19/06/2022
কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি না হওয়া এবং দক্ষতার অভাবই বেকারত্বের বড় কারণ। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) ২০১৬-১৭ সালের জরিপ অনুযায়ী, দেশে বেকারের হার ৪ দশমিক ২ শতাংশ। সরকারি উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান বিআইডিএসের এক গবেষণায় দেখা গেছে, মাধ্যমিক থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারীদের ৩৩ শতাংশের বেশি পুরোপুরি বেকার।
বাংলাদেশে বেকারত্বের কারণ কী?
রাজনিতি চর্চা বেশি করার কারনেই বেকারত্ব বেশি,যদি তা না হত তাহলে কিছু একটা করার চিষ্টা করত,,,আর করেই ছাড়তো,বোকারত্বও কমতো,তবে হা সর্কার কর্তিক শ্রমের ন্যয্য মূল্য নির্ধারণ করতে হবে যেন একজন মানুষ যে কোন কাজ থেকেই চলতে পারেন
শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকার পরও মানুষ কেন বেকার হয়?
বর্তমানে বাংলাদেশে এত শিক্ষিত বেকার কেন?
বাংলাদেশে ইসরায়েলি কোন কোন পণ্য বিক্রি হয়?
বাংলাদেশে বেকারত্ব হার কী?
বাংলাদেশে বেকারত্বের হার বেশি কেন?
এই সমস্যার পেছনে অনেক কারণ আছে। এর মধ্যে অন্যতম হলো ভুল শিক্ষাব্যবস্থা। এখন বলতে পারেন ভুল শিক্ষাব্যবস্থা কিভাবে? এত সৃজনশীল এত ভালো রেজাল্ট ইত্যাদি।? এখন নিজেকে প্রশ্ন করে দেখেনত যদি এত সবকিছু ভালো হয় তাহলে কেন এত বেকার,? কেন এত শিক্ষিত, গুণিগন মিথ্যা বলে বেড়াছে? কেন বা তারা ঘোষ নিচ্ছে? তাতে কি বুঝা যায় না আমাদের দেশে প্রকৃত শিক্ষার অভাব। আচ্ছা আপনার প্রশ্নের উওরে আসা যাক। আমাদের দেশের যেইকোন সরকার আসুক না কেন তারা কেউ শিক্ষা নিয়ে প্রপারলি মাথা গামায় না যা দেখনে তা শুধু লোক দেখানো। প্রত্যেক গ্রামে, উপজেলায় স্কুল আছে কিন্তু খোঁজ নিয়ে দেখবেন মান সম্মত শিক্ষক নিয়োগ দিছেনা। প্রশিক্ষণ দিছে কিন্তু
বাংলাদেশে বেকারত্ব বৃদ্ধির প্রধান কারণগুলি কী?
বাংলাদেশ ছোট্ট একটি দেশ ,কিন্তু জনসংখ্যা অনেক। সে তুলনায় চাকরির বাজার কোথায়? আয়তনে বিশ্বের সবচেয়ে বড় দেশ রাশিয়া ।আর বাংলাদেশের জনসংখ্যায় রাশিয়ার চাইতেও বেশি। বাংলাদেশের ইকোনোমি ধীরে ধীরে উন্নত হচ্ছে কিন্তু একই সাথে বেকারত্বের হার ও ধীরে ধীরে বাড়ছে। তার কারণ ঘরে ঘরে এখন অনার্স-মাস্টার্স উৎপাদন হচ্ছে। সবাই সাধারণ শিক্ষামুখী। দেশে পর্যাপ্ত কর্মমুখী শিক্ষা ব্যবস্থা নেই ।এছাড়াও রয়েছে সরকারের সদিচ্ছার অভাব ।তরুণদের নিয়ে উচ্চ মহলে তেমন কোনো ভাবনা পরিলক্ষিত হচ্ছে না ।নেই তেমন কোনো উৎপাদনশীল শিল্প প্রতিষ্ঠানও। এরকম তথৈবচ অবস্থা নিয়ে বেকারত্ব বাড়বে না কমবে, তা সহজেই অনুমেয়।
একটি ঐতিহাসিক ধর্মীয় উক্তি আছে যে, 'মুখ দিবেন যিনি আহারও দিবেন তিনি'। এসব কথা এখন আর এই বর্তমান যুগে খাটে না। কারণ মুখ উৎপাদন করা সহজ হলেও আহার কিন্তু অত সহজে উৎপাদিত হয় না ।সেটা কষ্ট করেই অর্জন করে নিতে হয় ।তাই এ তত্ত্ব এখন অচল ।বাংলাদেশের বেকারত্বের পেছনের মূল কারণ হচ্ছে পর্যাপ্ত জনসংখ্যার সাথে সাথে পর্যাপ্ত চাকরিদাতা কিংবা শিল্পপ্রতিষ্ঠান এখনো বাংলাদেশে গড়ে ওঠেনি ।তাই অনেকেই এখন বিদেশগামী।
এ প্রশ্নের উত্তরে একজনকে দেখলাম বেকারত্ব বাড়ার জন্য বেকারদেরই তথা তাদের মনোভাবকে দোষারোপ করেছে। এটা আসলে ঠিক নয় । চাকুরী ব্যবস্থার ক্ষেত্রে আমরা এখনো পুরনো সিস্টেমকে বা পুরনো পন্থাকে আঁকড়ে ধরে পড়ে আছি। চাকরি পেতে হলে মুখস্থ বিদ্যায় পারদর্শী হতে হয়।যেটি অত্যন্ত হাস্যকর পদ্ধতি। আমি মনে করি, একমাত্র বেকাররা-ই জানে তাদের সংগ্রামের ইতিহাস ,অন্য কেউ জানেন না। বিদ্যমান বিধিব্যবস্থা এমন-ই যে বেকারদের সব খুব সহজেই দোষারোপ করা যায়,কিন্তু সমস্যার নিগূঢ় কারিগর হচ্ছে আমাদের সিষ্টেম ও আমাদের শাসকেরা।
photo Design done by me