21/05/2023
ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়া ডেক্স : ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়ার মাদক ব্যবসায়ী আমির, যিনি ইয়াবা-ডন ইকবালের সেকেন্ড ইন কমান্ড খ্যাত, তার বিরুদ্ধে ইয়াবা ব্যবসা সহ বিভিন্ন অপরাধের বিষয়ে এলাকাবাসীর অভিযোগের শেষ নাই। সে জেল থেকে বের হয়ে আবারও শুরু করেছে তার পুরোনো ইয়াবা ব্যবসা।
উল্লেখ্য কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ী ইকবাল, আমিরদের মাদক ব্যবসা ও বিভিন্ন রকম অসামাজিক কার্যকলাপ নিয়ে এর আগেও বিভিন্ন মিডিয়ায়, বিশেষ করে ‘সাফকথা’ নিউজ পোর্টালে “ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পুলিশ কি আমির ইকবালের গোলাম” শিরোনামে একটি রিপোর্ট প্রকাশিত হলে তারই সূত্র ধরে নিজে অভিযান চালিয়ে আমিরকে গ্ৰেফতার করে আদালতে সোপর্দ করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোজাম্মেল হোসেন রেজা। তবে চতুর আমির এবারও অতিদ্রুত জামিনে বেরিয়ে এসে আবারও শুরু করেছে তার ইয়াবা তান্ডব।
ওদিকে অনুসন্ধানে মিলেছে মাদকে ছেয়ে গেছে ব্রাক্ষনবাড়িয়া। ব্রাক্ষনবাড়িয়ায় চাহিবা মাত্রই মাদক মিলে, সাধারণ জনগণের এমনই অভিযোগ। ব্রাক্ষনবাড়িয়ার পুলিশ ও মাদক অধিদপ্তরের কোথাও কোন ভূমিকাই নেই বললেই চলে, ফলে হাত বাড়ালেই মিলছে মাদক তথা ইয়াবা। তারা আরও বলেন, চোখের সামনে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে পরবর্তী প্রজন্মের ছেলেমেয়েরা অথচ কেউ কিচ্ছু বলে না। এবিষয়ে তারা যথাযথ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
অনুসন্ধানে মিলে, ব্রাক্ষনবাড়িয়ার আশুগঞ্জ থানা এলাকার আন্দেদিল গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে গরু চোর ও ইয়াবা ডিলার আমীর মাদক সম্রাট ইয়াবা ইকবালের সেকেন্ড ইন কমান্ড জেল থেকে বের হয়ে আবার শুরু করে দিয়েছে তার মাদক জগতের নিয়ন্ত্রণ। বর্তমানে এই আমিরের হাত দিয়েই ইমবালের সব ইয়াবার প্যাকেটিং ও বাজারজাত হয়, চলে যায় সাধারণত বিক্রেতাদের মাধ্যমে খোরদের হাতে হাতে।
আমাদের একটি অনুসন্ধানী দল মাদকের বিষয়ে কথা বলতে ঢাকা থেকে যায় ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়া মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরে কিন্তু মোস্তাফিজ, নাইমদের দলীয় বাঁধার মুখে তারা কিছুতেই অফিস অভ্যন্তরে প্রবেশ করতে পারে না। তথ্য অনুসন্ধানী কর্মীরা জানায়, তাদেরকে রীতিমতো দূর দূর করে তাড়িয়ে দেয় মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পোশাকে ডিউটিরত মোস্তাফিজ ও নাইমরা। তারা অন্যান্য সদস্যদের সহ নারী সদস্যদেরকেও সাথে নিয়ে অফিস সম্মুখে রীতিমতো বেরিকেড সৃষ্টি করে রহস্যজনক কারণে এবং কোনো ভাবেই তারা সাংবাদিকদের কোন-কথা শুনতে নারাজ! তারা জানায়, সহকারী পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মোঃ মিজানুর রহমান অফিসে নাই। সে না আসার আগে অফিসের সামনেও কোনো সাংবাদিক থাকতে পারবে না! ওদিকে চাঞ্চল্যকর তথ্য মিলেছে ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়া মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের বিষয়ে।
বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী জেলা ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়া জেলাটি আজীবনই অস্ত্র, মাদক ও চোরাচালানী কারবারের চারণভূমি হিসেবে বহুল সমালোচিত। জানা যায়, মাদক ও অবৈধ চোরাচালান কারবারীরা ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়াকে এপারের ‘ট্রানজিট পয়েন্ট’ হিসেবে ব্যবহার করে ওপার তথা ভারত থেকে আসা মাদক ও অবৈধ মালামাল এনে প্রথমে জমা করে। পরে তা ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়া সহ সারা বাংলাদেশে সাপ্লাই করে থাকে।
ওদিকে একাধিক লোকেরা বলেন, এবিষয়ে ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়ার বিভিন্ন থানা পুলিশের তৎপরতা কমবেশী কিছু পরিলক্ষিত হলেও মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর বলে এই জেলাটিতে আদৌও কোনো কিছু আছে বলে মনে হয় না। এছাড়াও একাধিক সূত্র থেকে জানা যায়, ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়া মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরে চলে মাদক নিয়ে ভয়ংকর কার্যকলাপ। তারা একদিকে ধরে আরেক দিকে নিজস্ব কিছু ব্যবসায়ীদের কাছে তা ছাড়ে! কারা কারা এইসব মারাত্মক কর্মকাণ্ডের সাথে লিপ্ত রয়েছেন তার আদ্যপান্ত নিয়ে অচিরেই প্রকাশিত হবে একটি বিশেষ প্রতিবেদন।
চোখ রাখুন, আমাদের সাথেই থাকুন।
আমিরের ইয়াবা প্যাকেটিং করার একটি ভিডিও ফুটেজ সংযোজন করা হয়েছে:
এস এম জজ মিয়া : ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়ার মাদক ব্যবসায়ী আমির, যিনি ইয়াবা-ডন ইকবালের সেকেন্ড ইন কমান্ড খ্যাত, তার বিরু...