শুধু মারই থাকে, পিঠ চাপড়ানোর মত...

©Hazat sabbir

আমাকে এক ভদ্রলোক হঠাৎ হঠাৎ ফোন দিতেন ....... ভদ্রলোক বাংলাদেশের শীর্ষ ধনীদের একজন l আমার মতো এক অধম তার কাছে হাজার দুয়েক...
15/01/2025

আমাকে এক ভদ্রলোক হঠাৎ হঠাৎ ফোন দিতেন ....... ভদ্রলোক বাংলাদেশের শীর্ষ ধনীদের একজন l আমার মতো এক অধম তার কাছে হাজার দুয়েক টাকা পেতো ....... প্রায় পনেরো বছর হয়ে গিয়েছিলো , আমি কোনোভাবেই টাকাটা গ্রহণ করিনি l

ঘটনাটা ২০০৪ এর .....

আমি তখন SSMC র 2nd year এমবিবিএস স্টুডেন্ট l

ভদ্রলোকের O level পড়ুয়া সন্তানকে Biology পড়াই l মাস গেলে চার হাজার পেতাম .... সপ্তাহে দুই দিন l বাসের হাতলে ঝুলে ঝুলে টিউশনিতে যাই l

গুলশান ১ এ ভদ্রলোকের আলিশান বাড়িতে তিনটা জাম্বু সাইজের কুকুর ছিলো - কুকুরের পিছেই খরচ হতো মাসে বিশ হাজার ( ভদ্রলোক নিজের মুখে গর্ব করে একদিন বলেছিলেন ) । আমি আত্মা হাতে নিয়ে ঐ বাসায় উঠতাম l বেরসিক কুকুরগুলো আমাকে দেখলে একটু বেশিই হইচই শুরু করতো l

Summer vacation এ ভদ্রলোক পরিবার নিয়ে মরিশাস ঘুরতে চলে গেলেন ........ আমাকে একটাবার জানানোর প্রয়োজনটুকুও অনুভব করলেন না l আমি মফিজের মতো রুটিন অনুযায়ী টিউশনিতে যাই ....... ছাত্রের খবর নাই l কিছুক্ষণ জাম্বু কুকুরগুলার ঘেউ ঘেউ ডাক শুনে ...... বিরক্ত হয়ে চলে আসি l

অতপর তারা যখন ফিরে এলেন মাসের ষোল দিন বাকী l আমি বাকী দিনগুলো দেড় ঘন্টার স্হলে আড়াই ঘন্টা করে ছাত্রকে সময় দিলাম l

মাসের শেষে বেতন পেলাম দুই হাজার ....... , ভদ্রলোক হাসিমুখে বল্লেন - ' চৌদ্দ দিন তো পড়ালে না ....... তাই অর্ধেক দিলাম ! '

আমি মন খারাপ করে বিড়বিড়িয়ে বল্লাম - ' আঙ্কেল ..... মরিশাস যাবার সময় আপনারা আমাকে ইনফর্ম করলেন না ...... , আমি সপ্তাহে দুই দিন করেই আসলাম , দারয়ানও জানেনা কবে ফিরবেন আপনারা l পরবর্তীতে আপনার সন্তানকে আমি প্রতিদিনই একঘন্টা করে বেশি সময় দিলাম l যাই হোক ........ আমি আর এই টিউশনিটা কন্টিনিউ করবো না l '

আমি চুপ করে বাসা থেকে বেরিয়ে গেলাম l দুই হাজার টাকার পুরোটা দিয়েই কুকুরের জন্য মাংস ..... পাউরুটি কিনে একটা চিরকুট ভদ্রলোকের দারোয়ানের হাতে দিয়ে এলাম l চিরকুটে লেখা ছিলো -

' আমার তরফ থেকে কুকুরের জন্য সামান্যতম উপহার !
শুভকামনা আপনার এবং কুকুরগুলোর জন্য l '

আমি আর কখনোই যাইনি ঐ বাড়িতে .... ভদ্রলোক তন্নতন্ন করে আমাকে খুঁজে বের করেছেন , আমার নাম্বারও কালেক্ট করেছেন l

মাঝে মধ্যে ফোন দিতেন ............ ( ইদানিং ব্লক লিস্টে তাকে ঠাঁই দিয়েছি , আমার সময় মূল্যবান এখন )

হাসতে হাসতে বলতেন - ' You make me crazy , boy ! আমার জীবনে এভাবে কেও এভাবে আঘাত করতে পারেনি l টাকাটা নিয়ে আমাকে মুক্তি দাও l '

আমি চুপ করে হেসে এভোয়েড করতাম ............! আমি কখোনোই অতীত ভুলিনা ।
আমি চোখ বন্ধ করলে আজও দেখতে পাই - কিছু কুকুর সেদিন একজন নিরীহ এবং সৎ মানুষের চেয়েও বেশি মূল্যায়িত হয়েছিলো ।

আত্মকথা :
একটা টিউশনি আর তিনটা কুকুরের গল্প -
লেখক- Asif Shaikat ( আসিফ শুভ্র )

যারা এই শীতে কাঁচা খেজুর রস খায়া সেলফি তুলতেছেন , লিখতেছেন - ‘ Yes ! felling excited ! ‘ কালকে না আবার পল্টি দিয়া অজ্ঞান...
15/01/2025

যারা এই শীতে কাঁচা খেজুর রস খায়া সেলফি তুলতেছেন , লিখতেছেন - ‘ Yes ! felling excited ! ‘ কালকে না আবার পল্টি দিয়া অজ্ঞান হয়া থাকেন , একটু খেয়াল রাইখেন ।
যতো রকম এনকেফালাইটিস এই দুনিয়ায় আছে তার প্রায় ৪০-৫০% এর ভেক্টর ই বাদুর ।
বাদুর শীতকালে খেজুরের রস খায় , লালাতে মিশে থাকে নিপাহ এনকেফালাইটিসের জীবাণু । কাঁচা খেজুরের রসে জীবাণু ঢেলে দিয়ে উড়ে চলে যায় ।

কাঁচা খেজুরের রস খায়া ‘ Feeling excited !!! ‘ লিখতে গিয়া অজ্ঞান হইয়া আইসিইউতে পইড়া থাইকেন না , নিজের খেয়াল রাইখেন । নাইলে অজ্ঞান হবার আগে লিখতে হইতে পারে - ‘ Felling হিজি বিজি হিজি বিজি and permanently relaxed ! ‘

নিপা এনকেফালাইটিসে মৃত্যুর হার ৭০% এরও বেশি ।

- আসিফ সৈকত

14/01/2025

শেখ বংশের চুন্নী এবং মজু গুন্ডার আরেক উপযুক্ত নাতনী টিউলিপ সিদ্দিককে ব্রিটিশ মিডিয়ায় বুঙ্গানো অব্যাহত রয়েছে।

আজকে দি গার্ডিয়ানে একটা নতুন নিউজ এসেছে, Charities call for Tulip Siddiq's resignation from anti-corruption role. অর্থ্যাৎ, দাতব্য সংস্থাগুলা দুর্নীতিদমনের পদ থেকে টিউলিপি সিদ্দিকের পদত্যাগ চায়।

বিবিসিতে নতুন নিউজ এসেছে, Siddiq urged to step back from anti-corruption duties, অর্থ্যাৎ দুর্নীতি দমনের পদ থেকে সিদ্দিক চুরাকে নামানোর দাবী।

ফিনান্সিয়াল টাইমসের গতকালকের খবর, Why hasn't Tulip Siddiq been sacked? কেন টিউলিপ সিদ্দিককে ঘাড় ধরে বের করে দেয়া হচ্ছে না?

স্কাই নিউজের গতকালকের খবর, What allegations is Tulip Siddiq facing over links to ex-Bangladesh PM Sheikh Hasina? অর্থ্যাৎ, সাবেক বাংলাদেশী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সম্পৃক্ততার জন্য কোন অভিযোগগুলোর মুখোমুখি হচ্ছে টিউলিপ সিদ্দিক।

সবমিলে পুরা বিষয়টা যেভাবে একটা আন্তর্জাতিক স্ক্যান্ডালে রুপ নিয়েছে, এটা অত্যন্ত আনন্দদায়ক বিষয়। আলহামদুলিল্লাহ। আল্লাহর মাইর, দুনিয়ার বাইর।

গার্ডিয়ানের খবরে বলা হয়েছে, শাড়ি তুলে পালিয়ে যাওয়ার পর হাসিনার বাসায় (গণভবনে) টিউলিপের নির্বাচনী পোস্টার পাওয়া গেছে। (অথচ টিউলিপ সবসময় আওয়ামীলীগ সরকারের সাথে তার সম্পর্ক অস্বীকার করে আসতেছে)

সব মিডিয়াতে যেভাবে তাকে লেংটা করা হচ্ছে, এর দশভাগের একভাগ অভিযোগ প্রকাশ হলে যে কোন সাদা চামড়ার এমপি এতোদিনে পদত্যাগ করে পালিয়ে যেতো। কিন্তু মাশাআল্লাহ এই চুন্নিটা শেখ বংশের নাম রাখতেছে। জুতা দিয়ে পিটাইলেও এসব মানীর মান যায় না। সুতরাং এ আরো নিচে নামতেই থাকবে।

- আমান আব্দুল্লাহ

14/01/2025

– উহুদের যুদ্ধে ৭০ জন শহীদ হয়েছে! সকল শহীদের লাশ এনে এক জায়গায় রাখা হচ্ছে। নবীজি গুনে দেখেলেন ৬৮ টা লাশ। ২ টা নাই ... একজন তাঁর চাচা হামজা (রাঃ) আরেকজন হানজালা (রাঃ)। অস্থির হয়ে পড়েছেন নবীজি। সব সাহাবাদের পাঠাইলেন লাশ খুজার জন্য। ...হটাত বোরকা পরা এক মহিলা এসে দাঁড়ালেন নবীজির কাছে। নবী তাকে চিনলেন না।

মহিলা বললেন; ইয়া রাসুল্লাহ আজকে আপনি একটা বিয়ে পড়িয়েছিলেন মনে আছে? নবীজি বলেন; হা আমি তো হানজালার বিয়ে পড়িয়েছি। যার বিয়ের খুশিতে আমি খুরমা খেজুর ছিটিয়ে ছিলাম। -মহিলা বললেন; ইয়া রাসুল্লাহ! আমার হাতটা দেখেন। হাতের মেহেদী এখনও শুখায় নাই। কাল বিকেলে বিয়ে হয়েছিল আর রাত ২ টা বাজে উহুদের যুদ্ধের জন্য বের হয়ে গেছে হাঞ্জেলা। বাসর রাতে উনার সাথে আমার ভালোভাবে পরিচয়ই হয়নাই। যাওয়ার আগে শুধু বলে গেছেন "যদি দেখা হয় তাহলে দেখা হবে দুনিয়ায়, আর যদি শহীদ হয়ে যাই তাহলে দেখা হবে জান্নাতে"।

মহিলা বললেন ইয়া রাসুল্লাহ যাওয়ার আগে আমার কপালে একটা চুম্মন করে গেছেন। লজ্জায় বলতেও পারি নাই আপনার জন্য গোসল ফরজ। নবীজি কাঁদতেসেন। মহিলা বললেন ইয়া রাসুল্লাহ, শহীদদের তো আপনি গোসল দেন না, আমার স্বামীকে আপনি একটু গোসল দিয়েন? নবীজি সম্মতি প্রকাশ করার পর একজন সাহাবি দৌড়ে এসে বলল ইয়া রাসুল্লাহ হানজালা কে পাওয়া গেছে। --- সবাই গেলেন। গিয়ে দেখলেন সাদা কাফনের ভিতর লাশের মাথায় পানি।

নবীজি মাথা হাতায়ে দিলেন। জিবরাঈল আসলো! ...এসে বলল; ইয়া রাসুল্লাহ হানজালার কোরবানিতে আল্লাহ্ পাক এতটাই খুশি হয়েছে যে আমার বাহিনিকে আদেশ করলেন তাকে নিয়ে আসতে। ...ইয়া রাসুল্লাহ আমরা ফেরেশতারা তাকে তৃতীয় আসমানে এনে জমজমের পানি দিয়ে গোসল করিয়েছি এবং তার শরীরে থেকে যে সুগন্ধ পাচ্ছেন, এটা আল্লাহ্ পাকের বিশেষ খুসবু মিশক আম্বর আতরের ঘ্রাণ । আমরাই উনাকে কাফনের কাপড়ে আচ্ছাদিত করেছি ।......

সুবহানআল্লাহ !!! আল্লাহ্ তাঁর প্রিয় মানুষকে কি পরিমাণ ভালবাসেন, কি পরিমাণ সম্মানিত করেন তা আমাদের পক্ষে কল্পনা করাও সম্ভব নয়।
পরিশেষে বলতে চাই, "হে আল্লাহ্ _ আপনি আমাদেরকে সফল মানুষদের পথের পথিক হওয়ার তওফিক দান করুন

আমিন 🖤

14/01/2025

যখন উমর ইবনে খাত্তাব (রা.)-এর উপর হত্যার চেষ্টা করা হলো এবং তিনি গুরুতর আহত হলেন, তখন তার ক্ষত চিকিৎসার জন্য দুধ পান করানো হয়। কিন্তু সেই দুধ তার ক্ষত থেকে বের হয়ে আসতে লাগল। এ অবস্থায় চিকিৎসক বললেন, “হে আমিরুল মুমিনিন! আপনার জীবনসীমা শেষ হয়ে আসছে। আপনি কোনো ইচ্ছা বা ওসিয়ত করে নিন।”

উমর (রা.) তার ছেলে আব্দুল্লাহকে ডেকে বললেন,
“হুযাইফা ইবনে ইয়ামানকে আমার কাছে নিয়ে আসো।”

হুযাইফা (রা.) ছিলেন সেই সাহাবি, যাকে রাসুলুল্লাহ (সা.) মুনাফিকদের নাম জানিয়েছিলেন। এই গোপন বিষয় কেবল আল্লাহ, রাসুলুল্লাহ (সা.), এবং হুযাইফা (রা.)-এর জানা ছিল।

যখন হুযাইফা (রা.) এলেন, তখন উমর (রা.) রক্তক্ষরণ সত্ত্বেও তাকে বললেন,
“হে হুযাইফা! আমি তোমাকে আল্লাহর কসম দিয়ে জিজ্ঞাসা করছি, রাসুলুল্লাহ (সা.) কি আমাকে মুনাফিকদের মধ্যে উল্লেখ করেছিলেন?”

হুযাইফা (রা.) চুপ করে থাকলেন এবং তার চোখ অশ্রুতে ভরে গেল। উমর (রা.) পুনরায় জোর দিয়ে বললেন,
“আল্লাহর কসম, আমাকে বলো, তিনি কি আমার নাম নিয়েছিলেন?”

হুযাইফা (রা.) কাঁদতে কাঁদতে বললেন,
“আমি এই গোপন বিষয় কাউকে জানাতে পারি না। তবে আমি আপনাকে নিশ্চিত করছি, রাসুলুল্লাহ (সা.) আপনার নাম মুনাফিকদের মধ্যে উল্লেখ করেননি।”

এ কথা শুনে উমর (রা.) তার ছেলে আব্দুল্লাহকে বললেন,
“এখন দুনিয়াতে আমার শুধু একটি ইচ্ছা বাকি আছে।”

আব্দুল্লাহ (রা.) জিজ্ঞাসা করলেন,
“তা কী, আব্বা জান?”

উমর (রা.) বললেন,
“আয়েশা (রা.)-এর কাছে যাও এবং তাকে বলো, উমর ইবনে খাত্তাব সালাম পাঠিয়েছেন। কিন্তু তাকে বলো না যে ‘আমিরুল মুমিনিন’ সালাম পাঠিয়েছেন, কারণ আজ আমি আর মুমিনদের আমির নই। তাকে বলো, উমর অনুরোধ করছেন যেন তাকে তার দুই সঙ্গীর (রাসুলুল্লাহ (সা.) এবং আবু বকর (রা.)) পাশে দাফনের অনুমতি দেওয়া হয়।”

আব্দুল্লাহ (রা.) গেলেন এবং আয়েশা (রা.)-এর কাছে অনুমতি চাইলেন। তখন আয়েশা (রা.) কাঁদছিলেন। কিন্তু তিনি বললেন,
“আমি এই জায়গাটি আমার জন্য রাখতে চেয়েছিলাম, কিন্তু আজ আমি এটি উমরের জন্য উৎসর্গ করছি।”

আব্দুল্লাহ (রা.) খুশি মনে ফিরে এসে সংবাদটি জানালেন। কিন্তু উমর (রা.) তখনও মাটিতে মুখ রেখে ছিলেন। আব্দুল্লাহ তার মুখ নিজের হাঁটুর ওপর রাখতে চেয়েছিলেন। কিন্তু উমর (রা.) বললেন,
“আমার মুখ মাটিতে থাকতে দাও, যাতে আমি আমার রবের সামনে বিনীতভাবে হাজির হতে পারি। উমরের জন্য আফসোস, যদি তার রব তাকে ক্ষমা না করেন।”

উমর (রা.) তার ওসিয়ত করলেন,
“যখন আমার জানাজা হবে, তখন হুযাইফার প্রতি নজর রাখো। যদি তিনি আমার জানাজায় অংশগ্রহণ করেন, তবে বুঝে নিও আল্লাহ আমাকে ক্ষমা করেছেন। এরপর আমাকে রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর কক্ষের দরজায় নিয়ে গিয়ে বলো, ‘হে মা! আপনার ছেলে উমর অনুমতি চাচ্ছে।’ যদি তিনি অনুমতি দেন, তাহলে আমাকে সেখানে দাফন করো। অন্যথায় আমাকে সাধারণ মুসলমানদের কবরস্থানে দাফন করো।”

অতঃপর যখন হুযাইফা (রা.) জানাজায় অংশগ্রহণ করলেন, তখন উমর (রা.)-কে আয়েশা (রা.)-এর কক্ষের দরজায় নিয়ে যাওয়া হলো এবং অনুমতি চাওয়া হলো। তিনি অনুমতি দিলেন। এভাবে উমর (রা.) তার দুই সঙ্গীর পাশে দাফন হলেন।

আল্লাহ উমর (রা.)-এর প্রতি দয়া করুন। যিনি জান্নাতের সুসংবাদপ্রাপ্ত হয়েও আল্লাহর ভয়ে কাঁপতেন। কিন্তু আজ আমরা গাফলত ও নির্ভীকতায় জীবনযাপন করছি। আমরা আমাদের কাজের হিসাব করি না, আমাদের আখিরাতের কথাও ভাবি না।

اللهم احسن خاتمتنا ولا تقبض ارواحنا الا وانت راض عنا
হে আল্লাহ আমাদের শেষ পরিণতি টা সুন্দর করুন এবং আপনি আমাদের উপর সন্তুষ্ট না হয়ে আমাদের মৃত্যু দিয়েন না।

-- সংগৃহীত

13/01/2025

আমার এক বোনের বিয়েতে একজন আত্মীয় বলসিলো, "আমি তো টাকা দিতে পারিনা, আমি সবখানে গায়ে গতরে খাইট্টা দিই।"
ওনার কথার ভার বুঝার বয়স আমার তখনো হয়নাই।
আমি হাসছিলাম। আল্লাহ সাক্ষী।
প্রত্যেকদিন একবার আমার এখন ওনার কথা মনে পড়ে।
প্রত্যেকদিন আমার একবার করে মনে হয় আমার আসলে হাসা উচিৎ হয়নাই।

- Samsun Nahar Priya

13/01/2025

হাসান আল বাসরি রাহিমাহুল্লাহ বলেছেন, "তুমি দিনের একটি সময় ব্যতিত কিছুই নও। আর যখনই তা অতিক্রান্ত হয়, তোমার জীবনের একটি ক্ষণিকাও বিলীন হয়ে যায়।"

হে মুসাফির! তুমি মুসাফির হয়ে যাও...
তোমার দুঃখ দুর্দশাগুলো তোমার রবের কাছে অর্পণ করে দাও।

পিলখানা বিডিআর হ*ত্যাকাণ্ডের সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত এই দুইজন।প্রথমজনের নাম "লক্ষ্মণ সিং"। (Laxman Singh)এক্স ইন্ডিয়ান আর্ম...
13/01/2025

পিলখানা বিডিআর হ*ত্যাকাণ্ডের সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত এই দুইজন।

প্রথমজনের নাম "লক্ষ্মণ সিং"। (Laxman Singh)
এক্স ইন্ডিয়ান আর্মি সোলজার (প্যারেন্ট রেজিমেন্ট - আসাম রাই*ফেলস), এক্স N•S•G কমান্ডো যিনি প্রেষণে RAW তে AFO পদে এজেন্ট হিসেবে চাকুরী করেছে বহুকাল।

তার সম্পর্কে যদি স্পেসিফিকালি বলি, সে মো*সাদ ট্রেইন্ড অপারেটিভ। RAW তে রিক্রুটমেন্টের পর তার ট্রেনিং সেইখানেই ওই কুখ্যাত সংস্থার দ্বারা হয়েছে। এদিকে, ইন্ডিয়ার দাবি মতে পুরো সাউথ এশিয়ার শ্রেষ্ঠ স্নাইপার এই লক্ষ্মণ সিং।

লোকটাকে আমি জানতে পারি তার এক পডকাস্ট থেকে। সে এখন রিটায়ার্ড, ফিল্মমেকিং করে অলস আয়েসি জীবন অতিবাহিত করায় ব্যাস্ত।

তার সম্পর্কে যখন আমি ঘাটাঘাটি করলাম, দেখলাম এই লোকটা নিজেই স্বীকার যাচ্ছে যে, সে বাংলাদেশে অপারেশন করেছে এবং তাকে যতবারই জিজ্ঞেস করা হয় যে তার গোয়েন্দা ক্যারিয়ারজুড়ে সবচেয়ে বেশি সে কোন দেশে এঞ্জয় করেছে, তখন সবসময় তার উত্তর থাকে "বাংলাদেশ"।

৩ জন ইনফর্মার মারফতে যাচাই করলাম যে ২০০৮ এর আগে লোকটার পোস্টিং ছিলো ভারতের নাগাল্যান্ডে একটি ইনফ্যান্ট্রি ইউনিটে। ২০০৮ এর মাঝামাঝি তাকে প্রেশণে সংযুক্ত করা হয় এই RAW তে এবং কয়েক দিনের মাঝেই তাকে পোস্টেড করা হয় বাংলাদেশে।

সে বর্ডার ক্রস করে দেশে ঢুকে নি। সে প্লেনে করেই ব্যাবসায়ীর কভারে বাংলাদেশে এন্ট্রি নিয়েছিলো। এবং বেশিরভাগ সময় মৌলভীবাজার জেলাতে অবস্থান করতো। থাকতো একটি পতি*তালয়ের কাছে একটি আবাসিক হোটেলে।

গোয়েন্দাদের কাছে ইনফরমেশন ছিলো যে এই লোকটি পতি*তালয়গুলোতে তার ইনফর্মার সার্কেল তৈরী করেছে এবং সেখানকার লোকাল দেহব্য-বসায়ীদের দিয়েই সে বিভিন্ন সেনসিটিভ তথ্য সংগ্রহ করতো এবং লোকাল আওয়ামী নেতাদের হানিট্র‍্যাপের মাধ্যমে ফাঁসিয়ে নিজের সোর্সের কাজ করাতো ব্ল্যাকমেইলের মাধ্যমে।

আশ্চর্যজনকভাবে, এই লক্ষ্মণ সিং বেশ কয়েকটি পডকাস্টে এই পতি*তালয়ে অপারেট করার কথা স্বীকার করেছে।

তারপর কী হয়েছে সেটা আর জানা যায় না তবে তাকে ২০০৯ এর মাঝামাঝি পাঠানো হয় N•S•G তে, এবং ঠিক এর পরেই তাকে বানানো হয় মোদির PSO (পার্সনাল সিকিউরিটি অফিসার)। এই বষয়টি ইন্ডিয়ান বেশ কয়েকটি ইন্টার্নাল সোর্স কনফার্ম করেছে।

আর দ্বিতীয় যে ব্যাক্তিকে দেখছেন, এই লোকটার নাম "রানদীপ রামেশ"। তৎকালীন "দ্যা গার্ডিয়ান" পত্রিকার সাউথ এশিয়া কোরেসপন্ডেন্ট।

ইনিই সেই ব্যাক্তি যে আমাদের BDR এর তৎকালীন DG, শহীদ মেজর জেনারেল শাকিল সাহেব নিহ*ত হবার খবরটি সবার আগে ফ্ল্যাশ করেছিলো ভারতীয় মিডিয়াতে যখন আমাদের আর্মি, গোয়েন্দা সংস্থাগুলোও জানতো না যে ভেতরে কী হচ্ছে, মিডিয়া তো দূরের কথা!

যখন পুরো দুনিয়া অন্ধকারে পিলখানা নিয়ে, তখন সে সবার আগে জানলো! তাও আবার আমাদের মিডিয়ার সাথে কোনরকম ইনফো শেয়ার না করে ডিরেক্ট ইন্ডিয়ান মিডিয়াগুলোর থ্রুতে নিউজ করলো যে "Director General of B•D•R, Maj. Gen. Shakil has been ki*lled."

এখন বুঝেন যে কেনো আওয়ামী সরকার ও হাসিনা তাদের পতনের আগ পর্যন্ত কাউকে এই বিষয়ে আওয়াজ তুলতে দেয় নি, কেন দেয় নি সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার হতে?

প্রভু বলে কথা!

©

_একদম লাষ্ট স্টেজে যখন মানুষ আইসিইউ তে এডমিট থাকে, তখন এভাবে গ্লোবস এর ভিতরে হালকা উষ্ণ গরম পানি দিয়ে কারো উপস্থিতি অনুভ...
13/01/2025

_একদম লাষ্ট স্টেজে যখন মানুষ আইসিইউ তে এডমিট থাকে,
তখন এভাবে গ্লোবস এর ভিতরে হালকা উষ্ণ গরম পানি দিয়ে কারো উপস্থিতি অনুভব করানো হয়।
বোঝানো হয় "সে একা নয় " তার হাত ধরে কেউ আছে পাশে।

একটি নির্মম কথা তাই না?
স্পর্শ অনেক দামী!! 🖤

©

আপনার লাইফ চেঞ্জ করতে কয়টা বই পড়া উচিৎ?খুব বেশি না। কেবল একটা ভালো নন-ফিকশন বইও আপনার জীবন বদলে দিতে পারে। তাহলে কী বই প...
13/01/2025

আপনার লাইফ চেঞ্জ করতে কয়টা বই পড়া উচিৎ?
খুব বেশি না।

কেবল একটা ভালো নন-ফিকশন বইও আপনার জীবন বদলে দিতে পারে।

তাহলে কী বই পড়বেন?
আমি এখানে এমন কিছু বইয়ের তালিকা দিচ্ছি যা আপনার জীবন বদলে দিতে পারে। এই বইগুলো শুধুমাত্র পড়ার জন্য নয়, বুঝে বুঝে পড়ে বাস্তব জীবনে প্রয়োগ করার জন্য।

আপনার মাইন্ডসেট ঠিক করার জন‍্যঃ
১. Letter from the Stoic - Seneca
২. The Four Agreements - Don Miguel Ruiz
৩. 12 Rules for Life - Jordan B. Peterson
৪. Mindset - Carol S. Dweck
৫. The Alchemist - Paulo Coelho
৬. 7 Habits of Highly Effective People - Stephen R. Covey

আপনার হেলথ ঠিক রাখার জন‍্যঃ
৭. Outlive - Peter Attia
৮. Ikigai - Héctor García & Francesc Miralles

আর্থিক বুদ্ধিমত্তার জন‍্যঃ
৯. The Psychology of Money - Morgan Housel
১০. I Will Teach You to Be Rich - Ramit Sethi
১১. How to Get Rich - Felix Dennis
১২. Rich Dad Poor Dad - Robert Kiyosaki
১৩. Think and Grow Rich - Napoleon Hill
১৪. Economics in One Lesson - Henry Hazlitt
১৫. Tax-Free Wealth - Tom Wheelwright
১৬. What Every Real Estate Investor Needs to Know About Cash Flow - Frank Gallinelli

স্কীল ডেভেলপমেন্টের জন‍্যঃ
১৭. Traction - Gino Wickman
১৮. The Goal - Eliyahu M. Goldratt
১৯. $100M Offers - Alex Hormozi
20. Deep Work - Cal Newport
২১. The Compound Affects - Darren Hardy
২২. Atomic Habits - James Clear

মার্কেটিং বিষয়কঃ
২৩. $100M Leads - Alex Hormozi
২৪. Ogilvy on Advertising - David Ogilvy

একটা কথা সবসময় মনে রাখবেন—

জীবনে সফল হতে গেলে হাজার হাজার বই পড়া লাগবে না। কয়েকটা ভালো বই আর সেগুলোর শিক্ষা কাজে লাগালেই যথেষ্ট।

©

13/01/2025

আল্লাহ খুব দূরের সত্তা, তাকে সহজে কাছে পাওয়া যায় না, এ রকম একটি ধারণা আমাদের সমাজে প্রচলিত আছে।

আসলেই কি আল্লাহ দূরের সত্তা?

মহান আল্লাহ কুরআনে বলেছেন, আর আমি তার গলার ধমনী হতেও অধিক নিকটে (সূরা ক্বাফ ১৬)।

হাদিসে কুদসিতে আল্লাহ বলেছেন, কেউ যদি আমার দিকে এক বিঘত অগ্রসর হয়, আমি তার দিকে একহাত এগিয়ে যাই। কেউ আমার দিকে একহাত এগিয়ে এলে আমি তার দিকে দুইহাত এগিয়ে যাই। আর কেউ আমার দিকে হেঁটে হেঁটে এলে আমি তার দিকে দৌড়ে যাই।

আপনি হাঁটা শুরু করলে যে সত্তা আপনার দিকে দৌড়ে আসেন, তিনি কি পর হতে পারেন?

আল্লাহ রহমত বা দয়া সৃষ্টি করে সেটাকে দুই ভাগে ভাগ করেছেন। একদিকে রেখেছেন ৯৯ ভাগ আর অন্যদিকে রেখেছেন ১ ভাগ। এই একভাগ ভালোবাসা তিনি পৃথিবীর শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সমগ্র সৃষ্টিকুলের মধ্যে বণ্টন করে দিয়েছেন।

একভাগ দয়ার ক্ষুদ্র একটি অংশ পেয়ে আমরা আমাদের সন্তানদের কত ভালোবাসি! এই একভাগ ভালোবাসার একটি ক্ষুদ্রাংশ পেয়ে হিংস্র বাঘিনী তার শাবককে দুধপান করায়।

এই একভাগ ভালোবাসার একটি ক্ষুদ্রাংশ পেয়ে সন্তানদের পৃথিবীতে আনতে গিয়ে মাকড়সা নিজের জীবনকে বিসর্জন দেয়।

এই একভাগ ভালোবাসার একটি ক্ষুদ্রাংশ পেয়ে একটি মুরগি প্রবল বৃষ্টিতে ভিজেও ছানাদের বুকের নিচে আগলে রাখে।

তাহলে বাকি নিরানব্বই ভাগ দয়া যার কাছে সঞ্চিত আছে, সৃষ্টির প্রতি তার মমতা কতখানি হতে পারে?

আল্লাহ পর নন, তিনি আমাদের বড় আপন। তিনি শুধু চান, কখন আমরা তাকে ডাকব।

তাকে হৃদয় থেকে ডাকুন, তার উপস্থিতি আপনি অনুভব করতে পারবেন। আর চলার পথে যিনি আল্লাহকে অনুভব করার গুণ অর্জন করে ফেলেন, পৃথিবীর কোনো দুঃখতাপ তাকে বিচলিত করতে পারে না।

শায়েখ Ahmadullah

রাত ৩:০০ টায় রোগীটা মারা গেল। বয়স প্রায় ৮০, সাথে শুধু স্ত্রী।জিজ্ঞেস করলাম, বাড়িতে খবর দিয়েছেন? রোগী তো সন্ধ্যা থেকেই খা...
13/01/2025

রাত ৩:০০ টায় রোগীটা মারা গেল। বয়স প্রায় ৮০, সাথে শুধু স্ত্রী।

জিজ্ঞেস করলাম, বাড়িতে খবর দিয়েছেন? রোগী তো সন্ধ্যা থেকেই খারাপ ছিলো। কেউ আসেনি?

এরপর এক নিষ্ঠুর বাস্তবতার মুখোমুখি হলাম যার জন্য আমার কোন মানসিক প্রস্তুতি ছিল না--

রোগীর দুই ছেলে, বড় জন সৌদি আরব, ছোট ছেলে বাড়িতে। বড় ছেলের জোরাজুরিতেই হাসপাতালে আসা। ছোট ছেলের আপত্তি অগ্রাহ্য করে কেন হাসপাতালে আনা হলো, এই অপরাধে বৃদ্ধ বাবাকে একবারও দেখতে আসেনি সে। উল্টো তাকে বাবার খারাপ অবস্থা জানানো হলে তার ভাষ্য ছিলো-
" আমি তো হাসপাতালে নিতে বলিনাই, সৌদি থিকা আইসা বাপেরে দেইখা যাইতে কও"!

জিজ্ঞেস করলাম, আত্মীয় স্বজন?

জানালো কেউ আসবে না, যখন তাদের প্রয়োজন ছিল তখন এসেছে। এখন লাশ নিতে আসলে যদি দুই পয়সা খরচ করতে হয়!
রাত ৩:০০ টায় ষাটোর্ধ্ব নারী তার সদ্য প্রয়াত স্বামীকে নিয়ে একটি উপজেলা হাসপাতালের ওয়ার্ডে, সাথে নেই কোন চেনা মুখ! কল্পনা করতেও বোধহয় কষ্ট হয়!
আমাকে জিজ্ঞেস করলেন, কয়টা বাজে? আজান দিতে আর কতক্ষণ?
আমি বললাম বেশিক্ষণ না, দুই-আড়াই ঘণ্টা!

ভদ্রমহিলা আমার হাত ধরে ফেললেন-
"আমারে হাসপাতাল থেকে বাইর করে দিয়েন না, সকাল হইলেই ভ্যান নিয়া চইলা যামু"!

শোকার্ত নারীটি যেন ঠিকমতো শোক প্রকাশ করারও সুযোগ পাচ্ছে না। একবার লাশের কাপড় ঠিক করছে, কিছুক্ষণ দোয়া পড়ছে, কিছুক্ষণ আস্তে আস্তে কান্না করছে, আবার একা একা এই লাশ বাড়ি পর্যন্ত কিভাবে নিয়ে যাবে সেটাও বোধহয় আনমনে ভাবছে।

আমি শুধু তার মাথায় হাত রেখে আস্তে করে বলতে পারলাম, "থাকেন। কোন সমস্যা নাই"।

ওয়ার্ড থেকে বের হয়ে ৮০ বছরের বৃদ্ধের দিকে তাকিয়ে ভাবতে লাগলাম জীবন ঠিক কতটা নিষ্ঠুর হতে পারে। শেষ পরিণতি হিসেবে মৃত্যুর পর লাশটা নেওয়ার মানুষটাও নেই।
আহারে জীবন!

এই জীবন নিয়ে আবার কত বড়াই!
অথচ ঠিকমতো দাফন-কাফন পাবো কিনা তার কোন নিশ্চয়তা নেই!

ড. তপন দা লিখেছেন এই বাস্তবতা

কাজলা  দিদি___যতীন্দ্রমোহন বাগচীবাঁশবাগানের মাথার উপর চাঁদ উঠেছে ওইমাগো, আমার শোলক-বলা কাজলা দিদি কই?পুকুর ধারে, লেবুর ত...
13/01/2025

কাজলা দিদি
___যতীন্দ্রমোহন বাগচী

বাঁশবাগানের মাথার উপর চাঁদ উঠেছে ওই
মাগো, আমার শোলক-বলা কাজলা দিদি কই?
পুকুর ধারে, লেবুর তলে থোকায় থোকায় জোনাক জ্বলে,
ফুলের গন্ধে ঘুম আসে না, একলা জেগে রই;
মাগো, আমার কোলের কাছে কাজলা দিদি কই?
সেদিন হতে দিদিকে আর কেনই-বা না ডাকো,
দিদির কথায় আঁচল দিয়ে মুখটি কেন ঢাকো?

খাবার খেতে আসি যখন দিদি বলে ডাকি, তখন
ও-ঘর থেকে কেন মা আর দিদি আসে নাকো,
আমি ডাকি, - তুমি কেন চুপটি করে থাকো?
বল মা, দিদি কোথায় গেছে, আসবে আবার কবে?
কাল যে আমার নতুন ঘরে পুতুল-বিয়ে হবে!
দিদির মতন ফাঁকি দিয়ে আমিও যদি লুকোই গিয়ে-
তুমি তখন একলা ঘরে কেমন করে রবে?
আমিও নাই দিদিও নাই কেমন মজা হবে!

ভুঁইচাঁপাতে ভরে গেছে শিউলি গাছের তল,
মাড়াস নে মা পুকুর থেকে আনবি যখন জল;
ডালিম গাছের ডালের ফাঁকে বুলবুলিটি লুকিয়ে থাকে,
দিস না তারে উড়িয়ে মা গো, ছিঁড়তে গিয়ে ফল;
দিদি এসে শুনবে যখন, বলবে কী মা বল!

বাঁশবাগানের মাথার উপর চাঁদ উঠেছে ওই
এমন সময়, মাগো, আমার কাজলা দিদি কই?
বেড়ার ধারে, পুকুর পাড়ে ঝিঁঝিঁ ডাকে ঝোঁপে-ঝাড়ে;
নেবুর গন্ধে ঘুম আসে না- তাইতো জেগে রই;
রাত হলো যে, মাগো, আমার কাজলা দিদি কই?

13/01/2025

" আমি চিরতরে দূরে চলে যাব "
-- কবি কাজী নজরুল ইসলাম।

" আমি চির-তরে দূরে চলে যাবো
তবু আমারে দিবোনা ভুলিতে,
" আমি বাতাস হইয়া,জড়াইবো কেশ,
বেনী যাবে যবে খুলিতে।

" তোমার সুরের নেশায় যখন
ঝিমাবে আকাশ-কাঁদিবে পবন,
রোদন হইয়া আসিব তখন,
তোমারো বক্ষে দুলিতে।

" আসিবে তোমার পরম উৎসব
কত প্রিয়জন-কে জানে,
মনে পড়ে যাবে,কোন সেই ভিখারী
পাইনি ভিক্ষা এখানে।

" তোমার কুঞ্জ পথে যেতে হায়,
চমকে থামিয়া যাবে-বেদনায়
দেখিব কে যেন,মরে পড়ে আছে
তোমার পথের ধূলিতে।

" আমি চির-তরে দূরে চলে যাব,
তবু আমারে দেব-না ভুলিতে।

13/01/2025

বাঙালী যে অতি আবেগী আর উৎসাহী তা লিটনের এক ইনিংসের পর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির জন্য যোগ্য বলে ঘোষণা দেওয়ার মাধ্যমে বুঝিয়ে দিলো.…

13/01/2025

একজন রিযিকের আধিক‍্যতা চাইলো, তার ইনকাম বেড়ে গেলো। গাড়ি কিনলো, বাড়ি করলো। কিন্তু সেই সাথে যুক্ত হলো নতুন নতুন খরচ। মেডিকেল চেকআপ, ৮/১০ টা ক্রেডিট কার্ডের বিল, বড় বড় ক্লাবের মেম্বারশীপ ফী। বোনাস হিসেবে আছে আরও নানা দু-শ্চিন্তা আর অ-শান্তি।

আরেকজন রিযিকের বারাকাহ চাইলো। তার চাকরীটা চলে গেলো। একজন আলিমকে হ-তাশ হয়ে প্রশ্ন করাতে জবাব দিলেন, হা%রাম ইনকামের চাকরী চলে যাওয়াটাই দুআ কবুলের প্রথম ধাপ।

ছোট খাট আরেকটা চাকরী পেলেও ইনকাম আগের চেয়ে অর্ধেক। আয় কমলেও সেই সাথে সংকুচিত হতে থাকলো ব‍্যয়ও। দিন শেষে তার কোন সেভিংস থাকছে না, কিন্তু নতুন করে তার কোন লোনও যোগ হয় না।
এই তো সেদিন ডাক্তার তার ঘুম আর প্রে-সারের ঔষধের ডোজ কমিয়ে দিলেন। ঘুম এখন যদি নিয়মিত হয়, ঔষধ খাবেনই বা কেন।

রিযিকের বারাকাহ এক অদ্ভুত রহমত। আধিক‍্যতা ছাড়াই যা পাওয়া সম্ভব। আল্লাহ! আপনি যা রিযিক দিবেন তাতে সন্তুষ্ট বানিয়ে দিন। এবং তাতে বরকত নাযিল করুন।

© Rizwanul Kabir

Address

Chandpur
3600

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when বিচিত্র জীবনের রঙ posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Videos

Share

Category