21/01/2024
বাজারে স্বস্তি নেই, কমছে না শীতের সবজির দাম
সবজির বাজারে স্বস্তি ফিরছে না। স্থিতিশীল হচ্ছে না কোনকিছুর দাম। ক্রেতারা বলছেন, কোনও সবজির দাম ১০ টাকা কমলে দুই-একদিন পরে আবার ২০ টাকা বেড়ে যাচ্ছে। এভাবে তো কেনাকাটা করে সস্তি পাওয়া যায় না। অন্যদিকে বিক্রেতারা বলছেন, কেনা বেশি বলেই তাদের বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। তবে কিছু বিক্রেতা সবজির দাম কমেছে বলে জানিয়েছেন। শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায় সবজির বাজারের এ চিত্র। শীতকালকে সবজির ঋতু হিসেবেই বলে থাকেন সাধারণ মানুষেরা। কারণ এই ঋতুতে বাজারে অন্য সময়ের তুলনায় বেশি পরিমাণ সবজি পাওয়া যায়, দামও থাকে কম। কিন্তু এবারের অবস্থা ভিন্ন। সবজি থাকলেও দাম কমছে না।
বাজার করতে আসা বেসরকারি চাকরীজীবী মুক্তাদিরুল ইসলাম বলেন, শীতকালে সব সবজির দাম থাকার কথা কম। কিন্তু এখন দাম যেন কমতেই চাচ্ছে না। কোনও সবজির দাম যদি ১০ টাকা কমে কয়েকদিন পরেই সেটার দাম ২০ টাকা বেড়ে যায়। এভাবে কী চলা যায়?
শুক্রবার বাজারে শিম ৬০-৮০ টাকা, শালগম ৫০ টাকা, কাঁচা টমেটো ৫০ টাকা, টমেটো ৬০ টাকা, পেঁয়াজকলি ৬০ টাকা, মটরশুঁটি ১৪০ টাকা, মুলা ৪০ টাকা, লাল মুলা ৫০ টাকা, দেশি গাজর ৫০ টাকা, লম্বা বেগুন ১০০ টাকা, সাদা গোল বেগুন ১০০ টাকা, কালো গোল বেগুন ১০ টাকা, শসা ৭০ টাকা, ক্ষীরা ৬০ টাকা, উচ্ছে ৮০ টাকা, পেঁপে ৪০ টাকা, পটল ৭০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৫০ টাকা, ঢেঁড়স ১০০ টাকা, চিচিঙ্গা ৮০ টাকা, ধুন্দল ৮০ টাকা, বরবটি ১০০ টাকা, কচুর লতি ৮০ টাকা, কচুরমুখী ১০০ টাকা, কাঁচা মরিচ ১০০ টাকা, ধনেপাতা ১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আর প্রতিটি লাউ ১০০ টাকা, ফুলকপি ৬০ টাকা, বাঁধাকপি ৫০ টাকা, ব্রকলি ৬০ করে বিক্রি হচ্ছে।
বাজার করতে আসা শাফায়াত বলেন, শীতকাল চলে যাচ্ছে তবুও ফুলকপি-বাঁধাকপি ৫০ টাকার নিচে কিনতে পারিনি। আজকেও বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা করে। আর লাউ ১০০ টাকা দিয়ে কিনেছি। এগুলো তো এই সিজনেরই সবজি, তবুও বেশি দামে কিনতে হচ্ছে।
সবজির দাম না কমা প্রসঙ্গে বিক্রেতা হারুন বলেন, দামের উঠা-নামা আমাদের হাতে নেই। আমরা যেমন দামে কিনি লাভ রেখে বিক্রি করি। এখন বেশি দামে কেনা পড়লে বেশি দামেই বিক্রি করি।
আরেক বিক্রেতা সানোয়ার বলেন, শীতের শুরুর দিকে সবজির দাম বেশি ছিল, এখন অনেকটাই কমেছে। তবে আজকে দাম গত সপ্তাহের থেকে বেশি।
এছাড়া মানভেদে পেঁয়াজ ৭৫-৮০ টাকা, লাল ও সাদা আলু ৪৫-৫০ টাকা, দেশি রসুন ২৮০, চায়না রসুন ২৪০-২৬০, ভারতীয় আদা ২৪০, চায়না আদা ২৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
আলু-পেঁয়াজ বিক্রেতা শরীফ বলেন, আলু-পেঁয়াজের দাম কমেছে। আরও কমবে বলে মনে হচ্ছে। তবে আদা রসুনের দাম বেড়েছে।
এছাড়া শুক্রবার বাজারে ইলিশ মাছ ওজন অনুযায়ী ১০০০-১২০০ টাকা, রুই মাছ ৩৬০-৬০০ টাকা, কাতল মাছ ৩৮০-৫৫০ টাকা, কালিবাউশ ৪০০-৬০০ টাকা, চিংড়ি মাছ ৭০০-১২০০ টাকা, কাচকি মাছ ৪৫০ টাকা, কৈ মাছ ২০০-১০০০ টাকা, পাবদা মাছ ৪৫০-৬০০ টাকা, শিং মাছ ৪০০-১৩০০ টাকা, বেলে মাছ ৬০০-১২০০ টাকা, টেংরা মাছ ৬০০-৮০০ টাকা, মেনি মাছ ৫০০-৭০০ টাকা, কাজলি মাছ ১১০০-১২০০ টাকা, বোয়াল মাছ ৬০০- ১২০০ টাকা, রূপচাঁদা মাছ ১০০০-১২০০ টাকা, শোল মাছ ১০০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
ব্রয়লার মুরগি ১৯২-২০৮ টাকা, কক মুরগি ২৭২-২৮০ টাকা, লেয়ার মুরগি ২৭২ টাকা, দেশি মুরগি ৫৫০ টাকা, গরুর মাংস ৭৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে মুদি দোকানের সব পণ্যের দাম রয়েছে অপরিবর্তিত। ছোট মুসরের ডাল ১৩৫ টাকা, মোটা মুসরের ডাল ১১০ টাকা, মুগ ডাল ১৭৫ টাকা, খেসারি ডাল ১০০ টাকা, বুটের ডাল ১০০ টাকা, ছোলা ১২০ টাকা, প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল ১৭৩ টাকা, প্যাকেটজাত চিনি ১৪৫ টাকা, খোলা চিনি ১৪০ টাকা, দুই কেজি প্যাকেট ময়দা ১৫৫ টাকা, আটা দুই কেজির প্যাকেট ১৩০ টাকা, খোলা সরিষার তেল প্রতি লিটার ১৯৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।