Mr. Ar1f

Mr. Ar1f একজন স্বঘোষিত পক্ষী গবেষক।
(3)

বায়োলজিকাল সেন্সর হিসেবে পাখি: পরিবেশগত সংকটের প্রাথমিক সতর্ক সংকেতপাখি, প্রকৃতির এক অপরিহার্য অংশ এবং পরিবেশের একটি সূক...
10/10/2024

বায়োলজিকাল সেন্সর হিসেবে পাখি: পরিবেশগত সংকটের প্রাথমিক সতর্ক সংকেত

পাখি, প্রকৃতির এক অপরিহার্য অংশ এবং পরিবেশের একটি সূক্ষ্ম ভারসাম্য রক্ষাকারী প্রাণী, আজকের বৈজ্ঞানিক গবেষণায় আরও গভীরভাবে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। তাদের অভিবাসন, আচরণ, প্রজনন এবং মৃত্যুহারের মধ্য দিয়ে পাখিরা পরিবেশের ক্ষুদ্রতম পরিবর্তনগুলোকেও প্রকাশ করে। বিজ্ঞানীরা পাখিদের জীববৈজ্ঞানিক সেন্সর হিসেবে ব্যবহার করে পরিবেশগত স্বাস্থ্য পর্যবেক্ষণ করছেন এবং তা থেকে আগাম সংকেত পাচ্ছেন। এই নিবন্ধে আমরা পাখিদের বায়োলজিকাল সেন্সর হিসেবে ব্যবহারের সম্ভাবনা, সুবিধা, এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে এর প্রয়োগ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব।

বায়োলজিকাল সেন্সর হিসেবে পাখির ব্যবহার নতুন কিছু নয়, তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বৈশ্বিক উষ্ণায়ন, পরিবেশগত দূষণ এবং প্রাকৃতিক বাস্তুতন্ত্রের উপর চাপ বৃদ্ধির কারণে এই ধারণাটি আরও তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে উঠেছে। বায়োলজিকাল সেন্সর বলতে এমন একটি প্রাণীকে বোঝানো হয়, যার জীবনযাত্রা এবং আচরণ পরিবেশগত পরিবর্তনের প্রতি সংবেদনশীল এবং সে পরিবর্তনগুলি পর্যবেক্ষণ করে সংশ্লিষ্ট তথ্য প্রদান করতে সক্ষম।
বায়োলজিকাল সেন্সর হিসেবে পাখিদের অনন্যতা এই কারণে যে, তারা স্থানীয় পরিবেশের একটি সংবেদনশীল অংশ এবং তাদের জীবনযাত্রা সরাসরি খাদ্য, জল, এবং আশ্রয়ের মতো প্রাকৃতিক সম্পদগুলোর প্রাপ্যতার উপর নির্ভর করে। যখন এই সম্পদগুলোতে কোনো পরিবর্তন ঘটে বা যখন পরিবেশে দূষণ বা অন্যান্য সমস্যা দেখা দেয়, পাখিরা তার সঙ্গে সঙ্গে প্রতিক্রিয়া দেখায়। তারা হয় তাদের আচরণে পরিবর্তন আনে, স্থানান্তরিত হয় বা প্রজনন ক্ষমতা হ্রাস পায়।

★ পাখির জীববৈজ্ঞানিক সংকেতের ধরন

পাখিদের ব্যবহারের মাধ্যমে পরিবেশগত সংকেতগুলো বিভিন্ন ধরনের হতে পারে। পরিবেশগত পরিবর্তনের প্রতিক্রিয়া হিসাবে তাদের আচরণগত এবং শারীরিক পরিবর্তনগুলি প্রাথমিক সংকেত প্রদান করতে পারে। এই পরিবর্তনগুলি পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে বিজ্ঞানীরা পরিবেশগত সংকট সম্পর্কে আগাম সতর্কতা দিতে পারেন।

পাখির অভিবাসন এবং জলবায়ু পরিবর্তন

পাখির অভিবাসন একটি বিস্ময়কর প্রাকৃতিক প্রক্রিয়া। লক্ষ লক্ষ পাখি শীতকালীন প্রজননস্থল থেকে হাজার হাজার মাইল দূরে গ্রীষ্মকালীন স্থানে স্থানান্তরিত হয়। এই স্থানান্তর সাধারণত ঋতু পরিবর্তনের সঙ্গে সম্পর্কিত। তবে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে এই অভিবাসন প্রক্রিয়ায় বিপর্যয় দেখা দিতে পারে।
জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে পাখিরা আগের মতো নির্দিষ্ট সময়ে নির্দিষ্ট স্থানে পাড়ি দিতে পারছে না। উদাহরণস্বরূপ, তাপমাত্রার অনিশ্চয়তার কারণে শীতকালে পাখিরা আগের তুলনায় দ্রুত অথবা ধীর গতিতে স্থানান্তরিত হচ্ছে। এছাড়া, নতুন এলাকা অন্বেষণের সময় পাখিরা নতুন বাস্তুতন্ত্রে অভিযোজিত হতে সমস্যা অনুভব করছে।
এ ধরনের ঘটনা বৈজ্ঞানিক গবেষণার মাধ্যমে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মূল্যায়নের জন্য বিভিন্ন প্রজাতির পাখির অভিবাসন প্যাটার্ন বিশ্লেষণ করা হয়। যখন পাখিরা নির্দিষ্ট সময়ের তুলনায় পূর্বে বা পরে অভিবাসন করে, তখন পরিবেশগত সংকট সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়। এর মাধ্যমে আমরা বৈশ্বিক উষ্ণায়নের সরাসরি প্রভাব দেখতে পারি।

পাখির মৃত্যুহার এবং পরিবেশগত দূষণ

পরিবেশ দূষণ শুধু আমাদের স্বাস্থ্যের জন্যই নয়, পাখিদের জীবনকেও গভীরভাবে প্রভাবিত করে। পাখিরা দূষিত পানি, বায়ু এবং মাটি থেকে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বায়ুদূষণ পাখির শ্বাসযন্ত্রে সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে এবং ভারী ধাতু দূষণ যেমন সীসা ও পারদ পাখির ডিমের খোসা দুর্বল করে দেয়, যা তাদের প্রজনন ক্ষমতাকে হ্রাস করে।
উদাহরণস্বরূপ, শিল্পায়নের ফলে সৃষ্ট বায়ু এবং পানিদূষণ বিভিন্ন প্রজাতির পাখির মৃত্যু বাড়িয়ে তুলেছে। এমনকি কিছু অঞ্চলে, দূষণ এতটাই বেড়ে গেছে যে সেখানকার পাখিরা স্থানান্তরিত হতে বাধ্য হয়েছে। এ ধরনের পরিস্থিতিতে, পাখির সংখ্যায় অবনমন পরিবেশ দূষণের আগাম সতর্ক সংকেত হিসেবে কাজ করতে পারে।

পাখির বাস্তুতন্ত্রের প্রতি সংবেদনশীলতা

পাখিরা তাদের চারপাশের বাস্তুতন্ত্রের সাথে নিবিড়ভাবে যুক্ত থাকে। খাদ্য, আশ্রয় এবং আবহাওয়া তাদের জীবনচক্রের অত্যাবশ্যক অংশ। যদি এই বাস্তুতন্ত্রে কোনো পরিবর্তন ঘটে, যেমন বনের উজাড়, জলাশয়ের শুকিয়ে যাওয়া বা খাদ্য সরবরাহে ঘাটতি, পাখিরা তার সাথে সঙ্গতিপূর্ণভাবে প্রতিক্রিয়া জানায়।
এই ধরনের পরিবর্তনগুলি পাখির বাসস্থান স্থানান্তর বা তাদের আচরণে বিভিন্ন ধরনের প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, গ্লোবাল ওয়ার্মিং-এর কারণে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেলে পাখিরা উষ্ণ এলাকা থেকে ঠাণ্ডা অঞ্চলে স্থানান্তরিত হতে পারে।

★ পাখিরা কীভাবে বায়োলজিকাল সেন্সর হিসেবে কাজ করে?

ক্যানারি ইন আ কয়ল মাইন

"ক্যানারি ইন আ কয়ল মাইন" কথাটি একটি ঐতিহাসিক উদাহরণ যা পাখিকে বায়োলজিকাল সেন্সর হিসেবে ব্যবহারের শ্রেষ্ঠ প্রমাণ। কয়লাখনি শ্রমিকরা কয়লার খনিতে বিষাক্ত গ্যাসের উপস্থিতি পরীক্ষা করতে ক্যানারি পাখি ব্যবহার করতেন। পাখিটি যদি মারা যেত, তবে শ্রমিকরা বুঝতে পারতেন যে খনির বায়ুতে বিষাক্ত গ্যাস রয়েছে, যা তাদের জীবনহানির ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলতে পারে।
এই ধারণাটি আধুনিক পরিবেশ পর্যবেক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। আজকের বিজ্ঞানীরা পাখিদের জীববৈজ্ঞানিক সেন্সর হিসেবে ব্যবহার করছেন, তাদের আচরণ এবং মৃত্যুহার বিশ্লেষণ করে পরিবেশের বিষাক্ত উপাদানগুলি চিহ্নিত করছেন।

পাখি ও দূষণ পর্যবেক্ষণ

দূষণ পর্যবেক্ষণে পাখিদের ব্যবহার একটি গুরুত্বপূর্ণ কৌশল। পাখিরা দূষিত পরিবেশে টিকে থাকতে না পেরে দ্রুত প্রতিক্রিয়া জানায়। যদি কোনো এলাকায় বায়ুদূষণ বৃদ্ধি পায়, তবে সেখানকার পাখিরা স্থানান্তরিত হতে শুরু করে। এছাড়া, পানিদূষণের কারণে জলচর পাখির প্রজনন হার কমে যায় এবং তাদের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পায়।
উদাহরণস্বরূপ, কৃষি জমিতে কীটনাশক ব্যবহারের ফলে কীটপতঙ্গের সংখ্যা কমে যায়, যা পাখির খাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয়। ফলে সেই এলাকায় পাখির সংখ্যা কমে যায়। এই ধরনের ঘটনা দূষণের প্রাথমিক সংকেত হিসেবে কাজ করতে পারে।

পাখির মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তনের মূল্যায়ন

বিজ্ঞানীরা পাখিদের অভিবাসন, প্রজনন, এবং অন্যান্য আচরণগত প্যাটার্ন বিশ্লেষণ করে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মূল্যায়ন করছেন। উদাহরণস্বরূপ, জলবায়ুর উষ্ণায়নের কারণে গ্রীষ্মকালীন পাখিরা শীতকালীন অঞ্চলে আগেভাগেই পৌঁছে যাচ্ছে। এছাড়া, বরফ গলা এবং বৃষ্টিপাতের সময়সূচির পরিবর্তন পাখির মাইগ্রেশন প্যাটার্নকে ব্যাহত করছে।
এই পরিবর্তনগুলি বৈজ্ঞানিকভাবে পর্যবেক্ষণ করে জলবায়ু পরিবর্তনের গতি এবং প্রভাব সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়। জলবায়ুর পরিবর্তনের ফলে পাখির অভিবাসন প্যাটার্ন পরিবর্তন হলে সেটি গ্লোবাল ওয়ার্মিং এবং তার ফলাফল সম্পর্কে সতর্কতা প্রদান করতে পারে।

★ স্মার্ট সেন্সর ও ডেটা সংগ্রহে পাখির ব্যবহার

পাখির শরীরে ছোট ছোট সেন্সর বসিয়ে বিজ্ঞানীরা পরিবেশগত ডেটা সংগ্রহ করছেন। এই সেন্সরগুলোর মাধ্যমে তাপমাত্রা, বাতাসের গতি, আর্দ্রতা এবং অন্যান্য পরিবেশগত উপাদান সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করা যায়।
পাখিরা যে সমস্ত এলাকা দিয়ে উড়ে যায়, সেখানকার ডেটা সংগ্রহ করে বিজ্ঞানীরা বিশ্লেষণ করছেন, যা পরিবেশ পর্যবেক্ষণ এবং গবেষণায় বড় ধরনের অবদান রাখছে। এই পদ্ধতি ব্যবহার করে দূরবর্তী এলাকাগুলোর পরিবেশগত তথ্য সংগ্রহ করা সম্ভব হচ্ছে, যেখানে মানুষের পক্ষে পৌঁছানো কঠিন।

★ চ্যালেঞ্জ এবং সীমাবদ্ধতা

যদিও পাখিদের বায়োলজিকাল সেন্সর হিসেবে ব্যবহারের অনেক সুবিধা রয়েছে, কিন্তু এই পদ্ধতিতে কিছু চ্যালেঞ্জ এবং সীমাবদ্ধতাও রয়েছে।

পাখির আচরণের জটিলতা

পাখির আচরণ বিভিন্ন প্রভাবকের উপর নির্ভর করে এবং তা পরিবেশের পরিবর্তন ছাড়াও বিভিন্ন কারণে পরিবর্তিত হতে পারে। শুধুমাত্র পরিবেশগত কারণেই তাদের আচরণ পরিবর্তন হয় না; প্রজনন, খাদ্য প্রাপ্যতা, শিকারির উপস্থিতি এবং অন্যদের সঙ্গে প্রতিযোগিতার মতো বিভিন্ন কারণও তাদের আচরণে প্রভাব ফেলে।
এই আচরণের পরিবর্তনগুলো বিশ্লেষণ করা অনেক সময় জটিল হয়ে দাঁড়ায়, এবং বিজ্ঞানীদের পক্ষে সঠিকভাবে অনুমান করা কঠিন হতে পারে যে কোন পরিবর্তন পরিবেশগত সংকটের সূচনা করছে এবং কোনটি সাধারণ আচরণগত পরিবর্তন।

পাখির প্রজাতিগত বৈচিত্র্য

পাখিদের প্রজাতিগত বৈচিত্র্য অনেক বেশি, এবং প্রতিটি প্রজাতির পাখি ভিন্ন ভিন্ন প্রাকৃতিক শর্তের প্রতি ভিন্নভাবে প্রতিক্রিয়া জানায়। একটি নির্দিষ্ট অঞ্চলের পাখির আচরণ পরিবেশগত সংকটের ইঙ্গিত দিলেও, অন্য প্রজাতির পাখি একই সংকটের মধ্যে থাকতে পারে এবং তেমন কোনো পরিবর্তন না দেখাতে পারে।
তাছাড়া, একেক অঞ্চলের পাখিরা একেক রকম আবহাওয়ার প্রতি সহনশীল হতে পারে। কিছু পাখি পরিবেশগত সংকটের প্রতি অত্যন্ত সংবেদনশীল, আবার কিছু পাখি অত্যন্ত সহনশীল এবং তারা অনেক বড় সংকট না হওয়া পর্যন্ত বিশেষ কোনো পরিবর্তন দেখায় না।

পরিবেশগত সংকটের বহুমাত্রিকতা

পরিবেশগত সংকট সবসময় সরলরেখায় কাজ করে না। অনেক সময় বিভিন্ন সংকট পরস্পরের সাথে সম্পর্কিত হয় এবং তাদের প্রভাব একাধিক প্রাকৃতিক উপাদানের উপর পড়ে। উদাহরণস্বরূপ, কোনো অঞ্চলে বৃষ্টিপাতের অভাব শুধু পাখিদের প্রজনন প্রক্রিয়াকেই ব্যাহত করে না, বরং খাদ্যের ঘাটতি ও বাসস্থান হ্রাসের কারণে পুরো বাস্তুতন্ত্রকেই প্রভাবিত করতে পারে।
বিজ্ঞানীদের পক্ষে সবসময় এসব সংকটের প্রকৃত কারণ ও প্রভাব চিহ্নিত করা কঠিন হতে পারে। পাখির আচরণ বিশ্লেষণ করে তাদের থেকে প্রাপ্ত তথ্য বিশদভাবে পরীক্ষা না করা হলে তা বিভ্রান্তিকর হতে পারে।

★ ভবিষ্যত গবেষণা এবং সম্ভাবনা

পাখিদের বায়োলজিকাল সেন্সর হিসেবে ব্যবহারের ধারণা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির জগতে আরও নতুন দিক উন্মোচন করতে পারে। ভবিষ্যতে এই পদ্ধতি আরও ব্যাপকভাবে ব্যবহার করা হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

উন্নত সেন্সর প্রযুক্তি

পাখিদের ব্যবহারে আরও উন্নত সেন্সর প্রযুক্তি সংযোজনের মাধ্যমে পরিবেশ পর্যবেক্ষণ আরও সুনির্দিষ্ট এবং কার্যকর করা যেতে পারে। বর্তমানের ক্ষুদ্র সেন্সরগুলো আরো মিনিaturized (ক্ষুদ্রতর) করে তাদের থেকে প্রাপ্ত ডেটা আরও নিখুঁতভাবে বিশ্লেষণ করা সম্ভব হবে। এছাড়াও, সেন্সরগুলোর মাধ্যমে পাখির শারীরিক অবস্থাও পর্যবেক্ষণ করা যাবে, যা পরিবেশের প্রভাব সম্পর্কে আরও গভীর ধারণা প্রদান করবে।

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং মেশিন লার্নিং

পাখির আচরণ এবং পরিবেশগত সংকেত বিশ্লেষণে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) এবং মেশিন লার্নিংয়ের (ML) ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে। বৃহৎ পরিসরে পাখিদের আচরণগত ডেটা সংগ্রহ করে AI-এর মাধ্যমে তা বিশ্লেষণ করা সম্ভব। এর ফলে আচরণগত বৈচিত্র্য এবং পরিবেশগত সংকট সম্পর্কে আরও বিস্তারিত পূর্বাভাস দেওয়া যাবে।
উদাহরণস্বরূপ, মেশিন লার্নিং অ্যালগরিদম ব্যবহার করে পাখির আচরণগত প্যাটার্ন এবং পরিবেশগত সংকেতগুলোর মধ্যে সম্পর্ক চিহ্নিত করা সম্ভব। এর ফলে বৈজ্ঞানিক গবেষণায় নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে এবং পরিবেশগত সংকটের বিরুদ্ধে সময়োচিত ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাবে।

পাখিরা বায়োলজিকাল সেন্সর হিসেবে পরিবেশ পর্যবেক্ষণে এক অসাধারণ মাধ্যম হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। তাদের অভিবাসন, প্রজনন এবং আচরণের মাধ্যমে পরিবেশগত পরিবর্তন সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ সংকেত প্রদান করা যায়। বর্তমান বৈশ্বিক পরিবেশগত সংকট মোকাবেলায় তাদের ভূমিকাকে অবমূল্যায়ন করা উচিত নয়।
যদিও পাখির আচরণ এবং সংকেত বিশ্লেষণে কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে, তবে ভবিষ্যতে উন্নত প্রযুক্তি এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার এই পদ্ধতিকে আরও কার্যকর করে তুলতে পারে।

05/10/2024

সবাই, কোকিল নিয়ে আপনাদের অঞ্চলে প্রচলিত একটি করে প্রবাদ বাক্য বলে যান....

Title: The Extinction Risk of the Black-crowned Night Heron: Causes, Consequences, and Conservation EffortsAbstractThe B...
04/09/2024

Title: The Extinction Risk of the Black-crowned Night Heron: Causes, Consequences, and Conservation Efforts

Abstract

The Black-crowned Night Heron (Nycticorax nycticorax) is a widely distributed bird species known for its distinctive nocturnal habits and adaptive behavior. While not currently classified as endangered, certain populations of this species face significant threats that could lead to localized extinctions. This paper explores the factors contributing to the extinction risk of the Black-crowned Night Heron, focusing on habitat destruction, environmental pollution, climate change, and human disturbances. Additionally, it examines the consequences of potential extinction and reviews current conservation efforts aimed at preserving this species.

Introduction

The Black-crowned Night Heron is a medium-sized wading bird found across various regions, including North and South America, Europe, Asia, and Africa. Its adaptability to different environments, from wetlands to urban areas, has allowed it to maintain a relatively stable global population. However, in certain regions, the species faces significant threats that could lead to local or even regional extinction.
The aim of this research paper is to assess the extinction risk of the Black-crowned Night Heron, identify the primary causes of this risk, and discuss the potential ecological consequences and conservation strategies.

Background and Ecology

The Black-crowned Night Heron is recognized for its unique behavior of foraging primarily at night, a trait that differentiates it from many other heron species. It has a varied diet consisting of fish, amphibians, crustaceans, insects, and small mammals. The species is highly adaptable, able to thrive in both natural and human-altered landscapes. However, its reliance on wetland habitats makes it vulnerable to environmental changes that affect these ecosystems.

Factors Contributing to Extinction Risk

1. Habitat Destruction

Wetland degradation and loss are the most significant threats to the Black-crowned Night Heron. Urban development, agricultural expansion, and industrial activities have led to the destruction of wetlands, which are critical for nesting, feeding, and roosting. As wetlands are drained or polluted, the heron’s ability to find suitable habitats diminishes, leading to population declines.

2. Environmental Pollution

Pollution, particularly from agricultural runoff, industrial waste, and plastic debris, poses a significant threat to the Black-crowned Night Heron. Pesticides and heavy metals can contaminate water bodies, reducing prey availability and leading to bioaccumulation of toxins in the herons. This can cause reproductive failures and increased mortality rates.

3. Climate Change

Climate change exacerbates the risks faced by the Black-crowned Night Heron by altering the availability and distribution of wetlands. Rising temperatures and changing precipitation patterns can lead to the drying of wetlands or flooding, both of which disrupt the delicate balance of these ecosystems. Additionally, sea-level rise threatens coastal wetlands, which are crucial habitats for many heron populations.

4. Human Disturbances

Human activities such as urbanization, tourism, and recreational use of wetlands can disturb Black-crowned Night Heron colonies, particularly during the breeding season. Disturbance can lead to nest abandonment, reduced reproductive success, and ultimately, population declines.

Consequences of Extinction

The extinction of the Black-crowned Night Heron would have significant ecological consequences. As a predator of various aquatic species, the heron plays a crucial role in maintaining the balance of wetland ecosystems. Its loss could lead to overpopulation of certain prey species, disrupting the food web and potentially leading to the decline of other species. Additionally, the heron contributes to nutrient cycling within wetlands, and its extinction could impact the overall health of these ecosystems.

Conservation Efforts

Efforts to conserve the Black-crowned Night Heron focus on habitat protection, pollution control, and public awareness. Wetland conservation initiatives, such as the establishment of protected areas and restoration projects, are essential for preserving critical habitats. Reducing pollution through better agricultural practices and industrial regulations can help mitigate the threats posed by toxins. Additionally, educating the public about the importance of wetlands and the species that depend on them can foster support for conservation efforts.

Conclusion

While the Black-crowned Night Heron is not currently at immediate risk of global extinction, localized populations face significant threats that could lead to their decline or disappearance. Habitat destruction, environmental pollution, climate change, and human disturbances are the primary factors contributing to this risk. To prevent the extinction of this species, it is crucial to implement and enforce effective conservation strategies that address these threats. Protecting the Black-crowned Night Heron is not only important for the species itself but also for the health and stability of the ecosystems it inhabits.

References

Kushlan, J. A., & Hancock, J. A. (2005). The Herons. Oxford University Press.

Martínez-Vilalta, A., & Motis, A. (1992). Family Ardeidae (Herons). In del Hoyo, J., Elliott, A., & Sargatal, J. (Eds.), Handbook of the Birds of the World, Vol. 1: Ostrich to Ducks (pp. 376–429). Lynx Edicions.

Gawlik, D. E. (2002). The effects of prey availability on the numerical response of wading birds. Ecological Monographs, 72(3), 329-346.

Finlayson, C. M., Davidson, N. C., & Stevenson, N. J. (Eds.). (2018). Wetland Global Outlook: State of the World’s Wetlands and their Services to People. Ramsar Convention Secretariat.

Wetlands International. (2021). Black-crowned Night Heron (Nycticorax nycticorax). Retrieved from Wetlands International Website.

02/09/2024

কালা-মাথা নিশিবক
ইংরেজি নাম: Black-crowned Night Heron
বৈজ্ঞানিক নাম: Nycticorax nycticorax।

এরা আকারে ৫৮ থেকে ৬৫ সেন্টিমিটার।
এদের চোখ লাল ও খয়েরি। মাথায় ঝুলন্ত সাদা ঝুঁটি রয়েছে। দেহ কালচে।
হাওর, বিল, নদী ও প্যারাবনে এরা বিচরণ করে। রাতে অগভীর পানিতে দাঁড়িয়ে কিংবা ধীরে হেঁটে পানির ওপর থেকে মাছ শিকার করে খায়। মূলত পানির ধারে বা পানির উপরের কোনো ডালপালায় লম্বা সময় ধরে দাঁড়িয়ে থেকে সুযোগ মতো মাছ ধরে খায়। হাঁটার সময় এরা মাথা আর ঘাড় নিচু করে রাখে। কখনও কখনও আবার দৌড়ায়।
এই আছে, এই নেই! এমন রূপকে বলে ‘ক্যামোফ্লাজ’ বা ছদ্মবেশধারণ। নিশিবক ছদ্মবেশে পটু। বিলের পাড়ে চোখ পড়তেই কোথায় জানি উধাও হয়ে যায়। তারপর দ্বিধাময় ভাবনাটুকু ঘিরে একটু অগ্রসর হলে হঠাৎ করে সেই নিশিবকটি অমনি ডানা মেলে দিলো অন্য গন্তব্যের দিকে।

26/08/2024

বাবুই পাখি (Baya weaver)
বৈজ্ঞানিক নাম: Ploceus philippinus
বাবুই Ploceidae গোত্রের অন্তর্গত একদল প্যাসারাইন পাখি। খুব সুন্দর বাসা বোনে বলে এরা "তাঁতি পাখি" (Weaver Bird) নামেও পরিচিত। এদের বাসার গঠন বেশ জটিল আর আকৃতি খুব সুন্দর। কয়েক প্রজাতির বাবুই একাধিক কক্ষবিশিষ্ট বাসা তৈরি করতে পারে। এরা মূলত বীজভোজী পাখি, সে জন্য তাদের ঠোঁটের আকৃতি বীজ ভক্ষণের উপযোগী; চোঙাকার আর গোড়ায় মোটা। অধিকাংশ বাবুই প্রজাতির আবাস সাব-সাহারান আফ্রিকায়, তবে কয়েকটি প্রজাতি এশিয়ায় স্থায়ী। অল্প কয়েকটি প্রজাতিকে বিভিন্ন দেশে অবমুক্ত করা হয়েছে।

Survive 🐀⛈️Pray for Bangladesh 🤲
22/08/2024

Survive 🐀⛈️
Pray for Bangladesh 🤲

20/08/2024

টুনটুনি (The tailor bird)
বৈজ্ঞানিক নাম: Orthotommus sutoriu
এরা হল (Sylviidae) পরিবারের অর্ন্তগত (Orthotomus) অর্ন্তভুক্ত একটি পাখি। বাংলাদেশে প্রায়শ এদের দেখা যায়।

06/08/2024

কেন মেধাবীদের চাকরি হয় না, একটু ভালো করে দেখুন।

04/08/2024

খুনি গুলো যেন দেশ ছেড়ে পালাতে না পারে। সেই ব্যবস্থা করা দরকার।

02/08/2024

The golden eagle
বৈজ্ঞানিক নাম: Aquila chrysaetos

হোক প্রতিবাদ। ✋
31/07/2024

হোক প্রতিবাদ। ✋

14/07/2024

নীল ও সাদা ময়ূর
বৈজ্ঞানিক নাম: Pavo cristatus

11/07/2024

The European hamster
বৈজ্ঞানিক নাম: Cricetus cricetus
এটি Eurasian hamster, black-bellied hamster or common hamster নামেও পরিচিত।

09/07/2024

Anna's hummingbird
বৈজ্ঞানিক নাম: Calypte anna

07/07/2024

ভিক্টোরিয়া'র রাইফেলবার্ড (Victoria's riflebird)
বৈজ্ঞানিক নাম: Ptiloris victoriae

06/07/2024

lyrebird (Menura novaehollandiae)

05/07/2024

খুন্তে বক
ইংরেজি নামঃ ইউরেশিয়ান স্পুনবিল (Eurasian spoonbill)
বৈজ্ঞানিক নামঃ Platalea leucorodia
এরা কোদালি বক ‘চামুচ বক’ নামেও পরিচিত।
খুন্তে বক দেড় যুগ আগেও এদের বিচরণ ছিল পদ্মা, মেঘনা, যমুনার চরে। বর্তমানে এদের যত্রতত্র দেখা যায় না। তবে শীত মৌসুমে মেঘনার মোহনায় চোখে পড়ে। তবে সংখ্যায় নগণ্য। এরা দক্ষিণ এশিয়ার স্থায়ী বাসিন্দা হলেও শীতে বিভিন্ন দেশে পরিযায়ী হয়ে আসে। এদেশে এসে এরা ডিম বাচ্চা ফুটায় না। তবে সুন্দরবনের পশ্চিমবঙ্গের অংশে, আসামের কাজীরাঙ্গা এবং রাজস্থানের ভতরপুরে বাসা বাঁধে। অদ্ভুত ঠোঁটের গড়ন, শরীরের অবয়ব সাদা বকের মতো হলেও আকারে খানিকটা বড়। চলাফেরা কিংবা ওড়ার ধরনও বকের মতো। পা পেছনে দিয়ে টান টান করে উড়ে। লম্বা ঠোঁটটা লুকিয়ে ফেললে দূর থেকে বকই মনে হয়।

Address

Brahmanbaria

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Mr. Ar1f posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Videos

Share