27/06/2024
এক বছরের মধ্যে আশা করি শহরবাসী একটা পরিবর্তন দেখবে -----মেয়র জিল্লুর রহমান জুয়েল
স্টাফ রিপোর্টার : চাঁদপুর শহরের রাস্তা প্রশস্তকরণ এবং ফুটপাত নির্মাণ কাজ অব্যাহত রয়েছে। এ যেনো উন্নয়নের মহাযজ্ঞ চলছে। পৌর মেয়র জিল্লুর রহমান জুয়েলের নেতৃত্বে পৌর পরিষদ পুরো শহরের রাস্তা, ড্রেনেজ ও ফুটপাত নির্মাণ কাজ যেভাবে চালিয়ে যাচ্ছে, তা শতভাগ বাস্তবায়ন হওয়ার পর সোয়া শত বছরের পুরনো চাঁদপুর শহরটিকে দেখা যাবে ভিন্নরূপে। রাস্তা এবং ফুটপাতের সৌন্দর্য দেখেই অনেকে মুগ্ধ হবেন। আর সে লক্ষ্যেই শহরে চলছে মহা উন্নয়নযজ্ঞ।
চাঁদপুর শহরটির মূল এবং পুরানো শহরে প্রবেশের দুটি সড়ক। একটি হলো আব্দুল করিম পাটওয়ারী সড়ক, আরেকটি হলো স্টেডিয়াম রোড। আবদুল করিম পাটওয়ারী সড়কে চলছে উন্নয়নের মহাযজ্ঞ। ইলিশ চত্বর থেকে শুরু করে শপথ চত্বর মোড় পর্যন্ত। দীর্ঘ এই সড়কটির দুই পাশ প্রশস্তকরণ এবং ফুটপাত নির্মাণ কাজ চলছে বেশ কিছুদিন যাবত। চলছে রাস্তার দুই পাশে দৃষ্টিনন্দন ফুটপাত নির্মাণ কাজ।
এছাড়া হাজী মহসিন রোডের উত্তর অংশের রাস্তা প্রশস্তকরণ এবং ফুটপাত নির্মাণ কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে।
রাস্তার দুপাশ থেকে স্থাপনা অপসারণ বা উচ্ছেদ করে রাস্তা প্রশস্ত করা খুব সহজ কাজ নয়। শত বছরের পুরানো ভবনের স্থাপনাও উচ্ছেদ করতে হচ্ছে। আর এই কঠিন এবং জনরোষে পড়ার মতো কাজটি অটল অবিচলের মতো করে যাচ্ছেন মেয়র জিল্লুর রহমান জুয়েল। পুরো কর্মযজ্ঞটি করছেন সম্পূর্ণ জনস্বার্থে। সে কারণেই অনেকের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার অংশ উচ্ছেদ হলেও কেউই তেমন কোনো প্রতিবাদ করেননি, এমনকি খুব বেশি অসন্তোষও নেই তেমন কারো। বরং নান্দনিক চাঁদপুর শহর গড়ার কাজটি অত্যন্ত দৃঢ়তা এবং সাহসিকতার সাথে করায় মেয়র জিল্লুর রহমান জুয়েলকে সাধুবাদ জানাচ্ছেন শহরবাসী।
গত ২৫ জুন সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত মেয়র জিল্লুর রহমান জুয়েল হাজী মহসিন রোডের উত্তর অংশ এবং করিম পাটওয়ারী সড়ক উন্নয়ন কাজ সরজমিনে পরিদর্শন করেন। সাথে ছিলেন পৌরসভার প্রকৌশল বিভাগ এবং সার্ভে বিভাগের কর্মকর্তাগণ। তাঁদেরকে সাথে নিয়ে মেয়র জিল্লুর রহমান জুয়েল চিত্রলেখা মোড় এলাকার স্বর্ণ মার্কেট এবং করিম পাটওয়ারী সড়কের গুরুত্বপূর্ণ অংশে মাপঝোঁক দেন। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে, বিপণীবাগ বাজারে পৌরসভার পুরানো ভবনের সামনে সম্পূর্ণ অবৈধভাবে গড়ে ওঠা খুপরি ঘরের মতো দোকানগুলো দোকানদারদেরকে নিজ উদ্যোগে সরিয়ে নিতে নির্দেশ দিয়েছেন মেয়র। এই অংশ রাস্তা এবং ফুটপাতে চলে যাবে। এসব উচ্ছেদ দুই-একদিনের মধ্যে শুরু হবে বলে জানান মেয়র।
মরহুম আবদুল করিম পাটওয়ারী বাড়ির সামনে রাস্তা প্রশস্ত এবং ফুটপাত নির্মাণ কাজও দেখেন মেয়র জিল্লুর রহমান জুয়েল। এ সময় উপস্থিত ছিলেন মরহুম আবদুল করিম পাটওয়ারীর ছেলে জেলা আওয়ামী লীগ নেতা আবু নাসের বাচ্চু পাটওয়ারী। এছাড়া মেয়রের সাথে ছিলেন সংশ্লিষ্ট কাজের ঠিকাদার সঞ্জিত পোদ্দার এবং ফেরদৌস মোর্শেদ জুয়েল।
এই উন্নয়ন মহাযজ্ঞের বিষয়ে মেয়র জিল্লুর রহমান জুয়েল বলেন, আগামী এক বছরের মধ্যে আশা করি শহরবাসী একটা পরিবর্তন দেখবে। আমার নির্বাচনী ইশতেহারের প্রধান যে নান্দনিক চাঁদপুর, সেটার অনেকটাই ফুটে উঠবে। করিম পাটওয়ারী সড়কের আধুনিকায়নের (ফুটপাতসহ) কাজটি কয়েক মাসের মধ্যে শেষ হবে আশা করছি। ট্রাক রোডটির কাজটি পুরোপুরি শেষ হতে একটু সময় লাগবে। কারণ সেখানে বিশাল আকারের ড্রেন হচ্ছে। আর এই সড়কে এই প্রথম ড্রেন হচ্ছে। ড্রেন নির্মাণ করতে সময় লাগছে। ড্রেন নির্মাণ কাজ শেষ হয়ে গেলেই সড়কের কাজ শুরু হয়ে যাবে। তাও একবছরের মধ্যে হয়ে যাবে আশা করছি। আমি এসব কাজে পৌরবাসীর সহযোগিতা কামনা করছি। পৌরবাসীর কাছে কৃতজ্ঞ যে তাঁরা আমাকে অকুণ্ঠভাবে সমর্থন দিয়ে এবং সহযোগিতা করে এসব কাজে সহযোগিতা করে যাচ্ছেন।